The_boss
Part:14
Aarizona Ella
ইলমাজ দৌড়ে মেঝেতে পড়ে থাকা মায়ার পাশে গিয়ে বসলো, খুবই অস্থিরতা কাজ করছে ইলমাজের মাঝে।।পার্টির সব লোকজন একসাথে জড় হয়েছে।।
মায়া,,,open ur eyes damn it…ইলমাজের পুরো শরীর থেকে ধরধর ঘাম ছুটছে, মায়ার গালে হাল্কা বারি দিচ্ছে।এরপরও মায়া জাগ্রত হচ্ছে না।।ইলমাজ ভীষণ চিন্তিত আর অতংকে আছে কেন এমনটা হয়েছে যদিও মায়া ড্রিংকস করেছে তার দিকে মোটেও ভ্রুক্ষেপ ছিলো না ইলমাজের৷
উনার ড্রিংক্স এর পরিমান বেশি হওয়ার কারনে হয়তো নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেন নি তিনি।একজন ওয়েইটার এসে ইলমাজকে বললো।
এই কথা শুনে এবার ইলাজের মাথায় রক্ত উঠার উপক্রম।। কোন কথা না বলে মায়াকে এলোপাথারে কোলে নিয়ে সোজা হল থেকে বেরিয়ে গেলো সে।।
হোটেলে পৌছে মায়ার রুমে নিয়ে মায়াকে তার বিছানায় শুইয়ে দিয়ে,তার পা থেকে জুতা খুলে নিলো,গলা থেকে নেকলেস খোলার সময় ইলমাজের চোখ ওদিকটায় আটকে যায়।
থুতনির ঠিক ৩ ইঞ্চি নিচে একটা গাড়ো তিল খুবই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে,ইলমাজ একনাগার, এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে ওই তিলটির দিকে।।যেনো এক মাদকতার নেশা ইলমাজের দৃষ্টিভঙ্গি কে ভাষিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।।নেশার প্রলেপ লেগেছে ইলমাজের এই মাতলামোযুক্ত চাহনিতে।।ইলমাজ আস্তে আস্তে মায়ার গলার দিকে মাথা নিয়ে যেই মায়ার তিল যেদিকে আছে সেদিকে নিজের ঠোঁট ছোয়াবে!!!হঠাৎ আতকে উঠে মায়া থেকে খানিকটা দূরে সরে দাঁড়ালো।।
what the hell is happening to me???have i lost my dignity??how could i have been so indecent?? নিজেই নিজেকে৷ বলছে ইলমাজ।
মায়ার দিকে এগিয়ে মায়ার শরীরে চাদর টেনে দিলো সে।।বেশ কিছুক্ষন তাকিয়ে ছিলো মায়ার ঘুমন্ত চেহারার দিকে।।
এই টার্কিশ রঙের ড্রেস এজন্যই চুজ করে দিয়েছিলাম কারন এই রঙটা আমার একদম অপছন্দের যাতে তোমার দিকে আমার নজর না যেতে পারে,এই রঙের সাথে যেনো তোমাকেও ঘৃনা করতে পারি!!কিন্তু যখন ই তুমি এই ড্রেসে নিজেকে আমার সামনে স্থাপন করলে তখন আমারও ইচ্ছে করছিলো এই রঙে রাঙিয়ে যেতে। কেন এই রঙটা আমায় এতো টানছে?নতুন করে অনুভূতির জন্ম দিচ্ছে?কেনই বা এই রঙ তোমার এতটা গহীনে মিশে গেছে?নিজের উপর অনেক রাগ হচ্ছে সব কিছু আমার পেসিয়েন্সকে ওভারক্রস করছে।।ভেবেছি এই রঙ আমাকে তোমার থেকে দূরে সরিয়ে দিবে কিন্তু তোমার পরিহিত ছায়া আমাকে এই রঙের প্রেমে পড়তে বাধ্য করেছে।কিন্তু কেন???মায়ার দিকে তাকিয়েই সব কথা বললো ইলমাজ।।মায়া জেগে থাকলে হয়তো কখনোই এমন কিছু প্রকাশ করতে পারতো না সে।।
মায়ার মাথায় হাত বুলিয়ে রুম ত্যাগ করলো ইলমাজ।। রুমের বাহিরে ক্যারিডোরে ইয়ানাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চমকে গেলো ইলমাজ।
ইয়ানা তুমি এখানে?কখন এসেছো?অবাক চোখে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো ইলমাজ।
আরেহ,আমি তো বেশ কিছুক্ষণ হচ্ছে এসেছি।।আর কিভাবে এসেছি তা না জিজ্ঞেস করলেও চলবে কারন আমি জানি যখনই তুমি সিলেট আসো তখনই এই হোটেলে বুকিং করাও।।আর রুম নাম্বার রিসিপশনিষ্টের কাছ থেকে জেনেছি।।(ইয়ানা)
ইলমাজ ইয়ানার দিকে ভ্রু কুচকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে দুজনেই হো হো করে হেসে উঠলো।
বক বক করার অভ্যাস এখনো যায় নি তোমার??(ইলমাজ)
It’s by born baby…এক চোখ টিপ মেরে বললো ইয়ানা।।
তো কিভাবে আসা হলো এখানে?(ইলমাজ)
আসলে তোমার এম্পলয়ের কি অবস্থা জানতে এসেছি!!এখন কেমন আছে সে?চিন্তিত হয়ে বললো ইয়ানা।
তেমন সাংঘাতিক কিছু হয় নি।।ড্রিংক্স বেশি করার কারনে ওভার এ্যাফেক্ট করেছে।।(ইলমাজ
ওহ আচ্ছা আমি ভেবেছি অসুস্থ হয়ে গেছে তাই এসেছিলাম,ড্রিংক্স এর কারনে এমনটা হয়েছে জানলে আসতাম না।তবে মেয়েটা অসম্ভব সুন্দরী ছিলো, এই প্রথম কারো সৌন্দর্য দেখে হিংসে হয়েছে।।(ইয়ানা)
বলা মাত্রই আবার দুজন একসাথে হেসে উঠলো।
আচ্ছা এসেছো যেহেতু চলো ডিনারটা একসাথে করে আসি।।(ইলমাজ)
অবশ্যই, কিন্তু এই মেয়ে কে একা ফেলে ডিনার করা কি উচিত হবে?(ইয়ানা)
ও তো বেহুশের মতো ঘুমাচ্ছে,এখন জাগাতে গেলে আবার কি কান্ড না করে বসে!!এর চেয়ে ভালো শান্তিতে ঘুমাক।।উঠলে কিছু একটা ব্যাবস্থা তো করা যাবে।(ইলমাজ)
আচ্ছা।।(ইয়ানা)
দুজন একসাথে হোটেলের গ্রাউন্ড ফ্লোরের রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসলো।।
আচ্ছা ভালো কথা!!তুমি তো টার্কিশ কালারের কোন কিছুই লাইক করো না,তবে তোমার এ্যাম্পলয় যে ওই রঙের ড্রেস পড়লো কিছু বললে না যে?অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো ইয়ানা।
আমি লাইক করি না সেটা আমার সমস্যা, তার মানে এটা তো না যে আমার কারনে অন্যজনের জন্য কোন নিষেধাজ্ঞা থাকবে।।সে পড়েছে সেটা তার ব্যাপার।আমি তো আর কারও ব্যাক্তিগত ব্যাপারে নাক গলাতে পারি না তাই না?,সেই রাইট আমার নেই।।।খুব শান্ত স্বরে জবাব দিলো ইলমাজ।
হুম বুঝেছি,যাই হোক মেয়েটা আসলেই অসাধারণ সুন্দর,, টার্কিশ কালারের মতো ফ্যাকাশে রঙ টা ও যেনো তার শরীরে ফুটে উঠেছে।।মুচকি হেসে বললো ইয়ানা।।
ইলমাজ হাল্কা গলা ঝেড়ে একটু নড়েচড়ে বসলো।
খাবার এসে গেছে,ন্যাকামি বাদ দিয়ে খাওয়া শুরু করো।কড়া কন্ঠে বললো ইলমাজ।
খাওয়া শেষে ইয়ানা নিজের বাড়ি চলে গেলো।। ইলমাজ মায়ার রুমে গিয়ে একনজর মায়াকে দেখে নিজের রুমে গিয়ে শার্ট,কোট খুলে,ওয়াশ্রুমে শাওয়ার অন করে তার নিচে দাঁড়ালো।।
সে চোখ বন্ধ করে ভাবছে যখন মায়া রুম থেকে বেরিয়ে তার সামনে এসে দাঁড়ালো।যদিও ইলমাজের ইচ্ছে করছিলো তার দিকে নাগাত তাকিয়ে থাকতে,বাট ইগোর কারনে তাকাতে পারে নি।।কিন্তু আড়চোখে বার বার তাকাচ্ছিলো ইলমাজ মায়ার দিকে।গানটাও সে মায়াকেই ডেডিকেট করে গেয়েছিলো।কিন্তু তার বিন্দু পরিমানও অনুভব করতে দেয় নি সে মায়াকে।।
মায়া যখন মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলো তখন তো ইলমাজের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিলো।। মায়ার মাটিতে লুটিয়ে পড়ার কথা ভাবতেই চোখ মেললো ইলমাজ।।
মায়ার কথা মনে করতেই তাওয়াল দিয়ে দ্রুত গা মুছে প্যান্ট চেঞ্জ করে উদম গায়ে দৌড়ে মায়ার রুমের দিকে এগুলো সে।।।
চলবে।।