The_Boss
Part:19
Aarizona ella
মায়া হা করে আছে কি করবে এখনো ভেবে কুল পাচ্ছে না সে কারন ইলমাজ এমন ভাবে তাকিয়ে আছে তার দিকে যেনো চোখ দিয়েই কতল করবে।।মায়া চোখ উল্টো করে উঠে দাঁড়াবার চেষ্টা করলে ইলমাজ আরও শক্ত করে মায়ার হাত দুটো চেপে ধরেছে মায়া এমন অবস্থার সম্মুখীন হবে জানলে কখনোই ইলমাজকে দেখতে এখানে আসতো না।।
স,স্যার কি করছেন?ছাড়ুন আমাকে,আপনার কাছ থেকে আমি এটা কখনোই আশা করি নি।।?ঢোক গিলতে গিলতে বললো মায়া।।
সবার সব আশা সত্যি হয় না মিস মায়া আজহারি,বাকা হেসে বললো ইলমাজ।।
স্যার ঠিক হচ্ছে না বললাম ছাড়ুন আমাকে।।(মায়া)
না ছাড়লে কি করবে তুমি?নাকি আবার ও গরম চা মেরে দেবে?(ইলমাজ)
আসলেই ওদিন চা মেরে ভুল করি নি,আপনি এতটা লুইচ্চা জানলে চা সবগুলো আপনার মুখে মারতাম।।এবার রেগে গিয়ে হাতাপায় শুরু করলো মায়া।।
আচ্ছা?(ইলমাজ)
স্যার ছাড়ুন আমাকে,,নাহলে আমি আপনার নামে কেস করবো,, চেচিয়ে উঠলো মায়া।।
অজগর সাপের মত এভাবে মোচরা মোচরি করছো কেন?নিজের শরীরের সাইজ দেখেছো?পিচকি মেয়ে একটা, মাত্র ৫০ কেজির মেয়ে হয়ে একজন ৮০ কেজির লোকের সাথে পেরে উঠতে পারবে বলে কি তোমার আসলেই মনে হচ্ছে?বাকা হেসে বললো ইলমাজ।
আ,,আপনি ৮০ কেজি?!!দেখে তো মনে হয় ৬৫-৭০ হবেন।।(মায়া)
হাইট দেখেছো আমার কখনো?? ৬’১ তোমার মত বাচ্চা হাইট নাকি??হো হো করে হেসে উঠলো ইলামাজ।।
মায়া ইলমাজকে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে ধাক্কা দিয়ে উঠে যেতে চাইলে ইলমাজ আবারও আগের তুলনায় আরও শক্ত করে চেপে ধরেছে মায়াকে।।
আগেও বলেছি আমি আমার সাথে পেরে ওঠার চেষ্টা একদম করবে না,যদিও করো নিজেরই এনার্জি ওয়েস্ট হবে।।(ইলমাজ)
স্যার,প্লিজ ছাড়ুন, আপনি আমার সাথে এমন করতে পারেন না,কি চাচ্ছেন আপনি?কান্না জড়িত কন্ঠে বললো মায়া।।
কেন?খুব খারাপ লাগছে বুঝি?আমার ভাইয়ের সাথে ঘুরতে ফিরতে তো বেশ ভালোই লেগেছে তোমার, এখন আমার সাথে কিসের ফরমালিটিস দেখাচ্ছো?এবার ইলমাজের কথায় খুব অদ্ভুত রকমের ঘৃণা প্রকাশ পাচ্ছিলো।।
আপনার ভাই?মানে?খুব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো মায়া।।
ইলমাজ মায়াকে ধাক্কা দিয়ে উঠে দাড়াঁলো,,দিহান আমার কাজিন।।চিনেছো?(ইলমাজ)
দিহান আপনার ভাই?আতংকিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো মায়া।।
হ্যাঁ, দিহান আমার ভাই,ওদিন তো বেশ ভালোই চিপ্কে ছিলে ওর সাথে,আর আজকে আমার সাথে চিপকে থাকতে এতো ইন্সিকিউর ফিলিংস কিভাবে আসলো তোমার মাঝে?রাগান্বিত আর রক্তচক্ষু নিয়ে তাকালো মায়ার দিকে।।
কিন্তু স্যার ওদিন তো আমরা,,,,মায়াকে আর কিছু বলতে না দিয়ে ইলমাজ আবারও বলা শুরু করলো,,
আসলে তোমার মত মেয়েরা অনেক কিছুই করে আবার তার ভিন্ন রুপও ধারন করতে পারে।।এতো তুলসি পাতার ধোয়া পানি হওয়ার কি দরকার।।আমার কাছে কম কি আছে?আমার ভাইয়ের পিছু ছাড়ার জন্য কি লাগবে বলো?(ইলমাজ)
মায়ার চোখ থেকে গরগড়িয়ে পানি পড়ছে,,মায়া অবিশ্বাস্য নজরে ইলমাজের দিকে তাকিয়ে আছে।।
বলছো না কেন?যা লাগবে আমি দিবো,আমার সামনে এটলিস্ট এতটা ফরমালিটিস দেখিয়ো না।।(ইলমাজ)
মায়া নিজেকে কন্ট্রোল করতে না স্বজোরে ইলমাজের গালে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিয়ে বলতে লাগলো,,
ক্যারেকটারলেসনেস আপনার রক্তে বইছে, আমার না,এভাবে অহেতুক অপমান না করলেও পারতেন,,আমি সাফাই গাইতাম যদি ভুল আমার থাকতো কিন্তু আপনার কাছ থেকে এমন জঘন্যতম অপবাদ শোনার পর আপনাকে সাফাই দেয়ার কোন প্রয়োজন মনে করছি না আমি।।ভালো থাকবেন জনাব ইলমাজ রেহমান।।না আমি কাউকে ফাসাচ্ছি না কাউকে ফাসানোর ইচ্ছা আছে আমার।।আর্থিক প্রয়োজনে আপনার কোম্পানি তে জয়েন করেছি আর এটাই আমার দূর্বলতা ছিলো, তার মানে এটা না যে আমাকে আপনি চরিত্রহীনা নামে অখ্যায়িত করবেন।এবার দুর্বলতা যা ই হোক না কেন প্রয়োজনে মানুষের বাড়িতে কাজ করবো, তাও যদি না পাই ভিক্ষা করবো আর যদি কেউ ভিক্ষা ও না দেই দিন মজুরির কাজ করে দুবেলা ডাল ভাত খাবো।। আপনাকে,আপনার অর্থসম্পদ ও আপনার কোম্পানি কে আমার মোবারক।
মায়া চোখের পানি মুছতে মুছতে ইলমাজের রুম ত্যাগ করলো।। ইলমাজ এতক্ষন মায়ার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলো।। মায়া যাওয়ার পর ইলমাজ নিজের কক্ষের প্রতিটি কাচের জিনিস,টেবিলের কাচ,টেবিল ল্যাম্প এক এক করে হাতে পায়ে ভাঙ্গতে লাগলো।।ভাঙ্গার পর ইলমাজ নিজেই মেঝেতে বসে রক্তচক্ষুতে চোখের জল ফেলতে লাগলো।।।
মায়া পুরো রাস্তায় কেঁদেছে।।এখনো একা একা রাস্তায় হাঠছে আর ইলমাজের বলা প্রতিটি কথা চিন্তা করে ফুপিয়ে কেঁদে উঠছে।।
চলবে।।
আঙ্গুল ভাঙ্গার কারনে বেশিক্ষন টাইপ করতে পারছি না,সরি।।?