#The_Love_A_Devil_And_Angel,10,11
#An_Impossible_Love_Story
#Writer_Sanjana
#Part_10
শুভ চোখ বন্ধ করে রশনির কপালে কপাল ঠেকিয়ে আছে। শুভ আর রশনির নিঃশ্বাস একে অপরের সাথে বারি খাচ্ছে। রশনি ও চোখ বন্ধ করে শুভর নিঃশ্বাস অনুভব করছে।
শুভঃ জানি না রশনি কি আছে তোমার মাঝে। আগে কখনো কারো প্রতি এরকম ফিল আসে নি।কিন্তু আজ তোমার চোখে তাকিয়ে নিজের সীমা পেরিয়ে গেছি। তুমি কাছে আসলে নিজের প্রতি কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলি। ( নেশা ভরা ভয়েজে)
ভয় পাই এরকম অনুভূতিকে। কিন্তু তবুও হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে এই অনুভূতির মাঝে। কিছু একটা আছে যেটা আমাদের দুজনকে একে অপরের সাথে বেধে রেখেছে। কিন্তু সেটা কি?? আছে তোমার কাছে এর জবাব?? ( উত্তরের অপেক্ষায় রশনির দিকে তাকালো)
রশনি চোখ বন্ধ করে শুভর কথা গুলো শুনছে। ওর কাছে শুভর প্রশ্নের কোন উত্তর নেই। ও নিজেও এই অনুভূতি থেকে পরিচিত নয়। শুভর প্রতি ওর দূর্বলতার কারনও ওর অজানা।
রশনিকে চুপ থাকতে দেখে শুভ রশনির থেকে কিছুটা দূরে সরে যায়।
রশনি নিজেকে স্বাভাবিক করে মাথা নিচু করে শুভকে বলল,,,
রশনিঃ আ আমাদের নিচে যাওয়া উচিত সবাই হয়তো চিন্তা করছে।
শুভ রশনির দিকে তাকিয়ে একটা কিলার স্মাইল দিয়ে বলল,,
শুভঃ পালাতে চাচ্ছো আমার কাছ থেকে।
শুভর কথায় রশনির একটা শুকনো ঢোক গিলল,,,
রশনিঃ না মানে সবাই হয়তো খুঁজছে তাই বললাম আরকি (আমতা আমতা করে)
শুম রশনির আরেকটু কাছে এসে ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল,,,
শুভঃ আমি জানি রশনি যেটা আমি তোমার জন্য ফিল করি ওটা তুমিও ফিল করো আমার প্রতি। তাই অযথা আমার কাছ থেকে পালানোর চেষ্টা করো না কারণ তোমার যাওয়া প্রত্যেক টা রাস্তার মোড় আমার কাছে এসেই শেষ হবে। যেখানেই যাবে আমাকে পাবে। কারন তোমার অস্তিত্ব নিজের মাঝে উপলব্ধি করতে পেরেছি আমি। এখন যতই ঝড় আসুক না কেন I will not let you go from my life. Because I’m the destination of your life and you are the reason of my live. ( নেশা ভরা ভয়েজে)
শুভ হুট করেই রশনির কানের পেছনে কিস করে উঠে যায়। আর রশনি শক্ড হয়ে চোখ বড় বড় করে শুভর দিকে তাকায়।
শুভ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে রশিকে বলল,,
শুভঃ সারাদিন কি এখানেই থাকার প্লান আছে নাকি নিচেও যাবেন।
রশনি চোখ ছোট ছোট করে শুভর দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো।
রশনিঃ এমন ভাব নিচ্ছে যেন কিছুই করেনি ( মনে মনে)
শুভ রশনির হাত ধরে ওকে দাড় করায় তার পর একসাথে নিচে নেমে আসে।
নিচে আসতেই রশনি নিশি আর তিনাকে একসাথে দেখতে পায় তাই শুভর হাত ছাড়িয়ে ওদের কাছে চলে যায়। শুভ রশনির দিকে এক পলক তাকিয়ে সাদ আর রোহিতের পাশে চলে আসে।
রশনি রেগে গিয়ে নিশি, সিয়া আর তিনার পাশে দাঁড়ালো।
রশনিঃ তোরা কোথায় ছিলি এতক্ষণ আমি তোদের খুঁজতে খুঁজতে পুরো হয়রান হয়ে গেছি। ??
নিশিঃ চিল বেবী আমরাতো এখানেই ছিলাম তুই কোথায় ছিলি এটা বল,,,,
নিশির কথায় রশনি কিছুটা ঘাবরে যায়। কি উত্তর দিবে ভেবে পাচ্ছে না ও।
রশনিঃ ধুর নিজের কথায় নিজেই ফেসে গেলাম ?( মনে মনে)
না মানে এখানেই আশে পাশে তোদের খুঁজছিলাম আরকি। ?
সিয়াঃ আচ্ছা রশনি দি তুমি এত ঘামাচ্ছো কেন এসি তো চলছে তাহলে!!
রশনিঃ আমার গরম বেশি তাই?
❤❤❤
সাদঃ কিরে কখন থেকে খুঁজছি কোথায় ছিলি।
শুভঃ এইতো আশেপাশেই।?
রোহিতঃ ব্রো এখানের পার্টি এতো বোরিং কেন আমার তো ঘুম আসছে ?
ধীরঃ রিয়েলি শুভ অনেক বেশী বোর ফিল করছি।
শুভঃ তো এখন কি করা যায় তোদের বোরিংনেস দূর করার জন্য।
সাদঃ I have an idea ?
হঠাৎ পুরো হলের লাইট অফ হয়ে যায় আর স্টেজের লাইট জলে উঠে। সবাই আগ্ৰহ নিয়ে স্টেজের দিকে তাকিয়ে আছে। রশনি তিনা নিশি আর সিয়া বুঝার চেষ্টা করছে কি হচ্ছে।
মিউজিক অন হতেই রোহিত আর শুভ স্টেজের মাঝে চলে আসে,,,
Mere hoto sai dhuya dhar jo nikalti hai boli jaise jaise ho banduk ki goli ( রোহিত আঙ্গুল তুলে নিশিকে শুট করার ইশারা করে স্টেপ করলো)
Mere tevar main hain tehzeeb ki rangin rangoli jai se jai se ho eid Main holi ( শুভ রশনির দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ মেরে স্টেপ করলো)
Ho mere hoto sai dhuya dhar jo nikalti hai boli jaise jaise ho banduk ki goli… mere tevar main hain tehzeeb ki rangil rangoli jai se jai se ho eid Main holi…( রোহিত আর শুভ দুই দিকে চলে যায়। সাদ আর ধীর একসাথে পিছন থেকে স্টেপ করে এগিয়ে আসে)
Mere jivan ki dasha thora rasto ka nasha thori manzeel ki pyaas hain…
Baki sab First Class hain,,, Baki sab first class hain,,,Baki sab first class hain
Ha kasam se baki sab first class hain… ( চার জনে একসাথে স্টেপ করছে।)
Pal main tola pal main masa…
Jaisi bazi wesa pasa…apni thori hatke duniya dari hain.. (ধীর আর সাদ একসাথে স্টেপ করে সরে যায়)
Karna kya hain chandni sona…
Jitna pana utna khona hum to dilke dhande ke vehpari hain….
Meri muskan liye kabhi ati hain Subha kabhi shamei udas hain ( টলমল চোখে শুভ মায়ার দিকে তাকালো আর মায়া নিজের মুখ ঘুরিয়ে নিলো)
নিজেকে সামলে শুভ স্টেপ করতে মনোযোগ দিলো।
রোহিত নিশির হাত ধরে ওকে স্টেজে নিয়ে আসে আর শুভ নিচে নেমে রশনির কাছে চলে যায়।
Baki sab first class hain… Baki sab first class… Baki sab first class hain… ha kasamse baki sab First Class hain…
রশনি শুভর আর নিশি রোহিতের বুকে এক হাত রেখে এগিয়ে গিয়ে স্টেপ করে,,
Sabhke hoto pai charcha tera….
Bathtaa galiyo main parcha tera…
Yuh to ashiq hain lakho magar…
Sabhse ucha hai darja tera…
সাদ তিনার হাত ধরে ওকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয় আর ধীর সিয়াকে পিছন থেকে জড়িয়ে স্টেপ শুরু করে,,,,
Mere tarifo se chubhti hai badnamiya meri jaise jaise Ho aakhme choli mere tevar main hain tehzeeb ki rangin rangoli jai se jai se ho eid Main holi…..
আটজন একসাথে স্টেজে উঠে বাকি স্টেপ গুলো করতে শুরু করে।
Mere jivan ki dasha thora rasto ka nasha thori manzeel ki pyaas hain…
Baki sab first class hain..Baki sab first class hain…Baki sab first class hain ha kasamse baki sab first class hain….
ওরা থামতেই সবাই জোরে জোরে তালি বাজাতে শুরু করে।
রোহিতঃ ওয়াও নিশিরানি তুমিতো ভালোই নাচতে যানো। (নিশির কানে ফিসফিসিয়ে)
নিশি চোখ গরম করে রোহিতের দিকে তাকিয়ে নেমে যায়।
রোহিতঃ আমিতো তারিফই করলাম তাও রেগে গেল এমন কেন তুমি নিশি ( মন খারাপ করে নিচে নেমে গেল)
রশনি শুভর দিকে এক পলক তাকিয়ে নিচে নেমে আসে। বাকি সবাই ও নিচে নেমে আসে।
আস্তে আস্তে সব মেহমানরা যেতে শুরু করে।
রশনি আড়চোখে শুভর দিকে তাকিয়ে দেখে বেচারা মুখটা ভার করে দাঁড়িয়ে আছে। অনেক খারাপ লাগছে রশনির কেন যেন যেতে ইচ্ছে করছে না ওর। রোহিত নিশির দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু নিশি একবারের জন্যও ওর দিকে তাকায় নি। ব্যাপার টা অনেক খারাপ লাগছে রোহিতের কাছে। তিনা সাদের দিকে তাকিতেই সাদ ওকে ইশারায় ফোন দেখালো। তিনা সাথে সাথে আবার মাথা নিচু করে ফেলে সাদ তিনাকে দেখছে আর মুচকি মুচকি হাসছে।
সবার থেকে বিদায় নিয়ে ওরা গাড়িতে উঠে পরে।
সবাই ভিতরে চলে যায় কিন্তু শুভ ঠাই দাঁড়িয়ে থাকে। অনেক বেশি খালি খালি লাগছে ভিতরটা। কি যেন দূরে সরে গেল এমন একটা ফিলিং আসছে ওর।
কারো সাথে কোন কথা না বলে নিজের রুমে চলে আসে শুভ।
রাত 1 টা,,,,
টেডি বিয়ার জড়িয়ে ধরে শুয়ে শুয়ে শুভর সাথে কাটানো মুহুর্ত গুলো মনে করে নিজে নিজেই ব্লাশিং হচ্ছে রশনি।
শুভও ছাদে দাঁড়িয়ে চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে। চাঁদের মাঝেও ও রশনির চেহারা দেখতে পারছে। নিজের অজান্তেই নিজের মনের গহীনে রশনির নাম লিখে ফেলে শুভ।
❤❤❤
আয়ানার সামনে দাঁড়িয়ে গম্ভীর ভাবে নিজেকে পর্যবেক্ষণ করছে রোহিত।
রোহিতঃ আমি দেখতে মোটেও খারাপ না তাহলে নিশি আমার সাথে এমন বিহেভ করে কেন। স্কটল্যান্ডে আমার কতগুলো গার্লফ্রেন্ড ছিল কিন্তু তাদের প্রতি কখনো এমন ফিলিং আসেনি যেমনটা ওই Lady witch উরফে নিশিরানি কে দেখে হয়েছে। কিন্তু ওতো আমার দিকে ফিরেও তাকায় না। ( মন খারাপ করে বিছানায় বসে পরলো)
আচ্ছা এটা ভালোবাসা is it love??? ( ভাবছে রোহিত)
নিশি বারান্দার রেলিং শক্ত করে ধরে আছে।
নিশিঃ কেন হচ্ছে এমন আগে তো কখনোই কারো প্রতি এরকম ফিল হয়নি। তাহলে রোহিতকে দেখে কেন এমন অন্যরকম অনুভূতি হয়।
নো নো আমি কারো প্রতি দুর্বল হতে পারবো না। আমি এখানে শুধু আমার উদ্দেশ্য হাসিল করতে এসেছি। আমি ভুলতে পারবো না আমি কে। Nishani can’t become week.
❤❤❤
মাত্র বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছিলো তিনা সাথে সাথে ফোনের রিংটোনে উঠে বসে। স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখে Love লেখা ভেসে উঠছে।
রেগে বিছানার কুশনটা নিচে ছুরে মারে।
তিনাঃ বাড়িতে এসেও শান্তি নেই।এই লোকটা কেন আমার পিছে পরেছে ??
রিং কেটে আবার রিং শুরু হয় ভয়ে ভয়ে তিনা সাদের কলটা রিসিভ করল।
কল রিসিভ করার সাথে সাথেই সাদের ঝাড়ি শুনতে হলো।
সাদঃ এতো দেরি লাগে একটা কল রিসিভ করতে।
তিনাঃ ঘ ঘুমিয়ে ছিলাম।
সাদঃ ওহ স্যরি এখন থেকে প্রতিদিন আমার সাথে কথা বলতে হবে সো আরামের ঘুম বাদ দিয়ে দাও ??
তিনাঃ কিইইই ??
সাদঃ জিইইই ??
❤❤❤
গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন সিয়া। ধীর একধ্যানে ঘুমন্ত সিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। সিয়া ঘুমিয়ে যাওয়ার পর ওর রুমে চলে আসে ধীর। তখন থেকে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে সিয়ার দিকে ধীর।
ধীরঃ কেন সিয়া কেন না চাইতেও তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি। আমি যানি এটা কখনো সম্ভব না কারন আমি…..
তোমাকে নিজের কাছ থেকে চাইলেও দুরে সরিয়ে রাখতে পারবো না। আমার অস্তিত্ব জানার পরেও কি আমাকে ভালোবাসবে তুমি। নাকি দূরে সরিয়ে দিবে। ( সিয়ার দিকে তাকিয়ে কথা গুলো ভাবতে থাকে ধীর)
সিয়ার কপালে গভীর ভাবে ঠোঁট ছুঁইয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল ধীর।
To be continued…..
#The_Love_Of_A_Devil_And_Angel
#An_Impossible_Love_Story
#Writer_Sanjana
#Part_11
সকালে,,,
In Rejwan Mansion,,,
শুভ সাদ রোহিত ধীর আর মায়া সবাই ডাইনিং টেবিলে বসে নাস্তা করছে। ধীরের নজর আসেপাশে শুধু সিয়াকে খুঁজছে। সকাল থেকে দেখা যায় নি ওকে। অনেক বার চেষ্টা করেছে ধীর মায়াকে জিঙ্গেস করবে কিন্তু পরক্ষনে আবার কি ভেবে জিঙ্গেস করে নি।
রোহিতঃ আচ্ছা আন্টি সিয়া কোথায় ও ব্রেকফাস্ট করবে না ( খেতে খেতে)
মায়াঃ ওতো সকালেই ভার্সিটি চলে গেছে আজকে নাকি এক্সট্রা ক্লাস আছে তাই।
মায়ার কথা শুনে ধীর মন খারাপ করে প্লেটে চামচ নারাতে থাকে।
রোহিতঃ ওহ। ( আবার খাওয়ায় মন দিলো)
হঠাৎ মায়ার ফোনে কল আসে আর ও রিসিভ করে কথা বলতে শুরু করে,,,
মায়াঃ হ্যালো
।
।
মায়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি।
মায়া কল কেটে দিতেই সাদ জিঙ্গেস করলো,,
সাদঃ কে ছিল আন্টি??
মায়াঃ সিয়ার কল ছিলো। ওর কিছু দরকারি পেপার্স না নিয়েই চলে গেছে ওগুলো ড্রাইভারকে দিয়ে পাঠিয়ে দিতে বলল।
মায়া শুভকে উদ্দেশ্য করে বলতে শুরু করল,,,
মায়াঃ তোমরা এখানে আসার পর তো কোথাও ঘুরতে বের হও নি। পেপার্স গুলো নাহলে তোমরাই নিয়ে যাও সাথে কলেজ ক্যাম্পাসটাও ঘুরে দেখে আসো কেমন।
(ধীরকে মানমে লাড্ডু ফুটা ??)
ধীর খুশি হয়ে শুভর উত্তরের আশায় ওর দিকে তাকায়। শুভর জবাব শুনে ধীরের হাসি মাখা মুখ মলিন হয়ে যায়।
শুভঃ ড্রাইভার কে দিয়ে পাঠিয়ে দেন। আমার কলেজ ক্যাম্পাস ঘুরার শখ বা ইচ্ছা কোনটাই নেই। ( রুড ভাবে বলল)
মায়া একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,,,
মায়াঃ তোমার ইচ্ছে। আমি ভাবলাম যদি তোমরা কলেজে যাও তাহলে রশনিকে বলবো তোমাদের আশেপাশের সুন্দর জায়গা গুলো ঘুরিয়ে আনতে।
রশনির নাম শুনে শুভ অবাক চোখে মায়ার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল,,,
শুভঃ রশনি সিয়ার কলেজে পড়?
মায়াঃ হ্যাঁ রশনি নিশি তিনা আর সিয়া একি কলেজে পড়ে।
( মায়ার কথায় শুনে এবার শুভ সাদ আর রোহিতের মানমেও লাড্ডু ফুটা??)
মায়াঃ তোমরা যখন যেতে চাইছো না আমি ড্রাইভারকে দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
রোহিতঃ আব শুভ আন্টি এতো করে বলছে চলনা যাই ?( আরে ব্রো কেন আমার লাভ স্টোরির ভিলেন হচ্ছিস রাজী হয়ে যা নারে ভাই ?)
সাদঃ হ্যাঁ হ্যাঁ আর একটু ঘুরার সুযোগ ও পাবো এখানে আসার পর তো কোথাও ঘুরতে বের হই নি ( হ্যাঁ বলনা মেরে ভাই ?)
মায়াঃ ইট্স ওকে শুভ যেতে না চাইলে ওকে ফোর্স করার দরকার নেই।
মায়া উঠে চলে যেতে নিলেই শুভ পেছন থেকে বলে উঠে,,,
শুভঃ পেপার্স গুলো নিয়ে আসেন আমরা যাবো।
শুভর কথায় মায়া মুচকি হেসে আচ্ছা বলে চলে যায়।
মায়া কাগজ গুলো এনে শুভর হাতে দেয়। তারপর ওরা কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
❤❤❤
ক্যান্টিনে বসে গল্প করছে রশনি তিনা নিশি আর সিয়া।
রশনিঃ আচ্ছা তিনা তোর চোখ এমন ফুলে আছে কেন সারা রাত কি না ঘুমিয়ে বাড়ি পাহারা দিয়েছিস ?
রশনির কথা শুনে সাদের কথা মনে পরে যায় তিনার। বেচারী সারা রাত সাদের সাথে কথা বলেছে যার কারনে ঘুম পুরা হয়নি।
তিনাঃ কই নাতো এমনেই হয়তো ফুলে আছে। ( রেগে কটমট করতে করতে বলল)
সিয়াঃ রিয়েলি,,, আই থিঙ্ক তিনা দি সারা রাত নিজের বিএফ এর সাথে কথা বলেছে যার কারনে বেচারী ঘুমাতে পারেনি ??
সিয়ার কথায় তিনা হচকিয়ে যায়। তিনা নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,,,
তিনাঃ এমন কিছু না সত্যি (আমতা আমতা করে)
নিশিঃ হ্যাঁ হ্যাঁ বুঝি বুঝি সবি বুঝি ?
তিনাঃ তোরা অলওয়েজ একটু বেশিই বুঝিস ?
থাকবো না তোদের সাথে হুহ ( তিনা মুখ ফুলিয়ে চলে গেলো)
রশনিঃ আরে তিনু শুনত যাক বাবা চলে গেল।
নিশিঃ ও আর কোথায় যাবে লাইব্রেরী ছাড়া কিতাবের কিড়া তিনা ??
সিয়াঃ দি আমারো ক্লাস আছে আমি যাই বাই
রশনি এন্ড নিশিঃ বাই
সিয়া ক্লাসে চলে গেল।
রশনি আর নিশি কথা বলছিলো এমন সময় বাইরে থেকে কয়জন মেয়ে কিছু বলতে বলতে আসছিলো।
প্রথম জনঃ ছেলে গুলো কি জোশ নারে ?
দ্বিতীয় জনঃ হ্যাঁ বাট ব্লাক জ্যাকেট ওয়ালাটার উপর তো আমি ফুল ফিদাহ হয়ে গেছি। হোয়াট আ লুক ইয়ার ?
আরেক জনঃ হ্যাঁ কিন্তু পিঙ্ক জ্যাকেট পরা ছেলেটা তো অনেক বেশী কিউট পুরো চকলেট বয়।
মেয়েগুলোর কথা শুনে রশনি আর নিশি পুরো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো।
রশনিঃ নিশি এই লুচু আইটেম গুলো কাদের কথা বলছে??
নিশিঃ ডোন্ট নো চল বাইরে গিয়ে দেখে আসি।
রশনিঃ হুম চল
❤❤❤
শুভর গাড়ি কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকতেই সবার নজর ওদের গাড়ির দিকে আটকে যায়। ভিতর থেকে শুভ সাদ রোহিত আর ধীর বেরিয়ে আসে। ওদের দেখে মেয়েগুলোর যেন হার্ট এ্যাটেক করার উপক্রম।
( শুভ ব্লাক জ্যাকেট, ব্লাক জিন্স,ব্লাক সানগ্লাস হাতে ব্লাক ওয়াচ, সিল্কি চুল গুলো উড়ে কপালে এসে আছে। ফেসে এটিটিউট ভাব সব মিলিয়ে লাইক কিলার লাগছে)
( রোহিত পিঙ্ক কালারের জ্যাকেট, ব্ল্যাক জিন্স, হাতে ওয়াচ, চোখে ব্রাউন কালার সানগ্লাস, চুলগুলো স্পাইক করা ঠোঁটে as usual বেবী স্মাইল দেখতে পুরো কিউটের ডিব্বা।)
( সাদ অফ হোয়াইট শার্ট আর পেন্ট, চুল গুলো জেল করা, হাতে হোয়াইট ওয়াচ। শার্টের দুটো বোতাম খোলা আর সেখানে সানগ্লাস ঝুলানো। ফরমাল লুকেও অনেক এট্রাকটিভ লাগছে )
( ধীর এ্যাশ কালারের টি শার্ট আর হোয়াইট শার্ট, হোয়াইট পেন্ট হাতে এ্যাশ কালারের ঘড়ি চুল গুলো স্পাইক করা। সানগ্লাস টা খুলে টি শার্টে ঝুলিয়ে নিলো। এক কথায় কারো থেকে কেউ কম না)
রোহিতঃ Ow what a college yaar (চারদিকে চোখ ঘুরিয়ে দেখতে দেখতে)
শুভঃ হুম বাংলাদেশের বেস্ট কলেজের মধ্যে একটা বলে কথা।
সাদঃ সব তো ঠিক আছে কিন্তু এখন সিয়াকে খুঁজবো কিভাবে এতো বড় কলেজে।
ধীরঃ সবাই আমাদের দিকে এমন ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে কেন। Are we looking like a alien ?
ধীরের কথায় ওরা আশেপাশে খেয়াল করে দেখে সত্যিই সবাই তাকিয়ে আছে।
শুভ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলল,,
শুভঃ বাদ দে। চল ভিতরে গিয়ে ওদের খুঁজি। একটু সামনে যেতেই রশনি আর নিশিকে দেখতে পেলো ওরা।
রশনিকে দেখে দাঁড়িয়ে যায় শুভ। শুভর হার্টবিট প্রত্যেক বারের মতো এবারো ফাস্ট হয়ে গেছে। সাদা রঙের লং জামা, চুল গুলো ছেড়ে দেওয়া অপূর্ব সুন্দর লাগছে রশনিকে।
শুভ আর রশনির ব্যাপারটা আর কারো চোখে না পরলেও সাদ আর ধীরের চোখে প্রথম দিন থেকেই পরেছে। একজন ওদের জন্য খুশী হচ্ছে ওদের মিলানোর চেষ্টা করছে তো অন্য জন ওদের আলাদা করার প্লান করছে।
নিশিকে দেখে রোহিতের চেহারায় হাসি ফুটে উঠে। ইচ্ছে করছে গিয়ে জড়িয়ে ধরতে কিন্তু কারেন্ট ধরলে শক্ড খেতে হয় কথাটা ভেবে নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করছে ও। ?
নিশি আর রশনি গ্রাউন্ডে এসে ওদের দেখে শক্ড হয়ে যায়। ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠে রশনির।
রশনি শুভর সামনে এসে দাঁড়ায় সাথে নিশিও।
রশনিঃ আপনারা এখানে??
রশনির কথা শুভর কানে যাচ্ছে না ওতো রশনিকে দেখতে ব্যস্ত। ব্যাপার টা বুঝতে পেরে সাদ উত্তর দিলো।
সাদঃ হ্যাঁ আসলে সিয়ার কিছু পেপার্স বাসায় রেখে এসেছিলো ও গুলো দিতে এসেছি রাইট শুভ ( শুভর কাধে ধাক্কা দিয়ে)
শুভ সাথে সাথে নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,,,
শুভঃ হ্যাঁ হ্যাঁ ওটাই কাগজ গুলো দিতে এসেছিলাম।
রোহিত নিশির পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। নিশি কপাল কুঁচকে রোহিতকে পর্যবেক্ষণ করছে।
রোহিতঃ হাই নিশিরানি ?
নিশিঃ ইট্স নিশানি নট নিশিরানি ওকে ?
রোহিতঃ ওই একি ??
নিশিঃ নো এক না নেক্সট টাইম আমাকে এসব আজে বাজে নামে ডাকবে না গট ইট।( রেগে)
নিশির ব্যবহারে রোহিত অনেক কষ্ট পেয়েছে কিন্তু তা প্রকাশ করলো না।
সাদের নজর শুধু আশেপাশে তিনাকে খুঁজতে।
সাদঃ আচ্ছা রশনি তোমার ফ্রেন্ড তিনা কোথায়?
ওকে তো দেখা যাচ্ছে না।
রশনিঃ আসলে ও আমাদের সাথে রাগ করে লাইব্রেরী তে চলে গেছে।
সাদঃ লাইব্রেরী!!
নিশিঃ হুম লাইব্রেরী এটা রশনি আর তিনার ফেভারেট যায়গা। কিতাবের কিড়া দোনোজন।
রশনিঃ ??
ধীরঃ আচ্ছা এক কাজ করো তোমরা কথা বলো আমি আর সাদ কাগজ গুলো সিয়াকে দিয়ে আসি।
সাদঃ হ্যাঁ হ্যাঁ গুড আইডিয়া ( অনেক খুশি হয়ে
তিনিকে খোজার সুযোগ ও পাবো। মনে মনে )
শুভ কাগজ গুলো ধীরকে দিয়ে দিলো। ধীর আর সাদ কলেজের ভিতরে চলে গেলো।
শুভ রশনির একটু কাছে এসে বলল,,
শুভঃ মিস রশনি আপনাদের কলেজে প্রথম বার আসলাম আমাদের কি ক্যাম্পাসটা ঘুরিয়ে দেখাবেন না।
রশনিঃ স সিউর ( ব্লাশিং হয়ে)
নিশি রোহিত শুভ আর রশনি পাশাপাশি হাটছে। রশনিকে শুভকে আশেপাশের সব কিছু ঘুরিয়ে দেখাচ্ছে কিন্তু শুভ শুধু রশনিকে দেখতে ব্যস্ত।
হঠাৎ রশনি পাশে খেয়াল করে দেখলো অনেক গুলো মেয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। রশনি ব্যাপারটা বুঝার জন্য পাশে তাকিয়ে দেখে ওরা শুভর দিকে তাকিয়ে আছে। ওদের চাহনি দেখে রশনির অনেক রাগ লাগছে ইচ্ছে করছে গিয়ে মেয়েগুলোর চুল ছিড়ে ফেলে। মেয়েগুলোর পাশে একটা ওয়াটার পাইপ ছিল।রশনি আঙ্গুল
দিয়ে ইশারা করতেই পাইপ থেকে প্রচুর বেগে পানি বের হয়ে যায়। পাইপের পানি সোজা মেয়ে গুলোর উপর পরে আর মেয়েগুলো কাকভেজা হয়ে যায়।
রশনি শুভর দিকে রেগে তাকিয়ে নাক ফুলিয়ে চুপচাপ বরাবর হাটা শুরু করে। শুভ ব্যাপার টা বুঝে উঠতে পারছে না কেন রশনি হঠাৎ করেই রেগে গেল।
শুভও রশনির পিছনে হাটা শুরু করে।
নিশি চুপচাপ হাটছে কোন কথা বলছে না। আজ রোহিতও নিশির সাথে কথা বলছে না। মুখ গোমড়া করে সোজা হাটছে। নিশির দিকে একবারের জন্যও তাকায় নি। নিশি বার বার আড়চোখে রোহিতকে দেখছে। অনেক খারাপ লাগছে ব্যাপারটা নিশির কাছে। তখন ওভাবে বলা ঠিক হয়নি ভাবছে নিশি।
নিশি আর রোহিত অনেক সামনে এগিয়ে গেছে। এই সুযোগে শুভ রশনির হাত ধরে একটা খালি জায়গায় নিয়ে যায়। ব্যাপারটা এতো দ্রুত হওয়ায় রশনি ভয় পেয়ে যায়।
শুভ রশনিকে একটা গাছের সাথে ঠেকিয়ে দুইদিকে হাত দিয়ে আটকায়।
রশনিঃ এভাবে এখানে আনলেন কেন সরেন আমি যাবো।
চলে যেতে নিলে শুভ রশনির কোমর জড়িয়ে নিজের কাছে এনে বলল,,,
শুভঃ কি হয়েছে তোমার এমন আজিব বিহেভ করছো কেন। ?
রশনিঃ কিচ্ছু না সরেন।
শুভ রেগে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রশনিকে।
শুভঃ সেটাতো কখনোই হচ্ছে না ম্যাডাম আমি আপনাকে কখনো ছাড়ছি না। ( রশনির কপালের চুল কানের পিছনে গুজে দিয়ে)
এখন বলো কি হয়েছে আমি এখানে এমন কি করলাম যে এতো রেগে গেলে।
রশনিঃ এতো সেজে কলেজে আসতে কে বলেছিলো। কলেজের লুচু মেয়েগুলো কিভাবে তাকিয়ে ছিলো যানো ডিসগাস্টিং ( রেগে মুখ ঘুরিয়ে নিলো)
রশনির কথায় শুভ মুচকি হেসে ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে,,,
শুভঃ Are you feel jealous Roshni. বলেই ওর গালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দেয়।
শুভর কাজে রশনি শক্ড হয়ে চোখ বড় বড় করে শুভর দিকে তাকায়।
❤❤❤
মেয়ে গুলো কেমন ভাবে তাকিয়ে আছে রোহিতের দিকে নিশির শরীর জ্বলছে এটা দেখে।
হঠাৎ একটা মেয়ে রোহিতের সাথে ধাক্কা লেগে ওর গায়ে পরে যায়।
রোহিত মেয়েটাকে তুলে ওকে জিজ্ঞেস করে,,,
রোহিতঃ Are you alright miss… ?
মেয়েটাঃ Yes thank you ?
রোহিতঃ my pleasure.
মেয়েটাঃ I’m Riya ?
রোহিতঃ আ’ম রোহিত নাইস টু মিট ইউ।
রোহিত রিয়ার সাথে অনেক হাসা হাসি করে কথা বলছে। নিশি আর সহ্য করতে না পেরে রেগে ওখান থেকে চলে যায়।
❤❤❤
ধীর আর সাদ লাইব্রেরীর সামনে দিয়ে সিয়ার ক্লাসের দিকে যাচ্ছে। হঠাৎ সাদের নজর বুক সেল্ফের সামনে দাঁড়ানো তিনার উপর পরলো।
সাদ ধীরকে দাড় করিয়ে ওকে বলল,,
সাদঃ ধীর তুই যা আমার একটা জরুরী কল আসছে আমি কথা বলে আসছি। ( বাহানা করে)
ধীরঃ ওকে তারাতারি আসিস ( ধীর চলে গেল)
সাদ লাইব্রেরীর ভিতরে চলে গেলো। তিনা সেল্ফের থেকে বই নামিয়ে পরছিলো। সেল্ফের উপর একটা ভারী ট্রাম ছিলো। হঠাৎ সেল্ফ নরে ওটা তিনার উপর পরতে নেয়। সাদ সাথে সাথে নিজের হাত তুলে ওটাকে আটকায়। সাদের হাত থেকে একটা নীল রঙের রশ্মি বের হয়। রশ্মিটা ট্রামটাকে দূরে ছিটকে ফালায়।
ট্রামটা পরে যাওয়ায় তিনা ভয় পেয়ে যায়।
❤❤❤
ধীর সিয়ার ক্লাসের সামনে গিয়ে যা দেখে রেগে ওর চোখ লাল হয়ে যায়।
সিয়া তানভীরের সাথে বসে আছে। আর হেসে হেসে কথা বলছে। তানভীর সিয়ার হাত ধরে আছে। ধীর রেগে নিজের হাতের মুঠো শক্ত করে ধরে। চোখ দিয়ে যেন আগুন ঝরছে ওর।
সিয়া হঠাৎ সামনে তাকিয়ে ধীরকে দেখে ভয়ে দাঁড়িয়ে যায়। ধীর সিয়ার টেবিলে কাগজ গুলো ছুড়ে ফেলে ওখান থেকে বেড়িয়ে যায়।
To be continued…..