The_Love_Of_A_Devil_And_Angel,29,30

0
1262

#The_Love_Of_A_Devil_And_Angel,29,30
#An_Impossible_Love_Story
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_29

শুভকে অনেক ভাবে বুঝিয়ে শান্ত করেছে সাদ। ওর নিজেরই ভয় করছে না জানি আবরারের পরবর্তী প্লান কি,,, কিন্তু নিজের ভয়টা ও শুভকে বুঝতে দিচ্ছে না।

সিয়া কাবার্ড থেকে ড্রেস বের করে পিছনে ফিরতেই কারো সাথে ধাক্কা লেগে পরে যেতে নেয়,,, সাথে সাথে কেউ ওর কোমর জড়িয়ে ধরে নিজের কাছে নিয়ে আসে। সিয়া টাল সামলাতে না পেরে আগন্তুক এর বুকে গিয়ে পরে।

সিয়া রেগে মুখ উপরে তুলতেই দেখতে পেলো আগন্তুক আর কেউ নয় বরং ধীর। সিয়া ধীর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে কিছুটা দূরে সরে দাঁড়ায়।

সিয়াঃ আব ধীর ভাইয়া আপনার কিছু লাগবে,,, না মানে এই সময় আমার রুমে আসার কারন,,,?

ধীর সিয়ার অভিমান ভাঙানোর জন্য এসেছিলো কিন্তু সিয়ার কথা শুনে আর ভাই ডাক শুনে বেচারা নিজেই রেগে গেল।

ধীরঃ এই আমি তোমার কোন জনমের ভাই হই হ্যাঁ,, আর এখন কি আমার সময় বুঝে তোমার কাছে আসা লাগবে। ( রেগে)

সিয়া ধীরের কথায় কোন রিয়েকশন না করে শান্ত ভাবে বলতে শুরু করল,,,

সিয়াঃ দেখেন ধীর ভাইয়া ফার্স্ট অফ অল আপনি আমার ভাইয়ার বন্ধু সেই হিসেবে আপনিও আমার ভাই। এন্ড সেকেন্ড অফ অল একটা মেয়ের রুমে অসময়ে আসতে নিশ্চয় কোন কারন থাকে। ?

ধীর সিয়ার কথা শুনে রেগে ওর হাত চেপে নিজের কাছে নিয়ে আসে। সিয়ার ঘাড়ে হাত দিয়ে ওর মুখ নিজের সামনে টেনে আনে।

সিয়ার তো হার্ট এ্যাটেক করার উপক্রম। একতো ধীর ওর এতো কাছে চলে এসেছে তার উপর এতো রেগে আছে। যদি উল্টা পাল্টা কিছু করে ফেলে ? ভয়ে সিয়া ঢোক গিলছে।

ধীরঃ ভেবে ছিলাম তোমাকে স্যরি বলবো তোমার রাগ অভিমান ভাঙাবো বাট তুমিই আমার রাগ বাড়িয়ে দিলে,,, লিসেন সিয়া আমাদের মাঝে যে সম্পর্ক আছে তার নাম তুমিও জানো,,, এতোও অবুঝ তুমি নও। আমার ধৈর্য্য অনেক কম কিন্তু রাগ আর জেদ অনেক বেশী তাই বলছি আমার সাথে সাবধানে কথা বলবে,,

সিয়ার চোখে পানি চলে এসেছে। ধীর অনেক জোরে ওর ঘাড় ধরায় ব্যাথা পাচ্ছে ও। সিয়ার চোখে পানি দেখে ধীর সাথে সাথে ওকে ছেড়ে ওকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরে।

ধীরঃ আ’ম স্যরি সিয়ু,,, আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু হার্ট ইউ,,, আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই নি বিলিভ মি।

কি করবো বলো নিজের রাগটাকে কন্ট্রোল করতে পারি না,,, এটা আমার সবচেয়ে উইক পয়েন্ট। সেদিন ও রাগের মাথায় তানভীর কে ( বলতে গিয়েও থেমে গেল ধীর)

সিয়া ধীরের মুখে তানভীরের নাম শুনে অবাক হয়ে যায়,,,

ধীরঃ ওহ নো ধীর কি বলতে যাচ্ছিলি তুই,,, যদি সিয়া জানতে পারে তুই তানভীরকে,,,, শী উইল হেইট ইউ ড্যাম ইট,, ( মনে মনে)

সিয়াঃ তানভীরকে কি ধীর??? ক কি করেছেন ওকে?? ( ভয়ার্ত কন্ঠে)

ধীর উঠে দাঁড়িয়ে চলে যেতে নেয় তখনই সিয়া ওর হাত ধরে আটকায়,,,

ধীর পেছনে ফিরতেই সিয়া ওকে আবার প্রশ্ন করে,,,

সিয়াঃ কি হলো ধীর জবাব দিন,,, তানভীরকে কি?? থেমে গেলেন কেন দেখেন ধীর আমার ভয় করছে প্লিজ সত্যি বলেন,,, ( কান্না জড়িত কন্ঠে)

ধীর অসহায় ভাবে সিয়ার দিকে তাকায়,, ওর কাছে বলার কিছুই নেই,,,, নিজের কাছেই নিজেকে অপরাধী লাগছে ওর। যদি সিয়া জানতে পারে তাহলে কি হবে ভাবতেই বুক কেঁপে ওঠে ওর।

ধীরঃ কিছু না,,, বলেই ধীর সিয়ার হাত ছাড়িয়ে দ্রুত বের হয়ে যায়।

সিয়াঃ কিছু তো আছেই আর এর রহস্য আমি বের করবই ধীর,,, ধীরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে।

সন্ধ্যায়,,,,

শুভ সাদা রঙের শার্ট প্যান্ট আর চকলেট কালারের ব্লেজার পরে রেডি হয়েছে ( এত বর্ণনা দিলাম না গল্পের হিরোরা সাজলে যে কত্ত সুন্দর লাগে সবাই জানে ??)

শুভ হাতে ঘড়ি পরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হেয়ার ব্রাশ করছিল,,, হঠাৎ আয়নায় তাকাতেই আতকে উঠে ও,,, কারো ধোয়াশা অবয়ব দেখা যাচ্ছে আয়নায়,,, শুভ তাড়াহুড়া করে পিছনে ফিরে কিন্তু পেছনে কেউ নেই,,,

শুভঃ এটা কি ছিল,,, নাহ হয়তো আমার মনের ভুল,,, ( চিন্তিত হয়ে)

শুভ আবার আয়নার ভেতরে তাকাতেই আবরারকে দেখতে পায়,,, অদ্ভুত হাসি দিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে ও।

শুভ এবার বুঝতে পারে যে অবয়ব টা ওরি ছিল। শুভ পেছনে ফিরতে নিলেই আবরার নিজের একটা হাত শুভর মাথায় রাখে,,, শুভ সাথে সাথে ফ্রিজ্ড হয়ে যায়,,, চোখের পলক ও পরছে না ওর যেন পাথর হয়ে গেছে। আবরার শুভর বরাবর এসে দাঁড়ায়।

আবরারঃ কি ভেবেছিলে তোমরা?? আমার কাছে সব অজানা,,, ( তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে) আবরারের কাছে কোন কিছু লুকানো সহজ নয় প্রিন্স,,, ধীর তোমাকে সব বলে দিয়েছে নিশি আর ধীর তোমাকে আমার বিপক্ষে করছে সব জানা আছে আমার। আমি আবরার দ্যা ডেভিল কিং আবরার,,, সবচেয়ে শক্তিশালী আমি,,, ( চিৎকার করে) আমাকে হারানো এত সহজ নয়,,, কিচ্ছু করতে পারবে না ওরা। তুমি আমার হাতিয়ার শুভ। তোমার শক্তিতেই আমি এঞ্জেল আর মানবদের রাজ্য ধ্বংস করতে পারবো।

কি ভেবেছিলে তোমরা ওই রশনির সাথে তোমার বিয়ে আমি সম্পূর্ণ হতে দিবো,, নেভার,,,, ডেভিল আর এঞ্জেল কখনো এক হতে পারবে না আমি এটা হতে দেব না।

তোমাদের একটু কাছে আসাতেই আমার সিংহাসন পুরে ছাই হয়ে গেছে,,, আর যদি তোমরা এক হয়ে যাও তাহলে!!! তাহলে তো আমার সমস্ত রাজ্যই ধ্বংস হয়ে যাবে,,, আমার রাজত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে,,, এটা আমি কিছুতেই হতে দেব না প্রিন্স কিছুতেই নাহ,,

তুমি নিজের হাতে এঞ্জেলদের শেষ করবে নিজের ভালোবাসা নিজের রশনিকে শেষ করবে সেই ব্যবস্থা করে এসেছি আমি,,,, ( শয়তানি হাসি দিয়ে)

আবরার নিজের হাতের মুঠো খুলতেই একটা লকেট এসে পরে। লাল পাথরের লকেটটা। আবরার শুভর গলায় লকেটটা পরিয়ে দেয়,,,

হঠাৎ দরজা খোলার আওয়াজ পেতেই আবরার গায়েব হয়ে যায়।

রোহিত রুমে এসে দেখে শুভ এক ধ্যানে আয়ানার দিকে তাকিয়ে আছে।

রোহিতঃ প্রেমে পরলে মানুষ বারবার আয়না দেখে শুনেছি,,, কিন্তু এ তো এক ধ্যানে আয়নার দিকেই তাকিয়ে আছে,,, মনে হচ্ছে যেন DDLJ এর শাহরুখ খান উরফে রাহুল তার সিমরানের সাথে দেখা করতে যাচ্ছে,,,,??

রোহিত গিয়ে শুভর পেছনে দাঁড়ায় তাও ওর কোন রেসপন্স না পেয়ে রোহিত ওকে ডাক দেয়,,,

রোহিতঃ ব্রো আর কত আয়না দেখবি,,, একটু আমাদের দিকেও তাকা ?

শুভঃ নো রেসপন্স,,,

রোহিত শুভর কাধে হাত রেখে ধাক্কা দিতেই শুভর হুশ আসে,,,

শুভঃ ত তুই কখন এলি ( পেছনে ফিরে)

রোহিতঃ কখন থেকে ডাকছি কোন খেয়ালে ছিলি,,, ওহ স্যরি স্যরি ভুলে গেছি রশনির খেয়ালে ডুবে ছিলি তাই বন্ধুর ডাক কানে যায় নি ?

শুভ রোহিতের কোন কথাই বুঝতে পারছে না,,, ওর সাথে এতক্ষণ কি হয়েছে ওর মনেই নেই,,,

হঠাৎ রোহিত খেয়াল করলো শুভর গলায় একটা লকেট,,,

রোহিতঃ হেই শুভ লকেট পরা শুরু করলি কবে থেকে,,,

শুভঃ লকেট??? কোন লকেটের কথা বলছিস তুই??

রোহিতঃ তোর গলায় যেটা রেড স্টোনের,,,

শুভ নিজের গলায় হাত দিয়ে দেখে কিছুই নেই,,,
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে দেখে গলায় কোন লকেট নেই,,,,

শুভ ভাবলো হয়তো রোহিত মজা করছে তাই ব্যাপারটা নিয়ে মাথা ঘামালো না ও,,,

শুভঃ হয়েছে আর নাটক করতে হবে না লেইট হচ্ছে নিচে চল,,,,

রোহিতঃ হুম কিন্তু লকেট,,,

শুভ রোহিতকে সুযোগ না দিয়ে টেনে নিচে নিয়ে আসে।

আসলে লকেটটা এভাবে তৈরি হয়েছে যাতে শুভ এটা দেখতে না পারে। লকেটটাতে টাচ করলেই সামনের মানুষটির বিপদ হবে শুভর দ্বারা। শুভ নিজে থেকে লকেট না খুললে এটা কেউ খুলতে পারবে না। তাই শুভ যাতে এটা না খুলে তাই এটা ইনভিসিবেল বানিয়ে দেওয়া হয়েছে,,, শুভ বাদে সবাই এটা দেখতে পাবে কিন্তু এটা স্পর্শ করলেই শুভর ভয়ঙ্কর রূপ বেরিয়ে আসবে,,,, বাকিটা আস্তে আস্তে জানতে পারবেন।

শুভ নিচে আসতেই মায়া ওর দিকে এগিয়ে আসে,,, মায়া নিজের চোখের কাজল নিয়ে শুভর কানের পেছনে লাগিয়ে দেন,,,

মায়াঃ আমার প্রিন্সের উপর কারো নজর যেন না লাগে,,,

সিয়াঃ বাহ সব আদর ভাইয়ের জন্য আমাকে তো কুড়িয়ে এনেছো তাই দাম নেই আমার ?( ন্যাকা কান্না কাঁদছে)

সিয়ার কথায় সাদ মায়া শুভ রোহিত সবাই হেসে দেয়।

শুভ সিয়ার সামনে গিয়ে নিজের কানের পেছন থেকে কাজল টুকু নিয়ে সিয়ার কানের পেছনে লাগিয়ে দেয়,,,

শুভঃ আমাদের কুড়িয়ে পাওয়া প্রিন্সেসের উপর কারো নজর যেন না লাগে ??

শুভর কথায় সবাই হেসে দেয়,,,

সিয়াঃ ভাইইই ??

শুভঃ ওলে লেলে আমার বনুটা রেগে যাচ্ছে আচ্ছা স্যরি এবার ঠিক আছে ( কান ধরে )

সিয়াঃ হ্যাঁ ?

ধীর আসতেই সিয়া চুপসে যায়,,, সিয়ার দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে ধীর,,, গোলাপী গাউনে অপূর্ব সুন্দর লাগছে ওকে,,, সিয়া আড়চোখে ধীরের দিকে তাকায়,,, আ্যশ কালার শার্ট কালো কোট আর প্যান্ট এ অনেক বেশী সুন্দর লাগছে ওকে,,, সিয়া ধীরের উপর ক্রাশ খেলেও তা প্রকাশ করলো না,,,

To be continued….

#The_Love_Of_A_Devil_And_Angel
#An_Impossible_Love_Story
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_30

সবাই রশনিদের বাড়িতে পৌঁছে যায়,,, বাড়িটা অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে কালার ফুল লাইট আর এন্টিক ফ্লাওয়ার দিয়ে পুরো বাড়ি সাজানো হয়েছে,,, পুরো বাড়িতে মেহমান গমগম করছে,,,

শুভ সিয়া সাদ রোহিত ধীর আর মায়া বাড়িতে প্রবেশ করতেই তাহির আর নাহার এগিয়ে আসে ওদের স্বাগতম করতে,,,

মায়া আর সিয়া নাহারের সাথে কথা বলছে,,, তাহির আর আজহার শুভ সাদ রোহিত আর ধীরকে আত্মীয় দের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে,,,

শুভ বারবার আশেপাশে চোখ বুলাচ্ছে,,, ওর চোখ যেন শুধু নিজের রশনিকে খুঁজছে,,, সাদ আর রোহিতের ও সেম অবস্থা।

তাহির বেশ বুঝতে পারছে যে শুভ রশনিকে খুঁজছে,,, তাহির হালকা হেসে শুভর কাধে হাত রেখে বলল,,,

তাহিরঃ সবুর কর বাছাধন,,, তোমার প্রিন্সেস এসে পরবে সো রিলেক্স ?

তাহির এর কথা শুনে শুভ লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলে,,, তারপর আমতা আমতা করে বলতে শুরু করে,,,

শুভঃ আব আঙ্কেল আপনি যেটা ভাবছেন সেরকম কিছুই না আমিতো জাস্ট ডেকোরেশন টা দেখছি ? অনেক সুন্দর হয়েছে ?

ধীর বারবার সিয়ার দিকে তাকাচ্ছে আর ভাবছে,,,

ধীরঃ অনেক কিছু বলার আছে সিয়া,,, আজকে সব সত্য বলবো তোমায়,,, জানি হয়তো সত্য জানার পর তোমাকে আজীবনের জন্য হারিয়ে ফেলব,, কিন্তু আমিযে আর এই মিথ্যা নিয়ে বাঁচতে পারবো না,,, কথায় আছে কার্মা ইজ আ বিচ,, কর্ম যেমন ফল তেমন আর আমার ভূলের ফল যদি তোমাকে হারানো হয় দ্যান আ’ম রেডি ফর ইট,,, তোমাকে ভালোবেসে বাঁচতে চাই যদি তুমি আমাকে দুরে সরিয়ে দাও মৃত্যুই আমার শেষ বিকল্প,,, ( মনে মনে)

সিয়ার দিকে তাকিয়ে কথা গুলো ভাবলো ধীর।

হঠাৎ সিঁড়ির দিকে চোখ যায় শুভর,, ওর আশেপাশে সব যেন থমকে গেছে সামনের মানুষটিকে দেখে চোখ ফেরানো দায় হয়ে পরেছে ওর জন্য,,,, শুভর তাকানো অনুসরণ করে রোহিত আর সাদ ও উপরে তাকালো,,, সাদের মুখ থেকে অটোমেটিকলি একটা শব্দ বের হয়ে গেল,,,

সাদঃ মাশাল্লাহ,,,

রোহিত তো এখনো হা করে তাকিয়ে আছে উপরে,,,

রশনি তিনা আর নিশি নিচে নামছে আর ওদের দিকেই হিরো গুলো ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে,,,?

রশনি সাদা রঙের লেহেঙ্গা আর আকাশি রঙের ওরনা পরেছে,,, সাথে ম্যাচিং ক্রিস্টাল জুয়েলারী হালকা সাজ,,,

নিশি কফি কালারের লেহেঙ্গা আর কালো রঙের নেটের ওরনা পরেছে সাথে ম্যাচিং ক্রিস্টাল জুয়েলারী আর সাজ তো আছেই,,,,

তিনা হলুদ লেহেঙ্গা আর সাদা রঙের ওরনা পরেছে,,, সাথে তো জুয়েলারী আর সাজ আছেই,,,

তিন জনই এক রকম করে সেজেছে শুধু রঙ গুলো আলাদা যে কেউ দেখলে বলবে তিনটা বোন।

ওরা হাসাহাসি করতে করতে নামছিল তাই এই তিন জোরা চোখের মালিক ওদের নজরে আসে নি,,,

রশনি সামনে এগোতেই লেহেঙ্গায় পা লেগে পরে যেতে নেয় তখনই সাথে সাথে শুভ ওকে ধরে ফেলে,,, রশনি ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে,,, কারো ছোয়া পেয়ে তাকিয়ে দেখে শুভ ওকে ধরে ফেলেছে,,,

তাহির দুর থেকে ওদের এক সাথে দেখে একটা তৃপ্তির নিঃশ্বাস নেয়,,,

তাহিরঃ আমি আমার রশনির জন্য সঠিক জীবন সঙ্গীই বেছেছি,,, শুভ কখনো আমার মেয়ের কোন বিপদ হতে দিবে না।

শুভ ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রশনির দিকে,,, আশেপাশের কিছুই ওর খেয়ালে নেই,,,

রশনি শুভর চাহনিতে অনেক লজ্জা পাচ্ছে তাই শুভর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে কিছুটা দূরে সরে দাঁড়ায়। শু‌ভও নিজেকে সামলে সোজা হয়ে দাঁড়ালো।

সাদ তিনার পাশে গিয়ে ওর কানে ফিসফিসিয়ে বলল,,,

সাদঃ ইউ আর লুকিং গর্জিয়াস বেবি ইচ্ছে করছে আজই বিয়ে করে তোমাকে আমার এঞ্জেল কুইন বানিয়ে ফেলি ?

তিনা সাদের কথায় লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলে,,, সাদ হোয়াইট শার্ট হোয়াইট কোট পরেছে পুরো এঞ্জেল কিং এর লুক।

নিশি রোহিতের দিকেই তাকিয়ে আছে লাল শার্ট কালো ব্লেজারে একদম অন্যরকম লাগছে ওকে,,, লাল বরাবরই রোহিতের ফেভারিট তাই ও মোস্ট টাইম এই রঙ‌ই পরে আর ওকে এটাতেই বেশি মানায়। নিশি আশায় আছে যদি রোহিত ওর তারিফ করে,,, কিন্তু রোহিত এক বারের জন্যও ওর দিকে তাকালো না,,, বুক ফেটে কান্না আসছে নিশির চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে ওর,, ভালোবাসি রোহিত অনেক বেশী ভালোবাসি,,,

তাহির এসে ওদের সামনে দাঁড়ালো,, সাদ আর শুভ তারাহুরা করে নিজেদের সাইডে এসে দাঁড়িয়ে গেল,,,

তাহিরঃ চল তোমরা কেক কাটবে না,,,

সবাই তাহিরের সাথে চলে গেল,,, ওয়েটার ট্রেতে করে একটা বড় কেক নিয়ে আসলো,,,

তাহিরঃ এইবারের বার্থ ডে কেক শুভ রশনি এক সাথে কাটবে,,,

তারপর শুভ আর রশনি মিলে কেক কেটে ফেলে,,,

শুভ এক পিস নিয়ে সবাইকে খাইয়ে দেয় আর রশনিও,,,

সবাইকে খাওয়ানো শেষে শুভ একটা পিস নিয়ে রশনির মুখের সামনে ধরে,,, রশনি মুচকি হেসে কেক টুকু খেয়ে নেয়,,, তারপর শুভর হাত থেকে বাকি টুকু নিয়ে শুভকে খাইয়ে দেয়,,

তাহির এসে রশনির সামনে দাঁড়ালো,,,

তাহিরঃ এবার তোমার বার্থডে তে কি গিফট দিব জানতে চাও না প্রিন্সেস,,

রশনি উৎসুক নয়নে তাহিরের দিকে তাকায়,,, তাহির পেছনে ফিরে শুভর হাত ধরে রশনির সামনে নিয়ে আসে,,, রশনি এখনো বিষয়টা বুঝতে পারছে না।

তাহির শুভর হাত এগিয়ে এনে ওর হাতে রশনির এক হাত রাখে,,,

তাহিরঃ কি পছন্দ হয়েছে গিফ্ট??

রশনির চোখে পানি টলমল করছে ও বুঝতে পারছে না এটা স্বপ্ন নাকি সত্যি,,, যদি স্বপ্ন হয় তাহলে জীবনের সব চেয়ে সুন্দর মুহুর্ত,, এই স্বপ্ন যেন কখনো না ভাঙে,,,

রশনিঃ বাবাই ত তুমি কি বোঝাতে চাচ্ছ??

তাহিরঃ এটাই যে আমি শুভকে তোমার জীবন সঙ্গী হিসেবে চুজ করেছি প্রিন্সেস,,, তুমি কি ভেবেছিলে তোমার চোখের ভাষা আমি পরতে পারিনা,,, তোমার চোখে যে শুভর জন্য কত ভালোবাসা আছে তা সবাই দেখতে পেয়েছে প্রিন্সেস,, তাই আর দেরি না করে শুভকে তোমার করে দিলাম আর তোমাকে শুভর,,,

রশনিঃ থ্যাংক ইউ বাবাই ? ( তাহিরকে জড়িয়ে ধরে )

শুভর মুখে বিশ্ব জয় করা হাসি ফাইনালি এখন রশনি ওর হবে,,, ভাবতেই মনে খুশির দোলা দিচ্ছে কিন্তু সাথে এক অজানা ভয় ও কাজ করছে ওর।

সিয়া এসে রশনির সামনে একটা রিং এগিয়ে দেয়,,,

সিয়াঃ তো রশনি দি এখন আমার ভাবী হওয়ার জন্য আপনাকে এই সাধারন ফর্মালিটি পুরন করতে হবে,,, ( রিং এগিয়ে দিয়ে)

রশনি শুভর দিকে তাকাতেই দেখলো শুভ বিজয়া হাসি দিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে,,, অনেক সাধনার পরে যেন মুহুর্ত টা পেয়েছে ও।

রশনি সিয়ার হাত থেকে রিংটা নেয়,,, শুভ নিজের হাত বাড়িয়ে দিলো রশনি কাঁপাকাপা হাতে শুভর হাত ধরলো তারপর ওকে রিং পরিয়ে দিল,,,

সিয়া শুভর হাতেও একটা রিং এগিয়ে দিয়ে,,, শুভ রিংটা নিয়ে আলতো করে রশনির হাত ধরে ওকে পরিয়ে দিল,,,,

সবাই জোরে জোরে হাত তালি দিতে শুরু করল,,,

তাহির একটা মাইক নিয়ে সামনে এগিয়ে বলতে শুরু করল,,,

তাহিরঃ আগামী সপ্তাহে শুভ আর রশনির বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হবে আপনারা সবাই আমন্ত্রিত,, ধন্যবাদ,,,

রোহিতঃ কংরেচুলেশনন্স ব্রো,,, কংরেট্স রশনি,,,

রশনিঃ থ্যাঙ্কস,,,

সাদঃ ইউ বোথ আর মেড ফর ইচ আদার,,,

সবাই এসে শুভ রশনিকে অভিনন্দন জানাচ্ছে,,, সবার আড়ালে শুভ নিজের হাতের ভাজে রশনির হাত নিয়ে নিল,,, রশনি চোখ বড় বড় করে শুভর দিকে তাকালো,,, কিন্তু শুভ এক মনে সবার সাথে কথা বলতে ব্যস্ত,,, রশনি হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতেই শুভ আরো শক্ত করে হাত ধরে রাখে,,,

To be continued……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here