The_Love_Of_A_Devil_And_Angel,Part_35 ( Last Part )

0
2236

#The_Love_Of_A_Devil_And_Angel,Part_35 ( Last Part )
#An_Impossible_Love_Story
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida

শুভ রশনির দিকে ক্রুদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শুভর চোখে আর আগের মত রশনির প্রতি ভালোবাসা টা দেখা যাচ্ছে না দেখা যাচ্ছে তো শুধু হিংস্রতা।

রশনি শুভর পাশাপাশি আসতেই ওকে জড়িয়ে ধরতে এগিয়ে যায় কিন্তু শুভ নিজের তলোয়ার দিয়ে রশনিকে আঘাত করে ফেলে। রশনি ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে। আস্তে আস্তে চোখ খুলতেই রশনি দেখে নিশি নিজের তলোয়ার দিয়ে শুভর তলোয়ার আটকিয়ে দিয়েছে যার কারনে রশনির শরীরে আঘাত লাগে নি।

নিশিঃ ভাই কি করছিস দেখ আমরা তোর শত্রু ন‌ই আপনজন। আর রশনিকে তুই কিভাবে আঘাত করতে পারিস তুইতো ওকে ভালোবাসিস।

শুভঃ আমি কাউকে ভালোবাসি না। ভালোবাসার জন্য ইমোশন লাগে আর ডেভিলদের মধ্যে ইমোশন থাকে না। কিং আমাকে ওকে শেষ করার হুকুম দিয়েছেন আর এটা আমি পালন করবোই।

শুভ এক ঝটকায় তলোয়ার সরিয়ে নেয়। শুভ আবার আঘাত করতে নিলে নিশি আবারো ওকে আটকিয়ে দেয়। এভাবে শুভ আর নিশি লড়াই করতে থাকে। নিশি শুভর সাথে পেরে উঠছে না তাও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আবরার আবার শুভর দিকে এগিয়ে যেতেই সাদ ওর পথ আটকিয়ে দেয়।

সাদঃ কোথায় যাচ্ছেন কিং?? আগে আমাকে হারান তারপর নাহয় রশনির সাথে লড়াই করেন। ( বাঁকা হেসে)

আবরারঃ তুমিতো বাচ্চা সাদ। তোমার মত হাজারো এঞ্জেল কিং কে এই আবরার মিনিটে শেষ করতে সক্ষম।( শয়তানী হাসি দিয়ে)

সাদঃ দেখা যাক কে কাকে শেষ করে।

সাদ আর আবরার পাল্টা পাল্টি ভাবে লড়াই করছে।

শুভ নিশিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় আর নিশি দেয়ালে বারী খায়।

রশনিঃ নিশিইই

রশনি দৌড়ে নিশিকে তুলে। রোহিত ও দৌড়ে ছুটে আসে নিশির কাছে।

রশনিঃ নিশি তুই ঠিক আছিস।

রশনি নিশির গালে হালকা হাত রেখে।

রোহিতঃ এই নিশিরানি আর ইউ অল রাইট ।

নিশিঃ হুম।

এইদিকে শুভ‌ও রশনি আর নিশির দিকে এগিয়ে আসছে।

ধীর লড়াই করছে এর মাঝেই ঘটনা টুকু দেখতে পায়। ধীর নিজের পকেট থেকে সাদা পাউডারের প্যাকেটটা বের করে রশনিকে ডাকে।

ধীরঃ রশনি এটা শুভর লকেটে ছুড়ে মারো।

ধীর প্যাকেটটা রশনির দিকে ছুড়ে মারলো। রশনি প্যাকেটটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। শুভ ওর কাছে আসতেই রশনি পুরো প্যাকেট শুভর গায়ে ছুড়ে মারে। লকেটে পাউডারের ছিটে পরতেই লকেটটা নীল রং থেকে লাল রঙে পরিবর্তন হয়। শুভর কাছেও লকেটটা দৃশ্যমান হয়ে উঠে।

শুভ সাথে সাথে থেমে যায়। রশনি কিছুটা ভরসা নিয়ে শুভর কাছে চলে আসে।

রশনিঃ শুভ!!! শুভ লকেটটা খুলে ফেলেন,,,

শুভঃ নিশ্চুপ,,,

রশনি শুভর কোন রিয়েকশন না পেয়ে নিজেই লকেটের দিকে হাত বাড়ায় কিন্তু শুভ ওর হাত ধরে ফেলে।

শুভ রশনিকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়।

শুভঃ আজকে তোমায় মরতে হবে এঞ্জেল। ইউ হ্যাভ টু ডাই।

শুভ রশনির দিকে তলোয়ার আনতেই রশনি নিজের হাত তুলে ম্যাজিক করে শুভকে আটকিয়ে দেয়। শুভর হাত শিকল দিয়ে বেধে ফেলে। শুভ ছুটার চেষ্টা করছে তাও পারছে।

রশনিঃ ইমোশন!!! হ্যাঁ এটাই শুভকে আটকাতে পারে। কিং শুভর ইমোশনের উপর বস করে রেখেছেন।শুভর এখন কিছুই মনে নেই। যদি আমি শুভকে ইমোশনাল করি তাহলে হয়তো শুভর সব মনে পরবে। আই হ্যাভ টু ডু দিস। যদি এতে আমার জীবন ও যায় আই ডোন্ট কেয়ার। ( মনে মনে)

রশনি নিচে থেকে একটা তলোয়ার তুলে নেয়। শুভ ভাবছে রশনি হয়তো ওকে আঘাত করার জন্য তলোয়ারটা নিয়েছে তাই ও ছুটার জন্য চেষ্টা করছে। কিন্তু শুভকে অবাক করে দিয়ে রশনি তলোয়ারটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয়। শুভ অবাক হয়ে রশনির কাজ দেখছে।

রশনিঃ আপনি আমাকে শেষ করতে চান তাইনা শুভ?? তাহলে এটাই হবে কিন্তু আমি আপনার হাতে মরতে চাই না। কারন যখন আপনার সব মনে পরবে আর আপনি জানতে পারবেন
যে নিজের হাতে আপনি নিজের ভালোবাসাকে শেষ করেছেন আপনি সহ্য করতে পারবেন না।

আমি ভালোবাসি শুভ বড্ড বেশী ভালোবাসি আপনাকে। আপনিও বাসেন আমি জানি। কিন্তু এখন বুঝতে পারবেন না যখন আমি থাকবো না তখন বুঝতে পারবেন।

শুভ মনযোগ সহকারে রশনির কথা শুনছে। বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব হচ্ছে ওর।

রশনিঃ ভালোবাসি আপনাকে একদিন বলেছিলাম আপনার জন্য জান‌ও দিতে পারি আজকে সেই কথাটা প্রমান করার সময় এসে গেছে।

রশনি নিজের হাতে জোরে তলোয়ার দিয়ে আঘাত করে। রশনি ব্যথায় কুকিয়ে উঠে। রশনির চিৎকারে যেন শুভর আত্মা কেঁপে উঠছে। হাত দিয়ে টপটপ করে রক্ত পরছে রশনির। রশনি ঠোঁট কামড়ে ব্যথা সহ্য করার চেষ্টা করছে।

রশনিঃ এই লড়াই এর মূল কারণ আমি। আমি শেষ হয়ে গেলে এই লড়াই ও শেষ হয়ে যাবে। ক্ষমা করে দিয়েন আমাকে শুভ আমি আপনার অন্ধকার জীবনের রশ্মি হতে পারলাম না। আই কান্ট বি দ্যা রেয় অফ ইউর লাইফ।

কথা গুলো শুভর ব্রেইনে ঘুরপাক খাচ্ছে শুভর মনে হচ্ছে এই কথা গুলো ও কাউকে বলেছে। কপাল দিয়ে ঘাম ছুটছে ওর। চোখের কোনে আপনাআপনি পানি চলে এসেছে। হ্যাঁ শুভর হৃদয়ে রশনি নামক আবেগ টা আবারো জাগছে। ইমোশন টা আবারো ঝেকে ধরছে ওকে। শুভর চোখের পানির ফোঁটা গড়িয়ে ওর লকেটের লাল পাথরটায় পরে সাথে সাথে লকেটটা খসে পড়ে যায় শুভর গলা থেকে।

রশনি তলোয়ার টা নিজের বুকের বা পাশে আনে।

রশনিঃ খোদা হাফেজ শুভ!! ক্ষমা করে দিয়েন আমায়। ( চোখ বন্ধ করে)

রশনি তলোয়ারটা বুকে ঢুকানোর আগেই কেউ ঝড়ের গতিতে এসে তলোয়ারটা ওর হাত থেকে ফেলে দেয়।

রশনি চোখ খুলেই দেখতে পেলো শুভ ছলছল চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। আগের মতোই এই চোখে আছে গভীর ভালোবাসা।

শুভঃ আ আ’ম স স্যরি রশনি,,, আই লাভ ইউ ( কাঁপাকাপা কন্ঠে)

রশনিঃ আই লাভ ইউ টু শুভ। রশনি খুব শক্ত করে শুভকে জড়িয়ে ধরে আর শুভ‌ও রশনিকে গভীর ভাবে নিজের বুকের মাঝে আগলে ধরে।

রশনিঃ পেরেছি আমি আমার শুভকে ফিরিয়ে আনতে। ওকে এই ডেভিল রুপ থেকে মুক্তি দিতে।

সাদের সাথে লড়াই করতে করতে আবরারের অবস্থা নাজেহাল হয়ে গেছে।

আবরারঃ সাদকে হারাতে বল না ছল প্রয়োগ করতে হবে। ( মনে মনে)

আবরারঃ পেছনে দেখ সাদ শুভ কিভাবে তোমাদের এঞ্জেলকে শেষ করে দিচ্ছে।

সাদ চমকে পেছনে ফিরতেই আবরার সাদকে লাথি দিয়ে ফেলে দেয়। সাদ চিৎ হয়ে পরে যায়।

আবরার সাদের বুকে তলোয়ার ঢুকাতে নিলেই শুভ এসে তলোয়ারটা ধরে ফেলে। শুভর চোখ দিয়ে যেন আগুন বের হচ্ছে অনেক জোরে তলোয়ার চেপে ধরায় হাতের তালু থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। শুভ ধাক্কা মেরে আবরারকে দুরে সরিয়ে দেয় আর সাদের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়। সাদ শুভর হাত ধরে দাঁড়িয়ে যায় তারপর আবরারকে উদ্দেশ্য করে বলে,,,

সাদঃ আমার আগেই বুঝা উচিত ছিল তুমি ছল ছাড়া কিছুই পারো না।

শুভ আবরারের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে।

শুভঃ আজকে আপনার সব কৃতকর্মের শাস্তি আমি দেব। ( রক্ত চক্ষুতে)

কথাটা বলেই শুভ একের পর এক আঘাত করতে থাকে আবরারের শরীরে। শুভ হিংস্রতার সাথে আবরার কে আঘাত করছে আর বলছে,,,

শুভঃ এটা আমার বাবাকে মেরে আমাকে অনাথ করার জন্য। সাদের বাবা মাকে মেরে ফেলার জন্য। আমার হাতে আমার রশনিকে আঘাত করানোর জন্য। আমাদের জীবনে ডেভিল নামক অভিশাপ লাগানোর জন্য।

আবরারের নিথর দেহে শুভ আঘাত করছে। সাদ আর ধীর এসে শুভকে আটকায়।

সাদঃ ছাড় ওনাকে শুভ উনি মরে গেছেন।

সাদের কথায় শুভর হুশ আসে। তাকিয়ে দেখে আবরারের নিথর দেহ পরে আছে।

নিশি রোহিত রশনি শুভর পাশে এসে দাঁড়ায়। রশনি শুভর হাত ধরে আছে আর শুভও শক্ত করে রশনির হাত ধরে আবরারের লাশের দিকে তাকিয়ে আছে। শুভর চোখে না চাইতেও পানি চলে আসে শত হলেও বাবা ছিল আবরার যাকে ও নিজের হাতে আজ শেষ করলো।

নিশিও কেঁদে দিয়েছে আবরারের লাশের দিকে তাকিয়ে। রোহিত নিশিকে নিজের বুকে জড়িয়ে ধরে নিশিও রোহিতের বুকে মুখ গুঁজে নিঃশব্দে চোখের পানি ফেলছে।

নিশি মুখ তুলে রোহিতের চোখের দিকে তাকিয়ে বলল,,

নিশিঃ এভাবেই সারাজীবন এর জন্য নিজের বুকে জায়গা দেবে??

রোহিতঃ যদি তুমি চাও!!

নিশি আবারো শক্ত করে রোহিতকে জড়িয়ে ধরলো।

নিশিঃ আমি শুধু তোমাকে চাই।

হঠাৎ আবরারের দেহ হাওয়ার সাথে মিশে যায়। চারোদিকে ভাঙাভাঙি শুরু হয়ে গেছে। দেয়াল খসে পরছে।

রোহিতঃ এসব কি হচ্ছে সব ভেঙে যাচ্ছে কেন??

সাদঃ ডেভিল রাজ্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ডেভিল কিং এর সাথে তার রাজ্য‌ও শেষ।

ধীরঃ আমাদের এখান থেকে তারাতারি বেরোতে হবে গাইজ।

শুভ শক্ত করে রশনির হাত ধরে বলে।

শুভঃ রান রশনি। ( বলেই দৌড়)

রোহিত নিশির হাত ধরে দৌড় দেয় আর ওকে বলে,,

রোহিতঃ ভাগ মিলখা থুক্কু নিশি ভাগ,,,

After 7 Day’s…

মাত্র ‌শুভ রশনি, সাদ তিনা, ধীর সিয়া, আর রোহিত নিশির বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

ভালোবাসা সব পারে। ভালোবাসার কাছে কখনো ঘৃণা জিততেই পারে না। এই ভালোবাসাই Impossible কে Possible করতে পারে। এই ভালোবাসার কারনেই ডেভিল আর এঞ্জেল এর এই #Impossible_Love_Story
#Possible হয়েছে।

Happy Ending…..

আশা করি গল্পটা সবার কাছে ভালো লেগেছে। থ্যাঙ্ক ইউ অল আমার এই স্টুপিড মার্কা ইমেজিনেশন স্টোরিটাকে এতো সাপোর্ট করার জন্য। লাভ ফর ইউ অল্স ❤???? যার যেই কালার পছন্দ সেই কালার হার্ট নিয়ে নাও ?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here