#The_Love_Of_A_Devil_Angel,27,28
#An_Impossible_Love_Story
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmuda
#Part_27
সবাই গাড়িতে উঠে বসলো,,, ড্রাইভার ড্রাইভ করছে আর রোহিত ড্রাইভার এর সাথে সামনে বসেছে,,, পেছনে মায়া আর শুভ বসেছে,, পরের গাড়িতে সাদ ধীর আর সিয়া বসেছে,,,
সাদ ড্রাইভ করছে আর ধীর ওর পাশে বসেছে,,, সিয়া পেছনের সীটে বসে জানালার বাইরে তাকিয়ে আছে,,, ধীর লুকিং গ্লাসে এক মনে সিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে,, ধীরের ব্যাপার টা সাদ খুব ভালো ভাবেই খেয়াল করছে,,,
সাদঃ সিয়া আমাদের তো বলতেই পারো যে আন্টি কোন সারপ্রাইজ এর কথা বলছিলো,,, ( ড্রাইভ করতে করতে)
সাদের কথা শুনে সিয়া একটা হাসি দিয়ে সামনে তাকালো তার পর বলতে শুরু করল,,,
সিয়াঃ সাদ ভাইয়া আপনি শুভ ভাইয়ার বেস্ট ফ্রেন্ড তাও আজকের দিনের কথা ভুলে গেলেন কেমন ফ্রেন্ড আপনারা ?
সাদঃ না মানে তুমি তো আমাদের সুইট সিস্টার তাই না ধীর,,, ( পাশে তাকিয়ে)
ধীর চোখ বড় বড় করে সাদের দিকে তাকালো,,
ধীরঃ সিস্টার কার সিস্টার কোন সিস্টার কেমন সিস্টার,,,?
সাদঃ না মানে সিয়া তো আমাদের ছোট্ট বোনের মত তাই না সিয়া,,, ?তো সিয়া বোনু বলনা আন্টি কিসের কথা বলছিলো,,,
ধীরঃ তোর বোনের প্রয়োজন হলে তুই ওকে বোন ডাক আমার কোন বোনের প্রয়োজন নেই,,,? আমি কেন আমার সিয়াকে বোন ডাকতে যাবো গাধা কোথাকার,,, ( মনে মনে)
ধীর সাদের দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিলো,, সাদ ধীরকে একটা চোখ টিপ মারলো ধীর নাক ফুলিয়ে জানালার বাইরে চোখ ঘুরিয়ে নিল,,,
সাদঃ তো সিস্টার বলো এবার শুনি ব্যাপার টা কি,,,
সিয়াঃ আজকে শুভ ভাইয়ার বার্থডে,, ( জোরে বলল)
সিয়ার কথা শুনে সাদ জোরে গাড়ি ব্রেক করলো,,, সাদ আর ধীর চমকে একে অপরের দিকে তাকালো,,,
সাদ ধীরঃ হোয়াটটট ( একসাথে)
সাদ আর ধীরের রিয়েকশন দেখে সিয়া অনেক অবাক হয়ে তাকালো ওদের দিকে,,,
সাদঃ শুভর বার্থডে তো কালকে সিয়া,,,
ধীরঃ হ্যাঁ হ্যাঁ সিয়া তোমাদের ভুল হচ্ছে শুভর বার্থডে কালকে আজকে না,,,
সিয়াঃ নাহ কোন ভুল হয় নি এই দেখেন ( ফোন এগিয়ে দিয়ে)
ফোনের দিকে তাকিয়ে সাদ আর ধীর যেন আকাশ থেকে পরলো,,, ফোনের স্ক্রিনে 12 ডিসেম্বর লেখা দেখা যাচ্ছে,,,
সিয়াঃ আজকে রশনি দি আর শুভ ভাইয়া দোনো জনের জন্মদিন,,, তাই রাতে হোটেলে একটা বড় পার্টি থ্রো করেছে আঙ্কেল,,, আর ওই পার্টিতে শুভ ভাইয়ার সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে,,, তার সাথে আপনারও,,?
সাদঃ আমার মানে??
সিয়া হচকিয়ে গিয়ে বলে,,,,
সিয়াঃ ক কিছুনা কিছু নাহ ?
ধীরঃ কিন্তু সিয়া পার্টি তো রাতে তাহলে আন্টি এখন আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন,,,
সিয়াঃ আসলে এটা আমরাও জানি না,,, তাহির আঙ্কেল বলল সবাই কে যেতে,,, ওখান থেকে সবাই পার্টি ভেন্যু তে যাবো,,
সাদঃ সিয়া এড্রেস টা আমাকে দেখাও তো,,,
সিয়া সাদের হাতে নিজের ফোন দিয়ে দিলো,,,
সাদ আর ধীরের হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে শরীর কাঁপতে শুরু করেছে ফোনে এড্রেস টা দেখে,,,
ধীরঃ সাদ এটাতো,,, ( চমকে গিয়ে)
সাদঃ উই হ্যাভ টু গো দেয়ার রাদার অনেক দেরি হয়ে যাবে,,,
সাদ অনেক ফাস্ট ড্রাইভ করতে শুরু করে,,, সিয়া ব্যাপার টা কিছুই বুঝতে পারছে না,,, এতো রিয়েক্ট করার কি আছে ভেবে পাচ্ছে না সিয়া,
❤❤❤
গাড়ি একটা বড় দরগাহ্ এর সামনে থামলো,,, মায়া শুভ রোহিত গাড়ি থেকে নেমে অবাক হয়ে যায়,,,
মায়াঃ এটাতো দরগাহ্!!! তাহলে কি তাহির এখানে আসার কথা বলছিল,,, আমি তো ভেবেছিলাম কোন পার্ক হবে,,, এখন কি হবে শুভ তো ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না,,, আল্লাহ এটা আমি কি করলাম,,,,
রোহিতঃ ওয়াও হোয়াট আ্য প্লেস এটা কোন জায়গা শুভ,,, ( চারদিক ঘুরতে ঘুরতে)
শুভঃ এটা দরগাহ্ শরীফ পবিত্র স্থান,,,
কিছুটা সামনে তাহির নাহার আজহার রশনি আর তিনা দাঁড়িয়ে ছিল,,, শুভদের দেখে সবাই এগিয়ে ওদের কাছে আসে,,,
তাহিরঃ সেই কখন থেকে অপেক্ষা করছি ভাবী বাকিরা কোথায়??
মায়াঃ এখানে কেন আসতে বললে তাহির,,,
তাহিরঃ আহ্ ভাবী আজকে আমাদের শুভ রশনির চব্বিশ তম জন্মদিন এতো বছর তো শুভ ছিলো না এই বার এখানে আছে তাই ভাবলাম ওদের দুজনের জন্য এখান থেকে দোআ নিয়ে যাই,,,,
মায়াঃ এটার কোন প্রয়োজন নেই তাহির,,, আমার অনেক অসুস্থ লাগছে আমাদের এখান থেকে যাওয়া উচিত,,, ( সবাইকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য)
তাহিরঃ আরে ভাবী এতো দুর যখন এসেছেন ভিতরে গিয়ে ওদের হাতে চাদর চড়িয়ে যাই চল শুভ,,,,
অনেক না করা সত্ত্বেও তাহিরের কথা ফিরাতে পারে নি মায়া,,,
তাহির একটা চাদর কিনে মায়া আর বাকিদের নিয়ে উপরে উঠতে থাকে,,, শুভ সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে আছে,,,
চোখের সামনে ছোট বেলার সেই ঘটনাটা ভেসে উঠছে,,, শুভর চোখের কোনে আপনাআপনি পানি চলে আসে,,
Flashback,,,,….,,,,
শুভর আটতম জন্মদিনে মায়া আর মাহিব ওকে নিয়ে প্রথম দরগাহ্ শরীফে আসেন,,,, মায়া উপরে দাঁড়িয়ে আছে আর শুভকে ডাকছে,,, শুভ গাড়ির সামনে নিজের জুতোর লেস খুলে গাড়িতে রাখছে,,
মায়াঃ আহহা শুভ বাবু তাড়াতাড়ি আসো দেরী হয়ে যাচ্ছে,,,,
শুভঃ আসছি মাম্মাম,,,,
ছোট ছোট পায়ে শুভ দৌড়ে দরগাহ্ এর প্রথম সিঁড়িতে পা দেয়,,, পা রাখতেই শুভ ছিটকে দুরে গিয়ে পরে যায় মাথাটা একটা পাথরের সাথে বারি খায় ওর,,,
মায়াঃ শুভভভভ
সেদিন থেকেই মায়া আর মাহিব বুঝতে পারে যে শুভ আর আট দশটা বাচ্চাদের মতো নরমাল না,,, শুভর অস্তিত্ব লুকাতে মায়া আর মাহিব ওকে সব সময় সবার থেকে আলাদা রাখতেন কারো সাথে মিশতে দিতেন না,,,
In Present,,,,
সবাই উপরে চলে যাচ্ছে শুভ বাদে,,, মায়া বার বার পেছনে তাকাচ্ছে,,, অসহায় চোখে ওর কাছ থেকে ক্ষমা চাচ্ছে,,,
শুভ জুতো খুলে কিনারে রেখে দিলো,,, জোরে জোরে কয়েকটা নিঃশ্বাস নিয়ে নিজেকে সামলানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছে ও।
প্রথম সিঁড়িতে পা রাখতেই এমন লাগছে যেন কয়লায় পা রেখে দিয়েছে ও,,,,
সাথে সাথে দুরে সরে দাঁড়ায় শুভ,,, পাটা অসম্ভব রকম জ্বলছে ওর,,, নাক চোখ লাল হয়ে ফুলে গেছে ব্যথায়,,,,,
রশনি উপর থেকে দাঁড়িয়ে দেখছে শুভকে অন্যরকম দেখাচ্ছে,,,,
রশনিঃ শুভ আসেন না তাড়াতাড়ি,,,, দেখেন সবাই চলে এসেছে,,,(উপর থেকে চিল্লিয়ে)
শুভ মুখ তুলে উপরে তাকায়,,, রশনির হাসি মাখা চেহারা,,, রশনি ওকে ডাকছে,,,
শুভঃ রশনি ডাকছে তোকে শুভ কাম অন ইউ হেভ টু গো দেয়ার,,,
শুভ রশনির দিকে তাকিয়ে পা রাখে সিঁড়িতে,,,, সাথে সাথে দুরে সরে দাঁড়ায় ও পায়ে যেন আগুনের প্রখরতা লেগে গেছে,,, ঘামছে শুভ ভয় কষ্ট দুটোই ঘিরে ধরেছে ওকে,,,
রশনি উপর থেকে শুধু শুভকে দেখছে,,, ও বুঝতে পারছে কিছু হয়েছে,,,,
হঠাৎ শুভ নিজের হাতে কারো হাতের স্পর্শ পেল,,, পাশে তাকিয়ে দেখলো রশনি ওর দিকে তাকিয়ে আছে হাসি মাখা মুখ নিয়ে,,,
রশনি শুভর হাত ধরে উপরে উঠতে শুরু করে। শুভ শুধু রশনির দিকে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে,,,, রশনি শুভর হাত ধরেই উপরে উঠতে শুরু করল করে,,, এবার আর শুভর কোন ব্যাথা অনুভব হচ্ছে,,, শুভ শুধু অবাক হয়ে দেখছে,,,, প্রথম বার ও এই সিঁড়ি তে পা রাখতে পেরেছে,,,, নির্দিধায় উপরে উঠতে পারছে,,,,
শুভঃ এটা কি করে সম্ভব,,,, তাহলে কি রশনিই!!!
শুভ অবাক চোখে রশনির দিকে তাকালো,,,,
রশনি আর শুভ উপরে উঠে আসলো,,,, রশনি এখনো শুভর হাত ধরে আছে,,, মায়া সন্তোষজনক চোখে রশনির দিকে তাকিয়ে আছে,,,
শুভ জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে মায়ার দিকে তাকালো,,,,
মায়া শুভর সামনে এসে ওর কাধে হাত রেখে ধীরে বলল,,,
মায়াঃ ইউর এঞ্জেল!!!
শুভ রশনির দিকে তাকিয়ে আছে মুখে ওর বিশ্ব জয় করা হাসি,,,
শুভঃ মাই এঞ্জেল,,,, দ্যা রেয় অফ মাই লাইফ,,, রশনি!!!
মাহিব রশনির হাতে চাদর টা দিলো তারপর শুভ আর রশনি মিলে দরগাহ্ তে চাদর জড়িয়ে দিলো,,,,
সাদ দৌড়ে ভিতরে আসে ওর পেছনে সিয়াও আসে,,, ধীর উপরে আসে নি একটা বাহানা দিয়ে নিচেই রয়ে গেছে।
সাদকে দেখে মায়া ওকে ইশারায় বলল সব ঠিক আছে,,, সাদ একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।
আজহারঃ আরে সাদ এতো দেরি হলো যে,,,
সাদঃ জি আঙ্কেল আসলে পেছনের গাড়িতে ছিলাম,,,,
আজহার সাদের হাতে একটা চাদর দিয়ে বলে ওটাকে তিনাকে নিয়ে দরগাহ্ তে জড়িয়ে দিতে,,,
সাদ কিছু টা ইতস্তত বোধ করলেও আজহারের কথা ফেলতে পারে নি,,, তিনা আর সাদ মিলে চাদর জড়িয়ে দিল,,,,
সিয়া আর রোহিত কর্ণারে দাঁড়িয়ে ছিল,,, রোহিতের কাছে বিষয়টা অনেক ইন্টারেস্টেট লাগছে,,,
রোহিতঃ আঙ্কেল আমিও করব,,
সিয়াঃ আমিও,,,
তাহিরঃ অবশ্যই সিয়া রোহিত,,,, কিন্তু চাদর তো একটাই আছে ( চিন্তিত হয়ে)
মায়াঃ এক কাজ করো তোমরা দুজন একসাথে এটা জড়িয়ে দাও,,,
রোহিত আর সিয়া এক সাথে চাদর জড়িয়ে দিল
নিচে দাঁড়িয়ে উপরের সব কিছু স্পষ্ট দেখা যায়।
নিচে দাঁড়িয়ে রোহিত আর সিয়াকে দেখছে ধীর,,, ওদের এক সাথে দেখে বুকে চিনচিন ব্যথা শুরু করছে ওর,,,
ওর পেছনেই নিশি দাঁড়িয়ে আছে,,, চোখে পানি জমে আছে ওর,,,,
ধীরঃ ভালোবাসি ওকে নিশি,,,, ( সিয়ার দিকে তাকিয়ে)
নিশিঃ আমিও ( রোহিতের দিকে তাকিয়ে)
To be continued…..
#The_Love_Of_A_Devil_And_Angel
#An_Impossible_Love_Story
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_28
একটা রেস্টুরেন্টে বসে আছে সবাই,,, রেস্টুরেন্টের উপরের ফ্লোর ফ্যামিলি স্পেসে বুক করা হয়েছে তাই ওরা বাদে কেউ নেই,,, সবাই লাঞ্চ করে বাড়িতে ব্যাক করবে তারপর রাতে পার্টি,,,
সবাই খাবার খাচ্ছে তাহির শুভকে কিছু বলার চেষ্টা করছে কিন্তু বলতে পারছে না তা শুভ ভালোভাবেই বুঝতে পারছে,,,
রশনি খাচ্ছে আর টুকটাক কথা বলছে নিশি আর তিনার সাথে,,, তাহির নাহারকে ইশারায় রশনিকে দেখিয়ে বলল ওকে সরিয়ে নিয়ে যেতে,, নাহার মাথা নেরে হুম বলল,,, শুভ ব্যাপার টা খেয়াল করছে কিন্তু কিছু বুঝতে পারছে না।
নাহারঃ রশনি??
রশনিঃ হুম মাম্মাম! ( মাথা তুলে নাহারের দিকে তাকালো)
নাহারঃ মামনি একটু আমার সাথে নিচে আসতো। আসলে আমার মেডিসিন গুলো গাড়িতে,,,
রশনিঃ ওহ ওকে আসো,,,
নাহার রশনিকে নিয়ে নিচে নেমে গেল।
রশনি আর নাহার চলে যেতেই তাহির গলা পরিষ্কার করে বলতে শুরু করল,,,,
তাহিরঃ শুভ আমাদের তোমার সাথে কিছু দরকারি কথা ছিল,,,,
শুভঃ সিউর আঙ্কেল ( তাহিরের দিকে ফিরে)
তাহির মায়ার দিকে একবার তাকালো মায়া মাথা নেরে বলতে বলল,,,
তাহিরঃ আসলে শুভ তুমি হয়তো জানো যে তোমার আব্বু আর আমি বিজনেস পার্টনার ছিলাম,,, কিন্তু তাছাড়াও আমরা অনেক ভালো বন্ধুও ছিলাম,,,
শুভঃ জি আঙ্কেল আই নো,,,
তাহিরঃ রশনি ছোট থেকে ক্লাস এইট পর্যন্ত ওর নানু বাড়ি থেকে বড় হয়েছে তাই ওর সাথে তোমার কখনো দেখা হয়নি,,, তার উপর তুমি বিদেশে চলে গিয়েছিলে তাই আমাদের সাথেও তোমার তত একটা ভালো পরিচয় গড়ে ওঠে নি,,, তোমার বাবার আর আমার অনেক ইচ্ছে ছিল তোমার সাথে রশনির বিয়ে দেওয়ার,,,
বিয়ের কথাটা শুনেই শুভর হার্টবিট বেড়ে গেল,,, মনে খুশির আভা পরলেও নার্ভাসনেস কাজ করছে,,
তাহিরঃ আজকে তোমাদের দুজনের জন্মদিন তাই ভাবলাম তোমাদের এঙ্গেজমেন্ট এর কাজ টা সেরে দেই,,, কিন্তু পরক্ষনেই মনে পরলো তোমাদের জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তোমার মতামত নেওয়া আবশ্যক,,, আফটার অল রশনি আমার একমাত্র মেয়ে ওর ভবিষ্যত নিয়ে আমি কোন রিস্ক নিতে চাই না,,,, তুমি এতো বছর ফরেইনে ছিলে তোমার কাওকে পছন্দ থাকতেই পারে এটা স্বাভাবিক,,, তাই আমি তোমাকে সিদ্ধান্তটা নেওয়ার স্বাধীনতা দিতে চাই,,, তোমার কি কাওকে পছন্দ আছে???
শুভ কতক্ষণ মাথা নিচু করে ভাবলো তারপর বলতে শুরু করল,,,
শুভঃ জ্বি আঙ্কেল আমার কাওকে পছন্দ আছে,,, শুধু পছন্দ না ভালোবাসি ওকে,,, অনেক বেশী ভালোবাসি,,,
শুভর কথা শুনে সবাই যেন 440 ভোল্টের শক্ড খেল,,, কেউ এরকম কিছু বলবে কেউ ভাবতেও পারেনি,,,,
রোহিতঃ হোয়াট!! শুভ কি পাগল হয়ে গেছে কিসব বকছে ও,,,
সাদঃ শুভ তো রশনিকে ভালোবাসে ওর তো খুশি হওয়া দরকার তাহলে ও এসব কি বলছে,,
ধীরঃ ডোন্ট নো? শুভ কেন এরকম বলছে আর কার কথাই বা বলছে,,,
রোহিতঃ এতদিন শুধু সন্দেহ ছিল এখন আ’ম সিওর দ্যাট,,, বেশি পাওয়ারে ডেভিলদের মাথার স্ক্রু ঢিলা হয়ে যায়,, ?
রোহিতের কথা শুনে ধীর আর নিশি রেগে ওর দিকে তাকালো,,, সাদ আর তিনা মুখ চাপে হাসছে,,,
রোহিত ওদের রেগে যেতে দেখে কথা ঘুরিয়ে বলে,,
রোহিতঃ আব সব ডেভিল না কিছু কিছু ডেভিলদের,,, তোরাতো ভালো ডেভিল,, ?( ভালো না ছাই ? মনে মনে)
শুভর কথা শুনে তাহির গম্ভীর গলায় বলল,,,
তাহিরঃ সে কে শুভ??
শুভঃ রশনি!!
সবাই আরেক দফা শক্ড খায়,,,
রোহিতঃ সোজা কথা পেঁচিয়ে বলার কি আছে আগেই বলতে পারতি রশনিকে ভালোবাসিস,, ? হ্হ ঢং করে কথা পেঁচানো হয়তো ডেভিলদের ডেভিল গত স্বভাব ?
নিশি আর ধীরঃ ???
ধীরঃ বেশি বেশি বলছিস ?
শুভঃ জ্বি আঙ্কেল আই নো আপনি ভাবছেন আমি কথা ঘুরাচ্ছি,, বাট দ্যাট্স ট্রু আই লাভ হার,,, হ্যাঁ আমি ফরেইনে থেকেছি বাট ট্রাস্ট মি কখনো কাওকে মনে ধরেনি,,, এখানে আসার পর যখন রশনিকে দেখলাম,,, মনে হলো অন্ধকারে আলোর রশনি খুজে পেয়েছি,,, আমার লাইফে কেউ ছিল না,,, কিন্তু এখন আছে শুধু রশনি আর ওই থাকবে টিল দ্যা এন্ড আফ মাই লাইফ,,,
শুভর কথায় সবার মুখে হাসি ফুটে উঠলো,,, তাহির দাড়াতেই সবাই দাঁড়িয়ে গেল,,, তাহির গিয়ে শুভর সামনে গেল তার পর ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,,,
তাহিরঃ একটা প্রমিস করো শুভ,,, আমার প্রিন্সেস কে কখনো কষ্ট দিবে না সব সময় সব বিপদ থেকে আগলে রাখবে ওকে যেমনটা আমি রেখেছি,,,
শুভঃ আই প্রমিস নিজের সবটা দিয়ে ওকে সুখে রাখবো,,,
সিয়া দৌড়ে এসে শুভকে জড়িয়ে ধরলো,,,
সিয়াঃ থ্যাঙ্ক ইউ ভাই রশনি দি কে আমার ভাবী বানানোর জন্য,,, ইউ আর দ্যা বেস্ট ব্রাদার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড,,, ?
শুভঃ এন্ড ইউ আর দ্যা বেস্ট সিস্টার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড সিয়ু,,, ( সিয়ার মাথায় চুমু দিয়ে)
নিশির চোখে অজান্তেই পানি চলে আসে,,, সবার আড়ালে চোখ মুছে মুখে হাসির রেখা টেনে নেয় ও।
শুভঃ আঙ্কেল রশনি? ওকি জানে??
মায়াঃ না ওকে বলি নি দ্যাট্স আ সারপ্রাইজ ফর হার,,,
শুভ মাথা নিচু করে ব্লাশিং হচ্ছে,,,
কথার মাঝখানে রশনি আর নাহার চলে আসে।
রশনিঃ সবাই এভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেন ?
তাহিরঃ বিদায় নিচ্ছি মামনি,,, আচ্ছা ভাবী রাতে দেখা হচ্ছে ?
রশনিঃ বায় সিয়ু,,,
সিয়াঃ বায় রশনি ভা ( বলেই থেমে গেল) আই মিন দি রশনি দি ?
সবাই বিদায় নিয়ে বেরিয়ে আসে,,, পার্কিংয়ে এসে সবাই গাড়িতে বসে পরে,,, রশনি শুভর দিকে তাকাতেই শুভ ওকে ফ্লাইং কিস ছুরে মারলো,,,
রশনি চোখ বড় বড় করে শুভর দিকে তাকালো তারপর আশেপাশে তাকালো। রশনি চোখ গরম করে শুভর দিকে তাকালো সাথে সাথে শুভ ওকে চোখ মেরে গাড়িতে বসে গাড়ি স্টার্ট দিলো,,,
রশনিঃ শুভর হঠাৎ কি হলো?? ?
তিনাঃ কি হলো ম্যাডাম যাবেন নাকি এখানেই থাকবেন ?
রশনি তিনার দিকে রেগে তাকিয়ে গাড়িতে বসে পরলো।
বিকেলে,,,
বারান্দায় বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে শুভ,,, আজকের দিনটা বেস্ট মনে হচ্ছে ওর জন্য।
শুভঃ আই কান্ট বিলিভ,,, সব কিছু স্বপ্নের মতো লাগছে,,, আজকের পর থেকে রশনি আমার হবে শুধু আমার,,, শী উইল বি মাই ফরেভার এন্ড এভার,,,
হঠাৎ কিছু ভেবেই শুভর মুখ মলিন হয়ে যায়।
শুভঃ কিন্তু কেমন যেন একটা ভয় করছে,,, রশনি আমার সম্পর্কে কিছু জানে না। ওর অধিকার আছে সব জানার,, যদি ও সব জানার পর এ সম্পর্ক টা রাখতে না চায়,,, যদি আমার কাছ দুরে সরে যায়। কি করবো আমি ওকে কি সব বলে দেব,,, এঞ্জেল আর ডেভিল কখনো কি এক হতে পারে। আমাদের
#Impossible_Love কি কখনো Possible হবে।
কথা গুলো ভাবতেই মনে ভয় কাজ করছে শুভর।
পাশে গিটার রাখা শুভর অভ্যাস মন খারাপ হলে গিটার বাজানো। শুভ পাশের চেয়ারে বসে গিটার টা হাতে নিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে,,,
“হ্যা তু চান্দঁ জ্যাইসি হু ম্যা আগ্ জ্যায়সা”
“মিলনা হামারাহ্ মুমকিন্ নেহি”
“বানাহু… ম্যা পাথ্থারো সে”
“তু কাচ্ কা হ্যা সানাম্”
“কাহানি হামারি ফাসানা হামারাহ্”
“গাম্ ও নেহ্ সুনায়াহ্ দুবারাহ্ দুবারাহ্”
চোখ বন্ধ করেই গাইছে শুভ চোখের কোনা বেয়ে এক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ল ওর।
একদিন তুই নিজেই বলেছিলি যে নাথিংং ইজ ইম্পসিবল ফর শুভ। ( সাদ)
শুভ সাদের কথা শুনে চোখ খুলে তাকায়।
দাঁড়িয়ে এতক্ষণ শুভর গান টা শুনছিলো সাদ। এর অর্থ ও ভালোভাবেই বুঝতে পারছে।
সাদ শুভর পাশে বসে ওকে বলতে শুরু করল।
সাদঃ লুক শুভ তুই ডেভিল এটা তোর দোষ না,,, তাহলে শাস্তি তুই কেন পাবি,,, রশনিকে ভালোবাসিস তুই আর ভালোবাসা ভালো খারাপ দেখে হয় না,,, চাঁদের আলো ছড়ানোর জন্য সূর্যের আলোর প্রয়োজন হয়,,,তেমন রশনির মাঝে এঞ্জেল এর যে শক্তি আছে তা শুধু তোর জন্যই,,, ওকে ছাড়া যেমন তোর কোন অস্তিত্ব নেই তেমনি তোকে ছাড়া ওর কোন অস্তিত্ব নেই । তোর জীবনের অন্ধকার দুর করতেই রশনির জন্ম। ও চাইলেও তোর কাছ থেকে দূরে চলে যেতে পারবে না। ওর এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যেক রাস্তা তোর কাছে এসেই থামবে। তাই এসব কু চিন্তা ভাবনা নিজের মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দে।
শুভ সাদকে জড়িয়ে ধরে বলতে শুরু করল,,,
শুভঃ কি করবো দোস্ত ভয় হয়,,, এ ভয় যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে,,, ওই ডেভিল কিং নিশ্চই কিছু করার চেষ্টা করবে,,, আমার রশনির কোন ক্ষতি হলে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না।
সাদঃ এভরিথিং ইজ উইল বি ফাইন শুভ। আমরা আছি না,,
To be continued….