The_team_of_Rainbow’s_lovestory
Part:05,06
Writer: Sabrin Jahan
Part:05
প্রচণ্ড বেগে ফোন বাজছে কিন্তু রোদেলার খবর নেই,,,,ঘুমে কাতুর সে ,,,কিন্তু ফোনটা বেজেই যাচ্ছে
অবশেষে বিরক্ত নিয়ে রিসিভ করলো রোদেলা।
রোদেলা:hello!!
প্রিয়া:ওই চুন্নি ফোন ধরিস না কেন??
রোদেলা: কুত্তি তুই এটা জিগানোর লেইগা আমার ঘুম নষ্ট করছস??
প্রিয়া:১০ টা বাজে ভার্সিটি কখন আসবি??
রোদেলা:আসবো না ঘুমাবো!!
প্রিয়া:রাতে কি করছিস,,প্রেম করছিস,??
রোদেলা: ধুর,রাতে কাজে ছিলাম
প্রিয়া:কিসের কাজ?
রোদেলা:ওই রো..(আর কিছু বলল না এতক্ষণে খেয়াল হলো ও কি বলছিলো)
প্রিয়া: রো কি??
রোদেলা:আব … রক স্টার দের ভিডিও নিয়ে ভাবছিলাম
প্রিয়া:তুই আর তোর ভাবনা,,,জলদি আয় সবাই আছে
রোদেলা: না ?
প্রিয়ার থেকে অবনী ফোন টা নিল
শ্রেয়া:তুই জানিস না আমাদের রিয়ার্সেল আছে,,সামনে নবীন বরণ সেখানে senior হিসেবে পারফর্ম করতে হবে তো,,,,
রোদেলা: eeee,,তোদের জন্য ঘুমাইতেও পারি না আসছি!!!!
শ্রেয়া:bye jana..
রোদেলা:huh?
??????
রোদেলা হামি নিচ্ছে
ঐশী:রাতে কি বাসর ছিল যে ঘুমাস নাই।
রোদেলা ধাম করে ঐশীর পিঠে কিল দিল
রোদেলা:তোর বাসর এ কই লুকায়ে দেখব ঐটা ভাবতেছিলাম
ঐশী:শালী হাত না আর কিছু,,অমা পিঠ গেলো
রোদেলা:জুম জুস আন
জুম:পারতাম না,,
রোদেলা:না আনলে কিন্তু তেলাপোকা আনমু আমি
জুম:নিজেই তো ভয় পাস আবার আমারে কি দিবি
রোদেলা:?
জুম:আচ্ছা আনছি
রোদেলা: সোনাটা
জুম:huh?
?????
জুম: শালী আমাকে সহজ সরল পাইয়া খালি কাম করায় ,,দিন আমারও আইবো দেখি
এমন হাজার বক বক করতে করতে জুস নিয়ে খেলো ধাক্কা
জুম:কোন কানারে
রাজ:কে কানা?
জুম:দেখে চলতে পারেন না?
রাজ:তুমি পারো না,,,
জুম:ওই এত পক পক কেন করেন,,sorry বলেন আর ফুটেন
রাজ:তোমার কথায় নাকি?
জুম: হ্যাঁ
রাজ:কেনো?
জুম:আমি বলছি তাই
রাজ:কে হও তুমি আমার?(জুমের দিকে ঝুঁকে)
হটাৎ এভাবে ঝুঁকে পড়ায় জুম ভরকে যায়,,তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বললো
জুম:যেহেতু আপনি juice ফেলেছেন সেহেতু আপনি অপরাধী ,,,আর আমি বিচারক
রাজ: তো বিচারকের রায় কি
জুম :উম ,,আপাতত তোলা থাক
এই বলে জুম আরেকটা জুস কিনে চলে যায় ,,আর রাজ মাথা চুলকে মুচকি হাসে
ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে জুম ও মুচকি হাসলো
????
রোদেলা:by the auto riksha, এই ঐশীর কি হইছে
প্রিয়া:কেন?
রোদেলা: ইদানিং ফোনে কি দেখে আর মুচকি মুচকি হাসে
শ্রেয়া:আমিও লক্ষ করছি
নওশীন আর প্রিয়া ওর দিকে তাকিয়ে দেখলো ব্যাপারটা সত্যি
ওরা একে অপ রকে চোখ মারলো,,,তারপর শুরু হয় attack
রোদেলা ঐশীর ফোন কেরে নিল
হুট করে এমন টা হওয়ায় ঐশী ভরকে গেল
ঐশী:ওই রোদের বাচ্চা ফোন দে
বাকিরা ওকে ধরে রাখছে
রোদেলা মোবাইল নিয়ে ঘাটাঘাটি করার পর ঐশীর দিকে অবাক চোখে তাকালো
ঐশী এবার অন্য দিকে তাকালো,,আজ যে মাইর একটাও মাটিতে পড়বে না বুঝে গেছে
রোদেলা:কবে থেকে চলছে এসব,,,
ঐশী: হে হে (বেক্কল মার্কা হাসি দিয়ে) শোন না রোদ
প্রিয়া:ওই কি হইছে রে
নওশীন:হুমম কি হইছে বল তো
শ্রেয়া: কুত্তী বলবি।
রোদেলা: এ আর নাফি রিলেশন এ আছে
বলে ফোন দেখায় ,,,
ঐশীর অবস্থা,, ফাইশা গেছি মাইনকার চিপায়
ফোনে ওদের chatting এ বোঝা যায় এরা অনেক বছর রিলেশন এ আছে
শ্রেয়া:কত বছর ধরে চলছে এসব
ঐশী:আসলে
প্রিয়া:আসলে নকলে বাদ দেও ,,সত্যি বল বাবু
জুম: কিরে ওকে এমনে ধরছিস কেন
পরে ওকেও বললো
জুম:কত বছর বল জলদি..
ঐশী:ভার্সিটি তে আসার second দিন থেকে
সবাই আকাশ থেকে পড়লো,,মানে কি এত দিন রিলেশন এ ছিল আর ওরা টের ও পায় নি,,, মাইয়াটা বুঝতেও দেয় নিউ
.
.
চলবে…..
#The_team_of_Rainbow’s_lovestory
Writer: Sabrin Jahan
Part:06
রোদেলা: ফুল কাহিনী বল!!
ঐশী লম্বা শ্বাস নিয়ে বলতে শুরু করলো
ঐশী : নাফির সাথে পরিচয় আমার আজকে থেকে না অনেক আগে থেকেই,,,আমাদের পাশের বাসার ছেলে ,,,,যখন তোদের সাথে গ্রুপ এ কথা বলতাম তখন ছাদে যেতাম,, ও পাশের বাসায় থাকায় আমাদের দেখা হয়েছিল ছাদেই,,,প্রথম প্রথম ওকে বিরক্ত লাগতো,,,কিন্তু পরে এই বিরক্ত অভ্যাসে পরিণত হয়,,কিন্তু তখন ও relation স্টার্ট হয় নাই ,,স্টার্ট হয়েছি ভার্সিটির second দিন যখন ও আমাকে প্রপোজ করেছিল,,,?
প্রিয়া:ধর আমারে কেও,,শালী চার বছর ধইরা রিলেশন এ আছে আর আমরা বুঝতে পারলাম না
শ্রেয়া: তাও আবার boys rainbow team এর সদস্য
নওশীন:কিভাবে?
ইমু:এত ট্যালেন্ট.. ওয়াহ্ ভাই ওয়াহ্
জুম:আমি শিহরিত
রোদেলা:আমি প্রসন্নত
জুম:by the way প্রশন্নত কী??
রোদেলা:জানি না
ইমু:তাইলে বললি কেন??
রোদেলা:আমি ওয়ার্ড Inventor তাই ?
শ্রেয়া: কচু পোড়া ?
রোদেলা:তোকে শাস্তি পেতে হবে ঐশী
ঐশী:দোস্ত প্লিজ আমি ওকে খুব ভালোবাসি ,, ছাড়তে পারব না
রোদেলা:(মাইয়া কি কয়)কিন্তু শাস্তি তো পেতেই হবে,,
ঐশী কান্না করে দিবে এমন অবস্থা,,,
রোদেলা:চল ফুচকার দোকানে
প্রিয়া:ওখানে কেনো??
রোদেলা:ঐশী আজকেও ওর রিলেশন এর treat দিবে
ঐশী:কিইই??
রোদেলা:চল চল
রোদেলা ওকে টেনে নিয়ে গেল,, ফুচকার দোকানে গিয়ে ওদের বসিয়ে ঐশী ৬ প্লেট ফুচকা অর্ডার করলো,,,আসলে ঐশী মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে ,তাই তাকে কিছু কেনার আগে বাজেট করতে হয়,,,বর্তমানে পার্স এ আছে ১৫০ টাকা
,,৫০ টাকা রিকশা ভাড়ার জন্য আর ১০০ টাকা নিজের পছন্দের লেখক হুমায়ুন আহমেদ এর একটা নতুন বই কেনার জন্য জমাচ্ছিল,,কিন্তু এখন শেষ হলে কিভাবে হবে ,,কিন্তু তাও কাওকে কিছু বললো না। প্লেট ২৫ টাকা করে ,,,৬ প্লেট এ ওর ফুল টাকাই শেষ হয়ে যাবে ,,কিন্তু কি করার এই প্রথম ফ্রেন্ড রা কিছু চেয়েছে কিভাবে না দেয়,,বরাবর খাওয়া দাওয়ার কথা উঠলে ও চলে যায় ,,,এসব ভাবনার মাঝে ফুচকা ওয়ালা আংকেল ৭ প্লেট ফুচকা দিল
ঐশী: আংকেল আমি তো ৬ প্লেট বলেছিলাম,,
আঙ্কেল :ওই আপু ৭ প্লেট বললো(রোদেলাকে ইশারা করে)
রোদেলা:আমরা খাবো আর তুই দেখবি,,তাহলে আমাদের পেট ব্যাথা হবে না
জুম:হুমম একদম
ঐশী খাচ্ছে না
,,ভাবছে এখন টাকা কই পাবে
রোদেলা: চিন্তার কিছু নাই,,সবাই ভাগাভাগি করে টাকা দিবো
ঐশী অবাক চোখে তাকালো
শ্রেয়া:অভাবে তাকিয়ে লাভ নাই,, রোদ জানে তুই taka নেই বলে আমাদের কোনো treat এ থাকতে চাস না,,তাই এই treat এর কথা বলে তোকে এনেছে যাতে ও তোকে সহ treat দিতে পারে…
ঐশী:কিসের treat??
ওরা একে অপরের দিকে ইশারা করলো ,,তারপর একসাথে উঠে দাড়ালো ,,ঐশী হাবলার মত তাকিয়ে আছে,,জুম আর শ্রেয়া ব্যাগ থেকে party popper বের করলো,,ঐশী শুধু তাকিয়ে দেখছে ,,,,ওরা ঐশীর কাছে popper টা টান দিল আর চিল্লিয়ে বললো
সবাই: হ্যাপি বার্থডে সিজুকা (ঐশীকে ওরা সিযুকা বলেই ডাকে)
ঐশী এবার অবাকের চরম পর্যায়,,ভার্সিটির এই ৪ বছর ও কাওকে জানতে দেয় নি পর birthday কবে ,,কারণ বার্থডে তে বন্ধুদের খাওয়াবে কি,,কিন্তু ওরা জানলো কিভাবে
প্রিয়া:আরে ঐশী রানী এত অবাক হচ্ছিস কেনো??
ঐশী:তোরা জানলি কেমনে?
নওশীন: wait(এই বলে একটা ডায়েরি সামনে রাখলো)
ঐশী ডায়েরি টা দেখে খুব অবাক ,, এই ডায়েরি টা ও ভার্সিটির প্রথম দিন পছন্দ করে কিনেছিল,,এর মধ্যে নিজের সুখ এর মুহূর্ত আর মুমূর্ষু মুহূর্ত গুলো লিখেছে,,কিন্তু ২ সপ্তাহ আগে ডায়েরি টা হারিয়ে গিয়েছিল,,,তাহলে পেলো কই,,, ঐশী জিজ্ঞাশাশুচুক দৃষ্টিতে তাকালো
শ্রেয়া:তুই যখন বলছিলি ডায়েরি টা তোর খুব favourite তখন রোদেলা আমাদের সবাইকে দিয়ে পুরা ভার্সিটি খুজাইছে,,then দেখে ডায়েরীটা একটা আংকেল ডাস্টবিন এ ফেলতে যাচ্ছিল তখন ও নিয়ে নেয়,,
প্রিয়া:আর তুই কখনও এটা আমাদের পড়তে দেস না ,,আর আমরা বারণ করা জিনিসের প্রতি বেশি interested ?
নওশীন:তোর কি মনে হয় তুই মধ্যবিত্ত বলে কিংবা আমাদের খাওয়াতে পারবো না বলে তোকে ছেড়ে দিবো
জুম:main কথা তুই ভাবলি কি করে তুই আমাদের ট্রিট দিতে না পারলে তোকে ছেড়ে যাব
ঐশী এবার মাথা নিচু করলো,,মুখ এক চিলটি হাসি, চোখে জল,, কারণটা মনে হয় না বলা লাগবে,,,
এবার ওরা একটা বড় বক্স ওর সামনে রাখলো,,,ঐশী তাকালে ওকে ইশারা দিয়ে খুলতে বললো,,
ঐশী বক্স টা খুলে স্তব্ধ
ঐশীর favourite লেখক লেখিকার প্রায় অনেক গুলো বই ১০-১২ টার মত,,
রোদেলা:ডাইরিতে তোর বই কিনার কথাও ছিল ,, তাই ভাবলাম গিফট করে দেই
ঐশী আর পারলো না কেঁদে দিলো,,, ও চেয়েছিল কেও ওর birthday তে সারপ্রাইজ দিক,,,কিন্তু এভাবে দিবে ভাবতে পারে নি
জুম:এই মাইয়া মরা কান্দা শুরু করছে
শ্রেয়া:ঐশী জানিস তোর আর নাফির কথা আমরা যেদিন ডাইরি পাইছিলাম ওইদিন থেকেই জানতাম
ঐশী:তাহলে একটু আগে ওগুলো কেন করলি,,না জানার ভান
জুম গিফট গুলো একটা ব্যাগ এ ভরে ওর হাতে দিয়ে নিজের জিনিষ গুছিয়ে চেয়ার থেকে সরে দাঁড়ালো,,,ওর দেখা দেখি বাকিরাও same কাজ করলো,,
নওশীন:অ্যাক্টিং
এই বলে সব দৌড়
কিন্তু রোদেলা পারলো না ,,বেচারি ভিতরে বসেছে বিধায় বের হতে দেরি হচ্ছে
ঐশী পার্স আর ব্যাগ হাতে নিয়ে বলল,,,
ঐশী: তোরে খাইছি ,,,
বলে রোদেলাকে ধরতে গেলে রোদেলা দৌড় দেয়,,রাস্তা পার হচ্ছে,,, দৌড়িয়ে মাঝখানে আসার পর দেখলো একটা স্পীড ট্রাক আসছে,
ঐশী: রোদ সর
ঐশীর কথা রোদেলার কানে যাচ্ছে না,,বলে না অতিরিক্ত শক এ মানুষ রিয়েক্ট করতে ভুলে যায়,, রোদ কি করবে বুঝছে না,,,চোখ খিচে বন্ধ করে ফেললো,,,ওরা বাকিরাও ভয় পেয়ে গেল ,,,, ট্রাক এর দুরত্ব আর বেশি নাই,,হুট করে কে যেনো হেচকা টান মেরে সরিয়ে আনলো ,,টান টা জোরদার হওয়ায় রোদেলা তার বুকে পড়লো,,রোদেলা হার্টবিট অনেক জোড়ে চলছে ,,জীবনে প্রথম এমন কিছুর সম্মুখীন হলো,,যার বুকে রোদেলা আছে তার হার্টবিট আরো জোড়ে চলছে ,,রোদেলা অবাক হলো
ওদিকে রোদ্দুর রোদেলাকে সরিয়েছে,,বেচারার মনে মনে খুব ভয় পেয়েছে,,এই বুঝি রোদপাখিকে হারিয়ে ফেললো,, হা রোদ্দুর ভালোবাসে রোদ কে ,,আজকে থেকে নয়,,যেদিন প্রথম ভার্সিটিতে ওকে প্রতিবাদ করতে দেখেছে সেদিন থেকে,,ওর সাথে ঝগড়া করতে ওর ভালো লাগে,,ওকে রাগাতে ওর ভালো লাগে,,
মুহুর্তে রোদ্দুর রেগে গেলো,,রোদেলাকে সরিয়ে সোজা করে দার করালো,,
রোদেলা রোদ্দুর কে দেখে অবাক,,আর ভয় ও পাচ্ছে,,কারণ এই রোদ তার অচেনা,,ফর্সা মুখ লাল হয়ে আছে,,চোখ গুলো ও অসম্ভব লাল,,,চোখে পানি টলমল করছে,,, হুট করেই রোদ্দুর রোদেলাকে চর মারলো… রোদেলা অবাক হয়ে দেখছে,,এর মধ্যে জুম,প্রিয়া, শ্রেয়া,নওশীন আর ঐশী এসে হাজির কিন্তু ওরা একটু দূরে দাড়িয়েছে,,কারণ রোদ্দুর কে অসম্ভব রেগে থাকতে দেখছে এই প্রথম
রোদ্দুর: ডাফার,, রাস্তায় এভাবে দৌড়া দৌড়ির মানে কি হা,,,সারাদিন ধিঙ্গিপানা করে বেড়াও,,এত careless মানুষ কি করে হয়,,,আর যখন ট্রাক টা দেখলেই সরে না এসে দাড়িয়ে কি করছিলে,,লুডু খেলছিলে…(অনেক জোড়ে চিল্লিয়ে)
রোদেলা গালে হাত দিয়ে তাকিয়ে আছে
রোদ্দুর: তোমরা যাও(ঐশীদের ইশারা করে,,ওরাও কথা না বাড়িয়ে চলে গেলো,,যে পরিমাণে রেগে আছে রে বাবা)
রোদ্দুর:ভাবতে পারছো কি হতো,,,তোমার কিছু হলে আমি…(থেমে গেলো)
রোদেলা অবাক চোখে দেখছে,,কিন্তু মুহুর্তে ট্রাক এর কথা মাথায় আসতে হাত পা কাঁপতে শুরু করলো ,,আসলেই এখন কত বড় বিপদ হতো
রোদেলা কে কাপতে দেখে রোদ্দুর নিজে কে নিজেই বকলো,, একেই মেয়েটা ভয় পেয়েছে তার উপর ওর ঝাড়ি,, রোদ্দুর আস্তে করে রোদেলাকে বুকে জড়িয়ে ধরলো,,যেহেতু রোদেলা রোদ্দুরের কাধ অবধি তাই ওর হার্ট বিট শুনতে পাচ্ছে,,,
রোদ্দুর:sorry রোদ পাখি
রোদ্দুরের এই মিহি ডাক রোদেলাকে শান্ত করে দিলো,,আজ অবধি কেও তাকে এভাবে ডাকে নি,,,,
রোদেলা:বাড়ি যাবো,,
রোদ্দুর ও কিছু বললো না ,,মেয়েটা ভয় পেয়েছে,, তাই ও ওকে বাড়ি পৌঁছে দিল
???????
জানালা দিয়ে বাইরে শীতল দৃশ্য দেখছে রোদেলা,,বৃষ্টি হবে হবে এমন ভাব,,,
রোদেলা শুধু বিকেলে কাহিনী ভাবছে,,,
ভাবছে রোদ্দুর তাকে হারানোর এত ভয় পায়,,কিন্তু কেনো,হুট করে মাথায় এলো অর্ণব বলেছিল রোদ্দুর তোকে ভালোবাসে,,রোদেলা কয়েক সেকেন্ড স্তব্ধ,,,মুহূর্তেই মুচকি হাসলো,,
রোদেলা:তাহলে কি শুরু হবে আমাদের কাহিনী??
হুট করে ফোন এর আওয়াজ হলো,,দেখলো নওশীন ফোন দিয়েছে,,
নওশীন: রোদ (ভাঙ্গা গলায়)
রোদেলা:কি হয়েছে নৌ,,,তোর গলা এমন কেন??
নওশীন:আরমান আমাকে ভালবাসে না রে
রোদেলা:কি বলছিস,,আমি ওর চোখে দেখেছি তোর জন্য ভালোবাসা
নওশীন:আমি দেখেছি আজ যখন আসছিলাম রামিশা কে নিয়ে বাইকে ঘুরছিল,, (কেঁদে কেঁদে)
রোদেলা কিছুক্ষন ভাবলো
রোদেলা:সকালে পার্কে দেখা করিস
কল কেটে দিলো,,,তারপর কিছু ভেবে জুম,শ্রেয়া আর প্রিয়া কে ফোন করলো,,ইমু আপাতত ওর গ্রামে গেছে কাজিন এর বিয়ে বলে পরশু চলে আসবে,,,তারপর আরিয়ানকে ফোন করে বললো সকালে একা যেনো পার্কে আসে ,,
সকালে
জুম:আরে আরিয়ান ভাইয়া তুমি!!!!
আরিয়ান:রোদেলা ডাকলো
নওশীন:বল কি বলবি??
শ্রেয়া:তোর মাথায় কি চলছে
রোদেলা:চুপ কর ,,,আরিয়ান ভাইয়া শুনো তোমাকে আর নওশীনকে অ্যাক্টিং করতে হবে
আরিয়ান অ্যান্ড নওশীন: অ্যাক্টিং??
রোদেলা:হুমম,,gf bf এর অ্যাক্টিং
নওশীন:এসব কি বলছিস
আরিয়ান:আমি ওকে বোনের চোখে দেখি বইন
রোদেলা:আরে আমি তো জাস্ট অ্যাক্টিং করতে বলেছি
আরিয়ান:কেনো??
রোদেলা:আরমান ভাইয়া কে জেলাস ফিল করানোর জন্য
আরিয়ান: মানে
তারপর শ্রেয়া বললো,,
আরিয়ান: ও বুঝলাম
জুম:এতে তোমারও লাভ আছে
আরিয়ান:কেমনে??
প্রিয়া :ইমুকেও জেলাস ফীল করাতে পারবে?
ঐশী :তখন এক ঢিলে দুই পাখি,,
নওশীন:তো এখন কি করবো??
রোদেলা: আপাতত তোমরা দুইজন ওদের দুইজনকে ignore করবা কঠোর ভাবে ,,আর ওদের সামনে এমন ভাব করবা যে তোমরা পছন্দ করো একে অপরকে
আরিয়ান অ্যান্ড নওশীন:done ?
.
.
.
.
.
চলবে…