The_team_of_Rainbow’s_lovestory Part:09,10

0
1908

The_team_of_Rainbow’s_lovestory
Part:09,10
Writer: Sabrin Jahan
Part:09

প্রিয়া: এ যেমন শান্তশিষ্ট তেমন রাগী..

জুম:বিশেষত রাগ দেখায় প্রিয় মানুষের উপর ,,আর চাটা তাদের কেই দেয় যারা ওর সব চেয়ে প্রিয় মানুষ,,

রোদেলা:এই যেমন আমি আগে খাইছিলাম দুইটা(দুই গালে হাত দিয়ে কাদো কাদো মুখ করে )

ঐদিকে আরমান এখনও গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে,,জীবনে প্রথম কোন মেয়ের হাতে চাটা খেলো ,,টাও আবার না হওয়া প্রেমিকার হাতে ওহ কেয়া বাত হে

হুট করে আরিয়ান আরমান এর পিঠে চাপর মারলো,,

আরিয়ান:ভাই তোর jealous feel করানোর জন্য এত সুন্দর অ্যাক্টিং করলাম ,,কিছু দিবি না

আরমান: মানে??

তারপর ওকে সব বললো,,
আরমান হতবাক,,মাইয়া তো হেব্বি dangerous ,, ইয়ে নওশীনকে না রোদেলাকে বললো প্ল্যান এর জন্য,,
আরিয়ান:নেও ভাই এবার সুন্দর ভাবে প্রপোজ করো

আরমান:আমি করতাম না ,,যেই জোড়ে চাটা মারে,,,আল্লাহ গো

নওশীন:না করলে আরো পড়বে(শান্ত গলায়)

সবাই হেসে দিল,

আরমান আসে পাশে খুঁজে একটা কদম ফুল এনে হাঁটু গেড়ে বসলো

আরমান: গোলাপ ফুল নেই তাই আপাতত কদম ফুল দিয়ে চালাও,, ভার্সিটি এর প্রথম দিন থেকে এই শান্ত শিষ্ট মেয়ের প্রেমে পড়েছি ,, অবশ্য এখন শান্ত শিষ্ট মনে হয় না(নওশীন চোঁখ গরম করে তাকালো) হে হে ?মনের কথা বলতে চেয়েও পারি নি,,কতটা ভালবাসি বলে বুঝাতে পারবো না,,পারবো না তোকে ছাড়া বাঁচতে,,হবে কি আমার,,সারাজীবন ফুল ভেবে আকড়ে রাখবো ,, ঝরে পড়তে দিবো না,,,হবে কি Arman’s Queen??

নওশীন মুচকি হেসে কদম ফুল হাতে নিল ,,

নওশীন:I will…

সবাই হাত তালি দিল,,

রাজ:এবার আমার বাড়ি,,

জুম চোখ বড়ো বড়ো করে তাকালো

আরমান:তুই নওশীন রে কেন প্রপোজ করবি,,

রাজ:আরে হারামী নওশীন রে না,, জুমানা কে,,,

রাজ জুম এর সামনে হাঁটু গেড়ে বসলো,,,

রাজ:I love you

জুম:চলবে না ,, different কিছু করো,,,

রাজ:আবার different

জুম: হু

রাজ: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,, ইয়ার হামে আপছে পেয়ার হে,, আপ কী এ যান কুরবান হে,, জিনেকে লিয়ে আপকো চাহিয়ে ,,,কেয়া বানেগী মেরি জিন্দেগি,, কেয়া বানেগি ইস রাজ কা বিবি?

জুম হাসলো

জুম:জি হা বানুগী?

ঈশান :তাহলে আমি কেন বাকি থাকবো আমিও সেরে ফেলি

প্রিয়ার সামনে দাড়ালো

ঈশান:এসব হাঁটু গেরে বসতে পারবো না,, দাড়িয়েই বলি,,যেদিন প্রথম দেখেছিলাম তার ওই মিস্টি হাসির প্রেমে পড়েছি,,তোমার দুষ্টুমি গুলোতে আসক্ত,,,তোমার ঐ হাসি আমার সমস্ত টেনশনের মুক্তির চাবি কাঠি,,দিবে কি সেই চাবি,,হবে কি আমার ??

প্রিয়া মিষ্টি হাসি দিল(বাস্তবে আসলেই ওর হাসি খুব ভালো লাগে আমার- লেখিকা)

প্রিয়া:অবশ্যই মিস্টার কানা বাদর

আরিয়ান:ওই নাফি তুই কেন বাকি তুই ও বলে দে

রোদ্দুর ও অর্ণব:আর আমরা সিঙ্গেল রা দেখি

নাফি ও ঐশীর সামনে গিয়ে বসলো

নাফি: ভালবাসার অনুভূতি আগেও ব্যাক্ত করেছি,, তাও আজকে আবার করবো, তোমার চশমার আড়ালে ওই সুন্দর দুটি আখির মায়ায় অনেক আগেই পড়েছি,, আস্তে আস্তে ভালোবেসে ফেলেছি,,,এখন তুমি ছাড়া উপায় নেই,,হতে চাই তোমার নবীতা,,,হবে কি আমার শিজুকা,,,??

ঐশী:সেই কবেই হয়ে গেছি,,

আরিয়ান আর চোখে ইমুর দিকে তাকালো,,কেনো জানি মন হচ্ছে মেয়েটা আজ খুব খুশি ,,কিন্তু কেনো,,হয়তো ফ্রেন্ড রা তাদের ভালোবাসা পেয়েছে তাই,,এই ভেবে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো,,

ইমু। আজকে খুব খুশি ,,কারণ সে আরিয়ানকে হারায় নি,,সাথে বেস্ট ফ্রেন্ড গুলা তাদের ভালোবাসা পেয়েছে,,
রোদেলা ইমুর কাছে গেলো

রোদেলা:এখনও বলবি আরিয়ান কে ভালোবাসিস না

ইমু: বাসি তো,,

রোদেলা:তাহলে বলে দে

ইমু: মানে

রোদেলা:দেখ বেচারা উদাস হয়ে আছে,,

ইমু তাকিয়ে দেখলো আসলেই ওর মন খারাপ হয়ে আছে ,,,ইমু রোদেলা কে একটা হাসি দিয়ে এগিয়ে চললো,

রোদেলা ও মুচকি হাসি দিয়ে চলে আসলো,,কিন্তু ওর চিন্তা একটাই শ্রেয়াকে নিয়ে,, অরূপ কি বাসবে ভালো শ্রেয়াকে,,,সবাই ভালবাসার মানুষ পেলেও শ্রেয়া কী পাবে?

ইমু আরিয়ান এর সামনে দাড়ালো,,,সবার দৃষ্টি ওদের উপর

ইমু:তুই ছেলে ,,তুই গেম ,খেলবি,ঘুরবি,আড্ডা দিবি,,,,তুই কেন আমার মনের মাঝে বাস করিস

আরিয়ান হতবাক ,,মাইয়া বলে কি,

আরিয়ান: এ

ইমু: এ নয় হ্যাঁ ,,,ভালোবাসি প্রিয়,,,খুব ভালোবাসি ,,চাই তোমার সাথে থাকতে,, স্বপ্ন দেখতে ,,করবে আমায় তোমার জীবন সাথী,, তোমার রাজ্যের রানী

আরিয়ান লাফিয়ে বলে উঠলো,,অবশ্যই

মুহূর্ত সবাই হেসে দিল

ঐশী:শ্রেয়া আর রোদেলা কই

প্রিয়া:ঐতো

শ্রেয়া আর রোদেলা একটা বেঞ্চিতে বসে আছে

জুম: কীরে এখানে কি করিস

শ্রেয়া:সব ফ্রেন্ড mingle হয়ে গেলো আমাদের কি হবে ??

রোদেলা:আবার দুঃখ ও লাগছে

আরিয়ান:কেনো কেনো,,আমরা কি তোমার ফ্রেন্ড দের জন্য পারফেক্ট না

শ্রেয়া:সেটা না

আরমান:তাহলে….

রোদেলা:আরে ওদের জন্য দুঃখ লাগছে না

নাফি:তাহলে কার জন্য

শ্রেয়া:আপনাদের জন্য

ঈশান:কেনো

রোদেলা:আপনাদের লাইফ তেজপাতা বানাবে এই শাকচুন্নি গুলা,,তাই আগেই শোক দিবস পালন করছি,,

সবার কথাটা বুঝতে কয়েক সেকেন্ড লাগলো,,boys group অট্য হাসিতে ফাটল,,আর গার্লস রেগে বুম

ঐশী: রোদের বাচ্চা তোরে আজকে….

রোদেলা: আব্বে শ্রেয়া ভাগ জি লে থুড়ি বাঁচালে আপনে জিন্দেগি ,,

ব্যাস শুরু হলো পাগদাম পাগদাই,,,

???????

ফার্ম হাউস এ সব একত্রিত হয়েছে ,,, মিশন হলো খানমের মাস্টার মাইন্ড কে ধরা

ঐশী একটা গান নিয়ে উল্টে পাল্টে দেখছে

নাফি:এটা চালাতে পারবে ,,

ঐশী:না বাবা ,,রোদেলা কয়বার শিখিয়েছে তাও পারি না

রোদ্দুর:ওই ঝাসি কি রানী শিখিয়েছে,, ও নিজে পারে ,,রোদেলা সোফার উপর বসে ওদের দেখছিল,

রোদেলা:huh রোদেলা পারে না এমন কিছুই নেই,,

রোদ্দুর: হে হে হে,,তুমি আর গান চালাবে im..(বাকিটা বলার আগে কানের এক ইঞ্চি নিচে দিয়ে একটা বুলেট গিয়ে ভাস এ লেগে ভাস টুকরো টুকরো হয়ে গেলো
রোদ্দুর অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রোদেলার দিকে ,,এত পারফেক্ট শট কেমনে

নাফি:wow রোদেলা ,,এত পারফেক্ট শট একমাত্র রোদ্দুর ই পারতো

রোদেলা: মিথ্যা বলবো না,,উনাকে দেখেই শিখেছি,,

রোদ্দুর বাকা হাসলো

রোদ্দুর:এই না হলে রোদ্দুরের রানী(মনে মনে)

??????????

মিস্টার আজাদ আপনাকে বলছিলাম তো কি করতে হবে,,

আজাদ: স্যার ওই মল এ আজকে হাজার লোক থাকবে,,এত গুলো মানুষের প্রাণ,,,

Shut up ,, রিক চৌধুরী কারও প্রাণ নিয়ে চিন্তা করে না,,,

আজাদ: জি স্যার

রিক: বুঝার চেষ্টা করো আজাদ,,বসুন্ধরা সিটি শপিং মল এ যদি ব্লাস্ট হয় ওই জায়গায় হাজার লোক মারা পড়বে ,,,আর এর ফলে ওদের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে ,, তখন আমি আর ভাই মিলে আমাদের industry দার করাবো,,আগের বার মেয়ে পাচারে ঐ rainbow team বাধা দিয়েছে,,এবার আর কেও দিবে না,,খানম ও নেই ,,নিরব

নিরব:জি বস

রিক:আমি তো ভায়ের ওখানে এখন যাবো,,ফ্লাইট একটু পর,,,আসবো ৩ দিন পর এসেই যেনো সু খবর শুনি,,

নিরব:ওকে sir

আজাদ:আবার খুন,,আল্লাহ এ কোন জায়গায় পড়লাম(মনে মনে)
,,,,,,
জাহিন:ভাই কি হয়েছে তোর

আজাদ:বলিস না। বোন আজ আর ২ ঘণ্টা পর বসুন্ধরায় ব্লাস্ট হবে

জাহিন:কি বলিস

আজাদ:ইসস rainbow team কে জানাতে পারতাম

জাহিন:ওদের জানা

আজাদ:ওদের কেও চিনে না রে বন্ট,অভাবের তাড়নায় এই কাজ করি,,তুই একবার study complete কর আর এই কাজ করবো না,,

জাহিন:কিছু হবে না ভাই,,দেখিস rainbow team বাঁচাবে সবাইকে

আজাদ :তাই যেনো হয় ,,

জাহিন বাকা হাসলো,,,

??????

রোদেলা মোবাইল এ গেম খেলছে এমন সময় unknown number থেকে কল এলো

রোদ্দুর:সাইলেন্ট

রোদেলা:বেটা খবিশ

ফোন ধরলো

রোদেলা: হেলো

অচেনা:রোদেলা বলছেন (গম্ভীর ভাবে)

রোদেলা: হে কিন্তু কে??

অচেনা:সবাইকে ডাকুন

রোদেলা:সবাই বলতে

অচেনা:girls ar boys দের ডাকুন

রোদেলা বুঝতে পারলো না কে এই লোক,, তাও ডাকলো সবাইকে
সবাই আসলো

অচেনা: স্পিকার অন করুন

রোদেলা করলো

অচেনা:তো the team of Rainbow

সবাই অবাক,, এ জানলো কিভাবে ওরা rainbow team

অচেনা:অবাক হবেন না,,আমি আপনাদের চিনি,,বেশি কথা বলবো। না,, আজ দুপুর তিনটায় বসুন্ধরা সিটি শপিং মল এ ব্লাস্ট হবে,,হাজার মানুষের প্রাণ এখন আপনার মানে আপনাদের হাতে,,

রোদেলা:আপনি কে ??

অচেনা:দেশের শুভাকাঙ্ক্ষী আর আপনাদেরও
বলে রেখে দিল
রোদ্দুর ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলো ১। টা বাজে ,,যেতে মিনিমাম ১ ঘণ্টা,,ওরা দেরি না করে নরমাল পোশাকেই বেরিয়ে গেলো,,

সবার চোখেই ভয়,,বাঁচাতে পারবে তো হাজার হাজার মানুষের প্রাণ??.

.
.

চলবে………..

#The_team_of_Rainbow’s_lovestory

Writer: Sabrin Jahan

Part:10

(বি দ্রঃ ব্যাক্তিগত কারণে আবার নাম change করা হয়েছে,,,অর্ণব এর জায়গায় অরূপ আর অবনির জায়গায় আবার শ্রেয়া দেওয়া হয়েছে)

পৌঁছতে প্রায় ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট লেগে গেলো,,,

রোদ্দুর:আর ৩০ মিনিট আছে ফার্স্ট

সবাই দৌড়ে মলে গেলো
ওখানে একটা কনটেস্ট হচ্ছে ,,আর মাইকিং করার সিস্টেম আছে
রোদ্দুর সেখানে গিয়ে মাইক নিয়ে নিল

লোকটা:আরে কি করছেন
রোদ্দুর পাত্তা না দিয়ে বলা শুরু করলো
রোদ্দুর:আপনারা যে যেখানে আছেন জলদি বাইরে চলে যান ,,,মলে বোম ফিট করা,,,যেকোনো মুহূর্তে ব্লাস্ট হতে পারে,,প্লীজ জলদি করুন

সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে গেলো,,,team এর সবাই সবাইকে বাইরে বের হতে সাহায্য করছে

রোদ্দুর:তোমরা সবাইকে বের হতে সাহায্য করো আমি উপরে দেখে আসি আর কেও আছে নাকি

রোদেলা:রোদ্দুর

রোদ্দুর যেতে নিয়ে থেমে গেলো,,এই প্রথম মিহি কণ্ঠে ডাকলো রোদেলা

রোদ্দুর:হুমম

রোদেলা:জলদি করো ,,আর ওনলি ৫ মিনিট বাকি

রোদ্দুর:হুমম,, don’t worry

সবাইকে বের করার পর

রোদেলা:রোদ্দুর আসছে না কেনো

প্রিয়া: রোদ আমাদের বের হওয়া উচিত আর ৩ মিনিট বাকি,,,

রোদেলা:কিন্তু রোদ্দুর

অরূপ: চল রোদ

সবাই টেনে রোদেলাকে বের করলো,,,বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে রোদ্দুরের

রোদেলা: ও ফেঁসে গেছে,,আমায় ছার ,,,(প্রিয়ার থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে)

অরূপ: রোদ প্লীজ শান্ত হ বোন আমার

রোদেলা:ভাই ও তো ভিতরে(কান্না করতে করতে)

শ্রেয়া:আর ৩০ সেকেন্ড বাকি

রোদেলা: ছাড়,,(চিল্লিয়ে )

সবাই মিলে ওকে আটকিয়ে রেখেছে,,সবাই অবাক রোদেলা রোদ্দুরের জন্য কাদছে,,যেই রোদেলাকে কখন ও কাদতে দেখে নি সে কাদছে,,,সবাই দোয়া করছে রোদ্দুর যেনো বেরিয়ে আসতে পারে,,মুহুর্তে বিরাট বিষ্ফোরণ ঘটলো,, হ্যাঁ বোম ব্লাস্ট হয়ে গেছে,,,

সবাই স্তব্ধ ,, তবে কি রোদ্দুর চলে গেলো

রোদেলা: রো- দ্দু- র

পরে যেতে নিলে শ্রেয়া ধরে ফেলে

শ্রেয়া:রোদেলা শান্ত হ

রোদেলা:রোদ্দুর(মল এর দিকে আঙুল তুলে)আমার রোদ্দুর (বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো)

ওদিকে
রোদ্দুর সামনে দিয়ে টাইম লাগবে বলে পিছনের জানলা দিয়ে বের হয়েছে(রোদ্দুর কে মেরে ফেললে public কেলানি দিবো- লেখিকা?)বের হওয়ার সময় হাত কেটে গেছে ,,,,কিছুটা দূর যেতেই ব্লাস্ট হলো

রোদ্দুর:আল্লাহ বাঁচাইছে,,,বলে ওদের দিকে গেলো

গিয়ে দেখলো সবার মুখে দুঃখের ছাপ,,,আর রোদেলা কান্না করছে

রোদেলার কান্না দেখে রোদ্দুর এর বুকের ভিতর উতাল পাতাল হয়ে গেলো

এই কয়েকবছরে রোদেলার হাসি মুখ ছাড়া কখনও কান্না করতে দেখে নি ,,রোদ্দুর তড়িঘড়ি রোদেলার কাছে গেলো,,,রোদেলার সামনে বসে বললো

রোদ্দুর: রোদ পাখি,,কি হয়েছে বল,,এভাবে কাদছ কেনো,,হুমম,,কোথাও কষ্ট হচ্ছে

হুট করে সামনে কেও আসাতে রোদেলা অবাক হয়ে যায় ,যখন সামনে রোদ্দুর কে দেখে তখন আরো অবাক হয়,,এক ধেনে রোদ্দুর কে দেখে যাচ্ছে ,,,আর সবাইও অবাক ,,কিন্তু খুশিও

রোদ্দুর:কি হয়েছে বল??

হুট করে রোদ্দুর কে জড়িয়ে ধরলো রোদেলা

রোদেলা:খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম

রোদ্দুর:কেনো রোদ পাখি,,,

রোদেলা:আমি,,আমি পারবোনা হারাতে তোমাকে ,,বড্ড বেশি ভালোবাসি,,,আমি ভেবেছিলাম তোমাকে হারিয়ে ফেলেছি,,,তোমাকে ছাড়া নিজের অস্তিত্ব কল্পনাও করতে পারবো না,,খুব ভালো বাসি আমার তুমি টা কে ,,বাঁচতে পারব না ,,প্লীজ ছেড়ে যেও না,,(ফুফিয়ে কেঁদে উঠলো রোদেলা)

রোদ্দুর স্তব্ধ ,,তার প্রিয়সী তাকে ভালবাসি বলেছে,,আর কি চাই?

রোদ্দুর রোদেলার মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বললো

রোদ্দুর:relax মন পাখি,,আমি আছি,,,কিছু হয় নি দেখো

রোদেলা খেয়াল করলো রোদ্দুর এর হাত থেকে রক্ত বের হচ্ছে

রোদেলা:কিছু হয় নি মানে ,,কত রক্ত বের হয়েছে,,,ওই প্রিয়া তোর ওড়না টা একটু ছিড়ে দে

প্রিয়াও দিল

রোদেলা হেচকি তুলছে আর কাদঁছে ,,,যত্ন সহকারে হাত টা বেধে দিল,, ব্যাথাটা রোদ্দুর পেলেও অনুভূতিটা যেনো ওর….

জুম:বাহ আমাদের রোদ রানী যে এতটা কাওকে ভালোবাসে জানতাম না ,,
রোদেলা কিছু বললো না,,কিন্তু রোদ্দুর দেখতে পেলো রোদেলার
গাল দুটোয় লাল আভা ফুটছে ,,বুঝতে বাকি রইলো না যে তার রোদ পাখি লজ্জা পেয়েছে,,রোদ্দুর রোদেলার কানে ফিস ফিস করে বলল

রোদ্দুর:এত লজ্জা পেয় না,,লজ্জা পেলে তোমাকে দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে ,,মনে চায় খেয়ে ফেলি

রোদেলা শটান করে উঠে দাড়ালো,, তা দেখে রোদ্দুর অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো…সবাই কিছু না বুঝলেও ওদের খুনসুটি দেখে যাচ্ছে

রোদেলা:শালার উগান্ডার মহারাজ,,

রোদ্দুর:আর সেই মহারাজের রানী তুমি,,,

সবাই আবার হাসলো

???????

রিক:আবার আবার আমার প্ল্যান ভেস্তে গেল

জাহিদ(রিকের ভাই):relax

রিক:ভাই কি করে relax হব,,কোনো মানুষ মারা যায় নি,,just মল ব্লাস্ট,,এতে ওদের কিছু হবে না,,আর না আমরা ওই জায়গা পাবো

জাহিদ:সবাই জানলো কিভাবে ,,

রিক:সেটাই তো বুঝছিনা,,আমি জানি এটা rainbow team এর কাজ

জাহিদ: কারা এই rainbow team খুঁজে বের কর,,

রিক:হুমম….

?????

ভার্সিটি

ঐশী : একটা জিনিষ বুঝলাম না অচেনা কেও টা কে ,,

নাফি:হুমম

রোদেলার ফোন বেজে উঠলো,,

রোদেলা:এটা আবার কার নম্বর!!

রোদ্দুর:উঠাও,,

রোদেলা ফোন তুললো,,

অচেনা: হেলো রোদেলা আপি,,great work,, তোমরা দেখি সবাইকে বাঁচিয়ে দিলে,, head’s of to you,,

রোদেলা:তুমি কে ??

অচেনা:বললাম না ,,দেশের আর তোমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী

রোদেলা:তোমার ভয়েস টা খুব চেনা

মুহুর্তে অচেনা লোকটি গম্ভীর গলায় বললো
অচেনা:এত জেনে কি করবে,,আমি নিজেই আসবো সামনে কিন্তু এখন না,, যাই হোক মেয়ে পাচার চক্র আর এই ব্লাস্ট কমপ্লিট লি জাহিদ চৌধুরী আর রিক চৌধুরী এর প্ল্যান,,ওদের ধরতে পারলেই সব পেয়ে যাবে,,টাটা

ফোন রেখে দিল
রোদেলা:একে কেনো যেনো চেনা চেনা মনে হলো!!

রোদ্দুর:যেই হোক আমাদের এ খুব ভালো করে চিনে

প্রিয়া :আমার কেনো জানি জাহিন কে সন্দেহ হচ্ছে,,কারণ ওই রোদেলা। কে রোদ আপি বলে

আরমান:ওর উপর নজর রাখা উচিত

রোদ্দুর :হুমম

এদিকে আড়াল থেকে
অচেনা:নজর রেখে লাভ নেই,,আমি নিজ না চাইলে ধরতে পারবে না আমায়,,আসবো ঠিকই তোমাদের সামনে তবে এখন না( বাকা হাসলো)
???????

রোদ্দুর:কি করো

রোদেলা: দেখছো না চকোলেট খাচ্ছি

রোদ্দুর:মাঝে মাঝে বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয় আমি,,এক পিচ্চির প্রেমে পড়েছি

রোদেলা: ডোন্ট কল মি পিচ্ছি

রোদ্দুর:পিচ্ছি কে তো পিচ্ছি ই বলবো,,,,,

রোদেলা:ফাজিল,,বজ্জাত,,

রোদ্দুর:আর সেগুলোর বউ তুমি

রোদেলা গাল ফুলিয়ে রইলো,,,
রোদ্দুর ফলানো গাল দেখে টুকুষ করে একটা চুমু খেল,,রোদেলা গালে হাত দিয়ে বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে

তখনি সবাই এলো

নওশীন:কীরে এভাবে গালে হাত দিয়ে আছিস কেনো

রোদ্দুর: গালে মশা বসেছিল,,তাই ওটা মারতে গিয়েও নিজেকেই মেরে দিয়েছে,,
সবাই হাসতে শুরু করলো ,,এদিকে রোদের অবস্থা,,না পারছে বলতে,,না পারছে সইতে,,

হুট করে চোখ যায় শ্রেয়ার দিকে ,, ও অরূপের দিকে তাকিয়ে আছে,,,,
রোদেলা ডুব দিল ভাবনায়
আমরা তো পেলাম ভালোবাসার মানুষ,,কিন্তু শ্রেয়া,,,অরূপ কি ওকে ভালোবাসবে,,,,
.
.
.
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here