The_team_of_Rainbow’s_lovestory Part:11,12

0
1722

The_team_of_Rainbow’s_lovestory
Part:11,12
Writer: Sabrin Jahan
Part:11

পার্কে একটা বেঞ্চিতে বসে আছে শ্রেয়া আর রোদেলা

রোদেলা:শ্রেয়া

শ্রেয়া:বল বান্ধবী,,

রোদেলা: অরূপ ভাইকে ভালোবাসিস,,

শ্রেয়া বিস্ফোরিত চোখে তাকালো,,কিছু বলবে তার আগেই

রোদেলা:প্লীজ ,,তুই মিথ্যা বলবি না,,আর তুই জানিস তুই আমাকে মিথ্যা বলতে পারবি না

শ্রেয়া উদাস হলো,, একমাত্র এই মেয়েটাই ওকে সব থেকে ভালো বোঝে,,,

শ্রেয়া:বাসি কিন্তু সে তো পাত্তাই দেয় না

রোদেলা তপ্ত দীর্ঘশ্বাস ফেলল,,

রোদেলা:অরূপ ভাইয়া অন্য কাওকে ভালোবাসে

কথাটা কর্নগচর হতেই শ্রেয়ার হাত পা অসার হয়ে গেলো,,,,তাও মুখে একটা হাসি,, তাচ্ছিল্যের,,, সবাই যে ভালোবাসা পায় না সেটা তো জানত,,,

শ্রেয়া:ওহ,,এইজন্য এসব বলছিস যাতে সরে যাই,,,চিন্তা করিস না আসবো না অরূপের লাইফ এ(বলে উঠে যেতে নেয়)

রোদেলা ওকে হাত ধরে আটকায়

শ্রেয়া:আরো কিছু বলবি(মুখে কিত্রিম হাসি ফুটিয়ে)

রোদেলা:রোদ্দুর এর বোন কে চিনিস

শ্রেয়া:না ,,কিন্তু শুনেছি ওকে কেও বিভর্ষ ভাবে…(থেমে গেল,,কিভাবে বলবে একটা মেয়ের করুন অবস্থা)

রোদেলা:হুমম,,তখন থেকেই আমাদের এই club ,, rainbow team,,

শ্রেয়া:হটাৎ এগুলো বলছিস কেনো

রোদেলা: ইরাই সেই মেয়ে যাকে ভাইয়া ভালোবাসতো

শ্রেয়া স্তব্ধ,,,
রোদেলা ওকে সম্পূর্ণ কাহিনী বললো

শ্রেয়া ভাবছে,,আমি তো ভালোবেসেছি এক তরফা,,সেখানে সে ভালোবাসা পেয়েও হারিয়েছে,, শ্রেয়া চুপ করে আছে

রোদেলা: দেখ আমি জানি তুই অরূপ কে খুব ভালোবাসিস,,কিন্তু এটা জানি না অরূপ তোকে ভালোবাসবে কিনা,,,কিন্তু ব্যাক্ত করে দে

শ্রেয়া:পাগল তুই,,যেখানে তুই জানিস আমি ওকে ভালোবাসলেও ও বাসবে না ,, অরূপ বাকিদের মত না,, ও ভালোবাসা পায় নি বলে আরেকজনকে ভালোবাসবে এমন ও না

রোদেলা: দেখ তুই ওকে কতটা বুঝিস,,আমার ভাইয়াটা সারাদিন হাসি খুশি থাকলেও দিন শেষে ও উদাস,, আমি জানি তুই ই পারবি ওকে হাসিখুশি রাখতে

শ্রেয়া:কিন্তু রোদ

রোদেলা:একবার বলেই দেখ না

শ্রেয়া:হুমম,,

শ্রেয়া উঠে ভার্সিটির ভিতরে গেলো,,,, রোদ্দুরের থেকে জানতে পারলো অরূপ ভার্সিটির পিছনে,,শ্রেয়া ওখানে গেলো,,,

অরূপ: আমি জানি তুমি কি বলবে

শ্রেয়া অবাক চোখে তাকালো

অরূপ:রোদেলা বলেছে ,,

শ্রেয়া চোখ নামিয়ে নিলো

অরূপ :ইরা কে আমি ভালবাসতাম ,,ইভেন এখনও বাসি ,,কিন্তু অনুভূতি গুলো ব্যাক্ত করার সময় পাই নি,,চলে গেলো,, ইরাও আমাকে ভালোবাসতো,,কিন্তু নিয়তির লিখন,,,দেখ শ্রেয়া আমি জানি না আমি অন্য কাওকে কিংবা তোমাকে ভালোবাসতে পারবো কি না ,,কিন্তু এত টুকু জানি ইরাকে ভুলতে পারবো না,,আর চাই ও না,, ও আমার প্রথম ভালোবাসা ,,আর ওকে আমি ভুলতে চাই না,,,তাই,ভুলে যাও আমাকে

শ্রেয়া এতক্ষণ চুপ চাপ শুনছিল আর নীরবে অশ্রু ফেলছিল….

শ্রেয়া:আমি জানতাম মেনে নিবেন না আপনি,, তাও রোদের কথা রাখতে এসেছিলাম,, ভালোবাসাটা এমনি সহজে কারো উপর আসে না,,, হ্যাঁ প্রথম ভালোবাসা ভুলা যায় না,,এই যেমন আপনি আমার প্রথম ভালোবাসা,,,হয়তো আপনাকেও আমি ভুলতে পারবো না,,আর ভুলতে চাই ও না

অরূপ অবাক চোখে তাকালো

শ্রেয়া আবার বলা শুরু করলো

শ্রেয়া:আমি জানি আপনি ইরাকে মনে প্রাণে ভালোবেসেছিলে। ইভেন এখনও বাসেন,,,কিন্তু প্রকাশ করতে পারেন নি,,, যাই হোক,,একটা কথাই বলবো আমি ,,আপনি আমার প্রথম ভালোবাসা ছিলেন ,আছেন এবং থাকবেন,,,আপনার জন্য সারাজীবন এই ছোট্ট মনে ভালোবাসা থাকবে,,, আমিও চাই না আপনি ইরাকে ভুলে আমাকে ওর জায়গায় বসান,,শুধু চাই নিজের জায়গা,,ইরার জায়গা টা নিতে চাই না,,,আচ্ছা ভালো থাকবেন ,,আসি

বলে এক মুহুর্ত দাড়ালো না চলে গেলো,,অরূপ কি করবে বুঝছে না,, ওর তো শ্রেয়ার চোখের পানি দেখেই কষ্ট হচ্ছিল ,,কিন্তু কেনো??
তখনই রোদ্দুর পিছন থেকে ডাক দিল

অরূপ :রোদ্দুর তুই

রোদ্দুর:মেয়েটা সত্যি তোকে ভালোবাসে,,ওকে কেন কষ্ট দিচ্ছিস??

অরূপ:রোদ্দুর আমি তো..

রোদ্দুর:জানি ইরাকে ভালোবাসিস,,কিন্তু মানতে হবে ইরা আর নেই,,আর তুই বলতো উপর থেকে তোকে এভাবে দেখতে কি আমার বোন টার ভালো লাগবে,, ও তো তোকে হ্যাপি দেখতে চায়(কিছুক্ষন থেমে) ওর ডায়েরিতে ছিল এই কথা টা

অরূপ কিছু বললো না,,,

কেটে গেলো আরো কয়েকটা দিন,,সব কিছু আগের মতোই আছে মাঝখানে শুধু এসেছে ক্যারিয়ার বেস্ততা,,কিন্তু এতে সম্পর্ক গুলোতে বিন্দু মাত্র প্রভাব ও পরে নি,অরূপ ইদানিং গভীর ভাবনায় থাকে ,,হয়তো ভাবে শ্রেয়াকে কি মেনে নিবে,,অরূপ শ্রেয়াকে ও লক্ষ্য করেছে ,,সবার সামনে যখন কথা বলে তখন হাসি খুশি ই থাকে,,কিন্তু ঐটা মন থেকে আসা হাসি নয় ,, যা রোদেলা,রোদ্দুর আর অরূপ ভালোভাবেই বুঝে,,,,,ভার্সিটি ক্লাস শেষে রাস্তায় দাড়িয়ে রিকশা খুঁজছে রোদেলা,,,,দুপুর হওয়ায় বেশ নিরব জায়গা টা,,তাতে রোদেলার ভ্রুক্ষেপ নেই,,,সে রিকশা খোঁজায় ব্যাস্ত,,,

হুট করে একটা রেড কার এসে ওকে তুলে নিলো(সবাই ব্ল্যাক and হোয়াইট দেয়,,আমি রেড দিলাম? – লেখিকা)ব্যাপারটা এতই জলদি ঘটলো যে রোদেলা কিছুই বুঝতে পারলো না,,কিছু বোঝার আগেই ওকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে বেহুঁশ করে দিল….

জ্ঞান ফিরতে নিজেকে এক আলিশান ঘরে আবিষ্কার করলো রোদেলা,,রোদেলা অবাক সম্ভবত কিডন্যাপ হলে তো সবাইকে কিডন্যাপ হলে তো সবাইকে অন্ধকার ঘরে হাত পা বেঁধে রাখা হয়,, এসবের মাঝেই দরজা খোলার আওয়াজ আসে ,,দরজার দিকে তাকিয়ে ব্যাক্তি গুলোকে দেখার সাথে সাথে চক্ষু চর গাছ,কারণ এরা আর কেও না the famous business man মিস্টার জাহিদ চৌধুরী অ্যান্ড তার ভাই রিক চৌধুরী,,

রোদেলা:আপনারা কারা!?

জাহিদ : বাহ ,, চিনো না আমাদের,,famous business man আমরা

রোদেলা:আমাকে এখানে আনার মানে কি,,??

রিক:relax miss rodela jannat bristy,, উরফে টীম অফ রেইনবো

রোদেলা বিস্মিত ,,ওরা জানলো কিভাবে

জাহিদ: ওহো মিস রোদেলা:ভুলে যাবেন না আমি একজন বিজনেস ম্যান,, আপনাদের বেপারে খোঁজ নিতে বেশি সময় লাগলেও খুঁজে বের করা impossible কিছু না,,,

রোদেলা কি করবে বুঝছে না,,,

রিক:তোমাকে আমাদের কাজ করতে হবে!!

রোদেলা: মানে?

জাহিদ:team of Rainbow’s কে শেষ করতে হবে!!

রোদেলা:whatt???

রিক: হ্যাঁ rainbow team এর সবাইকে মারতে হবে,,

রোদেলা:আর যদি না করি

জাহিদ রোদেলার দিকে গান তাক করলো,,

জাহিদ:you have to die

রোদেলা জাহিদের হাতে লাথি মারলো ফলে গান টা উপরে উঠে গেল আর রোদেলা catch করে আবার জাহিদের দিকেই তাক করলো,,

রোদেলা:আমাকে কি ভীতু পেয়েছেন,,প্রাণের ভয় থাকলে এই কাজ করতে যেতাম না,,

জাহিদ শব্দ করে হাসলো,,

জাহিদ :জানতাম তুমি মানবে না,,রিক

রিক: হ্যাঁ ভাই,,

রিক রোদেলাকে একটা ভিডিও দেখলো যেখানে একটা আশ্রমের সারা জায়গায় বোম ফিট করা,,আর বাচ্চাদের মাথায় গান তাক করা,,

রোদেলা:এগুলো কি ??

রিক: দেখো তুমি আমাদের কাজ না করলে এদের সবাইকে উপরে পাঠিয়ে দিবো

জাহিদ: তুমিই ভাব কি করবে ১৪ জন কে মেরে ৩০০০লোকের প্রাণ বাঁচাবে ,,নাকি ১৪ জনের বদলে ৩০০০ জনকে হারাবে

রোদেলা:মারতে তো আপনিই পারেন

জাহিদ: উহু,,আমি করলে ওদের কিছু হবে না,,খবর নিয়ে জানতে পারলাম গ্রুপ এ তোমাকে সবাই বিশ্বাস করে বেশি,,তাই যখন দেখবে তুমি ওদের সাথে বিশ্বাঘটকতা করছো ওরা অবাকের চেয়ে বেশি আঘাত পাবে যেটা আমি চাই,,

রোদেলা:আমাকে কেন বাঁচিয়ে রাখবেন

রিক: উহু ,, ওরা যাওয়ার পরই তোমাকে ও পাঠিয়ে দিবো,,

জাহিদ:কাওকে বললেই তোমার খেল খতম,,

রোদেলা কি করবে বুঝছে না,,,

রাস্তা দিয়ে এলোমেলো ভাবে হাঁটছে রোদেলা,,
কি করবে ও ,,
কাকে বাচাবে ,,আশ্রমের লোকেদের নাকি নিজের প্রিয় মানুষদের,,এমন পরিস্থতিতে পড়তে হবে কখনও কল্পনাও করে নি,,

তখনই সামনে থেকে আসছি একটা প্রাইভেট কার,,,কিন্তু রোদেলার খবর নেই,,সে ভাবনায় বেস্ট,,আজ নিজেকে সব চেয়ে অসহায় মনে করছে রোদেলা,, কার টা রোদেলাকে ধাক্কা দিবে এমন ভাব তখনই কেও হাত টেনে রাস্তার পারে নিয়ে গেলো,,

Are you mad?

কারো কণ্ঠ শুনে রোদেলা তার দিকে তাকালো,,মুখ থেকে অস্ফুট স্বরে বলল

রোদেলা: অলি….

অলি:হুমম,,

রোদেলা:তুমি এখানে ,,,

অলি: তুমিই একদিন বলেছিলে মেয়েদের দুর্বল হতে নেই ,,তাহলে আজ কেনো নিজেকে দুর্বল ভাবছো,,আর তুমি না rainbow team ,, সবার সাহায্য করো তাহলে আজ কেনো অসহায় মনে করছ

রোদেলা অবাক,,অলি কি সব জানে ,,কিন্তু কিভাবে

রোদেলা:তুমি…..

অলি:দেশের এবং তোমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী অচেনা কেও

রোদেলা স্তব্ধ।

চলবে

#The_team_of_Rainbow’s_lovestory

Writer: Sabrin Jahan

Part:12

Boys group and girls group এর সবাইকে চেয়ারে বেধে রাখা হয়েছে ,,, সবাই বেহুঁশ,,,সকালেই সবাইকে তুলে এনেছে জাহিদ চৌধুরী আর রিক চৌধুরী এর লোকের,,,
ওদের সামনেই বসে আছে রোদেলা,, সাথে জাহিদ চৌধুরী আর রিক চৌধুরী,,,
আর আশেপাশে আছে অজস্র গার্ড,,,
রোদেলা উদাসীন ভাবে তাকিয়ে আছে ওর প্রিয় মানুষগুলোর দিকে,,,এরা যে ওর খুব আপনজন,,আর রোদ্দুর ,,সে তো জানের থেকেও প্রিয় ,,কি করবে ও

তখনই সবার হুশ আসতে শুরু করলো ,,,,,রোদেলা চোখের জল মুছে নিলো ,,আর আল্লাহ কে স্মরণ করলো,,,

ওদিকে,, Rainbow team চোখ খুলতেই নিজের সামনে একটা মেয়েকে বস অবস্থায় দেখলো,,মেয়েটা ব্ল্যাক জিন্স , ব্ল্যাক গেঞ্জি আর তার উপর নিল কোট পরে আছে,,হাত রিভলবার মাথায় ব্লাক কেপ,,মুখে মাস্ক,,পাশে তাকাতেই দেখলো জাহিদ আর রিক চৌধুরী কে

ওরা নড়া চড়া করতে গিয়ে দেখতে পারলো ওরা বাধা অবস্থায়

জাহিদ: তো the great rainbow team,,,

সবাই অবাক , যে ও জানলো কিভাবে rainbow team এর মেম্বার কারা??

রিক : প্রেসার নিও না,,এইযে সামনে যেই মেয়ে বসে আছে ও বলেছে

রোদেলা হাত মুষ্টি করলো,,এখন ওদেরকে কষ্ট দিতে হবে ভাবতেই দম বন্ধ লাগছে,,,,কিন্তু হাজার মানুষের প্রাণ আর ওদের প্রাণ ,,,
ও কি করবে,,, চিৎকার করে কাদতে ইচ্ছে করছে ওর,,কিন্তু কি করার ,,পারবে না
সবার দৃষ্টি এবার মেয়েটার উপর,, রোদ্দুরের কেনো যেনো মেয়েটাকে চেনা চেনা লাগছে,,
রোদেলা মুখের থেকে মাস্ক সরালো,,সবাই বিস্মিত চোখে তাকিয়ে আছে ,, রোদেলা ওদের সাথে এই ভাবে বেইমানি করলো

জাহিদ: তো চিনতেই পারছেন আপনাদের বিশ্বস্ত মেম্বার কে

রোদ্দুর:রোদেলা এসব কি??

নওশীন: রোদ এগুলো কেনো বলছে ওরা?

অরূপ:বোন আমার ওরা তোকে জোর করেছে না,,

এরূপ আরো কথা সবাই বলছে,,,রোদেলা পারছে না সামলাতে ,,কিন্তু পারতে হবে,,জাহিদের দিকে চোখ যেতেই ওকে যা শিখিয়েছে তা বলতে শুরু করলো

রোদেলা:আমাকে কেনো জোর করবে ,, রোদেলাকে জোর করার মত কারো সাধ্য নেই

শ্রেয়া: তারমানে তুই বলত চাস তুই ওদের সাথে যুক্ত,,,

বলেই ওরা সবাই হাসতে শুরু করলো,,রোদেলা অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে,,

আরমান:৪ টা বছর ধরে দেখে আসছি তোমায়,,নিজের ছোট বোনকে এতো টুকু নিশ্চয়ই চিনি

রোদেলা অশ্রু সিক্ত নয়নে তাকালো

ঐশী:আর আমরা ছোট বেলা থেকে দেখছি,,,তাহলে আমরা কি করে বিশ্বাস করবো যে তুই আমাদের সাথে বিশ্বাসঘতকতা করছিস,,

রোদেলা: oh come on,,, এসব সেন্টিমেন্টাল কথা বাদ দেও

রোদ্দুর:আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বল তো যা বলছ মন থেকে বলছো,,,

রোদেলা তাকালো,,রোদ্দুর দেখলো ওর চোখে জল,,,, ও যে বড়ো সর বিপদ এ আছে তা বুঝতে পারলো

রিক:মিস রোদেলা শুট দেম,,সবার আগে ওই রোদ্দুর কে ,,, এর কারণেই আজ এই টীম,,,

রোদেলা কাপা হাত রোদ্দুরের দিকে রিভলবার তাক করলো,, রোদ্দুর মুচকি হাসি দিয়ে আছে,,,রোদেলা মনে মনে আওড়াচ্ছে

রোদেলা:আল্লাহ প্লীজ হেল্প ,,,প্লীজ

তখনই চুলের আড়ালে থাকা ব্লুটুথ ডিভাইস এ অলির কথা শুনতে পেলো

অলি:রোদেলা আপু done,, আশ্রমের সবাইকে বাঁচিয়ে নিয়েছি ,,আর তোমাদের ওখানে আসছি প্রায় এসে গেছি

রোদেলা এটা শুনার পর রোদ্দুরের দিকে বাঁকা হাসলো

রিক: শুট রোদেলা!!

রোদেলা এবার রিভলভার টা জাহিদের দিকে তাক করলো,

সাথে সাথে বসা থেকে উঠে দাড়ালো জাহিদ আর রিক

জাহিদ:এসব কি করছো!!

রোদেলা:ওদের বাঁধন খুলতে বলুন

রিক:ভুলে যাচ্ছ এর পরিণাম কি হবে

রোদেলা: রোদেলাকে চিনতে থোড়া সা মিসটেক কার দিয়া তুমনে,,এই রোদেলা বিনা ভাবনায় কাজ করে না

তখনই জাহিদের ফোন বেজে উঠলো

রোদেলা:পিক আপ দি ফোন
জাহিদ তুললো কারণ নিরব ফোন দিয়েছে ,,,

নিরব: স্যার জানি না কোথা থেকে পুলিশ এসে আশ্রমের সবাইকে বাঁচিয়ে নিয়েছে ,,,আর আমাদের কিছু লোক কে ধরে ফেলেছে আমি কোনো মতে বেচে এসেছি

জাহিদ ক্রুদ্ধ চোখে তাকালো,,,

রোদেলা:নিউজ টা ঝাক্কাস না,,ওদের খুলতে বলুন,,,

জাহিদ:untie them!!

সবাইকে বাঁধন মুক্ত করে দিলো,,,,রোদেলা তখন ওদের দিকে তাকিয়ে ছিল,,এই সুযোগে রিক রোদেলার হাত থেকে রিভলভার নিয়ে নেয়

রিক:মিস রোদেলা,,হেব্বি চালাক তুমি,,কিন্তু আমাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা ,,,এবার পস্তাও বলে শুট করলো,,কিন্তু কোনো গুলি বের হলো না

রোদেলা ফিক করে হেসে দিল ,,,

রোদেলা: রিভলবার টা খালি ই রেখেছিলাম,, যাতে ভুলবশত ও শুট না হয়,,

জাহিদ: গার্ড কিল দেম,,,

কিন্তু বেচারা তাকিয়ে দেখে রোদ্দুর রা অলরেডী ওদের বেধে ফেলেছে আর গান তাক করে রেখেছে

রোদেলা:উফ মাই কিউট টীম কত ফার্স্ট

রিক:তুমি,,(বলে রোদেলার গলা চেপে ধরে নিজের পিছন থেকে আরেকটা গান নিয়ে ওর মাথায় ধরলো)

জাহিদ: এবার কি করবে মিস রোদেলা

রোদ্দুর: লীভ হার,,

জাহিদ:তোরা আমার সব ব্যবসায় লোকসান করিয়েছিস ,,এত সহজে ছাড়বো না,,আমার মেয়ে পাচার চক্রের টিম কেও শেষ করেছিস,,ব্লাস্ট প্ল্যানিং এও বাধা দিসিশ ,,,ছাড়বো না তোদের ,,
। তখনই রিকের মাথায় আর জাহিদের মাথায় গান ধরে দাড়ালো দুই ব্যাক্তি,,,

রিক পাশে তাকিয়ে দেখে হাফসা,,

রিক:হাফসা…..

জাহিদ ও দেখে কিন্তু অবাক ,,,এটা তো অলি

জাহিদ:অলি তুমি
রিক:অলি?? ও তো হাফসা

জাহিদ:কে বলছে ও অলি,,

এই সুযোগে রোদেলাও ছাড়া পায়

অলি:উফ আমাকে নিয়ে এত কিসের চিন্তা,, হ্যাঁ আমি অলি মিস্টার জাহিদ চৌধুরী যাকে খেলনা মনে করে ইউজ করে ছুড়ে ফেলেছিলেন,,,

কেও কিছু বুঝছে না,,
রোদেলা:তাহলে শুনুন
???????
কালকে অলি বাঁচানোর পর

রোদেলা:কিন্তু তুমি,,তুমি কিভাবে কি,,তুমি তো প্রতিবাদের প ও জানো না,,

অলি: হ্যাঁ জানতাম না ,,কিন্তু সেদিন তোমার করা প্রতিবাদ আর থাপ্পড়ের কারণেই বুঝেছি মেয়েরা দুর্বল নয়,,,সেই থেকে জাহিদের এই নোংরা খেলা শেষ করতে চেয়েছি

রোদেলা:তুমি জানলে কিভাবে যে আমরা rainbow team,,?

অলি:যেদিন খানমকে মেরে ছিলে,,সেইদিন,,,রাতে বাবার ওষুধ ফুরিয়ে যাওয়ার জন্য ওষুধ নিতে গিয়েছিলাম,,,ভয় করলেও নিজেকে শক্ত রেখেছিলাম,, তখনি কিছু মানুষের কথা কানে আসে ,,,উকি মেরে দেখি তোমরা,,তোমাদের বলা কথা আর কাজ আমাকে আরো উৎসাহ দিয়েছে প্রতিবাদ করার,,

রোদেলা:তুমি সব খবর জানতে কিভাবে ,,,

অলি:জাহিন এর থেকে

রোদেলা:জাহিন?

অলি : হ্যাঁ,, জাহিনের ভাই ওই জাহিদের ভাই রিক এর ম্যানেজার,,উনি কাজটা করতে চান না ,,কিন্তু পেটের দায়ে আর বোনের পড়াশুনার জন্য করে,,উনি সব কিছু এসে জাহিন কে বলে আর জাহিন আমাকে,,কারণ ও আমাকে ভালো বন্ধু মনে করে,,জাহিন জানে আমি rainbow team কে চিনি,,কিন্তু কখনো বলে নি যে,ওরা কারা,,,আর আমিও বলি নি ,কারণ তোমরা নিজেদের পরিচয় সামনে আনতে চাও না,,আর টুকটাক খবর রিক ই বলতো,,,

রোদেলা:রিক?
অলি: হুঁ,,ওর girlfriend তো তাই

রোদেলা: girlfriend হয়ে ওদের ধোঁকা দিচ্ছ

অলি:ধোঁকা তো আমি পেয়েছি,,

রোদেলা: মানে?

অলি:রিকের ভাই জাহিদ কে আমি ভালবাসতাম,,কিন্তু সে অভিনয় করে গেছে শুধু,,,এক পর্যায়ে আমাদের ফিজিক্যাল হয়,,আর তখন আমাকে ছুড়ে ফেলে দেয়,,,ওর ভাইও এমন ,, এমনকি রোদ্দুর ভাইয়ার বোন ইরাকেও ওরাই মেরেছে,,
রোদেলা:হোয়াট?

অলি: হ্যাঁ,,ইরার উপর বাজে নজর ছিল,,ইরাকেও ফাঁসাতে চেয়েছিল ওর মায়া জালে কিন্তু ইরা অন্য কাওকে ভালোবাসতো,,,তাই ওকে তুলে নিয়ে গিয়ে(থেমে গেলো) ওদের শেষ না হওয়া পর্যন্ত শান্তি নেই,,আর তুমি আমার অনুপ্রেরণা,, শুধু তুমি না ফুল রেনবো টীম আমার অনুপ্রেরণা,,

রোদেলা:কিন্তু এখন ওরা জা বললো তাতো….

অলি: হুমম সেগুলো ও ভাবার বিষয়

রোদেলা:তুমি কিভাবে জানলে ওরা কি বললো?

অলি:আসলে কয়েকদিন আগে রিকের অপারেশন হয়েছিল,,, হার্ট এর কাছে গুলি লেগেছিল,,সেখানে এক নার্সকে বলে টাকার বিনিময়ে ওর বুকে একটা লিটল সফট ওয়্যার বসাতে বলি,, যার দরুন ওরা কি বলে শুনতে পাই…

রোদেলা:কি করবি বুঝছি না,,

অলি:কেনো !!

রোদেলা:কিভাবে একসাথে দুই জায়গায় গিয়ে তাদের বাঁচাবো

অলি:শুনো আমি আশ্রমে গিয়ে ওখানে ক্যামেরা ফিট করে রেখেছি,,তাই ওরা ওখানে গেলে আমি ফোর্স নিয়ে ওদের উদ্ধার করবো ,,আর তুমি ওদের কথায় মাতিয়ে রাখবে,,,

রোদেলা:হুমম,কিন্তু তুমি এত সাহসী হলে কিভাবে,, প্রথম দিন ছেলেটা সামান্য হাত ধরাতে ভয় পেয়ে গিয়েছিলে

অলি:তোমার থাপ্পড়ের প্রভাব(গালে হাত দিয়ে)

রোদেলা:বাহ,,তাহলে সবাইকে এক থাপ্পর এ সোজা করা যাবে

অলি ফিক করে হেসে ফেললো,,রোদেলা ও হাসলো,,কিন্তু ওর মনে চিন্তার শেষ নেই ,,,
এন্ড of ঘটনা
রোদ্দুর জাহিদ কে এলোপাথাড়ি মারতে থাকলো,,
রোদ্দুর:তুই আমার বোন কে মেরেছিস,,তোকে আমি ছাড়বো না,,
পুলিশ রোদ্দুর কে থামাতে ব্যাস্ত ওদিকে অরূপ হাত মুষ্টি করে রেখেছে,, শ্রেয়ার চোখ তা এড়ালো না
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে
হুট করে রিক অলি কে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালালো ,,তার পিছনে কয়েকটা পুলিশ গেলো ,কিন্তু জাহিদ পারলো না ,,তাকে আটক করে ফেললো,,

রোদ্দুর:দেখবেন এ যেনো পালাতে না পারে

অফিসার:জি
রোদ্দুর অরূপ কে জড়িয়ে ধরলো,,তার বোন টার সাথে কি হয়ে গেল,,,

রোদেলা গার্লস টিম এর কাছে গিয়ে গ্রুপ hug করলো,,

অনেক ভয়ংকর মুহুর্ত এগুলো রোদেলার কাছে,,
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ,,,অরূপ রোদেলার মাথায় চাটি মেরে বললো
অরূপ:বাহ কি দিলি রাস্তা

রোদেলা: অরুঈপ্পা তোকে বলছি রাস্তা বলবি না

অরূপ:হাজার বার বোলমু

আরিয়ান: তোমার স্টাইল টা মস্ত ছিল

রোদেলা:I know(ভাব নিয়ে)

রোদ্দুর : ইহ ,, ঢং,,,এটাকে স্টাইল বলে

রোদেলা:কেনো জ্বলছে তোমার(রেগে)

রোদ্দুর: যার তার স্টাইল এ এই রোদ্দুর জ্বলে না,,,,

রোদেলা:you,,,উগান্ডার মহারাজ,,,আমি কিন্তু খুন করে ফেলবো,,

রোদ্দুর:কিভাবে ,,,

রোদেলা:গলা।চেপে দিবো

রোদ্দুর:যেই না হাত,,

ব্যাস শুরু হলো এদের যুদ্ধ

প্রিয়া:হয়ে গেলো

নওশীন:এদের দেখলে কেও বলবে একটু আগে আমরা এত কিছু করলাম

আরমান: তুমিও এমন

নওশীন:ওই আমি কি করছি(রেগে)

আরমান:যেই চাটা গুলা দিছিলা (গালে হাত দিয়ে)
নওশীন:আরো দেওয়া দরকার

প্রিয়া:আবার তোরা স্টার্ট হইস না
ঈশান:তোমার জন্যেও প্রযোজ্য

প্রিয়া:আমি ঝগড়া করি নাকি,,,

ঈশান: তা নয়তো কি

প্রিয়া:এই কানা বাঁদর

ইমু:উফ,,শুরুটা করলি কি

আরিয়ান:ঝগড়া

ইমু:থামাও ওদের

আরিয়ান:আমি নাই,,পড়ে আমাকেও টানাটানি করবে

ইমু: ধেত

জুম: ইমুরে কি শুরু করলো এরা

রাজ:খুনসুটি

ঐশী:সবাই chuppppp

মুহুর্তে শান্ত

নাফি :এখন মনেই হচ্ছে না আমরা একটু আগে এত কিছু করলাম

সবাই হেসে দিল,,,
অলি দূরে দাঁড়িয়ে ওদের মিষ্টি ভালোবাসা দেখছিল,,, আজ ওর ও এমন একজন থাকতো ,,কিন্তু ভাগ্য

রোদ্দুর অলির কাছে। এলো,,,

রোদ্দুর:খুব ভালো কাজ করেছো,,তাই Rainbow team তোমাকে assistant হিসেবে নিযুক্ত করেছে

অলি লাফিয়ে বলল ,সত্যি
সবাই হাসলো

রোদ্দুর: হুঁ
.
.
.
চলবে……..
(কেমন লাগলো?)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here