The_team_of_Rainbow’s_lovestory
Part:13,14
Writer: Sabrin Jahan
Part:13
কেটে গেলো আরো কয়েকটা দিন,,, যতই দিন যায় ততোই লাইফে কিছু না কিছু পরিবর্তন হয়,,, Rainbow team এখনও সবাইকে সাহায্যের জন্য আছে,,আর অলি বেস্ট assist করে তাদের,,,
Rainbow team মিস্টার আজাদ কে নিউ জব সাথে জাহিন এর পড়াশুনার খরচের দায়িত্ব নিয়েছে ……
পশ্চিম আকাশে লাল আভা দেখা যাচ্ছে ,,,সূর্য ডোবার এই দৃশ্য কে খুব করে উপভোগ করছে রোদেলা,,,হুট করে কোলে কিছু পরার আভাস পেলো,,,তাকিয়ে যা দেখলো তাতে ও শেষ,,জোরে চিল্লিয়ে দাড়িয়ে গেলো
রোদেলা: আম্মু তেলাপোকা আ আ আ আ আ আ আ আ
ছোট বেলা থেকেই এই তেলাপোকা নামক জিনিষ টাকে অসম্ভব ভয় পায় রোদেলা,,,,হুট করে করো জোড়ে জোড়ে হাসির আওয়াজ পেল,,রোদেলা তাকিয়ে দেখে অপূর্ব,,,,,
অপূর্ব:রাস্তা তোর এর এই তেলাপোকার ভয় পাওয়া গেলো না ,,আর তুই নাকি rainbow team এর সদস্য?
রোদেলা : অপুইরবা খবর দার আমাকে রাস্তা বলবি না
অপূর্ব: একশোবার বলবো,, হজার বার বলবো,,রাস্তা mean রাস্তা
রোদেলা:তোকে আমি,,,
দিল দৌড়
(এবার অপূর্বের পরিচয় দেই….. অপূর্ব অরূপের ভাই ,,, মানে রোদেলার খালামনির দ্বিতীয় ছেলে,, অপূর্ব আর অরূপ ৬ মাসের ছোট বড়ো,, অপূর্ব rainbow team সম্পর্কে জানে,,ইভেন ও ও জইন হতে চেয়েছিল কিন্তু একটা ভালো জব পাওয়ায় চলে যেতে হয়েছিল খুলনা,,,,এখন আবার ট্রান্সফার হয়ে এখানে এসেছে,,,,)
খালামণি:শুরু হইছে এদের,,,
রোদেলা:মনি তোমার ছেলে আমাকে তেলাপোকা দিছে
খালামণি: অপূর্ব আসতে না আসতেই আমার মেয়ের পিছনে লাগছিশ
অপূর্ব: হ্যাঁ ঐ তো শুধু তোমার মেয়ে ,,আমরা কেও না
উপর থেকে নামতে নামতে অরূপ বললো
অরূপ:ঠিক বলছিস ভাই
রোদেলার এতক্ষণে খেয়াল হলো অপূর্ব খুলনা থেকে এসেছে
রোদেলা:by the auto রিকশা, ভাই-২ তুই যে আসবি বলিস নি তো
অপূর্ব রোদের মাথায় চাটি মেরে বললো এটাকে surprise বলে রাস্তা
রোদেলা:রাস্তা বলতে মানা করছি
অরূপ:ওই রাস্তাকে রাস্তা বলবি না ,,
রোদেলা:মনি….(নেকা কান্না করে)
মনি:আরেকবার আমার মেয়েকে কাদালে দুইটার কপালে শনি আছে
অরূপ আর অপূর্ব মুখে আঙ্গুল দিলো ,,আর রোদ খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো,,,
ঐদিকে
রোদ্দুরের মা:এহেম এহেম
রোদ্দুরের বাবা: ডাইনিং এ বসে এমন কাশি কেন দিচ্ছ,,,
তখনি রোদ্দুরের মা রোদ্দুরের বাবা কে কুনুই দিয়ে খোঁচা দিলেন,,
এদিকে রোদ্দুর ওদের কান্ড দেখেও কিছু বলছে না
কারণ ঘুরেফেরে একই কথা বাবা বিয়ে কবে করবি
রোদ্দুরের মা:বলছিলাম বাবা বিয়ে…
রোদ্দুর:আমি এখন বিয়ে করবো না মা
রোদ্দুরের বাবা:কেনো কেনো?
রোদ্দুর চুপ রইলো ,,,তারপর বললো
রোদ্দুর:আমি যাকে ভালোবাসি তার এক্সাম টা শেষ হোক তারপর বাকিটা
রোদ্দুরের মা বাবা দুইজনই দাড়িয়ে পড়ল,,
রোদ্দুরের মা:তুই ঠিক আছিস ,,তুই আর ভালোবাসা ,,,ওমা গো ,,,তুই রোদ্দুর তো(রোদ্দুরের কপালে হাত দিয়ে)
রোদ্দুর:মা….
রোদ্দুরের মা:আচ্ছা মেয়েটা কে রে??
রোদ্দুর :কালকে নিয়ে আসব দেখে নিও,,
রোদ্দুরের বাবা:সত্যি
রোদ্দুর: হুঁ
???????
Rainbow team একসাথে সাথে অপূর্ব ও ,,ওকেও যোগ দানের জন্য রোদ্দুর বলেছে ,,,
একসাথে হওয়ার কারণ প্রিয়া কি যেনো বলবে
অপূর্ব: আপানার নাম কি?
শ্রেয়া: শ্রেয়সী শ্রেয়া,,
অপূর্ব: অপূর্ব
শ্রেয়া:কি?
অপূর্ব: আব ইয়ে মানে আমার নাম অপূর্ব
শ্রেয়া: ও আচ্ছা
অপূর্ব:আচ্ছা ওই চশমিশ টা কে,,(অলি কে বলছে কারণ ও চশমা পর,,এদিকে অলি শুনেও কিছু বলে নি)
শ্রেয়া: ও অলি,,,আমাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট,,
অপূর্ব: ওহ,,, তো ওর চোখের পাওয়ার কত,,,,
অলি এবার মুখ খুললো
অলি: এক্সকিউজ মি…
অপূর্ব:ওহ আচ্ছা ,,কথা বলতে পারো ,,আমি তো বোবাও ভেবে নিছিলাম…
অলি:গত ৩মিনিট ৪১ সেকেন্ড যাবত আপনি আমাকে অপমান করছেন
অপূর্ব:তুমি এগুলার ও হিসেব রাখো
অলি:আপনি আমাকে অপমান করছেন ,,আর আমি হিসেব রাখবো না,,,
অপূর্ব: ও হে,,ভুলেই গেলাম তো,, চশমিশ রা একটু হিসেবী হয়
অলি:আপনাকে আমি কি যেনো ,,,(রোদেলার দিকে তাকিয়ে) এই রোদ আপু ঐটা কি। যেনো বলো তুমি,,কিসে চুবাবে
রোদেলা:পচা মাছের নর্দমায়?
অলি: হ্যাঁ,,আপনাকে আমি পচা মাছের নর্দমায় চুবাব,,,,,
অপূর্ব: ওয়াহহ আরেক এলিয়েন এর থেকে এলিয়েন মার্কা কথা শিখছে,,
রোদেলা:কি আমি এলিয়েন
রোদ্দুর:অবশ্যই,,
রোদেলা:আপনি এলিয়েন,,আপনার বউ এলিয়েন
রোদ্দুর: একই তো
রোদেলা: আম্মি…..
অপূর্ব: আম্মি (ভেঙিয়ে)
শ্রেয়া:আচ্ছা এবার অফ যাই
অপূর্ব:তুমি বলছো যখন তাহলে অফ যাই
ঐশী: বাবা,,কি চলে,,
শ্রেয়া ভ্রু কুঁচকে তাকালো,,কিন্তু কিছু বললো না
অন্য দিকে অপূর্বকে শ্রেয়ার পাশে সহ্য হচ্ছে না অরূপের,,,
নওশীন:প্রিয়া আধা ঘণ্টা যাবত কি বলবি বলবি করছিস
ঈশান :আমি বলি আগামী সপ্তাহে আমার আর প্রিয়ার বিয়ে,,আর পরশু এনগেজ মেন্ট
রোদেলা লাফিয়ে উঠলো
রোদেলা:ওয় হয়,,বিয়া খামু,,বেস্ট ফ্রেন্ড এর বিয়া ,,কি মজা কি মজা
রোদ্দুর:লাফাও কম
রোদেলা:huh
জুম: আহা কি আনন্দ
নওশীন:আকাশে
ঐশী:বাতাসে
রোদেলা:লা লা লা লালা লালা
প্রিয়া লজ্জা পাচ্ছে
শ্রেয়া:যাক অবশেষে কেও তো বিয়ে করবে,,,
ঐশী:তুইও করে ফেল ,, এমনিতেও সিঙ্গেল তুই
শ্রেয়া মলিন হাসলো,, যা রোদ্দুর,রোদেলা আর অরূপ বুঝলো,,
অপূর্ব:সিঙ্গেল তো কি হয়েছে আমি আছি না…
শ্রেয়া: মানে?
অপূর্ব :বুঝতে পারবে..(দাত কেলিয়ে)
অলি:দাত ব্রাশ করেন নি
অপূর্ব: মানে
অলি:দাত এত হলুদ কেন সাদা বান্দর(আসলে অপূর্ব ও অরূপের মতোই,,সিক্স প্যাক বডি,ফর্সা ত্বক,,যাকে বলে সুদর্শন)
অপূর্ব:you….
অলি:huh ?
নাফি:আমাদের বিয়া কবে হইবো,,
রাজ:আসলেই
আরমান:লজ্জা শরমের মাথা খাইছে
ঐদিকে
আরিয়ান:ওদের বিয়ে শেষ হইলে আমিও বিয়া করমু
ইমু: কারে?
আরিয়ান :কেন ?? তোমাকে
ইমু:দেখা যাক,,আমার আব্বুর সামনে যেতে পারো কিনা
আরিয়ান:কেন তোমার বাবা কি police নাকি,,হলেও এই আরিয়ান ভয় পায় না
ইমু:পুলিশ না,, আর্মি
আরিয়ান দমে গেল,, তা দেখে ইমু ফিক করে হেসে দিল
অপূর্ব:আচ্ছা আমি গেলাম লিটল কাজ আছে
রোদেলা:তুই তো কাজীপাড়া দিয়ে যাবি ,, অলীকে ড্রপ করে দিস
অপূর্ব:এই ঝান্দুবাম কে..
অলি:আপু আমি এই সাদা বান্দরের সাথে যাবো না
রোদেলা:উফ থাকতো ,,,উপায় না পেয়ে যেতে হলো অলি কে
রোদ্দুর:রোদেলা চল
রোদেলা:কই,,,,
রোদ্দুর:গেলেই দেখতে পাবে ,,,
রোদেলা ও কথা না বাড়িয়ে উঠে গেলো,,,
বাকি সবাই তাদের পার্টনার নিয়ে গেলেও শ্রেয়া আর অরূপ বাকি,,,
শ্রেয়া হাঁটতে শুরু করবে তখনই অরূপ বললো
অরূপ:চলো ড্রপ করে দেই
শ্রেয়া:লাগবে না
অরূপ:কেনো
শ্রেয়া:আমি একাই যেতে পারবো
এই বলে হাটা শুরু করলো তখনই হাতে টান পড়লো
তাকিয়ে দেখলো অরূপ ওর হাত ধরেছে,,
শ্রেয়া:কি হলো
অরূপ:গাড়িতে উঠও,,
শ্রেয়া: বললাম তো আমি যেতে পারব
অরূপ:লাস্ট বার বলছি উঠ
শ্রেয়া:আমিও লাস্ট বার বলছি উঠবো না
হুট করে অরূপ এমন এক কাজ করলো যা শ্রেয়ার ধরা ছোঁয়ার বাইরে,,অরূপ ওকে কোলে তুলে নিয়ে গাড়ির সামনের সিট এ বসালো,, এদিকে শ্রেয়া শকড কি থেকে কি হলো বুঝছে না
চলবে…..
#The_team_of_Rainbow’s_lovestory
Writer: Sabrin Jahan
Part:14
গাড়ি চলছে নিজ গতিতে,,,শ্রেয়া অরূপের ব্যাপারটাকে seriously নেয় নি,,কারণ ও জানে অরূপ যা বলে তা করবেই,,এই ভেবে সিটের সাথে হেলান দিয়ে চোখ বুজে রইলো,,,কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ল,,,অরূপ ড্রাইভিং করছে ,,হটাৎ চোখ যায় শ্রেয়ার দিকে,,মেয়েটা ঘুমিয়ে পড়েছে,,,ঘুমন্ত চেহারায় হটাৎ ইরার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠলো,,মুহূর্তেই জোড়ে সরে ব্রেক কসলো
আচমকা ব্রেক কসাতে শ্রেয়া কিছুটা ঝুঁকে পড়ল ,,আর ঘুম ভেংগে গেল,,কি হইছে বুঝার জন্য অরূপের দিকে তাকালো,,দেখলো অরূপ স্টিয়ারিং এ হেলান দিয়ে আছে,,
শ্রেয়া:অরূপ ভাইয়া কি হয়েছে?
অরূপ শ্রেয়ার দিকে তাকালো,,কেনো জানি শ্রেয়া আর ইরাকে ওর একই রকম লাগে ,,সেই চোখ,,সেই মায়াবী চেহারা ,,, কিন্তু কিভাবে ??? এত মিল,,নাকি চোখের ভুল
শ্রেয়া:কি হয়েছে?
অরূপ:আব..সামনের এক বিড়াল এসে পড়েছিল
শ্রেয়া: ও
অরূপ আবার গাড়ি স্টার্ট করল
কিন্তু ভাবনা লেগেই আছে
ঐদিকে
রোদ্দুর আর রোদেলা একটা বড়ো বাড়ির সামনে নামলো
রোদেলা:wow ,, কত কিউট বাড়ি
রোদ্দুর:ভিতরে চলো
রোদেলা আর রোদ্দুর ভিতরে গেলো
রোদেলা:এটা কোথায় আসলাম?
রোদ্দুর:তোমার শ্বশুর বাড়ি
রোদেলা: মানে?
রোদ্দুর:শ্বশুর বাড়ি বলতে কি বোঝায়?
রোদেলা কিছুক্ষন ভাবলো
তারপর মৃদু চিৎকার করে বললো
রোদেলা: মানে তোমার বাড়ি??
রোদ্দুর: জী মহারানী
রোদেলা:তুমি আগে বলবে না,,আমি এভাবে এসেছি আমার শ্বশুর শাশুড়ির সাথে
আসলে রোদেলা blue jeans আর baby পিংক কুর্তি পরে আছে,,,
তখনই রোদ্দুরের মা রহিমা এলেন,,সাথে তার বাবা করিম,,,,,
রহিমা:এটা কে রে রোদ্দুর?
রোদ্দুর: কালকেই তো বললাম ওকে নিয়ে আসবো
রহিমা লাফিয়ে উঠলেন
রহিমা:এটা আমার বউ মা
রোদেলা অবাক হয়ে উনার বাচ্ছামো দেখছে,,,,
রোদ্দুর রোদেলার পাশে দাঁড়ানো ছিল
রহিমা:এদিকে আসো মামনি,,এই সর তো(রোদ্দুর কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে)
রোদ্দুর:ওমা,,এখন দেখি আমাকেই চিনো না
করিম:তোকে চেনা লাগবে না,, দূর হ ,,মা তুমি এখানে বস।
রোদ্দুর: ওয়াহ আমাকে এখন কেও পাত্তাই দিচ্ছে না,
রহিমা রোদেলা কে সোফায় বসালো,আর করিম পাশে বসলো,, রোদেলা ও বেশ ভাব জমিয়ে নিল ওদের সাথে
রহিমা:এই যা,,তুই কি খাবি বল,,জানিস আজকে মাফিন বানিয়েছি,,তুই খাবি??
রোদেলা:মাফিন তো আমার favourite ,,, জলদি দেও আণ্টি
করিম:আণ্টি কি হে,,,ওকে মামনি আর আমাকে বাবাই বলবি
রোদেলা:ওকে বাবাই
রোদ্দুর:আমিও আছি এদিকে
রোদেলা:তুমি বাদ,
রোদ্দুর:?আমাকে এখন কেও চিনে না
সবাই হাসা শুরু করলো
রহিমা: ইরাও একদম তোর মত..(থেমে গেলেন)
মুহূর্তেই সব চুপ,,রোদেলা অবস্থা বুঝতে পেরে বললো
রোদেলা: আমি তো ইরারি মত তাইনা যাই হোক এবার মাফিন দেও
রহিমা রোদেলার মাথায় হাত বুলিয়ে রান্না ঘরে গেলেন
ওদিকে রোদ্দুর আর ওর বাবার ও মন খারাপ
রোদেলা:এই রোদ্দুর
রোদ্দুর: হুমম
রোদেলা:আমি তো একটা ভুল করে ফেললাম
রোদ্দুর:কি ভুল(ভ্রু কুচকে)
রোদেলা: মামণিকে তো বললাম আমি ইরার মত
রোদ্দুর:হুমম তো
রোদেলা:সেই হিসেবে আমি তোমার বোনের মতো তাই না??
রোদ্দুর কিছুক্ষণ চুপ থাকলো ,,আসলে রোদেলা কি বলেছে তা বোঝার চেষ্টা করছে,,বুঝতে পুরো ১মিনিট লাগলো
রোদ্দুর:তোমাকে তো আমি(তেরে গিয়ে)
রোদেলা কে আর পায় কে
এক ছুটে রহিমা যে দিকে গেছে সেদিকে গেলো
ঐদিকে করিম হুহা হেসে দিল,,,,,,,
রোদ্দুর ও হালকা হাসলো,,,মেয়েটা মন ভালো করার ক্ষমতা রাখে
রোদেলা রান্না ঘরে আসলো
রোদেলা:মামনি
রহিমা:বল…এই নে মাফিন
রোদেলা:wow ইয়াম্মি,,,,
রোদেলা মাফিন খাচ্ছে আর রহিমা দেখছে
রহিমা:ইরা টাও না তোর মত মাফিন খেতে খুব পছন্দ করত,,
রোদেলা তাকালো,, রহিমার চোখে জল
রোদেলা:কাদঁছো কেনো ,,,আমি তো ইরা,,,,,তাই না
রহিমা:না বাবা,,তোকে ইরা বানালে রোদ্দুর এর বোন হতে হবে
দুইজনই হেসে উঠলো,,,
রহিমা:নিজের বরের রুম দেখেছিস
রোদেলা:বর??
রহিমা: কয়েকদিন পর তো বর ই হবে
রোদেলা হালকা হাসলো,,
রহিমা: যা দেখে আয়,, উপরে ঘর
রোদেলা গেলো উপরে ,,,,,,নিচে রোদ্দুর কে দেখে নি,,,কিন্তু সমস্যা হলো রোদ্দুরের রুম কোনটা ,,এখানে তো তিনটা রুম ,,,রোদেলা কিছু না ভেবে প্রথমটায় ঢুকলো,,
রোদেলা:এটা তো লেডিস রুমের মত,,, রোদ্দুর কি আবার মেয়েলি সভাবের নাকি
পিছন থেকে রোদ্দুর বিষম খেলো,,, ও রুম থেকে বের হয়ে দেখে রোদেলা এই রুম এর ঢুকেছে
রোদেলা তাকালো
রোদেলা:এই তোমার রুম মেয়েদের মতো কেনো?
রোদ্দুর: ম্যাডাম এটা ইরার রুম
রোদেলা: ও আচ্ছা,,,,
সামনে থাকা এক দেয়াল ছবিতে তাকাতেই রোদেলা ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো,,,,
রোদ্দুর: কি দেখছো?
রোদেলা: এই মেয়েকে কেমন চেনা চেনা লাগছে,,,
রোদ্দুর:ঐটা ইরা হয়তো অরূপের ফোন এ দেখেছ
রোদেলা:আরে। না অরূপ তো ওর মোবাইল ধরতেই দেয় না,,আর আমি ইরাকে আজই দেখলাম,,,কিন্তু কেনো জানি চেনা চেনা লাগছে
রোদ্দুর:হয়তো দেখেছ কোথাও
রোদেলা:হুমম তাও হতে পারে,,,
রোদ্দুর:by the way,, নিচে কি বলছিলে তুমি আমার বোনের মতো
রোদেলা এবার ঢোক গিললো,,এই কথা তো ও ভুলেই গেছিলো
রোদেলা: হে হে ? কে বললো
রোদ্দুর: কে বললো না দাড়াও
রোদেলা এক লাফে খাটের উপর উঠে গেলো
রোদেলা:আচ্ছা সরি সরি আর হবে না
রোদ্দুর:মনে থাকবে
রোদেলা:হুমম
???????
ওদিকে
অপূর্ব আর অলি সারা রাস্তা ঝগড়া করতে করতেই গেলো,,,অপূর্ব অলীকে দিয়ে বাড়ি ফিরে এলো,,তখন অরূপ ও এলো
(বি দ্রঃ অনেকেই বলেন ৬ মাসের ছোট বড়ো কিভাবে হয় ,, তো বলি অরূপ যেদিন হয়েছে সেদিন থেকে ৬ মাস পর অরূপের মা আবার সন্তান সম্ভাবনা হোন যেটায় আছে অপূর্বের অস্তিত্ব )
অপূর্ব: হেয় ব্রো।
অরূপ: ফাট এখান থেকে
অপূর্ব ভ্রু কুঁচকে তাকালো
ভিতরে ঢুকতেই দেখতে পেলো তার মা আর রোদেলার মা,,,সোফায় বসে আছেন,,মনে হচ্ছে করো অপেক্ষা করছে
অরূপ:তোমরা এভাবে বসে আছো কেনো?
অরূপ এর মা(রিমি):রোদেলা কোথায়?
অরূপ: ফ্রেন্ড এর সাথে…
রোদেলার মা(রুনা):ওহ
রিমি:অরূপ তোমার সাথে কিছু কথা ছিল
অরূপ:বলো
রিমি:আমি আর রুনা তোর আর রোদেলার বিয়ে দিতে চাই
অরূপ:whatttttt?
রুনা: হ্যাঁ
অপূর্ব:তোমরা কি পাগল
রিমি:এখানে পাগলামির কি দেখলি
অরূপ:পাগলামির কি দেখলাম মানে ,,,রোদেলা কে আমি আমার নিজের বোন ভাবি,,,আর সেখানে তোমরা…
রিমি:দেখ অরূপ
অরূপ:দেখো মা রোদেলা আমার বোন,,,আমার কলিজার বোন,,,আর ও আমাকে মনে প্রাণে ভাই মানে বড়ো ভাই,,,,সেখানে বিয়ে impossible,,
বলে উপরে চলে গেলো
অপূর্ব:আমরা দুইজন ই ওকে বোন ভাবি নিজেদের,,,আজকে তোমাদের মত মায়ের কারণ হাজারও ভাই বোনের পবিত্র সম্পর্ক নষ্ট হয়,,, প্লীজ রোদেলাকে এসব বলো না
রিমি,রুনা মাথা নিচু করে রইল,,আসলেই ভুলটা ওদের ,,,ওরা তো দেখতেই পেত যে রোদেলা আর অরূপ ভাই বোনের মতো থাকে,………..
বিকেলে রোদেলা বাড়ি ফিরলো,,,,কিন্তু ওকে কেও কিছু বললো না,,,,
অপূর্ব:ওই রাস্তা
রোদেলা: অপুরবার বাচ্চা রাস্তা কইতে মানা করছি
অরূপ:এই অপূর্ব ওকে রাস্তা বলিস না ,,রাস্তা কে রাস্তা বললে ওর গায়ে লাগে
রোদেলা: মণি (নেকা কান্না করে)
রিমি:আবার আমার মেয়ের পিছনে লেগেছিস
অরূপ: নাতো আমরা তো রাস্তার পিছনে লেগেছি
রোদেলা:তোদের আমি
শুরু হলো পাগদান পাগডাই,,,,
রিমি:আসলেই ওদের মিষ্টি সম্পর্কে কি ভুলটাই না করতে যাচ্ছিলাম আমরা,,
রুনা: হুমম
ডিনার শেষে যে যার রুম এ,,,
রোদেলা এখনও ভাবছে ইরাকে ও কোথায় দেখেছে
তখনই মেসেঞ্জার এ কল আসলো শ্রেয়ার
রোদেলা:হেলো
শ্রেয়া: শুন কালকে baby pink কালার গাউন পরে ***** এখানে চলে আসবি
রোদেলা:কেনো??
শ্রেয়া:কাজ আছে বান্ধবী,,,এসে পড়িস,,আমি কিন্তু খুব এক্সসাইটেড,,টাটা
শ্রেয়া রেখে দিল,,,রোদেলা ভাবতে লাগলো মেয়েটা কি নিখুঁত অভিনয় করে হাসি খুশি থাকার,,আচমকা শ্রেয়ার প্রোফাইল পিকচার টা ভালো করে দেখা শুরু করলো
রোদেলা:এতটা মিল,,,,,
ইরার সাথে শ্রেয়ার চেহারা অনেকটাই মিল রয়েছে…
রোদেলা: মানুষে মানুষে মিল থাকে ,,,কিন্তু এতটা কি করে ,,,,, এ কোন নতুন রহস্য??
??????
অরূপ:আমি কি করছি ,,,,কেনো বুঝতে পারছি না ,, কি করা উচিৎ ,কেনো ,,, আমি শ্রেয়াকে তো ভালোবাসি না তাহলে কেনো ওকে অন্য কারো পাশে সহ্য করতে পারি না,,,
আনমনে এসব বলছিলো
তখনই অপূর্ব আসলো
অপূর্ব: ভালোবাসিস তাই
অরূপ অবাক চোখে তাকালো
অপূর্ব:দেখ ভাই তোর আর ইরার কথা আমি আগেই জানি,,,কিন্তু ইরা এখন নেই সেটা মানতে হবে,,, সারাজীবন তো একা থাকতে পারবি না,,,,নিজের কষ্ট,সুখ ,অনুভূতি এগুলো পরিবারএ শেয়ার করা ততোটা সহজ না যতটা মনের মানুষের কাছে সহজ,,ইরা তোর অতীত,,বলবো না ওকে ভুলে যেতে ,,ওকে ওর জায়গায় রাখ আর শ্রেয়াকে ওর নিজের জায়গা দে,,পড়ে ইরার মত যদি ওকেও হারিয়ে ফেলিস
অরূপ কিছু বললো না,, ও জানে রোদেলা অপূর্ব কে এসব বলেছে,,,
পরক্ষণে কিছু ভেবে মায়ের রুম এ গেলো,,,,
.
.
চলবে….