The_team_of_Rainbow’s_lovestory Part:15,16

0
1585

The_team_of_Rainbow’s_lovestory
Part:15,16
Writer: Sabrin Jahan
Part:15

রোদেলা: কুত্তী গুলা আমারে এমন চোখ বাইন্ধা অন্ধের মত রাখছিস কেন?

(রোদেলা কে বেবী পিংক গাউন পরিয়ে রাত আট টা থেকে ঘুর ঘুর করিয়ে রাত ১২ টায় একটা বাংলোয় নিয়ে এসেছে)

শ্রেয়া:উফ রোদ ,,এক্কেবারে বেশি কথা বলিস……

নওশীন:এখানে দাড়া

রোদেলা:কই তোরা??

কোনো সাড়া নেই ,,,

রোদেলা:নওশীন,,শ্রেয়া,প্রিয়া,জুম,ঐশী,ইমু….

রোদেলা আর সারা না পেয়ে চোখ খুলে ফেললো

চারপাশে অন্ধকার ,,, আশে পাশে কেউ নাই

রোদেলা: শ্রেয়া….

সমানে আবছা আলোয় এক ব্যাক্তিকে দেখা যাচ্ছে ,,, ব্যাক্তিটি কে চিনতে বেশ বেগ পেতে হলো না
রোদেলা:রোদ্দুর

রোদ্দুর হাতে গিটার নিল
Tu hi toh jannat meri, Tu hi mera junoon

Tu hi to mannat meri, Tu hi rooh ka sukoon

Tu hi aakhion ki thandak, tu hi dil ki hai dastak

Aur kuch na janu mein, bas itna hi jaanu

দুই পাশে হাত ছড়িয়ে শারুক খান স্টাইল এ দাড়িয়ে

Bazigar mein bazigar,,,
(বলার সাথে সাথে চারপাশে লাইট অন হয়ে গেলো,,,রোদেলা অবাক হয়ে দেখছে,,,একদম ওর মনের মত সাজানো,,,রোদেলা এবার রোদ্দুরের দিকে তাকালো,,রোদ্দুর হোয়াইট শার্ট তার উপর blue লেদার আর ব্ল্যাক জিন্স পড়ে আছে,,,চুল গুলো স্পাইক করা,,ঠোঁটে মিষ্টি হাসি,,,,অসম্ভব কিউট লাগছে ওকে)

Kaisi hai yeh doori, kaisi majboori

Meine nazron se tujhe choo liya(নাকে টোকা দিয়ে)

Oh ho ho Kabhi teri khusboo

Kabhi teri baatein

Bin mange yeh jahan pa liya(রোদেলার হাত ধরে ঘুরিয়ে)

Tu hi dil ki hai raunak,

Tu hi janmo ki daulat

Aur kuch na janoo

Bas itna hi janoo(রোদেলার চারপাশে ঘুরে)

Tujh mein rab dikhta hai

Yaara mein kya karu
Tujh mein rab dikhta hai

Yaara mein kya karu(গিটার বাজিয়ে)

Sajdhe sar jukhta hai

Yaara mein kya karuo

Tujh mein rab dikhta hai

Yaara mein kya karuo(ইশারায় কাওকে ডাকলো)

Vasdi vasdi vasdi, dil di dil vich vasdi

Nasdi nasdi nasdi, dil ro ve te nasdi

Rab Ne… Bana Di Jodi…..haiiiiii

Vasdi vasdi vasdi, dil di dil vich vasdi

Nasdi nasdi nasdi, dil ro ve te nasdi(তখনই রাজ,ঈশান,নাফি,আরিয়ান,অরূপ,আরমান,শ্রেয়া,জুম, নওশীন,ঐশী,ইমু,প্রিয়া,অলি আর অপূর্ব হাতে বেলুন নিয়ে বের হলো,,,প্রত্যেকটা বেলুন এ happy birthday রোদ লেখা)

রোদেলা মুখ চেপে ধরে দাড়িয়ে আছে….আজ যে ওর Birthday তা তো মনেই ছিল না,, সেই সাথে সারপ্রাইজ

Cham cham aaye, mujhe tarsaye

Tera saaya ched ke chumta(রোদ্দুর রোদেলার দিকে তাকিয়ে)

Oh ho ho… tu jo muskaye

Tu jo sharmaye

Jaise mera hai khuda jhumta

Tu hi meri hai barkat, tu hi meri ibadat

Aur kuch na janu, bas itna hi janu

Tujh mein rab dikhta hai

Yaara mein kya karu

Tujh mein rab dikhta hai

Yaara mein kya karu

Sajdhe sar jukhta hai

Yaara mein kya karu

Tujh mein rab dikhta hai

Yaara mein kya karu(সবাই একসাথে স্টেপ মিলালো)

Vasdi vasdi vasdi, dil di dil vich vasdi

Nasdi nasdi nasdi, dil ro ve te nasdi

Rab Ne Bana Di Jodi.. haiiiiii(বাকিরা)

গান শেষ হতেই সবাই একসাথে বললো happy birthday রোদু ☺️
রোদেলার চোখে জল
এমন না যে ওর বান্ধবীরা আগে কখনও সারপ্রাইজ দেয় নি
দিয়েছে কিন্তু এত সুন্দর করে কেও দেয়

রোদ্দুর:মহারানী কাদছেন কেনো?

শ্রেয়া:প্ল্যান টা কিন্তু রোদ্দুর ভাইয়ার,,,,,,কিন্তু আমরাও কম খাটিনি,,,

রোদেলা:জানি তো তোদের গোবর মাথায় এগুলো আসবেও না

প্রিয়া:দেখলি কিভাবে ইনসাল্ট করলো

নওশীন:ফাজিল মাইয়া

ইমু:✓বজ্জাত

জুম: পেত্নী

ঐশী: উগান্ডার মহারানী

রোদেলা ফিক করে হেসে দিল

অরূপ: তো মিস রাস্তা (রোদেলা চোখ গরম করে তাকাতেই )থুড়ি উগান্ডার মহারানী আপনার মহামূল্যবান পা টি এগিয়ে নিয়ে ওই সেন্টার টেবিলে চলুন আর কেক কেটে আমাদের উদ্ধার করুন

রোদেলা: আবেদন মঞ্জুর হলো

সবাই হেসে দিল ,,রোদেলা কেক কাটলো,,এখন পড়লো মহা বিপদে কাকে আগে খাওয়াবে ,,রোদ্দুর কে নাকি বান্ধবীদের নাকি ভাই দের,,, অবশেষে না পেরে নিজেই মুখে দিলো

অপূর্ব:এটা কি হলো??

রোদেলা:দেখ আমি নিজেকেই সব চেয়ে বেশি ভালো বাসি তাই নিজেই খেলাম?

প্রিয়া:বজ্জাত মাইয়া,,,,

রোদেলা সবাইকে একে একে খাওয়ালো,,,কিছুক্ষণ মজা করলো ওরা,,,,,তারপর সব কাপল রা তাদের কাপল দের নিয়ে বেরিয়ে গেলো,,,বাকি রইলো অরূপ ,অলি,অপূর্ব আর শ্রেয়া

অপূর্ব:চলেন মেডাম আপনাকেও drop করে দেই

অলি:দরকার নেই

অপূর্ব:ওকে ,,একই রাত তার উপর ভূতের উপক্রম,,সেই সাথে কুকুর এর ডাক ,,আচ্ছা টাটা

অপূর্ব চলে যেতে লাগলো,,,

অলি:ওই মিয়া দাড়ান আমিও আসছি(পিছু ডাকতে ডাকতে)

অরূপ:চলো

শ্রেয়া কিছু বললো না,,কারণ জানে বলে লাভ নেই,,,,যে যার মতো চললো

ঐদিকে

রোদেলা:বাড়িতে না নিয়ে এখানে আনলে কেনো ,,,

রোদ্দুর:surprise ?

রোদেলা ভ্রু কুচকে তাকিয়ে রইল

রোদ্দুর রোদেলাকে নিয়ে একটা নদীর পাড়ে এসেছে,,,

রোদ্দুর নদীর পাড় ঘেঁষে দাড়ালো,,,,,

রোদেলা বোঝার ট্রাই করছে রোদ্দুর আসলে করবে টা কি…..

রোদ্দুর:৩……..২………১………..(তখনই আতশবাজি বেজে উঠলো…রোদেলা উপরে তাকাতে দেখে আকাশে “I love you rodpakhi”লিখা …

রোদেলা অবাক চোখে চেয়ে রইলো
সামনে তাকিয়ে দেখলো রোদ্দুর হাঁটু গেড়ে বসে আছে

রোদ্দুর:”তো মাই উগান্ডার মহারানী,,,,,প্রথম যখন তোমাকে কারো জন্য লড়তে দেখেছি তখনই তোমায় ভালো লেগে যায়,,,তোমার সাথে ঝগড়া,যুদ্ধ অসম্ভব ভালো লাগা শুরু হয়,,,, অনুভূতি গুলো তখন বুঝতে পারলাম যখন একটুর জন্য তোমাকে হারাই নি(ট্রাক accident) বাকি সবার মত কাব্যিক ভাবে কিছু বলতে পারবো না কিন্তু এতটুকু বলবো তোমার ওই মায়াবী চোখের মায়ায় পড়েছি,,তোমার দুষ্টুমির মায়ায় পড়েছি,,তোমাতে আসক্ত হয়েছি,,,,গভীরভাবে,,,,,এখন এই মায়া কাটানো সম্ভব না,,এই আসক্তি দূর করা সম্ভব না,,থাকতে চাই এই আসক্তিকে নিয়ে,,,পড়তে চাই এই মায়ায় আরো হাজার বার,,,,দিবে কি অধিকার ,,,হবে কি আমার,,,হবে কি এই উগান্ডার মহারাজ এর মহারানী”

রোদেলা স্তব্ধ,,অবাক চোখে তাকালো,,,আজকের দিনটা এত সুন্দর কেনো??

রোদেলা:অবশ্যই আমার মহারাজ(রোদ্দুর এর কপালে ভালোবাসার পরশ দিয়ে)

রোদ্দুর উঠে দাড়ালো……

আলতো হাতে রোদেলা কে জড়িয়ে ধরলো,,,,,

তাদের এই ভালোবাসার সাক্ষী হিসেবে রইলো,,নদী,আকাশ ,,আর নিরবতা,,

??????????️

অরূপ শ্রেয়াকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেছে

ভিতরে ঢুকতেই শ্রেয়ার মা নেবি বললো

নেবী:কোথায় ছিলি এত রাতে…

শ্রেয়া:মা জানোই তো রোদেলার birthday,,,

নেবি: ঠিক আছে ,, রুম এ যা কালকে পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে

শ্রেয়া: মানে?

নেবী:কোনো মানে টানে না,, যা ঘুমা

শ্রেয়া কিছু বললো না ,, রুম এ গিয়ে রোদেলাকে কল করলো

রোদেলা তখন আজকে কি কি হলো ভাবছিল,,তখন ফোনটা বেজে উঠলো,,, শ্রেয়ার নম্বর দেখে খানিকটা চমকালো,,কারণ শ্রেয়া হাজার দরকার হলেও এত রাতে কল করবে না,,রাত ২ টা বাজে

শ্রেয়া: রোদ

রোদেলা:কি হয়েছে শ্রেয়ু,,,তোর কণ্ঠ এমন শোনাচ্ছে কেনো??.

শ্রেয়া: কালকে ছেলে পক্ষ দেখতে আসছে

রোদেলা:whatttt?

শ্রেয়া: তুই সকাল সকাল এসে হাজির হইস,,

বলে রেখে দিল,,রোদেলা,,এক দৌড়ে অরূপের রুমে হাজির

অরূপ:কীরে এরকম ম্যারাথন দৌড় শুরু করলি কেন?

রোদেলা:ভাই…শ্রেয়ার মানে শ্রেয়াকে কাল দেখতে আসছে

অরূপ:তো?

রোদেলা অরূপের কাছে গিয়ে বসলো,,,

রোদেলা:তুই সত্যি ওকে ভালোবাসিস না……

অরূপ:বাসি তো

রোদেলা বিষম খেলো

রোদেলা: বাসিস?

অরূপ:হুমম

রোদেলা:তাহলে এমন শান্ত ভাবে কিভাবে বসে আছিস,,ওরা যদি শ্রেয়াকে পছন্দ করে ফেলে তখন

অরূপ: বোনু have a relax ,,see you not for mind ?

রোদেলা ভেবাচেকা খেয়ে বললো: মানে?

অরূপ:কালকে ওকে আমারই দেখতে যাচ্ছি…

রোদেলা: ওহ আচ্ছা…(কিছুক্ষণ পর)kiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiii???

অরূপ: আরে চিল্লাস কেন??

রোদেলা:আগে বল তুই এত ফাষ্ট কেন?

অরূপ:দেখতে হবে না,,এই অরূপ টা কে

দুইজনই হাসা শুরু করলো!!!

?????
সকাল থেকে শ্রেয়া রোদেলার অপেক্ষা করছে,,কিন্তু ওর আসার নাম গন্ধও নাই,,,,ওদিকে পাত্রপক্ষ এসে গেছে

শ্রেয়া তাদের দিকে তাকায় নি পর্যন্ত ,,
উনারা বললো মেয়ে পছন্দ হয়েছে,,,
শ্রেয়ার খুব কান্না পাচ্ছে………

হুট করে একটা মেয়ে বললো

রোদেলা:এবার একটু তাকান আমাদের দিকে ….

রোদেলার আওয়াজ পেয়ে শ্রেয়া সামনে তাকালো,,,রোদেলা আর অরূপকে দেখে ও অবাক,,এরা এখানে কেনো??
.
.

চলবে………

#The_team_of_Rainbow’s_lovestory

Writer: Sabrin Jahan

Part:16

শ্রেয়ার ব্যাপারটা এখনও হজম হচ্ছে না,,,

রোদেলা:এবার ছেলে মেয়ে আলাদা কথা বলুক…

সবাই সহমত জানলো
শ্রেয়া অরূপ কে নিয়ে উপরে গেলো,, ছাদে….

রোদেলা:আমরাও গেলাম(অপূর্ব কে টেনে তুলে)

রোদেলার মা:কোথায় যাস

রোদেলা: গোয়েন্দাগিরি করতে

রোদেলার মা :না রোদু

রোদেলা:টাটা

রোদেলা অপূর্ব। কে নিয়ে দৌড়
আর তার মা মাথা চাপড়াচ্ছে

ছাদের এক কোণায় দাড়িয়ে আছে অরূপ আর শ্রেয়া
শ্রেয়া খালি ভাবছে এটা স্বপ্ন,,, একটু পর ভেঙ্গে যাবে ,,,
আরো না না আজগুবি কথা ভাবছে

অরূপ:মুখে কি কুলুব এটেছ (ফোন টিপতে টিপতে)
শ্রেয়া এবার অরূপের দিকে তাকালো
অরূপ এর ভাব এমন যে কিছুই হয় নি

শ্রেয়া: রিয়েলি?আপনি…..

অরূপ ওকে থামিয়ে বললো

অরূপ:এটা স্বপ্ন না বাস্তব

শ্রেয়া চেয়ে রইলো,,কথাটা বোধ গম্য হলো না
অরূপ ফোন পকেটে ঢুকিয়ে শ্রেয়ার দিকে তাকালো

অরূপ:তোমার মনে অনেক প্রশ্ন আমি জানি,,, তুমি ভাবছো হটাৎ বিয়ের সিদ্ধান্ত কেনো ,,,দেখো আমি ইরা কে ভালোবাসি,,,আর বেসে যাবো,,,আমি আগে ভাবতাম লাইফ এর প্রথম ভালোবাসাই শেষ ভালোবাসা,,কিন্তু আমি ভুল ,, হ্যাঁ দ্বিতীয় বারের মত কাউকে ভালোবাসলাম ,,,সেটা আর কেও না তুমি,,

এবার শ্রেয়া মনে প্রাণে বলছে ,,

শ্রেয়া:শ্রেয়া রে তুই স্বপ্নই দেখছিস,,এর বেশি দেখিস না ,,,উঠ উঠ,,জলদি উঠ,,,(বির বির করে)

অরূপ বুঝতে পড়লে
অরূপ:কি বিড়বিড় করছো

শ্রেয়া মেকি হাসি দিল…..হাত এ একের পর এক চিমটি কাটছে

শ্রেয়া:আর দিন ওই রোদের বাচ্চারে আমি উঠাই অথচ আমি নিজেই উঠতেছি না ,,আল্লাহ এই স্বপ্ন থেকে উঠায় নেও,,I mean জাগিয়ে দেও (বির বির করে)

অরূপ এবার বিরক্ত হলো… ও হুট করে শ্রেয়ার এক হাত টান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিল…..এদিকে শ্রেয়া চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছি,,,, শ্রেয়াকে আরো অবাক করে দিয়ে ওর কপালে ভালোবাসার পরশ দিল অরূপ,,,,শ্রেয়ার চোখ এবার বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম

অরূপ:এবার বিশ্বাস হইছে??

শ্রেয়ার বিশ্বাস হইছে মানে,,,, ও তো ফ্রীজ হয়ে আছে,,কি ঘটলো তা ভাবতেই কপালে হাত চলে গেলো

অরূপ এবার টুষ করে গালে কিস করলো?
শ্রেয়ার হাত এবার গালে,,,,,

অরূপ :আরো লাগবে বিশ্বাসের জন্য

শ্রেয়া চট জলদি বামে ডানে মাথা নাড়লো
ঐদিকে
রোদেলা: আস্তাগফিরুল্লাহ, নাউযুবিল্লাহ

অপূর্ব : ইন্নানিল্লা

রোদেলা:ভাই -২ এটা কি অরূপ ভাইয়া?

অপূর্ব:সেটাই তো আমিও বিশ্বাস করতে পারছি না?

রোদেলা:এখানে অলি নাই যে কিস করে বিশ্বাস করাবে..

অপূর্ব ওর মাথায় গাট্টা মারলো

অপূর্ব:বজ্জাত মাইয়া

রোদেলা:আমি জানি তো কি চলে?

অপূর্ব:মুখে ব্রেক মার?

রোদেলা: হুহহ,,,,আচ্ছা দেখি বাকি কাহিনী

রোদেলা আর অপূর্ব এতক্ষণ ওদের সব কাণ্ডই দেখছিল

অরূপ এবার শ্রেয়া কে ছেড়ে দিল

অরূপ:দেখো প্লীজ বি সিরিয়াস,,,,

শ্রেয়া:হুমম

অরূপ: হ্যাঁ আমি তোমাকে ভালোবাসি,,,কিন্তু আমি ইরাকে ভুলতে পারবো না,,,,আমি ওকে ভুলতে চাই ও না,,,কিন্তু..(অরূপ কে থামিয়ে)

শ্রেয়া:আমি আগেও বলেছি আমি নিজেও চাই। না আপনি ইরাকে ভুলুন,,,ইরা ওর জায়গায় ই থাক ….আমার নিজস্ব জায়গা চাই,,,, প্রথম ভালোবাসা না হতে পারি শেষ ভালোবাসা তো হতেই পারি তাই না??

অরূপ হালকা হাসলো

অরূপ : তো মেডাম ,, রিলেশন বিলেশন না করে ডিরেক্ট বিয়ে করছি ,,,চলবে ???

শ্রেয়া: দৌড়াবে (এই বলে অরূপকে জড়িয়ে ধরলো)

অরূপ ও হালকা হেসে জড়িয়ে ধরলো

ওদিকে
রোদেলা আর অপূর্ব এইটা দেখার পর

রোদেলা: ভাই-২ মিশন complete

অপূর্ব: Yeap বনু,,

রোদেলা আর অপূর্ব excitement এ চিল্লিয়ে বলে উঠলো : ইয়াহু

কিন্তু পরক্ষণেই দুইজনে মুখে আঙ্গুল দিলো

রোদেলা:?

অপূর্ব:?

????????
সেনাবাহিনীর অফিসার মিস্টার অজয় রায় এর সামনে হাঁটু কাপা নিয়ে দাড়িয়ে আছে আদরিয়ান….পাশেই ইমু হাত দিয়ে নখ কাটছে আই মিন দাত দিয়ে নখ কাটছে (বলে রাখা ভালো আদ্রিয়ানের মা নেই only বাবা)

অজয় বেশ ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে আরিয়ান কে…

অজয়:নাম কি?

আরিয়ান কাপা কাপা গলায় জবাব দিল
আরিয়ান: আ- রি- য়া- ন আ- আ- হ – মে – দ

অজয়:কি করো?

আরিয়ান: সটওয়্যার ই ই নজিনিয়ার

অজয়: তো বাবা তুমি কি জন্ম থেকে তোতলা

আরিয়ান এবার বিষম

আরিয়ান:ইয়ে মানে

অজয়:আমার মত একজন সাহসী সৈনক এর এমন ভীতু জামাই চলবে না

ইমু:বাবা listen

অজয়: নো।
অজয় উঠে চলে যেতে লাগলো,,,ইমু আহত চোখে আরিয়ান এর দিকে তাকালো…আরিয়ান ইমুর দিকে তাকিয়ে উঠে দাড়ালো

আরিয়ান: আপনি মানেন আর না মানে ইমু just এই আরিয়ান এর

এই কথা শুনে অজয় থেমে গেলেন,,ঘুরে তাকালেন আরিয়ান এর দিকে,,ইমু অবাক চোখে তাকিয়ে আছে

অজয়:আমি না চাইলে ওকে পাবে না তুমি

আরিয়ান:এই আরিয়ান আহমেদ চাইলে সব পারে,,,আমি আর ইমু একে অপরকে ভালোবাসি ,,,এখন আপনি না মানলে আর কি করার ,,আমরাই পালিয়ে যাবো

অজয়:একজন সেনাবাহিনীর অফিসার এর সামনে কথা বলছো তুমি সেটা কি ভুলে গেছো,,,,ভয় করছে না??

আরিয়ান:এতক্ষণ ভয় পেয়েই ছিলাম,,লাভ কি হলো সেই আপনি রিজেক্ট ই করলেন,,তো এখন একটু সাহসী হই,,,

অজয় কিছুক্ষণ ওর দিকে তাকিয়ে রইলেন,,পরক্ষণে হু হা করে হেসে দিলেন

অজয়:I like your সাহসিকতা,,,,,,you are selected ,, এটা বলে হাসতে হাসতে চলে গেলেন

তখনই ইমু ওর কাছে গেলো

ইমু: সিরিয়াসলি তুমি বাবার সামনে এভাবে কথা বলেছো

আরিয়ান ইমুর দিকে তাকিয়ে ধপ করে বসে পড়লো
সামনে দুই গ্লাস পানি ছিল ,, চট জলদি সব খেয়ে ফেললো ,,,ইমু এখনও তাকিয়ে আছে

আরিয়ান:আমি যে কেমনে বলছি সেটা আমি ই জানি,,,আল্লাহ গো ,,, মনে হইছে মৃত্যুর মুখ থেইকা উইঠা আইছি,,,(বুকে হাত দিয়ে)একটুর জন্য heart attack হয় নাই,,,,

ইমু কিছুক্ষণ তাকিয়ে জোড়ে জোড়ে হেসে দিল,,,,

ইমু:আমার আগেই বোঝা উচিত ছিল,,,,তুমি কি ?
?????
জুম এর বাবা জালাল সাহেবের সামনে বসে আছে রাজ,,, ও তার পরিবার

জালাল:তো তোমার বাবা মা জানে ..

রাজ:জি না ,,কিন্তু জানিয়ে দিবো

জালাল:দেখো ছেলে হিসেবে তোমাকে আমার বেশ পছন্দ হয়েছে ,,কিন্তু জুম মা তুই তো আমাকে একবারও জানালী না

জুম:বাবা

রাজ: আংকেল ও ই বলতো ,,কিন্তু আমরা চলে এসেছি

রাজের মা :তো বিয়ে কনফার্ম

জালাল: হ্যাঁ

রাজ চুপি সাড়ে জুম কে টেক্সট করলো

রাজ:”Happy”

জুম ও reply করলো

জুম: অনেক

?????????????
ঐশীর বাবার সামনে বসে আছে বিজনেস ম্যান ইমরান,,সাথে নাফি,,,

ঐশীর বাবা:এত বড় লোক আপনারা ,,আর আমাদের মত গরীবের মেয়েকে নিজের বাড়ির বউ করতে চান

নাফির মা: আরে গরীব ধনী ব্যাপার না মোট কথা আমরা মানুষ

ঐশীর বাবা ঐশীর সম্মতি চাইলে ঐশী মাথা ঝাঁকাল….

নাফি ঐশীকে সবার আড়ালে চোখ মারলো ,,ঐশী ঘুষি মারার reaction দেখালো

ব্যাস freely জুটি গুলোর ফ্যামিলি মেনে নিল,,

?????????

পরের দিন

একটা বড় রেস্টুরেন্ট এর সামনে দাড়িয়ে আছে rainbow team
অপূর্ব আর অলি বাদে
উহু একসাথে আসে নি ,,এসেছে আলাদা কারণ তাদের parents আসতে বলেছে,,,

সবার মনে একটাই প্রশ্ন ,,এখানে কেনো ডাকলো???
.
.
.
চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here