♠#The_Vampire_King♠,15,16
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_15
আঁধারঃ নো নো নো এটা ভালোবাসা না আমি কাউকে ভালবাসতে পারবো না। এটা শুধু মাত্র মোহ অন্য কিছু না। I am king #The_Vampire_King আমি কারো প্রতি দুর্বল হয়ে নিজেকে দূর্বল করতে পারবো না। শবনম শুধু প্রয়োজন প্রিয়জন না। ( মনে মনে)
আঁধারঃ ইয়ান ওদের বাড়ি পৌঁছে দে।
ইয়ানঃ জ্বি ভাই।
কথাটা বলেই আঁধার চলে যায় আর একবারের জন্যে ও পেছন ফিরে শবনমের দিকে তাকায় না।
♠♠ In Vampire Kingdom ♠♠
বিশাল কক্ষ। মোম বাতি দিয়ে আলোকিত হয়ে আছে চারোদিকে,,, পুরো কক্ষ জুরে প্রতিটি জিনিস কালো রঙের। বেড শিড থেকে ধরে জানালার পর্দা অবদি সব কালো। মোমের আলোতে অদ্ভুত সুন্দর লাগছে পুরো কক্ষটা। সব চেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে রুমে বিশাল একটা পিয়ানো রাখা। পিয়ানোটার এক সাইডে মোম রেখে দিয়েছে। মোম গুলো এমন ভাবে সাজিয়ে রেখেছে যে A অক্ষরের মত দেখা যাচ্ছে।
আঁধার নিজের রুমের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। ফাদার জোসেফ রুমের বাইরে দাঁড়িয়ে দরজা নক করে বলেন।
জোসেফঃ আসতে পারি আঁধার?
আঁধারের ধ্যান ভাঙ্গলো জোসেফ এর আওয়াজ শুনে।
আঁধারঃ সিউর ফাদার অনুমতির কি আছে।
জোসেফঃ অনুমতি তো নিতে হবেই আফটার অল তুমি কিং। ( রুমে প্রবেশ করে আঁধারের পাশে দাঁড়ালো)
ফাদারের কথায় আঁধার তাচ্ছিল্য হেসে আবার আগের মত আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল।
আঁধারঃ হুম আমি কিং একজন ভ্যাম্পায়ার কিং। কিং বলেই এতো প্রতিবন্ধকতা আমার জন্য।
ফাদারঃ শবনমকে আমি ছোট বেলা থেকে চিনি।
হঠাৎ ফাদারের মুখে শবনমের নাম শুনে অবাক হয় আঁধার।
আঁধারঃ আপনি কি বলতে চাচ্ছেন ফাদার ?
ফাদারঃ এটাই যে শবনমকে ছোট থেকে দেখে আসছি আমি। ওর স্কুল জীবন কলেজ জীবন সব আমার জানা। ওর প্রতি সব সময় বিশেষ খেয়াল রাখতাম আমি কারন,,,
আঁধারঃ কারন আপনি জানতেন যে ও Pure blooded. এক মাত্র ওই পারবে এই রাজ্যের #Vampire_King কে জাগিয়ে তুলতে?
ফাদারঃ হুম আমি সব জানতাম। ওর সাথে তোমার কিসমাত উপর ওয়ালা মিলিয়ে দিয়েছেন। তোমার পদে পদে ওকে প্রয়োজন হবে।
আঁধারঃ আর যখন ওর প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে তখন কি ও দূরে সরে যাবে আমার জীবন থেকে ?( জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে)
ফাদারঃ হয়তো!
ফাদারের কথায় বুকে ব্যথা অনুভব করে আঁধার। কিছু একটা হারিয়ে যাওয়ার ভয় জাগছে ওর মনে।
আঁধারের ফ্যাকাসে চেহারা দেখে শবনম এর প্রতি আঁধারের দূর্বলতা ঠিক বুঝতে পারছেন তিনি।
ফাদারঃ একটা কথা জানো আঁধার?
আঁধারঃ কি ফাদার?
ফাদারঃ অনেকে ভাবে ভালোবাসা ব্যক্তিকে দূর্বল করে তোলে কিন্তু কথাটা সম্পুর্ন ভুল। ভালোবাসার মত শক্তি অন্য কিছুতেই নেই। ভালোবাসা চাইলে মৃত্যুর মুখ থেকেও তার ভালোবাসার মানুষটিকে ফিরিয়ে আনতে পারে। তুমি হয়তো ভাবছো আমি এসব কথা তোমায় কেন বলছি,, আসলে তুমি সবার জন্য কিং হলেও আমার জন্য সেই আগের আঁধার ই আছো। তোমার মনের কথা না বললেও বুঝতে পারি আমি। আমি একটা কথাই বলবো তোমাকে।
ফাদার আঁধারের হাত উঠিয়ে ওর বুকের বা পাশে রেখে বলে,,,
ফাদারঃ সব সময় নিজের হৃদয়ের কথা শুনবে। always listen to ur heart…. মস্তিষ্ক সব সময় সঠিক হয় না কিন্তু হৃদয় কখনো ভূল হয় না।
আঁধার এতক্ষন মনযোগ সহকারে ফাদারের কথা শুনছিল ওনার কথার প্রতি উত্তরে ও তাচ্ছিল্য হেসে বলে।
আঁধারঃ যে হৃদয় স্পন্দিত হয় না তার কথা কি শুনবো ফাদার ? আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন যে ভ্যাম্পায়ার দের হার্ট আছে কিন্তু তাদের হার্ট বিট করে না। ভ্যাম্পায়ার দের হৃদয় মৃত it is frozen. এই হৃদয়ের কোন মূল্য নেই কারণ এতে কোন স্পন্দন নেই।
আঁধারের কথায় ফাদার মুচকি হেসে বললেন।
ফাদারঃ শবনমকে নিজের হৃদ স্পন্দন বানিয়ে নাও আঁধার। হয়তো ওর ভালবাসা তোমার হৃদয়কে স্পন্দন শিখিয়ে দিবে।
আঁধারঃ এটা কখনো সম্ভব নয় ফাদার,,, ( কড়া গলায়)
ভাগ্য তোমাদের দু’জন কে এক ডোরে বেধে গিয়েছে তাই তুমি যতই চেষ্টা করো ওকে নিজের থেকে আলাদা করতে পারবে না।
কারন ও যদি তোমার থেকে আলাদা হয়ে যায় তোমার অস্তিত্ব শেষ হয়ে যাবে আর তুমি যদি ওর থেকে দূরে সরে যাও ওর অস্তিত্ব শেষ হয়ে যাবে। This is destiny তোমরা দুজন যেই রাস্তা দিয়েই যাও না কেন তোমাদের মঞ্জিল একটাই হবে। পথ আলাদা কিন্তু ঠিকানা এক।
ফাদার কথা গুলো বলে রুম থেকে বের হয়ে যান। আঁধারের মাথায় শুধু ফাদারের কথা গুলো ঘুরঘুর করছে। মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ওর। এমনিতেই ও দোটানায় ছিল কিন্তু ফাদার এসে ওকে আরো গোলক ধাঁধায় আটকিয়ে দিয়ে গেলেন।
হঠাৎ করেই কোথা থেকে একটা প্রজাপতি উড়ে আসলো আঁধারের সামনে। লাল নীল সাদা আর কালো শেডের প্রজাপতি।
প্রজাপতি টা আঁধারের আশেপাশে ঘুরঘুর করছে। আঁধার গভীর ভাবে লক্ষ করছে প্রজাপতি টাকে। হঠাৎ প্রজাপতি টা উড়ে রুমের ভিতরে ঢুকে পরলো তারপর পিয়ানোর উপর বসে পরলো।
আঁধারঃ মুচকি হেসে ওটার দিকে তাকিয়ে বলল।
আঁধারঃ music is the only way to forget your pain……
আঁধার গিয়ে পিয়ানোর সামনে চেয়ারে বসে পরলো। অনেক বছর ধরে পিয়ানো বাজায় না ও। আঁধার একটা দুটো করে পিয়ানোর পয়েন্ট গুলো মিলাচ্ছে।
সুর মোটামুটি ভালো হচ্ছে। আঁধার নিজের চোখ বন্ধ করে বাজানোর চেষ্টা করে কিন্তু হঠাৎ চোখের সামনে শবনমের চেহারা ভেসে উঠে ওর। সাথে সাথে চোখ খুলে ফেলে আঁধার।
আঁধারঃ এটা কি ছিল? ( চমকে) ওর চেহারা আসছে কেন চোখ বন্ধ করলেই। নাহহ হয়তো মনের ভূল।
আঁধার আবার চোখ বন্ধ করে বাজানোর চেষ্টা করে কিন্তু এবারো শবনমের চেহারাই ভেসে উঠছে। আঁধার এবার নিজের চোখ খুলছে না বরং শবনমকে নিজের কাছে অনুভব করার চেষ্টা করছে।
কফিনে যখন শবনম ওকে মুক্ত করেছিল তখন শবনমের ভয়ার্ত চেহারা দেখেছিল আঁধার। যখন কলেজে ও শবনমকে ইনসাল্ট করেছিল ওর রাগি ফেস দেখেছিল আঁধার। যখন শবনমকে ক্লাসে দেখেছিল ওর ইনোসেন্ট ফেস দেখেছে আঁধার। আর আজ ওর কান্না মাখা চেহারা দেখলো ও।
প্রত্যেক রুপেই শবনমকে ওর কাছে ভিন্ন লাগছে। এটাকি ভালোবাসা নাকি মোহ সেটাই বুঝে উঠতে পারছে না ও।
♠♠ Next Day In College ♠♠
ক্যান্টিনে,,,,
ধ্রুবঃ আজকে কি ক্লাস করার মুড নেই তোর?
শবনমঃ না আমি ওই বাদামী চোখ ওয়ালার ক্লাস করবো ডেভিল এক নাম্বার। ( রেগে )
আশিশঃ এখন তো ম্যানেজমেন্ট ক্লাস ইয়ান স্যারের এটা কর পরে নায়হ আঁধার স্যারের ক্লাসে আসার আগেই পিছনের ডোর দিয়ে বেরিয়ে যাবো।
শবনমঃ ব্রিলিয়েন্ট আইডিয়া আশিশ। একটা কথা সত্যি বল তো?
আশিশঃ কি?
শবনমঃ তোর মত গাধার মাথায় এতো বুদ্ধি আসলো কোত্থেকে?
আয়রাঃ আমার সাথে থাকার সাইড ইফেক্ট,,, ( মজা করে)
আশিশ মুখ ঘুরিয়ে নেয় আয়রার কথায়। আর সবাই এতে হেসে দেয়।
♠♠ In Class ♠♠
কোয়েলঃ মর্নিং গাইজ ( ধ্রুবর পাশে বসে)
শবনমঃ মর্নিং কোয়েল।
ধ্রুবঃ আজকে লেট?
কোয়েলঃ আসলে ভাইয়া আজকে কলেজে দেরীতে আসবেন তাই আমি আঁধার ভাইয়ার সাথে এসেছি।
শবনমঃ ইয়ান স্যার না আসলে আমাদের ক্লাস নিবেন কে?
কোয়েলঃ ডোন্ট নো,,
শবনমঃ তার মানে আজকে ক্লাস হবে না। ( খুশি হয়ে )
ধ্রুবঃ হয়তো,,,
শবনম এক লাফে বেঞ্চ থেকে উঠে হোয়াইট বোর্ড এর সামনে দাঁড়ায় তারপর স্কেল দিয়ে টেবিলে বারি দিতে দিতে বলে।
শবনমঃ এটেনশননননন প্লিজজজজ। ( চেঁচিয়ে)
শবনমের কথায় সবাই ওর দিকে তাকালো।
শবনমঃ সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে আজকে আমাদের ইয়ান স্যার লেট আসবে তাই আজকে ওনার ক্লাস হবে না। যেহেতু ক্লাস হবে না সবাই ক্লাসে যার যার মত করে ইন্জয় করো পড়ার টেনশন খাতাম। আজকে ক্লাসে অনলি ফাননন।
সবাই তাল মিলিয়ে চেঁচিয়ে উঠে।
ধ্রুবঃ এই মেয়ে কখনো সুধরাবে না।
শবনম টিচার’স টেবিলে উঠে পা ঝুলিয়ে বসে কানে ইয়ারপ্লাগ লাগিয়ে নেয়। সবাই ক্লাসে হৈচৈ করছে। অনেকে কাগজ ছুড়াছুড়ি করছে আবার অনেকে বইয়ে মুখ গুঁজে আছে।
হঠাৎ করেই কেউ ছো মেরে শবনমের হাত থেকে ফোন কেড়ে আছার মেরে ফেলে দেয়। আচমকা এমন হওয়ার শবনম সহ সবাই ভয় পেয়ে যায়। শবনম চোখ তুলে তাকাতেই দেখে আঁধার ওর দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
আঁধারকে দেখেই সবাই যারযার পজিশনে সাইলেন্টলি বসে পরে।
শবনমের তো কলিজার পানি শুকিয়ে যায়। ভয়ে ঢোক গিলছে ও।
আঁধার আচমচা শবনমের হাত শক্ত করে ধরে ওকে টেবিল থেকে নিচে নামায়। আঁধার এতো শক্ত করে ধরেছে যে শবনমের ব্যাথা লাগে হয়তো হাতে দাগও বসে গেছে।
আঁধারঃ এটা কলেজের ক্লাস আপনার ক্লাব না যে যেটা খুশি সেটা করবেন। ( ধমক দিয়ে)
আর আপনারা কি করছিলেন এতক্ষন হাহ ভদ্রতা বলতে আছে কিছু আপনাদের নাকি?? ( বাকিদের উদ্দেশ্য করে)
আর আপনি ( শবনমকে) আপনার মত বেয়াদব স্টুডেন্ট আমি আমার লাইফে দেখে নি। এটাই শিখে এসেছেন টিচার না থাকলে তার অনুপস্থিতিতে পুরো ক্লাস নষ্ট করা।
শবনম মাথা নিচু করে শুধু শুনছে আঁধারের কথা কোন জবাব দিচ্ছে না।
আঁধারঃ চুপচাপ গিয়ে নিজের সিটে বসেন আর একটা হৈচৈ আমি শুনতে চাই না।
শবনম মাথা নিচু করেই চুপচাপ ওর বেঞ্চে বসে পরে।
আঁধারঃ আপনাদের ইয়ান স্যারের আসতে দেরি হবে তাই ওনার ক্লাস আমি নিব।
আঁধার বই বের করে সবাইকে কয়েকটা হিন্ট বুঝিয়ে দিচ্ছে আর আড়চোখে বারবার শবনমের দিকেই তাকাচ্ছে। শবনম বইয়ের দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে মাথা নিচু করে।
মুখটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। আঁধার কিছু একটা ভেবে বই হাতে শবনমের সামনে আসে।
আঁধারঃ Stand Up miss Shabnam…
শবনম দাঁড়িয়ে যায়। আঁধার বই বন্ধ করে ওর দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে।
To be continued…..
♠#The_Vampire_King ♠
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_16
আঁধার বই বের করে সবাইকে কয়েকটা হিন্ট বুঝিয়ে দিচ্ছে আর আড়চোখে বারবার শবনমের দিকেই তাকাচ্ছে। শবনম বইয়ের দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে মাথা নিচু করে।
মুখটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। আঁধার কিছু একটা ভেবে বই হাতে শবনমের সামনে আসে।
আঁধারঃ Stand Up miss Shabnam…
শবনম দাঁড়িয়ে যায়। আঁধার বই বন্ধ করে ওর দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে।
আঁধারঃ এ্যাডাম স্মিথ ( Adam Smith) এর লিখা গ্রন্থের নাম কি?
শবনম চুপ করে আগের মত মাথা নিচু করে আছে।
আঁধারঃ আমি কিছু জিজ্ঞেস করেছি!!
শবনমঃ চুপ,,,,
আঁধারঃ I knew it আপনার দ্বারা হবে না।
আঁধার চলে যেতে নিলেই শবনম বলে উঠে।
শবনমঃ The Wealth Of Nations…
আঁধার শবনমের দিকে ঘুরে তাকায়। শবনম নিজের চোখ তুলেছে এতক্ষনে। ওর চোখ অসম্ভব লাল হয়ে আছে হয়তো রাগে চোখের পানি আটকানোর ফলে চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে। চোখের নিচেও লাল হয়ে গেছে আর পাপড়ি গুলো ও ভেজা লাগছে। নাকও লাল হয়ে গেছে ওর।
আঁধার শবনমের দিকে তাকিয়ে আবার প্রশ্ন করলো।
আঁধারঃ Flow process chart এর ইনভেন্টার কে ?
শবনমঃ ফ্রাঙ্ক বাঙ্কার গিলব্রেথ।
আঁধার একের পর এক প্রশ্ন করেই যাচ্ছে আর শবনম রাগের চোটে আঁধারের চোখে চোখ রেখে সব উত্তর দিচ্ছে।
আঁধার ওর প্রতিটি উত্তরে অবাক হচ্ছে কারন ও ভেবেছিল শবনম একটারো উত্তর দিতে পারবে না কিন্তু এখন তার উল্টো টা হলো।
শবনমঃ আর কিছু জিজ্ঞেস করার আছে?
আঁধারঃ না।
শবনমঃ থ্যাংক ইউ।
শবনম নিজের ব্যাগ থেকে হলুদ শেডের সানগ্লাস বের করে পরে নিল। ( এই গ্লাস পরলে চোখ স্পষ্ট বুঝা যায় না তাই )তারপর ব্যাগ নিয়ে আঁধারকে ক্রস করে বেড়িয়ে গেল ক্লাস থেকে।
আঁধার এখনো শকড্ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শবনম বেরিয়ে যেতেই হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা লাগে।
শবনমঃ স্যরি।
রনিঃ ইট্স ওকে তুমি ঠিক আছো?
শবনমঃ হ্যাঁ।
ছেলেটিকে অদ্ভুত লাগছে শবনমের কাছে। চাহনিও কেমন যেন অদ্ভুত। শবনম ওকে এভোয়েড করে চলে যায়। রনি শবনমের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ডেভিল হাসি দেয়।
শবনমঃ মিম আপিইই,,,
মিম ক্লাসের দিকে যাচ্ছিল শবনমের ডাকে ওর কাছে আসে।
মিমঃ ক্লাস টাইমে বাইরে কেন তুই?
শবনমঃ ইয়ান স্যার আসে নি তাই ক্লাস করিনি। তুমি বাইরে কেন, ( ভ্রু কুঁচকে)
মিমঃ টিচার্স রুম থেকে ফাইল নিয়ে আসলাম। আর তুই কলেজে সানগ্লাস পরে আছিস কেন?
শবনমঃ আব আসলে দি একটু চোখ ব্যথা করছে আলো লাগলে প্রবলেম হয় তাই।
মিমঃ ব্যথা করছে মানে? বেশি সমস্যা হচ্ছে ? তুই মেডিসিন নিয়েছিলি?
শবনমঃ চিললল কর দি। একটু ব্যাথা করছে এতো হাইপার হওয়ার কিছু নেই।
মিমঃ তুই কোথায় যাচ্ছিস এখন তাও একা?
শবনমঃ লাইব্রেরি। ওকে বাই তুই ক্লাসে যা।
মিমঃ সাবধানে যা।
মিম ওর ক্লাসে চলে যায় আর শবনম উপরে লাইব্রেরিতে। এতক্ষন রাগ লাগলেও এখন সেই রাগটা শবনমের মাঝে নেই।
♠♠ In Library ♠♠
সবাই যার যার বইয়ে মুখ গুঁজে আছে। শবনম শেল্ফের কাছে গিয়ে নিজের পছন্দ অনুযায়ী বই খুঁজছে।
বই খুঁজতে খুঁজতে ও একদম শেষের শেল্ফের কাছে চলে যায়। এই জায়গাটা পুরোই নীরব।শেল্ফের সাথে ঝুলিয়ে রাখা লাইট গুলো জ্বলছে আর নিভছে। হঠাৎ এমন কেন হচ্ছে শবনম বুঝতে পারছে না। আচমকা একটা বাতাসের মত কিছু ওর পেছন দিয়ে গেল। শবনম চমকে পেছনে তাকালো কিন্তু কেউ নেই।
শবনম ভয় পেয়ে গেছে যার কারনে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে ও। শেল্ফের ফাঁকা সাইডে ব্যক্তি টি লুকিয়ে আছে।
শবনমঃ কেউ ই তো নেই তাহলে এমন লাগল কেন কেউ পেছন দিয়ে গিয়েছে। ( ভয়ে ভয়ে)
শবনম আবার শেল্ফের দিকে ঘুরে বই খোঁজায়
মনযোগ দেয়।
শেল্ফের পেছন থেকে লোকটি বেরিয়ে আসে। লোকটি কোন সাধারন মানুষ নয় বরং একজন ভ্যাম্পায়ার। চেহারা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর তার। রক্তিম চোম হিংস্র চোয়াল দাঁত। নোখের আকার অনেক বড়। এক কথায় কোন ভয়ঙ্কর প্রাণীর মত।
[ এসব ভ্যাম্পায়ার দের Level_E টাইটেল দেয়া হয়েছে। কারন এরা সবচেয়ে হিংস্র হয়ে থাকে অন্য ভ্যাম্পায়ার দের তুলনায়। এরা নিজেদের রক্তের পিপাসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না অন্য ভ্যাম্পায়ার দের মত ]
ভ্যাম্পায়ার টি শবনমের পেছনে দাঁড়িয়ে ওর ঘারের দিকে নিজের মুখ বারায়। ভ্যাম্পায়ার টির দাঁত প্রায় ছুঁই ছুঁই শবনমের ঘার পর্যন্ত।
To be continued…..