The_Vampire_King ♠️,21,22

0
1428

♠️ #The_Vampire_King ♠️,21,22
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_21

আঁধারঃ আমাদের এই জঙ্গল থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজতে হবে সো সেই দিকে কনসেনট্রেট করো।

শবনমঃ এখান থেকে বের হওয়া তো একদম সোজা। ( ভাব নিয়ে)

আঁধারঃ কিভাবে‌?

শবনমঃ ‌এই যে আমরা একদম বরাবর আই মিন সোজা রাস্তায় হাঁটতে থাকবো। হাঁটতে হাঁটতে কোন না কোন পথ তো পেয়েই যাব।

আঁধারঃ বাহ কি সুন্দর আইডিয়া,,, এ ধরনের আইডিয়া তুমিই দিতে পারো।( দাঁতে দাঁত চেপে)

শবনমঃ অবভিয়াসলি আমি ছাড়া এতো ব্রিলিয়ান্ট আইডিয়া কার মাথায় আসতে পারে আফটার অল‌ আ’ম শবনম ওকে,,,( কপালের ‌চুল‌ গুলো ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে বাট চুল ভেজা হওয়ায় উড়লো না)

আঁধারঃ তোমার নিজের চুলই‌ তোমার কথা শুনে না অন্যরা কি শুনবে,,,( চাপা হেসে)

শবনম আঁধারের কথায় রাগ দেখিয়ে নিজের নিজের হাত দিয়েই চুল সরালো।

শবনমঃ শয়তান রেজওয়ান,,,( মিনমিনিয়ে)

আঁধারঃ সন্ধ্যা হয়ে আসছে আমাদের যাওয়া উচিৎ এখান থেকে।

আঁধার সামনে হাঁটছে আর‌ শবনম ওর পেছনে। শবনম হাঁটছে কম আর গাছের পাতা ছিরছে বেশি। হঠাৎ আঁধার ধমক দিয়ে উঠে ওকে ভয় পেয়ে কেঁপে উঠে শবনম।

আঁধারঃ একটা গাছের পাতাও ধরবে না এগুলো বিষাক্ত হতে পারে।

শবনম নিজের বুকে থুতু দিয়ে আঁধারের দিকে রাগি ভাবে তাকিয়ে বলে।

শবনমঃ এভাবে ধমক দিয়ে বলা লাগে সুন্দর ভাবে কথা বলতে পারেন না।( ভয়ে ভয়ে)

আঁধার আচমকা শবনমের হাত ধরে টান দিয়ে সরিয়ে নিজের কাছে আনে। শবনম ভয় পেয়ে যায় আঁধারের কাজে। ও কিছু বলতে নিলেই আঁধার বলে উঠে,,,

আঁধারঃ ডোন্ট মুভ,,

শবনম স্টিল হয়ে দাঁড়িয়ে গেল‌ তারপর কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল,,

শবনমঃ‌ ক কেন??

আঁধারঃ‌ তোমার হাতের পেছনে একটা স্পাইডার এটা বিষাক্ত হতে পারে।

আঁধারের কথায় শবনম চোখ বড় বড় করে ফেলে এমন লাগছে এক্ষুনি হার্ট অ্যাটাক করবে।

আঁধারঃ একদম নরবা না,,

শবনম চোখ বুঁজে হ্যাঁ বলল। স্পাইডার টা আসলেই ‌বিষাক্ত কারন নরমাল স্পাইডার জঙ্গলে পাওয়া যায় না সাধারনত। বিষাক্ত গুলোই জঙ্গলে‌ বা বিষাক্ত গাছে থাকে।

আঁধার শবনমের হাতের উপর থেকে স্পাইডার টা তুলে নিচে ফেলে দিল। আঁধার স্পাইডার টাকে পা দিয়ে পিষে ফেলতে নিলেই ‌শবনম আঁরারকে বাঁধা দেয়। স্পাইডার টা তৎক্ষণাৎ শুকনো গাছের পাতার আড়ালে চলে গেল।

আঁধারঃ এটা কি করলে তুমি স্পাইডার টা বিষাক্ত ছিল এটাকে মেরে ফেলা উচিত ছিল আমাদের। নেক্সটে অন্যকরো ক্ষতি করতে পারে এটা।

শবনমঃ এটার মধ্যে বিষ আছে তাতে এটার কি দোষ।আপনি একে কেন মারবেন। আল্লাহ যদি এটার মাঝে বিষ দিয়েছেন তাতে ওর তো কোন দোষ নেই।

আঁধারঃ এটা যদি তোমার শরীরে নিজের বিষ দিয়ে দিত তখন আর দোষ গুণ বিচার করতে না তুমি। সোজা এটাকে মারার জন্য লেগে পরতে।

শবনমঃ‌ একদম না। কেউ কখনো স্বেচ্ছায় কারো ক্ষতি করে না। যখন আমরা কাওকে নিয়ে ইনসিকিওর ফিল‌ করি তখনই তাদের ক্ষতি করার চিন্তা মাথায় আসে।এই প্রানি গুলোর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এরা নিজেকে বাঁচাতে ‌অন্যদের উপর আক্রমণ করে। যখন দেখে এদের জীবন বিপদে আছে তখন।

আল্লাহ সব প্রানি এবং জীবের মধ্যে একটা না একটা বিশেষ কিছু দিয়েছেন যা তাদের অন্যদের থেকে আলাদা করে। তাই বলে‌ এটা না যে আমরাও তাদের ক্ষতি করবো।

আঁধার অবাক হয়ে শবনমের কথা শুনছে। কারন ওদের ভ্যাম্পায়ার দের জীবনও‌ এই স্পাইডার দের মত‌। ওদের মধ্যে বিষ নেই তবে নেশা আছে তাও রক্তের।

আঁধারঃ তুমিও এতো জ্ঞানের কথা বলতে পারো বাহ,,

শবনমঃ একচুয়ালি আমি অনেক জ্ঞানী বাট তা শো করি না। ( ভাব নিয়ে) আসলে অহঙ্কার করা ভালো না তো তাই।

আঁধার শবনমের কথায় হেসে দিল। শবনম এই প্রথম আঁধারের মুখে এতো বড় হাসি দেখলো।সব সময় এরোগেন্ট মুডে থাকা আঁধার রেজওয়ান হাসছে।

আঁধারঃ তুমি এমন কেন মাঝে মধ্যে কি সুন্দর জ্ঞানের কথা বলো আর মাঝে মধ্যে এমন স্টুপিডিটি।( হাসতে হাসতে)

শবনম অপলক তাকিয়ে আছে আঁধারের দিকে আঁধার কে হাসলে সত্যিই একদম ভিন্ন সুন্দর লাগে যা তুলনা করা সম্ভব না।

শবনমকে নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে আঁধার বলল,,

আঁধারঃ হয়েছে আর আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না চলেন। ( হাটা ধরে )

শবনমঃ কি হচ্ছে আমার। এই বাদিমী চোখ ওয়ালা আঁধার রেজওয়ান এর‌‌ শুধু চোখে না হাসিতেও ড্রাগস মেশানো? ( নিজের মাথায় হালকা চড় দিয়ে)

এইদিকে,,,

ধ্রুবঃ ‌আশিশ আয়রা কোয়েল তোমরা ফিরে যাও গিয়ে ফরেস্ট অফিসারদের হেল্প নিয়ে আসো। আমি শবনমকে খুঁজছি।

আশিশঃ তুই পাগল আমরা তোকে একা ফেলে চলে যাবো? নেবার,,,

কোয়েলঃ হ্যাঁ আমরা যাবো যাবো না ধ্রুব।

ধ্রুবঃ ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড গাইজ উই নিড হেল্প। তোরা গিয়ে অফিসারদের হেল্প নিয়ে আয় ততক্ষন আমি ওকে খুঁজতে থাকি।

আশিশঃ তুই একা কিভাবে?

কোয়েলঃ আমি আর ধ্রুব থাকি তোমরা দু’জন গিয়ে হেল্প নিয়ে আসো।

আয়রাঃ কিন্তু কোয়েল ইয়ান স্যার ও তো তোমাকে খুঁজছে।

কোয়েলঃ কিছু হবে না ভাইকে আমি মানিয়ে নিব।

আশিশঃ ঠিক আছে তোমরা দু’জন বেশি দূর যেও না আমরা দ্রুত হেল্প নিয়ে আসবো।

ধ্রুবঃ কোয়েল তুমি সত্যিই আমার সাথে থাকতে চাও।দেখ এটা অনেক রিস্কি হতে পারে।

কোয়েলঃ তোমাকে একা বিপদে রেখে আমি যেতে পারব না ধ্রুব।

আয়রাঃ ওকে তোরা প্লিজ নিজেদের খেয়াল রাখিস।

আশিশ আর আয়রা চলে গেল। ধ্রুব কোয়েলের দিকে তাকিয়ে ওকে বলল।

ধ্রুবঃ তুমি গেলে না কেন ওদের সাথে?

কোয়েলঃ তোমাকে একা রেখে যেতে ইচ্ছে হয়নি তাই।

ধ্রুবঃ আর সেটার কারন কি?( বড় একটা হাসি দিয়ে)

কোয়েলঃ‌ তুমি আমার ফ্রেন্ড তাই,,

ফ্রেন্ড কথাটা শুনে ধ্রুবর চেহারার রং পাল্টে যায়। কোয়েল মুচকি হাসছে ওর ফেস দেখে।

এইদিকে,,,

সামনে দুটো রাস্তা তাই আশিশ আর আয়রা কনফিউজড হয়ে গেছে কোনটা দিয়ে এসেছিল।

আশিশঃ‌ মনে হয় লেপ্টে সাইডের রাস্তাটা হবে।

আয়রাঃ নাহ রাইট ইজ‌ অলওয়েজ রাইট।

আশিশঃ আরে না বাম সাইড হবে।

আয়রাঃ তুই বড় না আমি?

আশিশঃ অবভিয়াসলি আমি,,

আয়রাঃ এজন্যই তুই আমার কথা শুনবি কারন ছোটরা সব সময় সঠিক হয়।

আশিশঃ এটা আবার কোন নিয়ম?( টাস্কি খেয়ে)

আয়রাঃ‌ এটা আয়রার নিয়ম,, নাও ফলো মি।

এইদিকে,,,

শবনম আঁধারের পিছু পিছু হাঁটছে আর ওকে দেখছে। আজকে আঁধারের সাথে থাকতে বিরক্ত লাগছে না ওর‌‌ বরং ভালো লাগছে।

আঁধার আচমকা শবনমকে একটা প্রশ্ন করে বসে।

আঁধারঃ তুমি ভ্যাম্পায়ার এ‌ বিশ্বাস করো‌ শবনম??

To be continued….

জঙ্গলের কাহিনী টা বড় হবে কারন এখান থেকেই ওদের লাভ স্টোরি‌ শুরু। তাই কেউ বলবেন না যে এক কাহিনীর এতো‌ গুলো‌ পর্ব কেন।

থ্যাংক‌ ইউ হ্যাপি রিডিং,,,

♠️ #The_Vampire_King ♠️
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_22

শবনম আঁধারের পিছু পিছু হাঁটছে আর ওকে দেখছে। আজকে আঁধারের সাথে থাকতে বিরক্ত লাগছে না ওর‌‌ বরং ভালো লাগছে।

আঁধার আচমকা শবনমকে একটা প্রশ্ন করে বসে।

আঁধারঃ তুমি ভ্যাম্পায়ার এ‌ বিশ্বাস করো‌ শবনম??

হঠাৎ আঁধারের এরকম প্রশ্ন শুনে টাস্কি খেল শবনম।

শবনমঃ হঠাৎ এই প্রশ্ন আপনার‌ মাথায় আসলো কেন‌?

আঁধারঃ সেদিন লাইব্রেরি তে‌ তোমাকে একটা ভ্যাম্পায়ার এর‌ বই পড়তে দেখেছিলাম তাই,,, এখন বলো ডু ইউ বিলিভ ইন ভ্যাম্পায়ার?

শবনম আঁধারের কথায় এক‌ লাফে ওর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে এক্সাইটেড হয়ে বলতে শুরু করল।

শবনমঃ অবভিয়াসলি,,, আমি মুভিতে দেখেছি ভ্যাম্পায়ার রা কত হ্যান্ডসাম কুল‌ আর পাওয়ারফুল হয় তার উপর তাদের এটিটিউট তো কাতিলানা মাই গড। জাস্ট ক্রাশ‌ খাওয়ার মত।

তাদের চোখ চুল‌ ড্রেসআপ কথা বলার স্টাইল ফাইটিং স্কিল সব মিলিয়ে অ্যা পার্ফেক্ট হিরো।

আঁধার শবনমের কান্ড দেখছে আর ভাবছে।

আঁধারঃ যেভাবে ভ্যাম্পায়ার এর প্রশংসা করছে যদি এখন সত্যি কারের ভ্যাম্পায়ার ওর সামনে চলে আসে তাহলে এক চিৎকারে ও এখানেই অজ্ঞান হয়ে যাবে।( মনে মনে)

হঠাৎ শবনম এর মুখ মলিন হয়ে যায় আর ও বলতে শুরু করে।

শবনমঃ কিন্তু এগুলো তো ইমেজিনেশন ভ্যাম্পায়ার আসল ভ্যাম্পায়ার রা তো অনেক খারাপ হয় তারা শুধু মানুষের ক্ষতি করতে জানে।‌ আর‌ তারা দেখতেও ভয়ঙ্কর হয় তাই আমি চাইনা কখনো কোন ভ্যাম্পায়ার আমার সামনে আসুক। ( উদাস হয়ে)

আঁধারঃ তোমাকে কে বলল যে ভ্যাম্পায়ার রা খারাপ হয় তারা শুধু মানুষের ক্ষতি করে?( ভ্রু কুঁচকে)

শবনমঃ আমার আব্বি বলেছে। আব্বি ‌এটাও বলেছে যে ভ্যাম্পায়ার দের জায়গা মানুষদের মাঝে না তাই তাদের রাজ্য আলাদা করে দেওয়া হয়েছে।‌ তারা হিংস্র পশুর মত তাই তাদের উচিত মানুষদের থেকে দূরে থাকা।( হাঁটতে হাঁটতে)

শবনমের ‌কথায় আঁধারের কিছুটা রাগ লাগছে আসিফের উপর।‌ কিন্তু ও জানে আসিফের এই মন্তব্যের কারন তাই নিজের রাগ প্রকাশ করল না ও।

আঁধারঃ সব ভ্যাম্পায়ার তো আর‌ এক না। তুমিই তো একটু আগে‌ বললে যে প্রানীর মধ্যে যদি বিষ থাকে তাহলে এতে ওকে শাস্তি দেওয়া একদম অনুচিত।কারন ওতো জেনে শুনে বিষটা নিজের মাঝে নেয় নি। তেমনি কেউ যদি ভ্যাম্পায়ার হয় তাহলে এতে তার না বরং যে তাকে ভ্যাম্পায়ার করে সৃষ্টি করেছে তার দোষ।

শবনমঃ এটাই তো।‌ আমি আব্বিকে বুঝাতে বুঝাতে হয়রান কিন্তু আব্বি আমাকে উল্টা বুঝিয়ে দেয়।‌ আল্লাহ জানে ভ্যাম্পায়ার দের সাথে তার কেন এতো শত্রুতা।

আঁধারঃ অনেক সময় এক জনের ভূলের কারনে আমরা আমাদের চারোপাশের মানুষের ‌উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলি।( আনমনে)

শবনমঃ কিছু বললেন?

আঁধার‍ঃ আব নো।

প্রায় সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেছে‌ অথচ কেউই নিজেদের পথ খুঁজে পাচ্ছে না।

কোয়েলঃ শবনমমমমম ( হয়রান হয়ে)

ধ্রুবঃ‌ কোথায় গেল ও কোথায় খুঁজবো আমি ওকে। আই হোপ তোমার কোন বিপদ হয় নি। ( মনে মনে)
কোয়েল আই থিংক আমাদের ওই দিকটা দেখা উচিত।( ডানে ইশারা করে।)

কোয়লঃ নো‌ রেসপন্স,,

কোয়েলের কোন রেসপন্স না পেয়ে ধ্রুব পেছনে ফিরল ওর দিকে। ধ্রুব কোয়েলের দিকে তাকিয়ে দেখলো কোয়েল ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে একদিকে। ধ্রুব‌ কোয়েলের দৃষ্টি বরাবর তাকাতেই দেখলো‌ ঝোপের আড়ালে একটা নেকড়ে দাঁড়িয়ে আছে আর‌ তার দৃষ্টি কোয়েলের দিকেই। কোয়েল ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সে নেকড়ে টার দিকে।

কোয়েলের গলা শুকিয়ে আসছে ‌ভয়ে নরার ও শক্তি পাচ্ছে না ও। ( আরে‌হ তাকায়‌ আছিস কেন খেয়ে‌ ফেল কোয়েল মল্লিক রে আমি পারমিশন দিলাম ??)

নেকড়েটা এগোনোর জন্য পা বাড়াতেই ‌ওর চোখ যায় ধ্রুবর দিকে। ধ্রুব নেকড়েটার দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে না বলল যেন ও সামনে না এগোয়। ধ্রুবর ইশারা পেতেই নেকড়েটা মাথা নুইয়ে পেছন ঘুরে চলে যায়।

কোয়েল হাফ‌ ছেড়ে বাঁচলো। ধ্রুব কোয়েলের কাছে এসে ওর হাত ধরে বলল,,

ধ্রুবঃ কি হয়েছে কোয়েল সামনে এগোচ্ছো না কেন?

কোয়েলঃ ও ওখানে একটা নেকড়ের মত কিছু ছিল।

ধ্রুবঃ কই কিছুই তো নেই।

কোয়েলঃ ছিল তো হঠাৎ চলে গেল।

ধ্রুবঃ চলে গিয়েছে ভালো হয়েছে এখন আমাদের ও‌ যাওয়া উচিৎ।

কোয়েলঃ যদি আবার আসে।( ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে)

ধ্রুবঃ আমি আছি তো‌ কোয়েল ভয়ের কিছু নেই চলো। বিশ্বাস আছে তো আমার উপর?

কোয়েল ধ্রুবর কথায় আশ্বাস পেল‌ মুচকি হেসে ‌ধ্রুবর হাত আরো শক্ত করে ধরল ও।

কোয়েলঃ আই ট্রাস্ট ইউ।

ধ্রুবঃ ভ্যাম্পায়ার রা অন্ধকারের কিং হলে‌ আমিও‌ অন্ধকারের প্রিন্স‌।‌ রাতের আঁধারে যতটা রাজত্ব ভ্যাম্পায়ার দের আছে ততটা আমাদেরও আছে। আমাদের অস্তিত্ব আলাদা হলেও রাজত্ব একটাই আর সেটা হলো #Darkness ( মনে মনে)

[‌ নোটঃ ভ্যাম্পায়ার আর ওয়্যারওল্ফ দু’টো ভিন্ন অস্তিত্বের প্রানি। এদের দুটোর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে ভ্যাম্পায়ার দের রক্ত ঠান্ডা আর ওয়্যারওল্ফ দের‌ রক্ত উষ্ণ। ভ্যাম্পায়াররা অর্ধ মৃত আর অর্ধ জীবিত কিন্তু ওয়্যারওল্ফ রা সম্পুর্ণ জীবিত। ভ্যাম্পায়ার দের বয়স থেমে থাকে কিন্তু ওয়্যারওল্ফ দের বয়স বৃদ্ধি পায় সাধারন মানুষের মত এরা বংশ বৃদ্ধি করে কিন্তু ভ্যাম্পায়ার দের সন্তান জন্ম দানের ক্ষমতা থাকে না কারন এরা এক হিসেবে মৃত এদের হৃৎপিণ্ড ‌আছে কিন্তু ‌এদের হার্ট বিট করে না। তারা একে অপরের শত্রু কিন্তু রাতের আঁধারে তাদের রাজত্ব সমান। তাই তাদের দুজনের শক্তিই সমান।‌ কেউ খারাপ বা কেউ ভালো না।

কথা গুলো বলার কারন অনেকে ভাবে আমি আন্দাজে গল্প লিখি ফর ইউর‌ কাইন্ড ইনফরমেশন আমি সার্চ না করে গল্পে কিছু লিখি না।

আর যেখানে ভ্যাম্পায়ার, ওয়্যারওল্ফ, ডেভিল, এন্জেল এসব বিষয়ে জ্ঞানের কথা। আমি ছোট থেকেই এসব বিষয়ে ঝোঁক প্রবল মানুষ।‌হয়তো বিশ্বাস করবেন না কিন্তু আমি ক্লাস ‌থ্রি থেকেই এসব বিষয়ে যথেষ্ট সার্চ করছি। তাই এসব বিষয়ে আমাকে জ্ঞান দিতে আসবেন না।

আমি আপনাদের মত শিক্ষিত এখনো হইনি আমি নিজেই বলছি। কারন আমার স্টুডেন্ট লাইফ সবে শুরু হয়েছে। এন্ড এতো টুকু যোগ্যতা আমি রাখি আপনাদের মত শিক্ষিত একদিন আমি হব।?]

Come to story….

আশিশঃ বলেছিলাম বাম সাইডের রাস্তা কিন্তু শুনলি না তো।‌ এখন বুঝ‌ সারা‌ রাত জঙ্গল‌ের পশু পাখির সাথে থাকতে হবে। আল্লাহ জানে কার ডিনার হতে হয়।( ভয়ে ভয়ে)

আয়রাঃ এতো ভয় পাস কেন‌ ভীতুর ডিম। আমি মেয়ে হয়ে ভয় পাচ্ছি না ‌আর তুই ছেলে হয়ে ভয় পাচ্ছিস শেম অন ইউর।

আর ডোন্ট ওয়ারি তোর যেই চেহারা কোন প্রাণী তোকে দেখলে ডিনার ‌তো‌ দূরে থাক জলখাবারের কথাও ভূলে যাবে।

আশিশঃ তুই কি বলতে চাচ্ছিস হ্যাঁ আমার চেহারা খারাপ। জাস্ট ওয়েট এই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে সবার আগে কলেজের বিউটি কুইন তনুর সাথে রিলেশন করব।( রেগে)

আশিশের কথা শুনে ‌আয়রা রেগে ওর কলার ধরে বলে।

আয়রাঃ ডান্ডার বারি দিয়ে রিলেশন করার ভুত মাথা থেকে বের করে দিব।

আশিশঃ আ’ম জোকিং বেবী রাগছিস কেন।( হেসে)

আয়রাঃ হাহ নিজের জোক নিজের পকেটে রাখ গাধা।

এইদিকে,,,

শবনম একটা উঁচু টিলার উপর বসে পড়ল হাঁপিয়ে।

শবনমঃ আমি আর হাঁটতে পারব না আমার ক্ষুধা লেগে গেছে। ( বাচ্চাদের মত করে )

আঁধারঃ এতো টুকুতেই হয়রান হয়ে গেলে আরো কত পথ বাকি আছে। আর ক্ষুধা লেগেছে মানে কি এই জঙ্গলে খাবার পাবে কোথায় তুমি?

শবনমঃ আমি জানি না আমার ক্ষুধা পেয়েছে আর আমি খাবো আই ওয়ান্ট ফুড ( পা ছড়িয়ে বসে কান্না ভাব করে‌)

শবনমের বিহেভিয়ারে আঁধার টাস্কি খেল। এতো বড় মেয়ে বাচ্চাদের মত পা ছড়িয়ে খাবারের জন্য কাঁদছে কি হাস্যকর ব্যাপার।‌

To be continued……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here