♠️ #The_Vampire_King ♠️,23,24
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_23
টর্চ লাইট হাতে ইয়ান আর মিম জঙ্গলের পেছনের সাইডে হাঁটছে।
মিমঃ আপনি কিভাবে সিউর যে শবনম আর বাকিরা জঙ্গলে আছে ?
ইয়ানঃ কারন আমি ইয়ান রেজওয়ান আর ইয়ানের কাছে সব ইনফরমেশন থাকে। ( সামনে এগিয়ে )
মিমঃ ওরা যদি এখানে আটকেও থাকে তাহলে আমাদের ফরেস্ট অফিসারদের হেল্প নেওয়া উচিত নিজে নিজে পাকনামো করে খুঁজতে আসা নেহাত বোকামি। আমার বোন বিপদে একা আছে আর আমি আপনার এই বোকামিতে সায় দিচ্ছি বাহ ( রেগে )
ইয়ানঃ তোমাকে আমি বলেছি না যে শবনম একা নয় ওর সাথে আঁধার ভাই আছে তাহলে এতো প্যানিক করছো কেন?( রেগে) আর হ্যাঁ ডোন্ট ইউ ডেয়ার টু কল মি স্টুপিড।
মিমঃ আপনি এতো সিউর হয়ে কিভাবে বলতে পারেন যে শবনমের সাথে আঁধার স্যার আছে আর শবনম জঙ্গলে এটাই বা কে বলল আপনাকে?( সন্দেহের চোখে)
ইয়ানঃ এতো প্রশ্ন করো কেন তুমি?( বিরক্ত হয়ে)
মিমঃ কারন আপনি একটারো সঠিক উত্তর দিচ্ছেন না।
আমার বোন কোথায় আছে কেমন আছে আমি কিছুই জানি না আর আপনি আমাকে বলছেন প্যানিক না করতে গ্ৰেট ( কেঁদে দিয়ে )
ইয়ান মিমের গালে হাত রেখে ওর কান্না থামাতে থামাতে বলে।
ইয়ানঃ মিম ট্রাস্ট মি ও যেখানেই আছে সেফ আছে। আর আমি তো আছি তোমার সাথে ওকে খোঁজার জন্য। প্লিজ ডোন্ট ক্রাই। ( অনুনয় স্বরে)
মিম ইয়ানকে জড়িয়ে ধরে কান্না থামিয়ে বলে।
মিমঃ আপনি তো জানেন ইয়ান আমার শবনম কতটা অবুঝ ওর কথা বলার ভঙ্গি একদম আলাদা। কখন কার সামনে কি বলতে হয় কি করতে হয় ও বুঝে না । নিজের মনে যা আসে বলে ফেলে। আর আঁধার স্যার তো ওকে সহ্যই করতে পারেনা যদি ও উল্টা পাল্টা কিছু বলে ফেলে আর আঁধার স্যার রেগে,,,,
ইয়ানঃ কিছু করবে না ভাই। আমি আমার ভাইকে ভালো করে চিনি ও কখনো শবনমের কোন ক্ষতি করবে না বরং নিজের সর্বস্ব দিয়ে ওকে প্রটেক্ট করবে।
মিমঃ আই হোপ উনি নিজের রাগ আমার বোনের উপর না তুলে।
ইয়ানঃ তুমি ওদের মধ্যের কানেকশন এর সম্পর্কে কিছু জানো না তাই এমনটা ভাবছো মিম। ভাইয়ের মনে শবনম কতটা জায়গা দখল করে আছে সেটা আমি সবচেয়ে ভালো জানি ইভেন ভাইয়ের থেকেও বেশি ভালো করে জানি।They have the connection of heart… The connection of unknown love ( মনে মনে)
এইদিকে,,,,
শবনম একটা উঁচু টিলার উপর বসে পড়ল হাঁপিয়ে।
শবনমঃ আমি আর হাঁটতে পারব না আমার ক্ষুধা লেগে গেছে। ( বাচ্চাদের মত করে )
আঁধারঃ এতো টুকুতেই হয়রান হয়ে গেলে আরো কত পথ বাকি আছে। আর ক্ষুধা লেগেছে মানে কি এই জঙ্গলে খাবার পাবে কোথায় তুমি?
শবনমঃ আমি জানি না আমার ক্ষুধা পেয়েছে আর আমি খাবো আই ওয়ান্ট ফুড ( পা ছড়িয়ে বসে কান্না ভাব করে)
শবনমের বিহেভিয়ারে আঁধার টাস্কি খেল। এতো বড় মেয়ে বাচ্চাদের মত পা ছড়িয়ে খাবারের জন্য কাঁদছে কি হাস্যকর ব্যাপার।
আঁধারঃ এটা কেমন কথা শবনম এখন আমি খাবার আনব কোত্থেকে?( দাঁতে দাঁত চেপে)
শবনমঃ আমি কি জানি? এখানে আমি আপনার সাথে আছি তাই আমার সব দায়িত্ব আপনার। তার উপর আমি তো আপনার স্টুডেন্ট সো আপনার রেস্পন্সিবিটি আমার প্রতি ডাবল হয়ে গেছে। এখন যেই পর্যন্ত আমরা এখান থেকে না বের হই আমার খাওয়া ঘুমানো আর সেফটি সব তো আপনাকেই দেখতে হবে।( আঁধারের দিকে তাকিয়ে)
আঁধার শবনমের কথা শুনে বেকুবের মত ওর দিকে তাকালো। আঁধারকে নিজের দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে শবনম নিজের কপালের চুল কানের পেছনে গুজতে গুজতে বলল,,
শবনমঃ আই নো আমি অনেক বিউটিফুল তাই বলে এভাবে তাকিয়ে থাকার প্রয়োজন নেই।( ভাব নিয়ে)
আঁধারঃ ইয়াহ রাইট তুমি আসলেই অনেক বিউটি ফুললল ( দাঁতে দাঁত চেপে)
শবনম আঁধারের কথায় অনেক প্রাউড ফিল করে নিজের জ্যাকেট ঝাড়া দিতে দিতে বলে।
শবনমঃ তো এখনো আপনি এভাবে দাঁড়িয়ে না থেকে আমার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করুন হারিআপ। আর হ্যাঁ আমি,,,,
শবনম মাথা তুলে আবার আঁধারের দিকে তাকাতেই দেখলো আঁধার নেই।
শবনম ভয়ে এক ঝটকায় উঠে পরলো বসা থেকে। আশেপাশে চোখ বুলিয়েও আঁধারের দেখা পেল না ও।
শবনমঃ ম মি. রেজওয়ান??( ভয়ে ভয়ে) AR আপনি কোথায় গেলেন??
মি. অন্ধকার কি অন্ধকারের মধ্যে হারিয়ে গেল। ( নখ কামড়ে বলল )
এক তো জঙ্গল তার উপর চারদিকে অন্ধকার। আশেপাশে শুধু নিস্তব্ধ আর ভয়ঙ্কর সুর শোনা যাচ্ছে। শবনমের ভয়ে আত্মা কেঁপে উঠছে। আঁধার ওকে শেষমেশ একা ফেলে চলে গেল।
শবনমঃ আ আঁধার স্যার আপনি কোথায় গেলেন?প্লিজ আমাকে নিয়ে যান।( কাঁদো কাঁদো ভাবে )
হঠাৎ ঝোপের মধ্য থেকে কিছুর আওয়াজ শুনতে পায় শবনম ভয়ে কেঁদে দিবে এমন উপক্রম ওর। ওর মনে হচ্ছে এখনই ঝোপ থেকে কিছু একটা বের হয়ে ওর উপর হামলা করবে।
শবনমঃ আমি আর জীবনেও আপনাকে বকবো না। আপনার ক্লাসে ফাঁকিও দিব না গুড গার্ল হয়ে যাবো । কখনো নিজের স্টুপিড কথা দিয়ে আপনাকে বিরক্ত করব প্লিজ কাম ব্যাক। ( কেঁদে দিয়ে)
শবনম ভয়ে পিছিয়ে যেতেই পেছনে কিছুর সাথে ধাক্কা খেল। শবনম চিৎকার দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতেই দেখল এটা আঁধার।
আঁধারঃ এভাবে চিল্লাচ্ছো কেন?
শবনম আঁধারকে দেখে জোরে জোরে কেঁদে দেয় তারপর দৌড়ে গিয়ে ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। আচমকা এমন ভাবে জড়িয়ে ধরায় আঁধার কিছু বুঝে উঠতে পারল না।
শবনমঃ আপনি অনেক পঁচা আমাকে একা ফেলে চলে গেছেন। আমি কত ভয় পাই অন্ধকারকে আপনি জানেন? এখন যদি আমি মরে যেতাম আপনি অনেক খুশি হতেন তাইনা। ( কান্না করতে করতে)
শবনমের মুখে মরার কথাটা শুনে আঁধারের বুক কেঁপে উঠলো ও শক্ত করে জড়িয়ে ধরল শবনমকে। শবনম আঁধারের শার্ট শক্ত করে মুঠ করে ধরে ওর বুকে মুখ গুঁজে কান্না করছে। আঁধার শবনমের পিঠে হাত বুলিয়ে ওর মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলল।
আঁধারঃ আমি কোথাও যাই নি তোমাকে ফেলে শবনম।তোমার ক্ষুধা লেগেছিল তাই তোমার জন্য খাবার আনতে গিয়েছিলাম। আর আমি কি কখনো তোমাকে বিপদে একা ফেলে চলে যেতে পারি।
শবনমঃ লাগবে না আমার কোন খাবার। আপনি কোথাও যাবেন না এখানেই থাকবেন আমার সাথে। ( আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে)
আঁধারঃ কিন্তু আমি তো খাবার নিয়ে এসেছি এগুলোর কি হবে?
আঁধারের কথা শুনে শবনম মাথা তুলে তাকালো। আঁধারের হাতে পাতা দিয়ে পেঁচানো কিছু আছে। শবনম নিজের চোখ মুছে আঁধারকে বলল।
শবনমঃ এগুলো কি?
আঁধার শবনমের দিকে জিনিসটা এগিয়ে দিল।
আঁধারঃ নিজেই খুলে দেখ। এই জঙ্গলে এর থেকে ভালো খাবার পাওয়া মুশকিল। অনেক খুঁজে একটা গাছ পেয়েছি সেখান থেকে পেরে আনলাম। আই নো এগুলো তত একটা ভালো খাবার না তাও কিছু করার নেই।
শবনম আঁধারের হাত থেকে পাতা দিয়ে মোড়ানো জিনিসটা নিল তারপর সেটা খুলল।
শবনমঃ কালো জাম! ( খুশি হয়ে) এগুলো ভালো না বলছেন আপনি? কে বলল ভালো না,, এগুলো বেস্ট থ্যাংক ইউ সোওও মাচ আঁধার।
আঁধারকে জড়িয়ে ধরে ওর গালে আচমকা কিস করে বসল শবনম তারপর উঁচু টিলার উপর বসে সেগুলো খাওয়া শুরু করল।
আঁধার শকড্ শবনমের কাজে। ওর হাত পা ফ্রিজড্ হয়ে গেছে। শবনম এক্সাইটেড হয়ে কাজটা করে বসেছে। ও নিজেও বুঝতে পারে নি কি করেছে ও।
আঁধার শবনমের দিকে তাকাতেই দেখল ও নিজের মত করে খাওয়ায় ব্যাস্ত। কালো জামের রং দিয়ে শবনমের গাল সহ লেপ্টে যাচ্ছে আঁধার না চাইতেও হেসে দিল।
To be continued….
♠️ #The_Vampire_King ♠️
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_24
,
,
,
,
আঁধার শকড্ শবনমের কাজে। ওর হাত পা ফ্রিজড্ হয়ে গেছে। শবনম এক্সাইটেড হয়ে কাজটা করে বসেছে। ও নিজেও বুঝতে পারে নি কি করেছে ও।
আঁধার শবনমের দিকে তাকাতেই দেখল ও নিজের মত করে খাওয়ায় ব্যাস্ত। কালো জামের রং দিয়ে শবনমের গাল সহ লেপ্টে যাচ্ছে আঁধার না চাইতেও হেসে দিল।
আঁধারঃ ওকে বোঝা আমার পক্ষে আসলেই কঠিন কাজ। একটু আগে কান্না করছিল আর এখন এমন বিহেভ করছে যেন কিছুই হয়নি স্ট্রেঞ্জ। ( মনে মনে)
শবনম আঁধারের দিকে তাকাতেই দেখলো আঁধার ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
শবনমঃ এই বাদামী চোখ ওয়ালা অন্ধকার রেজওয়ান আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে কেন? জীবনে কি কাউকে খেতে দেখে নি? যেভাবে তাকিয়ে আছে আমার তো পেট ব্যথা করবে ( মনে মনে)
শবনমঃ এই যে মি. রেজওয়ান নো ফিফ্টি আগেই বলে দিচ্ছি। আমি আমার খাবার কারো সাথে শেয়ার করি না তাই তাকিয়ে থেকে লাভ নেই।
শবনমের কথায় আঁধার কিছুটা অবাক হয়ে ভ্রু কুঁচকে ওকে বলল,,
আঁধারঃ হোয়াট ডু ইউ মিন আমি তোমার খাবারে নজর দিচ্ছি।
শবনমঃ তা নয় তো কী একজন পিচ্চি মেয়ে খাচ্ছে আর আপনি এভাবে তার খাবারের দিকে তাকিয়ে আছেন একটুও ভাবলেন না যে বেচারির পেট ব্যথা করতে পারে। ( একটা জাম মুখে দিয়ে)
আঁধারঃ এসব আলতু ফালতু খাবার আঁধার রেজওয়ান খায়না। ( নাক ছিটকে)
শবনমঃ তাহলে কি খান আপনি?( একটা জাম তুলে আঁধারের দিকে তাকিয়ে)
আঁধারঃ রক্ত একদম ইউনিক খাবার ।( শবনমের দিকে তাকিয়ে)
আঁধারের কথা শুনে শবনম জামের বদলে নিজের আঙ্গুলে কামড় দিয়ে বসে।
শবনমঃ আআহহ আম্মিইই ( আঙ্গুল ঝাড়তে ঝাড়তে)
আঁধার দ্রুত শবনমের কাছে গিয়ে ওর হাত টেনে ধরে বলে,,,
আঁধারঃ এভাবে কেউ খায় স্টুপিড দেখি কোথায় লেগেছে?
আঁধার শবনমের আঙ্গুলে ফুঁ দিয়ে দিচ্ছে আর ওকে বকছে। শবনম আঁধারের দিকে তাকিয়ে একটা ঢোক গিলল তারপর এক ঝটকায় ওর থেকে দূরে সরে বসলো।
শবনমঃ আ আপনি রক্ত খান?( ভয়ে ভয়ে)
আঁধারঃ আমি মজা করছিলাম ( দাঁতে দাঁত চেপে)
আঁধারের উত্তরে শবনম স্বস্তির নিঃশ্বাস নিল তারপর আবার আঁধারের পাশে বসে পরল।
শবনমঃ আমি ভাবলাম আপনার উপর ভুতের আত্মা ঢুকেছে তাই রক্ত খাওয়ার কথা বলছেন।( হেসে দিয়ে )
আঁধারঃ ভূতেরা রক্ত খায় ?( অবাক হয়ে)
শবনমঃ আমি কি জানি এমনিতেই বললাম।
আঁধারঃ তুমি আসলেই,,,
শবনমঃ অনেক কিউট আমি জানি।( হেসে দিল)
শবনমের হাসি দেখে আঁধারের রাগ উধাও হয়ে গেল ও নিজেও হেসে দিল।
আঁধারঃ তুমি এমন কেন? কোন কথা সিরিয়াস ভাবে নেও না এতো পজিটিভিটি আসে কোথা থেকে।
শবনমঃ এটা সিক্রেট। ( আবার জাম মুখে নিল )
আঁধার মুগ্ধ চোখে দেখছে শবনমকে। কারো প্রতি এমন মায়া জন্মায় নি ওর যেমনটা শবনমের ক্ষেত্রে হচ্ছে। এক অদ্ভুত মায়ায় জড়িয়ে যাচ্ছে আঁধার। এই মায়া হয়তো সহজে কাঁটার মতো না।
হঠাৎ শবনমের খেয়াল হলো আঁধারও তো না খেয়ে আছে। ওর ও হয়তো ক্ষুধা পেয়েছে। শবনম নিজেই সব খেয়ে ফেলছে তাহলে আঁধার কি খাবে?
শবনমঃ আঁধার এতো কষ্ট করে আমার জন্য এগুলো আনলো আর আমি একা একাই সব খেয়ে ফেলছি শেলফিশের মত। বেচারার ও তো ক্ষুধা পেয়েছে আমার মত,,( মনে মনে)
শবনম প্যাকেট টায় তাকিয়ে দেখল আর তিন চারটার মত কালো জাম আছে।
শবনম আঁধারের সামনে কালো জাম এগিয়ে দিল। আঁধার ভ্রু কুঁচকে শবনমকে জিজ্ঞেস করল,,
আঁধারঃ কি?
শবনমঃ আরেহ আপনারও তো ক্ষুধা পেয়েছে এ কয়টা আপনি খেয়ে নিন। আমার পেট ভরে গেছে ।
আঁধার মুচকি হেসে একটা জাম তুলে শবনমের মুখের সামনে ধরে বলল।
আঁধারঃ আমার ক্ষুধা পায়নি তুমি খেয়ে ফেলো।
শবনম অবাক চোখে আঁধারের দিকে তাকিয়ে আবার ওর হাতের দিকে তাকিলো।
আঁধারঃ কি হলো হা করো,,
শবনম বাধ্য মেয়ের মত আধারের হাত থেকে খেয়ে নিল।
শবনমঃ আপনি কি রাগ করেছেন?
আঁধারঃ রাগ করবো কেন ?
শবনমঃ আমি আপনাকে না দিয়েই সব খেয়ে ফেলেছি তাই। ( অসহায় ভাবে )
আঁধার নিজের পকেট থেকে রুমাল বের করে শবনমের ঠোঁট আর ঠোঁটের আশেপাশে লেগে থাকা জাম ক্লিন করতে করতে বলে।
আঁধারঃ উঁহু রাগ করিনি বরং খুশি হয়েছি যে তোমার পছন্দ হয়েছে। আর তুমি এতো কিউট করে খাচ্ছিলে যে যতটুকু রাগ জমেছিল সব উধাও হয়ে গেছে। ( শবনমের মুখ মুছতে মুছতে)
শবনম তো ফুল শকড্ আঁধারের কাজে। আঁধারকে নিজের এতো কাছে দেখে ভয়ে ওর কলিজার পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। হার্ট বিট এতো ফাস্ট হচ্ছে যেন মনে হচ্ছে এখনোই হার্ট অ্যাটাক করবে ও।
এইদিকে,,,
কোয়েলঃ আই কান্ট ওয়াক ( হাঁপিয়ে গিয়ে )
ধ্রুবঃ থামলে চলবে না কোয়েল আমাদের সামনে এগোতে হবে।
কোয়েলঃ কিন্তু আর কতক্ষন??
ধ্রুবঃ আর,,, ধ্রুব হঠাৎ খেয়াল করলো কিছু টা দূরে লাইটের আলো দেখা যাচ্ছে।
ধ্রুবঃ ওখানে আলো কিসের? কোয়েল চলো,,,
ধ্রুব আর কোয়েল দ্রুত আলোর দিকে এগিয়ে গেল।
ইয়ানঃ ওটাতো ধ্রুব !
মিমঃ সাথে কোয়েল ও আছে,,,
ইয়ান আর মিম দৌড়ে ওদের দিকে যায়।
কোয়েল ইয়ানকে দেখে দৌড়ে ওর কাছে এসে ওকে জড়িয়ে ধরে।
কোয়েলঃ ভাইই
ইয়ানঃ তুই ঠিক আছিস কোয়েল ?( কোয়েলের মাথায় হাত রেখে)
কোয়েলঃ হুম আমি ঠিক আছি।
মিমঃ ধ্রুব শবনম কোথায়? ওতো তোমাদের সাথেই ছিল। তোমরা এখানে তাহলে ও? ( আশেপাশে চিন্তিত চোখে তাকিয়ে)
ধ্রুবঃ দি কুল ডাউন শবনমকে খুঁজছি আমরা,,, পেয়ে যাবো ডোন্ট ওয়ারি। আশিশ আর আয়রা তোমাদের বলেছে যে আমরা এখানে?
ইয়ানঃ না তো! ওদের সাথে তো আমাদের দেখাই হয়নি।
আশিশঃ দেখা হবে কিভাবে এই শাকচুন্নী আয়রার সাথে
আমাকে পাঠিয়েছিস আর ও আমাকে বিনা টিকেটে পুরো জঙ্গল ঘুরিয়েছে।
সবাই কথা গুলো শুনে পেছনে ঘুরলো। আয়রা আর আশিশ দাঁড়িয়ে আছে বেচারা আশিশের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে।
আয়রাঃ তোর সাহস কি করে হলো আমাকে শাকচুন্নী বলার,,( রেগে ) এখন এখানেই তোর ঘার মটকে বুঝিয়ে দেই শাকচুন্নী কাকে বলে,,( রেগে আশিশের দিকে এগিয়ে )
আশিশ ইয়ানের পিছনে দৌড়ে চলে আসলো।
আশিশঃ স্যার দেখেন আপনার সামনে আমার সাথে বেয়াদবি করছে। আর তুই যে শাকচুন্নী সেটা তোর কথাতেই প্রমাণ হয়ে গেল।
আয়রাঃ ইয়ুউউউ,,,
ইয়ানঃ স্টপ ইটটট। ( জোরে বলল )
ইয়ানের ধমকে দু’জন চুপ করে গেল।
ধ্রুবঃ তোরা এখানে কেন তোদের তো আমরা হেল্প আনতে পাঠিয়েছিলাম,,
আশিশঃ একচুয়ালি দোস্ত এই আয়রার জন্য পথ হারিয়ে ফেলেছিলাম।
আয়রাঃ এখন সব আমার দোষ?
আশিশঃ তা নয়তো কি।
ধ্রুবঃ শবনমকে তো আমি কয়েক মিনিটে খুঁজে নিতাম কিন্তু এদের সামনে নিজের ওয়্যারওল্ফ রুপ নিতে পারব না তাই এখনো চুপ করে আছি।( মনে মনে)
ইয়ানঃ আমি কাউকে এখন আঁধার ভাই আর শবনমের কাছে পৌঁছাতে দিতে পারব না। দে নিড্স টাইম। একে অপরকে জানার একে অপরের প্রতি নিজেদের অনুভূতি বুঝার জন্য তাদের স্পেস দিতে হবে। আঁধার ভাই এমনিতেই সব সময় শবনমের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন কিন্তু এখন তা পারবে না। ( মনে মনে)
গাইজ আই থিংক আমাদের ফিরে গিয়ে ফরেস্ট অফিসারদের হেল্প নেওয়া উচিত। যেহেতু এই জঙ্গলটা বিপজ্জনক তাই এখানে এভাবে খোলা মেলা ঘুরা ঠিক না।
আশিশঃ গুড আইডিয়া এমনিতেই আমার আর এনার্জি নেই দাঁড়িয়ে থাকার। ( বসে পরে )
মিমঃ কি জবাব দিব আমি চাচুকে ! শবনমের কিছু হলে এবার হয়তো চাচু নিজেকে সামলাতে পারবেন না।( মনে মনে)
To be continued…..