♠️ #The_Vampire_King ♠️,29,30
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_29
.
.
.
.
শবনমঃ বাহ্ কি দিন কাল আসলো মানুষের ভালো করলেও দৌড়ানি খেতে হয় ( দৌড়াতে দৌড়াতে)
মিমঃ হ্যাঁ সবার সামনে আমার ইজ্জতের তেরটা বাজিয়ে তুই আমার ভালো করেছিস (শবনমের পেছনে দৌড়ে)
শবনম দৌড়াতে দৌড়াতে নিজের রুমে চলে। মিমকে থামানোর জন্য শবনম বেড থেকে বালিশ ছুরে মারছে।
শবনমঃ আমি তো তোমার হেল্প করার জন্য এমন করলাম। তোমার আর জিজুর লাভ স্টোরির গাড়ি পাঁচ বছর ধরে এক জায়গাতেই আঁটকে ছিল আমি জাস্ট তোমাদের গাড়িটাকে হালকা পুশ করেছি আর দেখ গাড়ি চলতে না দৌড়াতে শুরু করেছে। ( প্রাউড হয়ে )
মিমঃ ও রিয়ালি শবনম বাবু?
শবনমঃ ইয়াপ। ( ভাব নিয়ে)
মিম সাথে সাথে একটা বালিশ শবনমকে ছুরে দিল আর বালিশটা সোজা শবনমের চেহারায় লাগলো। মিম তো হাসতে হাসতে শেষ। শবনম নিজের নাক ঘষতে ঘষতে বলে শুরু করে।
শবনমঃ এতো জোরে কেউ মারে আমার নাক যদি বোচা হয়ে যেত তখন কি হতো হ্যাঁ। এখনো একটা রিলেশন করলাম না আর তার আগেই তুমি আমাকে বুচি বানানোর প্লান করছো। ( মিমকে বালিশ মেরে )
মিমঃ বেশ করেছি। তোর শুধু নাক না পুরো চেহারা বোচা বানিয়ে দেওয়া উচিত বিচ্ছু মেয়ে। সব সময় সবাইকে হয়রান করিস তুই।
শবনমঃ কিহ এতো বড় কথা। ইউউউ পঁচা ডিমমম তুমি অনেক পঁচা। তাড়াতাড়ি তোমার বিয়ে দিয়ে তোমাকে বিদায় করব তারপর পুরো বাড়িতে আমার একা রাজত্ব হবে বাহ্হহ ( খুশি হয়ে)
মিমঃ তুই আমাকে পঁচা ডিম বললি? আর কি যেন বললি হ্যাঁ… আমাকে বিদায় করে নিজে রাজত্ব করবি ভূলে যাও বেবি,, কারন আমার পর তোমার নাম্বার এসে পরবে। আল্লাহ জানে কোন বেচারার কিসমত ফুটবে যার কিসমতে আল্লাহ তোকে লিখছে( হেসে হেসে)
শবনমঃ একদম না। কারন আমি তো বিয়ে করে আমার বরকে ঘর জামাই করে রাখব। আর হ্যাঁ যে আমাকে বিয়ে করবে তার কিসমত ফুটবে না বরং খুলবে। ( ভেংচি কেটে)
মিমঃ সেটা সবাই জানে। ( হাসতে হাসতে)
শবনমঃ তুমি আমাকে ভালোবাসো না তাই এমন ভাবে বলছ। ( ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে) নো ওয়ান লাভস্ মি। আমি বুঝতে পারছি তোমরা আমাকে কুড়িয়ে এনেছো তাইনা?( ড্রামা করে )
শবনম বেডে বসে পরল। শবনমের কথায় মিমের ফেস রিয়েকশন বদলে গেল। ও সাথে সাথে শবনমের পাশে বসে পরল।
মিমঃ আপি তো মজা করছিলাম বাবুই পাখি তুই এতো সিরিয়াস হচ্ছিস কেন।
শবনমঃ বাহ্ এক্টিং কাজে দিচ্ছে। আমি কত ভালো এক্ট্রেস কিন্তু এরা তো আমার কদরই জানে না। ( মনে মনে)
না এটাই সত্যি। এমন নাহলে কি তুমি সবসময় আমাকে বকতে।
মিমঃ আচ্ছা আর কখনো বকবো না স্যরি এই দেখ কানে ধরছি। ( কান ধরে।)
শবনমঃ সত্যি?
মিমঃ তিন সত্যি,,, তুইতো আমার বেস্ট সিস্টার। আজ তোর জন্যই তো আমি আমার ইয়ানকে পেলাম।
শবনমঃ তাহলে আমার ট্রিটট ?
মিমঃ কি চাই তোর?
শবনমঃ কালকে শপিং এ আমি যেটা বলবো সেটাই কিনে দিতে হবে।
মিমঃ ওক্কে মেরি বিচ্ছু বেহনা।
শবনমঃ ইয়াপপ লাভ ইউউউ দিইইই,,( মিমকে জড়িয়ে ধরে)
মিমঃ লাভ ইউ টুউ মাই কিউটি সিস্টার। এখন ঘুমান বেশি রাত জাগলে কাকিমা বকা দিবে। গুড নাইট।
শবনমঃ গুড নাইট।
মিম উঠে নিজের রুমে চলে যায়। মিম চলে যেতেই শবনমের কিছু মনে পরে যায়।
শবনমঃ ওওহ শিট্ আমি তো ভূলেই গিয়েছিলাম ধ্রুবর কথা।
শবনম সাথে সাথে ধ্রুবকে কল করল। কিছুক্ষণ কথা বলে শবনম কল কেটে দেয় তারপর কোয়েলের নাম্বারে ডায়েল আপ করে।
কোয়েল বেডে বসে বই পরছিল। শবনমের কল আসতেই সাথে সাথে রিসিভ করে।
কোয়েলঃ শবনম এতো রাতে কল করলি এনিথিং সিরিয়াস।
শবনমঃ আব হ্যাঁ বেবি একচুয়ালি আই নিড ইউর হেল্প। একটু দেখা করতে পারবি?
কোয়েলঃ এতো রাতে! কি হয়েছে বল ?
শবনমঃ তুই আস আগে আমি বলছি। আর হ্যাঁ ইয়ান জিজ আর ওই শয়তান রেজওয়ান কে কিছু বলিস না। লুকিয়ে বেরিয়ে আস।
কোয়েলঃ কিন্তু,,
শবনমঃ নো কিন্তু মিন্তু আ’ম ওয়েটিং। ( কল কেটে) প্লান সাক্সেসফুল।
কোয়েল পেছনের দরজা দিয়ে লুকিয়ে বেরিয়ে যায় বাড়ি থেকে। শবনমের পাঠানো এড্রেসে পৌঁছে শবনমকে কল করে ও কিন্তু ফোন ধরে না শবনম। একটা খোলা মাঠে এসেছে কোয়েল। আশেপাশে কোন মানুষ নেই চারোদিক নিস্তব্ধ। কোয়েলের একটু একটু ভয় করছে আশেপাশে তাকিয়ে।
কোয়েলঃ উফফ এই মেয়ে ফোন ধরছে না কেন?( বিরক্ত হয়ে)
হঠাৎ পেছনে কারো অস্তিত্ব টের পেয়ে ঘাবড়ে পেছনে ফিরল কোয়েল। ধ্রুব হাতে একটা রিং নিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে আছে। কোয়েলের মুখ হা হয়ে গেছে হঠাৎ ধ্রুবকে দেখে।
কোয়েলঃ ধ্রুব তুমি,,,
কোয়েলের কথা শেষ হওয়ার আগেই ধ্রুব বলতে শুরু করে।
ধ্রুবঃ আই লাভ ইউ কোয়েল। সেই প্রথম দিন থেকেই ভালবাসি। তোমার হাসি তোমার কথা সব কিছুকে ভালোবাসি। আই ওয়ান্ট ইউ ইন মাই লাইফ। আই ওয়ান্ট ইউর লাভ ইন মাই লাইফ। প্লিজ সে ইয়েসস। ( অসহায় ভাবে)
কোয়েল কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা। ও নিজেও ধ্রুবকে ভালোবাসে কিন্তু ও ভাবে নি হঠাৎ ধ্রুব এভাবে ওকে প্রপোজ করে বসবে। বেচারি কনফিউজড হয়ে গেছে কি করবে।
কোয়েলঃ ধ্রুব আমি একচুয়ালি,,,( কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা)
ধ্রুবঃ ডোন্ট ইউ লাভ মি?( ছলছল চোখে)। যদি না বাসো তাহলে আমি জোর করব না কারণ জোর করে ভালোবাসা হয় না।
ধ্রুব উঠে যেতে নিলেই কোয়েল আচমকা বলে উঠে।
কোয়েলঃ আই ডু ( তাড়াহুড়ো করে)
ধ্রুবঃ রিয়েলি?( খুশি হয়ে)
কোয়েল নিজের মাথা ঝাকালো। ধ্রুব কোয়েলের আঙ্গুলে রিং পরিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে।
ধ্রুবঃ আই লাভ ইউ সো মাচ্ কোয়েল।
কোয়েলঃ আই লাভ ইউ টুউ।
ধ্রুব গাছের আড়ালে হাত দিয়ে ইশারা করে শবনমকে থ্যাংক ইউ বলে। শবনম লুকিয়ে ছিল এতক্ষন। শবনম ইশারায় ওকে “ অল দ্যা বেস্ট ” বলে চলে যায়।
ধ্রুবঃ কারো জন্য আমি নিজের ভালোবাসাকে ছাড়তে পারব না ড্যাড। সব সময় আমি আপনার কথা মেনে এসেছি কিন্তু এবার আপনাকে আমার কথা মানতে হবে।( মনে মনে)
এইদিকে,,,
মিম নিজের রুমে ইয়ানের কথা ভাবছিল হঠাৎ বারান্দায় কিছুর শব্দ পেয়ে দ্রুত বারান্দায় যায় ও। বারান্দায় ইয়ানকে দেখে ঘাবড়ে যায় মিম।
মিমঃ আপনিইই,,( জোরে চেঁচিয়ে)
ইয়ান সাথে সাথে মিমের মুখ চেপে ধরে।
ইয়ানঃ আস্তে কেউ শুনে ফেলবে। ( হাত সরিয়ে নিয়ে)
মিমঃ আপনি এতো রাতে আমার রুমে কেন এসেছেন?
ইয়ানঃ কেন মানে কি ? আমার হবু বউ কে দেখতে এসেছি।
মিমঃ আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দিন পরে বউ বউ করেন। হঠাৎ এমন কি হলো যে আপনি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে সোজা আমার বাড়ি চলে আসলেন। ( সন্দেহের চোখে)
ইয়ান একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মিমের দু কাধে হাত রেখে শান্ত ভাবে বলতে শুরু করল।
ইয়ানঃ আমি নিজেও জানতাম না মিম হঠাৎ এমন ভাবে সব বদলে যাবে। যে আঁধার ভাই সব সময় আমাকে ভালোবাসার থেকে দূরে থাকতে বলতেন সে নিজেই আমাকে কাল ভালোবাসার সঙ্গা বুঝিয়েছেন। কান্ট বিলিভ ভাই নিজে আমাকে বলেছেন যে তোমার আর আমার মাঝে সব ঠিক করে নিতে।
দেখলে আমার ভালোবাসা কত স্ট্রং ভ্যাম্পায়ার কিং আঁধার ও আমার ভালোবাসার সামনে হার মেনে গেছে।( ভাব নিয়ে)
মিমঃ সিরিয়াসলি! আমি তো ভাবলাম হয়তো তোমার স্মৃতি শক্তি লোপ পেয়েছে আর তুমি ভূলে গেছ যে তুমি ভ্যাম্পায়ার। ( দাঁতে দাঁত চেপে)
ইয়ানঃ আমি ভূলে গেলেও তুমি হয়তো ভূলবে না যে আমি ভ্যাম্পায়ার। আফটার অল ভ্যাম্পায়ার সেনাপতীর হবু বউ বলে কথা।( হেসে।)
মিমঃ ভেরি ফানি,,,
ইয়ানঃ ফাইনালি আই ক্যান সে মিম…আই লাভ ইউ ( মায়াবী চোখে তাকিয়ে)
মিম ইয়ানের কথায় হেসে দিল তারপর ওকে জড়িয়ে ধরে চোখ বন্ধ করে বলল।
মিমঃ আই লাভ ইউ টুউ ইয়ান।
( সবাই আই লাভ ইউ আই লাভ করছে ক্যান বুঝি না। আমাকেও বল কেউ আই লাভ ইউ ?)
এইদিকে,,,
শবনম বাসার দিকে যাচ্ছিল হঠাৎ পেছনে কারো ডাক শুনতে পায় ও।
শবনমঃ আপনি?( পেছনে ঘুরে)
To be continued…
♠️ #The_Vampire_King ♠️
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_30
.
.
.
.
শবনম বাসার দিকে যাচ্ছিল হঠাৎ পেছনে কারো ডাক শুনতে পায় ও।
শবনমঃ আপনি?( পেছনে ঘুরে)
রনিতঃ তুমি এতো রাতে এখানে কেন শবনম?( সামনে দাঁড়িয়ে)
শবনমঃ আব স্যার একচুয়ালি হাঁটতে বের হয়েছিলাম আর কি ( মিথ্যা বলল ) কিন্তু আপনি এখানে কেন?
রনিতঃ আমিও একটু হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। হঠাৎ তোমাকে দেখতে পেয়ে ডাক দিলাম। এতো রাতে একা বের হওয়া ঠিক হয় নি তোমার। চলো আমি বাড়ি পৌঁছে দেই।
শবনমঃ না স্যার আমি যেতে পারবো আপনার কষ্ট করা লাগবে না।
রনিতঃ আমি কি বলেছি যে আমার কষ্ট হবে? কাম উইথ মি,,,
রনিত শবনমের হাত ধরতে নিলেই হঠাৎ কেউ রনিতের হাত ধরে ফেলে। রনিত আর শবনম অবাক হয়ে পাশে তাকাতেই দেখলো আঁধার ওর হাত ধরে আছে।
আঁধারঃ ওর চিন্তা করার জন্য আমি আছি রনিত। তোর ওকে নিয়ে ভাবতে হবে না।( বাঁকা হেসে )
রনিত আঁধারের দিকে কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলল।
রনিতঃ What do you mean?
আঁধারঃ আই মিন টু সে শবনম আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল তাই ওর সেফটির দায়িত্ব আমার। সেক্ষেত্রে ওকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়াও আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
শবনম অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আঁধারের দিকে। এতো সুন্দর করে কিভাবে মানুষ মিথ্যা বলে ভাবছে শবনম।
রনিত আঁধারের দিকে কতক্ষন রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে হনহন করে ওখান থেকে চলে গেল।
রনিত চলে যেতেই আঁধার শবনমের দিকে তাকিয়ে দেখল শবনম ওর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
আঁধারঃ হোয়াট? এভাবে তাকিয়ে আছ কেন?
শবনমঃ আপনি রনিত স্যারকে মিথ্যা বললেন কেন? উনি এখন কি ভাববেন বলেন তো? এটাই যে আমি উনাকে মিথ্যা বলেছি।
আঁধারঃ কেন রনিতের সাথে যেতে না পারায় খারাপ লাগছে বুঝি?( রাগে গজগজ করতে করতে এগিয়ে)
শবনমঃ আ আমি কি সেটা বলেছি?( ভয়ে পিছিয়ে)
আঁধার শবনমের হাত ধরে হ্যাঁচকা টান দিয়ে নিজের কাছে এনে বলতে শুরু করল।
আঁধারঃ লিসেন টু মি ভেরি কোয়ারফুলি শবনম।
শবনম মাথা নারালো ভয়ে ভয়ে।
আঁধারঃ রনিতের থেকে যথাসম্ভব দূরত্ব বজিয়ে চলবে বলে দিলাম। ওর আশেপাশেও যেন আমি তোমাকে না দেখি।
শবনমঃ ক কিন্তু কেন?
আঁধারঃ আমি বলছি তাই। মনে থাকবে কথা গুলো।
আঁধারের রাগি ফেস দেখে শবনমের সব সাহস উড়ে গেছে তাই শবনম মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে দিল।
আঁধারঃ গুড গার্ল। ( মুচকি হেসে)
আঁধার শবনমের দিকে একটু ঝুঁকে আসতেই শবনম পেছনের দিকে ঝুঁকে পড়ল ভয়ে। আঁধার শবনমকে ভয় পেতে দেখে মুচকি হেসে ওর দিকে আরো ঝুঁকে গেল শবনম আরেকটু পেছনে ঝুঁকতেই পরে যেতে নেয় আর আঁধার ওকে ধরে ফেলে।
আঁধারঃ বাহ তুমিও কাউকে ভয় পেতে পারো আমার তো জানা ছিল না।
শবনম ঢোক গিলল আঁধারের কথায়। বেচারির ফেসের রিয়েকশন দেখে আঁধারের অনেক হাসি পাচ্ছে। ফাইনালি শবনমকে ও জব্দ করতে পেরেছে ও। কিন্তু এই মুহূর্তে নিজের হাসি কন্ট্রোল করে রাগি ফেস করে আছে আঁধার।
আঁধারঃ চলো তোমাকে পৌঁছে দেই। ( শবনমকে ছেঁড়ে )
শবনম ছাড়া পেতেই এক ঝটকায় আঁধারের থেকে দূরে সরে দাঁড়ায়। শবনম রাস্তার এক পাশে আর আঁধার অন্য পাশে হাঁটছে।
শবনমঃ বাদামী চোখ ওয়ালা শয়তান রেজওয়ান। চোখ গরম করলে কি ভয়ংকর দেখা যায় আল্লাহ। কোন পিচ্চি বাবুদের চোখ রাঙালে তারা হাঁটলে না পারলেও উড়ে দৌড় দিবে।( মনে মনে)
আঁধারঃ আমার এই বাদামী চোখে লাখো মেয়ে ঘায়েল হয় বুঝলে সো আমার চোখ নিয়ে উল্টা পাল্টা কিছু বলবে না।
শবনম আঁধারের কথা শুনে চোখ বড় বড় দ্রুত আঁধারের সামনে এসে বলতে শুরু করে।
শবনমঃ এই আপনি আমার মনের কথা বুঝে ফেলেন কিভাবে! আপনি কি সাইকোলজিস্ট নাকি কোন মাইন্ড রিডার?( ভ্রু কুঁচকে আঁধারের সামনে এসে)
আঁধারঃ না আমি কোন সাইকোলজিস্ট আর না কোন মাইন্ড রিডার এটা আমাদের হিডেন ট্যালেন্ট তা তুমি বুঝবে না।
শবনমঃ আপনাদের হিডেন ট্যালেন্ট মানে?
শবনমের প্রশ্নে আঁধার হচকিয়ে যায়। কি থেকে কি বলে ফেলে ও শবনমের সামনে খেয়াল থাকে না। এমনিতেই এই মেয়ে তিলকে তাল বানিয়ে ফেলে সব কথার। প্রশ্নের ভান্ডার যেন মাথায় জমে থাকে আগে থেকেই।
আঁধারঃ মানে কিছুনা। তুমি এতো প্রশ্ন করো কেন?( বিরক্ত হয়ে)
শবনমঃ কারন আপনি একটারো সোজা উত্তর দেন না তাই। ( নাক ফুলিয়ে)
আঁধারঃ তোমার সাথে বেশিক্ষণ থাকলে সুস্থ মানুষও পাগল হয়ে যাবে।
শবনমঃ পাগল হলে সমস্যা নেই পাবনাতে অনেক সীট খালি আছে এডমিট করিয়ে দিব।
আঁধারঃ তাহলে তো তোমাকে সবার আগে এডমিট করা উচিত।
শবনমঃ আপনি আমাকে পাগল বললেন?( রেগে)
আঁধারঃ আমি তোমাকে পাগল কবে বললাম? তাও তুমি যদি মনে করো সেটা তোমার ব্যাপার।
শবনমঃ আপনি ইনডাইরেক্টলি আমাকে অপমান করছেন আমি বুঝতে পারছি। ( কাঁদো কাঁদো ভাবে)
আঁধারঃ সিরিয়াসলি! কথায় পেড়ে না উঠলে কেঁদে মামলা জিতা অনেক ভালো করেই জানো তুমি।
শবনমঃ এটা আমার হিডেন ট্যালেন্ট। ( মুখ বাঁকিয়ে)
আঁধারঃ কবে যেন আমিই পাগল হয়ে যাই। ( মাথা চেপে ধরে)
কথা বলতে বলতে আঁধার আর শবনম বাড়ির সামনে পৌছৈ যায়।
আঁধারঃ থ্যাংক গড তোমার বাড়ি পৌঁছে গেছি (স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে)।
শবনমঃ এতো তাড়াতাড়ি রাস্তা শেষ হয়ে গেল?( মন খারাপ করে)
আঁধারঃ উফফ এবার আমাকে মুক্তি দাও। আর বেশিক্ষণ তোমার সাথে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না।
আঁধারের কথায় শবনম ছলছল চোখে ওর দিকে তাকিয়ে বলল।
শবনমঃ আমি আপনাকে এতো বেশি জ্বালাই যে আপনি আমার থেকে মুক্তি প্রার্থনা করছেন।
আঁধার এমন কথায় বোকা বনে গেলো। ওতো মজা করে বলেছিল কিন্তু শবনম সিরিয়াস ভাবে নিয়ে নিবে ও বুঝে নি।
আঁধারঃ শবনম আমিতো,,,
শবনম আঁধারকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে দৌড়ে ভিতরে চলে যায়।
আঁধারঃ আমিতো মজা করছিলাম। এই মেয়ে নিজে সবার সাথে মজা করতে পারে অথচ ইনার সাথে কেউ মজা করলে ইমোশনাল হয়ে পরে।
আঁধার পেছনের দিকে ঘুরতেই কারো সাথে ধাক্কা খায়।
আঁধারঃ What the hell ( সামনে তাকিয়ে)
ইয়ানঃ ভাই তুমি? ( ঢোক গিলে)
আঁধারঃ তুই এখানে কেন?( ভ্রু কুঁচকে)
ইয়ানঃ আমি এখানে আসলে,, ( আমতা আমতা করে)
আঁধার বুঝতে পারছে যে ইয়ান মিমের কাছে এসেছিল।
আঁধারঃ হয়েছে আর মাথা ঘামিয়ে মিথ্যা বানাতে হবে না।
ইয়ান ফিক করে হেসে উঠল আঁধারের কথায়। পরে ভ্রু কুঁচকে আঁধারের দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করল।
ইয়ানঃ আমি নাহয় মিমের কাছে এসেছি কিন্তু তুমি এখানে কেন?
আঁধার চোখ গরম করে ইয়ানের দিকে তাকিয়ে বলল।
আঁধারঃ বেশি কথা বলা শিখে গিয়েছিস তাইনা। বিয়ে ক্যান্সেল করিয়ে দিব কিন্তু। ( ভয় দেখিয়ে)
ইয়ানঃ এই না না আমিতো এমনিতেই জিজ্ঞেস করলাম।
আঁধার ইয়ানের ভীতু ফেস দেখে হেসে ফেলল।
আঁধারঃ লেট হচ্ছে চল।( সামনের দিকে এগিয়ে)
ইয়ান আঁধারের দিকে এক পলক তাকিয়ে তৃপ্তির হাসি দিয়ে শবনমের রুমের জানালার দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করল।
ইয়ানঃ আঁধারের হাসির কারন তুমি শবনম। যে আঁধার কখনো হাসতে জানে নি সে এখন মন খুলে হাসে অনলি বিকজ অফ ইউ। যে কোন মূল্যে আমি তোমাকে ওর থেকে হারাতে দিব না। কারন তুমি ওর কাছ থেকে হারিয়ে গেলে ওর হাসিও হারিয়ে যাবে। আর এটা আমি হতে দিব না। ( মনে মনে)
এইদিকে,,,
শবনম নিজের রুমে এসে মন খারাপ করে বসে আছে।
শবনমঃ আর কখনো কথা বলবো না কখনো না। হুহ আসছে মুক্তি নিতে যান আমিও মুক্তি দিয়ে দিলাম। সব সময় আমি কেন পিছু পিছু ঘুরবো উনার। এবার যে পর্যন্ত নিজে থেকে আমার কাছে এসে স্যরি না বলে আমিও কথা বলব না। আমিও শবনম এতো সহজে হার মানবো না আপনার কাছে মিস্টার শয়তান রেজওয়ান।( রেগে)
♠️In Morning ♠️
সবাই ডাইনিং এ বসে ব্রেকফাস্ট করছে আর রাতের এঙ্গেজমেন্ট এর ফাংশনের বিষয়ে কথা বলছে। শবনম চুপচাপ খাচ্ছে কারো কথায় ওর কোন খেয়াল নেই। হঠাৎ বাড়ির সার্ভেন্ট এসে বলতে শুরু করে।
সার্ভেন্টঃ স্যার কয়েক জন মানুষ কিছু জিনিস নিয়ে এসেছে। তারা বলছে মি. রেজওয়ান পাঠিয়েছে তাদের।
আসিফঃ তাদের ড্রইং রুমে বসাও আমরা আসছি।
সার্ভেন্টঃ জ্বি।
সবাই খাবার টেবিল ছেড়ে ড্রইং রুমে চলে আসে। ফাদার জোসেফ আর কয়েকজন গার্ড এসেছে। টেবিলের উপর অনেক গুলো প্যাকেট রাখা।
শবনমঃ গুড মর্নিং ফাদার।( মুচকি হেসে)
জোসেফঃ গুড মর্নিং মাই চাইল্ড।
শবনমঃ এগুলো মিম আপির জন্য?( প্যাকেট গুলো নাড়া চাড়া দিয়ে ) ওয়াও দি হাও রোমান্টিক। জিজ তোমার জন্য শপিং পাঠিয়েছে।( মিমের কানে কানে)
মিমঃ চুপ কর মেরি মা কেউ শুনলে আমার লজ্জা পেতে হবে।
জোসেফঃ হুম আঁধার বাবা পাঠিয়েছে।
আঁধারের নাম শুনেই শবনমের হাসি উধাও হয়ে গেল। ও প্যাকেট গুলো রেখে দূরে সরে দাঁড়ায়।
জোসেফ একটা হলুদ প্যাকেট বের করে শবনমের সামনে এগিয়ে দিয়ে বলল।
জোসেফঃ এটা আঁধার বাবা তোমার জন্য পাঠিয়েছে নেও।
শবনমঃ আমার অনেক ড্রেস আছে ফাদার আই ডোন্ট নিড দিস।
আসিফঃ এটা কেমন কথা শবনম? কেউ কিছু দিলে মুখে উপর না করা বেয়াদবি এটা শিখিয়েছি আমরা তোমাকে।( রাগি ভাবে)
শবনমঃ স্যরি আব্বি ( কাঁদো কাঁদো ভাবে)
মিম প্যাকেট টা শবনমের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল।
মিমঃ কাকু ও বুঝে নি ব্যাপারটা। প্লিজ রাগ দেখিয়ো না।
শবনমঃ ওই শয়তান রেজওয়ান এর জন্য আমার আব্বি আমাকে ধমক দিল। আমি কখনো কথা বলবো না ওর সাথে কখনো না।( মনে মনে)
আসিফ আরিফ আর মায়া জোসেফের সাথে কথা বলে তাকে বিদায় দেয়।
সবাই প্যাকেট গুলো খুলে খুলে দেখছে। কিন্তু শবনম এক কোনে হলুদ প্যাকেট টা খামচে খামচে ছিলছে। যেন আঁধারের রাগ প্যাকেটটার উপর তুলছে।
মিমের জন্য সব ট্রেডিশনাল আর এক্সপেনসিভ জুয়েলারি পাঠিয়েছে আঁধার। মনে হচ্ছে অনেক পুরোনো যে গুলোকে খানদানি গয়না বলে সে টাইপের।
শবনমঃ এগুলো কত ওল্ড ফ্যাশন আপি এগুলো পড়বা না।
মায়াঃ এগুলো ওল্ড ফ্যাশন না শবনম এগুলো ট্রেডিশনাল জুয়েলারি। এগুলোর প্রাইস মার্কেটে আকাশ ছোঁয়া।
শবনমঃ একটা বালা দাও তো আকাশে ছুঁড়ে মারি দেখি আকাশকে ছুঁতে পারে কিনা।
মায়া রাগি ভাবে শবনমের দিকে তাকালো।
মিমঃ তুই চুপ করবি ওটা কথার কথা ছিল।
শবনমঃ ওহ আমি ভাবলাম আম্মি গয়না গুলোর উপর বসে আকাশের অভিজান করার কথা ভাবছে। যেভাবে বলল এগুলো আকাশ ছোঁয়া।( হাসতে হাসতে)
মায়াঃ আমার সাথে বাঁদরামি দাঁড়া তুই। ( তেড়ে গিয়ে)
শবনম এক দৌড়ে রুমের বাইরে চলে যায়।
শবনমঃ উড়তে না পারলে এই গয়না গুলো কোন কাজেরই না। যেমন আঁধার রেজওয়ান তেমনি তার দেওয়া গয়না ইউজলেসসসসসস,,,( বলেই দৌড়)
To be continued…