The_Vampire_King ♠️,39,40 last

0
2140

♠️ #The_Vampire_King ♠️,39,40 last
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_39
.
.
.
.
টিপ টিপ করে নিজের চোখ খুলছে শবনম। চোখ খুলতেই নিজেকে অচেনা কোথাও আবিষ্কার করল ও।

চোখ দুটো ভালো করে খুলে চারোপাশে চোখ বুলাচ্ছে শবনম। হঠাৎ জানালার দিকে তাকাতেই চোখ আটকে যায় ওর।

আঁধার এক ধ্যানে জানালার বাইরে তাকিয়ে আছে। শবনম আঁধারকে দেখতেই ওর মুখে হাসি ফুটে। কিন্তু আঁধারকে ডাক নিতে নিলেই হঠাৎ তখনকার ঘটনা মনে পড়ে যায় ওর। ওর মুখে ভয়ের ছাপ দৃশ্যমান হয়ে যায়।

আঁধার পিছনে শবনমের দিকে‌‌ ফিরতেই শবনমের চোখ খোলা দেখে হাসি মুখে ওর কাছে এগিয়ে আসে। ওর চেহারার সকল চিন্তার ছাপ দূর হয়ে এখন খুশির ঝিলিক দেখা দিচ্ছে।

আঁধার শবনমের কাছে আসতেই শবনম বসা অবস্থায় পিছিয়ে যায়। এটা দেখে আঁধারের মুখের হাসি উধাও হয়ে যায়। এক জায়গাতেই দাঁড়িয়ে যায় আঁধার।

আঁধারঃ তুমি আমাকে ভয় পাচ্ছো কেন মেরি জান? দেখো আমি আঁধার! তোমার কোন ক্ষতি করার কথা আমি ভাবতেও পারি না।‌ আর তোমার কি মনে হয় যে আমি তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবো? এতটুকু বিশ্বাস নেই নিজের ভালোবাসার উপর?( বিষন্ন চেহারায় )

শবনম আঁধারের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। আসলেই ওর চোখে শুধু শবনম নিজের জন্য ভালোবাসা দেখতে পারছে এখানে না আছে কোন হিংস্রতা আর না রাগ; আছে শুধু ভালোবাসা।

শবনম এবার ফুঁপিয়ে কান্না শুরু করে দেয় তারপর উঠে আঁধারকে জড়িয়ে ধরে। আঁধার জড়িয়ে ধরে আছে শবনমকে ওর ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠেছে। ওর ভালোবাসা ওকে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে দেয় নি;ভাবতেই মনের ভিতর থেকে একটা প্রশান্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে ও।

এইদিকে শবনমের কান্নার বেগ বেড়ে যাচ্ছে। আঁধার বুঝতে পারছে না এই কান্নার কারন ভয় না অন্যকিছু।

আঁধার শবনমকে ছাড়িয়ে ওর দু গালে হাত রেখে নরম স্বরে জিজ্ঞেস করতে শুরু করতে শুরু করে।

আঁধারঃ শবনম! তুমি কাঁদছো কেন হ্যাঁ? দেখো তাকাও আমার দিকে আর কান্না অফ করো প্লিজ। আমাকে বলো কি হয়েছে?

শবনমঃ আ আম্মি বলছিল আমি উনার মেয়ে না। আমার জন্য উনাদের লাইফ নষ্ট হয়েছে আর,,,(ফুঁপিয়ে কান্নার ফলে বলতে পারছে না)

আঁধার বুঝতে পারছে শবনম কি বলতে চাইছে। ওর মনের অবস্থা টা উপলব্ধি করতে পারছে আঁধার। আঁধার শবনমকে শক্ত করে নিজের বুকে জড়িয়ে ধরে ওকে শান্ত করতে করতে বলে।

আঁধারঃ আজকে সব জানবে তুমি সব বলব তোমাকে। তোমার মনের যত প্রশ্ন আছে সব গুলোর উত্তর পাবে তুমি আজকে।

শবনম নিজের মাথা তুলে অবাক চোখে তাকায় আঁধারের দিকে। আঁধার শবনমকে বেডে‌ বসিয়ে ওর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে বলতে শুরু করে।

আঁধারঃ আজকে তোমাকে একটা গল্প বলবো মেরি জান। তুমি গল্প টা শুনে আমাকে বলবে যে গল্পের কোন চরিত্রে তুমি কাকে দেখতে পেরেছো।

শবনম বাধ্য মেয়ের মতো মাথা নাড়ায়। আঁধার মুচকি হেসে বলতে শুরু করে।

দুইশত সাতাশ বছর আগে,,,

“ লন্ডনের স্থাপিত ভ্যাম্পায়ার রাজ্যের কিং এর কোন পুত্র সন্তান ছিল না ছিল শুধু একটি মেয়ে; নাম মুন । তাই কিং তার মেয়েকে ভ্যাম্পায়ার কিংডমের রানি ঘোষিত করেন। কিন্তু ওয়্যারওল্ফ দের‌ সাথে তাদের একটা বিরাট লড়াই হওয়ায় তাঁরা তাঁদের রাজ্য হারিয়ে ফেলে। পরবর্তী তে তাঁরা এখানে এসে নিজেদের রাজ্য স্থাপন করেন। ভ্যাম্পায়ার কুইনকে এখানকার কলেজে ভর্তি করিয়ে দেন তাঁরা যেন মানুষদের সাথে সে সহজে মিশে নিজের অস্তিত্ব লুকিয়ে রাখতে পারে।

কিন্তু নিয়তির বিপক্ষে তিনি একজন মানুষের প্রেমে পরে যান। তার নাম ছিল আলোক রেজওয়ান।সেই লোকটি ছিল মুসলমান এবং কুইন ছিলেন খ্রিস্টান। তার উপর তাদের অস্তিত্ব ছিল আলাদা মানুষ এবং ভ্যাম্পায়ার। সব দিক থেকে তারা বিপরীত ছিল তাও মনের কাছে হেরে যান।

আলোক জানতেন যে মুন ভ্যাম্পায়ার তাও তার প্রতি ভালোবাসা বিন্দু মাত্র কমে নি তার। তারা সবার আড়ালে বিয়ে করে ফেলেন। ভ্যাম্পায়ার কিং জানতে পেরে মুনকে রাজ্য থেকে বহিষ্কার করে দেন। কিন্তু মুনের এতে কোন আফসোস ছিল না।

মুন আর আলোক নিজেদের আলাদা দুনিয়া তৈরি করে নেন যেখানে শুধু তারা ছিল আর তাদের ভালোবাসা।

সময় যেতে লাগলো। শীঘ্রই মুন আর আলোকের
দু’টো পুত্র সন্তান জন্ম নিল। মুন ভ্যাম্পায়ার ছিলেন তাও একজন কুইন এজন্য মুনের শক্তির সত্তর ভাগ তার প্রথম সন্তানের মধ্যে সঞ্চারিত হয়। বাকিটা তার দ্বিতীয় সন্তানের। ভাগ্যক্রমে তারা দুজনেই ভ্যাম্পায়ার অস্তিত্ব নিয়ে জন্ম নেয়।

দিন যেতে লাগলো তারাও বড় হতে লাগলো। হঠাৎ ওয়্যারওল্ফ রা তাদের উপর হামলা করে আলোককে মেরে ফেলে। কুইন কোন মতে নিজের জীবন বাঁচিয়ে ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে চলে যান। ভ্যাম্পায়ার কিং সব ভুলে মুনকে ক্ষমা করে দেন আর প্রতিজ্ঞা করেন যে আলোকের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিবেন।

এই ঘটনার প্রায় অনেক বছর পর যখন মুনের জৈষ্ঠ্য পুত্র প্রাপ্ত বয়স্ক হলো তখন কিং তাকে ভ্যাম্পায়ার রাজ্যের রাজা ঘোষিত করলেন।

ভ্যাম্পায়ার সেনাপতি নীকের দু’টো সন্তান ছিল একটা মেয়ে আরকেটা ছেলে। মেয়ের নাম ছিল মাহিরা আর ছেলের নাম রনিত। তারা Level-E এর বংশধর ছিলেন। ( লেভেল ই সম্পর্কে আগের পর্বে বলেছিলাম )

নীক চাল করে মাহিরার সাথে ভ্যাম্পায়ার কিংডমের নতুন কিং এর বিয়ে দিতে চান। তার মতলব ছিল মাহিরার সাথে কিং এর বিয়ের পর ক্রিস্টাল নাইফ নিজের দখলে নিয়ে ভ্যাম্পায়ার কিং কে মেরে নিজের ছেলেকে কিং বানাবে।

বিয়ের দিন তাদের সত্য কিং এর সামনে চলে আসে। কিন্তু তখন অনেক দেরী হয়ে গিয়েছিল। ক্রিস্টাল নাইফ তাদের অধীনে চলে গিয়েছিল তারা ওয়্যারওল্ফ দের সাথে মিলে ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে হামলা দেয়।

বিয়ের সভা হয়ে যায় মৃত্যু সভা। লড়াই এর মাঝে অনেক ভ্যাম্পায়ার আর ওয়্যারওল্ফ মারা যায়। ভ্যাম্পায়ার কিং এর মা এবং নানা দু’জনেই মারা যান। নীককে মেরে ভ্যাম্পায়ার কিং পিছনে ঘুরতে নিলেই মাহিরা কিং এর বুকে ক্রিস্টাল নাইফ ঢুকিয়ে দেয়। কিং রেগে সেই নাইফটা নিজের বুক থেকে তুলে মাহিরাকে আঘাত করে দেন।

সেদিন ভ্যাম্পায়ার কিং না মরলেও ক্রিস্টাল নাইফ এর শক্তি তে গভীর নিদ্রায় চলে যায়। এটা একটা অভিশাপের মতো।

ফাদার জোসেফ ভ্যাম্পায়ার কিং কে কফিনে বন্দি করে দেন। যেন কেউ তার ক্ষতি করতে না পারে। ভ্যাম্পায়ার কিং কে পুনঃ জাগ্ৰত করার একটাই উপায় ছিল Moonless Night এ জন্মগ্ৰহন করা মেয়ে। Moonless Night এমন একটা রাত যখন আকাশে চাঁদ দেখা যায় না। অনেকে একে অমাবস্যা বলে কিন্তু অমাবস্যা শুধু এক রাত স্থায়ী থাকে আর Moonless Night দুইশত বছরে একবার হয়। এই রাতে মাত্র আধাঘণ্টার জন্য চাঁদ ঢেকে যায়।

চারোদিকে শুধু অন্ধকার বিরাজ করে। যত শুভ আর অশুভ শক্তি আছে তাদের শক্তি বৃদ্ধি পায়।
এই রাতে যার জন্ম হয় তার মধ্যে অলৌকিক কিছু ক্ষমতা থাকে। তারা পৃথিবীতে নিজেদের জন্য জন্ম নেয় না বরং তাদের দ্বারা কিছু কাজ সম্পুর্ণ করতে তাদের জন্ম হয়।

এই রাতেই সেই মেয়ের জন্ম হয় যে ভ্যাম্পায়ার কিং কে এই অভিশাপ থেকে মুক্তি দিবে। কিন্তু তার জন্ম হওয়ার সাথে সাথে Level-E ভ্যাম্পায়ার রা তাকে মারার জন্য ছুটে যায়। তার বাবা মাকে ওরা খুন করে ফেলে। ফাদার জোসেফ খুব কষ্টে সে মেয়েটিকে বাঁচিয়ে তার বিশ্বস্ত একজনকে দেন।

সেই লোকটিরও একটি মেয়ে ছিল। তিনি বাচ্চাটির দায়িত্ব নেন। সব ঠিক যাচ্ছিল কিন্তু হঠাৎ Level-E তাদের উপরেও হামলা করে এবং তাদের মেয়েকে তুলে নিয়ে আসে। তারা ভাবে এটাই হয়তো সে বাচ্চা।

কিন্তু ভ্যাম্পায়ার সেনাপতি সে বাচ্চাটিকে বাঁচিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে। সে ভেবেছিল হয়তো নিজের সন্তানকে পেয়ে তারা ওই মেয়েটিকে অবহেলা করবে তাই ভ্যাম্পায়ার সেনাপতি নিজেই বাচ্চাটির দায়িত্ব নেয়। এবং আদর ভালোবাসা দিয়ে তাকে বড় করে তোলে।

তারপর আসে রাত যখন ভ্যাম্পায়ার কিং কফিন থেকে মুক্ত হয়। তার অভিশপ্ত নিদ্রা থেকে মুক্ত করে সে মেয়েটি তাকে। ”

কথা গুলো বলে আঁধার গভীর নিঃশ্বাস ফেলে। শবনম এতক্ষন হা হয়ে শুনছিল আঁধারের কথা। ওর কাছে মনে হচ্ছিলো আঁধার ওকে ডেভিল এঞ্জেলদের ফেয়ারি টেইল বলছে। যেখানে শুভ শক্তি — অশুভ শক্তি, ভালো — খারাপ, পাওয়ার এর জন্য লড়াই সব আছে।

শবনম কে এভাবে হা হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে আঁধার মুচকি হেসে ওর হাতের উপর হাত রেখে বলে,,

আঁধারঃ এখন বলো ভ্যাম্পায়ার কিং কে?

শবনমঃ আপনি,,

আঁধারঃ সে মেয়েটি কে ?( মুচকি হেঁসে)

শবনমঃ আমি,,

আঁধারঃ ওই মানুষ দু’টো কে যারা মেয়েটিকে বড় করেছে?

শবনমঃ আমার আম্মি আব্বি,,

আঁধারঃ ভ্যাম্পায়ার সেনাপতি আর সে বাচ্চাটি কে যাকে সেনাপতি বড় করেছে?

শবনমঃ ইয়ান জিজ আর কোয়েল,,

আঁধারঃ রনিত কে?

শবনমঃ মাহিরার ভাই,,,

আঁধার একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে শুরু করে।

আঁধারঃ তোমার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গিয়েছো মেরি জান?

শবনম কাঁদো কাঁদো ফেস নিয়ে মাথা নাড়ালো। আঁধার উঠে শবনমের পাশে বসে ওকে বুকে জড়িয়ে বলে,,

আঁধারঃ আই নো তোমার কাছে সব ফ্যান্টাসি স্টোরির মতো লাগছে বাট দ্যাট্স ট্রু শবনম। তোমাকে বিশ্বাস করতে হবে আমায়। এখন বলো বলো ডু ইউ ট্রাস্ট মি?

শবনমঃ আই ট্রাস্ট ইউ আঁধার। ( কান্না করে দিয়ে )

আঁধারঃ হেই মেরি জান তুমি কান্না করছো কেন?

শবনমঃ আব্বি আম্মি আমাকে ভালোবাসে না তাই না? তারা আমাকে নিজের লাইফে রাখতে চায় না। ( কান্না করতে করতে)

আঁধারঃ কে বলল এটা তারা তোমাকে আজও অনেক ভালোবাসে যেমনটা আগে বাসতো। তুমি ভুল বুঝছো তাদের।

শবনমঃ আমি নিজে শুনেছি তাদের কথা।

আঁধারঃ সব সময় সব কথায় বিশ্বাস করতে হয় না শবনম। মাঝে মধ্যে যা আমাদের মনে থাকে তা আমরা বলি না বরং তার বিপরীত টা বলে ফেলি। রাগ এমন একটা জিনিস যেটা মানুষকে দিয়ে ভূল কিছু বলিয়ে অথবা করিয়ে দেয়। তাদের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে।

শবনমঃ সত্যি বলছেন আপনি? ( নিজের চোখ মুছে)

আঁধারঃ আঁধার রেজওয়ান কখনো মিথ্যা বলে না। ( হেসে )

শবনমঃ আচ্ছা আমি তখন অজ্ঞান হয়ে গিয়ে গিয়েছিলাম কেন?

আঁধারঃ ক্রিস্টাল নাইফ বিষাক্ত মেরি জান তাই সেটার বিষের জন্য এমন হয়েছিল।

শবনমঃ তাহলে আমাকে বাঁচালেন কিভাবে?( অবাক হয়ে)

আঁধারঃ তুমি ভ্যাম্পায়ার কিং এর ভালোবাসা এতো সহজে তোমাকে মরতে দিতে পারি বলো?
ক্রিস্টাল নাইফ এর আরেকটা অংশ আছে যেটা শুধু কিং ব্যবহার করতে পারবে। ওই নাইফটা দিয়ে এই নাইফের বিষ কেটেছি আমি। ( শবনমের গাল টেনে)

শবনম এখনো হা হয়ে আছে। আসলেই সব ফ্যান্টাসি লাগছে ওর কাছে।

আঁধারঃ হয়েছে আর অবাক হতে হবে না।

শবনমঃ এতো কিছুর পরেও বলবেন অবাক না হতে।( কপাল কুঁচকে)

হঠাৎ নিচ থেকে বিপট শব্দ শোনা যায়। শবনম ভয়ে চিৎকার দিয়ে আঁধারকে জড়িয়ে ধরে। আঁধার শবনমকে আঁকড়ে ধরে নেয়।

আঁধারঃ এটা কিসের শব্দ?( বিষ্মিত হয়ে )

To be continued…..

♠️ #The_Vampire_King ♠️
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_40_Last_Part
.
.
.
.
হঠাৎ নিচ থেকে বিকট শব্দ শোনা যায়। শবনম ভয়ে চিৎকার দিয়ে আঁধারকে জড়িয়ে ধরে। আঁধার শবনমকে আঁকড়ে ধরে নেয়।

আঁধারঃ এটা কিসের শব্দ?( বিষ্মিত হয়ে )

আঁধার শবনমকে ছাড়িয়ে ওর হাত ধরে বেরিয়ে আসে রুম থেকে। শবনম আঁধারের পিছনে ওর হাত ধরে হাঁটছে ভয়ে।

আঁধার সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতেই দেখে বাড়ির দুই সাইডের থাই গ্লাস গুলো ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। হঠাৎ কানে কিছুর শব্দ শুনতে পায় ও চিরচেনা শত্রুর ঘ্রান আসছে নাকে। আঁধার নিজের হাত মুঠো করে দেয়।

হঠাৎ কোথা থেকে একটা নেকড়ে আঁধারের উপর ঝাঁপ দেয় আঁধার সাথে সাথে শবনমের হাত ধরে সরে যায়।

নেকড়েটা মুখ খিঁচে শব্দ করছে। একটা একটা করে চারোদিক থেকে নেকড়ে বেড়িয়ে এসে আঁধার আর শবনমকে ঘিরে ফেলে।

আঁধারঃ তোদের সাহস কি করে হয় এখানে আসার?( রেগে)

কাইফঃ ওদের সাহসটা আমি দিয়েছি ভ্যাম্পায়ার কিং আঁধার,,,( আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে)

শবনমঃ এটা তো কাইফ আঙ্কেল ধ্রুবর বাবা।( মনে মনে)

আঁধারঃ তুমি কখনো সুধরাবে না কাইফ তাই না?( রেগে)

কাইফঃ ওয়েলল তুমি শেষ হয়ে গেলে আমিও সুধরে যাব চিন্তার কোন কারন নেই। ( হেসে)

আঁধারঃ জেগে স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দাও। তুমি আমার চুল ও বাঁকা করতে পারবে না তা তুমি ভালো করেই জানো। তোমাকে প্রতিবার আমি সুযোগ দেই সুধরে যাওয়ার তাই এবার এমন কিছু করো না যেন তোমার অস্তিত্ব শেষ করতে হয় আমায়।

কাইফঃ তুই বেঁচে থাকলে তো আমার অস্তিত্ব শেষ করবি। আজকে তোকে মেরে ক্রিস্টাল নাইফ হাসিল করবো আমি তারপর ভ্যাম্পায়ার আর ওয়্যারওল্ফ কিংডম একা রাজত্ব করবো।( হাসতে হাসতে)

আঁধার নিজের রাগে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে কারন এই মুহূর্তে ও কোন লড়াইয়ে জড়াতে চাচ্ছে না।

কাইফঃ তাকিয়ে না থেকে সবাই মিলে শেষ করো এই আঁধারকে ( নেকড়েদের আদেশ দিল )

কাইফের হুকুম পেয়ে নেকড়ে গুলো আঁধারের সামনে এগিয়ে গেল। আঁধার শবনমকে সাইডে সরিয়ে ওকে আড়াল করে দাঁড়ায় যেন ওর গায়ে আঁচড় না লাগে।

সব গুলো নেকড়ে আঁধারের সাথে ফাইট করছে একে একে সব গুলোকে মারছে আঁধার। কাইফ ঘাবড়ে যাচ্ছে আঁধারের কাজে। যদি আঁধার সব গুলো কে মেরে ফেলে তাহলে ওকেও মেরে ফেলবে।

কাইফ কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছে না আঁধারকে কমজোর করার। হঠাৎ কাইফের চোখ যায় শবনমের দিকে। শবনম ভয়ে জরোসরো হয়ে এক কোনে দাঁড়িয়ে আছে আর আঁধারকে দেখছে।

কাইফঃ পেয়ে গিয়েছি তোমার দূর্বলতা কিং,,,( কুৎসিত হাসি দিয়ে)

কাইফ শবনমের পিছনে গিয়ে ওর গলায় ছুরি ধরে আঁধারকে ডাক দেয়,,

কাইফঃ থেমে যাও আঁধার তোমার দূর্বলতা এখন আমার হাতে।

আঁধার কাইফের কথা শুনে চমকে পিছনে ফিরতেই দেখে কাইফ শবনমের গলায় ছুরি ধরে আছে। আঁধার ঘাবড়ে এগিয়ে আসতে নিলেই কাইফ বলে উঠে,,

কাইফঃ এক কদম এগোলে এখুনি শেষ করে দিবো ওকে। ( ছুরিটাতে চাপ দিয়ে)

আঁধার থমকে যায় একই যায়গায়।

ব্যথায় আর ভয়ে কথা বলতে পারছে না শবনম।ওর চোখ দিয়ে শুধু পানি পরছে। হালকা হালকা ছুলে রক্ত বের হচ্ছে গলা গিয়ে।

আঁধারঃ কাইফ তোমার শত্রুতা আমার সাথে ওর ক্ষতি করো না। ওকে ছাড়ো। আমি কোন শত্রুতা চাই না আমি চাই ভ্যাম্পায়ার আর ওয়্যারওল্ফ সবাই নিজেদের মতো স্বাধীন ভাবে থাকুন বিনা কোন দ্বন্দ্ব বিবাদে।

কাইফঃ শত্রুতা তোর সাথে তাই দুইশত বছর আগে তোকে শেষ করেছিলাম। কিন্তু এই মেয়ের কারনে তুই আবার বেঁচে ফিরলি। আর ভ্যাম্পায়ার ওয়্যারওল্ফ কখনো বন্ধু হয়ে থাকতে পারে না। তারা চিরজীবনের শত্রু আর শত্রুই থাকবে।

আঁধার এক ধ্যানে শুধু ছুরিটার দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে ওর জীবন শেষের দিকে।
হাত পা কাঁপতে শুরু করেছে ওর।

কাইফঃ আগে এই মুসিবতকে শেষ করবো একে শেষ করলে তুই নিজেই শেষ হয়ে যাবি। তাছাড়া ওর মধ্যে Moonless Night এর পাওয়ার আছে। ওকে আমি না মারলেও Level-E ভ্যাম্পায়ার রা ঠিকই মেরে ফেলবে। তাই ভাবছি শুভ কাজটা আমিই করি।

আঁধারঃ নো কাইফ লিভ হার,,,( কাঁপা কন্ঠে)

হঠাৎ কাইফ শবনমের গলায় ছুরি চালাতে নিলেই কেউ ওর ঘাড়ে আঙ্গুল দাবিয়ে দিয়ে ওর শরীর অবশ করে দেয়। ( মার্শাল আর্ট টেকনিক)। কাইফের হাত থেকে ছুরিটা পরে যায়। বাধন ঢিলা হতেই শবনম ওর থেকে ছুটে আঁধারকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়।

আঁধারঃ তুমি ঠিক আছো মেরি জান দেখি কোথায় লেগেছে?( শবনমের গলায় হাত বুলিয়ে রক্ত মুছে দিল। )

শবনমঃ আ আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আঁধার। ( ভয়ে ভয়ে)

কাইফ স্ট্রং হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওর শরীর অবস হয়েছে মাথা না। কাইফ নিজের মাথা একটু ঘুরিয়ে পেছনে তাকাতেই চমকে যায়। ধ্রুব দাঁড়িয়ে আছে তারমানে ধ্রুব ওকে মেরেছে।

কাইফঃ ইউ চিটার নিজের বাবার উপর হামলা করলি,,,

ধ্রুবঃ যখন ছোটরা ভুল করে তখন বড়দের কর্তব্য হয় ছোটদের ভুল ধরিয়ে দিয়ে তাদের সঠিক পথে নিয়ে আসা। সেই হিসেবে যখন বড়রা ভুল করে তখন ছোটদের দায়িত্ব হয় বড়দের ভুল ধরিয়ে দিয়ে তা সংশোধন করে দেওয়া। তুমি ভুল রাস্তায় পা বাড়াচ্ছো ড্যাড তাই তোমার ছেলে হিসেবে আমার দায়িত্ব তোমাকে ভুল পথ থেকে ফিরিয়ে আনা।

কথাটা বলেই ধ্রুব আবার কাইফের ঘাড়ে আঙ্গুল দিয়ে চাপ দেয় আর কাইফ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।

ধ্রুব শবনমের সামনে এগিয়ে এসে ওকে বলতে শুরু করে।

ধ্রুবঃ তুই ঠিক আছিস শবনম? স্যরি এয়ার আমি দেড়ি করে ফেললাম।

শবনমঃ ধ্রুব! তুই তোর ড্যাডকে মেরে ফেললি?(অবাক হয়ে)

শবনমের কথায় আঁধার আর ধ্রুব হালকা হাসলো।

ধ্রুবঃ মেরে ফেলি নি জাস্ট অজ্ঞান করেছি। আসলে ড্যাডের বয়স হয়েছে তো তাই এমন পাগলামো করেছে। ( আঁধারের দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে)

ধ্রুব চোখ পাকিয়ে কড়া গলায় নেকড়েদের দিকে তাকিয়ে বলে,,,

ধ্রুবঃ ওখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন তোমাদের কিং কে কার রাজ্যে নিয়ে যাও গোওও,,,

ধ্রুবর কথখ শুনে নেকড়ে গুলো সুরসুর করে কাইফকে তুলে নিয়ে চলে যায়।

আঁধারঃ আমি জানতাম তুমি তোমার ড্যাডের মতো না ধ্রুব। আই হোপ ওয়্যারওল্ফ দের ভবিষ্যত কিং নিজের চিন্তা না করে তার রাজ্যের চিন্তা করবে। তুমি একজন পার্ফেক্ট কিং হয়ে দেখাবে তোমার ড্যাডকে।

ধ্রুব‌ মাথা নাড়ালো। বাইরে থেকে গাড়ির আওয়াজ আসছে। আঁধার শবনম আর ধ্রুব বাইরে চলে আসে দেখার জন্য। আসিফ মায়া কোয়েল মিম আর ইয়ান গাড়ি থেকে নামছে। আঁধার শবনমের হাত ধরে আছে আর শবনম চোখে পানি নিয়ে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে।

মিম আর কোয়েল দৌড়ে এসে শবনমকে জড়িয়ে ধরে।

কোয়েলঃ শবনম তুই রেগে আছিস আমার উপর। প্লিজ আমার জন্য নিজেকে কষ্ট দিস না। আমি আমার ইয়ান ভাইয়ার কাছেই থাকবো তোদের লাইফে আসবো না প্রমিজ। আগে যেমন ছিলাম তেমন ভাবেই থাকবো আমরা আমি তোর আম্মি আব্বিকে নিজের আব্বি আম্মি বলবো না তাও প্লিজ তুই কষ্ট পাস না। আমার কিছু লাগবে না শুধু তুই আগের মতো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে থাকিস। ( কান্না করতে করতে)

শবনমঃ আমি তোকে আর আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ভাববো না। ( রেগে)

কোয়েল সহ সবাই শবনমের দিকে‌‌ অবাক চোখে তাকালো। কোয়েল ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে শবনমের দিকে।

কোয়েলঃ স্যরি তো। আমি কিছু করিনি তাও তুই আমার সাথে এমন করছিস,,,

শবনমঃ আচ্ছা তুইই বল; আমি কেন তোকে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ভাববো হ্যাঁ? তুই তো বোন হস। আর কি যেন বললি তুই? তুই ইয়ান ভাইয়ার কাছে থাকবি আমার আম্মি আব্বি কে নিজের আম্মি আব্বি ভাববি না। আমার কোন জিনিসে অধিকার খাটাবি না তাইতো?

কোয়েল মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলল,,

শবনমঃ কেন তুই কি আমার সৎ বোন যে আমি তোর সাথে হিংসা করবো? We r sister’s from heart okay…‌ তার উপর আমি তোর বড় সো রেসপেক্ট দিয়ে কথা বলবি আর আমি যেভাবে বলবো সেভাবে চলবি। বল রাজি কিনা?

কোয়েল মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলল,,, তারপর শবনমকে জড়িয়ে ধরে বলতে শুরু করল,,,

কোয়েলঃ আই লাভ ইউ এয়ার।

শবনমঃ u r the best sister in the world.

কোয়েলঃ তুইও।

সবাই হাসছে ওদের কান্ড দেখে। আসিফ আর মায়া দূরে দাঁড়িয়ে আছে। শবনম কোয়েলের হাত ধরে ওদের সামনে গিয়ে বলে,,,

শবনমঃ আই’ম স্যরি আম্মি আমার জন্য তোমরা অনেক সাফার করেছো তাইনা? আমি আর কখনো তোমাদের কষ্টের কারণ হবো না প্রমিস।

মায়া এবার কেঁদে দিল।

মায়াঃ আমি তখন রেগে ছিলাম আম্মু তাই ওমন ভাবে বলেছি। প্লিজ তুই রাগ করিস না আমি তোকে কত ভালোবাসি তুই জানিস।‌

আসিফঃ স্যরি প্রিন্সেস আব্বির সাথে রাগ করো না প্লিজ।

শবনম পিছনে ফিরে আঁধারের দিকে তাকালো। আঁধার‌‌ ইশারায় হ্যাঁ বলল ওকে।

শবনম মায়া আর আসিফ কে জড়িয়ে ধরলো সাথে কোয়েলও।

মায়া আসিফঃ উই লাভ ইউ বোথ। এখন বাড়িতে
যাবো চলো।

আঁধার শবনমের হাত ধরে ফেলে। আসিফ আর মায়া জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালো আঁধারের দিকে।

আঁধারঃ আই’ম স্যরি বাট শবনম আপনাদের সাথে যেতে পারবে না এতে আপনাদের উপর রিস্ক বাড়বে।

আসিফঃ মানে?

আঁধারঃ সবাই জেনে গেছে যে শবনমের মধ্যে পাওয়ার আছে। তাই বারবার ওর উপর হামলা হতে পারে। Level-E ভ্যাম্পায়ার রা সবার আগে ওর পিছনে পরবে এতে আপনাদের ও ক্ষতি হতে পারে। আমি চাইনা যে আমাদের জন্য আবারও আপনাদের কোন ঝামেলা হোক।

আসিফঃ ঝামেলা!! ও আমাদের মেয়ে ওর জন্য আমাদের কোন সমস্যা হবে না।

আঁধারঃ আপনি বুঝার চেষ্টা করছেন না মি. চৌধুরী। আচ্ছা শবনম তুমি কি চাও তোমার জন্য তোমার ফ্যামিলির উপর বিপদ আসুক?

শবনমঃ না। আমি যাবো না তোমাদের সাথে এখানেই থাকবো। আমি চাই না আমার জন্য তোমাদের ক্ষতি হোক। ( কাঁদো কাঁদো ভাবে)

শবনম আঁধারের পাশে দাঁড়ালো। আসিফ অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে শবনম আর আঁধারের দিকে।

আঁধারঃ ডোন্ট ওয়ারি মি. চৌধুরী। ও আপনার মেয়ে ছিল আছে আর থাকবে। কিন্তু ওর সেফটির কথাও একটু ভাবেন। ওতো আর দূর কোথাও চলে যাচ্ছে না আপনাদের আশেপাশেই থাকবে। বিশ্বাস রাখেন আমার উপর।

আসিফ আর মায়া কিছু বলতে পারলো না। শবনমের মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেল তারা। তারা চলে যেতেই শবনম কান্না শুরু করে দিল। আঁধার শবনমকে জড়িয়ে ধরে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে ভাবছে,,,

আঁধারঃ দুনিয়াতে অন্ধকার আছে বলেই আলোর মুল্য আমরা বুঝতে পারি। খারাপ আছে বলেই ভালোর গুন উপলব্ধি করতে পারি। দু’টোর মাঝে সমন্বয় স্থির করেই আমাদের বাঁচতে হয়। অনেক সময় খারাপ থেকে নিজের কাছের মানুষদের প্রটেক্ট করতে তাদের থেকে দূরত্ব বজিয়ে নিতে হয়। কারন দূরত্বে কখনো ভালোবাসা কমে না বরং এর গভীরতা আরো বৃদ্ধি পায়। আজকে আমি তোমাকে তোমার ফ্যামিলি থেকে দূরে সরিয়েছি কিন্তু বিশ্বাস করো এতে তোমার এবং তাদের মঙ্গল লুকিয়ে আছে। ভ্যাম্পায়ার আর মানুষদের জীবন আলাদা। আমার মম ড্যাড আলাদা অস্তিত্বের ছিলেন আমরাও তেমনি। তাদের ভালোবাসার পরিণতি মৃত্যু ছিল বিচ্ছেদ ছিল আমি চাই না আমাদের ভালোবাসার পরিণতি ও এমন হোক।

তাই তোমাকে প্রটেক্ট করতে যদি সবার থেকে আলাদা করতে হয় আমি সেটাই করবো। ( মনে মনে)।

❣️ 5 Years Later ❣️

এই পাঁচ বছরে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। কোয়েল আর ধ্রুবর বিয়ে হয়েছে আজ চার বছর। ওদের ছোট একটা বেবিও আছে নাম “কুহু”। ধ্রুব ওয়্যারওল্ফ সেটা শুধু কোয়েল জানে। দে হ্যাভ আ হ্যাপি ফ্যামিলি।

ইয়ান এখন মাউন্ট হিল কলেজের প্রফেসর। মিমও সেই কলেজের লেকচারর হিসেবে জয়েন করেছে। ওরা একটা বেবি এডব্ট করেছে নাম “মিশান”। ভ্যাম্পায়ার কিংডম এখন ইয়ান একা সামলায়।

❣️ In London ❣️

ফোনের গ্যালারিতে সবার ছবি গুলো দেখছে আর আনমনে হাসছে শবনম। চার বছর ধরে ওরা লন্ডনে আছে। আঁধার শবনমকে সব বিপদ থেকে প্রটেক্ট করতে শুধু শহর না দেশ ও বদলে ফেলেছে।

হঠাৎ পেছন থেকে কেউ জড়িয়ে ধরায় শবনম ফোন নামিয়ে নিল।

আঁধারঃ মিস করছো সবাইকে?

শবনমঃ হুম। আচ্ছা আঁধার আমরা কি আর কখনো ওখানে ফিরব না?( মন খারাপ করে)

আঁধার শবনমকে ওর দিকে ঘুরিয়ে একটা খাম সামনে ধরে। শবনম খামটা খুলতেই অবাক হয়ে যায়।

শবনমঃ বিডির টিকিট!!!( অবাক হয়ে)

আঁধারঃ তোমার মন খারাপ এটা কি আমি মেনে নিতে পারি বলো। তাই তোমার খুশির জন্য সকালে গিয়েই বুক করে এসেছি।

শবনমঃ তুমি আমার মনের কথা সবসময় কিভাবে বুঝে নেও না বলেও?

আঁধারঃ যে মনে আমার বসবাস সে মনের খবর আমি রাখবো না তো কে রাখবে মেরি জান। কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে,,,

শবনমঃ কি শর্ত?

আঁধারঃ আমরা এক সপ্তাহের মধ্যেই ব্যাক করবো। এখন বলো চলবে?

শবনমঃ চলবে মানে দৌড়াবে। ( খুশি হয়ে) আই লাভ ইউ আঁধার ইউ আর দা বেস্ট। ( আঁধারকে জড়িয়ে ধরে)

আঁধারঃ আই লাভ ইউ টু মেরি জান। আ্যন্ড ইউ আর দা বেস্টেজ।( শবনমের কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে)

♠️The End ♠️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here