♠#The_Vampire_King ♠,17,18
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_17
ভ্যাম্পায়ার টি শবনমের পেছনে দাঁড়িয়ে ওর ঘারের দিকে নিজের মুখ বারায়। ভ্যাম্পায়ার টির দাঁত প্রায় ছুঁই ছুঁই শবনমের ঘার পর্যন্ত।
আঁধারঃ স্টপপপপ ( চিৎকার করে)
হঠাৎ আঁধারের চেঁচানো শুনো শবনম ঘাবড়ে যায় আর ওর হাত থেকে বই গুলো পরে যায়।
আঁধাররের আসার সাথে সাথে ভ্যাম্পায়ার টি দ্রুত গায়েব হয়ে যায়।
আঁধার শরীর কাঁপছে ভাগ্যিস ও সময় মত পৌঁছে গেছে নাহলে কি হত ভাবতেই ওর গা শিউরে উঠে।
শবনমঃ what the hell এভাবে কেউ চিৎকার করে। এটা লাইব্রেরি আপনি কি ভুলে যাচ্ছেন মি. রেজওয়ান। ( নিচু স্বরে একটু রাগি ভাবে)
আঁধার শবনমের কথায় বাস্তবে ফিরে তারপর ওর দিকে এগিয়ে দিয়ে আচমকা ওকে নিজের বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে।
আঁধার এক হাত দিয়ে শবনমের চুলে হাত বুলাচ্ছে আরেক হাত ওর পিঠে। আচমকা আঁধারের জড়িয়ে ধরায় শবনম বেকুব বনে গেল।
আঁধার খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে। এমন লাগছে শবনমকে যেন হারাতে হারাতে পেয়েছে।
আঁধারের স্পর্শে অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছে শবনমের মনে। হার্ট বিটের গতি দ্রুত হয়ে যাচ্ছে ওর।
অটোমেটিকলি শবনমের হাত আঁধারের পিঠে চলে যায়।
কারো পায়ের শব্দে আঁধারের ঘোর কাটে সাথে সাথে ও সরে আসে শবনমের থেকে।
শবনম ও দূরে সরে দাঁড়ায় আঁধারের থেকে। আঁধার শবনমের দিকে তাকিয়ে আছে খুব গভীর দৃষ্টিতে। শবনম এই দৃষ্টির মানে বুঝতে পারছে না তাও ঘোর লাগা কাজ করছে এই দৃষ্টির মাঝে।
আঁধার কিছু না বলেই ঘুরে দ্রুত পায়ে বেড়িয়ে যায় লাইব্রেরি থেকে।
শবনম আঁধারের বিহেভিয়ারে টাস্কি খেয়ে যাচ্ছে প্রতিবার।
শবনমঃ এই বাদামী চোখ ওয়ালার কি হলো হঠাৎ। এমন বিহেভ করছে কেন? এই বাদামী চোখ ওয়ালা নিজেও পাগল হচ্ছে আর আমাকেও পাগল বানাচ্ছে। ( কনফিউজড হয়ে)
শবনম নিচে থেকে বুক গুলো তুলে ঝেড়ে শেল্ফে রেখে দেয়।
♠♠ At Night In Dark Forest ♠♠
চারো দিকে অন্ধকার আর নিস্তব্ধ পরিবেশ। পাতার খচখচ শব্দও গা শিউরিয়ে তুলে। মাঝে মধ্যে নেকড়েদের ভয়ঙ্কর ডাক ভেসে উঠছে।
ডার্ক ফরেস্টে আপন মনে হেটে যাচ্ছে রনি। হঠাৎ ওর পায়ের সামনে কেউ একটা তলোয়ার ছুরে মারলো।
রনি তলোয়ার টার দিকে তাকিয়ে পেছন ফিরলো। আঁধার ওর ভ্যাম্পায়ার হুডি পরে হাতে তলোয়ার
নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
রনি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আঁধারের দিকে তাকালো।
আঁধারঃ অনেক দিন হলো কোন ভ্যাম্পায়ার এর সাথে ফাইট করি না তাই আজ ভাবলাম Level_E এর ভ্যাম্পায়ার দের সাথে তলোয়ার বাজি করি।
রনিঃ Yor r #The_Vampire_King আর আমি একজন সাধারণ Level_E ভ্যাম্পায়ার। পরাজয় আমার হবে যেনেও আমি আমি কেন তোমার সাথে ফাইট করবো কিং।
আঁধারঃ ভেবে নাও এখন তোমার সামনে যে দাঁড়িয়ে আছে সে কিং নয় একজন সাধারণ ভ্যাম্পায়ার। আমি নিজের কোন পাওয়ার ব্যবহার করবো না চিন্তা মুক্ত থাকতে পারো। যুদ্ধ হবে শুধু তলোয়ার এর মাধ্যমে।
রনি নিচে থেকে তলোয়ারটা তুলে বলে।
রনিঃ তাহলে ভেবে নাও এটা তোমার জীবনের শেষ রাত। কারন তোমার কিং পাওয়ার ছাড়া তুমি কিছুই না। ( হিংস্র চোখে )
আঁধারঃ দেখা যাক আজ কার শেষ রাত হয়।
রনি এগিয়ে আসলো আঁধার এর দিকে আঁধার ও রনির আঘাতের প্রতিঘাত করছে। এক পর্যায়ে রনি আঁধারের তলোয়ারের প্রহার সহ্য করতে না পেরে নিচে পরে যায়। আঁধার তলোয়ারের কোনা রনির হৃদয়ের ঠিক মাঝে গেথে দেয় তারপর ওর উপর ঝুঁকে বলে।
আঁধারঃ পাওয়ার হোক বা না হোক কিং সব সময় কিং ই হয়। ( দাঁতে দাঁত চেপে) লাস্ট বার ওয়ার্নিং দিচ্ছি stay away from her…. (তলোয়ার টা আরেকটু জোরে গেথে দিয়ে।)।
রনি ব্যথায় চিৎকার দিয়ে উঠে। ওর চিৎকারে গাছে ঘুমন্ত পাখি গুলো ডানা ঝাপটাতে শুরু করে।
রনি ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে বলতে শুরু করে।
রনিঃ আমি নাহয় ওর থেকে দূরে থাকবো কিন্তু বাকি ভ্যাম্পায়ার!! তারা তো সুযোগের অপেক্ষায় আছে কখন ওর উপর তারা আক্রমণ করবে। কার কার হাত থেকে রক্ষা করবে তুমি তোমার শবনমকে?? সমস্ত Level_E ভ্যাম্পায়ার ওর পেছনে পরে আছে। কাকে কাকে থামাবে তুমি।
আঁধারঃ সেটার চিন্তা তোকে করতে হবে না। I’m enough for protecting her… যত দিন আমি বেঁচে আছি ওর কোন ক্ষতি হতে দেব না। আজকের পর থেকে ওর আশে পাশে ও যেন না দেখি তোকে। যদি কখনো দেখি তাহলে তুই আর পরের দিনের সূর্য দেখতে পারবি না।
আঁধার তলোয়ারটা দূরে ছুরে ফেলে চলে যায়।
♠♠In Morning ♠♠
ঘড়ির এলার্মে ঘুম ভাঙে শবনমের। আড়মোড়া ভেঙ্গে ও বিছানায় বসতেই টেবিলে একটা বক্স দেখতে পেল ও। ভালো ভাবে চোখ কচলে শবনম তাকাল সেখানে। একটা মোবাইল ফোনের সেট। শবনম এক লাফে বক্সটা খুলে ফোন বের করল।
শবনমঃ OMG আমার ফেভারিট ফোন। ( খুশি হয়ে ফোনে কিস করে )
কিন্তু এটা কোথা থেকে আসলো ( ভ্রু কুঁচকে) আব্বি রেখেছে মনে হয় আমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য ওয়াওওও।
হঠাৎ বক্সের উপরে একটা কাগজ দেখতে পেল শবনম। কাগজটার উপরে লিখা,,,
A small small sorry gift for you…
#Unknown
শবনমঃ এই আননোন আবার কোথার কোথা থেকে আমদানি হলো। ( অবাক হয়ে)
To be continued….
♠#The_Vampire_King ♠
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_18
♠♠In College ♠♠
ক্যান্টিনের দিকে যাচ্ছিল শবনম। সামনেই ইয়ান দাঁড়িয়ে ফোনে কারো সাথে কথা বলছে।
শবনম ভালো ভাবে আশে পাশে তাকিয়ে দেখলো মিম আছে কিনা। মিম কে আশেপাশে না দেখে ও দৌঁড়ে ইয়ানের সামনে চলে গেল।
কথা বলা শেষ করে ফোন নামিয়ে ইয়ান ঘুরতেই শবনমকে দেখতে পেল। হঠাৎ ওকে দেখে কিছুটা অবাক হয় ও।
শবনমঃ গুড মর্নিং ইয়ান স্যার,,,
ইয়ানঃ মর্নিং। এখানে কি করছো শবনম ক্লাস নেই?
শবনমঃ আমিতো ক্যান্টিনে যাচ্ছিলাম স্যার। আপনাকে দেখলাম দাঁড়িয়ে থাকতে তাই ভাবলাম আপনাকেও বলে রাখি।
ইয়ানঃ কোন ব্যাপারে?
শবনমঃ একচুয়ালি স্যার বড় আব্বি না মিম আপির জন্য ছেলে খুঁজছে। কি করবে বলেন আপি তো বুড়ি হয়ে যাচ্ছে বিয়ে শাদি দিতে হবে না। ( ইয়ানের চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে) তাই আপনার চেনা জানা কোন ভালো সুইটেবল পাত্র থাকলে আমাকে অবশ্যই জানাবেন।
ইরান তো রেগে ফায়ার হয়ে যাচ্ছে মিমের মিমের বিয়ের কথা শুনে।
ইয়ানঃ মিম রাজি বিয়েতে ?
শবনমঃ রাজি মানে? আপি তো এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে বিয়ে করার জন্য। কালকে থেকে এই পর্যন্ত কত গুলো ছেলের ছবি ও ডিটেইলস চেক করেছে হিসেব নেই। ( ডাহা মিথ্যা কথা)
ইয়ানঃ ওর বিয়ে করার ভূত আমি নামাচ্ছি।
ইয়ান রেগে দ্রুত চলে গেল ওখান থেকে।
শবনমঃ উফফ কি ভালোবাসা বিয়ের কথা শুনেই হাইপার হয়ে গেছে। ডোন্ট ওয়ারি ইয়ান স্যার জিজু তো আপনাকেই বানাবো আমি। কিন্তু তার আগে আপনাদের সেটিং টা আরো মজবুত করতে হবে আমাকে। ( মনে মনে)
কিন্তু স্যার কি আপি কে খুঁজতে গেলো? গিয়ে দেখে আসি।
শবনম ইয়ানের পিছু পিছু চলে গেল।
ক্লাসে বসে বই পড়ছিল মিম হঠাৎ কোথা থেকে ইয়ান এসে ওর হাত টেনে নিয়ে একটা ফাঁকা ক্লাসে নিয়ে আসলো।
মিমঃ ই ইয়ান স্যার কি হলো আপনি আমাকে এভাবে নিয়ে আসলেন কেন? ( ভয়ে ভয়ে)
ইয়ান রেগে মিমের পেছনের দেয়ালে ঘুষি মেরে বলতে শুরু করল।
ইয়ানঃ তোমার সাহস কি করে হলো বিয়ের জন্য হ্যাঁ বলার তার উপর ছেলেদের ডিটেইলস ও চেক করে ফেলেছো। বিয়ের এতো কিসের তাড়া বলবে আমাকে।
মিম ইয়ানের কথার কোন অর্থই বুঝতে পারছে না।
মিমঃ বিয়ে! কার বিয়ে আর কখন আমি ছেলেদের ডিটেইলস দেখলাম আজব। আমি কিছুই বুঝতে পারছি না স্যার আপনি কোন বিষয়ে বলছেন।
দরজার বাইরে আড়ি পেতে ওদের কথা শুনছে শবনম।
ইয়ানঃ Don’t try to be so naive Mim. শবনম আমাকে সব বলেছে। even she tell me তোমার জন্য যোগ্য পাত্র খুঁজে দিতে।
শবনমঃ এইরে স্যার আমার নাম কেন তুললেন। মিম আপিতো আমাকে মেরেই ফেলবে। আল্লাহ আমাকে বাঁচিও আমার দজ্জাল আপির থেকে। ( কনফিউজড হয়ে নখ কামড়াচ্ছে )
মিমঃ ওহ এখন বুঝলাম এটা তোর কারসাজি। আজকে তোকে পেয়ে নেই শবনমের বাচ্চি বুঝাচ্ছি বিয়ে কাকে বলে। ( মনে মনে)
ইয়ানঃ ওকে বকে লাভ নেই ও তো বাচ্চা মানুষ ওকে কিছু বললে তোমার খবর আছে।
মিম শকড্ ওর মনের কথা কিভাবে বুঝলো ইয়ান। আর এইদিকে তো শবনমের মনে লাড্ডু ফুটছে।
শবনমঃ হায়য় আমার জিজু কত ভালো আমার কত কেয়ার করে। লাভ ইউ জিজু।
হঠাৎ কেউ শবনমের কাছে হাত রাখে। শবনম হাত সরিয়ে বলতে শুরু করে।
শবনমঃ আরে ডোন্ট ডিস্টার্ব আমি রিয়েলিটি শো দেখছি।
আবার পেছনের মানুষটি ওর কাধে হাত রেখে ঝাকায়। শবনম এবারও হাত সরিয়ে বলে।
শবনমঃ আরে বললাম না ডোন্ট ডিস্টার্ব। ( বিরক্ত হয়ে)
পেছনের মানুষটি এবার শবনমের হাত ধরে ওকে ঘুরায়।
শবনমঃ আরে কে….
দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটিকে দেখে শবনমের স্ট্রোক করার অবস্থা। আঁধার রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে শবনমের দিকে। আঁধারকে দেখে শবনমের জান যায় যায় অবস্থা। ইচ্ছে করছে উপরের রেলিং থেকে লাফ দিয়ে পালাতে।
শবনমঃ আ আপনি? ( ভয়ে ভয়ে)
আঁধারঃ What are you doing here?
শবনমঃ আ ব আমি এখানে কিছু না কই কিছু না। ( হাসার চেষ্টা করে)। আমিতো ক্লাসেই যাচ্ছিলাম হ্যাঁ আমার ক্লাস যেন কোথায়? ( ভুলে গেছে ?) মনে পরেছে আমার ক্লাস তো থার্ড ফ্লোরে আমি নিচেই যাচ্ছিলাম।
আঁধারঃ তাহলে দাঁড়িয়ে আছেন কেন যান। গোও।
শবনমঃ যাচ্ছিতো।
শবনম ভয়ে এক দৌঁড়ে নিচে নেমে যায়। শবনম যেতেই আঁধার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ইয়ান আর মিমের কথা শুনতে শুরু করে।
ইয়ানঃ আমি কিছু জিজ্ঞেস করেছি তোমায় মিম অ্যন্সার মি।
মিমঃ আমার বোনকে আমি যা খুশি বলি এতে আপনার কিছু আসা যাওয়ার কথা না। আর আমি যদি কাউকে বিয়ে করতে রাজি হইও এতে আপনি এতো রিয়েক্ট করছেন কেন। আমি কাউকে বিয়ে করি কিস করি এতে আপনার কি? That’s non of your business. ( রেগে)
ইয়ানঃ Of course that is my business(রেগে)
তোমায় সম্পর্কে সব কিছু জানার অধিকার আছে আমার।
মিমঃ সেই অধিকারটার নাম কি বলতে পারবেন আমায়? ( ছলছল চোখে)
ইয়ানঃ চুপ,,,,,
মিমঃ পারবেন না আমি জানতাম। যেদিন এই অধিকার টার নাম খুঁজে পাবেন সেদিন আমার উপর নিজের অধিকার খাটাতে আসবেন ইয়ান।
মিম ইয়ান কে সাইড করে বেড়িয়ে যায়। আঁধার আড়ালে ছিল তাই মিম ওকে দেখে নি।
মিম চলে যেতেই আঁধার ইয়ানের কাছে যায়। ইয়ান আঁধারকে দেখে বলতে শুরু করে।
ইয়ানঃ ডোন্ট ওয়ারি ভাই আমি আমার সীমাবদ্ধতা জানি। তোমার করা নিয়ম আমি ভাঙবো না। আমি তোমার ভাই তার থেকে বড় হচ্ছে আমি ভ্যাম্পায়ার সেনাপতি আমাকে তো কিং এর নিয়ম অনুযায়ী চলতে হবেই।
আমি মিমকে আমার জীবনের সাথে জড়াবো না তাও প্লিজ আমায় ওকে ভুলতে বলো না।
আঁধার চুপ করে শুধু শুনছে ইয়ানের কথা। ইয়ান কথা গুলো বলে চলে যায়। হঠাৎ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ওর আঁধারকে বলে।
ইয়ানঃ ভালোবাসা আমাদের দূর্বল করে না কিং বরং আমাদের আরো স্ট্রং করে তোলে। ভালোবাসায় অনেক শক্তি আছে। যারা জীবনে সত্যি কারের ভালোবাসা পায় তারা অনেক ভাগ্যবান আর যারা তা পেয়েও হারিয়ে ফেলে তারা সবচেয়ে দুর্ভাগ্যবান।
ইয়ান চলে গেল। আঁধারের মাথায় এখন সব কিছুর যেন প্যাচ বেধে গেছে। সব দিক দিয়ে নিজেকে আটকানো মনে হচ্ছে।
ভ্যাম্পায়ার, ওয়্যারওল্ফ, শবনম, ইয়ান সবার মাঝখানে আটকা পরেছে ও।
কোন দিক রেখে কোন দিকে যাবে ও বুঝতে পারছে না।
♠♠ In Canteen♠♠
শবনম ধ্রুব কোয়েল আশিশ আর আয়রা ক্যান্টিনে বসে আছে। আঁধারের ওখান থেকে দৌঁড় খেয়ে শবনম ক্লাসে না গিয়ে সোজা ক্যান্টিনে চলে এসেছে।
শবনমঃ ওই বাদামী চোখ ওয়ালা আর আসার সময় পেল না। কি কথা বলছে ওরা কিছুই তো শুনতে পারলাম না। সব দোষ ওই এ্যাংরি ম্যান আঁধার রেজওয়ান এর। ( মনে মনে)
ধ্রুবঃ অনেক দিন হলো কোথাও ঘুরতে বের হই না আজকে ওয়েদার টা অনেক ভালো হিল ক্লাইম্বিং এ গেলে কেমন হয়।
কোয়েলঃ আমার ক্লাইম্বিং অনেক পছন্দ। এখানে এখনো কোন মাউন্ট ক্লাইম্ব করিনি তাই গেলে মন্দ হয় না।
আশিশঃ ঠিক এতে একটু মুড ফ্রেশ হবে। এক্সামের চিন্তায় আমার মাথা পুরাই গরম হয়ে আছে।
আয়রাঃ তুই চিন্তা করে কি করবি তুই তো এমনিও ফেইল ওমনিও ফেইল।
আয়রার কথায় আশিশের মুখ বাংলার পাঁচ হয়ে যায়। আর বাকিরা হেসে দেয়।
কোয়েলঃ শবনম ক্লাইম্বিং জানো?
শবনমঃ এয়াহ আমার ফেভারিট হবিও এটা।
ধ্রুবঃ দ্যান যাওয়া হোক।
♠♠ Hill Climbing Park ♠♠
To be continued…..