♠#The_Vampire_King ♠,19,20
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_19
[ আগেই বলে দিয়েছিলাম আজও বলছি এই গল্পটা সম্পুর্ণ কাল্পনিক প্রক্ষাপটে লিখা আর গল্পের স্থান পরিবেশ ম্যাজিক স্টান্ট সব কিছুই কাল্পনিক। কেউ বাস্তবিকতার সাথে জোরা দিয়ে আমাকে কিছু বলতে পারবেন না। ]
♠♠Hill Climbing Park ♠♠
পাহাড়ের উপরের থেকে নিচের দিকে তাকালেই গা শিউরে উঠে। নিচে ঘন জঙ্গল [ ডার্ক ফরেস্টের এক সাইড পরেছে এখানে ]
একবার কেউ নিচে পরলে সে আর বেঁচে ফিরতে পারবে না। আর জঙ্গলটা এতোই ঘন যে সহজে এর থেকে বের হওয়ার রাস্তা ও খোঁজ করা সম্ভব না। দুটো পাহাড় এক সাথে জয়েন করা। একটা বড় ওটা সব সময় ডেঞ্জারাস জোনে রাখা হয় কাউকে ওই পাহাড়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় না। আরেকটা হচ্ছে ছোট পাহাড় ওটাকে ক্লাইম্বিং পার্ক বানানো হয়েছে। সবাই এটাটে ক্লাইম্বিং করে জঙ্গলে নামে।
শবনম ধ্রুব কোয়েল আশিশ আর আয়রা ক্লাইম্বিং এর জন্য ছোট পাহাড়টায় আসে।
ধ্রুবঃ গাইজ আমি রোপ নিয়ে আসছি।
ধ্রুব গিয়ে দড়ি আর বাকি প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে চলে গেল।
শবনমঃ আচ্ছা কোয়েল তোমার ফ্যামিলিতে কে কে আছে? না মানে ইয়ান স্যার বাদে।
কোয়েলঃ বুঝ হওয়ার পর থেকে ইয়ান ভাইয়াকেই নিজের ফ্যামিলি হিসেবে দেখেছি। অনেক আদরের আমি ইয়ান ভাইয়ার।
শবনমঃ আর তোমার আম্মি আব্বি?
কোয়েলঃ জানি না তাদের বিষয়ে। আসলে তাদের কথা জিজ্ঞেস করলে ইয়ান ভাইয়ার মুখ মলিন হয়ে যেত। আমি তাকে হার্ট করতে চাই নি তাই এ বিষয়ে কখনো জিজ্ঞেস করিনি।
শবনমঃ ওহ আ’ম স্যরি।
কোয়েলঃ ইট্স ওকে আই ডোন্ট মাইন্ড।
শবনমঃ এমন কি কারন আছে যে ইয়ান স্যার লুকাচ্ছে ওর থেকে (মনে মনে )
ধ্রুবঃ কি কথা হচ্ছে।
শবনমঃ কিছু না।
ধ্রুবঃ এই নাও কোয়েল। ( রোপ এগিয়ে দিয়ে)
কোয়েলঃ থ্যাংক ইউ।
ধ্রুবঃ ভয় পাবে না তো?
কোয়েলঃ না আমি হাইট কে ভয় পাই না।
ধ্রুবঃ তাও ভয় পেলে আমায় বলো আ’ম অলওয়েজ দেয়ার পর ইউ। আমি থাকতে তোমাকে হার্ম হতে দিব না।
ধ্রুব রোপ নিয়ে আয়রা আর আশিশ কে দিচ্ছে। কোয়েল ধ্রুবর কথার মানে না বুঝতে পেরে বেকুবের মত ওর দিকে তাকিয়ে আছে। শবনম ঠিকই ধ্রুবর কথার অর্থ বুঝতে পেরেছে। শবনম নিজের হাসি কন্ট্রোল করে বলল।
শবনমঃ কোয়েল বেবি ব্রেইনে এতো প্রেসার দিস না এতে ক্লাইম্বিং করতে গিয়ে স্ট্রোক করার সম্ভাবনা আছে পরে আমাদের ধ্রুবর কি হবে!?
কোয়েলঃ কি?
শবনমঃ কিছুনা চল। ( কথা ঘুরিয়ে)
সবাই বেল্ট আর রোপ বাধছে। শবনম হাতে গ্লাভস্ পরতে নিলেই ওর ফোনে কল আসে।
শবনম ফোনের স্ক্রিনে দেখে মিমের ছবি ভাসছে। ভয়ে ঢোক গিলল শবনম।
শবনমঃ হ হ্যালো আপনি। ( ভয়ে ভয়ে রিসিভ করে)
মিমঃ ওই কোথায় তুই হ্যাঁ পুরো কলেজ তন্নতন্ন করে খুঁজেছি তোকে পাইনি।
শবনমঃ আ আপি আমি আর বাকীরা মিলে হিল ক্লাইম্বিং পার্কে এসেছে। আসলে একটু বোর ফিল হচ্ছিল তো তাই একটু ঘুরতে এসেছি ।
মিমঃ আমার বারোটা বাজিয়ে দিয়ে তুই ওখানে ঘুরতে গিয়েছিস বিচ্ছু মেয়ে। ( রেগে)
মিমের চিল্লানোতে শবনম ফোন সরিয়ে কানে হাত রেখে বলে।
শবনমঃ কি গলা রে বাবা মাইককেও হার মানাবে।
শবনম উঠে হাঁটছে আর কথা বলছে মিমের সাথে।
শবনমঃ আপি আমি আবার কি করলাম। ( ইনোসেন্ট ভাবে)
মিমঃ কি করছিস? তুই ইয়ান স্যার কে কি বলেছিস হ্যাঁ?
শবনমঃ কই কিছু বলিনি তো। ( মিথ্যা)
শবনম মিমের সাথে কথা বলার ব্যস্ততায় এটা খেয়ালই করে নি যে ও বড় পাহাড়ের ডেঞ্জারাস জোনে পৌঁছে গেছে।
মিমঃ একটা থাপ্পড় খাবি মিথ্যা বললে। ওয়েট আমি এসে তোকে বলছি তুই ইয়ান স্যারকে কি বলেছিস।
শবনমঃ এটা কিন্তু ঠিক না আপি ইয়ান স্যার বলেছে আমাকে কিছু বলতে না। ( সাথে সাথে শবনম নিজের মুখ চেঁপে ধরলো। )এটা কি বলে ফেললাম।
মিমঃ তার মানে তুই লুকিয়ে আমাদের কথা শুনছিলি ?
শবনমঃ শুনতে পারলাম কই ওই বাদামী চোখ ওয়ালা আঁধার রেজওয়ান সব গুর গোবর করে দিয়েছে। ( আবার জিভে কামড় দিল)
সব সত্য কথা বেরিয়ে যাচ্ছে মুখ থেকে ??
শবনমঃ আমি পরে কথা বলবো বাই।
শবনম তারাহুরা করে কল কেটে দিল।
শবনমঃ আজকে আমার কপালে রাহু কেতু সব তান্ডব করবে।
শবনম ফিরে আসতে নিলেই ওর খেয়াল হয় ও বড় পাহাড়ে চলে এসেছে।
শবনমঃ হাঁটতে হাঁটতে এখানে চলে এসেছি টের ও পাই নি।
শবনম বরাবরই এই পাহাড়ে আসতে চাইতো এর গভীরতা দেখতে চাইতো কিন্তু কখনো সময় করে আসা হয় নি। তাই আজকে এখানে আসায় পাড়ারটার গভীরতা দেখার আগ্ৰহ জেগে উঠে আবার।
শবনমঃ এসেছি যখন একটু ভালো করেই ঘুরে নেই জায়গাটা এই সুযোগ যদি আর না আসে।
শবনম আস্তে আস্তে পাহাড়ের কিনারে যায়। নিচে তাকাতে শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায় ওর। এতো গভীর আর ভয়ঙ্কর লাগছে উপর থেকে যে শবনমের গলা শুকিয়ে যাচ্ছে ভয়ে।
শবনমঃ এজন্যই এই সাইড টাকে ডেঞ্জারাস জোন বলা হয়। ( হা হয়ে নিচে তাকিয়ে ) এখানে আর থাকা যাবে না যদি পরে টরে যাই। ( ঢোক গিলে)
শবনম পিছনে ফিরতেই একটা ভয়ঙ্কর চেহারার মানুষ দেখতে পায় নিজের মুখোমুখি। শবনম লোকটিকে দেখে চিৎকার দিয়ে পিছিয়ে যায়। সাথে সাথে ভয়ঙ্কর চেহারার লোকটি ওকে ওকে ধাক্কা দেয় আর শবনম নিচে পরে যায়।
শবনমঃ আআ আম্মিইই,,,
শবনম পাহাড়ের একটা খসে যাওয়া পাথর ধরে ঝুঁলে আছে। নিচে তাকাতেই গলা শুকিয়ে আসছে হাত পা কাঁপছে ওর। অনেক কষ্টে গলা থেকে কথা বের হলো ওর।
শবনমঃ ধ ধ্রুব হেল্পপপপপ আশিশশশ
ওর ডাক সেখান অবদি পৌঁছাচ্ছে না। হাত ফঁসকে যাচ্ছে পাথরটি থেকে শবনমের। হঠাৎ হাত ফঁসকে ও নিচে পরে যায়। শবনম চোখ বন্ধ করে চিৎকার দেয়।
হঠাৎ কেউ হাত ধরে ফেলে শবনমের। শবনম চোখ খুলে দেখে আঁধার এক হাত দিয়ে পাহাড়ের সাইড ধরে আছে আরেক হাত দিয়ে শবনমের হাত ধরে রেখেছে।
শবনম আঁধারকে এমন ভাবে দেখে অবাক প্লাস শকড্।
শবনমঃ আ আপনিইইই।
আঁধার শবনমের দিকে তাকালো ওর চোখে চিন্তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। শবনম আঁধারকে দেখে কান্না করে দিবে এমন অবস্থা। আঁধার ঝুঁলে আছে তাও ওর চেহারায় ভয়ের ছিটে ফোঁটা নেই আছে চিন্তার ছাপ তাও শবনমের জন্য।
আঁধারঃ তোমার নাম সুনামি রাখা উচিত ছিল যেখানে যাও নিজের উপর বিপদের ঝড় টেনে আনো ( ধমক দিয়ে)
শবনম আঁধারের দিকে তাকিয়ে কান্না করে দিল।
শবনমঃ পরে বকেন আগে আমাকে তুলেন বাদামী চোখ ওয়ালা স্যার। আমি এতো তারাতারি মরতে চাই না। আমার কত ইচ্ছে এখনো অপূর্ন আছে আমি মরে গেলে পরে ভূত হয়ে যাবো। আমি ভূত হতে চাই না। ( কান্না করতে করতে)
আঁধার এক টানে শবনমকে ওর কাছে টেনে ওর কোমর জড়িয়ে ধরলো। শবনম টাইট করে ধরে আছে আঁধারকে কারন ও ছেরে দিলেই শবনম সোজা উপরে থুক্কু নিচে।
আঁধারঃ উপরে যাওয়ার স্কুপ নেই তাই নিচে যেতে হবে। ( নরমাল ভাবে বলল)
শবনমঃ কিহহ ন নিচে মানে ?( চোখ বড় বড় করে)
আঁধারঃ নিচে মানে এটা,,,
আঁধার পাথরটা থেকে হাত সরিয়ে ফেলল সাথে সাথে ওরা দুজন নিচে পরে যেতে লাগলো। শবনম চিৎকার দেওয়ার আগেই আঁধার ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ওর মুখ নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়।
To be continued……
♠️ #The_Vampire_King ♠️
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_20
আঁধার পাথরটা থেকে হাত সরিয়ে ফেলল সাথে সাথে ওরা দুজন নিচে পরে যেতে লাগলো। শবনম চিৎকার দেওয়ার আগেই আঁধার ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ওর মুখ নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়।
শবনম কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে আঁধার। আর আঁধারের বুকে মুখ গুঁজে নিজের ভয় দূর করার চেষ্টা করছে শবনম।
আঁধারের চোখের রং হঠাৎ বদলাতে শুরু করে। চোখের রং সম্পুর্ণ গাঢ় বাদামী হয়ে যায়। নিচে বড় জলাশয়ের মত বিল দেখা যাচ্ছে। আঁধার শবনমকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নিজের চোখ বন্ধ করে ফেলে। ওরা দুজন সোজা জলাশয়ের মাঝে পরে। আঁধার শবনমকে নিয়ে জলাশয়ের গভীরে ডুবে গেছে তাও শবনমকে ছাড়ে নি ও।
উপরে উঠে আসে আঁধার শবনমকে নিয়ে। শবনম সেন্সলেস হয়ে গেছে হয়তো ভয়টা সামলে উঠতে পারে নি ও তার উপর শবনম ডাইভিং করতে পারে না তাই প্রচুর পানি খায় ও।
আঁধার শবনমকে কোলে তুলে উপরে পাড়ে তুলে আনছে। আঁধারের সমস্ত শরীর ভিজে গেছে শরীরের শার্ট লেপ্টে শরীরে লেগে গেছে। শবনমেরও একই অবস্থা।
আঁধার শবনমকে পাড়ে এনে শুইয়ে দেয় তারপর ওকে ডাকতে শুরু করে।
আঁধারঃ শবনম আর ইউ ওখে ( শবনমের গালে হালকা থাপ্পড় দিয়ে)। লুক আমরা ঠিক আছি শবনম। ভয়ের কিছু নেই উই আর আউট অফ ডেঞ্জার।
শবনম তাও রেসপন্স করছে না। এবার আঁধারের কেমন যেন ভয় করতে শুরু করেছে। আঁধার শবনমের মাথা ওর কোলে রেখে ওকে ডাকতে থাকে তাও শবনম চোখ খুলছে না।
আঁধারঃ নাহ আমাকে কিছু করতে হবে নাহলে ওর লাইফ ডেঞ্জারে পরে যাবে।
আঁধার কিছু একটা ভেবে শবনমকে মাটিতে শুইয়ে দেয় তারপর ওর দিকে ঝুঁকে যায়। আঁধার শবনমের দিকে ঝুঁকতেই ওর চোখ আটকে যায় শবনমের চেহারার দিকে। চোখ বন্ধ অবস্থায় কতটা নিষ্পাপ লাগছে ওকে। কেউ বলতে পারবে না মেয়েটা সবার নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরায়।
আঁধারের চুলের পানি নাক বেঁয়ে শবনমের মুখে পরছে আর আঁধার অপলক তাকিয়ে আছে শবনমের দিকে।
আবারো হয়তো মোহে পরে যাচ্ছে ও শবনমের। আঁধার শবনমের দিকে আরেকটু এগিয়ে যেতেই শবনম হঠাৎ কেশে উঠে আর আঁধারের ঘোর ভেঙে যায়। আঁধার সাথে সাথে শবনমের থেকে দূরে সরে যায়।
শবনম কাঁশতে শুরু করে হয়তো বেশি পানি খেয়ে ফেলায় এমনটা হচ্ছে।
শবনম কাঁশতে কাঁশতে উঠে বসে। বেচারীর চোখ জোড়া লাল হয়ে গেছে আর কাঁশতে কাঁশতে অবস্থা খারাপের দিকে।
আঁধার শবনমের পিঠে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে এতে শবনমের কাশি কমে আসে। শবনম নিজের আশেপাশে তাকিয়ে দেখে ওরা বনে ।
শবনমঃ আমরা এখানে কিভাবে? আর আমরা সত্যিই কি বেঁচে আছি? ( অবাক হয়ে)
আঁধারঃ অফকর্স বেঁচে আছো কজ বেঁচে না থাকলে নিশ্চয়ই কথা বলতে পারতে না। ( চোখ ছোট করে )
এইদিকে,,,,
শবনমকে না পেয়ে ধ্রুব কোয়েল আশিশ আর আয়লা প্রায় হয়রান।
ধ্রুবঃ কোথায় গেল ও কিছুক্ষণ আগে তো এখানেই ছিল।
আশিশঃ শবনম মিম দির সাথে কথা বলছিল হঠাৎ কোথায় গায়েব হয়ে গেল?
কোয়েলঃ এক কাজ করো ওকে কল দাও তাহলেই তো প্রবলেম সল্ফ।
ধ্রুবঃ হ্যাঁ।
ধ্রুব দ্রুত শবনমের ফোনে কল করল। ফোনের রিংটোন শুনতে পারছে সবাই।
আয়রাঃ আওয়াজ তো আশেপাশে থেকেই আসছে।
সবাই নিজের আশেপাশে দেখছে হঠাৎ ধ্রুবর চোখ যায় বড় পাহাড়ের কিনাড়ে শবনমের ফোন বাজছে। ধ্রুব সহ সবাই অবাক হয়ে তাকায় সেদিকে তারপর দৌঁড়ে বড় পাহাড়ে যায়।
ধ্রুবঃ ফোন এখানে তাহলে শবনম কোথায়?( ফোন তুলে চিন্তিত হয়ে)
আশিশ আর ধ্রুব পাহাড়ের নিচে তাকালো। ধ্রুব নিজের চোখ বন্ধ করে নিজের পাওয়ার ব্যাবহার করে বুঝার চেষ্টা করছে এখানে কি হয়েছিল।
ধ্রুবঃ Level_E (চিন্তিত হয়ে)তারমানে ওরা শবনমের উপর হামলা করেছে ওহ নো।( মনে মনে)
আশিশঃ শবনম নিচে পরে গিয়েছে গাইজ। ( ভয়ে)
আশিশের কথায় সবাইকে আঁতকে উঠে।
ধ্রুবঃ আমাদের পেছনের রাস্তা দিয়ে নিচে যেতে হবে শবনমকে খুঁজতে।
আয়রাঃ ও কি। ঠিক আছে এখান থেকে পরেও কিভাবে ঠিক থাকতে পারে ?
ধ্রুবঃ ওর কিছু হবে না। আমাদের ওকে খুঁজতে হবে।
কোয়েলঃ হ্যাঁ। এমনিতেই সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে ওর বিপদ হবে।
সবাই পেছনের জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে নিচে চলে যায় শবনমকে খুঁজতে।
এইদিকে,,,,
শবনম আঁধারের মাথা নষ্ট করে ফেলছে প্রশ্ন করতে করতে। আঁধার ওকে বলেছে যে নিচে পানি থাকায় ওরা বেঁচে গেছে তাও শবনম ওকে প্রশ্নের গোডাউনে ছুরে মারছে।
আঁধারঃ ওফফো তুমি একটু চুপ থাকতে পারো না।( ধমক দিয়ে)
শবনম আঁধারের ধমকে চুপসে গেল।
আঁধারঃ আমাদের এই জঙ্গল থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজতে হবে সো সেই দিকে কনসেনট্রেট করো।
শবনমঃ এখান থেকে বের হওয়া তো একদম সোজা। ( ভাব নিয়ে)
আঁধারঃ কিভাবে?
শবনমঃ এই যে আমরা একদম বরাবর আই মিন সোজা রাস্তায় হাঁটতে থাকবো। হাঁটতে হাঁটতে কোন না কোন পথ তো পেয়েই যাব।
আঁধারঃ বাহ কি সুন্দর আইডিয়া,,, এ ধরনের আইডিয়া তুমিই দিতে পারো।( দাঁতে দাঁত চেপে)
To be continued….