The_villain? In_disguise_psycho? Part_09

0
7492

The_villain?
In_disguise_psycho? Part_09
#Lamiya_Rahaman_Meghla

#রহস্য_সমাধান

অতিত,
বিয়ের ৪ বছর পর নায়লা রহমানের কোল আলো করে জন্ম নিলো একটা কন্যা শিশু।
মিজান রহমান আর নয়লা রহমানের সন্তান প্রথম সন্তান তারা অনেক খুশি৷
তাদের পরিবারে কিছুর অভাব ছিলো না শুধু ছিলো একটা সন্তানের কমতি।
জদিও বড়ো ভাই এর সন্তান একটা আছে, আমান তাকে খুব ভালোবাসলেও একটা কমতি থেকেই যেত কারন দুই ভাই কাজের জন্য আলাদা থাকতো।
মিজান রহমান অরুফে মিজান খানও বলা চলে,ও আরিফ খান দুই ভাই আর এক বোন ।
মিজান রহমান দেশে থাকে না লন্ডন থেকে ব্যবসা করে বিরাট বিজনেস ম্যান।
আর আরিফ খান তার স্ত্রী সন্তান এবং বোনকে নিয়ে বাংলাদেশে থাকেন।
আজ মিজানের মেয়ের খবর শুনে আরিফ খান খুব খুশি,
–কিরে ভাই কতো দিন বাইরে থাকবি আসবি না বাড়ি। (আরিফ খান)
–ভাইয়া আমার মেয়ের ১ বছরের জন্মদিন আমি দেশেই করবো তুমি কষ্ট পেয় না।ভাবির কি অবস্থা। (মিজান)
— আছে সুস্থ তুই তো জানিস তোর ভাবির আবার ছেলে হবে কিন্তু তোর মেয়ে হইছে শুনে সে যে কি খুশি।
–আমরাও খুশি ভাইয়া চিন্তা করো না আমার মেয়ের ১ বছরের জন্মদিন এর অনুষ্ঠান বাংলাদেশেই হবে।।
–হুম আচ্ছা রাখি।
–আচ্ছা।
আরিফ খান আর মিজান রহমানের কাছে ছিলো তাদের বাবার দেওয়া ২০০ একোড় জমি যার উপর নজর ছিলো এক অসাধু ব্যবসায়ীর।
যার নাম আজিজ রায়হান।
বাংলাদেশ থেকে এই দুই ভাই এর সম্পত্তির দিকে তার নজর।
সে চায় কোন মতে এই সম্পত্তি হাসিল করতে।
তাই তো আমানের ফুপিকে বিবাহ করেন।
দুই ভাই এর কেউই জানতো না আসলে এই লোকের মনে এতো সয়তানি।
আজিজ রায়হান ভেবেছিলো রইসা খানকে বিয়ে করলে আস্তে আস্তে সব সম্পত্তি তাদের নামে হবে কিন্তু সব গেমে পানি ফেলে দিলো সে দিন,
সে দিন ছিলো মেঘের জন্মদিন এক বছর পুর্তি অনুষ্ঠান।
মিজান রহমান, নয়লা রহমান আর মেঘকে নিয়ে কথা মতো দেশে এসেছে,
খান বাড়ি উৎসবের আমেজে মো মো করছে।
তখন আমানের ১০ বছর বয়স, মেঘের ১ আর অভিক এর ৬ মাস।
অনুষ্ঠানে সবাই এসেছে,
আমান সব সময় মেঘকে চোখে চোখে রাখছে বাচ্চা টা তার খুবই প্রিয়।
,
–প্রিয় দর্শক বিন্দ আজ আমার মেয়ের জন্মদিন এই শুভ মুহূর্তে আমি একটা শুভ কাজ করতে চাই।
আমি আমার জাবতিয় সমস্ত সম্পত্তি মেঘের নামে করে দিলাম। এবং আমার মেঘের পরে এ সম্পত্তির মালিক হবে মেঘের সন্তান। সে যদি কোন এক্সিডেন্টে এ বাচ্চা হবার আগে মারা যায় তবে এ সম্পত্তির মালিক হবে বৃদ্ধাশ্রম।
এবং সে চাইলেই অন্য কাউকে এ সম্পত্তি দিতে পারবে তবে তার ১৮ বছর হলে ।
আর বড়ো ভাইয়ার সম্পত্তি পাওয়ার অফ এটর্নি পাচ্ছে আমান আর অভিক।
ধন্যবাদ।
এ কথা শুনার পর সবাই খুশি হলেও এক জনের মুখে ছিলো সোকের ছায়া সে কেউ না আজিজ রায়হান।

–হ্যালো।
–জি স্যার
–এক্ষুনি খান বাড়িতে আসো সবাইকে নিয়ে।
–কিন্তু স্যার কেন।
–সবাইকে শেষ করবো।
–স্যার এখন৷
–তেমাকে বাঁচানোর দায়িত্ব আমার।
–ওকে স্যার।

কেক কাঁটার পর সবাই খাবার খেয়ে বেরতে লাগলো।
সবাই চলে গেলে পরিবারেরর সবাই মিলে আড্ড দিচ্ছে,
–দেখুন ভাইয়া আমান কিন্তু মেঘকে সেই সময় ধরে কোলে রেখেছে। (নয়লা রহমান)
–হুম বোনকে অনেকে পছন্দ হইছে।(আরিফ খান)
–হিসু করে দিলে কি হবে রে আমান(খুশবু খান আমানের মা)
–কি করবো মুছে দিবো(আমান)
–ওরে বাবা রে তাই নাকি (খুশবু)
–হ্যাঁ।
–আচ্ছা আমান ওকে আমার কাছে দেও দেখ তো অভিক কি করছে। (নয়লা রহমান)
–আচ্ছা,
আমান মেঘকে দিয়ে অভিক এর রুমে গেল।
এদিকে সবাই গল্প করছে হটাৎ,
গুলির শব্দ,
নয়লা রহমান আর আরিফ খান ফ্লোরে লুটিয়ে পরে।
–আজিজ কি করছো তুমি (মিজান রহমান)
মিজান রহমানকেও গুলি করা হয়।
আর মেঘকে কোলে নিলো।
–কি করছেন ভাইয়া আপনি আমার বাচ্চা দের কথা ভেবে আমাকে ছেড়ে দিন.
খুশবু খানের কথা না শুনেই তাকেও গুলি করে।
সবার প্রান এক বারেই চলে যায় এ দিকে সব আড়াল থেকে আমান দেখে নেয়।
–মেঘকে মারা যাবে না ওর থেকে সম্পত্তি লিখে নিতে হবে ওর ১৮ বছর পূর্ণ হলে।
আমান আর অভিক কে খুঁজো ওদের ও শেষ করতে হবে।
বড়ো ভাই এর আঙুলের টিপ ছাপ নে।
আমান আর অভিককে আমাদের আর লাগবে ন তাই ওদের ও সরিয়ে দিতে হবে৷
এ কথা শুনে অভিক কে কোলে নিয়ে সে জঙ্গল বরাবর পালায়।
এদিকে ওদেট দুই ভূইকে কোথদও না পেয়ে লেক গুলো ফেরত আসে,
–স্যার ওদের মেরে দিছি (মিথ্যা বললো)
–সত্যি তো।
–জি।
সে নিশ্চিন্তে মেঘকে নিয়ে বাসায় আসে।
এদিকে মেঘের ফুপি কিছুই জানতেন না তাকে বাসায় ঘুমের ঔষধ দিয়ে আসে আজিজ রায়হান৷
মেঘের ফুপিকে বলা হয় তাদের কে দর্শু রা মেরে ফেলেছে।
এভাবে সব সম্পত্তির মালিক সে হয় কিন্তু অর্ধেক এর মালিক মেঘ থেকে যায়।

বর্তমান,

–সেই ১০ বছট বয়স থেকে আমি নিজেকে প্রস্তুত করেছি তোমায় ছাড়ানোর জন্য আর অভিকে মানুষ করেছি৷ তুমি বলছো নুরকে ৬ মাস বয়সের বাচ্চা কে নিজের পেটের ভাত দিয়ে মানুষ করেছি।
যানো কতো রাত না খেয়ে কাটিয়েছি তা যানা নেই।
১৫ বছর বয়সে এক বার জেলেও গেছি।
যানো লেকটা এগুলা করে ঠিক থাকলে হতো।
তুমি যাকে মা বলে মানতে সেই আমার ফুপিকে নুর হবার দিন উনি মেরে ফেলে আর দোষ দেয় নুরকে জন্ম দিতে গিয়ে মারা গেছে৷
তার পর থেকে ওর সাজানো মতেই সব হচ্ছিল। তোমার বড়ো হয়ে ওঠা নুরের প্রতি তোমার মায়া গড়ে তোলা। লেকটা নিজের মেয়ে নুরকেও ব্যাবহার করেছে তোমার ১৮ বছর হলে নুরকে মারার ধমক দিয়ে তোমার থেকে সব নিবে।
মেঘ সব কিছু শুনে আমানকে জড়িয়ে ধরে।
–কাঁদছো কেন মেঘ এখন কাঁদার দিন শেষ।
–আমান আমি সত্যি,
–থাক কিছু বলো না কিছু হয় নি কেঁদো না তোমার চোখের পানি আমার সহ্য হয় না।
–আমি,
এতোটুকু বলতেই হটাৎ,
চলবে,
(আমি খালামনির বাসায় ছিলাম বিন্দুমাত্র নেট পায় না সেখানে লিখা হলেও ফেসবুকে কানেক্ট ই হচ্ছিল না। balck rose আমি দিবার চেষ্টা করবো কিন্তু না পারলে প্লিজ কেউ কিছু মনে করবেন না কারন এখানে একটুও নেট পায় না।
বানান ভুল হলে ক্ষমা করবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here