The_villain? In_disguise_psycho?Part_02

0
6616

The_villain?
In_disguise_psycho?Part_02
#Lamiya_Rahaman_Meghla

–পায়ে সেকল দিয়ে আঁটকে বন্দি বানানো যায় ভালোবাসার আশা করা যায় না মি.আমান জুনায়েদ খান।
–কখনো কখনো ভালোবাসাকে বন্দি করে রাখা প্রয়োজন হয়ে পরে নাইলে হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে মিসেস.আমান জুনায়েদ খান।
–আমি মিসেস. আমান জুনায়েদ খান কবে হলাম।
–অনেক বছর আগে।
–সাট আপ নিজের ফালতু বক বক নিজের কাছে সুরক্ষিত রাখলে খুশি হই।
–উ সাট আপ তোমায় কিছু বলছি না বলে যা ইচ্ছে বলে যাচ্ছো।চুপচাপ কথা বাদে খেয়ে নেও।
–খাবো না আমি কি ভেবেছেন টা কি আপনি আমাকে বেঁধে রেখে আমাকে আটক করে আমাকে বলবেন ভালোবাসি প্রিয় আর আমি চুপচাপ আপনার কথা শুনে চলবো। আরে খুনি আপনি খুনি৷
আপনার মতো একটা খুনির আমার কাছে বা আমার হৃদয়ে কোন জায়গা নেই৷
যার মা বাবার ঠিক নেই সে আমার স্বামী হতে পারে না৷
মেঘ প্রচুর রেগে কন্ট্রোল ছাড়াই কথা বলে চলেছে আমান অনেকটা সময় নিজেকে কন্ট্রোল রাখলেও মেঘের বলা এই কথাটায় প্রচুর রেগে যায়।
হটাৎ মেঘের হাত পেছনে মুড়ে তার ঠোঁটে ঠোঁট বসিয়ে দেয়৷
প্রচন্ড রেগে কামড়ে ধরে রাখে।
মা বাবা তুলে কথা বলাটা উচিৎ হয়।
মেঘ হাত মুচড়াতেই আছে প্রচুর ব্যাথা অনুভব হচ্ছে তার কিন্তু করার কিছুই নেই৷
বেশ কিছু সময় পর আমান সরে এসে মেঘের ঠোঁটের কেটে যাওয়া অংশে হাতে চাপ দেয়,
–খাবার খাবে কি না (রক্ত চক্ষু নিয়ে তাকিয়ে)
মেঘ উপায় না পেয়ে খেয়ে নেয়।
ঠোটের বেশ অনেকটা কেটে গেছে আমান রক্ত মুছে একটা মলম লাগিয়ে দিয়ে চলে যায় সেকল খাটের সাথে বেঁধে।
মেঘ শুয়ে পরে অশ্রু গুলো বাঁধ ভেঙে নিজের আপন গতিতে বালিশে পরছে।
বাবা আর নুর বাদে তার কেউ নেই৷ বড্ড মনে পরছে নুরের কথা বাবার কথা।
নুর কে তো অন্য কোথাও পাঠিয়ে দিয়েছে তার মানে কি ওর সাথে খারাপ কিছু হবে।
না না তা হবে না তার আগেই আমি আমার বোনকে নিয়ে পালিয়ে যাবো।
হ্যা আমি পালাবো আর এবার পৃথিবীর কোন শক্তি আমাকে আটকাতে পারবে না।
মি.আমান বি রেডি ফর ইট। আমার সাথে হওয়া অত্যাচার গুলো সবটা ফেতর দিবো আমি।


–আপুনি…………………(এক জোরে চিৎকার দিয়ে)
–এই মেয়ে চুপ কি আপুনি বলে চিৎকার শুরু করেছো কান ফেটে গেল। (অভিক)
–এই বেয়াদব আমাকে কই এনেছিস আমি আপুনি যাবো। (কান্না করে)
–হ্যা ক্লাস 10 এ পড়ে এতো বড়ো মেয়ে আপুনি আপুনি বলে কান্না করছে ?।
–এই চোপ একটা কথা বললে তোর মাথা ফাটিয়ে দিবো কালা কুমড়ো৷
আমাকে আপুনির কাছে দিয়ে আয় (কান্না করে)
–নুর লাইক সিরিয়াসলি তুমি মেঘ আপুর কাছে যাবার জন্য কাঁদছো। ?
–তুই আমার আপুনির নাম জানলি কি করে। এই এই কি করে জানলি সত্যি করে বল আমার আপুনি কই৷ আপুনি আমাকে বাঁচা এই কালা কুমড়োর হাত থেকে ?
–কালা কুমড়ো ?
–এই ব্যাটা চোপ
–আগে তুমি চুপ হও ?
–নাাাাাাাাাাাাা আমাকে আপুনির কাছে নিয়ে চল ? আমি থাকবো না এখানে?
–(মহা বিপদ অভিক শেষ মেস কিনা এই বাচ্চার প্রেমে পড়লি কই ভেবেছিলাম আমি বাচ্চার বাবা হবো কিন্তু একে বিয়ে করলে তোর চুল পাকবে এই বাচ্চা মানুষ করতে করতে মনে মনে)
–এই কালা বেটা আমাকে আপুনির কাছে নিয়ে চল ?
–আচ্ছা আচ্ছা নুর তুমি কেঁদো না আমি চকলেট দিবো এক বাক্স এতো বড়ো এক বাক্স সত্যি।
–সত্যি অনেক গুলো তো (কান্না থামিয়ে)
–৩ সত্যি অনেক গুলো দিবো প্লিজ তুমি কেঁদো না।
–আপুনি যাবো ?
–নিয়ে যাবো খুব জলদি।
–সত্যি
–৩ সত্যি।
–তুই অনেক ভালো রে (আহ্লাদি শুরে)
–হুম সত্যি অনেক ভালো ?।
অভিক নুরকে ভুলিয়ে ভালিয়ে চকলেট দিয়ে শান্ত করে নেয়।
আসলে ছেট থেকে মায়ের মতো করে বোনই তাকে মানুষ করেছে তাই মায়ের স্থানটা সে মেঘকেই দিয়েছে৷
পরিচয় দেয়,
(জান্নাতুল মেঘ বাবার বড়ো মেয়ে।
ওদের মা নেই ছোট বোন আরিশান নুর কে জন্ম দিয়েই মারা গেছেন৷
বাবা আজিজ রায়হান আর ছোট বোন নুর মেঘের দুনিয়া৷ নুরের ক্ষেত্রে ও বেতিক্রম নয়৷
আমান খান তার রাজত্ব বলতে গেলে এই পুরো শহর টা বিজনেস ম্যান সে কিন্তু বলতে গেলে তার মধ্যে অনেক কালো কাজের ধান্দা চলে।
কিন্তু তার উপরে কথা বলার সাহস কোন পুলিশ অফিসারের এখনো হয়ে পারে নি৷
দুই ভাই আমান আর অভিক।
আমান কড়া হলেও ছোট ভাই কিন্তু এক দম বেতিক্রম ধর্মি মানুষ শান্ত শিষ্ট কিন্তু ভাই এর কথায় জান নিতে পারে জান দিতে পারে ।।
বাকি গল্প আস্তে আস্তে যানা যাবে)


একটু সুন্দর সাদা শাড়ি লাল পারের আঁট পোড়ে করে পরেছে মেঘ বেশ সুন্দর করে সেজেছে সে৷
ঘরের মধ্যে সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছে আমানের জন্য।
আমান রুমে এসে মেঘকে আর এই সব দেখে হা হয়ে তাকিয়ে আছে৷
–এই যে আমাকে কেমন দেখাচ্ছে (একটু লজ্জা পেয়ে)
–তুমি এতো কিছু? কি করে? হচ্ছে টা কি৷
–আহা তুমি তো আমার স্বামী বলো যাই বলি না কেন মুসলমান মেয়ে দের বিয়ে তো এক বারি হয় তাই ভাবছি সব কিছু ফেলে নতুন জীবন শুরু করবো তুমি আমার সাথে থাকবে তো।
–এ্যা৷
–এই গাধা এ্যা না হ্যা ?
–?
–ইয়ে মানে সোন না এসো না দেখো কি সুন্দর টেবিল সাজিয়েছি নতুন জীবনের শুরু হবে আজ থেকে আমদের।
–মেঘ তুমি কি সত্যি আমাকে মেনে নিচ্ছো।
–হ্যা সত্যি বলছি।
–সত্যি
–হুম৷
আমান দৌঁড়ে মেঘকে জড়িয়ে ধরে।
–আমার বিশ্বাস হচ্ছে না৷
–আমারও(অতি আস্তে)
–কিছু বললে।
–না তো এদিকে এসো আমরা খাবার খাই।
–হুম
মেঘ দুই কদম হাঁটা দিতেই আটকে যায় পায়ে সেকলের কারনে৷
–কি হলো৷
–তুমি তো পায়ে সেকল দিয়ে রাখছো এটা খুলে দেও না আমি তো আর পালাবো না।
আমান কিছু একটা ভাবলো তার পর মেঘের সেকল টা খুলে দিলো।
–মেঘ আমার চাঁদ আমি সেকল খুলে দিছি বিশ্বাস করে তুমি বিশ্বাস ঘাতকতা করলে পরিনাম কি হবে তা আমি নিজেও জানি না।
–কি যে বলো না স্বামীর সাথে কেউ বিশ্বাস ঘাতকতা করে বলো। ?
–(কেউ করে না বাট আমার কেন জানি না এতো ভালো সহ্য হচ্ছে না)
–কি হলো কি ভাবছো চলো৷
মেঘ আর আমান টেবিলে বসে।
মেঘ আমানকে Wine দেয়।
–এখন এগুলা না আমার নেশা হয়ে যাবে।
–উহু একটু খেলে কিছু হবে না দেখ আমিও খাচ্ছি প্লিজ খাউ।।
মেঘ জোর করে আমানকে খাইয়ে দেয়।
এক গ্লাস তার পর আরেক তার পর আরেক এভাবে ৪ গ্লাস শেষ করে।
আস্তে আস্তে আমানের চারি দিকে ঘোলা হতে থাকে।
উল্টো পাল্টা বলতে শুরু করে।
–হা হা জানো সুইটহার্ট তোমায় কতো ভালোবাসি। ওই মুক্ত আকাশ জানে সেই ছোট থেকে তোমায় কতো চেয়েছি।
তুমি আমার প্রথম এবং শেষ ভালোবাসা।
এদিকে মেঘ আমানকে শুইয়ে দেয়।
চলবে,
(গল্প কি ভালো ছিলো যদি ভালো না লাগে বলবেন আমি আর লিখবো না কারন কষ্ট কষ্ট করে গল্প লিখে কারোর ভালো না লাগলে লিখে লাভ নেই ?)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here