The_villain?
In_disguise_psycho?Part_03
#Lamiya_Rahaman_Meghla
–সুইটহার্ট ছেড়ে যাবে না তো। (মেঘের হাত ধরে)
–না জান কই যাবো বলো তুমি ছাড়া তো আর একটা বর নেই তুমি ঘুমাও৷
আমান উল্টোপাল্টা বকবক করে চলেছে এদিকে মেঘ,
— তোর মতো সয়তানের জন্য মেঘ শাড়ি পরবে ভাবলি কি করে৷
আমি সব মেনে নিবো আমি৷
কপালে তোর মৃত্যু আমার হাতেই লিখা।
মেঘ শাড়ি খুলে ফেলেছে উপরে ব্লাউজ আর নিচে জিন্স।
এই প্রথম কোন মেয়েকে এমন সাজে দেখা যাচ্ছে উপরে বাঙালি বধু
নিচে জিন্স ।
–বাহ মেঘ তোকে কি ভালো দেখাচ্ছে রে৷
আরে নিজের প্রসঙ্গে পরে কথা বল।
ফোন কই আমানের ফোন৷
আমান এতো সময় ঘুমিয়ে গেছে মেঘ আমানের ফোন নিয়ে,
–সেই দিন অভিক বলেছিলো তার মানে নুর অভিকের কাছে কিন্তু ফোন কিসে খুলবে৷
মেঘ একে একে আমানের সব আঙুল চেক করে একটায় ও হচ্ছে না।
অবশেষে ফেস লক কাজ করে৷
–উফ বাবা অবশেষে।
মেঘ অভিক কে ম্যাসেজ করে৷
–কই আছিস৷
–ভাই আমাদের বাসায় আর কোথায়৷
–বাসায় নুর কই৷
–আমার কাছে।
–আমাদের আসল বাসায় তো৷
–ভাই কেমন প্রশ্ন করছেন এটা খান বাড়িসেই তো আছি এই শহরে খান বাড়ি আমাদের বাড়ি টাকেই বলা হয়৷
মেঘ আর কোন রিপ্লাই না দিয়ে আমানের গাড়ির চাবি নিয়ে বার হবো তখন,
–আমান জুনায়েদ খান তুমি আমার ঠোঁট কেটেছো৷ আমি ভুলি নি এক দম না৷ কি ভাবছো রিটেক না নিয়ে চলে যাবো।
মেঘও আমানের ঠোঁটের উপর হামলা চালায়৷ কেটে গেলে ছেড়ে দেয়৷
–এটা হলো রিটেক হুহ।
তার পর মেঘ বেরিয়ে আসে৷
সব গার্ড ঘুম৷
–আকাশ ওকে ফোন করি এই অবস্থায় ও হেল্প করতে পারে আমাকে৷
আমানের ফোন হাতে নেয় আবার৷
–ও সিট লক হয়ে গেল এবার৷ যাহ কাউকে লাগবে না আমি পারবো৷
মেঘ গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরে।
জিপিএস লোকেশন ব্যবহার করে আমানের বাসায় পৌছাতে।
–আজ সব শেষ হবে আমি অস্ট্রেলিয়া চলে যাবো নুর কে নিয়ে তার পর আমি দেখছি কে কাকে বন্দি করে৷
মেঘ গাড়ি থেকে নেমে বাড়িতে প্রবেশ করালো।
আজব ওই বাড়িতে না হয় সব ঘুম ছিলো এখানে কোন পাহারাই নেই বাহ মেঘ তোর কপাল খুলে গেছে।
বক বক বাদ দে নুরকে খুঁজ৷৷
মেঘ ভেতরে গিয়ে দেখে বাড়িটা এক দম নিশ্চুপ এমন কেন।
মেঘ একপা একপা করে ভেতরে গেল৷ কিন্তু অন্ধকার কিছুই দেখা যাচ্ছে না বাড়ির মেইন ডোর খোলা এটা কেমনে পছিবল।
অন্ধকারে হাত দিয়ে দিয়ে উপরে উঠে গেছে মেঘ৷
উপরে উঠেই সামনের দিকে চোখ পড়তে রুমের ভেতর ঘুমন্ত নুরকে দেখতে পায়।
নুরকে দেখেই মেঘের চোখে পানি চলে আসে৷
দৌড়ে ভেতরে প্রবেশ করে।
–নুর নুর৷
নুর হালকা ছোখ খুলে মেঘকে দেখতেই লাফ দিয়ে ওঠে।
–আপুনি তুমি৷
–হুম আমি (ভাঙা গলায়)
নুর মেঘকে জড়িয়ে ধরে৷
–আপুনি তুমি কই ছিলা বাব কই আপুনি নিয়ে চলো এখানে থাকবো না৷ আই মিস উ আপুনি৷ (কেঁদে কেঁদে)
–কিছু হবে না চলো বাবু তেমায় নিয়ে যাবো আমি তোমায় নিতেই তো এসেছি আমি৷
–চলো আমি পৌঁছে দিয়ে আসি তুমি যেখানে যেতে চাও৷
হটাৎ আমানের কন্ঠ শুনে মেঘ চমকে উঠে।
নুরকে ছেড়ে পেছনে তাকাতে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসতে লাগে।
সত্যি আমান দাঁড়িয়ে আছে।
–কি হলো সুইটহার্ট এটাই ভাবছো তো যে ছেলেটাকে ৪ গ্লাস খাইয়ে বেহুশ বানিয়ে দিয়ে আসলাম তাও জাগলো কি করে৷
আমি তোমার উত্তর দিচ্ছি৷
তোমায় বিশ্বাস করতে বড্ড ইচ্ছে করছিলো তাই তোমার সব কথা শুনেছি৷ আমান খানের ৪ গ্লাস কেন ৪ বোতল খেলেও নেশা হয় না সুইটহার্ট এটা বোঝা উচিৎ ছিলো যাই হোক৷
দোষ যখন করেছো শাস্তি তো পাবে তার আগে শাড়িটা পরে নেও তোমায় এভাবে কেউ দেখুক এটা আমি চাই না৷
–আপু ইনি কে।
–ও শালিকা তোমার দুলাভাই আমি।
–আপু কি বলছে ইনি৷
–মেঘ শাড়ি পরো। (নুরের দিকে বন্দুক তাক করে)
–এগুলা কি করছেন।
–শাড়ি পরতে বলেছি।
মেঘ তাড়াতাড়ি শাড়ি পরে নেয়।
মেঘের শাড়ি পরা শেষ সবাই চলে আসে। এতো সময় সব নিশ্চুপ ছিলো এখন বুঝা যাচ্ছে এটা আমান খানের বাসা।
–আপু কি হচ্ছে এগুলা তুমি আমাকে নিয়ে যাবে না।
–না সোনা বোন আপুনি নিবে না তুমি এখানে থাকবে আর তোমার আপুনিকে আমি নিয়ে যাবো।
–না প্লিজ নিবেন না আমার আপুকে ছাড়া ভালো লাগে না।
–চকলেট খাবে।
–না খাইছি অনেক গুলা।
–এটা খাও ঘুম হবে৷
–খাবো।
–হুম।
নুর চকলেট টা খেয়েই ঘুমিয়ে পরে৷
–নেও বোন ও ঘুমিয়ে গেল তবে সুইটহার্ট তোমার বেরিয়ে আসার আগে কিস টা কিন্তু জোস ছিলো রক্ত বার করে দিছো এক দম উফ।
–নুরকে আমাকে এক জায়গায় বন্দি করুন ওকে ছাড়া থাকা সম্ভব না৷
–প্রতিটি অন্যায়ের শাস্তি থাকে তোমার টারও আছে। সেই শাস্তি দেয় তার পর না হয় দেখা যাবে৷
বলেই মেঘের হাত ধরে বাইরে নিয়ে আসে।
মেঘ বেশ ভালো করেই বুঝতে পারছে তার সাথে কিছুই ভালো হবে না।
।
।
অনেকটা সময় ড্রাইভ করার পর এসে পৌঁছালো রাজধানী থেকে অনেক দুরে।
আমান মেঘকে ভেতরে এনে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ফেলে দেয়৷
–আ
–ব্যাথা পাইছো অনেক৷ (উত্তেজিত হয়ে)
মেঘ আমানের দিকে তাকায় এমন মানুষ সত্যি জীবনে ২ টা দেখে নি।
–এই নেও সেকল পায়ে তালা দিবা তোমার পায়ে তুমি৷ যেভাবে আমি খুলেছিলাম সে ভাবে৷
–না দিবো না।
–দিতে তো তোমায় হবেই।
–দিবো না৷
–ওকে তাহলে দাঁড়াও একটা জিনিস দেখয়াই৷
চলবে,