The_villain? In_disguise_psycho?Part_05

0
5986

The_villain?
In_disguise_psycho?Part_05
#Lamiya_Rahaman_Meghla

–জানো এই মায়াবি কতোটা মায়া ছড়ায়।।
কি করে জানবে তুমি তো ভালোই বাসো না।
আমান কথাটা বলে মেঘের কপালে চুমু দিয়ে তার পাশে শুয়ে পরে৷


–তোরা শুধু মিথ্যা বলিস৷ আমার আপুনি ছিলো এখানে৷
আমি জানি ও কাল ছিলো (কান্না করে)
–নুর প্লিজ বুঝার চেষ্টা করো তুমি স্বপ্ন দেখেছো৷
–না আমি স্বপ্ন দেখি নি আমাকে নিয়ে যা (চিল্লিয়ে)
–কেঁদো না প্লিজ।
–না…….আমি থাকবো না (অতিরিক্ত রেগে)
–নুর,
–কাছে আসবে না। দুরে থাকো।
অভিক নুরকে ধরে টেনে বিছানায় ফেলে দেয়,
–তখন থেকে চিল্লিয়ে যাচ্ছো কি সমস্যা কি৷
(রেগে নুরের মুখ চেপে ধরে)
অভিক রেগে গেছে কিন্তু খেয়াল করলো নুরের চোখ বেয়ে টুপ টুপ পানি বালিসে গড়িয়ে পরছে।
তাই মুখটা ছেড়ে দিলো।
–বুঝতে শিখেছি যখন থেকে তখন থেকে ওই মেয়েটা ছাড়া জীবনে আমার কেউ নেই৷ বাবা আর মেঘ আপুনি আমার পরি আমার আপু৷ আমি ওকে ছাড়া থাকতে পারবো না আমি আপনার পায়ে ধরছি আমাকে আপুর কাছে দিয়ে আসুন৷ বিশ্বাস করুন কিছু চাই না আমি৷
আমার সব চকলেট আপনার আমার সব সুন্দর পুতুল আমি দিয়ে দিবো আপনাকে আমি কিছু রাখবো না কথা দিচ্ছি প্লিজ আপুর কাছে যেতে দিন না৷ (কান্না করতে করতে)
নুরের বলা প্রতিটি কথায় মিশ্রিত মায়া আর কষ্ট অভিকের বুকের মধ্যে বারি খাচ্ছে।
সত্যি এতো অন্যায় হচ্ছে নুরের সাথে মেঘের সাথে৷
অভিক নুরকে উঠিয়ে কোলে বালিস পেতে শুইয়ে দেয়।
–কি,
–চুপ করো কথা বলো না দেখো আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি আর একটা গল্প শুনাচ্ছি।
নুর চুপ করে শুয়ে থাকলো।
অভিক তাকে রুপানজেল এর গল্পটি বলছে নুরের চুল গুলো রুপানজেলের মতোই লম্বা।
আস্তে আস্তে নুর ঘুমিয়ে যায়।
–তোমার কষ্ট আমাকে কষ্ট দেয় । কিন্তু আমি যে বাঁধা চাইলেও তোমায় মেঘ আপুর কাছে নিয়ে যেতে পারবো না ক্ষমা করে দিও৷


রাত ৮ টা,
জানালার দিকে মুখ করে তাকিয়ে আছে মেঘ৷ রাতের তারা গুলোকে দেখছে কি সুন্দর মিট মিট আলো ছাড়াচ্ছে তারা৷
নুরের সাথে কাটানো কিছু মিষ্টি মুহূর্তের কথা মনে পরছে তার,
–আপুনি৷
–হুম বলো৷
–আচ্ছা আকাশে অনেক গুলো তারা আছে ওখান থেকে একটা এনে দেও আপু৷
–কি করে দিবো শুনি৷
–কেন বড়ো একটা কুটা বেঁধে পেড়ে দিবা ?।
–তবে রে দাঁড়া ফাজিল তোর ফাজলামো বার করছি৷
–এই তুমি কাতুকুতু দিবা না আপু প্লিজ।
–হি হি দিবো না মানে৷
–আপু প্লিজ।

–মেঘ।
আমানের ডাকে মেঘ বাস্তবে ফিরে,
কিছু না বলেই চুপ থাকে৷
–কথা বলা টাও কি শিখিয়ে দিতে হবে।
–আমি যখন ৫ বছরের ছিলাম আমার প্রায় অনেক বন্ধু বা বান্ধবীর একটা ছোট বোন ছিলো। আমি শখের বসে আম্মুকে বলেছিলাম আমাকে একটা বোন দেও না আম্মু সবাই বলে আম্মুকে বললেই দিবে।
সেদিন আম্মু আমাকে চুমু দিয়ে বলেছিলো আচ্ছা ঠিক আছে।
তার ঠিক ১ বছর পর হসপিটালে বসে আছি আমরা। আমরা বলতে আমি আর বাবা৷
বাবা বললো আম্মু বোন আনতে গেছে জলদি ফিরে আসবে তুমি কাঁদবে না মেঘ৷
আমি কি যে খুশি হয়েছিলাম সে দিন আমারও একটা বোন থাকবে।
আমার বয়স তখন ৬ বছর৷
হটাৎ ডক্টর এসে বাবার কোলে একটা ফুটফুটে বাচ্চাকে দিয়ে বললেন,
–ক্ষমা করে দিবেন আপনার স্ত্রী কে আর বাঁচাতে পারলাম না৷
আমার স্পষ্ট মনে আছে সেদিন বাবা বলেছিলো,
–মেঘ তুই কাঁদিস না মা দেখ তোর বোনের তুই ছাড়া কেউ নেই ওর দায়িত্ব আজ থেকে তোর৷
সেদিন বুঝে গেছিলাম নুরের আমি ছাড়া কেউ নেই আম্মু আমাকে একটা বোন উপহার দিতে গিয়ে প্রান হারিয়েছে।
তার পর থেকে জীবনের সব টুকু দিয়ে নুরকে ভালোবেসে বড়ো করেছি৷
আমি ওর মাঝে আম্মুকে খুঁজে পাই৷
আমার হাসি কান্না সব কিছুর উৎস নুর৷
আমান আমাকে আপনি বন্দি করে রাখছেন সমস্যা নেই কিন্তু আমার বোনকে আমার সাথে রাখুন আমার আর কিছু লাগবে না৷
আমান চুপ করে বসে বসে কথা গুলো শুনছিলো৷
কিছু না ভেবেই এসে মেঘর ঠোঁট দখল করে নেয়।
এমন সময় এমন কাজে মেঘ হতাশাগ্রস্ত৷ কি হলো টা কি এটা।
আজব৷
কিছু সময় পর,
–তুমি খুব ভালো আমি ভাবতে পারি নি আমার মতো একটা মাফিয়ার বৌ এতো ভালো হবে।
–মজা করছি আমি।
–না এক দম না৷
এসো এদিকে,
চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here