The_villain? In_disguise_psycho?Part_08

0
6453

The_villain?
In_disguise_psycho?Part_08
#Lamiya_Rahaman_Meghla

–মি.আমান আপনার স্ত্রীর এর সেন্স আসছে।
কথাটা শুনা মাত্র আমান উঠে দৌড় দেয়।
রুমে গিয়ে দেখে মেঘের চোখ দুটো বন্ধ মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে আছে।
আমান কাছে গিয়ে মেঘের কপালে হাত দেয়৷
মেঘ আস্তে করে চোখ খুলে,
চোখ খুলে আমানকে দেখতে পেয়ে কেন জানি না খুব বেশি ভালো লাগছে তার।
মৃদু হাসি দেয়।।
–কেমন লাগছে এখন।
–ভালো(মৃদু হেসে)
–কিছু সময়ের জন্য মনে হইছিলো তেমায় হারিয়ে ফেলেছি।
–আপনি কাঁদছেন।
আমান মেঘের হালকা ভরে জড়িয়ে নেয়।
মেঘের কাঁধ বেয়ে যে আমানের চোখের পানি পরছে তা সে বুঝতে পারছে ভালো করে।
–কাঁদছেন কেন আমি তো ভালো আছি দেখুন৷
কিছু সময় পর আমান উঠে আসে।
–হুম জানি কতো ঠিক আছো।
–নুর কেমন আছে।
–জানি না খোঁজ নেওয়া হয় নি।
–ফোন করবেন একটু কথা বলবো।
–হুম।
আমান অভিকে ফোন করে।।
–আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া।
–ওলাইকুমাসলাম কেমন আছিস?
–এই তো ভাইয়া ভাবির কি অবস্থা৷
–তোর ভাবির সেন্স আসছে।।
–আলহামদুলিল্লাহ। ভাইয়া জানো নুর এখনো নামাজে বসে কাঁদছে৷
–ওকে বল মেঘ কথা বলবে।
–হ্যাঁ এখনি দিচ্ছি।
নুর ভাবি কথা বলবে।।
–দিন
হ্যালো আপু।
নুরের কন্ঠ শুনে মেঘ শুধু কেঁদেই চলেছে গলা দিয়ে শব্দ বের হচ্ছে না।
–তুমি কাঁদছো কেন খুব তাড়াতাড়ি আমাদের দেখা হবে দেখো আমি তেমার কোলে মাথা দিয়ে ঘুমোবো কেঁদো না আপু সুস্থ হও না তুমি আগে।
–আমার বাচ্চাটা বড়ো হয়ে গেছে।
–হ্যাঁ তুমি তো বলতে বড়ো হবি না দেখ বড়ো হয়ে গেছি তেমাকে ছাড়া ঘুমোচ্ছি।
–মনে পরে না আমাকে।
–পরে না এই লোকটা যেতে দেয় না তো।
–চিন্তা করো না খুব জলদি আমরা এক যায়গায় হবো (আমান)
–বাবু তুই ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করিস৷
নিজের খেয়াল রাখিস।
–হুম তুমিও।
–খুব জলদি দেখা হবে কথা দিচ্ছি।
–i love u আপু
–me too.
ফোনটা দেখে দিলো।।
–ধন্যবাদ।
–কেন।
–কথা বলিয়ে দিবার জন্য।
আমান মেঘের কাছে গিয়ে চুমু দিলো।
কেন জানি না আজ আমানের স্পর্শে মেঘর ঘৃণা হচ্ছে না৷ বরং আরো ভালো লাগা কাজ করছে।

এভাবে দিন গেল।
৩ দিন পর,
মেঘ এখন একটু সুস্থ আমনের খেয়াল রাখায়।
এই ৩ দিনে কোন ঝগড়া হয় নি তাদের মাঝে।
মেঘ বাদ্ধ মেয়ের মতো আমানের কথা শুনেছে।
আর আমান সে রোজ নুরের সাথে মেঘের কথা বলিয়ে দিছে।
–কি করছো।
–জামার চেইন লাগাতে চাইছিলাম।
–আমি দিচ্ছি দাঁড়াও।
আমান চেইন লাগিয়ে দিয়ে আসতে গেলে মেঘ হাত ধরে বসে।
–কি হলো
— এদিকে বসুন।
— কি হইছে।
–বসুন আগে।
আমান বসে মেঘও পাশে বসে,
–কেন আটকে রেখেছেন? আমাকে গুলি কে করেছে? এর পেছনে রহস্য কি?
–রহস্য জানতে চাইছো।
–এই ৩ দিনে আমি বুঝে গেছি আপনি সত্যি আমাকে ভালোবাসেন।
এবার আমাকে সব খুলে বলুন।
–মানতে পারবে তো।
–বলুন,
–তুমি কে জানো।
–কে?
–আমার ছোট চাচুর মেয়ে।
–বাবা আপনার ছোট চাচু।
–না উনি আমার কিছু হয় না।
–মানে কি।
–তোমার আসল বাবা আমার ছোট চাচু মিজান রহমান। আর আসল মা নয়লা রহমান।
–খুলে বলুন। ।


–দিন ভর খাওয়া খাওয়া করেন অভিক আপনি৷
–এই মসার মতো শরীরে কিছু আছে।
–না নেই আছে না কতো মোটা আমি দেখেন।
–নুর (রেগে)
–ও মা রাগেন কেন খাচ্ছি তো।
–জলদি।
–পঁচা লোক।
–কি বললে,
–খাচ্ছি রাগি মুখ দেখালে কাঁদ বানি কিন্তু।
–খাও আগে।
নুর খাচ্ছে আর তলে তলে অভিক কে দেখছে আর তার ১৪ গুষ্টি উদ্ধার করছে।


এদিকে,
–শুন তবে,
আতিত,
#চলবে,
(গল্পের আসল রহস্য কাল বের হবে।
একটা রিকোয়েস্ট গল্প সম্পর্কে যার যে মত আছে সব বড়ো করে বলবেন প্লিজ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here