The_villain?Part_07

0
5888

The_villain?Part_07
#In_disguise_psycho?
#Lamiya_Rahaman_Meghla

আমান কিছুতেই স্থীর থাকতে পারছে না। পায়চারি করেই চলেছে।
তার কিছুই ভালো লাগছে না৷
শুধু মেঘের মুখ এর দিকে চেয়ে আছে।
কাঁচের এপাশ থেকে তার মুখটা দৃশ্যমান।
–আমারি দোষ কেন তোমায় ছাঁদে যেতে দিলাম। আজ ছাঁদে না গেলে এমন হতো না।
উফ আল্লাহ আমার মেঘকে ফিরিয়ে দেও।


–স্যার ওরা পুরো চেষ্টা করছে কিন্তু আমার মনে হয় না সে বাঁচবে।
–ও বাঁচলে আমি তোকে মেরে দিবো কথাটা মাথায় রাখিস৷
–জি স্যার।
–নুরকে খোঁজার চেষ্টা কর৷
–কিন্তু স্যার নুরকে দিয়ে কি হবে৷
–যা বলি তাই কর। মেঘ তার বোনকে অনেক ভালোবাসে তার জন্য যা বলবো তাই করবে৷ যদি এ যাত্রায় বেঁচে যায় বাই চান্স তাহলে নুরকে দিয়ে কাজ সারবো।
–ওকে বস।
লোক গুলো চলে গেল৷
–আমার চাই আমার সব চাই আজ ২৫ বছর যার জন্য অপেক্ষা করেছি সেই জিনিস তুই আমার থেকে ২৫ মিনিটে কেঁড়ে নিলি৷
যার জন্য এতো নাটক সেই সব কিছুতে পানি ফেলে দিলি৷
আমি তোকে ছাড়বো না আমান জুনায়েদ খান ৷


–স্যার।
–বলো। (মাথায় হাত দিয়ে আমান)
–আজিজ রায়হান পালিয়েছে।
–ওয়াট কবে পালিয়েছে (দাঁতে দাঁত চেপে)
–স্যার কালকেই যখন আপনাকে বলতে আসবো তখন দেখি ম্যামের গুলি লেগেছে।
— তুমি বুঝতে পারতেছো রবিন কি হইছে।
–জি স্যার ক্ষমা করবেন আমাদের জন্য এমন হলো।
–ক্ষমা চেয়ে কি লাভ যা হবার হলো। আর তা ছাড়া এক দিন না এক দিন তো এগুলা মুখোমুখি হতেই হতো।
অভিক কে ইনফর্ম করো নুরের বেস্ট সেফটি কনফার্ম করো৷
–স্যার নুর কেন৷
–কারন মেঘ যখন বেঁচে যাবে তখন তার নুরকে প্রয়োজন হবে।
–ওকে স্যার৷
এর মধ্যে ডক্টর বেরিয়ে আসে,
–ডক্টর মেঘ৷
–আমরা কিছুই বলতে পারছি না গুলিটা বের করছি ঠিকি কিন্তু গুলিতে বিষ ছিলো যেটা আমরা জানতাম না৷
–মানে কি।
–দেখুন মি.খান আমাদের হাতে আছে ২৪ ঘন্টা জদি সেন্স আসে তবে তিনি সুস্থ হবেন আর না হলে আমি সরি৷
আল্লাহ কে ডাকুন এই মুহুর্তে উনি ছাড়া উপায় নেই৷
ডক্টরের কথায় আমান পুরোই ভেঙে পরে৷
–স্যার প্রতিটি কঠিন অবস্থায় আমাদের সাহস দিয়েছেন আপনি আর আজ আপনি ভেঙে পড়ছেন৷
সবাই কে শাস্তি দিতে হবে এ ব্যাপার টা ভুলে যাবেন না আপনাকে শক্ত থাকতে হবে।
–মেঘ কে হারালে আমি বাঁচবো না৷
–স্যার আমার বিশ্বাস ভাবির কিছু হবে না।
–কিছুই বুঝতে পারছি না।



–হ্যালো রবিন।
–জি অভিক স্যার বলছেন।
–হ্যাঁ বলো।
–স্যার আজিজ রায়হান পালিয়েছে এবং,
সব ঘটনা খুলে বলে।
–ও আল্লাহ ভাবির এখন কি অবস্থা।
–ডক্টর ২৪ ঘন্টার সময় দিয়েছে যদি সেন্স আসে তো বাঁচবে না হলে,
–কি বলছো কি মেঘ ভাবিকে ছাড়া ভাইয়া মরে যাবে আর নুরও হায় আল্লাহ এটা কোন বিপদ।
–স্যার আল্লাহ কে ডাকুন পাহারা কড়া করতে বলেছে আমান স্যার নুর ভাবির উপর ও সমস্যা হতে পারে।
–নুর আমারও তো চিন্তা হচ্ছে আমি আর ওকে এক মিনিট ও একা ছাড়বো না৷
–ওকে স্যার আমি রাখি।
–হুম৷
অভিক ফোনটা রেখে পেছনে তাকাতে অবাক।
নুর দাঁড়িয়ে সবটা শুনেছে।
–আমার আমার আপু কই (কেঁদে হেঁচকি তুলে)
–নুর দেখ তুমি কেঁদো না আসলে আপু।
–মিথ্যা বলবে না সত্যি বলো আমার আপু কই কি হইছে আপুর।
–ঘরে চলো নুর।
–না যাবো না আমাকে বলো আগে আমার আপুর কি হইছে।
–নুর।
অভিক নুরকে জোর করে ঘরে নেয়।
–দেখ নুর কেঁদো না ভাবি ঠিক হয়ে যাবে।
–আপনার দুটো পায়ে পরি আমাকে আপুর কাছে নিয়ে চলুন। (হাত জোর করে)
–ক্ষমা করো নুর এটা পরবো না৷
–কেন পারবেন না প্লিজ আমাকে নিয়ে চলুন আমি আপুর কাছে যাবো। আপু।
নুরের কান্না অভিকের বিন্দু মাত্র সহ্য হচ্ছে না কিন্তু চাইকেও মেঘের কাছে নুরকে নিতে পারবে না৷
ভগ্যের কি নির্মম পরিহাস।

মেঘ মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে।

আমান নামজে বসে কাঁদছে।

নুর ও নামাজে বসে এক ভাবে কেঁদেই চলেছে।

অভিক সে দুয়া করছে আর কি করবে।
এতোটা চিন্তা সে আগে কখনো করে নি।

চার দিকে চার জন অগোছালো ভাবে পরে আছে।
সত্যি কি ওরা আর কখনো এক হতে পারবে নিজেদের ছোট ছোট স্বপ্ন গুলো পুরনো করতে পারবে।
চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here