Unending_love♥️,পর্ব- ৭ & last

0
1058

#Unending_love♥️,পর্ব- ৭ & last
লেখা- পূজা

—- তিয়াশ তর ফুপি মেহেরিমাকে খুব ভালোবাসতো। কিন্তু মেহেরিমা ভালোবাসতো কিনা জানতাম না। সবসময় মেহেরিমার পিছনে পরে থাকতো তিয়াশ। মেহেরিমা ও কিছু বলতো না তাই তিয়াশ ভেবেছিলো মেহেরিমা ওকে ভালোবাসে। একদিন তিয়াশ তর বাবা মেহরামকে এসব বলে দেয়। মেহরাম ও প্রথমে খুশি হয়েছিলো এসব শুনে। কারপ তিয়াশ তো ওর বেষ্টফ্রেন্ড ছিলো। আর তিয়াশ খুব ভালো ছেলে ও ছিলো। কিন্তু হঠাৎ একদিন কলেজে এসে মেহরাম তিয়াশকে মারতে থাকে আর অনেক কিছু বলে গালিগালাজ করে। সব মনে নেই। তিয়াশ ও মেহরামকে মারতে থাকে। আমরা অনেক কষ্টে ওদের মার আটকাই। পরে অনেক জানার চেষ্টা করি কেনো মেরেছিলো কি হয়েছিলো। কিন্তু ও বলে নি। কিছুদিন পর জানতে পারি মেহেরিমার বিয়ে হয়ে যায় আমাদেরই ক্লাসমিট রুদ্রর সাথে। এটা শুনে তিয়াশ অনেক রেগে যায়। কারন মেহরাম এই বিয়েটা দিয়েছিলো। তিয়াশ মেহরামের বাসায় গিয়ে অনেক মারামারি করে। এর পর থেকেই ওরা একজন অন্য জনকে সহ্য করতে পারে না। তার কয়েক বছর পর তিয়াশ ওর ফ্যামিলির পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করে নেয়।
—- হঠাৎ ফুপির বিয়ে আর মারামারি লাগার নিশ্চই বড় কোনো কারন আছে।
—- হতে পারে। কারনটা কেউ বললো না।
আয়ান বললো,
—- বাট সব ক্লিয়ারলি জানবো কি করে।
বর্ন বললো,
—- ফুপির সাথে কথা বললে কেমন হয়।
—- ফুপি কি সব বলবে।
—- চেষ্টা করে দেখি।
মাহিম আংকেল বললো,
—- কথা বলে দেখ। কিন্তু রুদ্র যেনো এসব জানতে না পারে।
বর্ন বললো,
—- কেনো?
—- কেনোটা পরে জানিস। আগে কথা বলে দেখ।
আয়ান বললো;
—- অফিস ছুটি নিয়ে তর ফুপির বাসায় যেথে হবে। উনি তো সিলেট থাকেন। তাইনা।
—- হুম। আচ্ছা আংকেল আমরা আসি। আর আমাদের হেল্প করার জন্য থ্যাংকস।
বর্ন আর আয়ান মাহিমআংকেল এর বাসা থেকে বেরিয়ে আসে। সিলেট যেথে হবে। সব ক্লিয়ার না হলে ওরা কখনোই এসব মেনে নেবে না। টেনশন আরো বেরে গেলো। যদি ফুপি কিছু না বলে তাহলে কি হবে।
বর্ন আর আয়ান ২দিন পর ১দিন এর ছুটি নিয়েছে বৃহঃপতিবার হওয়ার একদিন এর ছুটি নিয়েছে। শুক্রবারে আবার ফিরে আসতে পারবে। বর্ন তিয়াকে এগুলো জানালো না। মিথ্যে বললো অফিসের কাজে সিলেট যাচ্চে। এসব তিয়া জানলে ওর বাবার প্রতি অন্যরকম ভাবনা তৈরি হতে পারে। তিয়ার মন ভেঙ্গে যেতে পারে। যাওয়ার আগে একবার তিয়ার সাথে দেখা করে গেলো। পরের সপ্তাহ থেকে তিয়ার ফাইনাল এক্সাম। পরিক্ষা শেষ হওয়ার আগে ওরা বেশি টাইম স্পেন্ড করতে পারবে না।
আজ চলে যাবে বর্ন সিলেট। তিয়াকে বলেছে অফিসের কাজে যাবে। বর্নর মাকে ও তাই বলেছে।
আয়ার আর বর্ন বসে আছে গাড়িতে। আয়ান বললো,
—- এতো টেনশন করছিস কেনো। সব ঠিক হয়ে যাবে।
—- জানি না অন্য রকম এক ফিলিংস কাজ করছে। এখন তিয়াকে খুব মিস করছি। ওকে নিয়ে সিলেট ঘুরানোর কথা ছিলো। আর আজ আমি একা যাচ্ছি।
—- সব ক্লিয়ার হলে দেখিস সবাই সব মেনে নেবে। আমার মন বলছে ওখানে গিয়ে এমন কিছু জানবো যা তদের দুজনকে এক করে দিবে।
—- হুম তাই জেনো হয়।
সন্ধ্যার দিকে আয়ান আর বর্ন ওর ফুপির বাসায় পৌছায়। বর্নকে দেখে ওর ফুপি অনেক অবাক হন আর বলেন,
—- তুই? হঠাৎ করে। জানালি না তো।
—- কেনো? না বলে কি আসতে পারি না।
—- সেটা কখন বললাম। ভালো করেছিস এসে। আয় ভেতরে।
—- ফুপা বাসায়?
—- হুম। একটু আগেই এলো। তরা কেমন আছিস? আয়ান তুই কেমন আছিস?
আয়ান বললো,
—- ভালো ফুপি। তুমি?
—- এইতো আছি। তরা ফ্রেস হয়ে আয়।
—- হুম।
ওদের একটা রুম দেখিয়ে দিলেন।।রুমে ডুকেই আয়ান বললো,
—- ফুপা তো বাসায়। এখন বলা ঠিক হবে না।
—- হুম। কাল তো অফিস বন্ধ ফুপা বাসায় থাকবেন।
—- কিছু একটা করতে হবে। ফুপার সামনে কিছু বলা ঠিক হবে না।
—- আচ্ছা। কাল দেখি কি করা যায়।
ওরা ফ্রেস হয়ে ড্রয়িংরুমে গেলো। সেখানেই ওর ফুপাকে দেখতে পেলো। ওরা যেথেই রুদ্র বললো,
—- হঠাৎ করে এলে যে। কোনো কাজে এসেছো নাকি।
বর্ন বললো,
—- কেনো আমরা তোমাদের দেখতে আসতে পারি না। ফুপি অনেকদিন ধরে যায় না তো তাই দেখতে এলাম।
—- ও তাই। ভালো করেছো এসে।
বর্ন আর আয়ান সোফায় বসলো।
বর্ন বললো,
—- রোদ্দুর কোথায়?
—- ও তো বন্ধুদের সাথে বেরাতে গিয়েছে আরো দুদিন পর ফিরবে।
—- ওহ।
ওরা আরো অনেকক্ষণ আড্ডা দিলো। রাতে একসাথে ডিনার করে আয়ান আর বর্ন ঘুমিয়ে পরলো। যা করার সকালেই করতে হবে।
পরেরদিন,
বর্ন আর আয়ান ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে ড্রয়িংরুমে গেলো। গিয়ে দেখে ওর ফুপা কোথায় যেনো যাবে।
বর্ন এগিয়ে গিয়ে বললো,
—- ফুপা কোথাও যাবে।
—- হুম। তোমরা এতোদিন পর আসলে। তোমাদের জন্য ভালোকিছু বাজার করে আনি।
আয়ান বর্নর কানে কানে বললো,
—- এটাই সুযোগ।
বর্ন বললো,
—- ওহ। আচ্ছা।
ওদের ফূপি বললো,
—- তরা ও সাথে চলে যা। ঘুরে ও আসতে পারবি। এই জায়গাটা খুব সুন্দর।
বর্ন বললো,
—- না ফুপি। পরে বেরবো। এখন ভালো লাগছে না।
—- আচ্ছা আমি আসি তাহলে।
ফুপা চলে গেলো। বর্ন আর সময় নষ্ট করতে চায় না। ফুপির হাত ধরে টেনে সোফায় নিয়ে বসালো। ফুপি বললো,
—– কি হয়েছে?
বর্ন বললো,
—- এখানে খুব জরুরি কাজে এসেছি। তোমার কাছ থেকে কিছু জানার জন্য।
—- কি?
—- সব সত্যি বলতে তো।
—- কি বল তো আগে।
আয়ান আগে তিয়া আর বর্নর ব্যাপারে সব বললো
—- তিয়া কার মেয়ে?
—- তিয়াশ আহম্মেদ।
তিয়াশ আহম্মেদ নামটা শুনে মেহেরিমার চোখ থেকে পানি পরতে শুরু করে।
—- কি হয়েছে ফুপি তুমি কাদছো কেনো।
—- মানবে না রে তদের। আমার জন্য সব হয়েছে।
—- কি হয়েছে প্লিজ আমাকে বলো।
—- তাহলে শুন,
তিয়াশ আমাকে খুব ভালোবাসতো আমার ও ওকে ভালো লাগতো। কিন্তু রুদ্র ও আমাকে পছন্দ করতো। রুদ্র আবার তিয়াশকে একদম পছন্দ করতো না। কেনো করতো না তা জানি না। যখন শুনে তিয়াশ আমাকে পছন্দ ওর তিয়াশ এর উপর রাগটা আরো বেরে যায়। ভাইয়া ও তিয়াশকে আমার জন্য পছন্দ করে ফেলে। রুদ্র আমাকে পাওয়ার জন্য ভাইয়ার ক্ষতি করার কথা বলে আমাকে ব্রেকমেইল করে তিয়াশ এর সম্পর্কে ভাইয়াকে মিথ্যে কথা বলতে বলে। আমি রাজি হইনি প্রথমে। কিন্তু ভাইয়ার ক্ষতি ও আমি কখনো চাই নি। তাই বাধ্য হয়ে তিয়াশের সম্পর্কে ভাইয়াকে মিথ্যে কথা বলি।
বর্ন বললো,
—- কি বলেছো।
—- তিয়াশ আমার সাথে খারাপ কিছু করার চেষ্টা করেছে। আমার সাথে জোর করার চেষ্টা করেছে। সব শুনে ভাইয়া ভার্সিটিতে গিয়ে তিয়াশকে অনেক মারে। তারপর কিছুদিন পর রুদ্রর ফ্যামিলি বিয়ের প্রস্তাব পাটায় ভাইয়াও রাজি হয়ে যায়। আমার কিছু করার ছিলো না। তাই বাদ্য হয়ে আমি রাজি হয়ে যাই।
আমি শুনেছি আমার বিয়ের পর ওদের মাঝে আবার মারামারি হয়। এই কারনে প্রথমে আমি রুদ্রকে মেনে নেই নি ওর জন্য এই সব কিছু হয়েছে। কিন্তু পরে মানতে বাধ্য হই। সংসার তো ওর সাথেই করতে হবে। পালাতে তো পারবো না।
এজন্য ভাইয়া ওকে সহ্য করতে পারে না। আমার জন্য ওদের বন্ধুত্ব নষ্ট হয়।
আয়ান বললো,
—- ও মাই গড। এ তো খুব জটিল বিষয়। সব জানাতে হবে আংকেল কে।
—- আমি সব রেকর্ড করে নিয়েছি। এটা বাবা শুনলে বাবার রাগ নিশ্চই চলে যাবে। থ্যাংক ইউ ফুপি। আমরা একনি চলে যাবো।
—- এটা কি বলছিস। এতো সকাল।
—- আমি আর একানে থাকতে পারবো না সরি। চল আয়ান।
বর্ন রুমে গিয়ে রেডি হয়ে নিলো। ওর ফুপি আটকানোর অনেক চেষ্টা করেছে। পারে নি।
ওরা এখন বসে আছে বাসে।
আয়ান বর্নর দিকে তাকিয়ে বললো,
—- এভাবে চলে এলি কেনো?
—- ওই লোকটাকে সেকেন্ড বার আর দেখতে চাই না।
—- আমি তো ভাবতেই পারি নি এতো জটিল প্রবলেম হবে।
—- আমি ও ভাবি নি। ফুপির কথা তিয়া বা ওর মাকে জানানো যাবে না।
—- রাইট।
সন্ধ্যার দিকে ওরা ডাকা পৌছায়। রাত ৮টায় বর্ন ওর বাসায় যায়। বর্নর সাথে আয়ান ও আসে।
বর্নর বাবা রেকর্ডিংটা শুনলেন। উনার চোখ থেকে জল গরিয়ে পরছে। বোনের ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে বেষ্টফ্রেন্ডকে ভুল বুঝলেন। এই মুখ দেখাবেন কি করে। বর্ন ওর বাবার মনের অবস্থা বুঝতে পারছে। বর্ন আর ওর বাবাকে কিছু বললো না ও ওর রুমে চলে গেলো। আয়ান চলে গেলো ওর বাসায়। বর্ন রুমে গিয়ে তিয়াকে ফোন দিলো সিলেট গিয়ে আর তিয়ার সাথে কথা হয় নি। তিয়া ফোন রিসিভ করতেই বর্ন তিয়ার কান্নার শব্দ শুনতে পেলো।
—- তিয়া কি হয়েছে। তুমি এভাবে কাদছো কেনো?
—- আজ আমায় ছেলে দেখতে এসেছিলো। পছন্দ করে আন্টি পরিয়ে গেছে। বিয়ের ডেইট ও ফিক্সড করে গেছে।
বর্ন এসব শুনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলো না। ও তো অনেক খুশি ছিলো। তিয়ার কথা শুনে ওল হাসি মুখটা কালো হয়ে গেলো।
—- বিয়ে ঠিক হয়েছে। বিয়ে তো আর হয়ে যায় নি। আর হবে ও না।
—- কিন্তু কিভাবে। আমার খুব ভয় করছে।
—- আমার উপর বিশ্বাস নেই।
—- নিজের থেকেও বেশি আছে।
—- তাহলে? কালই সব ঠিক হয়ে যাবে আই প্রমিস।
—- সত্যি।
—- হুম। এবার পরতে বসো।
—- ওকে।

মাহিমআংকেল তিয়ার বাবাকে ডেকে পাটিয়েছেন। বর্নর বাবা ডাকলে কখনোই আসতেন না তিনি।
মি.তিয়াশ মাহিম এর বাসায় আসতেই অবাক হয়ে তাকিয়ে তাকেন মেহরামকে দেখে। বর্নরবাবা তিয়ার বাবাকে দেখেই বসা থেকে উঠে গিয়ে জরিয়ে ধরে কেদে দেন। তিয়ার বাবা তো আরো বেশি অবাক হয়ে যান। কিন্তু আগের কথা মনে পরতেই আবার মাথা গরম হয়ে যায়। বর্নর বাবাকে তিনি ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন।
—- কি করছিস এসব।
—- দোস্ত আমায় মাপ করে দে। তকে ভুল বুঝেছিলাম সেদিন।
—- মানে।
মাহিম এগিয়ে আসে বলেন,,
—- আমি বলছি।
মাহিম মেহেরিমার বয়েজ রেকর্ডটা শুনান। সব শুনে তিয়াশ টাস করে সোফায় বসে পরে।
বর্নর বাবা বলেন,
—- বোনের ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে গেছিলাম। তাই তকে ভুল বুঝেছি। প্লিজ মাপ করে দে। আমি সত্যি ভাবতে ও পারি নি রুদ্র এমনটা করবে।
তিয়ার বাবা কিছু বলছেন না চুপচাপ বসে আছেন। বর্ন বললো,
—- আংকেল প্লিজ বাবাকে মাপ করে দিন।
তিয়ার বাবা গম্ভির গলায় বলেন,
—- তখন আমি বার বার বলেছিলাম আমি এসব করি নি করি নি। তুই আমার কথা বিশ্বাস করিস নি। এতোদিনের বন্ধুত্ব শেষ করে দিলি। তুই আমাকে চিনতি। আমি এমন কাজ করতে পারি না জানতি তারপরে ও। যাই হোক এসব আমি সব ভুলে গেছি। মেহেরকে ও ভুলে গেছি। এখন আমি আমার বর্তমান নিয়ে খুব ভালো আছি।
মাহিম বলেন,
—- তিয়া আর বর্নকে আলাদা করিস না।
বর্নর বাবা বলেন,
—- তুই আমাকে যা শাস্ত্রি দেওয়ার দে। প্লিজ আমার ছেলেকে এতো বড় শাস্ত্রি দিস না। তর মেয়েকে ও খুব ভালোবাসে।
—- আমি জানি। তিয়া ও খুব ভালোবাসে। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে। তিয়ার ইনগেইজমেন্ট হয়ে গেছে। বিয়ে ও ফাইনাল হয়ে গেছে।
—- বিয়ে তো আর হয়ে যায় নি। প্লিজ আমাকে মার কাট যা ইচ্ছা কর। ছেলে-মেয়ে দুটো কে আলাদা করিস না।
বর্নর বাবা গিয়ে তিয়ার বাবার পায়ে পরে যান।
—- এসব কি করছিস তুই।
—- রাজি হয়ে যা প্লিজ। আমি ভুল করেছি। তকে ভুল বুঝেছি তর পায়ে আমার পরতে কোনো লজ্জা নেই। তর মেয়েকে আমার ছেলের জন্য দিয়ে দে প্লিজ।
—- আচ্ছা আচ্ছা। আগে পা ছাড়। আর এতে তর কোনো দোষ ও নেই। তর জায়গায় আমি থাকলে হয়তো তাই করতাম। বোনের জন্য সব ভাইয়েরই অন্ধ ভালোবাসা থাকে।
—- সত্যি তুই আমায় মাপ করে দিয়েছিস।
—- হুম।
বর্নর বাবা উঠে তিয়ার বাবাকে জরিয়ে ধরেন।
বর্ন এখন নিশ্চিন্ত হলো আর তিয়াকে ওর থেকে কেউ আলাদা করতে পারবে না।
তিয়ার বাবা বাসায় গিয়ে ওই ছেলেটার সাথে তিয়ার বিয়ে ক্যানচেল করে দেন। তিয়ার এক্সামের পরেই তিয়া আর বর্নর বিয়ে ঠিক করেন। সবাই এখন অনেক খুশি।
২০দিন পর ধুমধাম করে তিয়া আর বর্নর বিয়েটা ও হয়ে যায়।
এখন তিয়া বসে আছে বর্নর বিছানায় এক হাত ঘুমটা দিয়ে। কিছুক্ষণ পর বর্ন রুমে আসে। তিয়া বিছানা থেকে নেমে বর্নকে সালাম করে। বর্ন তিয়াকে জরিয়ে ধরে। তারপর তিয়া বর্নকে জিজ্ঞেস করে,
—- বাবা হঠাৎ কি করে রাজি হলো বলবে না।
—- আজ তো আমাদের বাসর রাত। আজ অন্য কোনো কথা না ওকে। আমরা এক হয়েছি এটাই তো অনেক। এসব কিছু তোমার জানতে হবে না।
বর্ন তিয়াকে কোলে তুলে নেয় আর বিছানায় নিয়ে শুইয়ে দেয়।তারপর?আর জানি না।
—–সমাপ্ত—–

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here