villain_Teacher,পর্ব_11,12
writer_Orthi_islam_israt
পর্ব_11
আরিয়ান বেচারার তো যায় যায় অবস্তা,,,,
আরিয়ান আজ বিশাল রেগে আছে অর্থির উপর,,আর আরিয়ান ঝাল একদম খেতে পারে না,,,
আরিয়ান- অর্থি তুমি নিজেও জানো নে আজ তোমার কি হাল আমি করব,,শুধু বাড়ি যেতে দাও আমায় তুমি।।
আর এই দিকে অর্থি তো মনে মনে সেই খুশি,,,
অর্থি- আমার সাথে পাংগা, এই বার বুঝবে Mr,এই অর্থি কি জিনিস,, হাহাহহা,,,
হঠাৎ অর্থির মা বলে,,,
অর্থির মা- আরিয়ান বাবা তোমরা বসো আমি রান্না করব তোমাদের জন্য,,,
আরিয়ান- না না আন্টি আমরা এখনি চলে যাব।
অর্থি- কিহহহহহহহহ,, না আমি সন্ধ্যায় যাব।
অর্থির মা- হ্যাঁ বাবা মেয়েটা অনেক দিন পর এসেছে,আবার তুমিও এই প্রথম আসলে।
আরিয়ান- আচ্ছা আন্টি।।
তারপর অর্থির মা নিচে চলে যায়,,,,
অর্থিও নিচে যাওয়ার জন্য পা বারায়,,,আর আরিয়ান তাড়াতাড়ি করে সামনে এসে দরজা লাগিয়ে দেয়,,,
অর্থি- এটা কি হলো দরজা কেনো বন্ধ করলেন,,,
আরিয়ান- কেনো করলাম দেখবে,,,
এই কথা বলে আরিয়ান অর্থি কিছু বুঝে উঠার আগে এক টান দিয়ে আরিয়ানের সাথে মিশিয়ে নেয়, আর কিস করতে থাকে,অর্থি বেচারি তো চোখ গুলো রসোগোল্লার মতো করে ফেলেছে,,আর আরিয়ানের থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে।।।আর আরিয়ান তো ছাড়ার নাম নিচ্ছে না,,,বেশ কিছু সময়ের পর আরিয়ান অর্থিকে ছেরে দেয়।
আরিয়ান- আমি তোমাকে আগে একটা কথা বলেছিলাম,,আমার খাবারে যতো ঝাল দিবে ততোই ভালো কারণ তোমার ঠোটের শ্বাদ নিতে পারব,,,
অর্থি-,,,,,, নিশ্বচুপ,,,,,
আরিয়ান- এখন চুপ করে আছো কেনো, কাথা বলো।।
হঠাৎ অর্থি কিছু না বলে রুম থেকে বের হয়ে যায়,,,
আরিয়ান- এটা কি হলো,, আজ তো মিস ইন্ডিয়া কিছু বললো না।।আজ কি বেশি হয়ে গেলো নাকি।।
আর এই দিকে অর্থি এক দৌড়ে চাদে চলে যায়,,,
অর্থি- ওনি নিজেকে কি মনে করে হা।সবসময় কিস করবে, পেয়েছি কি ওনি আমায় হা। এটা কেমন ব্যবহার। আজ ওনি বেশি করে ফেলেছে।এসব ভাবছে আর আরিয়ান কে বকা দিচ্ছে।।।
আর এই দিকে আরিয়ান অর্থি খুজে যাচ্ছে।।
আরিয়ান- ইস পিচ্চিটা আজ রাগ করেছে মনে হয় অনেক।।স্যারি বলার দরকার।।।
আর অর্থি চাদে বসে দোলনায় ঘুমিয়ে যায়,ঘুম ভাঙ্গে বিকালে।
অর্থি- আমি এখানে ঘুমিয়ে গেলাম, ইস মা মনে হয় চিন্তা করছে।
তারপর অর্থি নিচে আসে,,এসে দেখে আরিয়ান সোফায় বসে আছে।।
অর্থি- মা ও মা,,কিছু খেতে দাও তো।
অর্থির মা- কি রে অর্থি কোথায় ছিলি তুই।।
অর্থি- মা চাদে গো,কখন যে ঘুমিয়ে গেছি টের পায়নি।কিছু খেতে দাও তার পর আবার যেতে হবে আমাদের।
তারপর অর্থি আর আরিয়ান খাবার খেয়ে সবার কাছে বিদায় নিয়ে চলে আসে।
গাড়িতে কেউ কারো সাথে কথা বলেনি,অবশ্য আরিয়ান বলতে চেয়েছে কিন্তা অর্থি চুটচাপ বাইরে তাকিয়ে ছিলো।।
অনেক সময় পর তারা বাড়ি পৌছায়।।
তারপর ঘাড়ি থেকে নেমে বাড়ির ভিতরে যায়।।বাড়ির ভেতরে যাওয়ার সাথে সাথে,,
হঠাৎ
আরিয়ানকে কেউ জরিয়ে ধরে।।অর্থি তো হা করে তাকিয়ে আছে।।।
আরিয়ান- জেরিন তুই।
জেরিন- কি কেমন আছো তুমি।
আরিয়ান- এই তো ভালো।তুই।
জেরিন- ভালো।
এই জেরি হলো আরিয়ানের খালার মেয়ে।।।।
আরিয়ান- আন্টি আসেনি।
জেরিন- না।তা আসতো অনেক দিন একবার তো গেলে না।
আরিয়ান- অনেক কাজজ ছিলো রে।
জেরিন- এটা কে হা।
আরিয়ান- ও হলো অর্থি।,,অর্থি ও হলো আমার আন্টির মেয়ে জেরিন।
অর্থি- কেমন আছেন।
জেরিন- ভালো তুমি( ভাব নিয়ে)।
অর্থি- জি ভালো।।
জেরিন- চলো তোমার সাথে আমার অনেক কথা আছে।
আর এই দিকে অর্থি তো মে মনে রেগে আগুন, কারণ জেরিন বারবার আরিয়ানের গা ঘেসে কথা বলছে তাই।।
হঠাৎ অর্থি উপরে চলে যায়।।।
আরিয়ান- পিচ্চি টাকে স্যারিও বলা হলো না,,জেরিনকে দেখে খুব জলছিলো,,আরো জালাতে হবে, তবেই তো ভালোবাসবে।।।
চলবে
#villain_Teacher
#writer_Orthi_islam_israt
# পর্ব_12
সেদিন আরিয়ান আর অর্থির রুমে যায়নি,,,আর অর্থিও আরিয়ানের কথা ভাবেনি,,,,
সকালে
আরিয়ান-অর্থি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
অর্থি- মা গো ভুত,,,,,,,,,,,,,
আরিয়ান- বিয়াদব মেয়ে সকাল ১০ টা বাজে আর তুমি পরে পরে ঘুমাচ্ছো,,ওঠো বলছি।।।
অর্থি- উফ,,মা একটু ঘুমাতে দাও তো।।
আরিয়ান- কিহহহহ,আমি তোমার মা।।।
অর্থি- মা যাও তো,,ঐ এনাকন্ডার জন্য এমনি ভালো করে থাকতে পারি না,আবার তুমিও বকবক করছ।
আরিয়ান- তোমার ঘুম আমি দেখাচ্ছি।
হঠাৎ আরিয়ান কিছু না ভেবে অর্থির মুখে পানি দিয়ে দেয়,,,
অর্থি- আব্বু,,,, ছাদ ফুটো হয়ে গেছে গো,,,,
আরিয়ান- না না পিচ্চি চাদ না,,তোমার কপাল ফুটো হয়ে গেছে।
অর্থি- স্যার এটা কেমন কাজ ঘুম ভাঙ্গানোর।
আরিয়ান- ১০ টা বাজে আর তুমি পরে পরে ঘুমাচ্ছো,আর আমাকে প্রশ্ন করছ।
অর্থি- আপনি যান, আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
আরিয়ান- (অবাক হয়ে,,,) আচ্ছা,,
তারপর অর্থি ফ্রেশ হতে চলে যায়।।
আর আরিয়ান তো এই দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।।
আরিয়ান- এই পিচ্চির কি হলো, চুপ চাপ হয়ে আছে
তারপর অর্থি ফ্রেশ হয়ে আসে,,আর নিচে খেতে যায়।।গিয়ে যা দেখছে তাতে রাগে গা জলে যাচ্ছে।।
জেরিন- আরে হা করো তো আমি খাইয়ে দিচ্ছি।
আরিয়ান- আরে জেরিন তুই খা, আমাকে খাওয়াতে হবে না।
জেরিন- না তুমি আগে খাও।
আরিয়ান কিছুতেই খাচ্ছিলো না, যেই অর্থিকে দেখলো তখন, ওকে দেখিয়ে খেয়ে নেয়।
অর্থিও চুপচাপ এসে বসে খেতে।
হঠাৎ
আরিয়ানের মা-কাল তো আরিফের গায়ে হলুদ,তা বাড়িতে অনেক কাজ,,আর আজ থেকে সবাই কেনাকাটা শুরু করে দাও।
অর্থি- আন্টি আমার একটা কথা ছিলো গো।
আরিয়ানের মা- হ্যাঁ বল মা।
অর্থি- বলছি কাল গায়ে হলুদের পর, আমি আব্বুদের সাথে বাড়ি চলে যেতে চায়।
আরিয়ানের মা- কেনো কেনো।
অর্থি- আন্টি পরশু তো, আমার আর স্যারের এঙ্গেজমেন্ট,তা আমি চাই সেদিন বাবা- মার সাথে আসতে।
হঠাৎ জেরিন বললে।
জেরিন- কিহহ,আরিয়ান আর অর্থির এঙ্গেজমেন্ট।
আরিয়ানের মা- হ্যাঁ, কেনো তুই জানিস না।
জেরিন- কিহ বলছ তোমরা,,এটা হতে পারে না।
অর্থি- কেনো আপু,স্যার আপনায় বলেনি।
জেরিন- না,,,( খুব রেগে)।
আরিয়ান- সরি রে।তাড়া হুরো করে বলা হয়নি। আসার আর অর্থির বিয়ে ঠিক হয়েছে।
জেরিন- তুমি আমায় বললে না কিছু।
আরিয়ান- হঠাৎ করে সব হয়েছে তো,সরি রে।
জেরিন- আচ্ছা ঠিক আছে।আচ্ছা তোমরা খাও আমার শেষ খাওয়া।
তারপর জেরিন চলে যায়।আর এই অর্থি তো মনে মনে হাসতে হাসতে শেষ।
আরিয়ান- তোমার খুব আনন্দ লাগছে তাই না।আমিও দেখছি কি করা যায় ( মনে মনে বললো আরিয়ান)।
আর এই দিকে জেরিন তে রেগে শেষ।
জেরিন- এটা কিছুতে হতে পারে না,আরিয়ান শুধু আমার, শুধু আমার।আমি ঐ অর্থিকে কিছুতে কেরে নিতে দেবনা।
(কি মেয়ে দেখুন। আরে ফাজিল মেয়ে আরিয়ান শুধু অর্থির।আরে গল্পে আরো কিছু wait বরছে).
তারপর সবাই রেডি হয়ে সপিং করতে যায়।
অর্থি- আন্টি এই লেহেংগা টা কেমন গো।
আরিয়ান- অনেক বাজে।
অর্থি- আমি তো আপনায় বলিনি।
আরিয়ানের মা- কে বললো এটা সুন্দর না অনেক সুন্দর।তোর জন্য নে এটা।
অর্থি- আচ্ছা।
আরিয়ান- কিছু তো একটা করতে হবে অর্থিকে তো রাগাতে হবে। কি করি,হা পেয়েছি।
তারপর আরিয়ান জেরিনের কাছে যায়।
আরিয়ান- আরে জেরিন জামাটা কি সুন্দর তোকে খুব মানাবে।
জেরিন- সত্যি বলছো।
আরিয়ান- হ্যাঁ সত্যি বলছি রে।
জেরিন-আচ্ছা তাহলে এটাই নেবো।
আরিয়ান- নে রে।তোকে পরির মতো লাগবে।
আর এই দিকে অর্থি তো রেগে শেষ।
অর্থি- কি বিয়াদব স্যার। বিয়ে করছে আমাকে আর জামা পছন্দ করে দিচ্ছে জেরিন কে।দেখাচ্ছি মজা।
অর্থি যখন এটা বললো তখন অর্থি iec-crem খাচ্ছিলো।
তারপর অর্থি যা করল,ইচ্ছা করে iec-crem টা জামাটায় ফেলে দেয়।
অর্থি- সরি সরি, আমি দেখতে পায়নি।
জেরিন- তুমি এটা কি করলে হ্যাঁ।
আরিয়ান- অর্থি তুমি কি বচ্চা নাকি।
আরিয়ানের মা- ও তো বললো দেখেনি।
অর্থি- sorry আপু।
জেরিন- sorry মাই ফুট।
তারপর সবাই কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরে আসে।
রাতে ডিনার করে যে যার মতো ঘুমাতে যায়।
অর্থি- ইস,কি ভালো, কিছুদিন আর পড়তে হবে না।
এইগুলো অর্থি নিজে নিজে বলছে তখনি জেরিন অর্থির রুমে আসে।
অর্থি- আরে আপু আপনি।
জেরিন- আপু রাখে আগে আমার কথা শোনো।
অর্থি- জি বলেন।
জেরিন- তুমি আরিয়ান কে বিয়ে করবে না।
অর্থি- মানে,,,,,,,
জেরিন- মানে বোঝনা তুমি আরিয়ানকে বিয়ে করবে না আমি ওকে ভালোবাসি।
অর্থি- স্যার তো বাসে না।
জেরিন- মানে।
অর্থি- মানে আপনায় ভালোবাসে না,আর আমি স্যার কেই বিয়ে করব।
জেরিন-তাহলে তুমি আমার কথা মানবে না।
অর্থি- জি না।
জেরিন- আমিও দেখব কি করে তুমি আরিয়ানকে বিয়ে করো।
অর্থি- ওকে দেখেন।
তারপর জেরিন চলে যায়।আর অথিও ঘুমিয়ে পরে।
পরের দিনন সকালে।
অর্থি- আন্টি শোন না।
আরিয়ানের মা-হ্যাঁ বল।
অর্থি- আমি কি পরব গো।
আরিয়ানের মা- আরে পাগল মেয়ে আমার,কাল কি কি কিনলি।
অর্থি- পছন্দ করতে পারছি না।
হঠাৎ আরিয়ান আসে।
আরিয়ান- চলো আমি পছন্দ করে দিচ্ছি।
অর্থি- না না।
আরিয়ানের মা- যানা, ও করে দেবে।
অর্থি- না থাক আমারটা আমি করে নিচ্ছি।
তারপর অর্থি চলে যায়।
তারপর অর্থি গিয়ে গোসল সেরে রেডি হতে থাকে।।
অর্থি আয়নার সামনে দাড়িয়ে বলছে,
অর্থি- not bad..তোকে আজ দেখতে little princes লাগছে।।
সবাই যে যার মতো রেডি হয়ে গেছে।।সব গেস্টরা চলে এসেছে।।
আরিয়ান আরিয়ানের বন্দুদের সাথে কথা বলছিলো।।
কাকোন- আরিয়ান মেয়েটি কে রে।
আরিয়ান- কোন মেয়েটি।
কাকোন- ঐ তো আসছে।
আরিয়ান পিছনে ঘুরে হা করে তাকিয়ে আছে এ কাকে দেখছে সে।
শুধু আরিয়ান না সবাই তাকিয়ে আছে মেয়েটির দিকে।
চলবে