villain_Teacher,পর্ব_15,16
writer_Orthi_islam_israt
পর্ব_15
তারপর সেদিন অর্থি আর আরিয়ানের বিয়ে হয়ে যায়।
আরিয়ানের বাবা- মা সবাই কে সামাল দেয়, আর বলে তাদের দুই ছেলে বিয়ের party এক দিনে হবে।
অর্থির বাবা- কি থেকে কি হয়ে গেলো কিছুই বুঝলাম না।
আরিয়ানের বাবা- হঠাৎ যে ছেলেটার কি হলো, কিছুই বুঝতে পারছি না।আর কিছু জিঙ্গেসও করতে পারছি না।
অর্থির বাবা- আমার একমাএ মেয়ের বিয়ে যে এই ভাবে হবে আমি ভাবতেই পারিনি।
আরিয়ানের বাবা- কি আর করবে বলো,যা হওয়ার হয়ে গেছে।এখন পরশু দিনের কথা ভাবো কি করবে।
তারপর তারা party এর বিষয় নিয়ে কথা বলতে থাকে।
সবারই একটু আদটু মন খারাপ কারণ কেউ ভাবতে পারেনি এমন কিছু হবে।তবে সবাই খুশিও হয়েছে।যে তাদের দুই ছেলের বিয়ে এক সাথে হয়ে গেলো।
মানে আর কি একদিন আগে আর পরে।
আর এই দিকে আরিয়ান অর্থি কে রুমে এনে, ওকে সামনে বসিয়ে অর্থির দিকে তাকিয়ে আছে এক ভাবে।আর অর্থি সেই কখন থেকে কেঁদে চলেছে।
আরিয়ান- তুমি কাঁদছো কেনো?
অর্থি-,, নিশ্চুপ,,,,,,
আরিয়ান- অর্থি,,,,,,,,,আমি কিছু জিঙ্গেস করেছি।
অর্থি- আপনি আমার সাথে কেনো এমন করলেন।( কাঁদতে কাঁদতে বললো অর্থি)।
আরিয়ান- তোমার সাথে আমি আবার কি করলাম( না জানার ভান করে)।
অর্থি- আপনি আমাকে বিয়ে কেনো করলেন।
আরিয়ান- বউ বানাব বলে।
অর্থি- আমি আপনার বউ কেনো হবো।
আরিয়ান- আমাকে ভালোবাসার জন্য।
অর্থি- আপনাকে ভালোবাসতে চায়না আমি।আপনি একটা বাজে ছেলে।আপনি জেরিন কে ভালোবাসেন।
ঠাসসসসসসসসসসসসস
হঠাৎ আরিয়ান অর্থিতে একটা চড় মারে ঠাস করে।
অর্থি- আপনি আমায় মারলেন( আরো জোরে জোরে কাঁদতে কাঁদতে)।
আরিয়ান- তোমাকে একটা চড় মেরেছি তোমার কপাল ভালো।
অর্থি- সত্যি কথা বলেছি তাই গায়ে লাগছে।
আরিয়ান- কি সত্যি জানো তুমি হ্যাঁ।
অর্থি- আপনি জেরিন কে ভালোবাসেন।( দুই গালে হাত দিয়ে বললো অর্থি)।
আরিয়ান- আবার।আর তুমি গালে হাত দিয়ে আছো কেনো।
অর্থি- আপনি যদি মারেন।
আরিয়ান- কিহহহহহহ।
অর্থি- আপনি তো এই মাএ মারলেন।
হঠাৎ অর্থি
অর্থি- ও মা গো বাবা গো।আমার সাথে কি হয়ে গেলো গো।আমার জীবনটা পুরো শেষ হয়ে গেলো গো।এই villain টার সাথে আমার কেনো বিয়ে দিলে গো।ও বাবা তুমি তোমার princes কে কথাই বিয়ে দিলে।বাবা গো এই রাক্ষোস টা তো আমাকে মেরে ফেলবে।
আরিয়ান- just set up…
অর্থি- এ্যাঁ এ্যাঁ এ্যাঁ।।
আরিয়ান- চুপ করলে তুমি না হলে আরেকটা মার খাবে আমার কাছে।
অর্থি চুপ হয়ে যায়।।
আরিয়ান- আমি তোমায় বলছি ছাদে কি হয়েছে।
অর্থি- আমি কিছু শুনতে চাইনা।
আরিয়ান- আমি বলব তুমি শুনবে বেচ।আর তোমাকে চুপ থাকতে বলেছি আমি।
তারপর আরিয়ান বলতে থাকে।
আরিয়ান- আমি জেরিন কে বলেছিলাম। যাতে সে আমার সাথে অভিনয় করে, আর তোমাকে রাগায়।আর জেরিন ও রাজি হয়ে ছিলো।সেদিন রাতে তোমার ঘড়ে গিয়ে জেরিন যা যা বলেছে আমি সব শুনেছি।তারপর আমি ওকে গিয়ে বলি।
সেদিন রাতের কথা%%%
আরিয়ান- তুই অর্থির রুমে কেনো গিয়েছিলি।
জেরিন- মানে,এমনি।
আরিয়ান- কেনো গিয়েছিলি সেটা বল।
জেরিন- ওর সাথে গল্প করতে।
আরিয়ান- মিথ্যা বলিস না। আমি সব শুনেছি।
জেরিন- মানে,,,,( অবাক হয়ে)।
আরিয়ান- সে যাই হোক।আমি তোকে কখনো বোন বাদে অন্য কোনো চোখে দেখিনি।
জেরিন- কিন্তু আমি যে তোমায় ভালোবাসি।
আরিয়ান- এটা কে ভালোবাসা বলেনা।আর আমি তোকে ভালোবাসি না।
জেরিন- কিন্তু।।
আরিয়ান- শোন তুই আমার বোন আর আমার বাছে ওনুর মতো ছোট বোনি থাকবি।।আর শোন তোর জীবনে দেখবি আমার থেকে ভালো থাকবি।
তারপর সেদিন ওকে ভালো করে বলে এসেছি
অর্থি- তাহলে ছাদে যে ও আপনায় জরিয়ে ধরলো।
আরিয়ান- আরে পাগলি।ও তো আজ চলে যাচ্ছে,ওর কলেজে exam তাই।।আর এর জন্য আমাকে বলতে এসে জড়িয়ে ধরেছে।
অর্থি- ও।আর আমি কি মনে করলাম
হঠাৎ%%%
আরিয়ান- আচ্ছা তোমার এতো কেনো জ্বোলছিলো।।আমি যার সাথে যা কিছু করি তোমার কি।
অর্থি- কারণ আমি আপনাকে( এই কথা বলে অর্থি চুপ হয়ে যায়)।
আরিয়ান- বলো আমাকে কি?
অর্থি- কিছু না।আপনি যার সাথে যা কিছু করুন।আমার কিছু যায় আসে না।
আরিয়ান- তাই।সত্যি বলছো তো।
অর্থি- হ্যাঁ সত্যি।
সেদিনের মতো দুজন যার যার রুমে গিয়ে। কারণ তাদের এখন এক রুমে থাকা বারণ।
পরের দিন সকালে%
অর্থি- ও মা গো।কে রে হ্যাঁ আমায় চিমটি দিলি।
আরিয়ান- আমি তোমার বর গো।
অর্থি- কিহহ,আরে আমার তো বিয়েই হয়নি।
আরিয়ান- তাই।তাহলে আমি কে।
অর্থি- সেটা আমি জানি।
আরিয়ান- তাই।
অর্থি- ও হ্যাঁ। আরে আমার তো এনাকন্ডা টার সাথে বিয়ে হয়েছে।ও তো একটা জিরাফ,হাতি,বিড়াল,বাদর,।
আরিয়ান- কিহহ।।
হঠাৎ অর্থি চোখ খোলে।।
অর্থি- স্যা,,স্যা,,স্যার আপনি।
আরিয়ান- কেনো কাকে আশা করেছিলে।
অর্থি- না মানে।
আরিয়ান- ওঠো।গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও।
অর্থি- কেনো।
আরিয়ান- পড়তে বসবে তাই।
অর্থি- কিহহহহহ।
আরিয়ান- জি হ্যাঁ।আপনি কি ভবেছেন পড়ায় ফাকি দিবেন তা হবে না।
অর্থি- কিন্তু আজ তো আরিফ ভাইয়ার বিয়ে।
আরিয়ান- তো,,,
অর্থি- আমরা কি যাবনা।
আরিয়ান- যখন যাবে তখন যাব।এখন যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।
তারপর অর্থি ফ্রেশ হতে যায়,আর আরিয়ান কে বকতে থাকে।
আর এই দিকে আরিয়ার&&
আরিয়ার- আমি জানি আমাকে তুমি বকছো।তোমার সাথে আর কি কি হয় দেখো।আমাকে বাজে বলা চরিএহীন বলা।তোমাকে কি কি করি( villain মার্কা হাসি দিয়ে).
চলবে
#villain_Teacher
#Writer_Orthi_islam_israt
#পর্ব_16
আরিয়ান অর্থিকে সেই কখন থেকে পড়িয়ে যাচ্ছে,
আর অর্থি তো আরিয়ান কে মনে মনে বকতে বকতে শেষ।
হঠাৎ&
অর্থি- স্যার আমরা কি আজ বিয়ে তে যাবনা।আপনি কখন থেকে পড়াচ্ছেন।
আরিয়ান- তোমাকে আমি কি বলেছি, যে সময় হলে যাব।আর তুমি ভুলে যাচ্ছো তুমি কার বউ।
অর্থি- স্যার আমি সত্যি ভুলে গেছি, যে আমার কার বউ।
আরিয়ান- কিহহহ
অর্থি- জি স্যার, আমি ভুলে গেছি আমি কার বউ।আমার কি বিয়ে হয়েছে নাকি।
আরিয়ান- কাল তাহলে আমার সাথে তোমার কি হলো।
অর্থি- কাল তো আমি তাড়াতড়ি ঘুমিয়ে পড়েছি আমি কি করে জানব।
আরিয়ান- ও তাই।তাহলে কাল কার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে।
অর্থি- সেটা তো আমি জানি না স্যার.
আরিয়ান- ও তুমি জানো না তাই না।কাল যে এক পেত্নীর সাথে আমার বিয়ে হলো আর তুমি জানো না।
অর্থি- কিহহহহহহহহহহহহহহ,,,,
আরিয়ান- জানো পেত্নী টা খুব ফাজিল,আর সব থেকে বডের হাড্ডি,,আর সব থেকে বড় কথা, পেত্নীটা এক নাম্বারের পড়া চোর আর ফাকি বাজ।
অর্থি- তাই তারপর।
আরিয়ান- আর বোঝে কম চিল্লায় বেশি।জানো নিজেকে মনে করে Mr.India কিন্তু দেখতে এক দম পেত্নীর মতো।মাঝে মাঝে মনে হয় চর মেরে সব দাঁত গুলো ফেলে দেই।
অর্থি- আপনার এত বড় শাহস আমায় এই সব বলা।
আরিয়ান- তোমায় কোথায় বললাম।আমি তো আমার বউ কে বলেছি। তুমি তো আমার বউ না।
অর্থি- কিহহ,আমি আপনার বউ না।
আরিয়ান- সেটা তুমি জানো।
অর্থি- বেটা ফাজিল তোর এত বড় শাহস আমায় পেত্নী বলা,তুই একটা ছাগল,ভেরা,এনাকন্ডা,হনুমান,বানর,জিরাফ,ফাজি ছেলে।
আরিয়ান- অর্থি just set up.( আরিয়ান তুই তোকারি পছন্দ করে কিন্তু বকার সময় কেউ তুই বললে সহ্য হয় না)।
অর্থি- চুপ কেনো হ্যাঁ, আমি পেত্নী।আমি ফাজিল একটা।
আরিয়ান- তুমি আমায় তুই তোকারি করলে,তোমার শাহস হয় কি করে শয়তান মেয়ে।( চোখ লাল করে বললো আরিয়ান)।
অর্থি- না মানে স্যার আসলে।
আরিয়ান- আসলে কি হ্যাঁ।খুব শাহস তোমার তাই না।
অর্থি- না স্যার আমার কোনো শাহস নেই।আমি আসলে
আরিয়ান- কি হ্যাঁ।
অর্থি- আপনি আমায় পেত্নী কেনো বললেন।
আরিয়ান- তুমি তো একটা পেত্নীই।
অর্থি- কিহহহ।
আরিয়ান- হ্যাঁ।এখন যাও রেডি হয়ে নাও।
অর্থি- আমি যাব না।
আরিয়ান- কেনো যাবে না,এত সময় তো যাওয়ার জন্য লাফালাফি করছিলে।
অর্থি- যাব না যাব না শেষ।
আরিয়ান- চুপ চাপ রেডি হও না হলে।
অর্থি- যাচ্ছি।
তারপর অর্থি রেডি হতে যায় তার সাথে আরিয়ান কে বকা আছেই।
আর এই দিকে আরিয়ান%%
আরিয়ান- ইসস পাগলীটার মুখটা দেখার মতো ছিলো,,কিন্তু পিচ্চি টা তো জানে না,তাকে কতো সুন্দর লাগে একটা little princes..।
তারপর সবাই যার যার মতো রেডি হয়ে বেরিয়ে পরে,,
অর্থি আর আরিয়ান আলাদা গাড়িতে ছিলো, বের হওয়ার সময় কেউ কাউকে দেখেনি।
সবাই বিয়ে বাড়িতে পৌছায়,,গাড়ি থেকে নামার সময় আরিয়ান তো অর্থি কে দেখে আবার crush খাইছে।
আর অর্থিও আরিয়ান কে দেখে হা করে আছে।।
দুজনের জামা সেম কালার,,সবাই শুধু তাদের দিককে তাকিয়ে আছে,আর সবায় জেনেও গেছে যে তাদের বিয়ে হয়ে গেছে।
তারপর সবাই বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে।
হঠাৎ%%
কেউ একজন এসে অর্থির হাত ধরে টান মারে।
অর্থি- কে রে।
অচেনা- তোর বর রে।
অর্থি- ববি তুই,,,,,,,,
ববি- আমার ও তো একি কথা তুই এখানে।
অর্থি- বিয়েতে এসেছি।
ববি- আমার বনের বিয়েতে তুই।
অর্থি- তোর বোন মানে,আমার জানা মতে তোর শুধু বড় ভাই আছে।
ববি- আরে পেত্নী, আমার চাচার মেয়ে.
অর্থি- তাই বল।
হঠাৎ%%
ববি- কে রে কান ধরলি।
ওনু- তোর বউ রে।
ববি- আমার বউ তুই কেনো হবি,আমি অর্থি কে বউ করব।
ওনু- কিন্তু অর্থির তো বিয়ে হয়ে গেছে।
ববি- কিহহহহহহহহহহ।
ওনু- আস্তে ভাই।
ববি- কি এই পেত্নীকে কে বিয়ে করল।
ওনু- আমার ভাই।
ববি- তোর ভাই মানে।
ওনু- আরিয়ান ভাইয়ের সাথে।
ববি- বলিস কি রে, অর্থি বেচারি তো তাহলে শেষ।।
অর্থি- ঐ শেষ কোনো হবো।ঐ হনুমান কে কি আমি ভয় পায়।
ববি- ভয় পাস না( অবাক হয়ে).
ওনু- পায়না আবার।
অর্থি- ঐ শাকচুন্নী চুপ থাক তুই,তোর ভাইকে কে ভয় পায়,ও তো একটা হনুমান, ছাগল,ওকে তো কিমা করে খাব আমি,
অর্থি- ঐ তোর এমন কেনো করছিস হ্যাঁ।
ববি- পিছনে দেক।
অর্থি-কেনো।
ওনু- আগে দেখ তো।
অর্থি পিছনে তাকিয়ে ভয়ে শেষ।
কারণ পিছনে সয়ং villain দাড়িয়ে,আমার মানে আরিয়ান দাড়িয়ে।
অর্থি- স্যা,স্যা,স্যা,,,স্যার আপনি।
আরিয়ান- তা অন্য কেউ থাকবে।
অর্থি- না মানে।
আরিয়ান- আমি হনুমান,
অর্থি- না না না তো।
আরিয়ান- আমাকে কিমা করে খাবে।
অর্থি- না না মানে স্যার।
আরিয়ান- আজ এখানে কিছু বলব না শুধু বাড়ি চলে আগে।আর ঐ ছেলের সাথে তোমার কথা কিসের এত।
অর্থি- বলেছি ভালো করেছি আরো বলব।
আরিয়ান- কিহহহহহহহহ
অর্থি- শুধু কি কি করবেন না,ও আমার বন্ধু।
আরিয়ান- সে যায় হোক বলবে না বেস।
অর্থি- বলব বলব, একশ বার বলব।
আরিয়ান কে কিছু না বলার সুযোগ দিয়ে অর্থি চলে
যায়।।
তারপর বিয়ে শেষ হয় আর সব কিছু ভালো করে হয়ে যায়।
আর এই দিকে অর্থি কে কখন থেকে একটা ছেলে বিরক্ত করেই যাচ্ছা।
ছেলেটি- এই যে শুনুন।
অর্থি- কি হয়েছে,আর আমার পিছনে কি হ্যাঁ।
ছেলেটি- আমি সানি।
অর্থি- তো আমি কি করব রান্না করে খেয়ে নেব নাকি।
সানি- কি,,
অর্থি- হ্যাঁ।তা আমার পিছনে কি হ্যাঁ।
সানি- আমি কিছু বলতে চাই।
অর্থি- তো বলেন না, আমি কি আপনাকে ধরে রেখেছি
সানি- আপনি খুব মজার লোক।
অর্থি- আমাকে কি খেয়ে দেখেছে, আজব।
হঠাৎ%
আরিয়ান- এখানে কি হচ্ছে।
অর্থি- খিচুড়ি ধেওয়া হচ্ছে।
আরিয়ান- মানে। আমি দেখছি তোমরা কথা বলছ।
অর্থি- দেখতে যখন পারছেন, বলেছেন কেনো।
সানি- এটা কে।
অর্থি- আমার স্যার।
আরিয়ান- কিহহ।
অর্থি- ঠিক তো বললাম।
সানি- তা আমার কথাটা বলা হলো না।
অর্থি- ও হা আপনি বলুন।
আরিয়ান- কিসের কথা।
অর্থি- ওনি কি যেনো বলবেন।বলুন আপনি।
সানি- আমার তোমাকে পছন্দ হয়েছে, আমি বিয়ে করতে চাই তোমায়।
অর্থি- কিহহহহহহহহহহহহহ।।
চলবে।