#You_Are_My_Destiny
#Mr_Arrogant_3?,Part_24_End
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
হাই স্পীডে গাড়ি গাড়ি চালিয়ে রায়জাদা মেনশনের সামনে জোরে ব্রেইক করলো রিক্ত।
গাড়ি থেকে নেমে এক প্রকার দৌড়ে ভেতরে প্রবেশ করলো ও। দরজার সামনে যেতেই গার্ড দেখতে পেলো রিক্ত ও ভাবছে হয়তো এদের ওকে থামানোর জন্য রাখা হয়েছে তাই নিজের হাতের স্লিভ বল্টে রিক্ত মারপিটের জন্য প্রস্তুত হয়।
রিক্তঃ আজকে আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না। রিক্ত মেহরাব পুরো প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে।
রিক্ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে যায়। ও ভেবে নিয়েছে যদি ওকে আটকানো হয় তাহলে সব গুলোকে হসপিটাল না ডাইরেক্ট মর্গে পাঠাবে ও।
কিন্তু আশ্চর্য ভাবে ও দরজার সামনে যেতেই গার্ড গুলো মাথা নিচু করে দরজা খুলে দিল। এই প্রথমবার রিশানের গার্ড গুলো ওকে সম্মান করলো। বিষয়টা অবাস্তব লাগছে রিক্তর কাছে। তাও এসবে মাথা না ঘামিয়ে ও ভিতরে চলে যায়।
ভিতরে যেতেই বাড়ি ভর্তি মেহমান দেখতে পায় ও। এতো মানুষের মধ্যে ও রিশানকে আর সেই ছেলেটাকে খুঁজছে যার সাথে রিশিকার বিয়ে ঠিক হয়েছে।
রিক্তঃ রিশানন!( চেঁচিয়ে ) আমি ভাবিনি তুই আমার সাথে এতো বড় চিটিং করবি। আমাকে কথা দিয়ে তুই আমার রিশুকে অন্য কারো সাথে বিয়ে দিচ্ছিস? কিভাবে করতে পারলি তুই এটা? – রিক্তর চেঁচামেচিতে সবাই এক সাথে জড়ো হয়ে যায়।
রিক্ত রিশানকে দেখতে না পেয়ে রওশনের কাছে চলে যায়।
রিক্তঃ আঙ্কেল আপনি জানেন না আপনার ছেলে আপনার আড়ালে কত কিছু করছে। ও আমাকে পুরো এক মাস নিজের অফিসের পিয়ন বানিয়ে রেখেছে এটা বলে যে ও আমার পরিক্ষা নিচ্ছে। কিন্তু আমি নিজেকে এই এক মাসে প্রমান করার পরেও ও আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলো। ও আমার রিশুর সাথে অন্য কারও বিয়ে কিভাবে দিতে পারে?
রওশন রিক্তর কথায় অবাক হলো না। মনে হচ্ছে ও যেন এসব শোনার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। রওশনকে চুপ থাকতে দেখে রিক্ত আবারো ওকে প্রশ্ন করে।
রিক্তঃ আপনি কিছু বলছেন না কেন?
রওশনঃ আমার এখানে বলার কিছুই নেই রিক্ত। আমি রিশিকার দায়িত্ব রিশানকে দিয়েছি। ও রিশিকার জন্য যেটা সঠিক ভাবে সেটাই করবে। এখানে আমার হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই।
রওশনের কথা শুনে রিক্ত বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। ও বুঝে গেছে যে রওশনকে বলে লাভ হবে না। এতক্ষণে রিশানও চলে এসেছে।
রিশানঃ এখানে এতো চেঁচামেচি কিসের?
রিশানের কথা শুনতেই ওর দিকে ফিরে তাকালো রিক্ত তারপর এক লাফে ওর সামনে চলে যায়।
রিক্তঃ ফাইনালি আপনি এসেছেন? কি ড্রামা চলছে এখানে হ্যাঁ? জবাব চাই আমার।
রিশানঃ এখানে কোনো ড্রামা চলছে না আমার বোনের এংগেইজমেন্ট চলছে।
রিক্তঃ রিয়েলি? তো কোথায় সেই লুজার যার গলায় তুই আমার রিশুকে ঝুলাতে চাচ্ছিস? জোকারটাকে এখনি আমার সামনে হাজির কর
দেখি কার এতো বড় সাহস হয়েছে যে আমার রিশুকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখছে। আজকে ওকে জ্যান্ত মাটিতে পুঁতে দরকার পরলে সারাজীবন জেল খাটবো আমি।
রিক্তর কথা গুলো শুনে রিশান হাসছে। শুধু রিশান না বাড়ির সবাই হাসছে। রিক্ত বুঝতে পারছে না সবার হাসির কারন টা।
রিক্তঃ সবাই হাসছে কেন?( টাস্কি খেয়ে )
রিশানঃ আসলে তুই একটা কথা সত্যিই বলেছিস যার সাথে আমি রিশুর বিয়ে দিচ্ছি সে আসলেই একটা জোকার। শুধু জোকার না ইডিয়েটও।
রিক্ত বুঝতে পারছে না যে রিশান কাকে বলছে এগুলো।
রিশানঃ তুই ছেলেটাকে জ্যান্ত মাটিতে পুঁতে দিতে চাস তাই না? আমার পুরো সাপোর্ট আছে তোর সাথে। ওই যে ছেলেটা…. ইশারা দিয়ে দেখিয়ে।
রিক্ত রিশানের ইশারা বরাবর তাকাতেই যা দেখে তা দেখে অবাক হয়ে যায়। শুধু অবাক না নিজেকে এখন আসলেই ইডিয়েট মনে হচ্ছে ওর।
বড় বোর্ডে রিক্ত আর রিশিকার ছবি। আর সাথে স্পষ্ট লিখা যে আজ ওদেরই এংগেইজমেন্ট। রিক্তর রিয়েকশন দেখে সবাই জোরে জোরে হেসে দেয়। রিক্তর লজ্জায় মুখ লাল হয়ে গেছে। এতক্ষন কি তুলকালাম কাণ্ডই না করলো ও কত কিছু বলে ফেলেছে। সবাই ওকে নিয়ে হাসাহাসি করছে ভেবেই লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে ওর।
কিছুক্ষন পর,,,?
রিক্ত তৈরি হয়ে এসেছে নিচে। আকিব মেহরাব নিজে তৈরি করিয়ে এনেছে ওকে। আজ রিক্ত উনাকে বাঁধা দেয় নি হয়তো এই সুযোগেই ওর আর আকিব মেহরাবের মধ্যের দুরত্বটাও ঘুচে যাবে।
নিচে আসতেই রিশিকাকে দেখতে পায় ও। ফাইনালি এতো সাধনার পর আজ এই দিন এসেছে। রিশিকার কাছে যেন সব কিছুই স্বপ্ন লাগছে।
রিক্ত এসে রিশিকার পাশে দাঁড়ায়। ইশারায়া রিশিকাকে বলে ও “ বিউটিফুল ”। রিশিকা হেসে চোখ নামিয়ে নেয়।
হঠাৎ আর্থ স্টেজে উঠে দাঁড়ায় তারপর সবার উদ্দেশ্যে বলতে শুরু করে।
আর্থঃ আটেনশন প্লিজ!
সবাই আর্থের দিকে তাকায়। আর্থ একটু হেসে আবার বলতে শুরু করে।
আর্থঃ হায়াতি! ( চেঁচিয়ে )
হায়াতির নাম নিতেই ও হচকিয়ে যায়। ও বুঝতে পারছে না যে আর্থ কি করতে চাইছে।
আর্থঃ আমি অন্য সব ছেলেদের মতো ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কবিতা ছন্দ বলতে পারি না তাই স্ট্রেইটলি বলছি তোমায়। তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?
সবার চোখ আর্থের থেকে সরে হায়াতির দিকে শিফ্ট হয়ে যায়। হায়াতি ভাবেনি যে আর্থ সবার সামনে এভাবে ডিরেক্টলি বলবে। ওর এখন মনে হচ্ছে যেন নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মেরেছে।
আর্থঃ দেখো এখানে এতো ভাবার কিছুই নেই। আমার মতো অল রাউন্ডার ছেলে তুমি আলাদিনের চেরাগ নিয়ে খুঁজলেও পাবে না। কি নেই আমার? গুড লুক, ভালো জব, ভালো সেলারি, ভালো ফ্যামিলি, ভালো ফ্যামিলি বিজনেস। আমার কাছে কোনো জিনিসের অভাব নেই আছে শুধু তোমার অভাব। অনেক ভালোবাসি তোমাকে। একবার তুমি আমার ফ্যামিলিতে এসে পরলে এটা ফুল কমপ্লিট হয়ে যাবে।
রওশনঃ এক ভাই প্রপোজের নামে বিজনেস ডিল করেছে আরেক ভাই শো অফ করছে ওর সম্পত্তির। নাম ডুবিয়ে ছাড়লো আমাদের।
আভিঃ ঠিক বলেছো ভাই।
হায়াতির ইচ্ছে করছে হাতের পাশে যা আসে সেটা দিয়েই আর্থকে ঢিল ছুড়তে। সবার সামনে এমন কেউ করে।
হায়াতিকে চুপ থাকতে দেখে রিশিকা ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে।
রিশিকাঃ হ্যাঁ বলে দাও ভাবি নাহলে আর্থ ভাইয়া আরো এমন কিছু বলে ফেলবে যে লজ্জায় মাথা তুলতে পারবে না। আমার ভাইদের আমি অনেক ভালো ভাবেই চিনি তাই আগে থেকেই সাবধান করে দিচ্ছি।
রিশিকার কথা শুনে হায়াতি ঢোক গিলে। আর্থ হায়াতিকে চুপ থাকতে দেখে আবারো বলতে শুরু করে।
আর্থঃ তুমি এখনো চুপ? তোমার জায়গায় অন্য মেয়ে হলে এতক্ষনে একশো বার হ্যাঁ বলে ফেলতো।
আর্থ স্টেজ থেকে নেমে আদিলের সামনে চলে আসে।
আর্থঃ আঙ্কেল আপনিই বলেন আমি আপনার মেয়ের জন্য পারফেক্ট না?
আদিলঃ হ্যাঁ।
আর্থঃ তাহলে আপনি এ বিয়েতে রাজি?
আদিলঃ আমার কোনো আপত্তি নেই কিন্তু হায়াতি….
আর্থঃ আপনি রাজি থাকলেই চলবে ওতো অনেক আগে থেকেই রাজি। তাহলে সিদ্ধান্ত ফাইনাল যে রিশুর বিয়ের পর আমার আর হায়াতি, রিশ ভাই আর শায়েরা ভাবির নাম্বার। আজকে থেকে আপনি আমার ফাদার ইন ল্য। আর আমি আপনার সান ইন ল্য।( আদিলকে জড়িয়ে ধরে )
হায়াতির দিকে তাকিয়ে চোখ মারে আর্থ। হায়াতি চোখ ছোট ছোট করে আর্থের দিকে তাকায় ও বুঝতে পারছে আর্থ ইচ্ছে করে এমন করেছে।
রিশানঃ তোর ড্রামা শেষ হলে আমরা এংগেইজমেন্ট কনটিনিউ করি?
আর্থঃ এটা ড্রামা না রিশ ভাই আমার ফিলিংস।
রিশানঃ হায়াতির দিকে তাকা। ওকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে সুযোগ পেলে তোর ফিলিংসে আগুন ধরিয়ে দিবে ও।
আর্থঃ কেন শায়েরা ভাবিও কি তোমার ফিলিংসে আগুন ধরিয়েছিল?
রিশানঃ সবার সামনে মার খেতে চাস?
আর্থঃ একজন পুলিশ অফিসারকে মারার হুমকি দিচ্ছো তুমি তাও পাবলিক প্লেসে? তুমি জানো এর জন্য তোমার শাস্তি হতে পারে।
রিশানঃ রিয়েলি? কে দিবে আমাকে শাস্তি?
আর্থঃ আমার বাবা ফাদার ড্যাড সিনিয়র অফিসার আভি রায়জাদা।
রিশানঃ চাচু!
আভিঃ আমি এসবের মধ্যে নেই।
আর্থঃ ড্যাড! – অসহায় ভাবে।
ওদের ঝগড়া শেষ হওয়ার নামই নিচ্ছে না। রিক্তর মনে হচ্ছে হয়তো আজ ওর এংগেইজমেন্ট এরা দুটো মিলে বরবাদ করেই ছাড়বে।
রিক্তঃ আজকে কি আমার এংগেইজমেন্ট হবে?( অসহায় ফেস করে )
রিক্তর তারা দেখে সবাই হেসে দেয়। বেচারার আর সহ্য হচ্ছে না।
ওহিঃ তোরা দুজনে চুপ হ। সুবহা ভাবি আপনি রিং বের করেন।
সুবহার হাতে রিং ছিল সেটা ও রিশিকার হাতে দেয়।
রিশিকা রিক্তকে রিং পরাতেই রিক্ত এক মুহুর্ত দেরি করলো না সাথে সাথে রিশিকাকে রিং পরিয়ে দিল।
আর্থ হায়াতির পেছনে এসে দাঁড়ায় তারপর ওর কানের কাছে ফিসফিস করে বলে,,,
আর্থঃ আই লাভ ইউ – কথাটা বলেই সরে যায় ও।
হায়াতি পেছনে ফিরেও আর্থকে দেখতে পেলো না। আর্থ নিজের আগের জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মুচকি হাসলো হায়াতি তারপর নিজেও ফিসফিসিয়ে বলল,,
হায়াতিঃ আই লাভ ইউ টু।
আর্থের দিকে তাকায় হায়াতি আর্থ চোখ দিয়ে ইশারা করে বললো যে ও শুনে ফেলেছে।
এংগেইজমেন্ট শেষ হতেই ফটোগ্রাফার সবার ছবি তোলার জন্য আসে। সবাই নিজের পজিশনে দাঁড়ায়। রিক্ত আর রিশিকা মাঝখানে সোফায় বসেছে ওদের দু পাশে রওশন সুবহা আভি ওহি আদনান আর আকিব। পেছনে আর্থ হায়াতির হাত ধরে আছে আর রিশান শায়ারেরা।
ফটোগ্রাফার ছবি তুলবে তখনই আর্থ চেঁচিয়ে উঠে।
আর্থঃ আরেহ ওয়েইট আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ মেম্বার তো রয়েই গেল।
রিশানঃ কে?
আর্থঃ টাফি!
টাফির নাম শুনতেই রিক্ত চমকে যায়। টাফি দৌড়ে এসে রিশিকার কোলে বসে পরে। রিক্ত বেচারা উঠতেও পারছে না বসতেও পারছে না।
রিশিকাঃ রিক্ত একদম ভয় পাবেন না টাফি কিছু করবে না আপনাকে। ও বুঝে যে এখন আপনিও আমাদের ফ্যামিলি। তাই না টাফি?
টাফি শব্দ করে মাথা নাড়ল। রিক্ত জোর পূর্বক হাসার চেষ্টা করে বলল,,,,
রিক্তঃ আমি এজন্য ভয় পাচ্ছি না আসলে আমার তো অ্যালার্জি তাই!( ভয়ে ভয়ে )
রিশানঃ ডোন্ট ওয়ারি রিক্ত ভয় পাস না। আমি যেহেতু তোকে মেনে নিয়েছি ধীরে ধীরে টাফিও তোকে মেনে নিবে তাই না টাফি?( টাফিকে চোখ মেরে )
রিশান চোখ মারতেই টাফি এক ঝটকায় উঠে রিক্তর কোলে বসে পরলো। রিক্তর মুখ দেখার মতো। নাক লাল হয়ে যাচ্ছে ওর হয়তো এখনি হাঁচি শুরু করে যাবে।
শায়েরা রিক্তর অবস্থা বুঝতে পেরে সাথে সাথে টাফিকে তুলে নেয়।
শায়েরাঃ শুধু শুধু কেন জালাচ্ছেন বেচারা রিক্তকে। ছবিটা তো সুন্দর করে তুলতে দিন।
রিশানঃ আচ্ছা ঠিক আছে আর লেগ পুল করবো না ওর খুশি?
শায়েরাঃ হুম। টাফি আমাদের সাথে ছবি তুলবে ঠিক আছে টাফি!
টাফি শব্দ করে শায়েরার কথায় সায় দিল। রিশান শায়েরার কাঁধ জড়িয়ে ধরে আর শায়েরা টাফিকে জড়িয়ে ধরে।
আর্থঃ মিসেস হাতি তুমি এতো দূরে দাঁড়িয়েছো কেন? কাছে আসো – হায়াতিকে জড়িয়ে ধরে।
আর্থঃ হুম এভাবে।
হায়াতি হেসে আর্থের হাতে হাত রাখলো। ক্যামেরা ম্যান হাত দিয়ে ইশারা করে সবাইকে রেডি হতে বলে।
ওয়ান টু থ্রি একটা পারফেক্ট ফ্যামিলি ফটো।
~~~ End ~~~
গল্পটা একদম সিম্পল প্লটে লিখেছিলাম আমি। ভাবিনি যে সবাই গল্পটাকে এতো ভালোবাসা দিবে। এটায় তিনজন ভিন্ন ক্যারেক্টারের জুড়ির তিনটি ভিন্ন ধরনের লাভ স্টোরি দেখানোর চেষ্টা করেছি। কোনো ধরনের প্যাচগোচ ছাড়া একটা সিম্পল লাভ স্টোরি ছিল হ্যাপি এন্ডিং এর সাথে। আপনাদের সবার এতো ভালোবাসা আর সাপোর্টের জন্য আমি মনের গভীর থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গল্পটাকে এতো ধৈর্য আর ভালোবাসা দিয়ে পড়ে আমাকে সাপোর্ট করার জন্য থ্যাংক ইউ। আমি চেষ্টা করবো ইন ফিউচার আপনাদের জন্য আরও ভালো কিছু নিয়ে আসতে। আশা করি ভবিষ্যতেও আপনারা আমাকে আর আমার লিখাকে এভাবে সাপোর্ট আর ভালোবাসা দিবেন।
সবার জন্য ভালোবাসা রইলো। ??