#You_Are_My_Destiny
#Mr_Arrogant_3 ?,02,03
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_2
আর্থ বাসায় এসেই হেলমেট রেখে উপরে ওর রুমে চলে যায় ফ্রেশ হতে। আর যাওয়ার আগে সুবহাকে বলে যায় যে ও এসে পরেছে। সুবহা আর্থের জন্য কফি বানিয়ে রিশিকার হাতে উপরে পাঠিয়ে দেয়।
রিশিকাঃ ভাইটুউউউ…রুমে প্রবেশ করে।
রুমে প্রবেশ করতেই অবাক হয় রিশিকা কারন গোছানো রুমটা মিনিটের মধ্যে এসেই অগোছালো করে দিয়েছে আর্থ। একটা জুতো বাংলাদেশ তো আরেকটা পাকিস্তানের বর্ডারে ফেলেছে। জ্যাকেট খুলে সোফায় ফেলেছে আর টিশার্ট বেডে। যদি বাড়ির কোনো স্টাফকে জিজ্ঞেস করা হয়- এ বাসার সবচেয়ে অগোছালো সদস্য কে? তাহলে সেকেন্ড না ভেবেই তারা আর্থের নাম নিবে।
আর্থ শাওয়ার নিচ্ছে আওয়াজ আসছে ভেতর থেকে। রিশিকা কফি টেবিলে রেখে দেয়।
রিশিকাঃ আল্লাহ! এ কী অবস্থা করেছে রুমটার?( মাথায় হাত রেখে) বেচারা রুম-ও মাঝে মধ্যে ভাবে কোন উল্লুকের সাথে থাকি।( সব কিছু ঠিকঠাক করে রাখছে আর বলছে)
রিশিকা জ্যাকেটটা তুলতেই একটা কিছু পরার শব্দ হলো নিচে।
“এটা কী পরলো?”…রিশিকা জিনিসটা তুলতেই কিছুটা টাস্কি খায়।
রিশিকাঃ ঝুমকা!( অবাক হয়ে) ভাইটু্র জ্যাকেটে ঝুমকা- তাও মেয়েদের। এর আগে তো কখনো এসব পাই নি তবে আজ…?( কনফিউজড হয়ে ) ডালমে কুছ কালা নেহি পুরি ডাল হি কালি হ্যায়…( চোখ ছোট ছোট করে)
ওয়াশরুমের দরজা খোলার শব্দে রিশিকা পেছনে ফিরে।
আর্থঃ ওখানে দাঁড়িয়ে কী ডাল চাল হিসাব করছিস পিচ্ছু?
রিশিকাঃ ভাইটুউউউ ডোন্ট কল মি পিচ্ছু…( রেগে )
আর্থঃ আচ্ছা আচ্ছা পিচ্ছু বলবো না বুড়ি দাদি বলবো চলবে?( মজা করে)
রিশিকাঃ ইউউউউ…( আর্থকে তেড়ে গিয়ে)
আর্থকে আর পায় কে ওতো আগেই দৌড়।
মেহরাব ভিলা….?
স্পোর্টস রুমে একা একা বাস্কেল বল খেলছে রিক্ত। ওর পুরো কনসন্ট্রেশন বলের মধ্যে। একজন স্টাফ রোলার ট্রে করে খাবার নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। রিক্তর বল লেগে খাবারের ট্রে টা সরে যায় আর বড় ফ্লাওয়ার ভাজের সাথে বারি খায় আর ভাজটা পরে ভেঙে যায়।
রিক্তঃ উপ্স…!
আচমকা এমন হওয়ায় স্টাফটা ভয়ে পিছিয়ে যায়। রিক্ত সেদিকে খেয়াল না দিয়ে আবারো বলটা তুলে নিজের খেলায় মনোযোগ হয়। এমন ভাবে ও বল গুলো হিট করছে যে কিছু না কিছু ভাঙছেই। রিক্তর চেহারা দেখে বুঝা যাচ্ছে ওর কাছে এই ভাঙচুর খেলাটা অনেক ভালো লাগছে।
রিক্তর বাবা আকিব নিজের রুমে যাওয়ার পথে শব্দ শুনে রিক্তর স্পোর্টস রুমে চলে আসেন। আসতেই এই অবস্থা দেখে কিছুটা রেগে যান উনি।
আকিবঃ এসব কী অবস্থা করেছো রিক্ত?
রিক্তঃ নাথিং মাচ্ জাস্ট বাস্কেলবল খেলছি।( ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে) বাই দ্যা ওয়ে আপনি কী ভেবে এখানে আসলেন?
আকিবঃ রুমে যাচ্ছিলাম তোমার ভাঙিচুরির শব্দে আসতে হয়েছে। আচ্ছা বাদ দাও তোমার বলের পাগলামো রেখে ব্রেকফাস্ট করে নাও।
রিক্তঃ আমাকে নিয়ে আপনার ভাবতে হবে না আপনি নিজের কাজে যান আই ক্যান হ্যান্ডেল মাইসেল্ফ।আপনার মতো বিজি মানুষ আমার পেছনে সময় নষ্ট করছে বিষয়টা ভালো দেখায় না।( খেলায় মনোযোগ দিয়ে)
আকিবঃ বাবা হই আমি তোমার রিক্ত তোমাকে নিয়ে ভাববো না তো কাকে নিয়ে ভাববো?
রিক্তঃ দুর্ভাগ্যবসত! আপনি আমার বাবা হন…( খেলা বন্ধ করে)
আকিবঃ রিক…রিক্ত আকিবকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বেরিয়ে যায় রুম থেকে।
রিক্ত নিজের রুমে এসে বলটা কোনায় ছুড়ে মারে তারপর টাওয়েল নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।
এই ফাঁকে স্টাফ এসে রিক্তর প্রোটিন শেক আর ব্রেকফাস্ট রেখে যায় রুমে।
রিক্ত ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এসে প্রোটিন শেকের ফ্ল্যাক্সটা নিয়ে সোফায় বসে পরে আর ল্যাপটপ অন করে। ল্যাপটপ অন দিতেই রিশিকার ছবি ভেসে উঠলো স্ক্রীনে। ছবিটাতে রিশিকার হাতে অনেক গুলো বেলুন যে গুলো সামলানোর চেষ্টা করছে ও- তখনই আড়ালে ছবিটা তুলে নেয় রিক্ত।
রিক্তঃ গুড মর্নিং মাই লাভ!( ছবিটায় ফ্লাইং কিস দিয়ে)
?
আর্থ ছাদের রেলিংয়ের ওপর বসে আছে আর রিশিকা হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
রিশিকাঃ ভাইটু?
আর্থঃ হুম বল…
রিশিকাঃ তোমার গার্লফ্রেন্ড এর সাথে কখন দেখা করাবে আমাকে?
আচমকা রিশিকার এমন প্রশ্নে থতমত খেয়ে যায় আর্থ।
আর্থঃ গার্লফ্রেন্ড!( অবাক হয়ে) কীসব বলছিস?
রিশিকাঃ যা দেখেছি তাই-ই তো বলছি… এইযে এই ঝুমকোটা দেখে কিছু মনে পরছে? কার এটা?
আর্থঃ তোর না?
রিশিকাঃ একদম না।
আর্থঃ তাহলে কার?( হাতে নিয়ে দেখছে)
রিশিকাঃ উফ্ ভাইটু আমি তোমাকে কী প্রশ্ন করবো তুমি দেখি উল্টো আমাকে প্রশ্ন করছো।
আর্থঃ আমি কী করে জানবো এটা কার আজব!
রিশিকাঃ তোমার জ্যাকেট থেকে পেয়েছি তাহলে তুমি জানবে না তো কে জানবে?( রাগ দেখিয়ে)
আর্থঃ আমার জ্যাকেট থেকে…. হঠাৎ আর্থের মনে হায়াতির কথা। এটা নিশ্চয়ই ওর ঝুমকা।
আর্থঃ এটা অবশ্যই ওই হাতির হবে….
রিশিকাঃ হাতি? ( অবাক হয়ে)
আর্থঃ আর বলিস না সকাল সকাল ওই হাতি থুক্কু হায়াতি নামের প্যারার পাল্লায় পরেছিলাম।( অসহায় ভাবে)
আর্থ রিশিকাকে সকালের ঘটনা খুলে বলে। কথা গুলো শুনে রিশিকা অবাক হওয়ার বদলে হাসতে শুরু করে।
আর্থঃ তুই হাসছিস রিশু? ( নাক ফুলিয়ে)
রিশিকাঃ হাসবো না তো কী করবো ভাইটু? শেষমেশ একটা মেয়ে দ্যা গ্ৰেইট সিবিআই অফিসার আর্থ রায়জাদাকে মার্কার পেন দিয়ে বোকা বানিয়ে চলে গেল।( হাসতে হাসতে) এটা তো ব্রেকিং নিউজ। পেপারের হেডলাইনে টপে থাকবে এই খবরটি।
আর্থঃ ওই মেয়েটাকে জাস্ট একবার পাই তারপর বুঝাবো আর্থ কী জিনিস… ( মুখ ফুলিয়ে)
রিশিকাঃ আমি প্রে করবো আল্লাহর কাছে যেন তোমাদের দেখা আবারো করায় তাও তাড়াতাড়ি। কিন্তু একটু সাবধানে থাকবে…
আর্থঃ কেন?
রিশিকাঃ বলা তো যায় না যদি তোমার মন চুরি করে নিয়ে যায় এবার তখন?
আর্থঃ বেশি পেকে গিয়েছিস শুধু শুধু বুড়ি দাদি বলি না তোকে।
রিশিকাঃ দেখো ভাইটুই যদি তুমি আমাকে আবার এই নামে ডেকেছো তাহলে কিন্তু আমি ছোট আব্বুকে ফোন করে বলে দিব তারপর উনি তোমাকে ইচ্ছা মতো বকবে।( মুখ ফুলিয়ে)
আর্থঃ হুহ ছোট আব্বুর চামচি…( বিরবির করে)
রিশিকাঃ কী বললে?
আর্থঃ বলছি তোকেও ওনাদের কাছে কানাডা ট্রান্সফার করতে হবে।
আর্থ রিশিকার সাথে কথা বলছে এর মাঝেই ওর ফোনে কল আসে রিশানের।
রিশিকাঃ কার ফোন?
আর্থঃ ভাইয়ের… হ্যাঁ ভাই…রিসিভ করে।
রিশানের কথা শুনে কল কেটে দিল আর্থ।
রিশিকাঃ ফোন কাটলে কেন আমিও ভাইয়ার সাথে কথা বলবো।
আর্থঃ নিজের ফোন দিয়ে কল দে গিয়ে যা। আমার কাজ আছে আই হ্যাভ টু গোও রিশু বেবি বাই…( রিশিকার গাল টেনে)
রিশিকাঃ একটু আগেই তো আসলে আবার কোথায় যাচ্ছো?
আর্থঃ এটা সিক্রেট বলা যাবে না- আসি।
রিশিকাঃ না বললে যেমন আমি বুঝি না হুহ! আই’ম সিউর তোমরা দু’জন মিলে নিশ্চয়ই কিছু প্লানিং করছো আমার বার্থডের জন্য।( মুচকি হেসে) ইউ বৌথ আর দ্যা বেস্ট ব্রাদার্স ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড।
?
রিশান মিটিং শেষ করে নিজের কেবিনে চলে এসেছে। আজকে রিশিকার বার্থডে রাতের জন্য অনেক কিছু প্লান করেছে ও। কিন্তু রিশান হয়তো জানে না যে ওর থেকেও বেশি এক্সাইটেড হয়ে কেউ রিশিকার জন্য বার্থডে প্লান করছে। আর সেটা অন্য কেউ না বরং রিক্ত।
রিশান কল করে কয়েকজন গার্ড আর স্টাফদের কেবিনে ডেকে আনায় আর তাদের কাজ বুঝিয়ে দেয়। রিশানের মেইন টপিক হচ্ছে কোনো মতেই যেন রিক্ত আজ ওদের আশেপাশে না আসে।
সবাইকে কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার পর রিশান গার্ডদের উদ্দেশ্যে বলে…
রিশানঃ রিক্ত মেহরাব যেন রিশিকার আশেপাশেও ঘুরঘুর না করে আজ। এটা তোমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ( সবার উদ্দেশ্যে)
স্টাফ সহ বাকি গার্ডরা চলে যেতেই রিশান প্যান্টের পকেটে দু হাত গুঁজে জানালার সামনে এসে দাঁড়ায় তারপর নিজে নিজে বলতে শুরু করে….
রিশানঃ তোর ছায়া-ও আমি আমার বোনের উপর পরতে দিব না রিক্ত। ( কড়া গলায়)
রিশান জানালার বাইরে তাকিয়ে ব্যস্ত শহরের কোলাহল পূর্ণ রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছে অপলক। হঠাৎ নিচ থেকে একটা কিছুর তীব্র আলো ওর চোখে লাগে। হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চোখ ঢেকে ফেলে রিশান। হালকা করে হাত সরিয়ে নিচে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করে ও - এটা আসলে কীসের আলো।
রিশান নিচে তাকাতেই দেখে একটা মেয়ে নিচে দাঁড়িয়ে আছে আর তার হাতে সিলভারের চুরি যার ঝুমকা গুলোতে কাঁচ লাগানো। রোদের আলো সেই গ্লাসে রিফ্লেক্স হয়ে ওর চোখে বিঁধছে। মেয়েটির পেছন টুকু দেখা যাচ্ছে শুধু।
রিশান আরো ভালো করে মেয়েটিকে লক্ষ করার চেষ্টা করে। গোলাপী রঙের ফুল স্লীভ লং ড্রেস ব্লাক অ্যান্ড ব্রাউনি কম্বিনেশন এর হালকা কোঁকড়ানো চুল যদিও চুল গুলো বেশি লম্বা না পিঠ অব্দি। হাত ভর্তি সিলভারের চুরি আর কানেও সেম ঝুমকা। এই প্রথমবার কোনো মেয়েকে এতটা নিখুঁত ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে রিশান।
মেয়েটি হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে টেক্সি ড্রাইভারের সাথে কথা বলছে।
রিশানঃ মেয়েটি কী কথা বলছে ড্রাইভারের সাথে নাকি ঝগড়া করছে?( কনফিউজড হয়ে) দেখে আসবো?
রিশান বিষয়টা বুঝার জন্য নিচে নেমে আসে। অফিস থেকে বের হতেই কিছুটা দূরে মেয়েটি দাঁড়িয়ে।
রিশান যতটা এগিয়ে যাচ্ছে ততই মেয়েটির কন্ঠ স্বষ্ট হচ্ছে। টেক্সিওয়ালার চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে বেচারা হয়তো অনেক খারাপ ভাবে ফেসেছে।
ড্রাইভারঃ ম্যাডাম আমি আপনাকে বলছি তো এয়ার পোর্ট থেকে এখানের ভাড়া দেড় হাজার টাকা বুঝুন একটু দয়া করে।
মেয়েটিঃ আরেহ আজব তো আমি কেন বুঝবো? আপনি বুঝেন বেশি করে। একেতো জনগনদের ঠকাচ্ছেন বেশি ভাড়া রেখে তার উপর আবার আমাকেই উল্টা বুঝাচ্ছেন।( রেগে )
ওদের দুজনের কথা গুলো শুনে রিশান বিষয়টা এবার বুঝতে পারছে যে ভাড়া নিয়ে গন্ডগোল বেঁধেছে।
রিশান এগিয়ে দিয়ে মেয়েটিকে কিছু বলতে যাবে তার আগেই মেয়েটি হাতের ব্যাগ পেছনে ঘুরিয়ে দেয় আর রিশানের মুখে বারি লাগে।
রিশানঃ আহহহ্!( চেঁচিয়ে)
পেছন থেকে চিৎকার শুনে মেয়েটি আতঙ্কিত হয়ে পেছনে ফিরে। রিশান নাক ডলছে নিশ্চয়ই নাকে ব্যথা পেয়েছে।
মেয়েটিঃ আল্লাহ! কী করলাম আমি?( ভয়ে ভয়ে) আপনি ঠিক আছে? আই’ম সো স্যরি আমি দেখেনি আপনায়…( চিন্তিত হয়ে)
রিশান এবার মুখ তুলে তাকায় মেয়েটির দিকে। নিমিষেই যেন ওর ব্যথা কোথাও গায়েব হয়ে গেল। একদম বাচ্চাদের মতো ইনোসেন্ট ফেস করে আছে মেয়েটি। অদ্ভুত একটা অনুভুতি অনুভব হচ্ছে ওর।
মেয়েটির কথায় ধ্যান ভাঙে রিশানের- আপনি ঠিক আছেন? বেশি লাগে নি তো?
রিশানঃ নোহ আই’ম অল রাইট!( সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে)
মেয়েটিঃ থ্যাংকস টু আল্লাহ কিছু হয়নি আপনার- নাহলে বাংলাদেশে এসেই জেলে ঢোকার অভিজ্ঞতা হয়ে যেত আমার মতো ভোলি ভালি মাসুম বাচ্চির।( ইনোসেন্ট ফেস করে)
রিশানঃ সিরিয়াসলি!( বিষ্ময় নিয়ে)
মেয়েটিঃ জি ইয়েস।
রিশানঃ ওহ আচ্ছা কিন্তু আপনাদের মধ্যে ঝগড়া কী নিয়ে হচ্ছিল?
মেয়েটি কিছু বলতে যাবে তার আগেই ক্যাব ড্রাইভার বলতে শুরু করে- স্যার আর বইলেন না ম্যাডামকে আমি এয়ার পোর্ট থিকে আনছি আর আগেই বলে দিছিলাম যে ওখান থেকে ভাড়া দেড় হাজার টাকা কিন্তু ম্যাডাম এখন বলে আমি নাকি মিথ্যা বলছি।( অসহায় ভাবে)
ড্রাইভারের কথায় মেয়েটি রেগে কোমড়ে দু হাত গুঁজে রাগি ভাবে বলতে শুরু করে।
মেয়েটিঃ আল্লাহ তুমি কোথায় আছো দেখো কী বড় মিথ্যা কথা বলছে আমার নামে!( আকাশের দিকে তাকিয়ে) শুনেন আমি আপনাকে বলছি ( রিশানকে ) এই ড্রাইভার সাহেবের সাথে চুক্তি হয়েছিল ভাড়া নিবেন এক হাজার পাঁচশ কিন্তু এখানে আসতেই এনার ডিমান্ড হাই স্পীডে উপরে উঠে গেল….
রিশানঃ কত চেয়েছে?
মেয়েটিঃ দেড় হাজার টাকা…( দু হাত ছড়িয়ে বেশি দেখালো)
রিশান মেয়েটির কথা শুনে পুরো “ থ ” ও এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে হয়তো ও অন্য গ্ৰহের প্রানি অথবা মেয়েটি একশত পার্সেন্ট ভিন গ্রহের এলিয়েন। মুখ হা হয়ে আছে রিশানের।
মেয়েটি আবারো বলতে শুরু করে- এখন আপনিই বলেন কোথায় মাত্র এক হাজার পাঁচশ আর কোথায় দেড় হাজার আল্লাহ… টাকা কী গাছে ধরে যে সব এভাবে বিলিয়ে দিব আমি।
রিশানঃ এক হাজার পাঁচশ আর দেড় হাজারের মধ্যে পার্থক্য কী?( টাস্কি খেয়ে )
To be continued…..
#You_Are_My_Destiny
#Mr_Arrogant_3 ?
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_3
রিশানঃ এক হাজার পাঁচশ আর দেড় হাজারের মধ্যে পার্থক্য কী?( টাস্কি খেয়ে )
মেয়েটি রিশানের কথা শুনে কপাল সাত আসমানে তুলে নেয় যেন রিশান কত বড় ভুল প্রশ্ন করে ফেলেছে- পার্থক্য কী মানে? কত বড় পার্থক্য আপনার চোখে পড়ছে না?( অবাক হয়ে চোখ বড় বড় করে) এক হাজার পাঁচশ এর মধ্যে একবার শুধু “হাজার” আর একবার “শ” ব্যবহার হয় কিন্তু দেড় হাজারের মধ্যে পুরোটাই হাজার ব্যবহার করে। শুনতেও কত বড় লাগে “দেড় হাজার”…( লম্বা উচ্চারন করলো ) আমি বাংলাদেশের পার্মানেন্ট বাসিন্দা না হলেও মনে প্রানে বাংলাদেশী হু। এতো সহজে আমাকে বোকা বানিয়ে টাকা ঘাপলাতে পারবে না কেউ।
রিশানঃ গড! কেমন সিচুয়েশনে ফেঁসে গেলাম আমি। লাইক সিরিয়াসলি! এমন মানুষ ও হয় দুনিয়ায়? আনবিলিভেবল…( মনে মনে )
ড্রাইভার কিছু বলবে কিন্তু তার আগেই রিশান চোখ দিয়ে ইশারা করে তাকে থামিয়ে দেয় তারপর বলে।
রিশানঃ আচ্ছা বুঝেছি আপনার দেড় হাজার টাকা দেওয়া লাগবে না আপনি ইনাকে ( ড্রাইভারকে দেখিয়ে ) এক হাজার পাঁচশ টাকাই দিয়ে দিন।
— আমিও তো কখন থেকে এটাই বলছি স্যার কিন্তু ম্যাডামই বুঝছে না।( ড্রাইভার )
— আপনি কখন বললেন আমায়? সে তখন থেকে দেড় হাজারের রট লাগিয়ে আছেন মিঞা।( ড্রাইভারকে উদ্দেশ্য করে বলল মেয়েটি।)
রিশানঃ ব্যস ব্যস হয়েছে আই থিংক এখন প্রবলেম সল্ভ হয়েছে।
ড্রাইভারঃ জি স্যার…
মেয়েটি নিজের ব্যাগ থেকে টাকা বের করে ড্রাইভারের হাতে ধরিয়ে দেয় তারপর বলে।
— নেক্সট টাইম কাউকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন না বলে দিলাম। বি অ্যা গুড পার্সন…( পরামর্শ দিয়ে)
ড্রাইভার কিছু বলল না মুখ বাংলার পাঁচ করে তাড়াতাড়ি কেটে পরলো ওখান থেকে।
আর্থ অফিসের সামনে আসতেই রিশানকে বাইরে দেখে বাইক থামিয়ে নেয়। হেলমেট খুলে রেখে রিশানকে ডাকবে তখনি ওর চোখ যায় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটির উপর।
আর্থঃ হু’জ শী?( মেয়েটিকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে) গিয়েই দেখে আসি…নেমে গিয়ে।
কী চলছে এখানে? – আর্থ রিশানের সামনে এসে দাঁড়ালো।
রিশানঃ তুই…? কিছু না…
আর্থ সামনে তাকিয়ে মেয়েটির উদ্দেশ্যে বলল।
আর্থঃ আপনি?( মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে)
আই’ম শায়েরা হাই – হ্যালো বলে। রিশান এতক্ষনে জানতে পারলো মেয়েটির নাম।
আর্থঃ আই’ম আর্থ। ব্রো মেয়েটি কে রে?( রিশানের কানে ফিসফিস করে)
রিশানঃ পরে বলছি অনেক লং স্টোরি।( ধীরে বলল )
কথার মাঝেই রিশানের ফোনে কল আসে।
“আমি আসছি”- বলেই অন্য সাইডে চলে গেল রিশান।
আর্থ রিশান থেকে সরে শায়েরার দিকে ফিরে।
শায়েরাঃ আপনারা ফ্রেন্ড হন?
আর্থঃ নোহ! উই আর টু ব্রাদার্স ফ্রম আনাদার মাদার্স। ব্রো জুরি আরকি। বাই দ্যা ওয়ে আমি কী জানতে পারি আপনি আমার ভাইয়ের সাথে এখানে কি করছেন?
শায়েরাঃ অ্যাকচুয়ালি আমি আমার আঙ্কেলের বাসায় এসেছি কিন্তু এয়ার পোর্ট থেকে যে ক্যাব নিয়েছিলাম তার ড্রাইভার ভাড়ায় গন্ডগোল বাঁধিয়ে দিয়েছিল।
আর্থঃ যেমন?
শায়েরা আর্থকে পুরোটা ঘটনা খুলে বলল। আর্থ কয়েকটা শুকনো ঢোক গিলে শায়েরার কথা শুনে। ওর মনে হচ্ছে ওর মাথায় জিলেপির প্যাচ লেগে যাচ্ছে শায়েরার কথায়।
শায়েরাঃ এখন আপনিই বলেন এক হাজার পাঁচশ আর দেড় হাজারের মধ্যে কত পার্থক্য তাই না?
আর্থঃ হ হ্যাঁ বিশাল পার্থক্য মহা পার্থক্য এতো বড় পার্থক্য যা কাউন্ট করা যাবে না।( বিষম খেয়ে)
রিশান কথা বলা শেষ করে ওদের সামনে চলে আসে।
আর্থঃ ব্রো আমার মাথা ঘুরছে…( ফিসফিসিয়ে)
রিশানঃ এখন তো শুধু মাথা ঘুরছে এই মেয়ের সাথে আর বেশিক্ষণ থাকলে তুই পুরো ঘুরে যাবি।
শায়েরাঃ কী ফিসফিস করছেন আপনারা?
রিশানঃ কিছু না এমনিই। একচুয়ালি আমার মিটিং আছে আই হ্যাভ টু গোও নাও।
শায়েরাঃ আমার বোনও চলে আসবে কিছুক্ষণের মধ্যেই। ওর সাথেই বাসায় যাবো।
বাট থ্যাংক ইউ সো মাচ্ আমার হেল্প করার জন্য।
রিশানঃ ডোন্ট থ্যাংকড্ মি আমি জাস্ট একটু কনফিউশন টা দূর করেছি আরকি।( আমতা আমতা করে)
শায়েরাঃ আপনি অনেক সফ্ট হার্টেট আই উইশ সবাই আপনার মতো হতো।
শায়েরার কথা শুনে আর্থ মুখ চেপে নিজের হাসি কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে।
আর্থঃ সফ্ট হার্টেট তাও রিশ ভাই! জোক অফ দ্যা ডে। মাত্র আধা ঘন্টা রিশ ভাইয়ার সাথে থেকে ওকে সফ্ট হার্টেট বলছে হুঁ… একদিন পুরো ওর সাথে থাকলে সারাজীবন শুধু একটাই প্রে করবে যেন রিশ ভাইয়ার সাথে কখনো দেখা না হয়।( মনে মনে হেসে)
শায়েরার ফোনে কল আসতেই ও রিসিভ করে।
শায়েরাঃ তুই কোথায়?
ফোনে….
শায়েরাঃ হোয়াইট কার?( আশে পাশে তাকিয়ে) হ্যাঁ দেখেছি দাঁড়া আমি আসছি।( ফোন কেটে)
কিছুটা দূরে একটা সাদা গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে শায়েরা সেটার দিকে তাকিয়ে আবার রিশানের দিকে তাকায়।
শায়েরাঃ আমি আসি আমার বোন চলে এসেছে। আবার দেখা হবে।
রিশানঃ হুম। আর্থ চল…( আর্থকে বলল )
শায়েরা একটা স্মাইল দিয়ে গাড়ির দিকে চলে যায়।
আর্থঃ এক দিনে দু’টো এলিয়েন এর সাথে দেখা হলো।( বিরবির করে)
রিশানঃ কিছু বললি?
আর্থঃ নাহ আয়…( হাঁটা ধরে)
শায়েরা গাড়ির দরজা খুলেও পেছনে ফিরে রিশানকে এক পলক দেখে বসে পরে। পেছনের সিটে হায়াতি বসে আছে।
হায়াতিঃ আপিইই আই মিস ইউ…( শায়েরাকে জড়িয়ে ধরে)
শায়েরাঃ মিস ইউ টু। কিন্তু তুই গাড়ি এতো দূরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিস কেন? ওখানে গেলে তোকে একজনের সাথে দেখা করিয়ে দিতাম।
হায়াতিঃ ভাবলাম শুধু শুধু আরেকটু এগোলে আরও বেশি পেট্রল খরচ হবে তাই তোকে কল করে এখানে আসছে বললাম।( আমতা আমতা করে)
শায়েরাঃ সিরিয়াসলি! কিপ্টুস…
হায়াতিঃ তোর থেকে কমই। ( মজা করে) ড্রাইভার কাকু বাসায় চলেন।( ড্রাইভারকে বলল ) ভালো হয়েছে যে আমি আর্থ মহাজনকে শায়ুর সাথে দেখে ফেলেছিলাম তাই বের হই নি।
যদি ও আমাকে চিনে ফেলত আর সকালের কান্ডর জন্য জেলে ঢুকিয়ে দিত তখন? যদি জানতাম ও পুলিশ তাহলে ভুলেও ওর সাথে পাঙ্গা নিতাম নাহলে। এখন ভুল যখন করেই ফেলেছি নিজেকে বাঁচিয়ে তো রাখতে হবেই। আল্লাহ প্লিজ যত যা-ই হোক না কেন আমাকে আর ওর সামনে ফেলো না।( মনে মনে)
অফিসে….?
আর্থঃ আল্লাহ! ব্রো আমি এখনো কনফিউজড দেড় হাজার আর এক হাজার পাঁচশ এর মধ্যে।( সোফায় বসে হাসতে হাসতে)
রিশানঃ বাদ দে এই টপিক…( ল্যাপটপে মনোযোগ দিয়ে)
আর্থঃ কিন্তু যাই হোক মেয়েটা দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর। আর নামটাও… কী যেন নাম ছিল…?
ল্যাপটপে এতক্ষন টাইপ করছিল রিশান কিন্তু আর্থের কথায় ওর হাত থেমে যায়। নিজের অজান্তেই ওর মুখ ফসকে বেরিয়ে যায়…“শায়েরা”।
আর্থঃ বাহ্ এই মেয়ের নাম তো বরাবর মনে আছে তোর। আচ্ছা তোর পি.এর নাম কী বলতো?
রিশানঃ শাট আপ আর্থ কাজ করছি…( কথা কাটিয়ে)
আর্থঃ হ্যাঁ শাট আপ তো করাবিই কারন তোর পি.এর নাম কি সেটা আদৌ তুই জিজ্ঞেস করিস নি তাহলে জানবি কী করে?( কপাল কুঁচকে) কিন্তু ওই ক্যাব ওয়ালা মেয়েটার নাম একবার শুনেই মনে গেঁথে গেছে তোর।
রিশানঃ হয়েছে তোর? এখন তুই এসব ফালতু চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে দেখে আয় রিশুর জন্য যে গিফট গুলো বলেছিলাম সে গুলো পৌঁছেছে কি না।
আর্থঃ কথা ঘুরাতে চাচ্ছিস?
রিশানঃ তুই যাবি?( ধমক দিয়ে)
আর্থঃ যাচ্ছি হুহ… কিন্তু আমার একটা কথা মনে রাখবি…
রিশানঃ কী কথা?
আর্থঃ তোদের মধ্যে কোনো সেটিং ফেটিং হলে সবার আগে আমাকে বলবি কিন্তু…( চোখ মেরে)
রিশানঃ তুই…
রিশান রেগে আর্থের দিকে তেড়ে যাওয়ার আগেই আর্থ দৌড়।
রিশানঃ সবসময় ফালতু কথা বার্তা বলে…( বিরবির করে বসে) বললেই হলো নাকি আজব….
আর্থ কেবিনের বাইরে গিয়ে আবারও ভেতরে উঁকি মেরে বলে।
আর্থঃ নো বিগব্রো আর্থ সবসময় সঠিকই বলে বাট আফসোস তোরা সেটা মানতে নারাজ। যাই হোক শায়েরার মধ্যে নিশ্চয়ই স্পেশাল কোনো কথা আছে যেটা দ্যা রিশ উরফে রিশান রায়জাদাকে ভাবাচ্ছে।(মনে মনে রিশানের দিকে তাকিয়ে)
আর্থের আসার কথা শুনে সব স্টাফ মেয়েরা এতক্ষন নিজেদের মেকআপ আয়না নিয়ে ব্যস্ত ছিল আর্থ হলে আসতেই সেগুলো ফেলে ওকে হাই বলতে ব্যস্ত হয়ে পরে। আর্থ একটা হালকা হাসি দিয়ে নিজের বাইকের চাবি ঘুরাতে ঘুরাতে বেরিয়ে যায়।
?
টাফি হল রুমে ছোট বল নিয়ে খেলা করছে রিশিকা আসতেই বল ছেড়ে ওর কাছে দৌড়ে চলে আসে ও।
রিশিকাঃ টাফি ক্ষুধা পেয়েছে তোর? দাঁড়া আমি তোর খাবার আনছি।( টাফির গায়ে হাত বুলিয়ে)
টাফি রিশিকার কথা শুনে শব্দ করে যেন হ্যাঁ বলছে।
রিশিকা টাফির পেট ফুড দিয়ে উপরে চলে আসে নিজের রুমে।
নিজের রুমে আসতেই নিজের বেডে বড় একটা গোলাপী র্যাপ করা বক্স দেখতে পেলো।
রিশিকাঃ গিফট!
রিশিকা দৌড়ে গিয়ে বক্সটার র্যাপ খুলতে শুরু করে। বক্সটা খুলতেই একটা বড় পিঙ্ক কালারের টেডিবিয়ার বের হয়।
রিশিকাঃ নতুন টেডি ওয়াওও…( টেডি টাকে জড়িয়ে ধরে)
টেডির থেকে চোখ সরতেই সোফায় আরেকটা বক্স পায় রিশিকা। দ্রুত গিয়ে সেটা খোলে ও। বার্থডের জন্য সারপ্রাইজ ড্রেস। এভাবে রুমের প্রতিটা সাইড থেকে মোট বিশটা গিফট পেয়েছে রিশিকা।
আজকে রিশিকার একুশতম জন্মদিন। আর প্রত্যেক জন্মদিনে রিশান আর আর্থ এজ অনুযায়ী গিফট দেয় ওকে। যততম জন্মদিন ততটা গিফট।
রিশিকাঃ এতো গুলো গিফট!( সব গুলো দেখতে দেখতে)
সুবহাঃ রুম এতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছো কেন রিশু?( কাগজ গুলো তুলতে তুলতে)
রিশিকাঃ আম্মি দেখে ভাইয়া আর ভাইটু কত্ত গুলো গিফট এনেছে আমার জন্য। দে আর বেস্ট।
সুবহাঃ শুধু ভাইদের তারিফ? ওরা এনেছে তো কি হয়েছে? এতো সুন্দর করে সাজিয়ে তোমার আড়ালে রুমে তো আমিই রেখেছি।
রিশিকাঃ হুম সেটাও ঠিক তুমি ও বেস্ট কিন্তু ভাইয়াদের থেকে কম।( মজা করে)
সুবহাঃ হুম বুঝেছি। এখন আপনা গিয়ে তাড়াতাড়ি রেডি হন আপনার ভাইয়ারা আপনারা জন্য আরও সারপ্রাইজ রেডি করে রেখেছে।
রিশিকাঃ রিয়েলি?( অবাক হয়ে)
সুবহাঃ জি হা।
রিশিকাঃ আমি এখনি আসছি…( ড্রেস নিয়ে)
সুবহাঃ আশা করি গতবারের মতো এবার রিশান কোনো ভেজাল না করে রিক্তকে নিয়ে।( চিন্তিত হয়ে)
রওশনঃ কোন ভেজালের কথা বলছো তুমি সুবহা?( রুমে প্রবেশ করে)
সুবহাঃ গতবার রিশিকার জন্মদিনে রিশান আর রিক্তর মাঝে যে ঝগড়া হয়েছিল সেটার কথা বলছি।
রওশনঃ ওটা পাস্ট সুবহা শুধু শুধু ওই বিষয়ে ভেবে মন খারাপ করো না।
সুবহাঃ আচ্ছা রওশন তুমি এবারো উনাদের ইনভাইট করো নি তো?
রওশনঃ তোমার কী মনে হয়?( ভ্রু নাচিয়ে)
সুবহাঃ ডোন্ট টেল মি গত বছর এতো কিছু হওয়ার পরও তুমি মেহরাবদের ইনভাইট করেছো?( চোখ বড় বড় করে)
রওশনঃ রিলেক্স সুবহা এতো হাইপার হওয়ার কিছু নেই এখানে। বাচ্চা মানুষ ওরা ওদের ভুল হতেই পারে তাই বলে কী আমরা বড়রাও বাচ্চাদের মতো বিহেভ করবো? তাছাড়া আমি আকিবকে ইনভাইট করেছি রিক্তকে না। যদি রিক্ত এসেও পরে তাতে কি আমার দোষ?( ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)
সুবহাঃ তোমার মনে হচ্ছে না তুমি ইচ্ছে করে আগুনে পেট্রল ঢালার কাজ করছো? ( চোখ ছোট ছোট করে)
রওশনঃ আগুন যদি এভাবেই জ্বলন্ত ছেড়ে দেই তাহলে সেটা ধীরে ধীরে জ্বলবে আর এতে সমস্যা আরও বাড়বে কিন্তু যদি আগুনে পেট্রল ঢালা হয় তাহলে আগুন তাড়াতাড়ি জ্বলে নিভে যাবে। এতে সমস্যা আর কষ্ট দুটোই কম হবে।
সুবহাঃ বাহ্ কী লজিক দিলে…( হাত তালি দিয়ে)
কিন্তু যদি এবার কোনো গন্ডগোল বাঁধে তাহলে এর দায় তুমি নিবে।
রওশনঃ ওকে ফাইন তুমি আমি মিলে নিব।
সুবহাঃ আমি কেন?
রওশনঃ কারন তুমি আমার ব্যাটার হাফ, অর্ধাঙ্গিনী, বউ, ওয়াইফ, বেগম সব… আমার সব কিছুতে তোমার ফিফটি ফিফটি অধিকার আছে।
সুবহাঃ তুমি দিন দিন মহা বিরক্তিকর মানুষে পরিণত হচ্ছো।
সুবহা রেগে বেরিয়ে গেল রুম থেকে আর ওর পিছু রওশন।
To be continued…..