অবুঝ ভালোবাসা,part:10 শেষ
writer:ঝরা পাতা(খাদিজা)
?
বউ ভাতের অনুষ্ঠান খুব ভালোভাবে শেষ হলো।
ভাইয়া সকলের সাথে খুব হাসি খুশি ভাবে কথা বলছে।শুধু আমার সাথেই কথা বলছে না।
আমি রিয়ান ভাইয়া কে ভাইয়া ডাকি এটা নিয়ে রিয়ান ভাইয়ার বন্ধুরা খুব হাসা হাসি করলো।
রাতে খাওয়া দাওয়া করে যে যার মতো চলে গেলো। আমি রুমে এসে ফ্রেস হয়ে আধ সোয়া হয়ে সুয়ে আছি।
একটু পরে রিয়ার ভাইয়া কোথা থেকে এসে আমাকে কোলে নিয়ে হাঁটা শুরু করলো। ছাদে নিয়ে এসে আমাকে দোলনাতে বসিয়ে দিয়ে আমার কোলে মাথা রেখে চোখ বুজে সুয়ে পড়লো।
আমি চুপচাপ আছি কীছু বলতে পারছি না
।
একটু পরেই আমার পেট থেকে শাড়িটা সরিয়ে দিয়ে পেটে স্লাইড করতে শুরু করলো।তার এমন কাজে যেনো আমি আইস লোলি হয়ে গেলাম।
একটু সরে আসতে চাইতেই আর এক হাত দিয়ে আমার কোমর টা জোরিয়ে নিজের আরো কাছে নিয়ে আসলো।
আমার পেটে একটা চুমু দিয়ে বললো,
আজ থেকে যতো বার ভাইয়া ডাকবি ততো বার তার শাস্তি তোর এই মেদ ছাড়া পেট টা পাবে।(পেটে স্লাইড করতে করতে বললো)
আমি কীছুই বলতে পারছিলাম না,আমার তখন এমন অবস্থা
ছেরে দে মা কেঁদে বাঁচি। একটু পরে আমাকে আবার কোলে তুলে রুমে চলে এলেন,আমাকে সুয়ে দিয়ে নিজেও আমাকে জোরিয়ে ধরে সুয়ে পড়লেন।
এভাবেই দিন গুলো কাটছিলো।
আজ আমার রেজাল্ট দিয়েছে।আমি খাটের এক কনে বসে আছি আর আমার সামনেই রিয়ান ভাইয়া মাথা নিচু করে বসে আছে।
তাকে দেখে মনে হচ্ছে আমি নির্ঘাত ফেল মেরেছি।
খুব ভয় করছিলো,ভয়ে কান্না করে দিলাম,আমার কান্না দেখে রিয়ান ভাইয়া হেসে দিলো তার পরে আমাকে বুকে জোরিয়ে নিয়ে বললো আরে পাগলি কান্না করছিস কেনো।
তুই কী জানিস তুই জেলা ফাস্ট হয়েছিস।
এবার আমাকে কী খাওয়াবি আর কী দিবি সেটা বল?
রিয়ান ভাইয়া কথা শুনে কান্না মুখে হেসে ফেললাম।খুশিতে রিয়ান ভাইয়ার গালে একটা কিস করে দিলাম,এতে যেনো রিয়ান ভাইয়া পুরু শেষ,আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।আমি লজ্জাই মাথা টা নিচু করে নিলাম।
কারণ এটাই আমার তাকে করা ফাস্ট কিস।
তখনি আম্মু রুমে আসলো হাতে মিষ্টি নিয়ে।
এভাবেই খুনশিটিতে আমাদের জীবন চলছিলো।
আমাদের বিয়ের ৩ বছর চলছে।
আজ আমি খুব খুশি,নিজের খুশিটা ধরে রাখতে পারছিলাম না।
আজ অনেক রান্না করেছি সব রিয়ান এর পছন্দের খাবার।
রিয়ান আসতে আসতে রাত ১০ টা বেজে গেলো।
আমি নিজের ঘরে বসে আছি, আমাদের বউ ভাতের দিন যেমন বউ সেজে বসে ছিলাম সেই ভাবে বসে আছি।
রিয়ান রুমে এসে লাইটটা অন করতেই খুব অবাক হয়ে রিনির কাছে গিয়ে রিনির পাশে বসে বললো
আজ আমার বউটার কী হয়েছে,আজ নিজে থেকে এমন সেজে গুজে বসে আছে কারণটা কী?
আমি কীছু না বলে রিয়ান এর বুকে মুখ গুজে রিয়ান এর সামনে দুটো পিচ্চি দের জুতো ধরলাম।
রিয়ান কীছু সময় চুপ থেকে আমার মুখটা একটু উচু করে বললো।
তুমি যেটা বলতে চাইছো সেটা কী সত্যি।
হুম।
এই রিয়ান ভাইয়া তুমি কান্না করছো কেনো।আমাদের বেবি হবে শুনে তুমি খুশি হওনি।
আরে পাগলি তোকে কী ভাবে বোঝাবো এটা আমার জীবনের সেরা উপহাস।আমি বাবা হবো উফ কী যে ভালো লাগছেরে পিচ্চি আমি আমি বাবা হবো আর তুই মা।
পেটে একটা চুমু দিয়ে বললো।
এখানে এই খানে আমার বেবিটা ধীরে ধীরে বড় হবো উফফ কী করে বোঝাবো তোকে আমি কতো টা খুশি।
এই রেদোয়ান দারাও নয়লে এবার ধরতে পারলে খুব মার খাবে বলে দিলাম।
মামুমি তুমি আমাকে ধরতে পারবে না।
তখনই রিয়ান ভাইয়া এসে রেদোয়ান কে কোলে নিয়ে বললো।
বাবা মামুনির সাথে কেউ এমন করে বলো,মামুনির দৌড়াতে কষ্ট হয় তো।
রিনি খাবার টা আমার কাছে দাও আমার ছেলে কে আজ আমি খাওয়াবো।
হুম এই নাও ভাইয়া তোমার ছেলেটাকে খাওয়া ও আমার দাড়া হবে না।তখনই রেদোয়ান আমাকে বললো তো ফুপিমনি তুমি কবে থেকে বাবাইকে ভাইয়া ডাকাটা বাদ দেবে।
ছেলের মুখে ফুপি ডাক শুনে রাগে রিয়ান এর দিকে তাকালাম।
তখনই রিয়ান হেসে বললো আমার কী দোষ বলো তুমি যদি আমাকে ভাইয়া বলো তো আমি তো আমার ছেলেকে তোমাকে ফুপি ডাকতে সেখাবই।
এটাই আমাদের সুখে ভরা সংসার।
হে রেদোয়ান আমার আর রিয়ান এর ছেলে আমাদের ছেলে হয়েছে।খুব দুষ্টু,আর রাগটা পেয়েছে বাবার মতো।
সকলে দোয়া করবেন যেনো আমরা সারা জীবন এই ভাবে সুখে শান্তিতে থাকতে পারি।
সমাপ্ত