অবুঝ ভালোবাসা,part:2
writer:ঝরা পাতা
?
আমি কীছুই বুজতে পারলাম না, কী হচ্ছে আমার সাথে।
এই সব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম।সকালে কাকিমার ডাকে ঘুম ভাঙলো। ঘড়িতে দেখলাম ৮:৪০ বাজে।আসে পাশে কোথাও রিয়ান ভাইয়া কে দেখলাম না।হয় তো অনেক আগেই চলে গেছে,মানুষটা কখন কী করে বোঝা যায় না।একদম রেডি হয়ে খাবার টেবিলে গেলাম, ওখানে রিয়ান ভাইয়া সহ সকলেই আছে আমিও খেতে বসলাম।
কীরে তুই কোথাই যাচ্ছিস।
কলেজ যাবো কাকিমা,প্রতিদিন এই সময় তো কলেজেই যায়।
আজ কলেজ যেতে হবে, আজ ও বাড়ি থেকে তোকে দেখতে আসবে।
কথাটা শুনে আবার মন খারাপ হয়ে গেলো। টেবিল ছেরে চলে আসতে চাইলাম তার আগেই পাশের চেয়ার থেকে রিয়ান ভাইয়া আমার হাতটা ধরে আবার বসালো।
আর চোখের ইশারায় টেবিলে বসে খেতে বললো।
আমি আর কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ খেয়ে রুমে চলে আসলাম।আসার সময় কাকিমা হাতে একটা শাড়ি ধরিয়ে দিয়ে বললো এটা পড়তে।তখই রিয়ান ভাইয়া বললো।
সং সেজে অন্য কাউকে দেখাতে হবে না। নরমাল ড্রেস পড় যা। কাকিমাও আর কীছু বলতে পারলো না।
রুমে এসে বসে আছি।আর ভাবছি সত্য এরা আমাকে পর করে দেবে।আচ্ছা আমি না থাকলে ওদের কষ্ট হবে না।ওদের মন খারাপ হবে না।আজ কাকু আর ভাইয়া অফিসে যায়নি,মেহমান আসবে তাই।
দুপুরের দিকে আসার কথা ছিলো।কিন্তু তারােফোন দিয়ে আসবে না বলে দিয়েছে। কারণ জানতে চাইলে এমন সব আজগুবি কথা বললো যা আমাদের সকলের মাথার উপর দিয়ে চলে গেছে।
কারণ আপনার এক মেয়েকে কয় বার বিয়ে দিতে চান।
কাকু:কী বলতে চান কী আপনি,আমার মেয়ের কীসের বিয়ে দিয়েছি।মাথা ঠিক আছে আপনার।
লোকটি:হুম ঠিক আছে, আজ সকালে একটা ছেলে আমাদের বাড়িতে এসেছিলো।দেখতে শুনতে ভালোই,ছেলেটা বললো।তার আর রিনির আপনারা বিয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু এখন মেনে নিচ্ছেন না।তাই আমরা আর এই বিষয় নিয়ে আগাতে চাই না,ভালো থাকবেন বলেই ফোন কেটে দিলেন।
মামুর মাথাই যেনো আকাশ ভেঙে পড়লো।
তখন রিয়ান ভাইয়া বললো।
আব্বু এতো চিন্তা করার কী আছে। তোমরা কী রিনিকে ঘাড় থেকে নামাতে চাইছো।
কী সব বলছিস মাথা ঠিক আছে তোর রিয়ান।রিনি আমার মেয়ে ওকে কোনো দিন ও বোঝা মনে করিনি যে ঘাড় থেকে নামাবো।
আমার কথা হলো এমন বাজে কথা কে ছড়ালো। আর কেনোই বা ছড়ালো।
আমি ও তাই চিন্তা করছি কী করলো কাজটা,তবে করেছে ভালোই করেছে,আমার এখন বিয়ে করার কোনো শখ নাই।আর না এই পরিবার ছাড়ার কোনো শখ আছে।হঠাৎ রিয়ান ভাইয়া বললো ।
হয় তো কেউ একজন চাই না রিনির বিয়ে হক।হয় তো সে রিনিকে ভালোবাসে তাই এমন করেছে।
রিনিকে ভালোবাসে সেটা তো আমাদের একবার বলতে পারতো আমরা দেখতাম।কীন্তু এই সব বাজে কথা ছরাবে কেনো?
হয় তো তার বলার এখন ও সময় হয় নাই। বাদ দাও আব্বু যা হয় ভালোর জন্যই হয়।
বলেই রিয়ান ভাইয়া রুমে চলে গেলো।
আমি ও রুমে চলে আসলাম।খুব খুশি খুশি লাগছে মনে হচ্ছে যে এই কাজটা করেছে তাকে ধরে কয়েক টা চুমু দিয়ে দি।ইস আজ তার জন্য আমি বেঁচে গেলাম।
বিকেলে ছাদে গিয়ে দেখি রিয়ান ভাইয়া দাড়ি আছে।পরিবেশ টা খুব সুন্দর, হালকা বাতাস,কালো মেঘ,খুব সুন্দর।
আমি আবার নিচে নেমে আসলাম এসে দুটো কফি করে নিয়ে গেলাম।রিয়ান ভাইয়ার সামনে কফির মগটা ধরলাম।
রিয়ান ভাইয়া কোনো কথা না বলে কফির মগটা নিয়ে খেতে শুরু করলো।
দুজনেই চুপ হঠাৎ রিয়ান ভাইয়া বললো।
কীরে আজ মনে হচ্ছে খুব খুশি তুই।
হুম আজ আমি খুব খুশি কারণ আমাকে কেউ দেখতে আসেনি।
কেনো বিয়ে করতে চাস না?কাউকে কী ভালোবাসিস?
কথাটা শুনেই ভাইয়ার দিকে তাকালাম।কারণ কোনো দিন ও ভাইয়া আমার সাথে এই ভাবে কথা বলেনি।
আমার ভাবনার মাঝেই ভাইয়া আবার বললো।
কীরে কাউকে ভালোবাসিস।
না ভাইয়া কাউকে ভালোবাসি না।
তাহলে বিয়ে করতে চাস না কেনো?
আসলে ভাইয়া আমি এই পরিবার টাকে ছাড়তে চাই না।আর ছেরে থাকতেও পারবো না।
মা যখন মারা যায়,বাবাও ছেড়ে চলে গেলো তখন।
তারপর থেকে কাকু, কাকিমা নিজের মেয়ের মতো নিজেদের বুকে আগলে রেখেছে।তাদের ছাড়া যে থাকতে পারবো না।কথা গুলো বলতেই চোখ দিয়ে পানি পড়তে শুরু করলাম।
রিয়ান ভাইয়া আমার দুবাহু ধরে তার দিকে ঘুরিয়ে চেখের পানি মুছে দিয়ে বললো।
আর কান্না করতে হবে না।
তোকে কোথাও যেতে হবে না।তুই সারা জীবন আমাদের বুকেই থাকবি।আমার বাবা,মার রাজকন্যা হয়ে। আরুশ এর বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে।আর আমার বকাঝোকার মানুষ হয়ে।
বলে আর এক মিনিট ও দারালেন না ছাদ থেকে চলে গেলেন।
আমি তার কথার আগা মাথা কীছুই বুজতে পারলাম না।
রিয়ান ভাইয়ার ব্যবহার কীছু দিন হলো কেমন পরিবর্তন লাগছে।
চলবে””