অবুঝ ভালোবাসা,part:4+5+6
writer:ঝরা পাতা(খাদিজা)
?
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ভাইয়া আমার আগেই উঠে পড়েছে।
তাই আমিও উঠে বাইরের পরিস্থিতি দেখে ধিরে ধিরে কাকিমার রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিলাম।
হালকা নাস্তা করে,বাহিরে গেলাম যেখানে স্টেজ সাজানো হচ্ছে।
সকলেই কাজে ব্যস্ত।মামার এক মাত্র মেয়ে তাই কোনো কীছু তে কমতি রাখছে না।
হঠাৎ কোথা থেকে একটা ছেলে এসে বললো।
হাই আমি রিয়াদ রিমির খালাতো ভাই।
হাই আমি রিনি রিয়ান ভাইয়া চাচাতো বোন।
ওও তো কেমন আছো?
জী ভালো। আপনি?
ভালো, ও হে তোমাকে কাল খুব সুন্দর লাগছিলো।আর এখন নরমাল ড্রেস এও তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।
ধন্যবাদ বলেই তাকে কীছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওখান থেকে চলে আসলাম।
কীরে মা তোর হলো? কতে করে বললাম সকলে পার্লারে গেলো তুই ও যা।আমার কথা তো কানে নিবি না।
উফ কাকিমা, এই দেখো আমি রেডি।
হুম আমার মেয়েটাকে খুব সুন্দর লাগছে। আমার মেয়েটা দেখি একাই একশো।
বলেই চলে গেলো।
আমিও চলে গেলাম কাকিমার পিছু পিছু।হঠাৎ রিয়ান ভাইয়া আমার হাত ধরে টানতে টানতে রুমে নিয়ে এসে দরজা বন্দ করে দিয়রে আমাকে খাটের ওপর বসিয়ে আমার পাশে বসে কোনো কথা না বলেই আমার মাথা দু হাত দিয়ে ধরে কাছে নিয়ে ঠোঁট এ ঠোঁট ডুবিয়ে দিলেন।
হঠাৎ এমন হওয়ায় সব কীছু আমার কাছে বাসি দরকারির মতো লাগছিলো।মানে এলোমেলো লাগছিলো।
একটু পরে আমাকে ছেরে দিয়ে খোঁপা করা চুল গুলো খুলে দিয়ে চলে গেলো। আর যাওয়ার আগে বলে গেলো,চুল গুলো খোলাই থাক আর ঠোঁট এর লিপস্টিক মুঝে ফেল।নয়লে এখন যেটা হলো সেটা বার বার হবে।
আমি এখনও সে ভাবেই বসে আছি।ভাই কেনো আমার সাথে এমন করে,কখনও মেঘ তো কখনও বৃষ্টি। আবার কখনও সাত রং তো কখনও কালো রং।
একটু পরে বাহিরে চলে গেলাম।বর যাত্রী চলে এসেছে।
বাড়িতে অনেক মানুষ। খাওয়া দাওয়া শেষ এবার বিয়ে পরানো শুরু করলো।
খুব মজার ব্যপার হলো রিমি আপু খুব হাসি খুশি ভাবে কবুল বলে দিয়েছে।
আমি এক কোনে দাড়িয়ে আছি।হঠাৎ কোথা থেকে একটা ছেলে এসে আমার কোমরে হাত রেখে আমাকে বললো।
you are looking sooo hot baby.
আমি কোনো কীছু না ভেবেই ঘুরে উঠে লোক টার গালে সজোরে একটা থাপ্পর মেরে দিলাম।
স্টেজ এর সব মানুষ এখন আমাদের দিকে তাকিয়ে ভাবছে কী হলো।
কোথা থেকে রিয়ান ভাইয়া দৌড়ে এসে বললো।
কী হয়েছে রিনি?
আমি রিয়ান ভাইয়া কে দেখেই তাকে জোরিয়ে ধরে কান্না করে দিলাম।
কাকু কাকিমা এসে বললো কী হয়েছে।
আমি কাকিমাকে জোরিয়ে ধরে সব বললাম।সাথে সাথে রিয়ান ভাইয়া লোকটাকে মারতে শুরু করলো।
তখন মামু, মামি সকলে এসে রিয়ান ভাইয়া কে থামালো।
মামি, রিমি আপু সকলেই আমাকে দোষ দিচ্ছে।
রিমি আপু বললো বিড়াল এর সামনে মাঝ রাখলে সে তো নজর দেবেই।
মামি বললো আমার চরিত্রের নাকী দোষ আছে।তখনই রিয়ান ভাইয়া চিৎকার করে বললো অনেক বলে ফেলেছো মামি আর বলো না।তাহলে আমিও ভুলে যাবো তুমি আমার মামি হও।
আর হে রিমি তোকে বলছো নিজেকে বিড়াল মনে করিস ঠিক আছে।নিজের মতো আর কাউকে মনে করিস না।
বলেই আমার হাত ধরে হাটা শুরু করলো।আর কাকিমাকে বললো।আম্মু আমি রিনি কে নিয়ে বাড়ি চলে গেলাম।তোমরা আসো।
বলেই আমাকে নিয়ে চলে আসলো।
বাড়িতে এসে আমি নিজের রুমে চলে এসে কান্না করছিলাম।বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছিলো।কাকু ফোন দিয়ে বলেছে আজ আসতে পারবে না।
খুব ক্লান্ত লাগছে তাই গোসল করে রান্না করতে গেলাম।
কী রান্না করিস।
পিছনে ঘুরে দেখি রিয়ান ভাইয়া।
ছোট মাছ,আলু ভাজি আর ভাত।
ওও এখন ও মন খারাপ করে আছিস।দেখ যে যেমন সে তো অন্য দেরকেউ তেমনই ভাববে।এই সব নিয়ে আর চিন্তা করিস না।আমাকে এক কাপ কফি দিবি।
হুম।
ভাইয়াকে কফি বানিয়ে দিয়ে আমি রান্নায় মন দিলাম।ভাইয়াও আমার পাশেই দাড়িয়ে ছিলো,কারণ ভাইয়া জানে আমি বিদুৎ চমকালে ভয় পাই।আর বেশির ভাগ সময় বৃষ্টি হলে কাকু ভাইয়ার কাছে থাকে আর আমি কাকিমার কাছে কাকিমার বুকের মাঝে থাকি।
রান্না শেষ হতে হতেই ৮:৩০ বেজে গেলো।
তারপরে দুজনে খাওয়া দাওয়া করে আমি রুমে চলে আসলাম।
ভাইয়াও আমার পিছু পিছু এসে বললো।
বই নিয়ে আমার রুমে আই আমার রুমে বসে পড়বি।
আমিও আর কথা না বাড়িয়ে ভাইয়ার রুমে চলে গেলাম।
১১টার দিকে ভাইয়া কে বললাম রুমে যাবো।ভাইয়া বললো এখানেই খাটে সুয়ে পড়।
আর তুমি?
এই ঘরে তো ছোট সোফা সুতে পারবো না। আমি এখানেই বসে ঘুমাবো তুই ঘুমা।
আমি তো একা ঘুমাতে পারবো না।বৃষ্টির জন্য তাই বান্ধ্য হয়ে ভাইয়াকে বললাম।ভাইয়া তোমার খাট টা অনেক বড়। আমি এই পাশে সুয়ে পড়ছি তুমি ওই পাশে সুয়ে পড়ো।
ভাইয়া যেনো এই কথারই অপেক্ষাই ছিলো আমার বলতে যতোটা না দেরি হয়েছে ভাইয়ার খাটে এসে সুয়ে পড়তেও এতো সময় লাগেনা।
রাতে খুব জোরে জোরে বিদুৎ চমকাচ্ছে।
খুব ভয় করছে,কাকিমাকে খুব মিস করছি।এখন কাকিমা থাকলে আমি তার বুকের মাঝে চলে যেতাম।
হঠাৎ রিয়ান ভাইয়া আমাকে টেনে ওর বিকের সাথে মিশে নিলো।আমি কীছু বলতে পারছিলাম না।বরফ এর মতো চুপচাপ আছি,নিশ্বাস টাও যেনো নিতে ভুলে গেছি।
রিয়ান ভাইয়ার কথাই আমার ধ্যান ভাঙলো।
কীরে নিশ্বাস টা ফেল নয়লে তোর মৃত্যুর জন্য আব্বু আম্মু আমাকে জেলে পাঠাবে।
ভাইয়ার কথাই খুব লজ্জা পেলাম।চুপচাপ ওর বুকে থেকে সরে আসতে চাইলে ও আমাকে আরো শক্ত করে জোরিয়ে ধরে বললো।বিশ্বাস রাখতে পারিস, খারাপ কীছু করবো না।আমি জানি তুই ভয় পাচ্ছিস।আর আমি জানি তুই ভয় পেলে আম্মুর বুকের মাঝে সুয়ে থাকিস।
এখন তো আম্মু নেই।তাই না হয় আমার বুকেই সুয়ে থাক।
আমি আর কোনো কথা বললাম না।চুপচাপ ভাইয়ার বুকে সুয়ে আছি।
হঠাৎ ভাইয়া বললো।
জানিস রিনি,তোর পাশে আমি কাউকে দেখতে পারি না।তুই যখন কোনো ছেলের সাথে হাসতে হাসতে কথা বলিস তখন আমার নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হয়।
তোর মনে আছে ক্লাস 8 এ একটা ছেলে তোকে চিঠি দিয়েছিলো।ওই ছেলে যখন তোর সাথে মিশতো কথা বলতো।তখন আমার খুব কষ্ট হয়।তাই নিজের কষ্ট টা দূর করতে কীছু দিন বন্ধুর বাড়িতে চলে গেছেছিলাম।কিন্তু দুদিন থাকার পরে বুজতে পারি তোকে ছারা আমি থাকতে পারবো না।তোকে না দেখেও আমি থাকতে পারবো না।
তাই পরের দিন বাড়িতে এসে ওই ছেলেটাকে আগে এই এলাকা থেকে তারাই।তার পর থেকে তোর কাছে কাউকে আসতে দিনি।
জানিস তোর অনেক গুলো বিয়ে আসছিলো আমার কাছে।আমি তাদের বাড়ি পর্যন্ত আসতে দিনি। এই গুলোকে তুই কী বলবি আমি জানি না।তবে আমি বলবো আমি তোকে ছাড়া থাকতে পারবো না।সারা জীবন তোকে আমার পাশে চাই।
দেখ ভালোবাসার কথা কী ভাবে বলতে হয় আমি জানি না।কিন্তু আজ এতো কীছু হয়ে গেছে,যে আমার মনে হচ্ছে তোকে এখন এইসব না বললে আমি তোকে সারা জীবন এর জন্য হারিয়ে ফেলবো।
এতক্ষণ আমি ভাইয়ার কথা গুলো মন দিয়ে শুনছিলাম। হঠাৎ ভাইয়া কে বললাম তার মানে সেদিন কাকুর বন্ধু বাসাই গিয়ে তুমি বলেছো আমি তোমার বউ??
হুম।কী করবো বল, আব্বু যেমন করছিলো যেনো সেদিনই তোর বিয়ে দিয়ে দেই।
আমি আর কীছু বলতে পারছিলাম না।কেমন একটা লাগছিলো। তাই ভাইয়ার বুক থেকে সরে আসতে চাইলাম,তখন ভাইয়া আরো শক্ত করে জোরিয়ে ধরে বললো।
দেখ রিনি আমি তোকে জোর করবো না আমাকে ভালোবাসতে।কিন্তু আমি তোকে অন্য কারো হতেও দেবো না।আর আমার বুক থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা ও করিস না খুব খারাপ হবে বলে দিলাম।
আমিও আর কীছু বললাম না।মনে মনে ভাবছি আমার বান্ধবীরাও প্রেম করে ওদের কাছে শুনেছি ওদের বয়ফ্রেন্ড ওদের গোলাপ দিয়ে প্রপোজ করেছে।আর ভাইয়া এটা কী করলো।প্রপোজ করলো নাকী ওর কাছে থাকার জন্য থ্রেট দিলো।এই সব ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি রিয়ান ভাইয়া নেই।তাই উঠে আমার রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিলাম।রান্না ঘরে গিয়ে দেখি রিয়ান ভাইয়া রান্না করছে।
আমাকে দেখেই বললো।
ঘুম ভাঙলো তাহলে তোর। আচ্ছা এতো ঘুমাস কী করে বলতো।সারা রাত নাক ডেকে ঘুমালি আমাকে ঘুমাতে দিলি না।
আমি কীছু বললাম না,রাতের কথাটা মনে পরে লজ্জা করছিলো।তার মানে ভাইয়া আমাকে ভালোবাসে।
আচ্ছা ভাইয়া আমাকে ভালোবাসে,আমি কী ভাইয়াকে ভালোবাসতে পারবো?
কীরে কী এতো ভাবছিস,চল নাস্তা করি। তারপর তোকে কলেজ দিয়ে আমি অফিস এ যাবো।কীছু দিন পরেই তো তোর পরিক্ষা এখন থেকে পড়াশোনাটা ঠিক ভাবে কর।
নাহলে তো আমার বাচ্চা গুলো শিক্ষিত মা পাবে না।আর জীত ও শিক্ষিত শিশু পাবে না।
ভাইয়ার এমন কথাই আমার মাটির নিচে চলে যেতে ইচ্ছে করছে।
কলেজ এ বসে আছি।ক্লাস করতে ইচ্ছে করছে না।ক্লাস এ মনটাকে বসাতে পারছিনা।মনটা তো রিয়ান ভাইয়ার বলা কথা গুলোতে পড়ে আছে।
কীরে কী এতো ভাবছিস (নিশি আমার বান্ধবী)
কীছু নারে।
রাস্তা দিয়ে হাটছি, উদ্দেশ্য বাড়িতে যাবো।হাটতে হাটতে কখন যে রাস্তার মাঝে চলে আসছি বুজতেই পারিনি।
হঠাৎ কেউ একজন আমাকে ধাক্কা দিয়ে দূরে ফেলে দিলো,কপালে একটু কেটে গেছে।কপালে হাত দিয়ে রাস্তার দিকে তাকাতেই দেখলাম অনেক লোকের ভীর। ভীর ঠেলে
ওখানে গিয়ে দেখি রিয়ান ভাইয়া রাস্তায় পড়ে আছে মাথা দিয়ে রক্ত পড়ছে।
রি,,য়ান ভা,,ইয়া (আর কীছু বলতে পারলাম না মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম।
চোখ মিলে তাকিয়ে দেখি আমি হসপিটালের বেডে সুয়ে আছি। পাশে তাকাতেই দেখলাম রিয়ান ভাইয়া সুয়ে আছে।
ভাইয়ার মাথাই হাত দিতেই চোখ খুলে আমার দিকে তাকালো।মুচকি একটা হাসি দিয়ে বললো।
কীরে হাত, পা ভাঙ্গলো আমার আর পুরো একদিন বেডে ঘুমালি তুই।
ভাইয়ার কথাই খুব অবাক হলাম,
পুরো একদিন আমি বেহুস ছিলাম
ভাইয়াকে কীছু বলতে যাবো তার আগেই কাকিমা রুমে এসে বললো।
কীরে তোর সেন্স ভিরলো তাহলে।দুজনে তো আমাকে পাগল করে ছারবি।
তার পরে কাকিমার কাছে জানতে পারলাম রাস্তা দিয়ে হাটার সময় পিছন থেকে একটা গাড়ি এসে আমাকে ধাক্কা দিচ্ছিলো তখনই রিয়ান ভাইয়া এসে আমাকে সরিয়ে দেই আর গাড়িটার সাথে ভাইয়া বারি খেয়ে রাস্তাই পড়ে যায়।
কথাটা শুনে খুব খারাপ লাগছিলো।আমার জন্য ভাইয়ার আজ এই অবস্থা।
কাকিমা আমাদের দুজনকে খাইয়ে দিয়ে চলে গেলো আর যাওয়ার আগে বলে গেলো।একটু পরেই ভাইয়াকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে।
আমি ভাইয়ার পাশে বসে আছি।
i am sorry ভাইয়া আমার জন্য আজ তোমার এই অবস্থা।
it’s ok. কীন্তু তুই কী এমন ভাবছিলি যে রাস্তাই আমি এতো বার ডাকলাম তুই শুনলি না।আর একটু হলেই তো গাড়িটা তোকে পিসে রেখে যেতো।
কী এতো ভাবছিলো।
কী আর ভাববো তোমার কথাই ভাবছিলাম(এইরে কী বলে ফেললাম)
রিয়ান ভাইয়া দেখি মুচকি মুচকি হাসছে।
আমি চলে আসতে চাইলাম আর আমার হাত ধরে তার কাছে বসিয়ে দিয়ে আমার কোলে মাথা রেখে বললো।
কীছু দিন পরে পরিক্ষা এখন আমাকে নিয়ে ভাবতে হবে না,নিজের পরিক্ষা টা নিয়ে ভাব বুজলি।আমাকে নিয়ে ভাবার জন্য সারা জীবন পাবি।
আমি কীছু বললাম না।
হঠাৎ উনি আমার কোমর জোরিয়ে ধরে বললো একটু চুল টেনে দেতো।
আমার হাতটা আনমনেই ভাইয়ার মাথাই চলে গেছে। তাই চুল টানতে শুরু করলাম।
এমন সময় রুমে কাকিমা ঢুকে পড়লো।আসি লজ্জাই সরে আসতে চাইলে ভাইয়া আমার কোমর টা আরো জোরে ধরে বললো এতো নরাচরা করিস কেনো?
কাকিমার দিকে তাকিয়ে বললো।
আম্মু কীছু বলবে?
কাকিমা মুচকি হেসে বললো।
হুম বললো তো,এতো রোমান্স পরে করিস এখন বাড়িতে চল।
কাকিমার কথাই খুব অবাক হলাম।কাকিমা এই সব কী বলছে।তারমানে রিয়ান ভাইয়া আমাকে ভালোবাসে এটা কাকিমা জানে?
আমার ভাবনার মাঝেই কাকিমা বললো আমি তোর কাকুর সাথে চলে যাচ্ছি তুই আর রিয়ান রেডি হয়ে চলে আই বলেই চলে গেলো।
আমি রিয়ান ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।
রিয়ান ভাইয়া হয়তো আমার মনের কথা বুজতে পারেছে।তাই সে বলতে শুরু করলে।
এতো ভাবতে হবে না।তুই তো জানিস আমার জীবনে যায় হক সব কীছু আমি আম্মুকে বলি।এটাও বলেছি।আম্মু আগে থেকেই জানে আমি তোকে ভালোবাসি।আর আজ আব্বু ও জানে আম্মু বলছে।
তবে হে কেউ তোকে জোর করবে না আমাকে বিয়ে করার জন্য।(একটু ভাব নিয়ে)আর আমি জানি জোর করতেও হবে না তুই নিজেই আমাকে বিয়ে করতে চাইবি আর ভালোও বাসবি।আমার মতো সুন্দর একটা ছেলেকে ভালো না বেসে পারা যায় বল।
আমি কীছুই বলতে পারছি না।কী বা বলবো।
তার পরে বাসাই চলে আসলাম।
বাড়িতে আসার পরে আর এক অত্যাচার শুরু হলো।সেটা হলো রিয়ান শুরু কাকু কাকিমাকে বলে দিয়েছে সে যতো দিন না সুস্থ হবে ততো দিন তার কাছে আমাকে থাকতে হবে।
তার সব সেবা আমাকেই করতে হবে।কারণ জানতে চাইলে বলেছে আমার জন্যই তার এই অবস্থা তাই।
কাকিমা অনেক বার মানা করেছে কারণ আমরা দুজনেই বড় হয়েছি।বিয়ে ছাড়া এক ঘরে কী ভাবে থাকবো।
তখন রিয়ান ভাইয়া বললো।
ওকে থাকতে হবে না তবে একটা শর্ত আছে।
তার কথা শুনে আমি, কাকিমা,কাকু প্রশ্ন সূচক মুখ নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছি।
একটু পরে ভাইয়া বললো আমার শর্ত হলো যতো দিন না রিনি আমাকে ভালোবেসে বিয়ে করবে ততো দিন আব্বু ও আম্মুর কাছে থাকতে পারবে না,আমার সাথে থাকতে হবে।
তোমরা রাজি থাকলে এক চাপো নয়লে দুই চাপো।
এমন কথা শুনে আমি আর নিজের হাসি দমনিয়ে রাখতে পারিনি। খিল খিল করে হেসে উঠেছি।
একটু পরে হাসি থামিয়ে আসে পাশে দাকিয়ে দেখি কাকিমা আর কাকু আমার দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে।
তাদের মুখ টা টমেটোর মতো হয়ে গেছে।সেটা দেখে আমি আবার ও হেসে উঠলাম।
কাকু অসহায় ভাবে রিয়ান ভাইয়া কে বললো।বাপরে বাপের সাথে কী কেউ এমন করে বল।এমন করিস না।
ওকে বাবা করবো না,রিনির কে বলো আমাকে ভালোবেসে বিয়ে করতে, ও আমাকে বিয়ে করলেই আমি তোমাদের ঘর ফুল দিয়ে সাজিয়ে দেবো কথা দিলাম।
এবার যেনো কাকু একটু লজ্জা পেলো।আর আমি হাসতে হাসতে রুমে চলে আসলাম।
দুদিন হয়ে গেলো,কাকু রিয়ান ভাইয়ার সাথে থাকে আর আমি কাকিমার সাথে।কাকু না পারছে আমাকে কীছু বলতে না পারছে কাকিমার কাছে আসতে।
কলেজ শেষ করে বাড়িতে আসছিলাম।রিয়ান ভাইয়া কোথা থেকে এসে আমাকে টেনে গাড়িতে বসিয়ে সীট বেল্ট লাগিয়ে দিয়ে গাড়ি চালাতে শুরু করলো।
ভাইয়া আমরা কোথাই যাচ্ছি?
,
ভাইয়া আমি তোমাকে কীছু বলেছি,আমরা কোথাই যাচ্ছি?
বলবো যদি তুই আমার কথা রাখিস।
কী কথা?
আজ থেকে আর আমাকে ভাইয়া ভাইয়া করবি না।আমার নাম ধরে ডাকবি।
কী,,,,, তোমার মাথা ঠিক আছে। তুমি আমার এতো বড় আর আমি কী না তোমাকে নাম ধরে ডাকবো।
আচ্ছা রিনি আমার জন্য কী তোর মনে একটুও জায়গা নেই।
হঠাৎ ভাইয়ার এমন প্রশ্নে আমব চুপ মেরে গেলাম।কী বলবো জানি না।তবে এই কই দিনে এটা বুঝে গেছি রিয়ান ভাইয়া কাছে কাছে থাকতে আমার ও ভালো লাগে।তার আমার প্রতি ভালোবাসাটা আমার জন্য ভালো লাগা হয়ে দাড়িয়েছে।তবে এই ভালো লাগাটা ভালোবাসাই পরিপূর্ণ হবে কী না জানি না।
আমার ভাবনার মাঝেই হঠাৎ গাড়ি থেমে গেলো।তাকিয়ে দেখি।
চলবে””