অবুঝ ভালোবাসা,part:7

0
13298

অবুঝ ভালোবাসা,part:7
writer:ঝরা পাতা(খাদিজা)

?
গাড়িটা এসে একটা পার্কে থামলো।
আমাকে নামতে বলে রিয়ান ভাইয়া ও গাড়ি থেকে নেমে গেলো।
আমি আর ভাইয়া নদীর কিনারাই পাশা পাশি বসে আছি।হঠাৎ কোথা থেকে একটা মেয়ে এসে বললো।
হাই রিয়ান।
আমি আর ভাইয়া পিছন দিকে তাকালাম।
ভাইয়া মেয়ে টিকে দেখে বললো।
ও হাই তিথি,এসো বসো।
হুম তো রিয়ান কেমন আছো?
এই তো ভালো তুমি।
ভালো।তো রিয়ান ওই পিচ্চি মেয়েটা কে?[আমার দিকে তাকিয়ে]
ও হলো আমার চাচাতো বোন রিনি।আর রিনি ও হলো তিথি। আম্মুর বান্ধবীর মেয়ে।
আম্মু তিথির সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছে,সামনের মাসের ১৫ তারিখে।

ভাইয়ার এমন কথা বলবে আমি কল্পনাতেও ভাবিনি।কখন যে চোখ থেকে পানি গড়িয়ে গালে পড়েছে বুজতেই পারিনি।

কীরে তোর আবার কী হলো কান্না করছিস কেনো?

কই কীছু না ভাইয়া,ওই তো চোখে মনে হয় কীছু পড়েছে।বলেই চোখের পানি মুঝে নিলাম।
মুখে একটু হাসির রেখা টেনে বললাম।
আচ্ছা ভাইয়া তোমরা কথা বলো আমি বাড়ি চলে যায়। ওদের আর কীছু বলার সুযোগ না দিয়ে চলে আসলাম।
বাড়িতে এসে রুমের দরজা বন্দ করে দিয়ে অনেক কাদলাম।
কেনো এমন খারাপ লাগছে আমার কীছুই বুজতে পারছি না।আমি তো ভাইয়াকে ভালোবাসি না।তাহলে ভাইয়ার বিয়ের কথা সুনে আমার এতো খারাপ লাগছে কেনো?
এভাবেই দিন কাটছিলো।কাল থেকে আমার পরিক্ষা শুরু।কাকিমা ভাইয়াকে বললো আমাকে কলেজ এ দিয়ে আসতে ভাইয়া সটান না বলে দিলো।
বললো এখন নাকী তিথির সাথে দেখা করতে যাবে তাই আমার সাথে যেতে পারবে না।অথচ কাল সারা রাত আমাকে পড়াইছে।
ভাইয়া আমাকে না নিয়েই চলে গেলো।
কাকু আমাকে কলেজ এ পৌঁছে দিলো।
এভাবেই আমার পরিক্ষা গুলো শেষ হয়ে গেলো।
প্রতি রাত ভাইয়া আমার সামনে বসে থাকতো আমার পড়া দেখতো। আর সকাল হলেই উধাও হয়ে যেতো।পরশু ভাইয়ার বিয়ে।
আজ সকলে মিলে মার্কেট করতে এসেছি।তিথি আপুও এসেছে।
ভাইয়া আর আপু খু হাসা হাসি করে কেনা কাটা করছে।ওদের দেখে যেনো আমার কষ্ট দিগুন বেড়ে গেলো।
কাকিমা আমাকে বললো জামা নিতে কিন্তু আমার কীছুই ভালো লাগছে না তাই কীছুই কিনি নাই।

আজ ভাইয়ার গায়ে হলুদ কাকিমা আমাকেও জোর করে হলুদ শাড়ি পড়িয়ে দিয়েছে। সকলেই ভাইয়াকে হলুদ দিয়ে দিলো। নিজেকে আর সামলাতে পারছি না।খুব কষ্ট হচ্ছে।আজ বার বার মনে হচ্ছে।ভালোবাসা পেয়েও হারিয়ে ফেললাম।কান্না করতে করতে রুমে চলে আসলাম। রাতে আর ঘর থেকে বের হয়নি।

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হতে গিয়ে আয়নাতে দেখতে পেলাম।আমার গালে হলুদ লাগানো।আর কোমরের এক সাইডে মেহেদি দিয়ে লেখা i love u. এমন টা কে করতে পারে ভাবতে ভাবতে ফ্রেস হয়ে বাহিরে চলে এলাম।সকলেই বিয়ের কাজে ব্যস্ত।আজ ওদের মনে কতো আনন্দ। আর আমার মনে ১০বালতি বেতনা।রিয়ান ভাইয়াও কতো খুশি।কিন্তু একদিন ভাইয়া নিজেই বলেছিলো।আমাকেই বিয়ে করবে। আর যখন আমি তাকে ভালোবাসবো তখন আমাকে বিয়ে করবে।
অথচ আজ আমি আমার সব টা দিয়ে তাকে ভালোবাসতে চাইছি,আর আজ উনি আমার মনটাকে ভেঙ্গে দিয়ে স্বার্থপরের মতো তিথি আপুকে বিয়ে করছে।
আমি আর কীছুই ভাবতে পারছিলাম না সকলের মাঝেই কাকিমাকে জোরিয়ে ধরে জোরে জোরে কান্না করছিলাম

চলবে”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here