?#The_Hate_story? ?#Madness_Love?,10,11

0
1829

?#The_Hate_story?
?#Madness_Love?,10,11
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_10

ফোন রেখে শবনম গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেল।

In Cafeteria,,,,

সূর্য শবনমের ফেভারিট ব্লু কালার শার্ট, হোয়াইট পেন্ট, চুল গুলো স্পাইক করে স্টাইল করে ক্যাফে তে বসে অপেক্ষা করছে।

সূর্যঃ উফফ সেই কখন থেকে ওয়েইট করছি আর শবনমের আসার কোন খবরই নেই। But have to say আজ শবনম আমাকে দেখে চোখ ফেরাতে পারবে না। ??

শবনম গাড়ি পার্ক করে ক্যাফে তে ঢুকতেই দেখে সূর্য ফোনের গ্লাসে দেখে নিজের চুল ঠিক করছে।

শবনমঃ এই জোকারটা কখনো বদলাবে না। ? সূর্য হয়তো তুমি ভুলে গেছো আমার প্রিয় রঙে আমি শুধু আযানকে পছন্দ করি অন্য কাওকে না। ??

শবনমকে দেখেই সূর্য দাড়িয়ে গেল। শবনম এগিয়ে গিয়ে সূর্যের সামনে গেল।

শবনমঃ Hi Shurjo (জোর করে হাসার চেষ্টা করে)

সূর্যঃ Hii ?? You are like always adorable ??

শবনমঃ হুম আর তোকে as always জোকারের মতো লাগছে। উগান্ডার অধিবাসী কোথাকার ?(মনে মনে)

Thanks ??

সূর্যঃ সিট (চেয়ার এগিয়ে দিয়ে)

শবনম আর সূর্য পাশাপাশি বসলো।

সূর্য ওয়েটার কে ডেকে দুটো কফি অর্ডার করে।

সূর্য খেয়াল করলো শবনম আজ আগের মতো স্মাইল করছে কথা বলছে। ওর কাছে ব্যপারটা কেমন যেন খটকা লাগছে।

সূর্যঃ অনেক দিন পরে তোমাকে এতো খুশি দেখলাম শবনম এ খুশির কারন কি আধার রেজওয়ান?? ( সন্দেহের চোখে তাকিয়ে)

সূর্যের প্রশ্নে শবনম কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পরে।

শবনমঃ আমি এখনো সিওর না যে আধার আর আযান এক তাই এই ব্যপারটা এখন রিভিল করা দরকার নেই (মনে মনে)

তুমি ভূল ভাবছো সূর্য। আধার আযান না ও অন্য কেউ। আযান আর আমাদের মাঝে নেই এটা আমি এক্সেপ্ট করে ফেলেছি তাই নিজেকে আর কষ্ট না দিয়ে আবার নতুন করে জীবন শুরু করছি। এই টুকুই অন্য কিছু না।??

সূর্যঃ ওহ ( That’s good Shabnam. আযানকে যত দ্রুত ভুলবে আমি তত দ্রুত তোমার মনে নিজের জায়গা তৈরি করতে পারবো। ?)মনে মনে।

কথার মাঝেই ওয়েটার এসে ওদের টেবিলে কফি দিয়ে যায়।

শবনম লুকিয়ে নিজের ব্যাগে হাত দিয়ে একটা ছোট শিশি বের করলো।

সূর্য কফি মগে চুমুক দিতে যাবে তখনই শবনম ওর ব্যাগটা নিচে ফেলে দেয় আর ব্যাগের সব জিনিস নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। শবনম তোলার জন্য নিচে ঝুকতেই সূর্য নিজের কফি মগ হাত থেকে নামিয়ে বলে,,,

সূর্যঃ শবনম আমি তুলে দিচ্ছি তোমার কষ্ট করতে হবে না। বলে নিচে বসে সব তুলতে লাগলো। শবনম এই সুযোগে হাতের শিশিটার পুরোটা সূর্যের কফিতে ঢেলে দেয়।

সূর্য ব্যাগটা শবনমের পাশে রেখে উঠে বসে।

সূর্যঃ শবনম আমি ভাবছি আজকে আমরা একসাথে লাঞ্চ করবো দেন লং ড্রাইভে যাবো আর একসাথে টাইম স্পেন্ড করবো। আইডিয়া টা কেমন। (কফিতে চুমুক দিতে দিতে)

শবনমঃ হ্যাঁ হ্যাঁ আজকে সারাদিন আমরা একসাথে টাইম স্পেন্ড করবো। ??

(তুই সারাদিন টাইম স্পেন্ড করার অবস্থায় থাকলে তো। আগে আগে দেখো হোতা হে কেয়া ?)

শবনম কফি মগে ঠোঁটে ঠেকিয়ে কথা গুলো ভাবছে আর মুচকি মুচকি হাসছে।

সূর্য কিছু বলতে যাবে তার আগেই পেটের ভিতরে আনইজি ফিল করলো।

সূর্যঃ আব শবনম তুমি বসো আমি 5 মিনিটে আসছি। বলে ওখান থেকে চলে গেলো।

শবনমঃ এখনতো জাস্ট শুরু আরো কত 5 মিনিট লাগবে হিসাব নেই। ??

সূর্য এসে আবার চেয়ারে বসলো।

সূর্যঃ আম স্যরি শবনম বলছিলাম যে,,,,

(ওহ গড আজকে এমন হচ্ছে কেন?? মান সম্মান সব প্লাস্টিক হয়ে যাচ্ছে)

Just wait 5 minutes I’ll be back (বলেই দৌড়)

এমন করতে করতে চার পাঁচ বার সূর্য ওয়শরুমে আসাযাওয়া করলো।

শবনমঃ সূর্য তুমি ঠিক আছো। আজকে আমরা একসাথে লাঞ্চ করবো দেন লং ড্রাইভে যাবো আর একসাথে টাইম স্পেন্ড করবো চলো সূর্যের হাত ধরে টান দিয়ে ??

সূর্যের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পরলো। এমনেই বেচারার অবস্থা নাজেহাল। এসেছিলো নায়ক সেজে আর এখন অবস্থা পুরো পাগলের মতো হয়ে গেছে।

সূর্যঃ আ আজ না অন্য একদিন। এখন আমার ইম্পর্টেন্ট একটা কাজ করতে যেতে হবে। তুমি বাড়ি চলে যাও প্লিজ ??

শবনমঃ না না না আমরা আজকে একসাথে টাইম স্পেন্ড করবোই at any cost. (জেদ করে)

সূর্যঃ Oh God please help me out এটা আবার কেমন মুসিবত। এখানে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে আর ও জেদ করছে। ??
আর সময় হাজার বলেও আমার সাথে কোথাও যেতো না আর আজকে চাঁদ সূর্য গ্রহ নক্ষত্র কোন দিকে উঠলো। ( মনে মনে)

দেখ শবনম বোঝার চেষ্টা করো প্লিজ। তুমি যেদিন বলবা আমরা সেদিন ঘুরতে বের হবো কিন্তু আজ নয় প্লিজ।

শবনম কিছু বলতে যাবে তার আগেই সূর্য ওয়াশরুমের দিকে দৌড় দিলো।

শবনমঃ আহারে বেচারা জীবনকার মতো কফি খাওয়ার শখ মিটে গেছে হ্হ আসছিলো আমাকে লাঞ্চ করাবে লং ড্রাইভে নিয়ে যাবে। (হাসতে হাসতে)

এইদিকে,,,,

আধার এক আঙ্গুল গালে ঠেকিয়ে দুই আঙ্গুল দিয়ে কপাল ঘষছে আর ভাবছে,,,

আধারঃ হঠাৎ শবনমের এমন পরিবর্তন আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি ওকে ভালো করে চিনি। ওর মাথায় নিশ্চয়ই কোন শয়তানি বুদ্ধি ঘুরছে। কারন যখনই ওর মাথায় কোন দুষ্টু বুদ্ধি চাপে ও এমন উল্টা পাল্টা কথা বলে আর এরকম আজগুবি কাজ করে । ওর এই কাজ সবসময় ওর জন্য বিপদ নিয়ে আসে। আল্লাহ মালুম ওর মাথায় কি চলছে।

সূর্য ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে ক্লান্ত হয়ে নিজের চেয়ারে বসলো। এখন একটু ব্যাটার ফিল করছে ও।

যে ওয়েটারটি কফি দিয়ে গিয়েছিলো তাকে ডাক পাঠালো সূর্য।

ওয়েটারঃ স্যার ডেকেছেন??

সূর্য দাড়িয়ে ওয়েটারটিকে মারতে মারতে জিজ্ঞেস করছে,,,,

সূর্যঃ কি মিশিয়ে ছিলি আমার কফিতে হ্যাঁ। কার কথায় এমন করেছিস speak up you bloody idiot. ?? (মারতে মারতে)

ওয়েটারঃ স্যার আমি কিছু করি নি বিশ্বাস করেন।

অনেক লোকেরা মিলে সূর্যকে থামলো।

সূর্যঃ আমি এই কফি হাউস বরবাদ করে দিবো just mind it ??

সূর্য যেতে নেয় তখনই হঠাৎ ওর পায়ের সাথে শিশিটা বাড়ি খায়। সূর্য শিশিটাকে তুলে হাতে নিয়ে ভালো ভাবে দেখলো।

সূর্যঃ শবনম তুমি এটা ঠিক করলে না You have to pay for this. (শিশিটাকে মুঠোয় করে) ??

শবনম ক্যাফে থেকে সোজা অফিসে গিয়েছিলো। কাজ একটু বেশী থাকায় শবনমের বেরোতে রাত হয়ে যায়।

শবনম ড্রাইভ করছে আর সূর্যের অবস্থার কথা ভেবে হেসে কুটি কুটি হচ্ছে।

শবনমঃ OMG আজকে অনেক দিন পর কারো ব্যান্ড বাজালাম। Feeling chillex ??( মানে চিল প্লাস রিলেক্স হয়ে গেলো চিলেক্স ??)

কিন্তু আজকে হয়তো বাড়াবাড়ি করে ফেললাম এমনটা না করলেও পারতাম। সূর্য তো জাস্ট একটু টাইম স্পেন্ড করতে চেয়েছিলো আমার সাথে। কিন্তু ওর ও তো বুঝা দরকার that I don’t love him আমি ওর সাথে কমফোরটেবল ফিল করি না আমি শুধু আযানকে ভালোবাসি।

হঠাৎ শবনমের গাড়ি মাঝ রাস্তায় থেমে যায়।

শবনমঃ এর আবার গাড়ির কি হলো ??

শবনম গাড়ি থেকে নেমে দেখে গাড়ির টায়ার পাঞ্চার হয়ে গেছে।

শবনম আশেপাশে তাকিয়ে দেখে রাস্তার দুপাশে জঙ্গল চারপাশে ঘুটঘুটে অন্ধকার যানবাহনের কোন চিহ্ন ফোঁটাও নেই।
শবনম ভয়ে কয়েকটা ঢোক গিললো।

শবনমঃ এটাকেই বলে যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত হয়। ?? এই খাটারা টা নষ্ট হওয়ার সময় পেলো না। ( গাড়ির টায়ারে লাথি মেরে )

লাথি মারার কারনে গাড়ি কিছু না হলেও শবনম ওর পায়ে ব্যাথা পায় আর নিজের পা তুলে লাফাতে থাকে।

শবনমঃ এটাকেই বলে যেমন কর্ম তেমন ফল। আমি সূর্যের সাথে এমন করছি এর ফল স্বরূপ আল্লাহ আমাকে শাস্তি দিচ্ছে। ??

এখানে ভূত টুত নেই তো। আমি শুনেছি জঙ্গলে নাকি আজকাল অনেক ভ্যাম্পায়ার থাকে।??
আমার রক্ত শুকতে শুকতে যদি চলে আসে ?? এখন আমার কিইই হবে ?শেষ মেষ একটা ভ্যাম্পায়ার এর খাবার হবো আমি ??

শবনম জঙ্গলের মধ্য থেকে কিছুর আওয়াজ পেয়ে ফোনের ফ্লাশ জ্বালিয়ে ওই দিকে যায়। শবনম গাছের পিছনে একটা শেয়াল দেখে ওর হাত থেকে ফোন পরে যায় আর সাথে সাথে ভয়ে একটা দৌড় দিয়ে শবনম রাস্তার মাঝখানে চলে আসে। হঠাৎ একটা গাড়ি ফুল স্পীডে ওর দিকে আসে শবনম ভয়ে নিজের চোখ খিঁচে বন্ধ করে ফেলে।

To be continued……

?#The_Hate_Story?
?#Madness_Love?
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_11

গাড়িটা হাই স্পীডে শবনমের কাছে আসতেই ও চোখ খিঁচে বন্ধ করে দুই হাত দিয়ে জামা শক্ত করে মুঠো করে ফেলে।

গাড়িটা ঠিক শবনমের সামনে এসে জোরে ব্রেক করলো। আর একটুর জন্য শবনমের শরীরের সাথে লাগে নি গাড়িটা।

শবনম হাল্কা হাল্কা চোখ খুলে দেখে গাড়িটি থেমে আছে। আর ওর দুই থেকে তিন ইঞ্চি দূরত্বে আছে গাড়িটা।

শবনমঃ Thank you Allah. একটুর জন্য বেঁচে গেলাম নাহলে আজ আমার ইন্না লিল্লাহ হয়ে যেতো। তারপর আমার আযান অন্য একটা ডায়েন চুরেলকে বিয়ে করে সংসার করতো।ওদের ডায়েল চুরেলকে ছেলে মেয়ে হতো? তখন আমার কিইই হতো?? আমি এসব কি ভাবছি নাঊজুবিল্লাহ( মনে মনে)

গাড়ির দরজা খোলার আওয়াজে শবনমের ধ্যান ভাঙ্গে। শবনম সামনে তাকিয়ে দেখে একজন গাড়ি থেকে নামছে। লোকটিকে দেখে শবনম 440 ভোল্টের শক্ড খায়।

লোকটি আর কেউ নয় বরং আধার। ওর চোখ অসম্ভব রকম লাল হয়ে আছে। ঘেমে একাকার হয়ে গেছে আধারের শরীর।আধার কতটা ভয় পেয়েছে তা ওর চেহারায় বুঝা যায়। আধারকে দেখে শবনম অনেক ভয় পেয়ে যায় অটোমেটিকলি ওর এক হাত নিজের গালে চলে যায়।

শবনম নিজের অজান্তেই চোখ বন্ধ করে ওদের অতীতে ডুব দেয়।

In Past,,,,,

আযান নিজের গাড়িতে বসে গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে,,,, হঠাৎ আযানের মনে পরলো ও একটা ফাইল রুমে রেখে এসেছে।

আযানঃ ওহ নো ফাইল গুলো তো রুমেই রেখে আসলাম ও গুলো নিয়ে আসি আগে।

বলে আযান গাড়ি খোলা রেখেই বাড়ির ভিতরে চলে গেলো।

শবনম কলেজ থেকে বকবক করতে করতে বাড়িতে ঢুকছে,,,,

শবনমঃ প্রতিদিনই কি ড্রাইভার পাঠানো লাগে।?আমি বাচ্চা না এখন এডাল্ট হয়ে গেছি। অথচ কেউ আমাকে গাড়ি ড্রাইভ করতে দেয় না। আরে আমি কতোবার বলেছি যে আমি ড্রাইভ করতে পারবো কিন্তু আযান আর আম্মু always possessive গিরি করে। I know আমার কাছে এখন লাইসেন্স নেই কিন্তু তারমানে এটা না যে সবাই আমাকে বাচ্চাদের মতো ট্রিট করবে।??

একবার শুধু একটা চান্স পাই দেন সবাইকে দেখিয়ে দেবো যে আমিও গাড়ি চালাতে পারি তাও ব্যাটার।??

হঠাৎ শবনমের চোখ আযানের গাড়ির দিকে আটকে যায়। গাড়ির দরজা খোলা। শবনম সামনে এগিয়ে গাড়ির ভিতরে উকি মেরে দেখে ভিতরে চাবি লাগানো।

শবনম পারেনা খুশিতে ওখানেই লুঙ্গি ডান্স দেয়।

শবনমঃ এটাতো সোনেপে সোহাগা হয়ে গেল। গাড়ির মালিক নেই কিন্তু গাড়িতে চাবি ফিট করা। এখন আর কোন টেনশন নেই। নাও নো টেনশন ডু ফুর্তি ??

আমি এখন এই গাড়ি নিয়েই বের হবো আর সবাইকে দেখিয়ে দেবো Shabnam can do anything ??(নিজের নাক ঘষে)

শবনম আর সাত পাঁচ না ভেবেই গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বেড়িয়ে যায়।

আধার বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখে শবনম গাড়ি ড্রাইভ করে কোথাও যাচ্ছে।

আযান দৌড়ে এসে শবনমকে পিছন থেকে ডাকতে থাকে। কিন্তু শবনম ওর ডাক না শুনেই বেরিয়ে যায়।

আযানঃ ওহ নো শবনম তো ড্রাইভিং জানে না ও গাড়ি এক্সিডেন্ট করে ফেলে তাই ওকে লাইসেন্স ও দেওয়া হয় নি। ওর যদি কোন ক্ষতি হয়ে যায়। তোমার এই বাচ্চামোর কারনে সবসময় তুমি বিপদে পরো শবনম। তোমার কিছু হলে আমি কি করে বাঁচবো। সব আমার দোষ আমার। (এক হাত দিয়ে নিজের চুল টানতে টানতে)

I have to do something,,,, বলে অন্য গাড়ি নিয়ে শবনমের পিছনে গেলো।

শবনম মনের আনন্দে ড্রাইভ করছে। ঠিক মতো ড্রাইভ করতে পারছে না যার কারনে গাড়ি হেলে দুলে যাচ্ছে। শবনম লুকিং গ্লাসে তাকিয়ে দেখে আযান ওর পিছু পিছু আসছে।

শবনমঃ Not again…. এবার আমি থামবো না,,,না মানে না। (বলে আরো জোরে ড্রাইভ করা শুরু করে দিল।)

আযানঃ আজ তোমার এটদিন কি আমার (বলে ও ও জোরে ড্রাইভ শুরু করল)

আযান নিজের গাড়ি শবনমের গাড়ির পাশাপাশি চালাচ্ছে।

আযানঃ শবনম গাড়ি থামাও I said stop the caarrr (রেগে ধমক দিয়ে)

শবনম ভয়ে গাড়ি থামাতে গিয়েও থেমে যায়।

আযানঃ কি হলো গাড়ি থামাও???

শবনমঃ গাড়ি কিভাবে থামায় ভুলে গেছি ( কাদোকাদো ফেস করে আযানের দিকে তাকিয়ে)

আযান স্টেয়ারিংয়ে নিজের মাথা তিন চারটা বারি মারলো।

আযানঃ কোন পাগল ছাগলের প্রেমে পরলাম আল্লাহ। ইচ্ছা করছে কচু গাছের সাথে ফাঁসি দিয়ে মরে যাই।??

শবনমঃ কিইইই এতো বড় কথা ??আমি পাগল ছাগল। এক বার গাড়িটা থামাই তারপর তোমাকে মজা বুঝাবো তুমি কার প্রেমে পরেছো।?? (মনে মনে)

এতক্ষন ভালো লাগলেও শবনমের এখন ভয় করছে। কারন ও গাড়ি কন্ট্রোল করতে পারছে না ফলে গাড়িটা হেলে দুলে কিনারে চলে যাচ্ছে।

শবনমঃ আযান পরে ইচ্ছে মতো বকো এখন গাড়ি থামাতে হেল্প করো প্লিজ আমার ভয় করছে ??

আযানঃ শবনম ডোন্ট ক্রাই প্লীজ। তুমি জানো আমি তোমার কান্না সহ্য করতে পারি না। বিশ্বাস করো আমি তোমাকে কিচ্ছু হতে দিবো না প্রমিস।

তুমি চাবি ঘুরাও দেন ব্রেক এ চাপ দাও।

শবনমঃ ওকে (নাক টানতে টানতে)

শবনম চাবি ঘুরাতে গিয়ে ওটা নিচে ফেলে দেয়।

শবনম একটা ঢোক গিলে আযানের দিকে তাকিয়ে ভয়ে ভয়ে বলল,,,,

শবনমঃ আযু, জান, বেবি, পাখি??

আযানঃ Don’t tell me তুমি আবার কোন ঘাপলা করেছো। (দাঁতে দাঁত চেপে)

শবনমঃ চাবি নিচে পরে গেছে এখন খুঁজে পাচ্ছি না ??

আযান এবার স্টেয়ারিংয়ে জোরে জোরে নিজের মাথা বারি দিলো।

আযানঃ আল্লাহ দড়ি ফালাও আমি উঠে যাই?।যখন আল্লাহ জ্ঞান বুদ্ধি বিতরণ করছিলো তুমি কি শপিং করতে গিয়েছিলে(দাতেঁ দাঁত চেপে)

শবনমঃ কিইইই আল্লাহ জ্ঞান বুদ্ধি ও বিতরণ করেছে। আমি তো জানতামই না কেউ আমাকে বলে নি এজন্যই তো বলে দুনিয়ার সবাই স্বার্থপর এ্যা এ্যা এখন আমি কি করবো। ( ন্যাকা কান্না করতে করতে)

আযানঃ Justtttt stop itttt (রেগে চিৎকার করে)

আযানের চিৎকারে শবনম ভয়ে কেপে উঠে আর ওর পা ব্রেকে লেগে গাড়ি থেমে যায়।

‌শবনমের গাড়ি থেমে গেছে দেখে আযানও ওর গাড়ি থামিয়ে দেয়। আযানের গাড়ি শবনমের গাড়ির থেকে কিছুটা দূরে থামে।

গাড়ি থামাতে শবনম অবাক হয়ে যায়।

শবনমঃ What a miracle. আমি গাড়ি থামিয়ে দিয়েছি I’m so brilliant…. I’m very proud of mee ( নিজেকে সাবাশ দিতে দিতে)

আযান নিজের গাড়ি থেকে নেমে Full angry mood নিয়ে শবনমের গাড়ির সামনে এসে দরজা খুলে ওকে টেনে বের করে গালে স্বজোরে চর বসিয়ে দেয়।

শবনম গালে হাত দিয়ে ছলছল চোখে আযানের দিকে তাকিয়ে আছে,,,,

আযানঃ অনেক ভালো লাগে তাই না। আমাকে কষ্ট দিতে আমাকে ভয় দেখাতে। Do you have any idea আমার কি অবস্থা হচ্ছিল। ভয়ে জান বেরিয়ে যাচ্ছিলো। এমন লাগছিলো যে তোমাকে হারিয়ে ফেলবো। আমার অপরাধ কি হ্যাঁ তোমাকে ভালোবাসি এটাই। একদিন এতো দুরে চলে যাবো কখনো খুঁজেও পাবে না। (শবনমের দু কাধ ঝাকিয়ে বলছে)

কথা গুলো বলে শবনমকে ছেড়ে দুরে গিয়ে দাঁড়ালো। চোখের পানি মুছে নিজেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে আযান।

আযানের বলা শেষের কথা শবনমের বুকে গিয়ে বিধলো। আর যাই হোক আযানকে ছাড়া ও নিজের অস্তিত্ব কল্পনাও করতে পারে না।

শবনম আযানের কাছে গিয়ে ওকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলতে শুরু করে,,,,,

শবনমঃ I’m sorry Aazan. আর কখনো এমন করবো না প্রমিস। তুমি যা বলবে তাই করবো যেভাবে বলবে সেভাবে চলবো। প্লিজ আমাকে ছেড়ে কখনো কোথাও যেও না। (কান্না করতে করতে)

আযান শবনমকে সামনে এনে জড়িয়ে ধরে বলল,,

আযানঃ কখনো যাবো না তোমাকে ছেড়ে। আর যদি যাইও আবার ফিরে আসবো তোমার কাছে কারন

#আমার_প্রথম_ও_শেষ_ঠিকানা_শুধু_তুমি।

তাই চাইলেও দুরে থাকতে পারবো না তোমার থেকে। এক আল্লাহ ছাড়া আমাকে তোমার কাছ থেকে কোনো শক্তিই আলাদা করতে পারবে না।

বর্তমানে,,,,,

কেউ জড়িয়ে ধরায় শবনমের ঘোর কেটে যায়। শবনম চোখ খুলে অবাক হয়ে যায়। ও ভেবেছিলো আধার ওকে থাপ্পড় দিবে। কিন্তু ওকে অবাক করে দিয়ে আধার ওকে জড়িয়ে ধরে।

To be continued……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here