Drama_Queen_VS_Mr_Handsome,Part_15,16
Writer_Neela
Part_15
.
.
নীল খেয়েই তার চোখ মুখে খুশির আভা। নীলা দেখে চমকে গেলো।
।
নীল: ওয়াও ? হুয়াট আ কুয়ান্সিডেন্স নীলা আমি তোমাকে সেই কখন থেকে বোঝাতে চাইছিলাম আই ডোন্ট লাইক মিষ্টি কিন্তু তুমি শুনতে চাইছিলে তাই ভাবলাম তুমি যেহেতু কষ্ট করে বানিয়েছো একটু খাই। তুমি কিভাবে জানো ঝাল আমার ফেভারিট ? উমমম সিরিয়াসলি অওসাম।
।
নীলা: আপনার পছন্দ হয়েছে আমি জানতাম আপনার পছন্দ হবে আসলে পিঠা দেখতে এক রকম তো আমি আপনার টা ভুলে ঈশান ভাইয়া কে দিয়ে দিয়েছিলাম। ধন্যবাদ ঈশান ভাইয়া।
।
ঈশান: বাহ আপনি তো খুব সুন্দর করে ভাইয়া ডাকেন।
।
নীলা: জি আমি জানি।
।
নীল: হুম তোমার ভাইয়া ডাক টা আসলেই সুন্দর আমাকেও ডেকো আমাকে ভাইয়া ডাকার মতো কেউ নেই আমার ই সবাইকে ভাইয়া ডাকতে হয়?
।
নীলা ভ্রু কুঁচকে রাগি চোখে নীলের দিকে তাকালো নীল আস্তে আস্তে ফু দিয়ে খুব মজা করে পিঠা খাচ্ছে। নীলা নীলের হাত থেকে পিঠার প্রিজ নিয়ে নিলো আর দাঁত কামড়ে বললো___
।
নীলা: জি আপনাকে তো ভাইয়া ডাকবোই। আর এই পিঠা আমি নিয়ে গেলাম।
।
নীল: কেনো?আজব
।
নীলা: আমি আপনার মতো ভাইয়াদের নিজ হাতে রান্না করে কিছু খাওয়াই না।
।
নীলা রাগে ভেংচি কেটে চলে গেলো নীল এখনো বুঝতে পারছে না এই মেয়ের আবার কি হলো।
।।
।
ঈশান: এই চান্দ কা রশান চেহেরা জুলফু কে রাঙ সুনেরা তারিফ কারু কিয়া উসকি জিসনেএএ উসে বানায়া ?
।
নীল: কি হয়েছে এইভাবে লাফাচ্ছিস কেনো?
।
ঈশান: ভাবতিছি মেঘ ভাইয়ার সাথে সাথে বিয়ে টা আমিও করে ফেলবো।
।
নীল: বাহ খুশির খবর তো। তো কবে করছিস।
।
ঈশান: যেদিন তোর ভাবি কে খুঁজে পাবো।
।
নীল: হেল্প লাগলে বলিস আমিও খুঁজে দিবো নি।
।
ঈশান বুকের বা পাশে হাত দিয়ে সোফায় ধুম করে শুয়ে পরলো আর বললো ___ হায়য়য়
।
নীল: পাগল হয়ে গেছিস। তুই এমন কর আমি যাই।
।
ঈশান: এই কই যাস?
।
নীল:দিদার কাছে।
।
নীল এই বলেই দাদির কাছে চলে গেলো। নীল দাদির রুমে যেয়ে দেখলো ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে নাইট ক্রিম লাগাচ্ছে তারপর লিপস্টিক লাগালো নীল দেখে হেসে দিলো।
।
নীল: ডার্লিং!!!
।
দাদি নীল কে দেখেই হেসে দিলো হুইল চেয়ারের চাকা ঘুরিয়ে হেসে দিয়ে নীলের সামনে এসে থামলো।
।
নীল: সো ডার্লিং!!এতো রাতে বুঝি আমার জন্য সাজা হচ্ছিলো?
।
দাদি লজ্জা পেয়ে গেলো নীল তা দেখে হেসে দিলো। নীল দাদি কে কোলে তুলে নিলো___
।
নীল:, চলো বিয়ে করে ফেলি।
।
দাদি: সত্যি!! কবে?
।
নীল: তুমি বললে আজই[হেসে দিয়ে]
।
দাদি: তাহলে চল।
।
নীল হেঁটে বিছানার সামনে যেয়ে দাঁড়িয়ে দাদি কে বিছানায় শুইয়ে দিলো দাদি অবাক দৃষ্টিতে নীলের দিকে তাকালো।
।
নীল; আজ না এখন কোনো কাজি অফিস খোলা নেই এখন তুমি ঘুমিয়ে পড়ো কেমন।
।
দাদি; তোর হাসি অনেক সুন্দর রে নীল। আর তোকে দেখলে আমি এই বুড়ো বয়সে আবারো প্রেমে পড়তে ইচ্ছে করে তুই একদম তোর দাদার মতো হয়েছিস তোর দাদা ও একদম তোর মতো ছিলো সুদর্শন পুরুষ। আল্লাহ তোকে বাঁচিয়ে রাখুক।
।
নীল হেসে দিয়ে চলে গেলো। দাদি এক পানে তাকিয়ে আছে নীলের চলে যাওয়ার দিকে।
।।
।
বিকেলে,,,,,,
।
নীলা: আম্মু!!! আমি আর্ট ক্লাসে গেলাম।
।
আম্মু: আর্ট ক্লাস?
।
নীলা: আরে আজই ভর্তি হয়েছি ?
।
আম্মু: আচ্ছা যা।
।
নীলা স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়লো আর্ট ক্লাস এর উদ্দেশ্যে। পৌছে আর্ট ক্লাস এর হেড টিচারের রুমে গেলো।
।
নীলা: মে আই কাম ইন স্যার?
।
স্যার: ইয়াহ কাম ইন।
।
নীলা: আসসালামুয়ালাইকুম স্যার। আমি নীলা। আজ অনলাইনে আপনাদের এই কোচিং এ ভর্তি হয়েছি।
।
স্যার:ওহ নীলা বসো বসো। আমি মিহির ইসলাম।
।
নীলা: জি স্যার। তুমি আসো সবার সাথে তোমাকে পরিচয় করিয়ে দেই।
।
মিহির আর নীলা উঠে একসাথে হাঁটতে লাগলো সবার সাথে নীলাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। মিহির হঠাৎ একজনের সামনে যেয়ে দাঁড়িয়ে বললো___
।
মিহির: কি ব্যাপার অনেক আগ্ৰহ দেখছি আর্ট এ।
।
ছেলেটি: জি আমি আঁকতে ভালোবাসি।
।
নীলা ছেলেটির কন্ঠ শুনেই চমকে গেলো মনে মনে ভাবতে লাগলো কোথায় যেনো এই কন্ঠ শুনেছি কোথায় যেনো শুনেছি ধ্যাত মনে পড়ছে না।
।
মিহির:সো!!! আজকের টাস্ক এর জন্য রেডি তো?
।
ছেলেটি: নো স্যার একটা প্রব্লেম হয়ে গিয়েছে।
।
মিহির: কিসের?
।
ছেলেটি: স্যার টাস্কতো এইটা ছিলো মেয়েরা বসে থাকবে ছেলেরা হুবহু আঁকবে কিন্তু সবাই সবাইকে চুজ করে ফেলেছে কাপল হিসেবে আমি কি করবো।
।
মিহির: তোমার লাক ভালো। মিট নীলা শি ইজ ইওর পার্টনার।
।
ছেলেটা উঠে দাড়াতেই নীলা ভ্রু কুঁচকে রাগি চোখে ছেলেটির দিকে তাকালো।
।
নীলা: আআআপপপপনিইইই!!!!
।
।
।
চলবে,,,,,,
❣Drama_Queen_VS_Mr_Handsome❣
#Writer_Neela
#Part_16
.
.
নীল: কি হচ্ছে কি চিল্লাচ্ছো কেনো?
।
নীলা: কই চিল্লালাম
।
মিহির: ওয়েট তোমরা দু’জন দু’জনকে চিনো।
।
নীল: জ্বী চিনি।
।
নীলা: হুম আমার ভাইয়া[ভেংচি কেটে]
।
মিহির: বাহ তাহলে তো হয়েই গেলো আর ৫ মিনিট পর টাস্ক শুরু হবে সো রেডি থাকো।
।
মিহির চলে গেলো নীলা উঁকি দিয়ে নীলের আর্ট দেখার চেষ্টা করছে নীল বিষয় টা বুঝতে পেরে আর্ট পেপার টা নীলার দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে বললো__
।
নীল: এই নাও দেখো।
।
নীলা: আমি কি দেখতে চেয়েছিলাম নাকি।
।
নীল:মিথ্যা বলো না। তুমি যে উঁকি দিচ্ছিলে সেটা আমি দেখেছি।
।
নীলা নীলের আর্ট এর দিকে তাকালো মুগ্ধ না হয়ে পারলো না এতো সুন্দর আর্ট কিভাবে সম্ভব।
।
মিহির:গাইজ গাইজ গাইজ___ ইউর টাইম স্টারট নাও ফর টাস্ক।
।
নীল বসে পরলো নীলা দাড়িয়ে ছিলো নীল নীলার দিকে তাকিয়ে হাত ধরে নীলাকে চেয়ারে বসালো নীলা এক প্রকার ভয় পেয়ে গেলো।
।
নীলা: কি হলো এইটা।
।
নীল: শাট আপ আমার টাইম নষ্ট করার কোনো ইচ্ছে নেই।
।
নীলা আর কিছু বলতে পারলো না চুপ করে বসে থাকতে বলেছে নীল কিন্তু সেটা তো নীলার জন্য কখনো সম্ভব না নীলা নড়াচড়া করেই যাচ্ছে নীল বারবার রাগি চোখে নীলার দিকে তাকাচ্ছে আর তখনি নীলা শান্ত হয়ে বসছে।
।
নীল মনে মনে ভাবছে “এতো নড়াচড়া করলে কিভাবে ওর ছবি আঁকবো আমি” হঠাৎ ই মিহির এসে বেল বাজিয়ে বললো___
।
মিহির: টাইম’স আপ স্টপ গাই’জ।
।
সবাই সবার মতো আর্ট রেখে ২ হাত পিছনে যেয়ে দাঁড়ালো মিহির এবং কিছু টিচার মিলে সবাই আর্ট দেখায় ব্যস্ত। হঠাৎ ই মিহির বললো___
।
মিহির: আমাদের ১ ঘন্টা সময় লাগবে তোমরা সবাই ক্যান্টিনে যেয়ে আড্ডা বা কিছু খাওয়া দাওয়া সেরে নিতে পারো।
।
নীল নীলাকে রেখেই সোজা হাটা শুরু করলো নীলা পিছন পিছন যেতে লাগলো নীলের___
।
নীল: আমাকে ফলো কেনো করছো।
।
নীলা: আমি এইদিকে আপনাকে ছাড়া কিছুই চিনি না ইভেন কাওকে ও চিনি না তো কি করবো?
।
নীল: দেখো তুমি তোমার মতো থাকো আমাকে ডিস্টার্ব করবে না আমার কাজ আছে।
।
নীলা: আপনি এমন কেনো?
।
নীল: আমি এমনই।
।
নীলা: আগে তো এমন ছিলেন না।
।
নীল চুপ হয়ে গেলো নীলার দিকে তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে ক্যান্টিনে চলে গেলো নীলা এখনো চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে সে বুঝতে পারছে না যে নীলের কি হয়েছে কেনো এমন করছে।
।
হঠাৎ ই একটা মেয়ে এসে নীলার পাশে এসে দাঁড়ালো__
।
মেয়েটি: হ্যালো
।
নীলা: হাই।
।
মেয়েটি: আমি পার্লি।
।
নীলা: ওহ আমি নীলা। আজই জয়েন করেছি
।
পার্লি: হুম তোমাকে নতুন লাগছে তাই কথা বলতে চলে আসলাম
।
নীলা: একদম ভালো করেছো। আমি তো কাউকেই চিনি না ?।
।
পার্লি হেসে দিলো দু’জন মিলে টেবিলে বসে কফি অর্ডার করলো নীলা কফি খাচ্ছে আর আড়চোখে নীলকে দেখছে।
।
পার্লি: কি দেখছো?
।
নীলা: মিস্টার হ্যান্ডসাম কে ওয়াও কি কিউট জানো লাইফে অনেক ক্রাশ খেয়েছি। যেমন ক্রাশ খেয়েছি তেমন ভুলেও গিয়েছি কিন্তু একে ভুলতেই পারি না।
।
পার্লি: আই থিংক সামথিং সামথিং।
।
নীলা: আমার ক্ষেত্রে সামথিং ওহ নেভার।
।
নীলা কফি নিয়ে হাটা শুরু করতে নিলো পার্লি ডাকলে নীলা বললো “দেখি আমার দিকে একটু মনোযোগ দেয় কি-না” পার্লি নীলার কথায় হেসে দিলো আর নীলার কান্ড দেখায় ব্যস্ত হয়ে পড়লো।
।
নীলা কফির গ্লাস হাতে নিয়ে নীলের টেবিলের পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে আর তার হাতের কফির ওয়ান টাইম গ্লাস পালিয়ে দিলো।
।
নীলা: ওহ শিট।
।
নীলা আড়চোখে দেখলো নীল কি তার দিকে তাকিয়েছে কিনা কিন্তু না নীল একদম ই ওর দিকে তাকায় নি নীলা পা ছুটোছুটি করতে আবার টেবিলে যেয়ে বসলো।
।
নীলা: হাউ ডেয়ার ?? আমি উনাকে ছাড়বো না।
।
পার্লি: আরে বাদ দাও তুমি পারবে না।
।
নীলা; নীলা পারে না এমন কিছু নেই।
।
পার্লি:লেট’স সি।
।
নীলা চলে গেলো নীল যে টেবিলে বসে আছে সেই টেবিলের পাশেই ক্যান্টিনের দোকান টা। নীলা ক্যান্টিনের দোকানদারের সাথে কথা বলছে হঠাৎ ই মাথায় হাত দিয়ে পরে গেলো। নীল আড়চোখে তাকালো দেখলো নীলা কিন্তু নীল সেদিকেই বসে রইলো আর এমন ভাব করতে লাগলো এইদিকে কিছু হয় নি।
।
নীলা এক চোখ টিপ মেরে দেখতে লাগলো সব ছেলেরা তার আশেপাশে ঘিরিয়ে রয়েছে এখন সে নীলের দিকে তাকালো দেখলো নীল সেভাবেই বসে আছে।
।
নীলা ধুম করে উঠে আশাম করে বসলো আশেপাশে সবার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে চিল্লিয়ে বললো___
।
নীলা: প্রবলেম কি?? সবাই এইদিকে দাঁড়িয়ে আছেন কেনো এইদিকে কি ফিল্ম শুটিং হচ্ছে?
।
একজন বলে উঠলো “আরে আজব!!! তো এইটা কি এক্ট করার জায়গা?”
।
নীলা: এইদিকে নাটকের শুট চলছে যান এখন।
।
সবাই চলে গেলো নীলা নীলের টেবিলে বাড়ি দিয়ে উঠলো নীল মাথা উঁচু করে নীলার দিকে তাকালো নীলা নীলের কলার ধরে দাড় করালো।
।
নীল: হুয়াট নন্সেন্স।
।
নীলা: নন্সেন্স কি বাচ্চি তোর সামনে যদি একটা মেয়ে মরেও যায় তবুও তুই ফিরে তাকাবি না।
।
নীল: আরে আজব তো তুই তুকারি করবেন না।
।
নীলা: ঐ তোকে জিজ্ঞেস করে আমি কথা বলবো আমি সেন্স হারিয়ে পড়ে গেলাম তুই আমার সামনে আসলি না কেন?
।
নীল: নীলা বেশি হচ্ছে ছাড়ো আমাকে।
।
নীলা ক্যান্টিনের দোকান থেকে কেক কাটার চাকু নিয়ে নীলের গলায় ধরলো।
।
।
।
চলবে,,,,,,,