#The_Magic_Of_Love
#পর্বঃ০৮,০৯
#writer:#মারশিয়া_জাহাম_মেঘ
০৮
বেলা গড়িয়ে সূর্য অস্ত যায়।
হৃদের সম্মুখ বরাবরে বসে আছে প্রাপ্তি। হৃদ সাধারণভাবেই বলে উঠলো কি নিবেন মিস প্রাপ্তি কফি নাকি চা? প্রাপ্তি সহজভাবেই বললো, দেখুন আপাদতো আমি কিছুই নিবোনা। আপনার যা বলার একটু তাড়াতাড়ি বলুন আমার একটু তাড়া আছে ( হাতের ঘড়িটা দেখে)। হৃদ অন্তরালে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো, মিস প্রাপ্তি আপনি জানেন আমার বন্ধু রিত্তিক আপনাকে ঠিক কতোটা ভালোবাসে? কিন্তু আমি জানি আপনার হাজবেন্ড আছে কিন্তু আপাদতো আমি চায় আপনি রিত্তিকের সাথে অভিনয় করুন ভালোবাসার। কারণ আমি চায়না আমার বন্ধু কষ্ট পাক। প্রাপ্তি বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বললো, মিস্টার.. অতঃপর হৃদ একটু আশেপাশে তাকিয়ে বললো, মিস প্রাপ্তি প্লিজ বসুন। প্রাপ্তিও চারপাশে একটু তাকিয়ে বসে পড়ে কারণ,সবার দৃষ্টি তার দিকেই। হৃদ আবার শান্ত স্বরে বললো, দেখুন আমি খারাপ কিছু বলিনি। একটা পাগল প্রেমিক এর জীবনের হাসি মিশে আছে আপনার সঙ্গে তাই বলেছি কথাটা। প্রাপ্তি হাতের ৫ আঙুল মুঠোয় করে নেয় শক্ত করে। প্রাপ্তি শক্ত কন্ঠে বললো, কি জানেন আপনি আমার সম্পর্কে? কি জানেন আপনি আমার অতীত সম্পর্কে? আপনি জানেন? আমার হাজবেন্ড যে এই পৃথিবীতে নেই? কি হলো বলেন জানেন আপনি জানেন? ( চিৎকার করে কথাটা বললো প্রাপ্তি)
হৃদ থমকে যায় প্রাপ্তির শেষ বাক্যদ্বয়টা শুনে। কি শুনলো সে? এইটুকু মেয়েটা এতো অল্প সময়েই নিজের জীবনের আঁধার নিয়ে বেঁচে আছে? আচ্ছা হৃদ কি ভুল শুনলো? প্রাপ্তি আর এক মুহুর্তও বসলোনা ওইখানে। চলে আসলো ওই জায়গা থেকে। হৃদ পেছন থেকে ডাকলেও সাড়া দেয়নি সে।
চোখে পানি নিয়ে বার বার তিশানের ছবির দিকে তাকিয়ে আছে প্রাপ্তি। নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে ছাড়া ৪ টা বছর কাটিয়ে ফেলেছে সে। চোখের নোনা পানি মুছে নিজের মনকে নিজেই প্রশ্ন করছে প্রাপ্তি, কেনো আমার সাথে এমন হচ্ছে? আমিতো ভালোই ছিলাম তাহলে কেনো আমার জীবনে “ভালোবাসা” নামক উপাদানটি বার বার উঁকি দিচ্ছে। দরজায় নাগাতারে কড়া নাড়ছে ফাতেমা বেগম। প্রাপ্তিকে বাইরে থেকে এসে নিজের রুমে গিয়ে হোট করে দরজা লাগাতে দেখে ঘাবরে যান তিনি।
নম্রতা বার বার কল দিতেই খুব কষ্ট করে মোবাইলটা হাতে নেয় রওনক। জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে তার। ভাইকে দেখতে যেতেও পারছেনা সে। কল ধরতেই ওপাশ থেকে ভেসে এলো উত্তেজিত কন্ঠে, কি হয়েছে তোমার? কতোবার কল করেছি? ঠিক আছোতো? রওনক একটু হাসে। হেসে বললো, ঠিক ছিলাম না এখন ঠিক আছি। নম্রত পুনরায় জিজ্ঞেস করলো এই তোমার কন্ঠ এমন শুনা যাচ্ছে কেনো? রওনক অস্ফুটে বললো,জ্বর হয়েছে। নম্রতা উত্তেজিত কন্ঠে বললো, কিই! ঔষধ খেয়েছো? মাথায় পানি ঢেলেছে কেউ? খাবার খেয়েছো? রওনক একটু হেসে বলে, এতো প্রশ্ন একসাথে করলে বলবো কি করে?
মিসেস ইয়ামিনি ছেলের জন্য এইটা ওইটা রান্না করছেন হসপিটালে যাবেন বলে। ইতিমধ্যেই রিত্তিকের খালামনি কল দিয়ে বললো, আজ নাকি আয়মানকে দেখতে আসবে। তাই তিনি হসপিটালে না গিয়ে হৃদকে কল দিয়ে বললো, হৃদ তুই বরংচ রিত্তিককে একেবারে নিয়েই এসে পড়। আজ আয়মানকে দেখতে আসবে।
মিসেস ইয়াসমিনি শাড়ী দিয়ে গেছে আয়মানকে কিন্তু আয়মান কান্না চোখে বসে আছে।সে কিছুতেই বিয়ে করবেনা। সে যে তার বড় খালামনির ছেলে অস্তিত্বকে ভালোবাসে। অস্তিত্বওতো তাকে ভালোবাসে তাহলে কেনো? সে কিছু বলছেনা। হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠায় তাড়াতাড়ি কল ধরে আয়মান৷ কান্নাস্বরে বললো,অন্যের হাতে যেহেতু তুলেই দিতে হবে তাহলে কেনো? ভালোবেসেছিলে আমাকে অস্তিত্ব ভাই। ওপাশ থেকে অস্তিত্ব নিরব হয়ে শুনছে প্রিয়তমার বিরহের কান্না। অস্তিত্ব গলাটা একটু হাক ছেড়ে বললো, তুই এতো চিন্তা করছিস কেনো পরী? আমি আছিতো। তুই আমার ছিলি আর আমারি থাকবি। কথা দিচ্ছি। আর আজ মায়ের সাথে আমিও আসছি তোদের বাসায়। তুই সেজে আসিস নিচে পাত্রপক্ষকে ম্যানেজ করার রেসপন্সিবিলিটি আমার। অস্তিত্বের কথায় খুব বড় আশ্রয় পেলো যেনো আয়মান। ঠোঁটের কোনে ফুটে উঠেছে তার হাসি।
মেঘের মনটা ভীষণ খারাপ। চুপচাপ ছাদের এক দিক ঘেষে দাঁড়িয়ে আছে সে। হৃদ কেনো এমন করে তার সাথে সে ভেবেই পায়না। এইতো আজকে একটা দিন গেলো একটা কল পর্যন্ত দেয়নি সে। মেসেজে ভালোভাবে কথাও বলেনা হৃদ। মেঘ একটা বিরক্তিকর নিশ্বাস ফেলে নিজের মনকে নিজেই বলছে, “আমি হৃদকে ছাড়া থাকতে পারবোনা এইটা ভেবেই কি হৃদ তার সাথে এমন করছে? কেমন জানি ইগনোর ইগনোর মনে হয়। আত্মসম্মানে বড্ড লাগে তার।
অস্তিত্ব ফোনটা কেটেই বিছানায় মুখটা ফুলিয়ে নিশ্বাস ছেড়ে শুয়ে পড়লো৷ আর ভাবছে, কিভাবে কি করা যায়। হঠাৎ মনে এলো “নিরান্বিতা” নামক মেয়েটিকে। নিরান্বিতা অস্তিত্বের বেষ্ট ফ্রেন্ড। সব পরিস্থিতিতে কোনো না কোনো আইডিয়া ঠিক সে বের করে ফেলে। ফোনটা হাতে নিয়ে বিদ্যুৎগতিতে কল লাগায় নিরান্বিতাকে।
সদ্য গোসল করে ওয়াশরুম থেকে বের হতেই ফোনের টুটাং বিরক্তিকর আওয়াজটা বেজে উঠলো। পুনরায় বেজে উঠাতে নিরান্বিতা মাথার চুল টাওয়াল দিয়ে ঝেরে টাওলটা বেলকনিতে ছড়িয়ে দিয়ে ফোনটা হাতে নিলো৷ ঝলমল করছে একটা নাম “অস্তিত্ব” নিরান্বিতা কিছুটা একাই হেসে কলটা ব্যাক করলো৷ একবার রিং হতেই ওপাশ থেকে শুনতে পেলো, “এতো বিজি তুই কল ধরতে পারছিসনা? নিরান্বিতা ফোড়ন কেটে বললো, ” আমার কি আর কাজ নেই নাকি? যে সারাদিন ফোনের কাছে থাকবো। হাজারহোক আমি তোর মতো তো আর সারাদিন মোবাইল টিপিনা। এইবার অস্তিত্বের কন্ঠে কিছুটা তেজ ভাব দেখা দিলো বললো, আমি সারাদিম মোবাইল টিপলে? মেডিকেল কি তুই সামলাস? মেডিকেলের ভালোভাবে পড়াটা কি তুই কমপ্লিট করিস? নিরান্বিতা আলতো হাসে আর বলে,তা ডক্টর সাহেব এতো সকাল সকাল কেনো কল দিয়েছেন শুনি। অস্তিত্ব এখন স্বাভাবিক কন্ঠে বললো, আমার কাজিন আয়মান আছেনা? ওকে দেখতে আসবে পাত্র পক্ষ তাই এমন কোনো আইডিয়া দে যেনো সবগুলো বউ না দেখেই পালায়। নিরান্বিতার মুখে একরাশ মেথ দেখা দিলো। তারপর বললো,ওহ এই জন্য কল দিয়েছিস? তারপর নিরান্বিতা যা আইডিয়া দিলো তা শুনেতো অস্তিত্ব লাফিয়ে উঠলো আর বললো, ওফ নিরা তুই যদি এখন সামনে থাকতিনা তাহলে একটা হাগ করতাম। নিরান্বিতা হেসে বলে, ওফ মিস করলাম বল? অস্তিত্ব বলে,হুম মিসতো করলিই। এই রাখি এখন পরে কথা বলবো না হয়..এইটা বলেই কেটে দেয় অস্তিত্ব। আর নিরান্বিতা বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো, “আমিওতো অস্তিত্বকে অনেক ভালোবাসি হয়তো বলার কখনো সাহস হয়নি”.
চলবে…….
#The_Magic_Of_Love
#পর্বঃ০৯
#Writer:#মারশিয়া_জাহান_মেঘ
ফুলে ফুলে সুগন্ধি ছড়াচ্ছে চারিদিক। আকাশে বৃষ্টির বর্ষন হয়ে আকাশ পরিষ্কারে আচ্ছন্ন হয়েছে। ছাদে শাড়ি পড়ে এলোমেলো চুলে দাড়িয়ে আছে আয়মান। চুলগুলো মৃদ হাওয়ায় উড়ছে। “কিরে মন খারাপ? হঠাৎ কারো কথায় পিছু তাকায় সে। মলিনমুখে দাড়িয়ে আছে রিত্তিক। আয়মান উত্তেজিত কন্ঠে বললো, ভাইয়া তুমি এইখানে কেনো? একটু আগেইতো হসপিটাল থেকে আসলে মাত্র। যাও রুমে গিয়ে রেস্ট নাও। রিত্তিক বোনের হাত ধরে নিজেও ছাদের একপাশে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো, বিয়েটা তুই করতে চাসনা তাইতো? আয়মান মলিন চাহনি নিয়ে ভাইকে বললো, তুমি কি করে জানলে ভাইয়া? রিত্তিক এইবার বোনের দিকে তাকালো। শান্ত কন্ঠে বললো, আমার বোন তুই না জানারতো কিছু নেই। চিন্তা করিসনা আমি আছি এই বিয়ে হবেনা। তুই যাহ পরিপাটি হয়ে নে একটু পরই পাত্র পক্ষ আসবে। আয়মানের মুখে সুখের হাসি। এখন শুধু অস্তিত্ব নয় তার ভাইও আছে তার পাশে।
রওনক রিত্তিকের পায়ের কাছে বসে অনবরত কাঁদছে। ছেলেরাও কাঁদে তা রওনক কে দেখলে যে কেউ বুঝবে। রিত্তিক কে সে বেশি ভালোবাসে কিনা! তার জন্যইতো ভাই আসার খবর কানে যেতে দেরি হয়েছে ভাইয়ের রুমে আসতে দেরি হয়নি। হৃদ রুমে আসতে আসতে বললো, মেয়েদের মতো এতো কাঁদছিস কেনো? তোর ভাইকেতো আর বউ সাজিয়ে আমার কাছে নিয়ে যাচ্ছিনা…এই কথা শুনতেই ফিক করে হেসে দেয় রিত্তিক আর রওনক। রওনক নাক উল্টো করে মুছতে মুছতে বললো, ওফ হৃদ ভাই তুমিওনা….
বেবি কেমন আছো তুমি? তুমি এলে আমাকে একটাবারো কেউ জানালোনা? ওলফার কথায় রিত্তিক বিরক্তি প্রকাশ করলেও তা প্রকাশ না করে বললো, আসলে কি বলোতো ওলফা তোমাকে দেখতে পায়নিতো তাই আরকি। আচ্ছা তোমার এইখানে কোনো সমস্যা হচ্ছেনাতো? হাজারহোক তুমি খান্না বাড়ির অতিথি বলে কথা। ওলফা অভিমান করে বললো, সমস্যাতো একটাই এখনো তুমি আমাকে বাংলাদেশ ঘুরিয়ে দেখাওনি…হৃদ মনে মনে বললো,শুরু হয়ে গেছে এই মেয়ের ন্যকামো।
প্রাপ্তি দোকানে আনমনে ফুল প্যাকিং করে করে সাজিয়ে রাখছে। আজকাল তার বড্ড বিরক্ত লাগছে দোকানে। কেনো জানি রিত্তিক কে আগের মতো সবসময় ফুল নিতে না দেখে অসহ্যকর লাগছে তার। নিজেই নিজের মনকে প্রশ্ন করলো কি হচ্ছে এইসব আমার সাথে?
আয়মানের সামনের সোফায় বসে আছে পাত্র সহ পাত্রের মা-বাবা। তার ঠিক সাইডে দাঁড়িয়ে আছে অস্তিত্ব। আয়মান এক পলক অস্তিত্বের দিকে তাকিয়ে রাগে কটমট করতে করতে মিনমিনিয়ে বললো, আমার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে আর এইদিকে তিনি আসছে দেখতে..আয়মানের এই মিনমিনিয়ে কথাটা কান এড়ায়নি অস্তিত্বের৷ সে মিনমিনিয়ে হাসে। সাদা পান্জাবী পড়া চুলগুলো এলোমেলো হাতে ঘড়ি সাদা ফ্রেমের চশমা সব মিলিয়ে অস্তিত্ব যথেষ্ট একজন সুদর্শন পুরুষ। পাত্র পক্ষের পছন্দ হওয়াই..আজই বিয়ে ঠিক করে ফেলতে চায় তারা। ভীষম খেলো অস্তিত্ব। আজই যদি তারিখ ঠিক হয়ে যায় তাহলে নিরান্বিতার দেওয়া প্ল্যানটা কাজে লাগাবো কিভাবে..এইসব ভেবেই অস্তিত্বের অবস্থা পুরো খারাপ। ইতিমধ্যে একটা আশার আলো দেখতে পেলো সে। কালো টিশার্ট পড়া সাদা জিন্স, হাতে ঘড়ি চুলগুলো ভেজা ভেজা..সদ্য গোসল করা রিত্তিক সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে পাত্রের মায়ের উদ্দেশ্যে বললো, তা বললে তো হবেনা আন্টি। বোন আমাদের বড় আদরের। ছেলের বিষয়ে খুঁজ খবর না নিয়ে কিভাবে আপনার ছেলের হাতে আমার বোনকে তুলে দিতে পারি বলুন? আয়মান একটা সস্তির নিশ্বাস ছাড়লো। সে জানতো তার ভাই তাকে দেওয়া আশ্বাস বৃথা হতে দিবেনা। চোখ রাঙিয়ে এক পলক তাকালো অস্তিত্বের দিকে। ছেলের মা বললেন, হুম তাইতো দেখো। আমার ছেলের মতো ছেলে হাজারে একটা মেলে। খুঁজ খবর নিয়ে দেখো কেউ মন্দ বলবেনা।
আমাকে একদম ছোঁবেনা তুমি। অপখন্ড একটা..দাঁতে দাঁত চেপে রেগে কথাটা বললো আয়মান। অসহায় ফেইস নিয়ে বার বার আয়মানের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছে অস্তিত্ব কিন্তু আয়মানতো অস্তিত্ব বেচারাকে বাইরে রেখেই দোম করে দরজা লাগিয়ে দিলো। অস্তিত্ব বার বার ডাকছে কোনো কাজই হচ্ছেনা। রওনক এসে অস্তিত্বের কাঁধে হাত রেখে বললো, ..তুইতো আজকে পুরাই গেছিস ভাগ্যিস ভাইয়া সময়মতো এসেছিলো নয়তো! কি হতো ভাবতে পারছিস? অস্তিত্ব অসহায় হয়ে রওনকের দিকে তাকিয়ে বললো, ওফ রওনক তুইও?
এই তুমি আমাকে কল দিয়েছো কেনো? ভুলেও আমাকে কল দিবেনা তুমি। থাকো তুমি তোমার কাজিন সাথীকে নিয়ে..ওহ হো..কাজিন বললেতো ভুল হবে বউ হয় তোমার বউ..এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলে এক নাগারে কেঁদে যাচ্ছে মেঘ। হৃদ চুপ হয়ে শুনছে। মেয়েটার এতো অভিমান তার প্রতি কল না দিলে বোধহয় জানতেই পারতোনা। হৃদ কিছু একটা বলতে যাবে তার আগেই মেঘ কান্না করে করে বলে উঠলো, আমার গুরুত্ব এতো নিচ তোমার কাছে তা না দেখলে বুঝতামি না। অনেক দাম বেড়েছে কিনা! তার জন্য এতো ভাবতো দেখাবেই এইটা বলেই মেঘ ফোনটা কেটে দিলো। আর হৃদ দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। শরীর মন দুটোই কাঁপছে তার। নাহ এইবার যায়..রিত্তিককে সত্যিতা বলতেই হবে নয়তো ছেলেটা ভেঙে পড়বে ভেতরে ভেতরে..।
কিইইই! নীল পরীর হাজবেন্ড নেই এই পৃথিবীতে? মানে কি কোথায় সে? রিত্তিকের মাথা গরম হয়ে আছে। অনল বের হচ্ছে কান দিয়ে। হৃদ বললো, একটু শান্ত হো তুই প্লিজ আর আমাকে শুধু ওনি বলেছেন যে ওনার হাজবেন্ড নেই। তাও অনেক কষ্টে এতটুকু জেনেছি। রিত্তিকের মুখে হাসি। মনে মনে কিছু একটা ভেবে..বললো, হৃদ চল.. হৃদ অবাক হয়ে বললো,”কোথায়? রিত্তিক বললো,চলইনা..গেলেই দেখতে পাবি।
চলবে….