#The_Magic_Of_Love
#পর্বঃ১০,১১
#Writer:#মারশিয়া_জাহান_মেঘ
১০
বাইরে হনহনের আওয়াজ। ফেরিওয়ালারা ডাকছে পাড়াতে। রান্নাঘরে রান্নায় ব্যস্ত ফাতেমা বেগম। হঠাৎ কলিংবেল বাজতেই একবার ভাবলেন,”এইসময় আবার কে এলো? প্রাপ্তিতো রাতে আসবে। হাতটা শাড়ীর আঁচল দিয়ে মুছতে মুছতে গেলো দরজা খুলতে।
অস্তিত্ব একই বাড়িতে থেকে বার বার কল দিচ্ছে আয়মানকে। সেই যে দরজা বন্ধ করেছে আর খোলার নামই নেই। ইতিমধ্যে নিরান্বিতা কল দিয়েছে। নিরান্বিতাকে সব বলতেই অস্তিত্বকে উপাধি দিয়েছে”অকাজের ঢেঁকি”
রওনক ফোনে নম্রতার সাথে কথা বলছে। নম্রতা বললো, আচ্ছা রওনক তোমার পরিবার আমাকে মেনে নিবে? রওনক বুঝতে পেরেছে যে নম্রতা মন খারাপের সাথে কথাটা বলেছে। রওনক গলাটা একটু হাক ছেড়ে বললো, “মেনে না নেওয়ার কি আছে পরী? নম্রতা শান্ত কন্ঠে বললো, মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে আমি আর তুমি…নম্রতাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে রওনক বললো, আর একবার যদি এইসব বলতে দেখি তাহলে দেইখো আমি কি করি।
ওলফা রিত্তিককে একটার পর একটা কল দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু কোনো রেসপন্স নেই। ওলফা বিরক্ত হয়ে বিছানায় মোবাইটা ছোড়ে মারে আর মনে মনে বলে,,” মিস্টার রিত্তিক খান্না যা করার এখনি করে নাও কিন্তু বিয়েটা আমার সাথেই তোমার হচ্ছে।
বাংলাদেশে পা রাখছে মিস্টার শেখ। একটা কালো গাড়ি তার জন্য ওয়েট করছে। মিস্টার শেখ গাড়িতে উঠে একটা বড় বাড়ির সামনে এসেছেন। নাহ..বাড়িটা রিত্তিকদের নয়। বাড়িটা মিস্টার শেখের বাড়ি। বিশাল বড় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন মিস্টার শেখের বন্ধু আরহান আহমেদ। মিস্টার শেখ জড়িয়ে ধরে তাকে।
তুই যাবি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে নয়তো ওরা আমাকে চিনে ফেলবে..কথাটা বলেই এক চুমুক ড্রিংক করলেন মিস্টার শেখ। আরহান আহমেদ বললো,কিন্তু ওলফা! মিস্টার শেখ হাহা করে হেসে বলে, সেইটা আমি না হয় দেখে নিবো।
প্রাপ্তি বাসায় ফিরছে। হাতে এক ব্যাগ বাজার। মাস শেষ হয়েছে বাজার তো কিনতেই হবে। বাসায় ফিরতেই দেখলেন ফাতেমা বেগম,আলেয়া বেগম আর নম্রতা। অবাক হলো সে। তারা আসবে কেউ তো বলেনি তবে! নম্রতা প্রাপ্তিকে দেখতেই জড়িয়ে ধরে।
রিত্তিক ওলফার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে ওর বাবা। বাইরে থেকে এসেই মায়ের মুখে কথাটা শুনতে পেয়ে থমকে দাঁড়ায় সে। হৃদ পাশেই ছিলো। রিত্তিক বললো,”মা কি বললে? ইয়ামিনি খান্না আবার বললেন, বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন একটু আগে। আমি বলেছি পরে জানাবো। রিত্তিক আর কিছু না বলে দৌড়ে উপরে যায়। মিসেস ইয়ামিনি আর হৃদ কিছুই বুঝলোনা৷ একটু পরই দেখে, “রিত্তিক এইভাবে টানছো কেনো ছাড়ো আমাকে,আমার লাগছে” এইসব বলছে ওলফা। রিত্তিক ওলফাকে টানতে টানতে নিচে নিয়ে এসে চিৎকার করে বলে, তোমাকে আমি বলেছি যে আমি তোমাকে বিয়ে করতো চায়? রিত্তিকের চিৎকার শুনে বাড়ির সবাই নিচে আসে। ওলফা ন্যাকা ন্যাকা হয়ে বলে, বেবি এইসব কি বলছো তুমি? আর তুৃমি না চাইলেও আমিতো চাই। রিত্তিক চিৎকার করে বললো,আজকেই তুমি এই বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবে। গট ইট? এইটা বলেই রিত্তিক উপরে চলে গেলো৷ আর সবাই যার যার কাজে।
একটু আগে…
আরহান খানকে বাবা হিসেবে পাঠিয়ে ছিলো মিস্টার শেখ। অতঃপর বিয়ের প্রস্তাব পাঠান।
একটা গ্লাস ছুঁড়ে মারেন মিস্টার শেখ। সামনে ওলফা কান্না করছে৷ মিস্টার শেখ রেগে বললেন, রিত্তিক খান্নাকে আমি ছাড়বোনা৷ ওলফার গালে ধরে বললো, সুইটহার্ট তুমি কেঁদোনা। রিত্তিক খান্না তোমার না হলে আমি আর কাউকেই হতে দিবোনা।
আয়মান তুই এমন করলে কিন্তু আমি চলে যাবো..ছাদের এক কোনে দাঁড়িয়ে কথাটা বললো অস্তিত্ব। আয়মান রাগে তাকিয়ে বললো,যাওনা না করেছে কে? আমি কি আটকে রেখেছি তোমায়? অস্তিত্ব এইবার আর কোনো কথা না বলে এক টান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেই আয়মানকে। আয়মান ছটফট করতে করতে বলছে,ছাড়ো কেউ দেখে ফেলবে..ছাড়ো। কিন্তু কে শুনে কার কথা? নিজের ঠোঁট দুটো মিশিয়ে দেয় অস্তিত্ব আয়মানের ঠোঁটে।
তোকে এই বিয়ে করতেই হবে নয়তো আমার মরা মুখ দেখবি” নিজের মা আলেয়া বেগমের মুখ থেকে এমন কথা শুনে চমকে উঠে প্রাপ্তি। প্রাপ্তি রেগে বলে,”মা আমি জানিইনা ছেলে কে? কিরকম? তাহলে আমি কেনো বিয়ে করতে যাবো? ফাতেমা বেগম শক্ত কন্ঠে বললো,জানোনা তো জেনে নিবে। কাল পাত্র পক্ষ আসবে তোমাকে দেখতে। প্রাপ্তি এউবার অসহায় কন্ঠে বললো, মা তোমরা ভালো করেই জানো তিশানের জায়গা আমি অন্য কাউকে দিতে পারবোনা কাউকেনা। নম্রতা প্রাপ্তির কাঁধে হাত রেখে বললো, আপু তিশান ভাইয়া আর পৃথিবীতে নেই। এইভাবে সারাটাজীবন তুই একা থাকতে পারিসনা। তোরওতো একটা লাইফ আছে। তোরওতো আর ৫ টা মেয়ের মতো বাঁচার অধিকার আছে।
রিত্তিক আর হৃদই গিয়েছিলো ফাতেমা বেগমের কাছে। ফাতেমা বেগম প্রথম চিনতে না পারলেও পরে রিত্তিককে চিনতে পেরেছিলেন। অনুষ্ঠানে যাওয়াতে। ফাতেমা বেগম সোফায় বসতে বলে চা আরো কিছু খাবার সামনে রেখে বসেছিলেন ওদের সাথে। রিত্তিক তখন বলে উঠলো, আন্টি আমি প্রাপ্তিকে বিয়ে করতে চায়। ফাতেমা বেগম থমকে যান। অবাক ভাবে তাকান রিত্তিকের দিকে। ফাতেমা বেগম বললেন,কিহ! হৃদ বললো,জ্বি আন্টি রিত্তিক প্রাপ্তি আপুকে বিয়ে করতে চায়। ফাতেমা বেগমের চোখে পানি। তিনি বললেন,তোমরা কি জানো ওর অতীত সম্পর্কে? আমার ছেলে তিশানের বউ প্রাপ্তি। বিয়ের রাতেই আমার ছেলেকে কিছু অপরাধীর দলের মানুষ মেরে ফেলে। সদ্য বিবাহিত প্রাপ্তি বিধবা হয়ে যায় তখন। ৫বছর রিলেশন করে বিয়ে করে ওরা। আমার ছেলেটা পুলিশ ছিলো বলে ওই জানো**র গুলো এইভাবে খুন করেছে। আমার বুকের মানিককে কেড়ে নিয়েছে..এইটা বলেই চোখের পানি মুছেন ফাতেমা বেগম। রিত্তিক ফাতেমা বেগমের দুই হাত ধরে বললো, আপনার এক ছেলে নেয় তো কি হয়েছে আমি তো আছি আপনার আরেক ছেলে। হৃদ চোখের পানি মুছে বললো,জ্বি আন্টি রিত্তিক ঠিকিইতো বলেছে।
তিশানের ছবি বুকে নিয়ে কান্না করছে প্রাপ্তি। কতো সুন্দর ছিলো তাদের ভালোবাসাটা। কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেলো? বিয়েরদিনই তিশান আমাকে ছেড়ে চলে গেলো! এইটা ভাবতেই প্রাপ্তি গর্জন ছেড়ে কেঁদে উঠে।
চলবে……
#The_Magic_Of_Love
#পর্বঃ১১
#writer:#মারশিয়া_জাহান_মেঘ
সকালেট স্নিগ্ধ হাওয়া জানালা ভেদ করে রুমে প্রবেশ করছে। মৃদুল হাওয়ার শীতল স্পর্শে কিছুটা নেড়ে ওঠে প্রাপ্তি। ঘুম ঘুম চোখে বিছানায় হাত দিয়ে ফোনটা খুঁজছে। ফোনটা হাতে নিয়ে ঘড়ির কাটা ৯ এর কৌটায় দেখে হুড়মুড় খেয়ে লাফিয়ে উঠে সে। তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে ব্যাগের চেইন লাগাতে লাগাতে বললো,মা এতো বেলা হয়ে গেছে আমায় ডাকলেনা? ওফ দোকানটা খুলতে আজ বড় লেইট হয়ে যাবে। আলেয়া বেগম আর ফাতেমা বেগম প্রাপ্তির পথ আটকে দাঁড়িয়ে বললো, আজ কোথায়ও যাওয়া হবেনা৷ আজ তোকে দেখতে আসবে। আর মালিককে কল করে বলে দিয়েছি যে আজ তুই যেতে পারবিনা। প্রাপ্তি আলেয়া বেগমের কথা শুনে কিঞ্চিৎ রেগে গেলো। প্রাপ্তির প্রতিটি শিরায় -উপশিরায় রাগ সুস্পষ্ট। প্রাপ্তি হুংকার ছেড়ে বললো, বললাম না? আমি এইসব নিয়ে ভাবতে চায়না? কতোবার একটা কথা বলতে হয় হ্যাঁ? আলেয়া বেগম চুপসে গেলেও ফাতেমা বেগম দমে যাননি। তিনি বলে উঠলেন, না তোকে আর ঘরে বসিয়ে রাখতে পারবোনা। বিয়ে তোকে করতেই হবে৷ তোর জন্য সমাজের মুখে এতো কথা শুনতে চায়না আমি। প্রাপ্তির চোখে পানি। অবাক হয়ে দেখছে ফাতেমা বেগমকে। ফাতেমা বেগম তাকে এইসব কথা বলছে! এ যেনো বিনা মেঘে বজ্রপাত মনে হলো তার কাছে। ফাতেমা বেগম কঠিন কন্ঠে বললো, আজকে তোর কোথাও যাওয়া হবেনা ব্যাস…বেয়াইন আসুন আমার সঙ্গে অনেক কাজ আছে আজ..এইটা বলেই ফাতেমা বেগম বড় বড় কদম ফেলে আলেয়া বেগমকে নিয়ে রান্নাঘরে চলে যান। আর প্রাপ্তি ধীরস্থির পায়ে হেঁটে নিজের রুমে চলে যায়। চোখে যেনো বৃষ্টির বর্ষন। ব্যাগটা বিছানায় রেখে ফ্লোরে কান্না করতে বসে যায় সে। আজ তিশানের কথা বড্ড মনে পড়ছে তার। প্রাপ্তি কান্না করে করে চিৎকার করে বলছে “তিশান রাখোনি তুমি…আমাকে দেওয়া কথা রাখোনি..
এইদিকে..ফাতেমা বেগম কান্না করে বলছে, দেখুন বেয়াইন মেয়েটা পাগলের মতো কাঁদছে। তিশানকে কেনো আল্লাহ এইভাবে কেড়ে নিলো বলুনতো?
রিত্তিক আজ অনেক খুশি। একটু পর তার হুর পরীকে দেখতে পাবে কিনা!। রিত্তিকের এইভাবে মিনমিনিয়ে হাসি দেখে,হৃদ সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকালো রিত্তিকের দিকে। হৃদ আঁড়চোখে রিত্তিককে দেখে রিত্তিকের কাঁধে মৃদুল ধাক্কা দিয়ে গলা ঝেড়ে বললো, তা রিত্তিক খান্নার কি আজকাল এইভাবে মিনমিনিয়ে হাসার হ্যাবিট হয়ে গেছে? রিত্তিক হৃদকে বললো, ভাগ্যিস তোর মতো মেঘ মেঘ করার অভ্যাস হয়ে যায়নি। হৃদ ” মেঘ” নামটা শুনতেই চুপসে যায়। রিত্তিক এক ধ্যানে হৃদকে দেখে বললো, “আজকাল তোর হাতে ফোনটা দেখছিনা ব্যাপার কি বলতো? হৃদ বিছানায় বসে দুই গাল ফুলিয়ে হাফ ছেড়ে বললো, কি আর বলবোরে ভাই মেয়েতো নয় যেনো রাগে-অভিমানের ডিব্বা৷ রিত্তিক শার্টের বোতাম লাগাতে লাগাতে বললো, নিশ্চিত তুই কিছু করেছিস নয়তো আমি যতটুকু জানি মেঘ শুধু শুধু চটে যাওয়ারতো মেয়ে নয় তাইনা? হৃদ যেনো এইবার কিছু আশাহত হলো। রিত্তিক কই ওর সাপোর্ট করবে তা না..ওনিও মেঘের সাইডেই আছে।
আয়মান আর অস্তিত্ব ছাদে দোলনায় একসাথে বসে আছে। আয়মান আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো,অস্তিত্ব ভাই..
আয়মানের ডাকে অস্তিত্ব আয়মানের দিকে তাকিয়ে বললো,কি হলো পরী? তোর মন খারাপ? আয়মান এইবার অস্তিত্বের বুকে মাথা রেখে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললো। অস্তিত্বের কলিজায় যেনো কেউ আঘাত করেছে মনে হচ্ছে। অস্তিত্ব উত্তেজিত হয়ে বললো,কি হলো পরী? তুই কাঁদছিস কেনো? আয়মান কোনো কথাই বলছেনা কেঁদেই যাচ্ছে। এইবার অস্তিত্ব গম্ভীর কন্ঠে বললো, পরী তুই কান্না করা থামাবি নাকি আমি চলে যাবো? এক নিমিষেই চুপসে যায় আয়মান। অস্তিত্ব বললো,কি হয়েছে এইবার বলতো। আয়মান ধুকরে ধুকরে উঠে বললো, ভাইয়া না হয় একটুর জন্য বিয়েটা বিরতি রেখেছে আবার যদি বিয়েটা….আবার কেঁদে ফেললো আয়মান। অস্তিত্ব বিষয়টা বুঝতে পেরে বললো, আমি ব্যবস্থা করে রেখেছি চিন্তা করিসনা৷ আর আমার মেডিকেলটা কম্প্লিট হোক এরপর যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব মাকে আর খালুজানকে জানাবো তোর আর আমার ব্যাপারটা। এখন চল যাই৷ রিত্তিক ভাইয়ের জন্য আজতো মেয়ে দেখতে যেতে হবে..।
ডেড আই অনলি ওয়ান্ট রিত্তিক খান্না.. দেট এনি কস্ট। মিস্টার শেখ বললেন,হবে হবে মা..রিত্তিক খান্না তোমারই হবে৷ জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচড।
নম্রতা এখনো প্রায় ঘুমে। আলেয়া বেগম অনেকবার ডেকে গেছে আজ প্রাপ্তিকে দেখতে আসবে কিনা! নম্রতা ঘুমুরে চোখে ফোনটা হাতে নিয়েই লাফিয়ে উঠলো। ৩০ টা কল! নম্রতা তাড়াতাড়ি রওনক কে কল ব্যাক করলো। কল ধরতেই ওপাশ থেকে অভিমানের স্বরে রওনক বললো, “কল দেওয়ার আর কি দরকার ছিলো? না দিলেইতো হতো আমার নির্জনা পরী। নম্রতা আমতা আমতা করে বললো,আসলে ঘুমে ছিলাম। তাইতো ধরতে পারিনি সরিগো। রওনক বললো,আচ্ছা এখন তবে রাখছি..ভাইয়ার সাথে অফিসে যাবো। নম্রতা বললো ঠিক আছে টাটা।
সামনে থাকা পুরুষটিকে দেখে প্রাপ্তি দিশেহারা হয়ে গেলো। রিত্তিক তাকে বিয়ে করতে চায়? ফাতেমা বেগম নম্রতার উদ্দেশ্যে ডাক ছেড়ে বললো, নম্রু শরবতটা নিয়ে এসোতো..নম্রতা শরবতটা রেখে সামনে তাকাতেই ভীষম খেলো..রওনক এর চোখ কুটির থেকে বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম। আয়মান নম্রতাকে দেখে বললো..নম্রতা! তুমি এইখানে…এইটা বলেই গিয়ে জড়িয়ে ধরলো নম্রতা। তার মানে আমার ভাবী তোমার বড় বোন! নম্রতার মন রওনকের দিকে। রওনক ভয়ে শুকনো একটা ঢোক গিললো। রওনক মনে মনে ভাবছে, এমনভাবে তাকিয়ে আছে যেনো চোখ দিয়েই গিলে ফেলবে। ইশ,কেনো যে মিথ্যে বলতে গেলাম। আমি কি আর জানি নাকি যে তীর এইখানে এসেই বিঁধবে। হৃদ অনেক্ষন যাবৎ পর্যবেক্ষন করছে রওনক কে। রওনকের চোখ অনুসরণ করে দেখলো সে নম্রতার দিকে তাকিয়ে আছে। মনে মনে বললো, ওহ তাহলে এই ব্যাপার? বড় ভাই ধরছে বড়ডারে আর ছোট ভাই ধরছে বড়টার বইনেরে। নম্রতা তাড়াতাড়ি রুমে গিয়ে রওনক কে মেসেজ দিলো ছাদে এসো…।
সাদা পান্জাবীতে আজ যেনো রিত্তিককে সাক্ষাৎ রাজপুত্র লাগছে। অবশ্য সে রাজপুত্রের চেয়ে কম নয়৷ প্রাপ্তি এক পলক দেখেই অবাক হয়ে আছে যে রিত্তিক তাকে বিয়ে করতে চায়! মিসেস ইয়াসমিনি খান্না প্রাপ্তির থুতনিতে ধরে বললো, মাশাল্লাহ। আমাদের মেয়েকে পছন্দ হয়েছে। আপনাদের কোনো আপত্তি না থাকলে আজকেই আংটি পড়িয়ে রাখতে চায়। ফাতেমা বেগম আর আলেয়া বেগম মুখে হাসি এনে বললেন,আলহামদুলিল্লাহ। প্রাপ্তি হঠাৎ দাড়িয়ে বললো, আমি ওনার সাথে একান্ত কিছু কথা বলতে চায় মা।
চলবে…..