#বিশ্বাসঘাতক
#written_by_Liza
১৮+সতর্কবার্তা
প্রোটেকশন নিয়ে রাখিস,যেকোনোভাবেই ওঁকে রাজি করাতে হবে ট্যুরের জন্য বুঝলি তোরা? এই নিতু তুই ওঁকে একটু বুঝা,বল তোরা আছিস ভয় পাওয়ার কিছু নেই,পারলে আন্টিকে একটু বুঝিয়ে বলিস। কথাগুলো বলে সিগারেটে টান দিয়ে আপন সুখে ধোঁয়া ছাড়তে লাগলো নিরব।
সব ফ্রেন্ড সার্কেলরা বসে প্লান করছে কীভাবে তাদের ফ্রেন্ড পূর্বিতাকে ট্যুরের জন্য রাজি করাবে।
অন্যদিকে পূর্বিতা মায়ের সাথে তর্ক করছে “মা প্রতিবার তোমরা আমাকে বাঁধা দাও কেন বুঝিনা, আমার ও তো ইচ্ছে হয় ফ্রেন্ডদের নিয়ে ঘুরতে আড্ডা দিতে, কেন আমার বেলায় এত নিষ্ঠুর তোমরা? আমার অন্যান্য ফ্রেন্ডদের মা-বাবা তো এমন না। স্কুল লাইফ শেষ করে কলেজ লাইফ পার করেছি।এখন আমি আর ছোট নই মা। এবার অন্তত বুঝো তোমরা। আমার স্বাধীনতা এভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারো না”
পূর্বিতা বেশি কথা শুনতে চাইনি তোর থেকে,তোর কোথাও যাওয়া চলবে না শুনে রাখ। বেশি ট্যুরে যাওয়ার ইচ্ছে হলে তোর বাবাকে বলে অফিসের ছুটি নিয়ে একসাথে আমরা কোথাও ট্যুরে যাবো। তবুও কোনো ফ্রেন্ড নিয়ে ট্যুরে যাওয়া চলবেনা। এই আমার শেষ কথা (মা)
পূর্বিতা রাগে ক্ষোভে চোখের সামনে পানির গ্লাসটা আছাড় দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে,পূর্বিতার যেনো বড্ড রাগ বাড়ছে। পূর্বিতার মা উপেক্ষা করে রুম থেকে বেরিয়ে পরে,
দুপুরের দিকে পূর্বিতা বেস্টফ্রেন্ড নিতু আসে তাদের বাসায়,পূর্বিতার মা আড়চোখে নিতুর দিকে তাকিয়ে বলে “খবরদার পূর্বিতাকে ট্যুরে যাওয়ার ভুত মাথায় চাপিয়ে দিও না।তোমাদের ট্যুরে তোমরা যাও,আমার পূর্বিতাকে এসবে জড়াবে না বলে দিলাম। যা দিনকাল পরেছে এখন কারো ভরসা নেই”
নিতু মাথা নিচু করে পূর্বিতার রুমে ঢুকতেই পূর্বিতা জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয় আর বলতে থাকে “আমি এইবারো যেতে পারবো না রে,মা আমাকে যেতে দিবেনা কোনোভাবে। তোরা বল আমি কী ছোট রয়ে গেছি? মা তবুও কেন আমার সাথেই এসব করে?”
নিতু কিছু বলতে পারছেনা ভয়ে,নিতু ফিসফিসিয়ে পূর্বিতাকে একপাশে নিয়ে গিয়ে বলে “আমার মাথায় একটা প্লান আছে শুনবি? তুই ট্রাই করে দেখতে পারিস”
পূর্বিতা চোখ মুছে বলে “কি প্লান?”
তুই ক’দিন খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দে,রুম থেকে বের হোস না। আন্টি আপনা আপনি রাজি হবে। পূর্বিতা নিতুর কথামতো সেই কাজ করতে লাগলো।
খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিয়ে রুমে নিজেকে বন্দী করে রাখলো, পূর্বিতার এই হাল দেখে শেষমেশ পূর্বিতার পরিবার রাজি হলো।
ভোর ৫টাই বাসে রওনা দিবে পূর্বিতা, দুদিনের পথ। মাঝখানে একদিন থাকবে সেখানে,পূর্বিতা মহাখুশি। পূর্বিতা জিনিসপত্র রেডি করে যাওয়ার জন্য। ঐদিকে নিতু নিরব তাদের টিম প্লানে সাক্সেস।
পূর্বিতার মা অসহায়ের মতো দরজার পাশে দাড়িয়ে পূর্বিতাকে বিদায় দিচ্ছে,মনটা কেমন খচখচ করছে। মেয়ের জেদের কারণে যেতে দিতে হলো।
পূর্বিতা নিতু সবাই গ্রুপ মিলে অনেক মজা করলো সেদিন, ঘুমানোর জন্য তাবু টানানো হচ্ছে রাতে। পূর্বিতা নিতু এক তাবুর ভেতর থাকবে বলে ঠিক করেছে। যেই ভাবা সেই কাজ।
সবাই যে যার মতো করে ঘুমাতে গেলো। পূর্বিতা ও নিতু তাবুর ভেতর শুয়ে আছে,পূর্বিতা ঘুমিয়ে পরেছে।নিতুর চোখে এখনো ঘুম নেই,নিতুর ফোনে টুং টাং ম্যাসেজ আসছে। নিতু ম্যাসেজগুলো পরছে “কীরে নিতু, পূর্বিতা ঘুমিয়েছে? তোদের ঐদিকটা একদম নিস্তব্ধ হয়ে আছে দেখছি। পূর্বিতা ঘুমিয়ে গেলে তুই একটা মিস কল দিস আমাকে,আমি চলে আসবো”
নিতুর খানিকটা ভয় হচ্ছে,কিন্তু টাকার লোভে নিতু করতে বাধ্য। নিতু তাবু থেকে বেরিয়ে নিরবকে মিস কল দেয়। নিরব মিসকল পাওয়ার সাথে সাথে প্রোটেকশন পকেটে নিয়ে তাবুর দিকে এগোতে লাগলো রাত তখন আড়াইটা।
নিরবকে দেখে নিতু তাবুর সামনে থেকে সরে যায়। নিতুর হাতে টাকার বান্ডিলগুলো নিরব এগিয়ে দিয়ে বলে “এই নে তোর টাকা,পাহারা দে এখানে।কেউ যেনো টের না পায় বুঝলি?পূর্বিতাকে একটু আদর করে আসি”
নিরব রুমালে স্প্রে করে তাবুর ভেতর ঢুকে পরলো,পূর্বিতা ঘুমে বিভোর। নিরব পূর্বিতার মুখে রুমাল চেপে ধরে। পূর্বিতার কোনো নড়াচড়া নেই। নিরব ইচ্ছামত ধর্ষ**ণ করে পূর্বিতাকে। একে একে পুরো ছেলে গ্যাং করে ধর্ষ**ণ। এদিকে সবাই ঘুমে বিভোর। কারো কল্পনাতে আসে নি এমন কিছু ঘটবে।
নীরবে সব কাজ শেষ তাদের।
পূর্বিতার র**ক্তক্ষর*ণ হচ্ছে ভেসে যাচ্ছে। সবাই ভয় পেয়ে যায়। নিজেদের কাজ সেরে কেটে পরে তারা।
নিতু তাবুতে ঢুকে পূর্বিতার এই অবস্তা দেখে ঘাবড়ে যায়। নিতু নিরবকে ফোন দিয়ে বলে “তোরা যে এসব করলি ফাঁসবো তো আমি নিজেই,কারণ তাবুতে আমি ছিলাম।আমি থাকা স্বত্তেও এসব হলে সবাই আমাকেই সন্দেহ করবে। প্লিজ তোরা আমাকে উদ্ধার কর”
নিরব নিতুর কথায় চিন্তায় পরে যায়,নিরব পূর্বিতাকে কোলে করে নিয়ে জঙ্গলের ভেতর চলে গেলো। আশেপাশে তাকিয়ে দেখতে পেলো ইট। নিরব সাতপাঁচ না ভেবে ইট দিয়ে সজোরে পূর্বিতার মাথায় বারি দিতে লাগলো।
পূর্বিতার নিথর দেহ জঙ্গলে পরে আছে,শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়ে আছে। এদিকে নিতু তাবু পরিষ্কার করে ঘুমিয়ে পরলো।
সকাল বেলা চারদিকে হট্টগোল শুরু ,পূর্বিতাকে পাওয়া যাচ্ছে না,সবাই ভয়ে চুপসে আছে। সবাই তল্লাশি করে জঙ্গলে পূর্বিতার নিথর মর**দেহ পেলো।
পূর্বিতার মা জানার পর পাগল পাগল অবস্তা,মেয়ে হারানোর শোক তাকে বারবার বিষিয়ে মারছে। মর**দেহ পোস্টমর্টেম করতে নিয়ে যাওয়া হয়। রিপোর্টে ধরা পরে পূর্বিতাকে সেদিন রাতে একাধিকবার ধর্ষ*ণ করা হয়, স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে ব্লে**ডের দাগ পাওয়া যায় খুব জঘন্যভাবে।
পূর্বিতার মা নিতুর উপর সন্দেহের আঙ্গুল তুললেই নিতু ভয়ে সবটা স্বীকার করে। নিতু ও পুরো টিম শাস্তি পেলেও মায়ের বুক জুড়ে পূর্বিতা আর ফিরে আসবে না। সে অনেক দূরে চলে গেছে। সন্তানহারা পূর্বিতার মায়ের একটাই আর্তনাদ
“পূর্বিতা তুই ফিরে আয়”
সমাপ্ত
[আমাদের দেশে অহরহ এমন ঘটনা ঘটছে, আমাদের বাবা-মা কোথাও যেতে নিষেধ করলেই আমরা এমন ইমোশনাল ব্লাক*মেল করি। একবার ও কী ভেবে দেখেছেন তারা কেন নিষেধ করে? পূর্বিতার মত যাতে আপনার আমার অবস্তা না হয় এই কারণেই তাদের এত নিষেধাজ্ঞা। আজ কাল কেউকেই বিশ্বাস করা যায় না,এটাই তার একটি নমুনা মাত্র।]