?#The_Hate_Story?
?#Madness_Love?,18,19
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_8
আধার চলে যেতেই শবনম ওখানেই হাটু ভাজ করে বসে পরলো।
শবনমঃ আম্মু আযান এমন কেন করছে আমার সাথে। আমি কি কোন ভুল করেছি। আযানতো কখনো আমাকে কষ্ট দেওয়ার কথা ভাবতে ও পারতো না আর এখন আমাকে এভাবে কষ্ট দিচ্ছে কেন।???
প্লিজ আম্মু ওকে বলো না এমন না করতে I can’t live without him. ওকে বলো ফিরে আসতে প্লিজ।???
মায়া শবনমের পাশে বসে ওকে শান্ত করার চেষ্টা করছে।
আশরাফঃ I think he is not Aazan. আযান তো মারা গেছে ও কিভাবে ফিরে আসবে তাই না। আর ও যদি আযান হতো তাহলে আমাদের চিনতে পারতো। নিজেকে আধার রেজওয়ান বলে দাবী করার তো কোন কারনই আমি খুঁজে পাচ্ছি না তাইনা সূর্য।(সূর্যকে ইশারা করে)
সূর্যঃ আব হ্যাঁ হ্যাঁ ও আযান হতেই পারে না। ও আমাদের আযান না শবনম ও অন্য কেউ। কি যেন নাম বলছিলো আধার রেজওয়ান হ্যাঁ ও আধার নট আযান। (ভয়ে ভয়ে বলল)
যদি ও আযান হতো আমরা জেলে বসে এতক্ষনে চাক্কি পিসতাম।(বিরবিরিয়ে বলল??)
শবনমঃ না ও আযান আমার আযান। আমি ওকে চিন্তে কখনো ভুল করবো না।?? আমি এখনই
আযানের কাছে যাবো।
শবনম কাঁদতে কাঁদতে উঠে দরজার কাছে যেতেই হঠাৎ মাথা চেপে ধরে। মায়া আর সূর্য ভয় পেয়ে তারাহুরা করে ওকে ধরে। শবনম সেন্সলেস হয়ে গেছে।
মায়াঃ শবনম মামনি কি হয়েছে ঠিক আছো তুমি। (অনেকটা ভয় পেয়ে)
সূর্যঃ আন্টি I think শবনমকে একটু রেস্ট করতে দেওয়া দরকার। আজ ওর উপর দিয়ে অনেক দখল গেছে।
মায়াঃ হুম।
সূর্য শবনমকে ধরে ওর বেডে শুইয়ে দেয়। তারপর লাইট অফ করে সবাইকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।
নিজের রুমে এসে বিছানায় গা এলিয়ে দেয় মায়া। চোখ বন্ধ করে আজকে ঘটে যাওয়া ঘটনা মনে করতে থাকে ও।
রুমে এসে আশরাফ আর সূর্য বারবার এইদিক থেকে ঐ দিকে পাইচারি করছে।
সূর্যঃ What did you think dad. ওকি সত্যিই আযান না।
আশরাফঃ জানি না কিচ্ছু জানি না। ও যদি আযান হতো তাহলে এতো বছর পর কেন ফিরে আসবে। আর আধার হওয়ার নাটকই বা কেন করবে। ও চাইলে যে কোন মুহুর্তে আমাদের জেলে পাঠাতে পারে।
সূর্যঃ আমি এতো কিছু বুঝি না ও আযান নাকি আধার আই ডোন্ট কেয়ার। কিন্তু ও যদি আমার আর শবনমের মাঝে আসার চেষ্টা করে তাহলে ওর অবস্থা আগের মতো করতে আমি এক সেকেন্ড ও ভাববো না।??
আশরাফঃ Calm down সূর্য। আমাদের এখন প্রত্যেকটা কদম বুঝে চিনতে বাড়াতে হবে। একটা ভুল আমাদের এতো বছরের পরিশ্রমে পানি ঢেলে দিতে পারে।
তুমি খোজ নাও এই আধার রেজওয়ান কে আর কোথা থেকে এর উদয় হয়েছে।
সূর্যঃ হুম,,,
এইদিকে,,,,,
আধার রকিং চেয়ারে চোখ বন্ধ করে শবনমের কথা ভাবছে। শবনমের চোখের প্রত্যেক ফোঁটা পানি ওর হৃদয়কে ক্ষত বিক্ষত করে দিচ্ছে। নিজের অজান্তেই চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে ওর।
হঠাৎ ওর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা মনে পরতেই কপালের রগ ফুলে যায় ওর। চোখে ঘৃনার ছাপ স্পষ্ট হয়ে যায়।
আধারঃ কেন ভাবছি ওর কথা আমি। ও তো আমাকে শেষ করার আগে এক বারও ভাবে নি। ওর বাবা আমার পরিবারকে শেষ করার আগে এক বারও ভাবে নি আমাকে এতো ছোট বয়সে অনাথ করার আগে একবারও ভাবে নি।
সব নাটক ওদের সাজানো নাটক। নিজেরা বাঁচার জন্য এখন আবার এই ভালোবাসার নাটক করছে ও।
কিন্তু এবার বাজি আমার হাতে আমি তোমার ভালোবাসার মিথ্যা ফাঁদে আর পা দেবো না শবনম।
I just hate you I hate you (চেঁচিয়ে)
পাশে থাকা বড় Vase টাকে লাথি মেরে ভেঙ্গে ফেলে আধার।
হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল শবনমের। ধরফরিয়ে উঠে আশেপাশে আধারকে খুঁজতে থাকে ও। আজকের ঘটনা মনে পরতেই কেঁদে দেয় শবনম।
শবনমঃ আমি কিচ্ছু বুঝতে পারছি না এসব কি হচ্ছে আমার সাথে কেন হচ্ছে। আমার লাইফে এতো কমপ্লিকেশনস কেন আল্লাহ। আমি আর নিতে পারছি না।
হঠাৎ টেবিলে রাখা ল্যাপটপে নজর গেল ওর। শবনম নিজের চোখ মুছে উঠে সোফায় বসে ল্যাপটপ অন করে।
আধার রেজওয়ান দিয়ে সার্চ দিতেই দুই বছরের সব ডিটেইলস এসে পরে।
শবনম নিখুঁত ভাবে সব ডিটেইলস চেক করছে। দুই বছরের আগের কোন ডিটেইলস নেই। আর ফ্যামিলি বা ফ্রেন্ডস সার্কেলের ও কোন ডিটেইলস নেই।
শবনম ল্যাপটপ অফ করে কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলতে শুরু করে,,,,
শবনমঃ তুমি যে আযান এটা আমি সিওর। কিন্তু তোমার এই পরিবর্তনের পিছনে কি রহস্য এটা জানতে বাকি। তুমি কেন এমন করছো কেন আমাকে এতো হেট করছো সব জানার জন্য আমারো আগের মত হতে হবে নিজেকে স্ট্রং করতে হবে। তোমার সামনে দাঁড়াতে হবে। আর শবনম নিজের ভালোবাসাকে পাওয়ার জন্য সব করতে পারি।
তুমি তোমার #Hate_Story আমাকে দেখিয়েছো। এখন তুমি আমার #Madness_Love দেখবে।
Wait for tomorrow Aazan ……..
সকালে,,,,,
মায়া কিচেনে রান্না করছিলো। হঠাৎ পিছন থেকে কেউ উনার চোখ চেপে ধরে। মায়া চোখ থেকে হাত সরিয়ে পিছনে ফিরে অবাক হয়ে যায়।
শবনম হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে উনার সামনে। এতো বছর পর নিজের মেয়েকে এভাবে হাসতে দেখে চোখে পানি চলে আসে উনার।
শবনম মায়ার চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল,,,
শবনমঃ ওফফো আম্মু এখন এই মেলোড্রামা শুরু করে দিও না প্লিজ। আমার অন্নেক খুধা লাগছে তারাতারি খাবার দাও অফিসে যাবো।
মায়াঃ শবনম মামনি তুমি ঠিক আছো। আজ এতো বছর পর তুমি আগের মতো কথা বলছো আগের মতো বিহেভ করছো। আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। (শবনমের গালে হাত রেখে)
শবনমঃ কেন আম্মু তুমি খুশি হও নি আমাকে আগের মতো দেখে।
মায়াঃ বলে কি আমি খুশি হবো না। আজ আমি সবচেয়ে বেশি খুশি।
শবনমঃ তাইলে কান্না অফ করো আর enjoy the weather baby. ??
মায়াঃ এই দুই বছর তোর এই পাগলামো গুলি অনেক মিস করছি।
শবনমঃ উফফ please off Jao meri maa ?আমি অফিসে যাবো খাবার দিবা নাকি বলো।
মায়াঃ আহহা দশ মিনিট ওয়েইট কর দিচ্ছি।
খাবার শেষ করে শবনম রেডি হয়ে নিচে নেমে আসে।
শবনমঃ আম্মু আমি যাচ্ছি (চেঁচিয়ে)
শবনম গাড়িতে উঠে বসলো।
ড্রাইভারঃ ম্যাডাম অফিসে যাবো??
শবনমঃ না রেজওয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ চলেন। I’m coming Aazan upps sorry Mr. Aadhar Rejwan.
আধার নিজের ডেস্কে বসে কিছু ফাইল দেখছিলো। রাফি নক করে ভিতরে ঢুকে,,,,
আনাসঃ স্যার মিস চৌধুরী এসেছে।
আধারঃ মায়া চৌধুরী???
আনাসঃ না শবনম চৌধুরী।
আধারঃ Whatt. ও এখানে কেন এসেছে??
আধার ভাবেও নি যে কাল এতো কিছু হওয়ার পরেও শবনম আজ অফিসে আসবে।
আধারঃ ওকে উনাকে পাঠিয়ে দাও। (নিজেকে সামলে নিয়ে)
শবনম নক না করেই কেবিনে ঢুকে যায়। আর বলে,,,
শবনমঃ May I come in. ?
আধারঃ ঢুকেই তো পরেছেন আবার পারমিশন নেওয়ার কি আছে। (দাতে দাত চেপে)
শবনম আধারের বরাবর চেয়ারে বসে পরলো আর বলল,,,
শবনমঃ বসি?? ??
আধারঃ Of course madum. পারমিশন নেওয়ার কি আছে। নিজের অফিসই ভাবেন। (রেগে ফায়ার হয়ে)
শবনমঃ সিওর এতো যখন ইনসিস্ট করছেন সব কিছু নিজেরই ভাববো আপনাকেও।??
আধারঃ কিইই??
শবনমঃ না মানে বলছিলাম কেবিনটা অনেক সুন্দর I like it. ??
আধার নিজেকে কন্ট্রোল করছে কারন ওর অভ্যাস আছে শবনমের এমন ব্যবহারের।
শবনম আধারকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত স্ক্যান করে দেখছে। হোয়াইট শার্ট হাতা ফোল্ড করা কালো প্যান্ট একদম ক্লাসি লুকে একটু বেশিই হ্যান্ডসাম লাগছে আধারকে।
আধার শবনমের চাহনিতে একটু ইতস্তত বোধ করে বলল,,,
আধারঃ আপনি এভাবে আমাকে স্ক্যান করে কি দেখছেন। কখনো কি ছেলে দেখেন নি (দাতে দাত চেপে)
শবনমঃ দেখেছি বাট আপনার মতো হ্যান্ডসাম ড্যাশিং এন্ড কিউট মুন্ডা দেখেনি। ?(আনমনে বলে ফেলল)
আধারের মাথা ঘুরে যাওয়ার উপক্রম।
To be continued………
?#The_Hate_Story?
?#Madness_Love?
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_9
শবনমের কথা শুনে আধারের মাথা ঘুরে যাওয়ার উপক্রম।
আধারঃ কন্ট্রোল আধার কন্ট্রোল (মনে মনে)
হঠাৎ শবনমের খেয়াল হলো ও কি বলেছে। শবনম ভয়ে ভয়ে আধারের দিকে তাকাতেই দেখলো আধার আগ বাবুলা হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
শবনম কথা ঘুরানোর জন্য বলল,,,,
শবনমঃ ইয়ে মানে বলছিলাম যে আজকে আবহাওয়া অনেক গরম।( আমতা আমতা করে) Weather is very hot.( চাপা হেসে )
আধার নিজের চেয়ারে বসতে বসতে বলল,,,
আধারঃ আপনার আগমনের কারন টা তো এখনো বললেন না মিস শবনম। (কিছুটা সিরিয়াস হয়ে)
শবনমঃ Actually আমরা একসাথে একটা প্রজেক্টে কাজ করছি তাই আপনার সাথে পরিচিত হতে আসলাম আর কি। ??
আধারঃ আমি ভাবলাম কাল যা হলো তার পরে আপনি আমার সাথে কাজ করতে চাইবেন না।
শবনম ভ্রু কুঁচকে আধারের দিকে তাকালো।
আধারঃ না মানে,,, আপনি আমাকে কি যেন নাম ছিল (মনে করার এক্টিং করে) আ আমান নাকি!!
শবনমঃ আযান!!!
আধারঃ ওহ হ্যাঁ হ্যাঁ আযান !! আপনি আমাকে আযান ভাবছিলেন রাইট??
শবনম আধারের কথায় তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল,,,
শবনমঃ হুম কিছু সময়ের জন্য লেগেছিলো আপনি আযান। কিন্তু আমি ভুল ছিলাম আপনি আযান হতেই পারেন না। দুনো জনের মধ্যে জমিন আসমানের পার্থক্য। আপনি আযান নন আধার রেজওয়ান। am I right Mr Rejwan.
আর ভুল তো মানুষেরই হয়। সেই হিসেবে আমিও আপনাকে চিনতে ভুল করেছি। আযান তো অনেক আগেই আমার থেকে দূরে চলে গেছে। না ফেরার দেশে যেখান থেকে কেউ কখনো ফিরে আসে না। আর আমার সামনে যিনি বসে আছে সে অন্য কেউ। (অনেক কষ্টে কথা গুলো বলল)
শবনমের প্রত্যেক টা কথা আধারের বুকে তীরের মত বিঁধছে তবুও নিজেকে ওর সামনে দূর্বল করতে চাইছে না আধার।
আধারঃ Okay let’s change the topic. ডিলের ব্যপারে কিছু ডিস্কাশন করে নেই।
শবনমঃ সিওর। ফাইল গুলো আগে চেক করে নিলে কালকের প্রেজেন্টেশন এর জন্য কোন প্রবলেম হবে না।
আধারঃ হুম এইযে ফাইল,,, (টেবিলে হাত দিয়ে দেখে ফাইল নেই)
আধার ডেস্কে ভালো ভাবে চেক করে দেখে ফাইল গুলো নেই। পরক্ষনে আধারের মনে পরলো ফাইল গুলো ও আনাসের কাছে দিয়ে ছিলো।
আধারঃ আপনি একটু ওয়েইট করেন আমি ফাইল গুলো নিয়ে আসছি। (বলে বেড়িয়ে যায়)
শবনম আধারের যাওয়ার দিকে ভালোমতো স্ক্যান করে চেয়ার থেকে উঠে গেল।
শবনম আধারের কেবিনের সব জায়গায় ভালোমতো চেক করছে দেখছে কোন ক্লু পায় কি না।
আধারের পুরো কেবিন খুঁজেও কোন ক্লু পেলো না ও।
শবনমঃ উফফ কত কষ্ট করে খুঁজলাম কিন্তু ঘোরার ডিম ও পেলাম না useless ( রেগে ডাস্টবিনে লাথি মারলো) ডাস্টবিন থেকে সব ময়লা পরে ছড়িয়ে যায়।
শবনমঃ Oh Shitt,,, এটা কি হলো?? ওই আধার রেজওয়ান যদি এই নোংরা কেবিন দেখে I’m 100% sure ও বুঝে যাবে যে আমি ওর অফিসে ডিটেক্টিভগিরি করতে এসেছি।
শববম তুই এক নাম্বার গাধী এভাবে না দাঁড়িয়ে থেকে তারাতারি এগুলো সাফ কর।
শবনম ডাস্টবিনে সব ময়লা তুলছিল তখনই ও কয়টা কাগজের টুকরো পায়। একটা কাগজকে ছিড়ে অনেক গুলো টুকরো করা হয়েছে। শবনম টুকরো গুলো নিজের ব্যাগে ঢুকিয়ে নেয়।
হঠাৎ দরজা খোলার আওয়াজে শবনম দরজার দিকে তাকায়,,,
শবনমঃ ওহ শিট আধার কেবিনে ঢুকছে,,, এখন কি করবো ভাব শবনম ভাব,,,, Idea?
আধার কেবিনে ঢুকতেই চমকে যায়।??
চারপাশে ময়লা ছড়িয়ে আছে আর শবনম পায়ে হাত দিয়ে বসে আছে আর কাঁদতে কাঁদতে বলছে,,,
শবনমঃ এ্যা এ্যা আমার পা।??আমার পা ভেঙ্গে গেলো এখন আমি হাঁটবো কিভাবে আমারতো লাইফই ওভার হয়ে গেলো ???
আধার দৌড়ে শবনমের পাশে গিয়ে বসলো,,,
আধারঃ What happened Shabnam.কাঁদছো কেন (অনেক টা চিন্তিত হয়ে)
শবনম আড়চোখে আধারের দিকে তাকিয়ে আবার এক্টিং শুরু করল,,,
শবনমঃ আমার পা ভেঙ্গে গেছে অনেক ব্যাথা করছে।??
আধারঃ Shut Up,,কি আজে বাজে বকছো। কিচ্ছু হয় নি দেখি কোথায় ব্যথা পেয়েছো।
শবনম পায়ের গোঁড়ালি দেখিয়ে বলল,,
শবনমঃ এখানে,,,
আধার শবনমকে কোলে তুলে সোফায় বসিয়ে দেয়। তারপর ওর সামনে বসে পা ভালো করে চেক করে দেখে কোথায় কেটেছে কি না।
আধারঃ কাটে নি হয়তো মচকিয়ে গেছে তুমি বসো আমি আসছি,,,
আধার ফাস্টএইড বক্স এনে শবনমের সামনে বসে তারপর Spray বের করে ওর পায়ে যত্ন সহকারে লাগিয়ে দেয়।
আধারের চেহারায় চিন্তার ছাপ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এমন লাগছে যে ব্যথাটা ও নিজেই পেয়েছে।
শবনম আধারের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।
আধারঃ ব্যথা কমেছে??
শবনমঃ একটু
আধারঃ তুমি বসো আমি ডাক্তারকে কল করছি।
শবনমঃ এইরে কাজ সেরেছে এখন কি হবে ?
ডাক্তার আসলে ইয়া বড় বড় ইঞ্জেকশন দিলে আমার কি হবে।?? নিজের জালে নিজেই আটকে গেছি আল্লাহ তোমার এই মাসুম বান্দার উপর একটু রেহেম করো।??(মনে মনে)
শবনমঃ না না ডক্টরকে কষ্ট করে ডাকতে হবে না আমি এমনিই ঠিক হয়ে যাবো।??
আধারঃ জি না আপনি আমার অফিসে এসে আহত হয়েছেন তাই আপনার চিকিৎসার দায়িত্ব আমার।
শবনমঃ আরে এখন তো শুধু আহত হয়েছি ডক্টর আসলে নিহত হতে সময় লাগবে না। যদি বাঁচতে চাস মানে মানে এখান থেকে কেটে পর শবনম।??
আধার ডক্টরকে কল করতেই শবনম লাফ দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় আর আধারের হাত থেকে ফোন নিয়ে নেয়।
শবনমঃ ডক্টরকে কষ্ট দিতে হবে না এই দেখেন আমি ঠিক আছি (এখান থেকে ওখানে হেটে দেখিয়ে)
আধারঃ একটু আগেই তো হাটতে পারছিলেন না আর এখন???
শবনমঃ কে বলেছিলো ওভার এক্টিং করতে আম্মু ঠিকই বলে তুই ওভার এক্টিং এর দোকান। (মনে মনে)
শবনমঃ আব অনেক দেরি হয়ে গেছে অলরেডি ? কালকে দেখা হবে আমি আসি। (বলেই দৌড়)
আধার শবনমের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ভাবছে,,,
আধারঃ জারুর দালমে কুছ কালা হ্যায়।?
এইদিকে,,,,
শবনম দৌড়ে পার্কিংয়ে আসলো,,, দৌড়াতে দৌড়াতে হাঁপিয়ে গেছে ও।
শবনমঃ আল্লাহ মিয়া বড় জোর বেঁচে গেলাম নাহলে আজ আমার ইন্না লিল্লাহ হয়ে যেত।
রিং টোনের আওয়াজে ব্যাগ থেকে ফোন বের করে দেখে সূর্য কল করছে।
শবনমঃ উফফ এই সূর্যের উপর আমি কখন যেন গ্ৰহন লাগিয়ে দেই।
অনেকটা বিরক্তি নিয়ে কল রিসিভ করলো ও।
শবনমঃ হ্যালো??
সূর্যঃ হায় শবনম কোথায় তুমি কখন থেকে কল করছি অনেক টেনশন হচ্ছিল আমার জানো।
শবনমঃ Grow up shurjo. আমি বাচ্চা না যে হারিয়ে যাবো। একটা কাজ ছিল ওটাই কমপ্লিট করতে এসেছিলাম।
সূর্যঃ ওহ এখন কোথায় তুমি???
শবনমঃ জাহান্নম এর তিন নম্বর গলির নয় নম্বর বাড়িতে। (মনে মনে)
এখন কাজ শেষ তাই অফিসে যাচ্ছি।
সূর্যঃ শবনম বলছিলাম যে তুমি কি Green Lantern cafe তে আসতে পারবে।
শবনমঃ কেন ??
সূর্যঃ এমনেই অনেক দিন ধরে তোমার সাথে বসে কফি খাই নি তাই আর কি।
শবনমঃ উফফ নেকামি আর ভালো লাগে না। ?কিন্তু না গেলে আম্মুকে বলে দিবে।
ওকে তুমি কফি হাউসে ওয়েইট করো আমি আসছি। (বলে কল কেটে দিলো)
আজকে তোকে জন্মের কফি খাওয়াবো আমি। জীবনে আর কফি খাওয়ার নাম নিবি না। ??
To be continued……..