#The_Beauty_Of_Love,11,12
#Samayra_Mihu(Nafisa)
#Part_11
.
.
.
একটা রেস্টরেন্টে যায় সেখানে কিছু খেয়ে আবার অন্য যায় গা যায় সারাদিন ঘুরা ঘুরি করি আমরা,,, তারপর ফুচকা খায় ওনাকেও খাওয়ায় উনি দুটো খেয়ে আর খেতে পারে নি আমি পাঁচ প্লেট শেষ করে দি,,,,,,ফুচকা খাওয়ার পর আমরা নদীর দিকে ঘুরতে যায়,,,উনি আমার থেকে একটু দূরে দূরে হাঁটছে,,, আমি কাছে গিয়ে ওনার হাত ধরে হাঁটতে লাগি,,,,উনি অবাক হলেও কিছু বলে না,,,,,কিছুদূর যেতেই একটু দূরে দেখি রোহান আর একটা মেয়ে কথা বলছে,,,, কি কথা বলছে ঠিক বুঝতে পারছি না বাট দেখে মনে হচ্ছে রোহান রেগে আছে আর মেয়েটা কি যেনো বুঝানোর চেষ্টা করছে,,,কান্না ও করছে মেয়েটা,,,, আমি ওদের কাছে গেলাম গিয়ে বললাম,,
“কি হয়েছে এখানে?
আমাকে দেখে দুই জনেই আমার দিকে তাকালো,,রোহান কে দেখে মনে হচ্ছে কিছুটা ভয় পেয়েছে,,রোহান বলে,,
“আরে মিহু তুমি এখানে,, কামন আছো,,,
“আমি তোমার সঙ্গে কথা বলতে চায়নি,,,,, আপু তুমি বলো কি হয়েছে,,তুমি ওর কে হও,,?
“আমার নাম রুহি,, রোহানের সঙ্গে আমার রিলেশন এক বছর থেকে,, এই একবছরে রোহান যা বলেছে শুনেছি যা করতে বলেছে করেছি,,এখন আমার আব্বু আমার বিয়ে দিতে চায় ,,রোহান কে বলছি অনেক বিয়ে করো তো করতে চায় না,, এখন আমার সঙ্গে ব্রেক আপ করতে চায়ছে ,,,,(এই বলে কান্না করতে থাকে রুহি)
রুহির কথা শুনে অনেক রাগ উঠছে রোহানের ওপর রুহির সঙ্গে রিলেশন থেকেও আমার সঙ্গে রিলেশন করেছিল বেটা লু,,,আমি রোহানের দিকে তাকিয়ে ওকে সজোরে একটা থাপ্পর দিলাম,, রোহান রেগে বলে…
“মিহু!!! সাহস কি করে হলো তোমার আমাকে থাপ্পর দেওয়ার,,,
“আরে তুই সাহসের কি দেখলি তোকে তো মেরে ফেলতে ইচ্ছা করছে,,তুই রুহির সঙ্গে রিলেশন থেকেও আমার সঙ্গে প্রেম করতে আসছিলি তাই না,,,
“তোর সঙ্গে রিলেশনে গিয়েই আমার ভুল হয়ে ছিল কতো ন্যাকামি,,কখনো টাচ করতেই দিতি না,,,(রোহানের কথা শুনে আরো একটা থাপ্পর দিলাম)
“তোকে থাপ্পর মারলে ও তুই সোজা হবি না ,, তোকে আজ জন্মের শিক্ষা দিবো,,যাতে কোনোদিন কোনো মেয়ের মন নিয়ে খেলতে না পারিস,,,,
এই বলেই আসে পাসে কিছু একটা খুঁজতে লাগলাম,,কিছু দূরে অনেক বাঁশ পরে আছে ওখান থেকে একটা দিয়ে এলাম,, আমার কান্ড দেখে সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,, মাহির বলেই দিলো,,
“মিহু কি করছো তুমি পাগল হলে,,,
“চুপ করুন আপনি একে আজ শাস্তি দিতেই হবে,,,
আমি বাঁশ টা নিয়ে শাড়ির আঁচল টা কোমরে খুঁজে রোহানের কাছে যাই আর উড়া ধুড়া মাইর দিতে থাকি,,, অনেক ক্ষন মারার পর ও থামছি না রোহানের অবস্থা খারাপ রেখে রুহি মাহির আমাকে আটকায়,,,
“আপু ওকে মেরো না প্লিজ থামো মরে যাবে তো,,,(কান্না করে বলে রুহি)
“দেখ তুই এত অন্যায় করার পরও তোকে বাঁচাতে চায়ছে,,ছি তুই মরে যেতে পারিস না বজ্জাত কোথাকার,,,(এটা বলে আবারো মারতে লাগলাম)
“ভাইয়া প্লিজ আপু কে আটকান মরে যাবে তো রোহান,,,(রুহি মাহির কে বলে)
মাহির তো আমার এমন রূপ দেখে অবাকের সাত আসমানে উঠে গেছে কখনো এমন রাগ করতে দেখেনি,,,,মাহির জলদি এসে আমাকে আটকায়,,,
“মিহু মিহু স্টপ কি করছো মরে যাবে তো ,,,(আবার হাত ধরে টেনে)
“মরে যাক বাঁচার কোনো অধিকার নেই ওর সব মেয়ের মন নিয়ে খেলা বার করছি,,,(আবার তেরে মারতে যাচ্ছি কিন্তু উনি ধরে আছে)
“থাক আর না মরে যাবে তখন তোমাকে পুলিশ নিয়ে যাবে,,,,
এই বলে উনি আমাকে গাড়ির কাছে নিয়ে যায় গাড়ি থেকে পানি বার করে আমাকে দেয়,, আমি পানি খেয়ে একটু পরে শান্ত হলাম,,,তবুও হাঁপাচ্ছি,,
“আর ইউ ওকে?
“হুমম,,
“তুমি দেবী থেকে হঠাৎ রণচন্ডি হয়ে গেলে কেমনে,,(একটু ভয় পাওয়ার স্টাইলে জিজ্ঞেস করলো মাহির)
আমি ব্রু কুচকে তাকায় ওনার দিকে উনি বলে,,,
“ওকে থাক আর বলতে হবে না চলো বাড়ি যায়,,,
তারপর আমরা বাড়ি তে চলে আসি,,,বাড়ি এসে ফ্রেশ হয়ে মামনির সঙ্গে গল্প করে রাতে ডিনার করে ঘুমাতে এলাম,,,এসে দেখি উনি শুয়ে আছে,,আমি তাড়াতাড়ি বেডে উঠে ওনার পাসে ওনাকে জড়িয়ে ধরে চোঁখ বন্ধ করে নিলাম,,আমার এমন করায় উনি লাফিয়ে উঠলো,,,
“একি তুমি এখানে কেনো ঘুমাচ্ছো? যাও সোফায় ঘুমাও,,,
“না আমি এখানেই ঘুমাবো সোফাতে ঘুমাতে আমার কষ্ট হয়,,,
“ওকে তাহলে আমি সোফায় ঘুমাচ্ছি,,(এই বলে উনি উঠে যেতে লাগে ,,আমি ওনার হাত ধরে আবার টান দিয়ে বেডে শুয়ে দি আর আমি জড়িয়ে ধরি ওনাকে)
“না কোথাও যাবেন না আপনি এখানেই ঘুমাবেন আমার অনেক ভয় করছে একা ঘুমাতে প্লিজ আমার কাছে ঘুমান,,,,(ইনোসেন্ট ফেস করে বললাম)
“ওকে ওকে,,,
আমি ওনার বুকে মাথা রেখে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ি কেনো যানি আজ খুব শান্তি লাগছে ওনার বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে,,মনে হচ্ছে দুনিয়ার সব সুখ আমার কাছে আছে এখন অনেক ভালো লাগছে,,,
এই দিকে মাহির ভাবছে,,,,,, মিহু কি করতে চায়ছে,, কাল রাতে ও তো সব ঠিক ছিল,, কিন্তু সকাল থেকে কি এমন হলো যে এতো অদ্ভুত অদ্ভুত বাইনা নিয়ে আমার কাছে আসছে,,,, এমন পাগলামো করার কারণ কি মাহির ভেবে পায়না,, তবে মিহু কে এতো কাছে রাখতেও মন্দ লাগছে না তার কাছে বরণ অনেক ভালো লাগছে,,,,মাহিরের মনে হচ্ছে সারাজীবন এমন করেই রাখতে মিহু কে,,, মাহির মিহুর কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে দেই,,,,, আরো অনেক কিছু ভাবতে ভাবতে মাহির ও ঘুমিয়ে পড়ে মিহু কে জড়িয়ে ধরে,,,,,
।।
সকালে ঘুম ভাঙ্গলে দেখি আমরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আছি ওনার ঘুম এখনও ভাঙ্গে নি,, এলো মেলো চুল গুলো কপালে পরে আছে আমি চুল গুলো সরিয়ে কোপালে কিস করলাম,,, কিন্তু আমার শুধু কপালে কিস করে মন ভরলো না ,, গালে ও কিস করে বসলাম,,,আস্তে আস্তে ঠোঁটের দিকে আগাতে লাগি তখনি উনি নরে চড়ে উঠে আর আমি সরে যায়,,আবার ঘুমের ভান করে থাকি,,,আল্লাহ কি করছিলাম এখনই দেখে ফেললে আমার আর রক্ষে থাকতো না,,,,,,
মাহিরের ঘুম ভেংগে গেলে দেখে মাহির মিহু কে জড়িয়ে ধরে আছে,,, মিহু এখনও ঘুম মাহিরের মুখে একটু হাসি ফুটে উঠল,,মাহির মিহুর কপালে কিস করে উঠে যায়,,,,ফ্রেশ হতে ওয়াশ রুমে চলে যায়,,,,
উনি ওয়াশ রুমে গেলেই আমি লাফিয়ে উঠে বসলাম,, আল্লাহ এটা উনি কি করলো আমি স্বপ্ন দেখলাম নাকি সত্যি উনি আমাকে কিস করলো,,, না না এটা সত্যি না আমি স্বপ্ন দেখছিলাম,,,নিজেকে একটা চিমটি কেটে আআআআআ বেথা লাগছে তারমানে সত্যি,,,,, মানে ওনার মনেও আমার জন্য কিছু আছে কিন্তু বলে না কেনো একবার বলে দেখুন আমি আপনাকে ছেরে কোথাও যাবো না,,,,,,যাক এটা তো বুঝলাম আপনিও আমাকে পছন্দ করেন এখন আপনাকে আরো বেশি জ্বালাতে পারবো হিহিহিহি,,,,
।।
আমি উঠে ওয়াশ রুমের কাছে গেলাম গিয়েই যোরে বলে উঠলাম,,,
“চৌধুরী সাহেব, চৌধূরী সাহেববববব!!!!! দরজা খুলুন,,,
“মিহু চিৎকার করছো কেনো দেখতেই তো পাচ্ছো আমি ভিতরে আছি,,,(উনি ভিতর থেকে একটু রেগে বললো)
“আমার দেরি হচ্ছে আমি কলেজে যাবো বের হন আপনি আমি ফ্রেশ হবো,,,(মুখ টিপে হেসে)
“আজব তো আমার দেরি হচ্ছে না আমিও তো অফিসে যাবো,, ওয়েট করো আমি একটু পরে বের হচ্ছি,,,,
কিন্তু আমি কোনো কোথায় শুনছি না আবার যোরে ডাকতে থাকি চৌধূরী সাহেব বলে,,, কিন্তু একি আচমকা দরজা খুলে আমাকে টেনে ভিতরে নিয়ে গেলেন,, ওনার দিকে তাকিয়ে দেখি উনি টাওয়াল পরে আছে আর কিছুই না ,, আল্লাহ এই ছেলের লজ্জা বলতে কিছু নেই নাকি,, আর এতো ঠান্ডার মধ্যে গোসল করছে আল্লাহ,,,তখন উনি রেগে বললো,,
“নাও ফ্রেশ হয়ে যাও,,
“হ…হ্যাঁ হবো তো কিন্তু আপনি বের হন আগে,,
“না আমার সঙ্গেই করো আমারও লেট হচ্ছে সো আমি বের হবো না চলো এক সঙ্গে গোসল করি,,,
“এই না না আমি গোসল করব না এই ঠান্ডা তে,,,
“তা বললে কি করে হয় চলো চলো গোসল করি,,,
“না না আমি চলে যাচ্ছি আপনি মনের সুখে গোসল করুন,,,(নিজের জালে নিজেই ফেঁসে গেলাম এখন কি করি)
“কেনো যাবে তোমার না কলেজ যেতে লেট হচ্ছে আসো গোসল করি,,,
এই বলে উনি শাওয়ার ছেড়ে দেই আর দুইজনেই ভিজে যায়,, আল্লাহ কি ঠান্ডা গরম পানি বিলেও তো পারতো,,,আমি ভিজে একদম পানি পানি,,ওনার দিকে তাকিয়ে দেখি উনি আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,, আমি সরে যেতে নিলে উনি আমার হাত ধরে টান দেয় আর আমি ওনার বুকে গিয়ে পরি,,,উনি আমার থেকে এতো টাই লম্বা যে ওনাকে দেখতে হলে মাথা উচু করে দেখতে হবে কিন্তু পানির জন্যে ভালো করে তাকাতেও পারছি না,,, উনি আমার মুখ ধরে আরো কাছে নিয়ে যায়,,আমার কপালে গালে গলায় কিস করতে থাকে,,ওনার প্রতিটা পর্সে কেপে কেপে উঠছি,,,উনি আস্তে আস্তে আমার ঠোঁটের দিকে আগাতে লাগে আমাদের ঠোঁট অনেক কাছা কাছি,,,কিন্তু উকি উনি সরে গেলো কেনো,,, আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বাইরে চলে গেলো,,,আমি পাথরের মতো দাড়িয়ে আছি কি হলো কিছুই বুঝলাম না হঠাৎ করে ওনার কি হয়,, কাছে আসে আবার দূরে ঠেলে দেয়,,,
।।
এই দিকে মাহির,, রেগে দেওয়ালে একটা বাড়ি দিলো,,, কি করতে যাচ্ছিলো আজ সেটাই ভাবছে মাহির,,, সরি বলা দরকার মাহিরের মিহুকে এটাই মনে করছে,,,,,, মাহির ভাবছে,,,,,, আমি তো কসম করেছিলাম কোনো মেয়ের সঙ্গে কখনো জড়াবো না তাহলে মিহুর কাছে থাকলে এমন কেনো হয় আমার নিজেকে ধরে রাখতে কেনো পারি না ,,এই জন্যে তো এতো দিন ইগনোর করে এসেছি,,কিন্তু মিহু কাল থেকে যা শুরু করেছে এমন করলে তো আমি দুর্বল হয়ে পড়বো,, না না আমাকে রুড হতে হবে,,,,,,,,এমন ভাবছিলো আর তখন আবার মিহুর ডাক,,,
“চৌধুরী সাহেব আমার ড্রেস টা দিন না ,, আমি তো কিছু নিয়ে আসিনি,,,
“তুমি এসে নিয়ে যাও,,(রেগে)
” ঠিক আছে যেমন আছি এমন করেই যাচ্ছি তাহলে বাইরে,,,
“কি!! না না আমি দিচ্ছি ওয়েট বাইরে আসতে হবে না ,,,
উনি আমাকে ড্রেস দিলে আমি চেঞ্জ করে বের হয়ে আসি এসে দেখি রুম ভিজা,,, ওহ উনি তো ভিজা শরীরে বাইরে এসেছিল ,,, আমি রেডি হয়ে নিচে চলে গেলাম,,নাস্তা করে ওনার সঙ্গে বেরিয়ে পরলাম আমাকে কলেজে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় উনি,,,,, আমাদের এক্সাম আর দুই মাস পরে,, আর কিছু দিন ক্লাস হবে তারপর আর হবে না একেবারে এক্সাম,,, এই কইদিন ক্লাস মিস করা যাবে না,,,, আপাতত এখন সবাই পড়াশোনা নিয়েই বিজি হয়ে পরে,,,,
।।
ক্লাস শেষে আমরা বাড়িতে চলে আসি,, রাতে ডিনার এর জন্যে খাবার রেডি করছি আর মামনি বলছি,,,
“মামনি আমার তো সামনে এক্সাম এই কইদিন একটা টিউসন পড়লে হয় না,,,?
“ভালো কথা তো আমি মাহির কে বলে দিবো তোর জন্য ভালো মাস্টার দেখবে,,,
“আম্মু টির্চার লাগবে না আমি পড়াবো রোজ রাতে এই কইদিন,,,(মাহির পিছন থেকে বলে উঠলো,, কখন এসে আমাদের কথা শুনেছে বুঝতেই পারিনি)
“তাহলে তো ভালই হলো তুই পরাবি,,,,
।।
আমরা ডিনার করে নিজের নিজের রুমে চলে গেলাম আমি রুমে গিয়ে বই নিয়ে পড়তে বসলাম,,কিছু খন পরে উনিও এসে বসলো আমার কাছে,, আমাকে পড়াতে লাগে,, বাহ অনেক ভালোই বুঝাতে পারে দেখি নিঃশ্চয় আগের জন্যে স্যার ছিলো হিহিহিহি,,,, এমন করেই রোজ আমাকে পরাতো উনি,, আর দিন দিন আমার অত্যাচার ও বাড়তে লাগে ওনার প্রতি,, উনি কিছু বলে না তবে মাঝে মাঝে শাস্তি দিতে ছারে না,,,,,,,,এখন ওনাকে রোজ রাতে ওনাকে জড়িয়ে না ধরলে ঘুম ই আসে না আর উনিও আমাকে ছেড়ে ঘুমায় না,,,,,,,,,
চলবে?
#The_Beauty_Of_Love
#Samayra_Mihu(Nafisa)
#Part_12
.
.
.
আমরা ডিনার করে নিজের নিজের রুমে চলে গেলাম আমি রুমে গিয়ে বই নিয়ে পড়তে বসলাম,,কিছু খন পরে উনিও এসে বসলো আমার কাছে,, আমাকে পড়াতে লাগে,, বাহ অনেক ভালোই বুঝাতে পারে দেখি নিঃশ্চয় আগের জন্যে স্যার ছিলো হিহিহিহি,,,, এমন করেই রোজ আমাকে পরাতো উনি,, আর দিন দিন আমার অত্যাচার ও বাড়তে লাগে ওনার প্রতি,, উনি কিছু বলে না তবে মাঝে মাঝে শাস্তি দিতে ছারে না,,,,,,,,এখন ওনাকে রোজ রাতে ওনাকে জড়িয়ে না ধরলে ঘুম ই আসে না আর উনিও আমাকে ছেড়ে ঘুমায় না,,,,,,,,,,,দেখতে দেখতে আমাদের এক্সাম চলে এলো,, উনি এই কইদিনে অফিসের কাজ রেখে আমাকে সময় দিয়েছে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে পড়াতে,,,,ভালোই ভালোই এক্সাম দিলাম আমরা উনি রোজ আমাকে নিয়ে যেতেন আবার নিয়ে আসতেন,,, আজ আমাদের শেষ এক্সাম উনি রেখে গেছে তবে নিতে আসবে না ড্রাইভার কে পাঠিয়ে দিবে বলেছে ওনার নাকি আজ মিটিং আছে নয়তো উনি ই আসতো,,,,, এক্সাম দিয়ে আমরা সবাই বের হলাম,,,,
“এক্সাম তো শেষ হলো এবার কি করবি তোরা,,(আয়ান)
“কি আর করবো ভালো ছেলে দেখে বিয়ে করে নিবো,,(মাইশা আয়ান কে রাগানোর জন্য বললো)
“হ্যাঁ আমিও ভাবছি ইউনিভার্সিটি তে নতুন নতুন গার্ল ফ্রেন্ড করবো,,,(মাইশার কথা কেয়ার না করে বললো আয়ান)
“কি বললি কুত্তা তুই নিউ গার্ল ফ্রেন্ড বানাবি দ্বারা তুই আজ তোর একদিন কি আমার একদিন,,,,(রেগে বললো মাইশা)
“মাইশা আমি তোমার লাগি ভুলে গেছো নাকি তুই করে কেনো বলছো তুমি করে বলো,,
“রাখ তোর তুমি আর একবার নতুন গার্ল ফ্রেন্ড এর কথা বললে হাত পা সব ভেঙে ফেলে রাখবো,,,,
“এই জন্য সেম বয়সী প্রেম করতে হয় না একটু তে তুই তে চলে যায় আবার ভয় ও দেখায়,,,(মনে মনে বললো আয়ান,, এটা বলে মাইশা কে বললো) মাইশা বেবি আমি কেনো নতুন গার্ল ফ্রেন্ড করবো তুমি তো আছো আমার কলিজা,,,,,
ওদের কান্ড দেখে আমি রোদ নিপু যোরে হেসে উঠলাম,,অধরা ও হাসছে তবে কোনো শব্দ হচ্ছে না,,,, আয়ান মাইশা টম অ্যান্ড জেরি কাপল,, মাইশা আয়ান কে জ্বালাবার জন্য বিয়ের কথা বললে আয়ান ও উল্টা অন্য গার্ল ফ্রেন্ড করবে বলে কিন্তু মাইশা রাগ দেখিয়ে আয়ান কে আবার ঠিক রাস্তাই আনে,, দুজের মধ্যে অনেক ভালোবাসা,,,,,,,,আমরা সবাই আড্ডা দিচ্ছিলাম তখন নিপুর ফোন আবার বেজে উঠলো,, নিপু দূরে গিয়ে কথা বলতে লাগলো আমি সবাই কে বললাম,,
“আচ্ছা নিপুর ফোন একটু বেশি আসছে না? আগে তো কেও ফোন করলে আমাদের সামনেই কথা বলতো,, কিন্তু কিছু দিন থেকে দেখছি ফোন এলেই দূরে গিয়ে কথা বলে,,,,
“হ্যাঁ আমিও খেয়াল করেছি,, মাইশা তো অনেক বার জিজ্ঞেস ও করেছে কিন্তু কথা ঘুরিয়ে দিয়েছে,,,(রোদ)
“আজ জিজ্ঞেস করবো আবার দেখি বলে কি,,(মাইশা)
আমরা এই সব কথা বলছিলাম তখনি নিপু আসে আর মাইশা জিজ্ঞেস করতে যাবে তার আগেই নিপু বলে উঠে,,,,
“তোদের একজনের সঙ্গে আজ মিট করিয়ে দিবো,,,
“কার সঙ্গে পরিচয় করাবি,,?(রোদ)
“চল আমার সঙ্গে সবাই,,
এই বলে নিপু আমাদের নিয়ে যেতে লাগলো কাওকে আর কিছু বলতে না দিয়ে,,, কিছু দূরে একটা রেস্টরেন্ট আছে ওখানে গিয়ে আমরা সবাই বসলাম,, নিপু কাকে যেনো ফোন করলো,, ফোনে দুটো কথা বললো,, “কই তুমি” “আচ্ছা ঠিক আছে” নিপুর কান্ড দেখে আমরা চুপ করেই আছি দেখছি শুধু কি করতে চায়ছে নিপু,,,কিছুক্ষন বসে থাকার পরে একটা সুন্দর কিউট ছেলে আমাদের কাছে এলো ছেলেটা আসতেই নিপু ওই ছেলে কে জড়িয়ে ধরলো,,,আমরা তো হা করে তাকিয়ে আছি এই প্রথম নিপু কোনো ছেলে কে জড়িয়ে ধরা দেখলাম,,নিপু কখনো ছেলেদের ধারে কাছে আসতে দিতো না,,, তখন নিপু আমাদের উদ্দেশে বলে উঠে,,,
“মিট মাই বয়ফ্রেন্ড আয়ন,,,(মুচকি হেসে)
নিপুর কথা শুনে আমরা সবাই হা করে উঠে দাড়ালাম অনেক অবাক হয়ে রোদ মাইশা আয়ান আমি একসঙ্গে বলে উঠলাম,,,
“বয়ফ্রেন্ড!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
“এতো অবাক হচ্ছিস কেনো আমার কি পছন্দের মানুষ থাকতে পারে না নাকি,,,নে এখন পরিচয় হয় নে,, আয়ন ও মাইশা, ও আয়ান,, এটা মিহু আর অধরা রোদ,,আমার ফ্রেন্ড ,,(নিপু)
“আসসালমুয়ালাইকুম (আয়ন)
(এখানে আয়ান আর আয়ন দুটো কিন্তু আলাদা এক ভেবে ভুল করবেন না)
“ওয়ালাইম আসসালাম জিজু,,(সবাই)
“হুম বুঝলাম কিন্তু কেমনে কি বইন কি করে তোদের পরিচয় হলো,,,?(মাইশা)
“তোরা কি খাবি বল খেতে খেতে বলা যাক,,,
আমরা সবাই খাবার অর্ডার দিলাম তারপর নিপু বলে উঠলো,,
“তোদের মনে আছে ইন্টার ১ম বর্ষের এক্সাম দিয়ে আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম লালবাগ ,, সেখানে আয়নের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়,, প্রথমে তো ঝগড়ায় করি বাট পরে ভালো ফ্রেন্ড হয়ে যায় আমরা,, আমাদের মধ্যে কথা হতো ফ্রেন্ড হিসেবে কিন্তু ছয় মাস আগে আয়ন আমাকে প্রপোজ করে আর আমারও ভালো লাগতো ওকে তাই অ্যাকসেপ্ট করে নিলাম,,,,,
“এতো দিন আমাদের বলিস নি কেনো?(আমি)
“আয়ন কাজের জন্য বাইরে ছিল দুই দিন আগে ফিরেছে,, আমি ভেবেছিলাম একেবারে মিট করবো,,,(নিপু)
তারপর আমরা সবাই অনেক গল্প আড্ডা দিলাম আয়ন ভাইয়া অনেক ভালো,, অনেক মজার মানুষ একটা,,, ,,অনেক ক্ষন আড্ডা দিয়ে আমরা নিজের নিজের বাড়িতে চলে আসি,,,উনি এখনো আসে নি অফিস থেকে,,, মামনি আমি গল্প করছি আজ অনেক দিন পর আবার মামনির সঙ্গে মন ভরে গল্প করছি এতো দিন পড়ার জন্য ভালো করে কথা বলা হইনি এখন তো পরা নেই,,,
“মিহু আমাদের প্ল্যানের স্টেপ A অনেক ভালো কাজ হয়েছে মনে হচ্ছে,, কিন্তু প্ল্যান B আছে ওটা ভুলে যাস না আবার,,,,,
“মামনি তোমার মনে হয় প্ল্যান A কাজে দিয়েছে উনি তো এমন কিছুই করে না যেটা আমরা চায়,,,(মন খারাপ করে)
“তুই বুঝিস না মাহির অনেক টাই দুর্বল হয়ে পরেছে তোর প্রতি,, এবার শুধু ওর মনের কথা টা বার করার কাজ,, আর এই কাজ টার জন্যেই তো প্ল্যান B করা বুঝছিস তুই,,,,
“হুমম বুঝেছি যা করার এখনি করতে হাতে বেশি সময় নেই আর,,,কিন্তু মামনি জেরিন নামের মেয়েটা আজ কাল একটু বেশি ফোন করছে ওনাকে,, এটা আমার একদম ভালো লাগছে না,,,
“তুই মাহির কে সামলে রাখ ও নিজেই চলে যাবে,,,,
মামনি আমি আরো কিছু কথা বলে রুমে চলে আসি,,, এখন রাত ৯ টা উনি আসছে না কেনো এখনও,, আজ কি এতোই কাজ নাকি অফিসে,,হতেও পারে এতো দিন তো আমার জন্যে অফিসে ভালো মতো সময় দেয় তাই মেবি অনেক কাজ পেন্ডিং পরে আছে,,,,,,,আমি আরো কিছু খন ওয়েট করি তবুও আসে না একসময় ঘুমিয়ে পড়ি আমি,,,,,,,,,,,,সকালে ঘুম ভাঙ্গলে নিজেকে কারো বুকে পায় তামিয়ে দেখি উনি আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে,,কাল কখন এসেছে বুঝতেই পারিনি,,,,ওনার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম কামন জানি চিন্তার ছাপ স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে,,,,উনি কি কিছু নিয়ে টেনশনে আছে নাকি,,,,, হয় তো কাজ বেশি করায় এমন হয়েছে,,,,ওনার কপালে একটা কিস করে আমি উঠে চলে গেলাম,,,ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে আসি,,,,কিছুক্ষন পরে উনি রেডি হয়ে নিচে আসে নাস্তা করে অফিসে চলে যায়,, কোথাও হলো না ঠিক ভাবে এতো কাজ নিয়ে থাকে কেনো লোকটা বুঝি না,,,,,,,, এমন করে কিছু দিন কেটে গেল,,,,
।।
আমি রুমে বসে ছিলাম তখন অধরার ফোন এলো,,আমি রিসিভ করে বললাম,,
“কামন আছিস মান্নু,,,
“ভালো(অধরার কথা টা শুনে কামন জানি লাগলো)
“কিছু হয়েছে তোর?
“বিকেলে একটু আমাদের বাড়িতে আসতে পারবি,,,আজ আমাকে দেখতে আসবে মিহু আমি এখন বিয়ে করতে চায় না আবির ভাই ও কাজের জন্যে বাইরে গেছে এই সুযোগে মা এমন করেছে তুই কিছু কর মিহু,,,
“ঠিক আছে আজ আমি আর উনি যাবো ওর বাড়িতে,,,,
এই বলে ফোন কেটে দিলাম,,, বিকেলে উনি এলে আমি ওনাকে রাজি করিয়ে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়ি অধরার বাড়ির উদ্দেশে,,,,,অধরার বাড়ি গেলে দেখি মেহেমান রা মাত্র এসে বসেছে অধরা এখনও নিজের রুমে আছে পাত্র ও এসেছে দেখতে একদম আংকেল টাইপ অধরার অনেক বড়ো হবে কালো আর মোটা গোপগোপ করে মিষ্টি খাচ্ছে,,দেখেই তো আমার মাথা গরম হয়ে গেলো,,এক ভদ্র মহিলা ওই কালো মহিষের সুনাম করেই যাচ্ছে ,,আমার ছেলে এমন অমন কোনো মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নেই হিরার টুকরা ছেলে আমার ,,, হাইরে হীরার টুকরা ছেলে দেখে তো কইলার খনি মনে হচ্ছে,,,,,,,,,,,,,আমরা ভিতরে ঢুকলে,, আমাকে দেখে অধরার মা এর খুব একটা ভালো লাগে নি তা মুখ দেখেই বুঝলাম,,,কিন্তু ওনাকে মনে হয় চিনে আবিরের ফ্রেন্ড হিসেবে তাই ওনাকে সোফায় বসতে দিলো আমি সোজা অধরার কাছে চলে গেলাম,,,
“তুই এসেছিস দেখ মিহু আমি বসবো না ওদের সামনে ,,দেখ মা কি দিয়ে গেছে এতো ভারি শাড়ি আর মেক আপ ,,আমি কখনো মেক আপ করিনি আমার এই সব ভালো লাগে না,, পছন্দ করলে আমাকে এমনিতেই করবে এই সাজ আর মেক আপ দিয়ে নয়,,,
“তোকে এই সব পড়তে হবে না একটা সিম্পল শাড়ি পরে নিজের মতো সেজে আমার সঙ্গে আয়,, তবে টেনশন করিস না ওই কালো মহিষের সঙ্গে তোর বিয়ে হবে না,,,,
এই বলে অধরা কে সাজিয়ে নিয়ে এলাম ওদের সামনে,,,,,পাত্র আর এক ভদ্র মহিলা এসেছে,,ভদ্র মহিলা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে অধরা কে,,,তখন ভদ্র মহিলা বলে উঠে,,
“একটু হেটে দেখাও তো মা,,
এই কথা শুনে অধরা আমার দিকে তাকালো আমি ইশারায় করতে বললাম,, অধরা একটু হেটে দেখালো,,,মহিলা টা আবার বললো,,,
“তুমি রান্না করতে পারো বাড়ির কাজ করতে পারো ?
“কেনো আণ্টি আপনি কি ছেলের জন্যে মেয়ে দেখতে এসেছেন নাকি কাজের মেয়ে দেখতে?(আমি হালকা একটু হেসে বললাম)
“মিহু এটা কি ধরনের বেয়াবোপি বড়দের মাঝে কথা বলো কেনো,,(একটু রেগেই বললেন অধরার মা)
“কেনো আণ্টি আমি ঠিক বলিনি,,, ওনারা মেয়ে দেখতে এসেছে নাকি কাজের মেয়ে,,,, মেয়ে বলে কি আমাদের সব কিছু মেনে চলতে হবে যা বলবে তাই শুনে চলতে হবে,? আমরা কি পছন্দ করি কোন কাজ টা করতে ভালো , কোনটা ভালো লাগে না ,,এগুলার কোনো দাম নেই? আর হেঁটে কেনো দেখতে হবে রুম থেকে এতো দূর কি আমি অধরা কোলে করে নিয়ে এলাম তখন দেখেনি ভালো করে হাঁটতে পারছে কি না,,,,আর আণ্টি জি আপনি আপনার কালো মহিষ এর মতো ছেলে কে নিয়ে যেতে পারেন আমরা বিয়ে দিবো না আপনার ছেলের সঙ্গে,,,,,
মহিলা টা রেগে উঠে দাঁড়ায় আর বলে,,,
“এমন করে ডেকে অপমান না করলেও পারতেন আপনারা,,,আর আমিও দেখবো কতো ভালো জামাই আনো ,,,(এই বলে চলে যায়)
“এটা কি করলে মিহু আমাদের বিষয়ে তুমি কেনো দুখলে এতো ভালো বড়লের ছেলে হাত ছাড়া হয়ে গেলো,,,(রেগে বললেন অধরার মা)
“দেখুন আণ্টি আমি কখনো মান্নুর খারাপ চায়নি আর মান্নু এখন বিয়ে করবে না ,, আর আপনি কখনো যদি এমন করেন তো আবির কে বলতে বাধ্য হবো আপনি ঠিক কামন ব্যাবহার করেন অধরার সঙ্গে,,ভুলে যাবেন না আবিরের কলিজা অধরা ওর জন্যে সব করতে পারে,,,,,,,,
অধরা র মা আর কিছু বলে না চলে যায় রেগে গজগজ করতে করতে,,,এই দিকে মাহির নিরব দর্শকের মতো সব দেখছিল,, সে অনেক অবাক আর কতো রূপ দেখতে হবে ওকে মিহুর সে ভেবে পায়না,,,,,,
“থ্যাংক ইউ মিহু তুই না থাকলে আমার এই কালা কাওয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়ে যেতো,,,,
“মান্নু তুই না বলেছিলি আমাদের মধ্যে নো সরি নো থ্যাংক ইউ,,,,,
“ওহহ হো ভুলে গেছিলাম,,,,
আরো একটু থেকে আমরা বাড়িতে চলে এলাম,,, উনি আজ আমার দিকে একটু বেশি ই তাকিয়ে থাকছে দেখি কি এমন হলো কি যানি,,,,,,,,
কিছুদিন পর,,, বিকেলে আমি ছাদে বসে আছি দোলনায়,, মাথার মধ্যে অনেক কিছু ঘুরছে,,,উনি কি আমাকে মেনে নিবে নাকি নিবে ,,উনি বুঝবে না কখনো আমি ওনাকে ঠিক কতটা ভালবাসি,,এমন কেনো উনি সব সময় আমার থেকে দূরে থাকবে আবার রাতে ঘুমালে কাছে আসবে,,, আমি জানি আপনিও আমাকে ভালোবাসেন বলেন না কেনো বলুন তো ,,,, অনেক কিছু ভাবছিলাম তখন আমার ফোন টা বেজে উঠলো,,, রিসিভ করে যা শুনলাম তা শুনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না হাত থেকে ফোন টা পড়ে গেলো,,চোখ থেকে পানি পড়ে যাচ্ছে ,,আমি দৌড়ে নীচে চলে এলাম মামনির কাছে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
চলবে?