#The_Beauty_Of_Love,19,20
#Samayra_Mihu(Nafisa)
#Part_19
.
.
এই দিকে মাহির স্বপ্নে দেখে মিহু তার কাছে ফিরে এসেছে,,”চৌধূরী সাহেব আমি এসে গেছি “এই বলে জড়িয়ে ধরেছে,,কিন্তু ঘুম ভাঙতেই আবার চলে যায় মিহু,,, এমন স্বপ্ন রোজ দেখে মাহির কিন্তু কোনদিন সত্যি হয়না,, কিন্তু আজ কেনো জানি মাহিরের অন্য রকম লাগছে,, মনে হচ্ছে মিহু তার কাছে ফিরে আসবে,, আবার তার জান পাখি কে দেখতে পাবে সে,,, কেনো এমন মনে হচ্ছে মাহিরের,, গত তিন মাসে এমন ই মনে হতো মাহিরের কিন্তু আজ একটু বেশি ই মনে হচ্ছে,,আর বিশ্বাস জাগছে মিহু তার কাছে ফিরবে,,,,,,,এসব চিন্তা ভাবনা করতে করতে মাহির চলে গেলো ফ্রেস হতে,,,,,,,
মাহির অফিসে কাজ করার চেষ্টা করছে কিন্তু কিছু তেই কাজে মন বসছে না তার,,কেনো এমন হচ্ছে তা মাহিরের জানা নেই,,মন টা বড্ডো চটপট করছে,,,এতো করে কাজে মন দেওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু কিছুতেই মন বসছে না কাজে তার,,,তখনি ফোন আসে মাহিরের,,, মাহির ফোন হাতে নিয়ে দেখে জেরিনের ফোন একপ্রকার বিরক্ত হয়ে ফোন রিসিভ করলো মাহির,,,ফোন রিসিভ করতেই ওই পাস থেকে জেরিন বলে উঠে,,,
“মাহির বিকেলে তুমি ফ্রি আছো? তাহলে কিছু শপিং করার ছিলো আন্টির জন্যেও ওষুধ নিতে হবে,,তুমি কি আমার সঙ্গে যেতে পারবে,,,,(একদম ভদ্র মেয়ের মতো বললো কথা গুলা জেরিন)
“আমাকে কেনো লাগবে তুমি ড্রাইভার কে নিয়ে যাও,,(বিরক্ত হয়ে)
“প্লিজ মাহির চলো না,, আমি একা সব কিছু পারবো না তোমাকে দরকার,,,
মাহির বাধ্য হয়ে রাজি হয়ে যায়,, জেরিন কে রেডি হয়ে অফিসে আসতে বলে,, এখান থেকেই যাবে মাহির,,,জেরিন কে নিয়ে শপিং মলে,,,,,
এই দিকে নয়ন অফিসে কাজ করছে,, কাজের চাপ অনেক বেশি আজ তার,, নয়ন কে বিকেলে বের হতে হবে মিহু কে নিয়ে তাই দ্রুত কাজ শেষ করতে চায় ছে,,,,, মিহু সে তো যেনো রুমের একবার এই দিকে তো একবার ওই দিকে হাঁটা হাঁটি করছে,,তার যেনো সময় যাচ্ছেই না আজ,, কখন নয়ন আসবে আর তাকে তার চৌধূরী সাহেব এর কাছে নিয়ে যাবে,,,,,দেখতে দেখতে সময় চলে আসে নয়নও যথা সময়ে বাড়িতে এসেছে,,,,, নয়ন আসার সময় একটা শাড়ি কিনে আনে মিহুর জন্যে ,, ওটা মিহু দিয়ে পড়তে বলে,,এটাই পরে যাবে মিহু,,,,, নয়ন তার মা এর কিছু গহনা এনে মিহু কে দেই যদিও মিহু নিতে চায় নি কিন্তু নয়নের জিদের কাছে হার মেনেছে মিহু,,,, নয়নের আনা শাড়ি নীল রঙের অনেক সুন্দর,,যদিও নীল রং মাহির ওতো টাও পছন্দ করে না কিন্তু মিহুর যে এতো অপকার করলো তাকে না করে কি ভাবে,,তাই ওটাই পরলো,,,
মিহু খুব সুন্দর করে শাড়ি পরলে,,,মামনির কাছে শিখে নিয়েছে শাড়ি পরা তাই আর শাড়ি পরতে অসুবিধে হয় না মিহুর,,,, মিহু সুন্দর করে রেডি নয়নের রুমে যায়,, নয়ন মিহুর দিকে হা করে তাকিয়ে আছে যেনো চোখ ই ফেরাতে পারে না,,,, নয়ন তো এই সাজেই তার ভালোবাসার মানুষ কে দেখতে ছেয়েছিল তাই এমন শাড়ি অনে,, কে জানে আর কখনো মিহু কে দেখতে পাবে কি না,,,,,, নয়নের হা করে তাকিয়ে থাকা দেখে মিহুর একটু অন্য রকম লাগে,,
“নয়ন আমি রেডি কখন বের হবো আমরা,,
“এতো তাড়া যাওয়ার জন্য,,এখানে ভালো লাগছে না?(মিহুর কোথায় ধ্যান ভাঙ্গলে বলে নয়ন)
“না তেমন না অনেক দিন চৌধূরী সাহেব কে দেখিনি তো তাই,,,
“হুম বুঝেছি,, বাই দা ওয়ে তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে,,,
“চিনকু,,,(মুচকি হেসে)
“চিনকু মানে কি?(অবাক হয়ে)
“আরে থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ কিছু বুঝে না নয়ননা,,,
“জীবনেও শুনি নি এমন ভাষা,,আর তুমি আমার নাম কি বললা? নয়ননা কি,,(ব্রু কুচকে)
“কিছু না চলো তো,,,(হেসে)
নয়ন মিহু কে নিয়ে বেরিয়ে পরে,, চৌধূরী হাউস এর উদ্দেশ্যে,,,গাড়ি তে নয়ন বার বার মিহুর দিকে তাকাচ্ছে,,, আজ যে তার ভালোবাসার মানুষ দূরে চলে যাচ্ছে,, এতো দিন কাছে থেকেও ছিলো না,, ঘুম পরি হয়ে ছিলো,,,তবুও দেখে মন শান্তি করতো,,,কিন্তু এখন তো একেবারে দূরে চলে যাচ্ছে নয়ন থাকতে পারবে তো মিহু কে ছেরে,,,এই তিন মাসে যে নয়নের অভ্যেস হয়ে গেছিলো মিহু,,,,,,,,,,, নয়ন হাজারো চিন্তা করছে,,,আর এই দিকে মিহু খুব খুশি চৌধুরী সাহেব কে দেখবে বলে,,,,,,,
কি একটা পরিবেশ তাই না,,,একি গাড়ি তে বসে দুজনের দুই রকম চিন্তা ভাবনা,,একজনের কষ্ট হচ্ছে একজন খুশিতে আত্নহারা,,, একজন কষ্ট পাচ্ছে ভালোবাসার মানুষ কে একে বারে হারাবে বলে,, দূরে চলে যাচ্ছে বলে,,,, একজন খুশি হচ্ছে তার মাহির কে আবার ফিরে পাবে বলে,,,,,,,,
নয়ন মিহুর মুখের দিকে তাকিয়ে এক প্রশান্তির হাসি দেই,,,কারণ মিহু কে দেখে অনেক হ্যাপি মনে হচ্ছে,,, নয়নের অনেক ভালো লাগে এক ভালোবাসার মানুষ কে তার ভালোবাসার মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিতে,,,নিজের ভালোবাসা বিসর্জন দিয়ে,,,,,,,ভালোবাসা টা সত্যিই খুব সুন্দর যার কপালে থাকে যে পৃথিবীর সব থেকে লাকি,,,আজ কাল কার ভালোবাসা কোথায় টেকে,,,আজ প্রপোজ করলো তো এক মাস পরেই ব্রেক আপ হলো,,,,,,,,,
নয়নের অন সাইড লাভ,,, তবে নয়নের ভালোবাসায় একটুও খোট নেই,,,মন থেকে ভালবাসে নয়ন তবে নয়ণের এখন কষ্ট হচ্ছে না মিহুর মুখের হাসি দেখে এতো খুশি মেয়েটা আজ,,,,,,,,, নয়ন গাড়ি চালাচ্ছিল তখনি মিহু বলে,,
“নয়ন গাড়ি থামাও আমি মাহির কে দেখলাম,,,(মিহুর কোথায় নয়ন গাড়ি থামিয়ে নেমে আসে,, মিহু ও বের হয়)
“কোথায় মাহির? আর এই সময় মাহির এখানে কি করবে,,,
“আমি এই শপিং মলে ঢুকতে দেখেছি মাহির কে,,আমি ভুল দেখিনি,,মাহির কে চিনতে আমার ভুল হতেই পারে না,,,
“ঠিক আছে চলো ভিতরে গিয়ে দেখি,,,
এই বলে নয়ন মিহু ভিতরে যায়,,, পুরো শপিং মল এদিক সেদিক ভালো করে খুঁজে মিহু আর নয়ন,,,কিন্তু দেখতে পায়না,,, নয়ন বলে,,
“হোয়তো তোমার মনের ভুল মাহির এখানে নেই,, চলো,,,
মিহু ভাবে ও তো দেখলো মাহির কে ধুঁকতে,, এটা তার মনের ভুল হতে পারে না মাহির এখানেই আছে,,কিন্তু নয়নের কোথাও তো ঠিক এই সময় মাহির এখানে কি করবে ও এই সময় অফিসে থাকে,,, হয় মুনের ভুল ই হবে,,,এই ভেবে মিহু নয়নের সঙ্গে যেতে লাগছিলো,,, দুই পা হাটার পরে আমার ওপরে চোখ যায় মিহুর,, মাহির দাড়িয়ে আছে,, না এটা ভুল না মিহু সত্যি ই দেখেছে মাহির কে,, মুখে হাসি ফুটে উঠলো মিহুর,,,
“নয়ন আমি ভুল দেখিনি দেখো মাহির আছে এখানে,,,
এই বলেই দৌড়ে যেতে লাগে ওপরে নয়ন দেখে মাহির সত্যি আছে কিন্তু মিহুর এমন দৌড়ানি দেখে পিছন থেকে বলে,,
“মিহু সাবধানে দৌড়ে যাচ্ছো কেনো পরে যাবে তো,,(এই বলে নয়ন ও মিহুর পিছনে যায়)
মিহু ওপরে উঠে যায়,,, মিহু মাহির কিছু দূরের দূরক্ত এখন,,কিন্তু মাহির এখনও দেখেনি মিহু কে সে ফোন টিপতে ব্যাস্ত,,,, মিহু দুর থেকেই চিৎকার করে বলে,,
“চৌধূরী সাহেববববববব!!!!!!!!!
এমন ডাক শুনে মাহির চমকে উঠে সামনে তাকায়,,,দেখে কিছুটা দূরে মিহু দাড়িয়ে আছে,,,মাহিরের হাত থেকে ফোন টা নিচে পড়ে যায়,,আর পাথরের মতো দাড়িয়ে থাকে,,এতো দিন পাগলের মতো খুঁজেছে মিহু কোথাও পায়নি,,আজ হঠাৎ সামনে দেখে অবাক হয়ে যায়,,,খুশি তে কি করবে বুঝতেই পারে না,, মাহিরের চোঁখ জ্বলজ্বল করছে মনে হচ্ছে এখনি কান্না করে দিবে,,,,,,,এই দিকে মিহু কান্না করেই দিয়েছে,,এতো দিন পর চৌধূরী সাহেব কে দেখে,,কি অবস্থা করেছে নিজের মাহির তাই ভাবছে,,,,, মিহু আর থাকতে না পেরে দৌড়ে যেতে লাগে মাহিরের কাছে কিন্তু কিছু দূর যেতেই থমকে দাঁড়ায়,,,আর এক পাও ওঠাতে পারে না মিহু,,,,,,,, চোঁখ থেকে আরো বেশি জল পড়তে লাগে,,,এতো খন খুশির কান্না করছিলো কিন্তু মুহূর্তেই কান্নার ধরন টা বদলে গেলো,,, মিহু এখন আশ্রু ভেজা চোখে সামনের মানুষ তার দিকেই তাকিয়ে আছে,,,,,,,,এই দিকে মাহির ও দাড়িয়ে আছে কিন্তু মাহির ভাবছে মিহু আসতে আসতে দাড়িয়ে গেলো কেনো,,, আর ওর মুখ টা এমন দেখাচ্ছে কেনো,,, চোঁখ দেখে মনে হচ্ছে হাজারো প্রশ্ন করছে তাকে,,,,,,মাহিরের অবাক লাগে,,পাসে তাকিয়ে দেখে জেরিন তার হাত ধরে দাড়িয়ে আছে,,,,,
হ্যাঁ মিহু জেরিন কে দেখেই থেমে গেছে,,, হঠাৎ জেরিন মাহিরের পিছন থেকে এসে মাহিরের হাত ধরে আর অনেক কাছে ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকে,,,যে কেও দেখেই বলবে এরা কাপল,,,,জেরিন শাড়ি পরে আছে,,আজ মাহিরের সঙ্গে বেরোবে বলে অনেক সুন্দর করে সেজে শাড়ি পরেছে মাহির কে ইমপ্রেস করার জন্য,,,,,,জেরিন শপিং করছিলো,, হঠাৎ মিহু কে দেখে ভুত দেখার মতো চমকে উঠে,,, কিন্তু জেরিন ভাবে মিহু কে বিশ্বাস করতেই হবে কে মাহির জেরিন কে বিয়ে করেছে,,, তাই মিহুর মাহিরের কাছে আসার আগেই জেরিন গিয়ে মাহিরের হাত ধরে ফেলে আর এমন ভাব করে যেনো মিহু কে জেরিন দেখেই নি,,,,, মিহু কে না দেখার ভান করে মাহির কে বলে,,,
“বর মশায় কি করছো এখানে দাড়িয়ে চলো না আমরা তো শপিং করতে এসেছি এখানে দাড়িয়ে আছো কেনো,,,? চলো আমাকে শাড়ি পছন্দ করে দিবা,,,( ঢং করে মাহিরের আরো কাছে গিয়ে একটু জোরেই বলে যাতে মিহু শুনতে পায়,,)
জেরিনের কথা শুনে মাহির অগ্নি দৃষ্টি তে তাকায় জেরিনের দিকে,,,,,এই দিকে মিহু বর মশায় শুনে যেনো বুকের ভিতরে কেও তির ছুড়ে মেরেছে এমন অবস্থা,,,এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলো তার চৌধূরী সাহেব তাকে,,, তাহলে কি সত্যি কখনো ভালোবাসেনি মাহির মিহু কে,, যে মিহুর তিন মাস দূরে থাকায় জেরিন কে বিয়ে করেছে,,,বিয়ে করবেই না কেনো মাহির তো আর মিহু কে ভালবেসে বিয়ে করেনি আর না মিহু মাহিরের মনে ভালোবাসা জাগাতে মেরেছে,, মিহুর আজ মামনির কথা মনে পড়ছে খুব মিহু নিজে নিজে বলে,,,
“পারি নি আমি মামনি তোমার ছেলেকে ভালোবাসা শিখতে,, পারবো কি করে বলো তো তোমার ছেলে যে আমাকে ভালোবাসে না জেরিন কে ভালোবাসে,,আমিও কি বোকা তাই না মামনি পাগলের মতো ভালোবেসে গেছি তোমার ছেলে কে,,,কিন্তু আর না উনি সুখে থাক জেরিনের সঙ্গে,,আমি আর যাবো না ওনার লাইফে,,,, আমি যদি আগেই জানতাম উনি বিয়ে করেছে তাহলে কখনো সামনে আসতাম না মৃতই থেকে যেতাম তার কাছে,,,,(নিজে নিজে আস্তে আস্তে মনে মিহু)
মিহু এক পা পিছিয়ে যায় সেখান থেকে,, মিহুর এমন পিছনে যাওয়া দেখে মাহির বলে,,
“মিহু কোথায় যাচ্ছ মিহু দাড়াও,,
কিন্তু না মিহু শুনে না দৌড়ে চলে যায় যেতে যেতে নয়নের সঙ্গে ধাক্কা লাগে,,তাকিয়ে দেখে নয়ন ,, নয়ন কে দেখে আরো কান্না করতে লাগে মিহু আর বলে,,
“নয়ন প্লিজ আমাকে এখন থেকে নিয়ে চলো আমি আর এক মুহূর্তও থাকবো না এখানে,,, নিয়ে চলো প্লিজ,,,,
এতো খন দাড়িয়ে নয়ন ও দেখেছে সব কিছু,,, মিহুর কষ্ট টাও বুঝছে,,,কিন্তু নয়নের মনে হচ্ছে একবার কথা বলা দরকার মাহিরের সঙ্গে কারণ চোখের দেখাও কখনো কখনো সত্যি হ্য় না,,, কিন্তু এই মুহূর্তে মিহু কিছু তেই মানবে না সে অনেক কষ্ট পেয়েছে,, তাই নয়ন মিহু কে নিয়ে সেখান থেকে চলে আসে,,,,
এই দিকে মাহির মিহু কে অন্য একটা ছেলের সঙ্গে যেতে দেখে মাথা টায় গরম হয়ে যায়,,তার থেকে বেশি কষ্ট হয় মিহু তাকে ভুল বুঝলো একবার জিজ্ঞেস ও করলো না,,,, মাহির রেগে জেরিনের দিকে তাকায়,, জেরিন ভয় পেয়ে মাহির কে ছেরে দেই,,,মাহির সজোরে একটা থাপ্পড় মেরে সেখান থেকে মিহুর পিছনে চলে যায় দৌড়ে,,, মাহির শপিং মলের বাইরে বের হয়ে দেখে মিহু ওই ছেলে টার সঙ্গে গাড়ি তে করে চলে যাচ্ছে মাহির চেয়েও পারলো না আটকাতে,,,গাড়ির নম্বর টা দেখে নিলো শুধু মাহির,,,,,,মাহির নিজে নিজে বলে,,,
“একবার যখন পেয়েছি তোমায় আর ছাড়ছি না,, তোমাকে কতটা ভালবাসি তুমি ভাবতেও পারবে না জান পাখি,, কিন্তু তুমি আমাকে ভুল বুঝে চলে গেলে,, তোমাকে এর শাস্তি তো পেতেই হবে,,আমি তোমাকে যোর করে আনবো না তুমি নিজেই আসবে আমার কাছে,,এতো দিন আমার থেকে দূরে থেকে আজ ফিরে এসে আবার ভুল বুঝার শাস্তি হারে হারে তের পাবে তুমি জান পাখি,,,,,তোমার ভুল ধারণা তো আমি ভাঙিয়ে ই ছাড়বো কিন্তু আমার কাছে নিয়ে আসবো না যতো দিন না তুমি নিজে আমার কাছে ফিরে আসো,,,,,,(এই বলে টেডি স্মাইল দিয়ে চোখে সান গ্লাস পরে চলে গেলো মাহির)
চলবে?
#The_Beauty_Of_Love
#Samayra_Mihu(Nafisa)
#Part_20
.
.
.
“একবার যখন পেয়েছি তোমায় আর ছাড়ছি না,, তোমাকে কতটা ভালবাসি তুমি ভাবতেও পারবে না জান পাখি,, কিন্তু তুমি আমাকে ভুল বুঝে চলে গেলে,, তোমাকে এর শাস্তি তো পেতেই হবে,,আমি তোমাকে যোর করে আনবো না তুমি নিজেই আসবে আমার কাছে,,এতো দিন আমার থেকে দূরে থেকে আজ ফিরে এসে আবার ভুল বুঝার শাস্তি হারে হারে তের পাবে তুমি জান পাখি,,,,,তোমার ভুল ধারণা তো আমি ভাঙিয়ে ই ছাড়বো কিন্তু আমার কাছে নিয়ে আসবো না যতো দিন না তুমি নিজে আমার কাছে ফিরে আসো,,,,,,(এই বলে টেডি স্মাইল দিয়ে চোখে সান গ্লাস পরে চলে গেলো মাহির)
মাহির গাড়ি তে উঠে রনি কে ফোন করলো,,
“রনি তোমাকে একটা কার নম্বর পাঠাচ্ছি,,এই গাড়ি টা কার আর গাড়ির মালিকের পুরো ডিটেস আমার চায় এক এক ঘণ্টার মধ্যে,,,,
“জ্বি স্যার আমি দেখে বলছি,,,
এই বলে কল কেটে দেয়,, মাহির ভাবে মিহু এতো দিন কোথায় ছিল আর বেঁচে থেকেও কেনো আসে নি আমার কাছে,,আর ওই ছেলেটাই বা কে,, মিহু ওর সঙ্গে গেলো কেনো,,,এমন হাজারো প্রশ্ন ঘুরছে মাহিরের মাথায়,,মাহির তো আর যানে না মিহু এতো দিন কোমায় ছিলো,,,,,,,,মাহির তার ভাবনায় বিভোর হয়ে ছিলো তখনি রনির কল আসে,,,এক ঘন্টা হওয়ার আগেই কল করেছে রনি,,মাহির মুখে একটা শয়তানি হাসি দিয়ে ফোন রিসিভ করে,,,
“হ্যাঁ রনি বলো,,,
“স্যার এই গাড়ি টা নয়ন আহমেদ এর,,আহমেদ গ্রুপ অফ ইন্ডাসট্রি আরিফ আহমেদ এর একমাত্র ছেলে নয়ন আহমেদ,,,,,,খবর নিয়ে জানলাম গত তিন মাস ধরেই ম্যাম আহমেদ বাড়ি তে আছে কিন্তু সুস্থ অবস্থায় না,, ম্যাম কোমায় ছিলো কাল ই মিহু ম্যাম সুস্থ্য হয়েছে তখন থেকেই আপনার কাছে আসার জেদ ধরেছিল আর মিস্টার নয়ন ও নিয়ে আসে,,,,,,,(এক দমে পুরো কথা গুলা বলে থামলো রনি)
“শেষের কথা গুলা কি করে জানলে তুমি?(মাহির কিছুক্ষন ভেবে বললো)
“স্যার আহমেদ বাড়ির দারোয়ানের কাছ জেনেছি প্রথমে তো বলতে চায় ছিলো না কিন্তু টাকা দেওয়ায় সব বলে দেই,,,
“গ্রেট রনি,,,
“স্যার আর একটা কথা ছিলো,,,
“হ্যাঁ বলো,,
“দুই দিন পড়ে যে আরিফ আহমেদ এর সঙ্গে মিটিং আছে একটা ডিল নিয়ে,, সেই আরিফ আহমেদ ই নয়ন এর বাবা,,,
“এটা তো আরো ভালো খবর ওকে তাহলে দুই দিন পরে দেখা হচ্ছে,,,(ফোন টা কেটে শয়তানি হাসি দেই মাহির)
জেরিন রেগে শপিং ব্যাগ গুলা ছুড়ে মারে,,শপিং মলের ভিতর এতো লোকের সামনে মাহির তাকে থাপ্পর মেরেছে ভেবেই জেরিনের গা জ্বলে উঠছে,,,আর সব থেকে বেশি রাগ উঠছে মিহু বেঁচে আছে এটা দেখে,,, জেরিন পারলে এখনি মিহু কে মেরে ফেলবে,,,জেরিন নিজে নিজে বলে,,,
“বাঁচলো কি করে এই মেয়ে,,আর বেঁচেই যখন ছিলো তখন এতো দিন কোথায় ছিলো?,,,, এই মেয়ের জন্য আমার তিন মাসের সব পরিশ্রম বিথা যাবে,, মাহির কখনো আর আমার দিকে তাকাবে না,, কিন্তু এতো কিছু করার পর ও বেঁচে ফিরলো কি করে,,,আমি তো বাঁচার কোনো রাস্তায় রাখি নি,,,,,সে যায় হোক আমার মাহির কে লাগবেই,, আমি কখনো এই মিহুর হতে দিবো না,,ভুল তো বুঝিয়ে দিয়েছি ই এখন দেখো এই জেরিন কি করে,,,(এই ভেবে সেখান থেকে চলে যায় জেরিন,,)
মিহু নয়নের সঙ্গে বাড়ি তে এসে দৌড়ে তার রুমে চলে যায়,, গিয়েই দরজা বন্ধ করে দেই,,, নয়ন ও পিছন পিছন গিয়ে মিহু কে অনেক ডাকাডাকি করে কিন্তু মিহু শুনে না,, নয়ন ভাবে মিহু কে একটু একা থাকতে দেওয়া দরকার তাই নয়ন নিজের রুমে চলে যায়,,,এই দিকে মিহু রুমে এসেই বেডে বসে কান্না করতে থাকে,,তার বিশ্বাস ই হচ্ছে না মাহির এমন করবে,, বিশ্বাস না করার ই কি আছে মাহির তো মিহু কে ভালোই বাসে নি কখনো,,,অনেক ক্ষন কান্না করে চোখের জল মুছে ফেলে মিহু,, তারপর উঠে নয়নের রুমে যায়,,নক করে ঢুকে বলে মিহু,,,
“নয়ন আমাকে আমার মামা মামীর কাছে রেখে এসো প্লিজ,,
“এখানে থাকতে সমস্যা কোথায়?(মিহুর মুখের দিকে তাকিয়ে বললো,,)
“না আর কতো দিন থাকবো একদিন তো যেতেই হবে ,,আমাকে কাল সকালেই রেখে আসবে,,,(এই বলে নয়ন কে কিছু বলার সুযোগ দিলো না মিহু চলে গেলো,,, নয়ন বড়ো একটা নিঃশ্বাস ছেরে শুয়ে পরলো,,,)
এই দিকে জেরিন শপিং মল থেকে একায় বাড়ি তে ফিরে,,বাড়ি তে ঢুকতেই সামনে তাকিয়ে চমকে উঠে,,, কারণ মাহির দাড়িয়ে আছে হাতে একটা ট্রলি ব্যাগ নিয়ে,,, জেরিন ভাবে কাজের জন্যে কোথাও যাচ্ছে মনে হয়,,, তাই জিজ্ঞেস করে,,
“কোথাও যাচ্ছো তুমি মাহির,, কাজের জন্য নাকি,,আচ্ছা কতো দিন পরে ফিরবে,,,(এই সব জিগ্গেস করলো জেরিন মাহির কে,, মাহির মুচকি হেসে উত্তর দিল).
“আমি কোথাও যাচ্ছি না জেরিন,,,
“তাহলে কে যাচ্ছে? আর হাতে ব্যাগ কেনো নিয়ে আছো?(অবাক হয়ে)
“কারণ এতে সব কিছু তোমার জিনিস ভরা আছে জেরিন,,,এই বাড়ি থেকে এই মুহূর্তে তুমি যাচ্ছো,,, তোমার কাজ শেষ এখন তুমি আসতে পারো,,,,(হাতে থাকা ব্যাগ টা থেকে জেরিনের কাছে দিয়ে)
জেরিন এটা শুনে তো অবাক,, আর কি বলবে বুঝতেও পারছে না,,জেরিন তবুও বলে,,
“এটা কি বলছো মাহির আমি চলে গেলে আন্টির খবর কে রাখবে? আন্টির দেখা সোনা কে করবে,,তুমি যানো না আণ্টি কতো অসুস্থ্য,,,,, এমন মজা আর করো না মাহির আমি আণ্টি কে এই অবস্থায় ছেরে কোথাও যাবো না,,,(নেকা সেজে বলে)
তখন রুম থেকে মাহিরের মা বেরোতে বেরোতে বলে,,
“অনেক করেছো জেরিন এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে,, কিন্তু আর না আমি এখন পুরো পুরি সুস্থ্য আছি তোমাকে আর আমার প্রয়োজন নেই,, সো মাহির যা বললো তাই হবে তুমি এখন আসতে পারো,,,
মাহিরের মা কে এমন দেখে আরো বেশি অবাক জেরিন কারণ এই তিন মাসে কথা বলা তো দূরে থাক রুম থেকে বের হয় নি পর্যন্ত,,,কিন্তু এখন তো দেখে একদম সুস্থ্য হয়ে উঠেছে উনি,,,জেরিনের আর কিছু বলার বা করার নেই তবুও শেষ চেষ্টা জেরিন করবেই,,,তাই মাহিরের কাছে গেলো,,,
“মাহির প্লিজ আমাকে যেতে বোলো না আমার এখন এইসব অভ্যেস হয়ে গেছে,, আন্টির দেখা সোনা করতে আমার ভালো লাগে,,আর আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি,,প্লিজ এমন করো না,,,(কান্না করে)
“বন্ধ করো তোমার ন্যাকা কান্না,, আজ শপিং মলে যা করেছো তার জন্য কখনো ক্ষমা করবো না আমি,,, আর আমি মিহু কে ভালোবাসি,,আমার আর মিহুর মধ্যে তৃতীয় কেও আসলে আমি খুন করতেও দুই বার ভাববো না,,, তুমি এখনি এই বাড়ি থেকে যাও নয়তো তোমার জন্য ভালো হবে না,,,,,,,(এই বলেই মাহির ওপরে নিজের রুমে চলে যায়)
জেরিন অগ্নি দৃষ্টি তে তাকিয়ে থাকে মাহিরের যাওয়ার দিকে,,, জেরিন কাওকে ছাড়বে না এটা ভেবেই ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়ে মাহিরের বাড়ি থেকে,,,,,,,,,এই দিকে মাহিরের আম্মু অনেক খুশি যে তার বউমা ঠিক আছে,, কিন্তু মাহির কে ভুল বুঝে চলে গেছে এটা মোটেও ভালো লাগে নি তার,,,এতো দিনে কি বুঝিয়ে ছিলাম মিহু কে আর সে কিছুই বুঝে নি,,,মাহির এমন একটা কাজ করবে ভাবলো কি করে মিহু এটাই ভাবছে মাহিরের আম্মু,,,,,
কিন্তু এখানে মিহুর ই বা কি দোষ দিব,,, ভালোবাসার মানুষ টাকে অন্য একটা মেয়ে ধরে এমন কথা বললে সব মেয়েই ভুল বুঝবে,,কোনো মেয়ে চায় না তার স্বামীর ভাগ কাওকে দিতে,,,যতো বুদ্ধিমানি হক না কেনো সেই মুহূর্তে মাথায় কিছু আসে না এক পাহাড় অভিমান আর রাগ ছাড়া,,, মিহুর বেলায় ঠিক তাই হয়েছে নিজের চোখের সামনে তার চৌধূরী সাহেব কে ধরে অন্য মেয়ে বর মশায় বলছে এটা কেমন লাগবে শুনতে?,,,,কিন্তু মিহু তবুও দাড়িয়ে ছিলো মাহির কি করে দেখার জন্য,,অনেক ক্ষন দাড়িয়ে থেকেও যখন মাহিরের কোনো রেসপন্স পায়নি তখনি মিহু দৌড়ে চলে যায়,,,,,,কিন্তু মিহুর মাথায় তো এটা আসে নি যে মাহির মিহু কে দেখে শকড এ ছিলো,,,,,,,
।।
পরের দিন সকালে নয়ন মিহু কে নিয়ে তার মামার বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়,,,যদিও নয়ন অনেক বলেছে তার বাড়িতে থাকতে কিন্তু মিহু শুনে নি,,,,, মিহুর কথা সে আর পরের বাড়ি তে থাকবে না,,যতই নয়ন তার ফ্রেন্ড হক কিন্তু ফ্রেন্ড এর বাড়ি তেই এতো দিন থাকা যায়না,,,এই তিন মাস অনেক দেখা সোনা করেছে ,,,,,,,চৌরাস্তার মোড়ে নয়নকে গাড়ি থামাতে বললো মিহু,,, কারণ ওই ছোটো গলির রাস্তায় গাড়ি ঢুকবে না ওই টুকু হেঁটেই যেতে হবে,,,,, চৌরাস্তার মোড়ে বড়ো গাড়ি থামায় চায়ের দোকানের কিছু লোক তাকিয়ে থাকে গাড়ি টার দিকে,,কারণ এখানে তেমন বড়ো গাড়ি থামে না,,,চায়ের দোকানে হাবিব ও ছিলো,,,সবাই গাড়ির দিকেই তাকিয়ে আছে গাড়ি থেকে কে বের হয় দেখার জন্য,,,,গাড়ি থেকে যখন মিহু বের হয়ে আসে হাবিব দেখে চমকে উঠে,, কারণ হাবিব জানতো মিহু মারা গেছে সেই অ্যাকসিডেন্ট,,,,,,তবে এখন হাবিব আর মিহুর সামনে গেলো না সেখান থেকেই দেখছে,,, মিহুর সঙ্গে নতুন একটা ছেলে কে দেখে অবাক হয় এটা তো মাহির চৌধূরী না তাহলে কে এটাই ভাবে হাবিব,,,, মিহু নয়ন কে নিয়ে হেঁটে বাড়ির কাছে চলে যায়,,,দরজায় নক করে,,অনেক ক্ষন নক করার পর মিহুর মামী দরজা খুলে,,,,
“আরে মিহু তুই আয় আয় ভিতরে আয়,,জামাইবাজি আসে নি ,,কই মাহির,,, আর এই ছেলেটা কে?,,,
মামীর কথায় মিহু অবাক ই হলো,,, সবাই জানে মিহু মরে গেছে কিন্তু মামীর কথা শুনে মনে হচ্ছে মামী কিছুই জানে না,,, হয় তো কেও বলে নি এই বাড়িতে আমার নিখোঁজ হোয়ার কথা টা,,,তাহলে মামী মামা কে কিছু বুঝতে দিলে হবে না নয়তো চিন্তা করবে এমনিতেই মামা অসুস্থ্য,,,
“জি মামী,, এটা আমার বন্ধু নয়ন,, আর উনি মানে তোমার জামাই কাজে বিজি থাকায় নয়ন কে দিয়ে পাঠিয়েছেন এখানে কইদিন থাকবো বলে,,,,(মিথ্যা বললাম)
“আয় ভিতরে এসো বাবা ভিতরে এসো,,,
মিহু আরেকটা জিনিস ও অবাক হয়,,আর সেটা হলো তার মামীর ব্যাবহার,,, আগের মতো খারাপ ব্যাবহার করে না অনেক ভালোই করছে,,যাক এতেই খুশি আমি মামী আর কথা শুনাবে না আমাকে,,,,
নয়ন চা খেয়ে কিছু খন গল্প করে চলে যায়,, মিহু ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে,,,তার ভালো লাগছে না কিছু কিন্তু তাকে সব কিছু মেনে নিতেই হবে,, মিহু ভাবে কাল ই ভার্সিটি তে ভর্তি হবে সে পড়াশোনা শেষ করে জব করবে আর মামা মামী কে দেখবে,,ধরতে গেলে মিহু ছাড়া তো তার মামা মামীর কেও নেই,,,আর তার মামাও এখন কাজ করতে পারে না,,,,,তাই মিহু কেই সব কিছু সামলাতে হবে,,,,এই ভেবে মিহু ঘুমায় পরে,,,,,,,সব কিছু চিন্তা ভাবনা করলো মিহু কিন্তু এটা তার মাথায় এলো না মামা তো কাজ করতে পারে না তাহলে সংসার চালানোর জন্য টাকা কই থেকে আসছে এখন,,,,,,
।।
“স্যার মিস্টার নয়ন আহমেদ মিহু ম্যাম কে তার মামার বাড়িতে রেখে গেলো,,,মনে হয় ম্যাম এখন থেকে এখানেই থাকবে,,,,(মাহির কে একটা লোক ফোন করে বললো)
“গুড তোমার ম্যাম কি করছে কোথায় যাচ্ছে সব খবর আমাকে দিবে,,,(এই বলে ফোন কেটে দিল মাহির)
মাহির গোপনে একটা লোক লাগিয়েছে মিহুর পিছনে,, মিহু কি করছে কোথায় যাচ্ছে কার সঙ্গে কথা বলছে সব খবর রাখার জন্য,,,সেই লোক তাই ফোন করে আজ সকালের সব কিছু বললো মাহির কে,,,,,,
“জান পাখি আর কতো দূরে থাকবে এখন দেখো আমি কি করি,,,(মুখে এক রহস্য ময় হাসি,,এই হাসির মানে একমাত্র মাহির ই বুঝলো)
এই দিকে নয়ন গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিল,, তখনি কে যেনো নয়নের গাড়ির সামনে চলে আসে,, খুব জোড়ে ব্রেক করায় বেঁচে গেছে নইতো গাড়ির সামনে পরা ব্যাক্তি কে উড়িয়ে দিতো আজ,,,এমন করে মাঝ রাস্তায় গাড়ির সামনে আসায় নয়ন অনেক রেগে যায়,,রেগে গাড়ি থেকে নেমে দেখে একটা মেয়ে নিচে বসে আছে আর জিনে জিনে কি যেনো বলছে দেখেই মনে হচ্ছে কোনো বিয়ে বাড়ি তে গেছিলো যা সেজে আছে,,,, নয়ন রেগে বললো,,,
“প্রাণের কি মায়া নেই যে চলন্ত গাড়ির সামনে এসে পড়ছেন,,আমি যদি ঠিক সময় ব্রেক না করতাম তাহলে তো এতো খনে ওপরে চলে যেতেন,,,,,
নয়নের কথা শুনে মেয়েটা রেগে উঠে দাড়ালো নিজের পরণে নীল রঙের জামা টা ঝেড়ে,, নয়নের কলার ধরে রেগে বললো,,,
“এই ব্যাটা তুই গাড়ি ঠিক ভাবে চালাতে পারিস না ব্রেক কেনো করলি,,, আমি সুইসাইড করতে এসেছিলাম আর তুই কি করলি আমাকে বাঁচিয়ে নিলি,,তোর জন্য আমি আজ মরতে পারলাম না,,মনে অনেক সাহস জুটিয়ে মরতে এসেছিলাম আর তুই কি করলি,,,,,(বলেই কান্না করে দিলো,,,এটা কে কান্না বললেও ভুল হবে মেয়েটা শুধু কান্নার মতো করে ভ্যাহ ভ্যাহ করছে চোখে এক ফোঁটা পানি ও নাই)
নয়ন কিছুক্ষন মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখলো,, অনেক সুন্দর মেয়েটা চিকন ফর্সা,,, নয়ন বললো,,
“ওহ তার মানে আপনি সুইসাইড করতে এসেছেন,,আর করার জন্য আমার গাড়ি তাই পেলেন,,,আর মরতে এসে এতো সেজে গুজে এসেছেন কেনো?(মেয়ে টার হাত কলার থেকে ছাড়িয়ে বললো নয়ন)
“বাহ রে আমি সুইসাইড করবো তারপর মরে যাওয়ার পর খবরের কাগজে আমার ছবি বের হবে তো তাই একটু সেজে এসেছি যাতে ছবি টা ভালো উঠে,,,,(মুচকি হেসে বলল মেয়েটা)
মেয়েটার কথা শুনে নয়নের জ্ঞান হারানোর অবস্থা,,,এই মেয়ে কি অন্ন কিছু,,মরতে এসেও ছবির কথা ভাবে,,,, আরো একবার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নয়ন মেয়েটার,,,,,,
চলবে?