Mr_Arrogant ? #The_Addiction_Of_Love,Part_17,18

0
2141

#Mr_Arrogant ?
#The_Addiction_Of_Love,Part_17,18
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_17
.
.
.
.
সুবহা জ্যাকেট, হ্যান্ড গ্লাভস আর মাফলার ‌একটা আলাদা‌ ব্যাগে প্যাক করে বাকি সব জিনিস পত্র লাগেজ এ ভরে নেয়।

এইদিকে,,,

অয়নঃ বস ওখানে যাওয়া অনেক রিস্কি হতে পারে আপনার জন্য। আপনি বরং অন্য কাউকে পাঠান।‌ তাছাড়া আপনার সাথে সুবহা ম্যাম এর লাইফ ও রিস্কে থাকবে।

রওশনঃ নো অয়ন।‌ কাজটা রিস্কি হলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর আমি এই মুহূর্তে কারও উপর বিশ্বাস করতে পারব না।‌‌ আর যেখানে সুবহার কথা…আমি থাকতে ওর কিছু হবে না।‌‌

রওশন কথা গুলো বলে বেরিয়ে যায় অফিস থেকে।‌‌ গাড়িতে উঠেই রওশন সুবহাকে টেক্সট করে দেয়,, তাড়াতাড়ি সব গুছিয়ে রেডি হয়ে থাকতে।

রওশন বাসায় এসেই সুবহার রুমে চলে আসে। সুবহার রুমে প্রবেশ করতেই রওশন দেখলো সুবহা বিছানায় বসে গালে হাত দিয়ে কিছু ভাবছে আর পুরো বেডে ড্রেস ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

রওশনঃ এসব কি সুবহা?( রুমে ঢুকতে ঢুকতে) রুমের এই কি অবস্থা করেছো?

রওশনের কন্ঠ‌ শুনে সুবহা ওর ভাবনা থেকে বেরিয়ে চমকে দাঁড়িয়ে যায়।

সুবহাঃ আসলে আমি কনফিউজড ছিলাম তাই,,( আমতা আমতা করে)

রওশনঃ কনফিউজড! কিন্তু কি নিয়ে?

সুবহাঃ কোন ড্রেস পরবো সেটা নিয়ে।‌ (অসহায় ভাবে)

সুবহার কথায় রওশন হাসবে না রাগ করবে ভেবে পাচ্ছে না। এত সময় ধরে নাকি ও ড্রেসের চিন্তায় ডুবে ছিল। রওশন‌ পুরো‌ বেডে চোখ বুলিয়ে একটা হলুদ রঙের‌ নেটের কটি সিস্টেম এর টপ একটা সাদা রঙের স্কার্ট আর তার সাথে ম্যাচিং করে একটা স্কার্ফ চুজ করে সুবহার সামনে ধরে,,

রওশনঃ নাও এটা পরে রেডি হও,,

সুবহা ড্রেস গুলো দেখে অবাক। রওশন এতো সুন্দর করে কিভাবে একটার সাথে আরেকটা ম্যাচিং করে দিল ভাবছে ও।

সুবহাকে আনমনা দেখে রওশন‌ ওর মুখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বলল,,,

রওশনঃ কি ভাবছো?

সুবহাঃ আব কিছু না,,

সুবহা মাথা নিচু করে রওশনের হাত থেকে ড্রেসটা নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল। রওশন‌ সুবহার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে নিজের রুমে চলে গেল সব গুছিয়ে রেডি হতে। রাত নটার ফ্লাইট তাই ওদের তারাতাড়ি বের হতে হবে।

রওশন কালো রঙের ফুল সুট পরেছে কালো বুটস আর চুল গুলো সময় এর মত‌ জেল দিয়ে সেট করে নিয়েছে। নিজের লাগেজ নিয়ে ড্রইং রুমে চলে আসে রওশন‌ তারপর স্টাফদের তাদের কাজ বুঝিয়ে দেয়। এর মাঝেই রওশনের কানে কিছু টানাটানি করার শব্দ আসে। রওশন ঘুরে তাকাতেই দেখলো সুবহা ওর লাগেজ দুই হাত দিয়ে টেনে হিচরে নিয়ে আনার চেষ্টা করছে। বেচারি হাপিয়ে উঠছে এতো টুকে আনতেই। রওশন হালকা হেসে সুবহার কাছে গিয়ে লাগেজটা নিয়ে নেয় তারপর একটা স্টাফকে উদ্দেশ্য করে বলে লাগেজ গুলো গাড়িতে রেখে আসতে।

সুবহা রওশনকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখছে। এমনিতেই রওশনকে ফরেইনার দের মত লাগে কিন্তু আজকে পুরোই ফরেইনার লাগছে।

রওশনঃ চলো সুবহা দেরি হয়ে যাচ্ছে।

সুবহা নিজের খেয়াল থেকে বেরিয়ে মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ বলল।

রওশন সুবহার হাত ধরে ওকে নিয়ে গাড়িতে উঠে রওয়ানা দেয়।

?In Airport ?

সব চেকিং শেষ করে রওশন আর সুবহা ফ্লাইটে উঠে পরে। এয়ারহোস্টেজরা সবাইকে সেফটি বুজিয়ে দিচ্ছে আর সিট বেল্ট বাঁধার কথা বলছে। সুবহা নিজের সিটবেল্ট বাঁধার চেষ্টা করছে কিন্তু ‌পারছে না তাই রওশন সুবহার সিটবেল্ট বাঁধার জন্য ওর দিকে ঝুঁকতেই সুবহা ভয়ে পিছিয়ে যায়।

রওশনঃ রিলেক্স আমি শুধু সিটবেল্ট বাঁধার জন্য এগিয়েছি।(দাঁত খিচে)

সুবহা নিজের কাজে লজ্জা পেয়ে গেল। ও কি না কি ভাবে আর প্রতিবার লজ্জা পায়।

সুবহাঃ স্যরি।

রওশন কিছু না বলে সুবহার সিটবেল্ট বেঁধে দিয়ে নিজের সিটে সোজা হয়ে বসে।

সুবহা আড়চোখে বারবার রওশনকে দেখছে কিন্তু রওশন নিজের চোখ ‌বন্ধ করে সিটে হেলান দিয়ে আছে।

হঠাৎ সুবহা খেয়াল করলো পাশের সিটের‌ দু’টো মেয়ে রওশনের দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে। সুবহার ইচ্ছে করছে মেয়ে দুটোর চোখে মরিচ গুঁড়া ঢেলে দিতে।

সুবহা মেয়ে দুটোকে দেখিয়ে রওশনের হাতের ভাজে নিজের হাত রেখে ওর কাঁধে মাথা রেখে ওকে জড়িয়ে ধরল। আচমকা এমন হওয়ায় রওশন অবাক হয়ে চোখ খুলে তাকায়। হঠাৎ সুবহার করা কাজটা ওর মাথার উপর দিয়ে গেল। রওশন বুঝার জন্য আশেপাশে তাকাতেই দেখলো সামনের মেয়ে দুটো ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। আর মেয়ে দুটো যে অবাক প্লাস রেগে আছে সুবহার কাজে তা ওদের চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে।

রওশনঃ সুবহার হিংসে হচ্ছে তাও আমাকে নিয়ে?( অবাক হয়ে) তার মানে কি ওর মনে আমার জন্য ফিলিংস্ আছে?( মনে মনে খুশি হয়ে)

রওশনও সুবহাকে জড়িয়ে ধরে নিজের সাথে। সুবহা মেয়ে দুটোর দিকে তাকিয়ে মুখ ভেংচিয়ে চোখ বন্ধ করে নেয়।মেয়ে দুটো ও রাগে দুঃখে মুখ ঘুরিয়ে নেয় ওদের থেকে।

প্রায় তের‌ ঘন্টা লং জার্নির পর ওদের প্লেন স্কটল্যান্ড এর মাটিতে ল্যান্ড করে,,,,

To be continued…

#Mr_Arrogant ?
#The_Addiction_Of_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_18
.
.
.
.
“ স্কটল্যান্ড” পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম ও রয়েল সিটির মধ্যে অন্যতম। ইউনাইটেড কিংডম অর্থাৎ ইংল্যান্ড এর বিশিষ্ট শহর এটা যেখানে রয়েল প্যালেস, হোটেল, চার্চ, গ্যালারি হাউস, মাউন্ট হিল ও লেক হচ্ছে টুরিস্ট দের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান।

সুবহা আর রওশন এয়ারপোর্ট এ সব চেকিং পর্ব শেষ করে বাইরে বেরিয়ে আসে। সুবহা শীতে কাঁপছে আর দু হাত‌ ভাঁজ করে ঘষছে।

রওশনঃ তোমার হ্যান্ড গ্লাভস মাফলার আর জ্যাকেট কোথায় সুবহা?

রওশনের কথায় সুবহা‌ কিছুটা ঘাবড়ে গেল। কি বলবে ও? ওতো ব্যাগ বাসায় রেখে এসে পরেছে। এখন যদি রওশনকে এটা বলে নির্ঘাত রওশন ওকে ইচ্ছামত বকা দিবে।

সুবহা অসহায় ভাবে রওশনের দিকে তাকালো। সুবহার চাহনিতে রওশন ব্যাপারটা আন্দাজ করে নেয়। রওশন রাগান্বিত স্বরে সুবহাকে বলে।

রওশনঃ ডোন্ট টেল মি তুমি ওগুলো বাসায় ফেলে এসেছো?

সুবহা অসহায় ভাবে মাথা ঝাঁকালো।

রওশনঃ সিরিয়াসলি সুবহা? আমি তোমাকে ডাফ্ফর বলবো নাকি ইডিয়ট বলবো সেটা বুঝতে পারছি না।এতো ইম্পর্ট্যান্ট জিনিস কেউ ভুলে রেখে আসে।( রেগে)

সুবহা কাঁদো কাঁদো দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রওশনের দিকে এই বুঝি কেঁদেই দিবে এমন অবস্থা। সুবহার ফেস রিয়েকশন‌ দেখে রওশন আর রেগে থাকতে পারল না ওর উপর। রওশন নিজের সুট খুলে সুবহার গায়ে জড়িয়ে দেয়।

সুবহাঃ আরেহ কি করছেন আপনার ঠান্ডা লাগবে তো?( চিন্তিত স্বরে )

রওশনঃ তো কি করব চোখের সামনে তোমাকে কষ্ট পেতে দেখব।( ধমক দিয়ে)

সুবহাঃ কিন্তু আপনি?

রওশন সুবহার চোখে চোখ রেখে বলল,,

রওশনঃ আমার পেইন সহ্য করার ক্ষমতা আছে সুবহা। সামান্য ঠান্ডায় মরে যাবে না এই রওশন রায়জাদা।

রওশন সুবহাকে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে বেরিয়ে আসে এয়ারপোর্ট থেকে। ওরা বাইরে বের হতেই একটা বড় কালো রঙের গাড়ি ওদের সামনে এসে থামে আর গাড়ির ভিতর থেকে একজন লোক বেরিয়ে ওদের সামনে দাঁড়ায়।

ওয়েলকাম টু স্কটল্যান্ড বস,, ( লোকটি)

রওশনঃ থ্যাংক ইউ উইলন। মিট মাই ওয়াইফ সুবহা।( সুবহাকে উদ্যেশ্য করে)

উইলনঃ হ্যালো ম্যাম। ওয়েল কাম টু আওয়ার বিউটিফুল সিটি।

সুবহাঃ থ্যাংক ইউ।

উইলনঃ বস লেট মি টেক ইউর লাগেজ।

রওশনঃ সিওর।

উইলন লাগেজ গুলো গাড়ির ডিক্কিতে রেখে দিল। রওশন সুবহাকে নিয়ে পেছনের সিটে বসে পরল আর উইলন সামনে ড্রাইভারের সাথে। রওশন সুবহাকে জড়িয়ে রেখেছে কারন এতে হয়তো সুবহার ঠান্ডা কম লাগবে। রওশন এর কান লাল হয়ে গেছে ঠান্ডায় তার উপর গলা ও হাতের সাইড ও লাল হয়ে গেছে। কিন্তু ও নিজের দিকটা না দেখে সুবহার কষ্ট হচ্ছে কি না সেই চিন্তায় আছে।

উইলন সুবহাকে পুরো জার্নিতে শহরটি সম্পর্কে এটা ওটা বলছিল। সুবহা খুব আগ্রহ নিয়ে উইলন এর কথা গুলো শুনেছে আফটার অল ওর ড্রিম সিটি বলে কথা।

গাড়ি থামল ট্রাম্প টার্নবেরি হোটেলের সামনে। রওশন সুবহার হাত ধরে হোটেলে ঢুকে পরল আর ওদের পিছু হোটেলের স্টাফরা ওদের লাগেজ নিয়ে আসলো। রুম আগে থেকেই বুক ছিল তাই রিসেপশনে সাইন‌ করে শুধু কি কার্ড নিতে হয়েছে। সুবহা চারপাশে দেখছে শুধু। সব কিছু যেন স্বপ্নের মতো লাগছে ওর কাছে।

সেকেন্ড ফ্লোরে ওদের রুম। রওশন আর সুবহা ওদের রুমে চলে আসে। সাধারণত এটাকে রুম বলে না কারন এটা একটা ফ্লাটের মত। একটা ড্রইং রুম, একটা বারান্দা, একটা বেডরুম আর ওয়াশরুম। সব কিছুই বিশাল শেপের। রুমের সব জিনিসপত্র রাজকীয় আর রয়েল। বাইরে ঠান্ডা পরলেও রুম বেশ গরম কারন রুমে হিটার বসানো আছে।

রওশনঃ গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো সুবহা। ( ফোনের দিকে তাকিয়ে)

সুবহা নিজের লাগেজ খুলে ড্রেস বের করে ফ্রেশ হতে চলে যায়।‌ সুবহা চলে যেতেই রওশন দ্রুত নিজের লাগেজ খুলে ওখান থেকে গান আর কিছু ডকুমেন্ট বের করে‌ আলাদা ব্যাগে ভরে নেয়।

হঠাৎ সুবহার চিৎকার শুনতে পায় রওশন।

রওশনঃ সুবহা আর ইউ ওকেএএ,,

রওশন ভয় পেয়ে হন্তদন্ত করে ওয়াশরুমের সামনে গিয়ে দরজা ধাক্কা দেয় সাথে সাথে দরজা খুলে যায়। সুবহা দরজা ভালো করে লক করতে পারে নি তাই। ওয়াশরুমে ঢুকতেই অবাক হয়ে যায় রওশন কারন সুবহা বাথ টাবে পরে আছে আর ভিজে পুরো চুপসে গেছে। বার বার উঠার চেষ্টা করছে সুবহা কিন্তু পারছে না।

রওশন বুঝতে পারছে না হঠাৎ হলো টা কি। ও অবাক হয়ে শুধু সুবহার কান্ড দেখছে।

রওশনকে দেখেই সুবহা ওকে চেঁচিয়ে বলে উঠলো।

সুবহাঃ রওশন ওখানে দাঁড়িয়ে না থেকে আমাকে তোলেন প্লিজজ। উফফ উঠতে পারছি না।( বিরক্ত হয়ে)

রওশন এবার হেসেই দিল। ওর হাসি দেখে সুবহা রাগি ভাব নিয়ে বলতে শুরু করল।

সুবহাঃ এভাবে হাসছেন কেন?

রওশনঃ তুমি বাথ টাবে পরলে কিভাবে আর পরেছই যখন একবারে শাওয়ার শেষ করেই উঠো। ( হাসতে হাসতে)

সুবহাঃ আমি কি ইচ্ছে করে পরেছি নাকি?‌ শাওয়ার শেষ করেই বের হচ্ছিলাম ফ্লোর পিচ্ছিল হয়ে ছিল তাই পরে গিয়েছি। আর এটা কেমন বাথটাব উঠতে পারছি না? ( রেগে )

রওশনঃ দোষ টাবের না ম্যাডাম দোষ আপনার যে আপনি উঠতে পারছেন না। কথায় আছে না “নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা” সেই অবস্থা হয়েছে তোমার আর কি।

সুবহাঃ এখন লেকচার না দিয়ে তুলবেন আমায় প্লিজ। ( দাঁত খিচিয়ে )

রওশন সুবহার কাছে গিয়ে ওর হাত ধরে ওকে তোলে। সুবহা দাঁড়িয়ে গিয়ে নিজের দিকে অসহায় ভাবে তাকালো। পুরো‌‌ জামা ভিজে চুপচুপে হয়ে গেছে আবার চেঞ্জ করতে হবে‌ ভেবেই ওর কান্না পাচ্ছে।

রওশনঃ হয়েছে এখন আর কান্নাকাটি শুরু করো না। আমি বাইরে গিয়ে ড্রেস দিচ্ছি তুমি আবার চেঞ্জ করে নিও। ( হাসতে হাসতে)

রওশন যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই হঠাৎ পা পিছলে টাবে পরে যায়।

রওশনঃ ওওও শিটট,,,

রওশন ও পুরো ভিজে গেছে।‌ রওশনের অবস্থা দেখে সুবহা নিজের হাসি কন্ট্রোল করতে পারলো না।

সুবহাঃ বেশ হয়েছে। আমার বেলাতে হাসছিলেন না এবার নেও ঠেলা।( হাসতে হাসতে) সুবহাকে হাসতে দেখে রওশন রেগে যায়।

রওশনঃ চুপপপ ( ধমক দিয়ে)

রওশনের এক ধমকে সুবহা চুপ করে যায়।‌ তারপর আবার রওশনের দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেসে দেয়।

সুবহাঃ সো স্যরি কিন্তু আমি চুপ করতে পারছি না। ( হাসতে হাসতে)

সুবহাকে এভাবে নিজের উপর হাসতে দেখে মোটেও ভালো লাগছে না রওশনের। রওশন আচমকা সুবহার হাত ধরে টান দেয় আর সুবহা টাল সামলাতে না পেরে রওশনের উপর ধপ করে পরে।

হঠাৎ এমন হবে সুবহা বুঝে উঠতে পারে নি। ও রওশনের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আর রওশন বাঁকা হাসছে।

রওশনঃ আরেহ চুপ করে গেলে কেন? হাসো‌ হাসো ক্যারি অন।

সুবহা কাঁদো কাঁদো ফেস করে নিল। রওশন সুবহার কোমড় জড়িয়ে ওকে ‌নিজের আরো কাছে নিয়ে আসলো।‌ সুবহার চোখের ভেজা পাপড়ি এলোমেলো চুল রওশনকে ঘোরে ফেলে দিচ্ছে।

সুবহা ছোটার চেষ্টা করছে কিন্তু ‌পারছে না। হঠাৎ সুবহা রওশনের দিকে তাকাতেই ছুটাছুটি বন্ধ করে দিল। রওশন এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। রওশন চোখের ভাষা বুঝতে পারে না সুবহা। কিন্তু এই চোখে যতবারই তাকায় কিছু একটা অনুভব করে ও।

রওশন সুবহার চোখে নিজের ঠোঁট ছুঁইয়ে দিতেই সুবহা চোখ বন্ধ করে রওশনের কলার খামছে ধরে। রওশন সুবহার গালে নিজের হাত রেখে ওকে নিজের দিকে এগিয়ে আনে।

হঠাৎ ডোর বেলের আওয়াজ আসতেই রওশনের ধ্যান ভাঙে। ও সুবহার দিকে তাকিয়ে দেখে সুবহা এখনো চোখ বন্ধ করে ওর কলার ধরে আছে। রওশন মুচকি হেসে সুবহার ঠোঁটে হালকা ঠোঁট ছুঁইয়ে ওকে সরিয়ে উঠে যায়।

সুবহা হা হয়ে এখনো বসে আছে। গাল লাল হয়ে গেছে ওর। হঠাৎ রওশনের কথায় পেছনে ফিরল ও।

রওশন হাতে করে ওর ড্রেস নিয়ে এসেছে। রওশনকে দেখে একদম নরমাল লাগছে যেন কিছুই হয়নি।

রওশনঃ ওভাবে বেশিক্ষণ বসে থাকলে ঠান্ডা লেগে যাবে। এই নাও ড্রেস চেঞ্জ করে চলে আসো। আমারও ফ্রেশ হতে হবে ডু ইট ফাস্ট ( বলেই বেরিয়ে ওয়াশরুমের দরজা লাগিয়ে বেরিয়ে গেল)

To be continued….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here