Mr_Arrogant ? #The_Addiction_Of_Love,Part_19,20

0
2045

#Mr_Arrogant ?
#The_Addiction_Of_Love,Part_19,20
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_19
.
.
.
.
সুবহা চেঞ্জ করে রুমে আসতেই দেখলো রওশন টেবিলে খাবার সার্ভ করে রাখছে। রওশন রিসেপশন থেকে খাবার অর্ডার করেছিল তখন একটা ওয়েটার এসেছিল খাবার গুলো দিয়ে যেতে।

সুবহা কে আসতে দেখে রওশন বেডে রাখা নিজের ড্রেস গুলো তুলে সুবহাকে বলে।

রওশনঃ আমি ফ্রেশ হয়ে আসি সুবহা তুমি খেয়ে একটু রেস্ট করে নাও। আমরা বিকেলে একটু ঘুরতে বের হবো ওকে।

সুবহাঃ একা খাবো কেন? আপনি আসেন এক তারপর একসাথে খাবো।

সুবহার কথায় রওশন হালকা হেসে মাথা ঝাঁকিয়ে বললো।

রওশনঃ ওকে।

রওশন ওয়াশরুমে ঢুকতেই সুবহা ডাইনিং এ বসে পরল। খাবার গুলো থেকে অনেক সুন্দর স্মেল আসছে। সুবহা খাবারের উপর থেকে ঢাকনা সরিয়ে দেখলো কি অর্ডার করেছে রওশন।

পুডিং জাতীয় এক ধরনের খাবার। কিন্তু ঘ্রানটা একদম ভিন্ন। সুবহা আবার ঢাকনা লাগিয়ে রওশনের অপেক্ষা করতে লাগলো।

কিছুক্ষণের মধ্যেই রওশন ট্রাউজার আর একটা সাদা টি শার্ট পরে চুল মুছতে মুছতে বের হলো। ডাইনিং এর দিকে চোখ যেতেই দেখলো সুবহা টেবিলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেছে। রওশন ডিভানে তোয়ালে টা রেখে সুবহার কাছে যায় ওকে ডাকতে।

রওশনঃ সুবহা তুমি না খেয়ে ঘুমাচ্ছো কেন? ওয়াক আপ খেয়ে তারপর বেডে আরামসে ঘুমিও। ( কাঁধ ঝাঁকি দিয়ে)

সুবহা বিরক্ত হয়ে চোখ বন্ধ অবস্থায় কপাল কুঁচকে নেয় তার পর রওশনের হাত টেনে নিজের মাথার নিচে রেখে ঘুমের ঘোরে বলতে শুরু করে।

সুবহাঃ উফফ রওশন ঘুমাতে দিন তো আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে। ডোন্ট ডিস্টার্ব।

রওশন ডাকতে গিয়েও আর ডাকলো না। তের ঘন্টার জার্নি করে টায়ার্ড তো লাগারই কথা। রওশনও এক হাত ভাজ করে টেবিলে মাথা রেখে সুবহার দিকে তাকিয়ে আছে এক ধ্যানে। রওশনের এক হাত এখনো সুবহার মাথার নিচে। হাতে ব্যাথা অনুভব হচ্ছে ওর আর ঝিম ধরে যাচ্ছে তাও নিজের হাত সরাচ্ছে না রওশন।ও চায়না ওর জন্য সুবহার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটুক। সুবহাকে দেখতে দেখতে এক সময় রওশনের ও চোখ লেগে যায়।

? After 2 Hours ?

সুবহা হামি দিতে দিতে চোখ খুলতেই রওশনকে নিজের বরাবর দেখতে পায়। নিজের মাথা একটু নাড়াতেই দেখলো ও রওশনের হাতের উপর শুয়ে আছে।‌ সুবহা একটু একটু করে বুঝতে পারে যে তখন ও রওশনের হাত টেনে ধরেছিল।‌ রওশনের দিকে তাকাতেই একটা মায়া কাজ করছে তার প্রতি সুবহার‌। বেচারা ওর জন্য এখনো না খেয়ে আছে। নিজের উপর প্রচুর রাগ লাগছে সুবহার। ওর আহত চোখে রওশনের দিকে তাকায়। প্রতিবার রওশনের ঘুমন্ত মুখটার মায়ায় পরে ও‌। আজও এর ব্যতিক্রম হলো না। সুবহা গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রওশনের দিকে।‌ না চাইতেও রওশন যেন ওকে টানছে নিজের দিকে। সুবহার হাত অটোমেটিক্যালি রওশনের চুলে চলে যায়। আলতো করে রওশনের চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ও। রওশনের চুল এতোই সিল্কি যে ইচ্ছে করছে সারাদিন এভাবেই হাত বুলিয়ে দিতে। রওশন কিছুটা ধরে উঠতেই ধরফরিয়ে সরে যায় সুবহা। একটু নাড়াচাড়া হতেই রওশনের ঘুম ভেঙে যায়।‌ আধো আধো চোখ খুলতেই দেখলো সুবহা অপরাধী ফেস করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।

রওশন সোজা হয়ে চেয়ারে বসতেই সুবহা বলে উঠে।

সুবহাঃ আ’ম স্যরি রওশন। আমার জন্য আপনার অনেক কষ্ট হলো তাইনা।

রওশনঃ একদমি না আহহহ ( হাত নাড়াতেই ব্যাথায় কঁকিয়ে উঠল)

সুবহা রওশনের হাত টেনে ধরে দেখলো হাত লাল হয়ে গেছে। অনেক সময় ধরে হাত নাড়াচাড়া না করায় ব্যথা জমে গেছে যা অনেকের ক্ষেত্রেই হয়।

সুবহা কাঁদো কাঁদো ফেস করে রওশনকে বলল।

সুবহাঃ আপনি হাত সরিয়ে নিলেই পারতেন। খামাখা আমার জন্য কতটা পেইন সহ্য করতে হচ্ছে আপনার।

রওশনঃ হাত সরিয়ে ফেললে তোমার ঘুম নষ্ট হয়ে যেত।‌( মুচকি হেসে হাত ঝাড়তে ঝাড়তে)

সুবহা অবাক চোখে তাকিয়ে আছে রওশনের দিকে। সামান্য ঘুমে ব্যাঘাত না ঘটানোর জন্য রওশন এমনটা করলো।

সুবহাকে নিজের দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে রওশনের একটু আনইজি লাগছে। ও কিছুটা নরে বসে খাবারের ঢাকনা তুলতে তুলতে বলে।

রওশনঃ এখন খেয়ে নাও আমারও অনেক খিদে পেয়েছে। ( সার্ভ করে)

সুবহা হালকা হেসে ‌প্লেটে চামচ নাড়তে নাড়তে বলে,,

সুবহাঃ এগুলো কি রওশন? দেখতে তো পুডিং এর মত কিন্তু পুডিং না।

রওশনঃ এগুলো স্কটল্যান্ড এর ন্যাশনল ডিশ হাগিস্। ইউ উইল লাভ দিস্।( খেতে খেতে)

সুবহা রওশনের দিকে তাকিয়েই খাবার খেতে শুরু করে।

খাবার শেষে সুবহা সব গুছিয়ে নেয় তারপর সার্ভেন্ট এসে সব কিছু নিয়ে যায়।

সুবহাঃ রওশন আমাদের বিকেলে বের হওয়ার কথা ছিল?( রওশনের সামনে দাঁড়িয়ে)

রওশনঃ এখন দেড়ি হয়ে গিয়েছে সুবহা কালকে নিয়ে যাবো এখন একটু রেস্ট করো যাও।

সুবহাঃ নো নো এখনি যাবো প্লিজ প্লিজ। ( জেদ করে)

রওশনঃ ওকেইই যাও রেডি হয়ে নাও। ( বাধ্য হয়ে)

সুবহাঃ থ্যাংক ইউ।

সুবহা লাল রঙের জ্যাকেট হ্যান্ড গ্লাভস আর মাফলার পড়ে নেয়। রওশন চকলেট কালারের জ্যাকেট হ্যান্ড গ্লাভস আর মাফলার পরে সুবহাকে নিয়ে বেরিয়ে যায়। গাড়িতে বসতেই সুবহা রওশনকে জিজ্ঞেস করে।

সুবহাঃ আমরা কোথায় যাচ্ছি?

রওশনঃ ‌পাশেই একটা গ্যালারি হাউস আছে আজকে সেখানে থেকে ঘুরে আসি।

সুবহাঃ ওকে।( খুশি হয়ে)

Scottish National Gallery House ?

সুবহা আর রওশন গ্যালারি হাউসে গিয়ে ঘুরে দেখছে। সুবহার হাসি মাখা চেহারা দেখেই রওশনের অনেক শান্তি লাগছে।

সুবহার আড়ালেই রওশন সুবহার অনেক গুলো ছবি তুলেছে।

হঠাৎ একজন ফরেইন লোক রওশনের সামনে আসে।

লোকটিঃ ইউ বোথ আর হাজবেন্ড ওয়াইফ রাইট?

রওশনঃ ইয়েস হোয়াই?

লোকটিঃ আ’ম ড্যানি আ ফটোগ্রাফার। ইউ বোথ আর লুকিং ফ্যাবিউলাস উইথ ইচ আদার।

সুবহা কিছুটা লজ্জা পেল ড্যানির কথায়। রওশন হালকা হেসে ড্যানিকে বলল।

রওশনঃ থ্যাংক ইউ।

ড্যানিঃ ক্যান আই টেক ইউর কাপল ফটো প্লিজ প্লিজ।

রওশন সুবহার দিকে তাকাতেই সুবহা বলে উঠে।

সুবহাঃ সিউর।

রওশন আর সুবহা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে। ড্যানি ক্যামেরা সেট করে ওদের বলে,,,

ড্যানিঃ কাম ক্লোজার গাইজ।

সুবহা একটু আনইজি ফিল করছে তাও সামান্য এগিয়ে আসলো রওশনের দিকে। ড্যানি হাত দিয়ে ইশারা করে ওদের আরেকটু ক্লোজ দাঁড়াতে বলে। রওশন এবার নিজেই সুবহার কোমড় জড়িয়ে ওকে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয় সুবহা চোখ বড় বড় করে তাকায় রওশনের দিকে আর এই সুযোগে ড্যানি ওদের ছবি তুলে নেয়।

রওশনঃ ক্যামেরার দিকে তাকাও।( সামনে তাকিয়ে)

সুবহা হুট করে সামনে তাকায় আর ড্যানি আরেকটা ছবি তুলে নেয়।

রওশন সুবহানকে ছেড়ে ড্যানির সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে ছবি গুলো কালেক্ট করে নেয়। সুবহা এখনো অবাক হয়েই তাকিয়ে আছে রওশনের দিকে।‌ ড্যানি চলে যেতেই রওশন সুবহার সামনে এসে দাঁড়ায়।

রওশনঃ এমন ভাবে তাকিয়ে আছো যেন আমি‌ তোমাকে ওর সামনে কিস টিস করেছি।

সুবহা চোখ খিচে মনে মনে বলে।

সুবহাঃ ইউউ কি লুচু চিন্তা ভাবনা রওশনের।

রওশনঃ হয়েছে অনেক লজ্জা পেয়েছো আর পেতে হবে না। কাম সামনেই রেস্টুরেন্ট আছে ওখান থেকে ডিনার করে হোটেল ব্যাক করবো।‌

সুবহা মাথা নিচু অবস্থায়ই হ্যাঁ বলল। রওশন হালকা হেসে ওর হাত ধরে বেড়িয়ে আসলো গ্যালারি হাউস থেকে।

?In Restaurant ?

রওশন মেনু দেখে খাবার অর্ডার করে নিল। সুবহা জায়গার আশেপাশে চোখ বুলিয়ে দেখছে। সামনেই একদল লোক সফ্ট মিউজিক বাজাচ্ছে যেটাকে বলা হয় রোমান্টিক মিউজিক। কেউ নিজেদের মত খাওয়ায় ব্যস্ত কেউ আবার স্টেজের দিকে তাকিয়ে মিউজিক উপভোগ করছে। ওয়েটার এসে খাবার দিয়ে গেল। সুবহা খেয়াল করলো অনেকে ছোট ছোট গ্লাসে ব্লু বেরি কালারের জুসের মত কিছু পান করছে। সুবহার কাছে জিনিসটা অনেক পছন্দ হলো। সুবহা রওশনকে ইশারা করে দেখিয়ে বলল,,

সুবহাঃ রওশন আমি ওই জুস খাবো। ( জেদ করে)

রওশন জিনিসটার দিকে তাকিয়ে মুখ শক্ত করে বলল।

রওশনঃ ওগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না সুবহা। আর এটা নিয়ে কোন ধরনের জেদ চলবে না।

সুবহার মুখ মলিন হয়ে গেল। সুবহা মুড অফ রেখেই খাবার খেয়ে নিল।

খাবার শেষ করে রওশন সুবহাকে নিয়ে বিল পেয়ে করতে গেল। কিন্তু একটা সমস্যা হলো রওশন ওর ডেবিট কার্ড গাড়িতে রেখে এসে পরেছে।

রওশনঃ সুবহা তুমি এখানে ওয়েট করো আমি কার্ড নিয়ে আসছি। এক পা ও নরবে না এখান থেকে বলে দিলাম। ( রাগী ভাবে)

সুবহা মুখ ভার করে মাথা ঝাঁকালো। রওশন চলে যেতেই সুবহা আশেপাশে ঘুরঘুর করে দেখছে রেস্টুরেন্ট টা। হঠাৎ সুবহা দেখলো পাশের সাইডেই কয়েকজন লোক ওই জুস গুলো একটা জার থেকে ওই ছোট্ট গ্লাস গুলোতে ভরছে।

সুবহা তাদের কাছে চলে যায়। লোক গুলোর মধ্যে একজন সুবহাকে দেখে নম্র স্বরে বলল।

লোকটিঃ হ্যালো ম্যাম হাও ক্যান আই হেল্প ইউ।

সুবহাঃ হোয়াট কাইন্ড অফ জুস ইজ দিস?( কৌতূহল নিয়ে)

লোকটিঃ দিস ইজ আওয়ার স্পেশাল ব্লু বেরি ড্রিঙ্ক। ডু ইউ ওয়ান্ট টু টেস্ট দিস।

সুবহাঃ সিউর।

লোকটি সুবহাকে একটা গ্লাস দিল আর সুবহা এক ঝটকায় সব খেয়ে নিল। কেমন যেন মাথা ঝিমানি স্বাদ।

সুবহাঃ বাহ্ টেস্ট টা তো দারুন। গিভ মি মোর। ( একটু মাতাল ভাবে)

রওশন ফিরে এসে সুবহাকে না পেয়ে ভয় পেয়ে যায়। হঠাৎ কিছুদূর সুবহাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে দৌড়ে ওর কাছে যায় ও। রওশন সুবহার সামনে যেতেই দেখে ও সেই জুস গুলো খাচ্ছে। রওশন এবার নিজের মাথায় হাত দিয়ে বলতে শুরু করল।

রওশনঃ এটা কি করলো সুবহা?এখন ওকে কিভাবে সামলাবো আমি ড্যামম।

সুবহা একে একে চার গ্লাস শেষ করে ফেলল। আরেকটা গ্লাস হাতে নিতেই রওশন ওকে আটকে দেয়। সুবহা ঢুলতে ঢুলতে রওশনের দিকে তাকিয়ে বলে।

সুবহাঃ আমার গ্লাস দিন রওশন আমি আরো খাবো।

রওশনঃ চুপপ একটা কথা বললে খবর আছে তোমার।

সুবহা এবার কেঁদে দেয় রওশনের ধমকে। রওশন ওর হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে নিলেই সুবহা চেঁচিয়ে উঠে।

সুবহাঃ ওয়েট ওয়েটটট

রওশনঃ আর কি বাকি আছে?( রেগে)

সুবহাঃ আমি ও‌ওওওখানে গিয়ে ডান্স করবো। আর আপনি আমার সুন্দর সুন্দর ছবি তুলবেন ( স্টেজ দেখিয়ে হাসি দিয়ে)

রওশনঃ কোন ডান্স চলবে না আর ছবি তোলা হবে।

সুবহাঃ নাহহ আমি ছবি তুলবোইই। ওই ফিরিঙ্গী যখন ছবি তুলতে চাইলো তখন তো ঠিকই তুলেছেন এখন আমি বলছি তাই ধমক দিচ্ছেন। আপনি পঁচা। ( কেঁদে দিয়ে)

রওশন ওর কথা কানে না দিয়ে হাটা শুরু করে। সুবহা রওশনের হাত থেকে হাত সরিয়ে ওর পকেট থেকে ফোন বের করে দৌড় দেয়।

রওশনঃ ওয়েটট সুবহা। রওশনও দৌড় দেয় ওর পিছু।

সুবহা এক দৌড়ে বাইরে চলে যায়। রওশন বাইরে এসে দেখে সুবহা রাস্তার কিনারে বসে আছে। রওশন বুঝতে পারছে সুবহা সেদিনের মত আজকেও ওকে জ্বালিয়ে মারবে।

রওশন‌ গিয়ে সুবহার হাত টেনে ধরে কিন্তু সুবহা জেদ ধরে উঠছে না।

সুবহাঃ আমার সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে না দিলে আমি এক ইঞ্চিও নরবো না। ( ছোট করে আঙ্গুল দেখিয়ে)

রওশন এবার ধপ করে সুবহার পাশে বসে পরল। তার অসহায় ভাবে ওর দিকে তাকিয়ে গাইতে শুরু করল।

“ মুড আশিকানা হ্যায়
সুভা ঘার জানা হ্যায়
তুনে ক্যায়সা জাদু হ্যায় কিয়া
লামহা ইয়ে সুহানা হ্যায়
টাইম নেহি গাওয়ানা হ্যায়
জীনেকা মাজা লে সাথিয়া”

সুবহা ঝট করে দাঁড়িয়ে রওশনের হাতে ফোন দিয়ে দিল তারপর রাস্তার মাঝখানে দৌড়ে দাঁড়িয়ে বলতে শুরু করল।

“ তু খিচ মেরি ফটো তু খিচ মেরি ফটো তু খিচ মেরি ফটো পিয়া আআ x2”

তু খিচ মেরি ফটো তু খিচ মেরি ফটো তু খিচ মেরি ফটো পিয়া x2”

রওশন সুবহার কথা মত ওর ছবি তুলে দিচ্ছে আর সুবহা বিভিন্ন পোজ দিচ্ছে।

হঠাৎ সুবহা দৌড়ে আরেক সাইডে চলে যায় আর রওশন ওর পিছু ছুট দেয়। পাশের দোকান থেকে একটা পানির বোতল কিনে অসহায় ভাবে কয়েক ঢোঁক খেল রওশন। তারপর আবার সুবহার পেছনে গেল।

সুবহা একটা বড় গ্রাউন্ডে উঠে টাওয়ারে এক হাত গিয়ে পেঁচিয়ে ঘুরছে আর রওশন এগুলো ভিডিও করছে। আজকে যত জ্বালানোর জ্বালাক কালকে এই ভিডিও দেখিয়ে জব্দ করবেন ও সুবহাকে।

খোয়াবো কা টাউন হ্যায়
রাত ভি ব্রাউন হ্যায়
ক্যায়া হুয়া? কুছ নেহি
দোহি ড্রিঙ্ক ডাউন হ্যায়

রওশন‌‌ নিজের মাথায় পানি ঢেলে রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে।

নাশে মে হাম নেহি হ্যায়
ইয়া সামাহ নাশিলা হ্যায়
পানি ভি পিতে হ্যায় তো
লাগ তা হ্যায় টাকিলা হ্যায়

রওশন গিয়ে সুবহাকে কোলে তুলে নিল আর সুবহা হাত পা ছোড়াছুড়ি শুরু করে দিল।

মুড আশিকানা হ্যায়
সুভা ঘার জানা হ্যায়
তুনে ক্যায়সা জাদু হ্যায় কিয়া
লামহা ইয়ে সুহানা হ্যায়
টাইম নেই গাওয়ানা হ্যায়
জিনেকা মাজা লে সাথিয়া

সুবহা রওশনের ঘারে কামর বসিয়ে দেয় সাথে রওশন সুবহাকে ছেড়ে নিজের ঘাড়ে চেপে ধরে আর সুবহা দৌড়।

“তু খিচ মেরি ফটো তু খিচ মেরি ফটো তু খিচ মেরি ফটো পিয়া আআ x2”

তু খিচ মেরি ফটো তু খিচ মেরি ফটো তু খিচ মেরি ফটো পিয়া x2”

সুবহা রোডের মাঝখানে যেতেই রওশন ওকে ধরে ফেলে তারপর জোরে করে গাড়িতে বসায়। গাড়িতে ছোটাছুটি করতে নিলে রওশন ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখে। সুবহা আর উপায় না পেয়ে শান্ত হয়ে যায়।

To be continued….

#Mr_Arrogant ?
#The_Addiction_Of_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_20
.
.
.
.
স্কটল্যান্ডের মাটিতে পা রেখেই চোখের সানগ্লাস নামিয়ে নিল‌ আভি। মুখে এক অদ্ভুত হাসি ওর।

আভিঃ লুকোচুরি খেলা অনেক হয়েছে রওশন এবার সামনাসামনি প্রহার হবে। আমার পরবর্তী প্রহারের জন্য প্রস্তুত থাকো।

একটা কালো গাড়ি এসে আভির সামনে থামতেই আভি সেটাতে উঠে পরে।

টেবিলে সুবহার ছবি রেখে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে শান। ওর সামনেই অপজিট চেয়ারে বসে আছে আভি।
“শান” আন্ডারওয়ার্ল্ডের সবচেয়ে নিকৃষ্ট মাফিয়াদের মধ্যে একজন। এশিয়া থেকে শিশু এবং মেয়েদের কিডন্যাপ করে তাদের দুবাই এক্সপোর্ট করাই হচ্ছে ওর ব্যাবসা। কিন্তু যখন থেকে রওশন মাফিয়া ওয়ার্ল্ডে নিজের আজ করেছে তখন থেকে ওর সব কালোবাজারি ব্যাবসা বন্ধ হয়ে গেছে। ওর কোন কন্ট্রেক্ট রওশন সফল হতে দেয়‌না। বর্তমানে শানের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে রওশন। যার নাম ও শানের কাছে বিষাক্ত কাঁটার মতো বিঁধে।

এবারো তেমনটাই হয়েছে। শান কনট্রেক্ট অনুযায়ী শিশুদের দুবাই এক্সপোর্ট করতে নেয় কিন্তু রওশনের জন্য সফল হয় না। এজন্য বাংলাদেশ থেকে তাদের সরিয়ে স্কটল্যান্ড নিয়ে আসে ও। এখান থেকে তাদের দুবাই শিফ্ট করা হবে। কিন্তু রওশন খবর পেয়ে এখানেও চলে এসেছে যার জন্য শানের রাগ সপ্তম আসমানে উঠে বসেছে।

আভি এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। ও জানে রওশনের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে শান। তাই ও শানের সাহায্য নিয়ে রওশনকে মারার প্লান করছে। ওর প্লান অনুযায়ী রওশন শানের হাতে মরবে আর ও সুবহাকে নিয়ে দেশে ফিরে যাবে।

শানঃ অনেক হয়েছে রওশন তোমার রাজত্ব। এবার তোমাকে বোঝাবো শান কি জিনিস। গেট রেডি পর ডাই( মনে মনে শয়তানি হেসে)

আভিঃ তো শান প্লান অনুযায়ী কাজ শুরু করা যাক।

শানঃ অফকর্স আভি,,

আভিঃ কিন্তু মনে থাকে যেন রওশনের চ্যাপ্টার শেষ হতেই তুমি সুবহাকে আমার কাছে সপে দিবে। ( ভারি কন্ঠে)

শানঃ শান নিজের প্রমিস কখনো ভুলে না আভি তুমি নিশ্চিত থাকতে পারো।

আভিঃ ব্যাস আর কিছুক্ষণ সুবহা তারপর তুমি আমায় পাশে আমার কাছে থাকবে। প্রতিটা অপমানের প্রতিশোধ সুদে আসলে আদায় করবো আমি তোমার থেকে।( মনে মনে)

???

ভোরের আলো চোখে পরতেই ঘুম ভেঙ্গে গেল সুবহার। মাথাটা কেমন জানি ভারী ভারী লাগছে ওর‌। হঠাৎ সুবহা অনুভব করল কেউ ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে। সুবহা পাশে তাকাতেই ওর চোখ কপালে উঠে গেল।

রওশন বিছানায় আধশোয়া হয়ে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে আছে আর সুবহা ওর বুকে শুয়ে আছে। সবচেয়ে বড় কথা রওশনের গায়ে কোন টিশার্ট অবদিও নেই। সুবহা নিজের দিকে তাকিয়ে দেখে ওর পরনে একটা টপ্স আর ট্রাউজার। সুবহা কিছুই বুঝতে পারছে না গতরাতে কি হয়েছিল। তারউপর রওশনের খালি বুকে শুয়ে থাকতে অনেক আনইজি লাগছে ওর কাছে। রওশন খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে সুবহানকে।

সুবহা এক ঝটকায় নিজেকে ছাড়িয়ে সরে যায় রওশনের থেকে। আচমকা এমন হওয়ায় রওশনের ঘুম ভেঙে যায় আর ও রেগে বলে উঠে।

রওশনঃ হোয়াট দ্যা হ্যাল্‌লল রাতেও‌ ঠিক মতো ঘুমাতে দেও নি আর এখনও আবার শুরু করলে দিনদুপুরে।

সুবহা রওশনের কথায় অর্থ বুঝতে পারলো না।

সুবহাঃ আমি আবার কি করলাম রওশন?

রওশন রেগে গিয়েছিল কারন ও ভেবেছিল সুবহা এখনো ড্রাঙ্ক আছে। কিন্তু সুবহার কথা শুনে রওশন‌ বুঝতে পারলো যে সুবহার নেশা কেটে গেছে। রওশন এবার মনে মনে বাঁকা হেসে বলল।

রওশনঃ অনেক তো জ্বালালে আমাকে গতকাল সুবহা নাও ইট্স মাই টার্ন। আমাকে সারারাত নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়েছো তুমি। রওশন রায়জাদার বারোটা বাজানোর শাস্তি তো পেতেই হবে তোমাকে। ( মনে মনে)

রওশন‌‌ মুখে রোমান্টিক ভাব নিয়ে সুবহার দিকে ঝুঁকতে ঝুঁকতে বলতে শুরু করে।

রওশনঃ‌ তোমার কি সত্যিই কিছু মনে নেই সুবহা?

সুবহা পেছনে ঝুঁকতে ঝুঁকতে বলে,,, নাহ ।

রওশনঃ‌ কালকে তোমাকে বারন করা সত্ত্বেও তুমি ওই জুসটা খেলে যায় ফলস্বরূপ তুমি ড্রাঙ্ক হয়ে গিয়েছিলে। আর ড্রাঙ্ক অবস্থায় তুমি আমার মতো নিরিহ অবলা মানুষটাকে একা পেয়ে আমার ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেললে সুবহা। ছিঃ সুবহা ছিঃ,,,

সুবহা অবাক হয়ে গেছে রওশনের কথায়। ও সাথে সাথে মাথা নাড়িয়ে “না ” বলে বলতে শুরু করে।

সুবহাঃ না না রওশন আপনার কোথাও ভূল হচ্ছে আমি এরকম কিছু করিনি। ( কাঁদো কাঁদো ভাবে)

রওশনঃ তাহলে কি আমি মিথ্যা বলছি? আমাকে দেখে মনে হয় যে আমার কথা গুলো মিথ্যা? লুক আমার গায়ে একটা টিশার্ট অবদিও নেই আর এই দেখো ( ঘাড় দেখিয়ে) কি কামড়টাই না দিলে আমাকে তুমি এখনো রক্ত জমে আছে। ( আহত কন্ঠে)

সুবহা এবার কেঁদেই দেয় রওশনের কথায়। সুবহাকে কাঁদতে দেখে রওশন হচকিয়ে যায়। ওতো মজা করছিল সুবহা এতোটা সিরিয়াস হয়ে যাবে বুঝে নি ও।

রওশন সুবহাকে সাথে সাথে নিজের বুকে জড়িয়ে নেয় তারপর বলতে শুরু করে।

রওশনঃ হেয় সুবহা ডোন্ট ক্রাই প্লিজ। আমিতো মজা করছিলাম এমন কিছুই হয়নি ট্রাস্ট মি। কালকে রাতে তুমি আমার গায়ে বমি করে দিয়েছিলে তাই আমি শার্ট খুলে ফেলেছি আর তোমার ড্রেসও লেডি স্টাফরা বদলে দিয়ে গিয়েছে। প্লিজ ডোন্ট ক্রাই।

সুবহা রওশনের বুক থেকে মাথা তুলে হেঁচকি তুলতে তুলতে বলে।

সুবহাঃ তাহলে আপনার ঘাড়ে কে কামড় দিল?

রওশনঃ এটা তুমিই করেছো। ওয়েট আমি আবার লাইভ টেলিকাস্ট দেখাচ্ছি।

কথাটা বলেই রওশন নিজের ফোন বের করে ভিডিও অন করে সুবহার সামনে ধরে।

ভিডিওটা দেখে সুবহা যেন আকাশ থেকে পড়ল। লজ্জায় ওর গাল আর কান লাল হয়ে গেছে।

সুবহাঃ‌ এটা ডিলিট করে দিন রওশন প্লিজজজ,,

সুবহা ছো মেরে ফোনটা নিয়ে নিতে চাইলেই রওশন সরে দাঁড়িয়ে যায় তারপর বলতে শুরু করে।

রওশনঃ নো নো সুবহা ভূলেও এ কাজ করার চেষ্টা করো না। এই ভিডিও টা আমি কখনো ডিলিট করবো না।‌ যখন আমাদের ছেলেমেয়ে হবে এবং তাদের ঘরেও ছেলেমেয়ে হবে তখন আমি তাদের এই ভিডিও টা দেখাবো আর মজার নিব। তুমি আমাকে অনেক জ্বালিয়েছ এর প্রতিশোধ আমি সারাজীবন নিবে তোমার থেকে। আর আমার হাতিয়ার হবে এই ভিডিও টা। ( ফোন দেখিয়ে বাঁকা হেসে)

সুবহা কাঁদো কাঁদো ভাব নিয়ে বলল।

সুবহাঃ প্লিজজজজজ (মায়াবী চোখে)

রওশনঃ ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করো না লাভভ,,

রওশনের মুখে লাভ শব্দটা শুনে থমকে যায় সুবহা। ওর হার্টবিট যেন হঠাৎ করেই বেড়ে যাচ্ছে। রওশন আনমনে শব্দটা বলে ফেলেছে ও খেয়ালও নেই এই মুহূর্তে ও কি বলল। ওতো ফোন নিয়ে ব্যস্ত।

সুবহাঃ আপনি এখন কি বললেন?( অবাক হয়ে)

রওশনঃ‌ কি বললাম?( ভ্রু কুঁচকে)

সুবহা বুঝতে পারলো যে রওশন মুখ ফসকে বলে ফেলেছে। কিন্তু রওশনের এই আনমনে বলে ফেলা শব্দটা যে সুবহার মনে দাগ কেটে দিয়েছে সেটা ও বুঝতে পারছে না।

রওশন সুবহাকে চুপ থাকতে দেখে আবারো বলল,,

রওশনঃ বলো কি বলেছি?

সুবহাঃ কিছুনা,,( কথা ঘুরিয়ে)

রওশনঃ আচ্ছা বাদ দাও। আমি আগে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসি তারপর তুমি যেও। ব্রেকফাস্ট সেরে বের হবো আমরা। কালকে আমার কাজ আছে তাই কালকে তোমাকে নিয়ে বের হতে পারব না এজন্য যত ঘুরার আজকেই ঘুরে নিও ওকে,,,

সুবহা বোকার মত মাথা নাড়ানো। রওশন টাওয়াল নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল। সুবহা তাচ্ছিল্য হেসে নিজেই নিজেকে বলতে শুরু করে।

সুবহাঃ সবসময় বেশি ভাবা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে আমার। রওশন তো আমাকে ভালোই বাসেনা কিন্তু ওনার কথাটাতে যে আমার মনের মধ্যে সেই অনুভূতিটা নাড়া দিচ্ছে যেটা থেকে আমি দূরে থাকতে চাই সেটা কি রওশন বুঝে না?( ছলছল চোখে)

সুবহা দীর্ঘশ্বাস চোখ বন্ধ করে রাখে কিছুক্ষণ।

? After Some Time ?

রওশন খাবার খাচ্ছে‌ আর সুবহা আড়চোখে বারবার রওশনকে দেখছে। রওশন সুবহার সামনে একটা ম্যাগাজিন রেখে বললো,,

রওশনঃ আমরা আজকে এই জায়গাগুলো দেখতে যাবো।

সুবহা ম্যাগাজিন তুলে ছবি গুলো দেখছে,,, Broch Of Mousa, Loch Ness, Edinburgh Castle… সুবহা শুধু অবাক হয়ে জায়গা‌ গুলোর ছবি দেখছে আর ভাবছে,,, ছবিতেই এতো সুন্দর আর মনোরম জায়গা গুলো বাস্তবে কতটা আকর্ষণীয় হবে?

রওশন সুবহাকে নিয়ে বেড়িয়ে যায়। ওদের প্রথম টুরিস্ট প্লেস Edinburgh Castle।

???

গার্ডঃ স্যার রওশন রায়জাদা তার ওয়াইফকে নিয়ে বেরিয়ে পরেছে। ওরা প্রথম ইডিনবার্গ ক্যাসেল তারপর ব্রোউচ্ অফ মোসা অ্যান্ড দ্যান ল্যোচ্ নেস্ লেকে যাবে।

আভিঃ ওকে দ্যান লেকের পারেই নাহয় ওর লাভ স্টোরির দি এন্ড করবো আমি,,,( শয়তানি হেসে)
গেট রেডি আমরা বেরোবো।

To be continued……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here