#আষাঢ়ে_শ্রাবণের_বর্ষণ
#মাইশাতুল_মিহির
[পর্ব-০৯]
‘চট্টগ্রামের পরিবেশ এতো সুন্দর আগে জানা ছিলো না। তার উপর আবার আজ বৃষ্টির দিন ছিলো।’
ঘুরাঘুরি শেষে অভ্র আরিয়ান এক সাথে নিজেদের রুমের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলো। তখন অভ্র কথাটি বললো। আরিয়ান প্রতিত্তুরে গর্বিত কন্ঠে শুধালো, ‘চট্টগ্রাম মানেই প্রকৃতির রানী। হোক সেটা বৃষ্টিতে ভেজা পরিবেশ কিংবা গ্রীষ্মের কাঠ ফাটা রোদের দৃশ্য। এমন পরিবেশে প্রেম প্রেম পায়। কিন্তু আফসোসের বিষয় হচ্ছে আমার একটাও গফ নাই।’
আরিয়ানের কথায় হেসে ফেললো অভ্র। ঠোঁট প্রসারিত করে আক্ষেপের কন্ঠে ‘হায় হায়’ করে উঠল। অতঃপর আরিয়ানের উদ্দেশ্যে বলল, ‘তোমার মতো এতো সুন্দর একটা ছেলের গফ নেই বিশ্বাস হয় না ভাই।’
‘ভাই, তুমি নিজেও তো সুন্দর। তাহলে তোমার গফ নেই কেন?’ কথার পিঠে প্রশ্ন ছুড়ে মারলো আরিয়ান। তার এমন কথা শুনে ভিমরি খেলো অভ্র। ঠোঁট টেনে ফিচেল গলায় বলল, ‘আসলে এইসব নিয়ে কখনো ভাবি নি তাই।’
‘না মূল বিষয় টা হচ্ছে আমাদের মতো এত্ত ইন্টেলিজেন্ট কিউট হ্যান্ডসাম ছেলেদের গফ হবার যোগ্যতা কারোর নাই।’ আরিয়ানের কথা শুনে শব্দ করে হেসে উঠলো অভ্র। আরিয়ান নিজেও হাসলো। তখুনি কানে আসলো অন্য কারোর কন্ঠস্বর।
‘আসলে মেয়েরা তোমাদের পাত্তা দেয় না তাই তোমরা সিঙ্গেল। শুধু শুধু ঢাক ঢুল পিটিও না।’
রিমির কথা কর্ণগোচর হতেই পিছনে ফিরে তাকালো দুইজন। অভ্র ভ্রুঁ কুঁচকে পূর্ণাঙ্গ দৃষ্টি মেলে রিমিকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখলো একবার। পরনে তার হুয়াইট কালার শার্ট সাথে জিন্স। ক্যারামেল কালার করা চুল গুলো পিঠ পর্যন্ত ছুঁই ছুঁই। ধবধবে ফর্শা গায়ের রঙ, উজ্জ্বল বর্ণের অধিকারিণী এই রমনী। চোখের কালো মনিতে চোখ পরতেই দৃষ্টি ফিরিয়ে নিল অভ্র।
‘হুয়াট ডু ইউ মিন বাই মেয়েরা পাত্তা দেয় না? মেয়েদের পাত্তা পেতে আমরা বসে থাকি না। আসলে এতো সুন্দর ছেলেদের তারা ডিজার্ভ করে না।’ আরিয়ান ত্যাঁছড়া ভাবে প্রতিত্তুর করলো।
রিমি কূটস্থ করে বললো, ‘মেয়েদের চয়েজ এতোটাও খারাপ না। আর ডিজার্ভ তো শত মাইল দূরের কথা।’
দুজনের পাশ কাটিয়ে দীবার রুমে চলে গেলো রিমি। অভ্র রিমির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে প্রশ্ন করলো, ‘তোমার বোন?’
‘আরিয়ান সামনে এগুতে এগুতে শুধালো, ‘না। ছোট বেলায় আম্মু পাহাড়ের নিচ থেকে কুড়িয়ে এনেছিলো।’
আরিয়ানের কথা শুনে আবারো উচ্চস্বরে হেসে উঠলো অভ্র। হাসতে হাসতে নিজের রুমে চলে আসলো।
________________
দুই হাত গালে ঠেকিয়ে বিছানায় বসে আছে দীবা। একটা বালিশ কোলে রাখা। ঠোঁট ফুলিয়ে বসে রইলো সে। এই মুহূর্ত তার নিজেকে প্রচন্ড অসহায় লাগছে। আবরার আসার পর থেকে বেশ অস্বস্তিতে পরেছে সে। কিছুতেই নিজেকে শান্ত রাখতে পারছে না। আবরারের সেই ভয়াংকর রাগ দেখে দীবার মনে এক প্রকার ভয় গুটিসুটি মেরে বসে আছে। কোনো ভাবেই এই ভয় থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক ভাবে থাকতে পারছে না। এই লোকটা নাকি তার হাসবেন্ড? ভাবা যায়? একে তো বাড়িতে এই লোকের আগমন। তার উপর আবার আজ কলেজের ঘটনা। স্যারের সাথে ধাক্কা লাগার মতো অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে এই জীবনে পরেনি দীবা। সব মিলিয়ে বিব্রতবোধ করছে সে।
‘হেই জান্টুস, কিয়া করো?’
দীবার পাশে ধপাস করে বসে বলে উঠলো রিমি। ভাবনার মাঝে হঠাৎ রিমির আকস্মিক আগমনে ভড়কে গেলো দীবা। বুকে এক হাত রেখে বললো, ‘তুই কখনো ভালো হবি না? এভাবে কেউ আসে?’
ভ্রুঁ জোড়া কুঁচকালো রিমি। তাচ্ছিল্য করে বললো, ‘বাহ্, তুমি এতো টাই কল্পনায় ব্যস্ত ছিলে যে আমি এসেছি তা দেখতে পাও নি? কি কল্পনা করছিলে জানু? নিশ্চয় বাসর রাত নিয়ে ভাবছিলা? আরব ভাই তো এসেছে। ভাবতে তো হবেই। তাই না?’
শেষের কথা গুলো ভ্রুঁ নাঁচিয়ে দুষ্টু হাসি দিয়ে বললো রিমি। বিরক্ত সহিত তাকালো দীবা। শক্ত গলায় বললো, ‘তোর মাইন্ড খারাপ, যা এখান থেকে।’
রিমি বিছানার হেডসাইডে হেলান দিয়ে বললো, ‘ফিকার নট বেবি, তোর বাসর রাতে লুকিয়ে লাইভ দেখবো সব। তখন তোমার লজ্জা কোন দরজা দিয়ে পালায় দেখবো!’
‘অফ যা, নুরা কোথায়?’
‘হ্যালো জান্স, আই’ম হাজির।’
রুমের দরজা ঠেলে নুরা দুইহাত দুই দিকে মেলে নিজেকে প্রেজেন্ট করে বলে উঠলো। পরনে খয়েরী রঙের টি-শার্ট, সাদা প্যান্ট। বিচ ব্রাউন কালারের ঢেউ খেলানো চুল গুলো উঁচু করে জুটি করা। মহা খুশিতে হেলে দুলে এসে দুজনের সামনে আরাম সহিত বসলো নুরা। অতঃপর বলে উঠল, ‘উইথ আউট মি, কার বাসরের প্ল্যান করা হচ্ছে শুনি?’
দীবা বললো, ‘তোর টার কথাই ভাবছিলাম।
নুরা কিছুটা লজ্জা পাওয়ার ভান করে বললো, ‘রাজ স্যারের সাথে?’
দীবা রিমি চোখ বড়বড় তাকালো নুরার দিকে। প্রকাণ্ড রকমের বিস্মিত হয়ে রিমি বলে উঠলো, ‘পাপ হবে পাপ। স্যার কে নিয়ে এইসব চিন্তা করলে পাপ হবে বুঝছোস ফহিন্নি?’
দীবা তাচ্ছিল্যের সাথে বললো, ‘ছিঃ নুরা। স্যার কে এইসব ভাবে কেউ?’
বিরক্ত হলো নুরা। বিরূপ চোখেমুখে তাকিয়ে বলে উঠলো, ‘আশ্চর্য এমন ভাবে বলছিস যেন স্যার রা কখনো বিয়ে করে। আজন্ম আবিয়াইত্তা থাকে। শুন, তারাও বিয়ে করে। হয়তো নিজের স্টুডেন্টস কে। নয়তো অন্যের স্টুডেন্টস কে। ওকে?’
রিমি বললো, ‘তোর লাফানি এই পর্যন্তই দেখা যাবে। কয়দিন পর আরেক জনকে নিয়ে শুরু করবি।’
নুরা শব্দ করে হেসে উঠলো। তারপর চোখেমুখে মুগ্ধতা প্রকাশ করে আনমনে বলে উঠলো, ‘নেভার! দিছ উইল বি মাই ফাস্ট এন্ড লাস্ট লাভ।’
___________________
রাতে বাহিরে ঝুম বৃষ্টি আচঁড়ে পরছে চট্টগ্রাম শহরে। আষাঢ় মাসে যখন-তখন ধরনীর বুকে বৃষ্টি পরাটা স্বাভাবিক। শুঁ-শুঁ বাতাস প্রভাহমান। ‘শান্তিনিবাস’ এর ড্রয়িংরুমে যে যার মতো বসে মেতে আছে আড্ডায়। নিশিতা আয়েশা মিলে তাদের নাস্তা দিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে নিজেদের রুমে। দীবা এখানে আসতে চায় নি। রিমি নুরা জোড় পূর্বক নিয়ে এসেছে তাকে। সে কিছুতেই আবরারের সাথে মুখোমুখি হতে চায় না। অবশ্য আবরার বিকেলে বাড়ি ফিরে ঘুমিয়েছিলো বিধায় এখানে অনুপস্থিত। দীবা স্বস্থির নিশ্বাস ফেললো। নিশ্চিন্তে সবার সাথে আড্ডায় মশগুল হলো। অপরদিকে ঘুম থেকে উঠে গায়ে কালো হুডি জড়িয়ে নিচে আসলো আবরার। সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় দীবার হাসি মুখ দেখে পা থেমে গেল তার। সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে পরলো আবরার। এক হাত পকেটে গুঁজে দীবার দিকে প্রগাঢ় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো সে। দীবা ব্লু কালারের কুর্তি পরে আছে। কোমড় পর্যন্ত কালো চুল গুলো বেনি করে এক পাশে এনে রাখা। বেবি হেয়ার গুলো কপালে আচঁড়ে মুখের উপর পরে আছে। সেগুলোকে পরম যত্নে দীবা কানের পিছনে গুঁজে দিচ্ছে বারবার। তাকে মুগ্ধকর চোখে তাকিয়ে দেখছে আবরার। চোখ সরানো কষ্টসাধ্য হয়ে পরেছে বোধহয়। অথচ বিকেলে প্রতিজ্ঞা করেছিলো দীবার দিকে ভুলেও তাকাবে না। ভঙ্গ হলো প্রতিজ্ঞা, প্রবিত্র সম্পর্ক বোধহয় এমনি হয়।
‘ওখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? নিচে আয়!’
আবরার কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সাবিত বলে উঠলো। চোখ ঘুরিয়ে সিঁড়ির দিকে তাকালো সবাই। দীবা তাকাতেই আবরারের চোখে চোখ পরলো দুজনের। আবরার দীবার দিকে তাকিয়ে থেকে নিচে নামতে লাগলো। ধাতস্থ হলো দীবা। চোখ ফিরিয়ে নিলো তাৎক্ষনাৎ। অশান্ত হয়ে উঠলো মন। অস্বস্তিতে আরো মিহিয়ে এলো। আবরার এগিয়ে দীবার সামনে সাবিতের পাশে এসে বসলো। সবার সাথে হাসিখুশি আড্ডায় মশগুল হলো। কিন্তু দীবা আবরার কে দেখার পর থেকেই তার হাসিখুশি মুখ মুহূর্তে ফাটা বেলুনের মতো চুপসে গেছে। কাচুমুচু হয়ে রাইমার সাথে আরো চেপে বসে রইলো সে। অন্যদের সাথে কথা বলায় ব্যস্ত থাকলেও দীবার অস্বাচ্ছন্দ্য হওয়ার কারণ বুঝতে পেরেছে আবরার। এতোক্ষণ সবার সাথে হেসে কথা বলা মেয়েটি তাকে দেখেই অপ্রস্তুত হয়ে গেছে। নিরবে চোয়াল শক্ত হয়ে এসেছে।
অন্যদিকে অস্বস্তি ধরে রাখতে না পেরে এক পর্যায়ে দাঁড়িয়ে পরলো দীবা। সবার উদ্দেশ্যে বললো, ‘আমার একটা নোট বানাতে হবে। ভুলেই গেছি আমি। তোমরা কথা বলো আমি যাই।’
কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে দ্রুত পায়ে উপরে চলে গেল দীবা। আবরারের রাগ এবার আকাশচুম্বী হয়ে গেলো। আর কেউ না জানুক সে ভালো করেই বুঝতে পেরেছে দীবা তার উপস্থিতির কারনে এখান থেকে চলে গেছে। চুপচাপ দাঁতে দাঁত পিষে বসে রইলো আবরার। সে এমন কি করেছে যে দীবা তাকে এভাবে এড়িয়ে যাবে? কথাও তো বলে তাহলে এমন বিহেভিয়ারের মানে কি? ইগোতে লাগলো আবরারের।
উপস্থিত সবার মাঝে রাইমা দুজন কে ঠিক-ই খেয়াল করেছে। ব্যাপার টা তার কাছে ভালো ঠেকলো
না। সেও চায় আবরার আর দীবা এক সাথে থাকুক। সুন্দর জীবনযাপন করুক দুজন। ভাবি হিসেবে দীবাকে তাদের ভীষণ পছন্দের। কিন্তু এখন দুজনের মাঝে আকাশ সমান দূরত্ব রয়েছে। দূরত্ব ঘুচাতে হবে। যে করেই হোক দুজনকে এক করতেই হবে।
______________
রাতের খাওয়া দাওয়ার পর যে যার রুমে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু ঘুমাতে গেলো না হোসেন। বড় ভাইয়ের রুমে জরুরি আলোচনার জন্য বসেছে। রুমের এক পাশে গম্ভীর মুখে ইজি চেয়ারে হেলান বসে আছে রোশান। চিন্তিত তার মুখখানি। তারই পাশে বেতের মোড়ায় বসে আছে হোসেন। নিশিতা বিছানায় বসে চক্ষুশূন্য দৃষ্টিতে মেঝেতে তাকিয়ে আছে। নিরবতা ভেঙ্গে আড়ষ্ট কন্ঠে বলে উঠল হোসেন, ‘ভাই, এভাবে চললে তো হবে না। ওদেরও একটা ভবিষ্যত আছে।’
রোশান সক্রিয় হয়ে গম্ভীর্যপূর্ন কন্ঠে ক্রোধ প্রকাশ করে বলল, ‘আবরারের খেয়ালিপনা একদম ভালো লাগছে না আমার। সে কোনো বাচ্চা ছেলে না যে তাকে ধরে বেধে সংসারের গুরুত্ব বুঝাতে হবে।’
নিশিতা পাশ থেকে ছেলের পক্ষ নিয়ে শুধালো, ‘ছেলের মতের বিরুদ্ধে বিয়ে দিলে কেন? দীবা আমার অপছন্দের না। আমিও দীবাকে রিমি রাইমার মতোই ভাবি। কিন্তু আবরার যেহেতু রাজি ছিলো না সেখানে জোড় করা মোটেও উচিত হয় তোমার।’
‘তুমি আমাকে শিখাবে কোনটা উচিত আর কোনটা অনুচিত?’
‘না আমি তা বলছি না। যেহেতু জোড় করে বিয়ে দিয়েছো সেহেতু আবরারের এমন ব্যবহার অস্বাভাবিক কিছু নয়।’
নিশিতার ঝাঁঝ মেশানো কন্ঠে নিভলো রোশান। স্ত্রীর কথা ফেলে দেবার মতো নয়। তখন গ্রামবাসী এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছিলো যে সে বাধ্য হয়েই বিয়ে দিয়েছে। গ্রামবাসীর কথাতেও যুক্তিযুক্ত ছিলো। দুজন পূর্ন বয়সের যুবক যুবতী একি ঘরে থাকাটা দৃষ্টিকটু। সে তার ছেলেকে ভালো করে চিনে। কখনোই খারাপ দিকে যাবে না। কিন্তু সেটা তো আর বাহিরের মানুষজন জানে না। তাছাড়া দীবাকে সে তখন হোক কিংবা এখন তার পুত্রবধূ বানাতো। সেটা নাহয় পরিস্থিতি ঘুড়ে আগে হয়েছে। এবার আবরার ভালোই ভালোই বিয়েটা মেনে নিয়ে আটপাঁচজন স্বাভাবিক দাম্পত্যর মতো জীবনযাপন করলেই চলে।
ভাই ভাবির কথার মাঝে হোসেন তার মতামত জানালো। ভাবির কথার সম্মতি দিয়ে বলে উঠলো, ‘আবরার যেহেতু এখানে আছে সেহেতু ওকে আর জোড় করা ভালো সিন্ধান্ত হবে না। দুজন একি বাড়িতে আছে, থাকুক, জানুক। আস্তে আস্তে বুঝতে পারবে। সেই পর্যন্ত দুজনকে সময় দেওয়া উচিত।’
_______________
মধ্যরাত্রি! ঘড়ির কাটা রাত একটা বিয়াল্লিশ। চারদিকে পিনপিন নিরবতা হলেও বাহিরে ভাড়ি বর্ষণের ঝমঝম ধ্বনি আর অম্বর আলোকিত করে আসা বজ্যপাতের তীব্র আড়ম্বর ভেসে আসছে। আবরার কানের হেডফোন খুলে পাশে রাখলো। বিছানায় শুয়ে সিলিং’য়ের দিকে এক ধ্যানে তাকালো। ড্রিমলাইটের নিভু নিভু নীল আলোতে অন্ধকার কক্ষ আবছায়া আলোকিত। থাইগ্লাসের কাচ বেদ করে কিয়ৎক্ষণ পর পর বজ্যপাতের শুভ্র আলো এসে আবরারের মুখ আলোকিত করছে। কিন্তু আবরার তার নিজস্ব চিন্তায় ব্যস্ত। চোখের সামনে ভেসে উঠছে সেই মুখটি। ভয়ার্ত চোখের চাহনিটা আবরারের ভীষণ ভাবে মনে পরছে। সে ভাবছে সব। কি অদ্ভুত তাই না? এটাই তাহলে বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধনের শক্তি? যাকে সে বিয়ের দিন রাতে ফেলে চলে গিয়েছিল; আজ সেই তাকেই দেখতে ইচ্ছে করছে। এই মেয়ের মাঝে জাদু আছে বৈকি। নাহলে আবরারের মতো একটা ছেলেকে কিভাবে এক দিনে এমন মাতোয়ারা বানিয়ে ফেললো?
চলমান…
নোট : বাসে বসে পোস্ট করলাম। কুমিল্লা আছি। লং জার্নি করতে হবে। তবুও গল্প দিলাম আজ। রিচেক করতে পারি নি। ভুল গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। কার্টেসি ছাড়া কপি নিষিদ্ধ। হ্যাপি রিডিং!