ভালবাসার_এপিঠ_ওপিঠ পর্বঃ ০৭ | ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প

3
6745

ভালবাসার_এপিঠ_ওপিঠ পর্বঃ ০৭
লেখকঃ আবির খান

নিহান ওর পিস্তলটা বের করে কৌশলে দরজা খুলে অ্যাটাক করে ও পুরো অবাক হয়ে যায়৷ ও দ্রুত বলে উঠে,

– ম্যাম আপনি! এত রাতে?

নিহানের বাহুতে তাসনিন জড়িয়ে আছে৷ দুজন দুজনের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তাসনিন অনেকটা ভয় পেয়েছে। নিহান তাসনিনের ভীতু মুখখানা দেখে দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যায়। পিস্তলটা আড়ালে সরিয়ে বলে,

– ম্যাম আপনি? কোন সমস্যা হয়েছে?
~ আগে ভিতরে তো যেয়ে নেই।

নিহান ওর রুমের দিকে তাকিয়ে ভাবছে, এত রাতে এত সুন্দরী একটা মেয়ে তাও আবার এ বাড়ির বড়ো প্রিন্সেস ওর রুমে ঢুকবে? যদি কিছু হয়ে যায়? ও যদি নিজেকে সামলাতে না পারে তখন কি হবে? বা যদি কেউ জেনে যায়? নিহান দাঁড়িয়ে এসব উল্টো পালটা ভাবছিল আর মিটমিট করে হাসছে। হঠাৎই তাসনিন বলে উঠে,

~ ওখানে দাঁড়িয়ে খেয়ালি পোলাও না রেঁধে দরজা দিয়ে এখানে আসুন৷ জরুরি কথা আছে আপনার সাথে৷

নিহান তাকিয়ে দেখে তাসনিন অলরেডি ওর রুমে ঢুকে সোফায় বসে আছে। নিহান আর কিছু না ভেবে দ্রুত ওর রুমে ঢুকে দরজা দিয়ে তাসনিনের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। তাসনিন নিহানকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বিরক্তি নিয়ে বলে উঠে,

~ উফফ! খাম্বার মতো দাঁড়িয়ে আছেন কেন! বসেন।

নিহান বাধ্য ছেলের মতো তাসনিনের পাশে বসতে নেয়। কিন্তু তাসনিন তড়িৎ গতিতে ওকে থামিয়ে বলে,

~ ও হ্যালো! কই বসার চেষ্টা করছেন হ্যাঁ? আপনার বেডে বসুন৷ ভুলেও আমার কাছে আসার চেষ্টা করবেন না। তাহলে মেরে ফেলবো।
– না না ম্যাম। আমি এক্সট্রিমলি সরি। আমি এই যে বেডেই বসছি।
~ গুড। এবার কাজের কথায় আসি৷
– জি।
~ লিয়ার খবর নিয়েছেন?
– জি ম্যাম। ওর বাবা আগে ব্ল্যাক মার্কেটের অনেক বড়ো একজন ব্যবসায়ী ছিল। তবে এখন ভালো হয়ে গিয়েছে। এখন হোয়াইট মার্কেটে ব্যবসা করে। আমার সোর্সরা তেমন কিছু পায় নি। সবকিছু নরমালই মনে হচ্ছে।
~ তাহলে কি লিয়া শুধু ফ্রেন্ডশীপের জন্যই আমাদের কাছে এসেছে?
– এখন ঠিক বলতে পারছি না। আসলে মেয়েদের বুঝা আমার জন্য একটু হার্ড। তবে সামনে নিশ্চয়ই বুঝা যাবে ওর মেইন মোটিভটা কি। সে পর্যন্ত আমি আপনাদের সাথে সবসময় আছি। আপনাদের আমি সবসময় প্রোটেক্ট করবো। সো কোন চিন্তা নেই। আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন। সামিরা ম্যাম এবং আপনাকে কেউ কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

তাসনিন এক দৃষ্টিতে নিহানের দিকে তাকিয়ে আছে৷ নিহানের কেমন জানি অস্বস্তি লাগছে। ও খেয়াল করে তাসনিনের মুখের ভঙ্গি আর চোখের চাহনি কেমন পরিবর্তন হচ্ছে। নিহানকে সম্পূর্ণ অবাক করে দিয়ে তাসনিন সোফা ছেড়ে উঠে আস্তে আস্তে নিহানের সামনে এসে দাঁড়ায়। নিহানের গলা একদম শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। ও আমতা আমতা গলায় বলে,

– ম্যা..ম্যা..ম্যামমম কোন সমস্যা?

তাসনিন হঠাৎই নিহানকে ধাক্কা মেরে বেডে শুইয়ে দিয়ে ওর উপর উঠে ওর মুখের একদম কাছে গিয়ে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে। নিহানের হার্টবিট এখন তুফান গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ও নিজেই নিজের হার্টবিট শুনতে পাচ্ছে। ওর লোহার মতো শরীরটার উপর অসম্ভব নরম কোন কিছুর ও অনুভব করছে। এরকম অনুভূতি ও আগে কখনো পায় নি। ও কি করবে ঠিক বুঝতে পারছে না। একটু নড়াচড়াও ও করতে পারছে না। তাসনিন যেন ওকে চেপে ধরে আছে। নিহান নিজেকে খুব অসহায় মনে করছে। এদিকে তাসনিনের কাছ থেকে আসা অসম্ভব সুগন্ধিটা ওকে অজানা এক অনুভূতি দিচ্ছে। সব মিলিয়ে ও বিশাল বড়ো একটা সকে আছে। সবচেয়ে বড়ো সক হলো, তাসনিন যে কখনো এমন করবে তাও এত তাড়াতাড়ি ও কল্পনাও করেনি। নিহান ভাবতো তাসনিন ওকে পছন্দ করে না। কিন্তু তাসনিন তো ডিরেক্ট অ্যাকশনে চলে গিয়েছে। সামিরাকে হার মানিয়ে দিয়েছে। নিহান মনে মনে সামিরাকে সরি বলছে। কেন বলছে ও তাও জানে না। ওর মাথা এখন একদম ঠিক নাই। ও যখন এসব ভাবছিল হঠাৎই নিহান ফিল করে ওর থুতনির নিচে তাসনিন কিছু একটা ধরেছে। নিহান যেটা দেখে সেটা দেখার জন্য ও মোটেও প্রস্তুত ছিল না। ও দেখে তাসনিন ওরই পিস্তলটা ওরই থুতনিতে ঠেকিয়ে আছে। এবার তাসনিন নিহানের চোখের দিকে তাকিয়ে কড়া গলায় বলে,

~ আপনার মূল উদ্দেশ্য কি? কেন আমাদের সেইফটির জন্য নিজের জীবন বাজি রাখছেন? আর কেনই বা আপনি এত কিছু করছেন আমাদের জন্য? যদি একটা শব্দ মিথ্যা বলেন তাহলে আজ রাতটাই আপনার শেষ রাত। বলেন কেন?

নিহান ভীষণ আশ্চর্য হয়ে তাসনিনের দিকে তাকিয়ে আছে। ও চাইলেই একমুহূর্তে তাসনিনের কাছ থেকে পিস্তলটা নিতে পারে। কিন্তু ও সেটা না করে তাসনিনের চোখের দিকে তাকিয়ে বলে,

– আপনার বাবা মানে রায়হান আঙ্কেল আমাকে নতুন একটা জীবন দিয়েছেন। আমার হয়তো এই পৃথিবীতে এখন কোন অস্তিত্বই থাকতো না যদি আপনার বাবা আমাকে এখানে না রাখতেন, না বড়ো করতে দিতেন। আপনার বাবার সবচেয়ে কাছের আপনাদের হাসান আঙ্কেল আমাকে রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এনেছেন। তিনি আমাকে জীবনের একটা লক্ষ্য ঠিক করে দিয়েছেন। আর সেটা হলো, আপনাদের দুজনকে সবসময় সেইফ রাখা। সেটা যদি আমার জীবন দিয়ে হয় তাও। আমি আমার বাবার কথা ফেলতে পারি নি। তাই নিজেকে সেভাবে বড়ো করেছি যাতে শত্রুদের হাত থেকে আপনাদের দুজনকে বাঁচাতে পারি। আমার জীবনের একটাই উদ্দেশ্য, আপনাদের সেইফটি। এছাড়া আমার আর কোন উদ্দেশ্য নেই। সেটা আপনি বিশ্বাস করুন আর না করুন।

তাসনিন নিহানের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। ও কিছু বলল না। কিছুক্ষণ নিহানের দিকে তাকিয়ে থেকে আস্তে আস্তে ওর উপর থেকে নেমে নিজেকে ঠিক করে নেয় তাসনিন৷ নিহান উঠে বসলে ওর দিকে পিস্তলটা ছুড়ে মেরে তাসনিন বলে,

~ এরপর থেকে নিজের জিনিসটা ভালো ভাবে সামলিয়ে রাখবেন। আসি।

নিহান পিস্তল হাতে নিয়ে বোকার মতো তাকিয়ে আছে৷ তাসনিন ওর রুম থেকে বের হয়ে যেতে নিচ্ছিল ঠিক তখনই নিহান বলে উঠে,

– ম্যাম আপনার উদ্দেশ্য কি? কি এমন কারণে আপনি এতটা শক্ত হয়ে থাকেন? আর আমাকেই কেন বা অবিশ্বাস করলেন?

তাসনিন ঘুরে নিহানের কাছে এসে বলে,

~ আমার জীবনের উদ্দেশ্য একটাই। আমার ছোট বোনকে সবসময় ভালো রাখা৷ ওর কোন ক্ষতি আমি থাকতে হতে দিব না। ওকে যে কষ্ট দিবে আমি তাকে নিজ হাতে শেষ করবো। আর এটাই আমার লক্ষ্য।

বলেই তাসনিন চলে যায়। নিহান স্তব্ধ হয়ে চুপচাপ বসে থাকে। কারণ নিহানের চিন্তারও বাইরে তাসনিন। ও এখনো তাসনিনকে সম্পূর্ণ বুঝতে এবং চিনতে পারে নি। নিহান পিস্তলটা হাতে নিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে শুয়ে পড়ে। আর চোখ বন্ধ করে সামিরা আর তাসনিনের কথা ভাবতে থাকে।

১৩.
পরদিন সকালে,

নিহান সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন জিম করে। আজও তার ব্যতিক্রম হয় নি। ওর ট্রেনিং রুমটা গার্ডেনের পাশেই ছিল। ও সকাল সকাল হার্ড জিম করছিল। জিমে এতটাই ব্যস্ত নিহান, ওকে যে কেউ দেখছে তা ও খেয়ালই করে নি। কিন্তু সেটা বেশীক্ষণের জন্য না। ও ডাম্বেল রাখার জন্য ঘুরতেই দেখে সামিরা কফি হাতে হা করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। নিহান যেন ভূত দেখার মতো অবাক হয়। ও দ্রুত কোন মতে শরীরটা ঢেকে সামিরাকে বলে,

– ম্যাম আপনি? এখানে কি করছেন?
~ আপনাকে দেখছিলাম…না মানে গার্ডেনে ঘুরতে এসেছিলাম।
– ওহ!

সামিরা আস্তে আস্তে নিহানের কাছে হেঁটে আসে। ওর মনে হচ্ছে ওর নিজের উপর ওর কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছে। সামিরা নিহানের কাছে এসে ওর শরীরের দিকে তাকিয়ে বলে,

~ আপনি সত্যিই অনেক ফিট। অনেক সুন্দর আপনার বডি।

নিহান তো লজ্জায় যায় যায় অবস্থা। ও যে কি করবে বুঝতে পারছে না। ও হাসি দিয়ে আমতা আমতা স্বরে বলে,

– ধন্যবাদ।
~ আচ্ছা আমি কি আপনার বডিটা একটু ছুঁয়ে দেখতে পারি?
– এহহ? (নিহান ভীষণ অবাক হয়ে যায়)
~ প্লিজ? (সামিরা মুখখানা অনেক মায়াবী করে বলে)
– না মানে..আসলে..
~ এত মানে মানের কি আছে?
– আচ্ছা।

সামিরা কেমন জানি হাসি দিয়ে নিহানের কাছে এসে ওর বাই সেফে আঙুল দিয়ে গুতো দিয়ে দেখছে৷ নিহানের মনে হচ্ছে ও কোন পশুপাখি। সামিরা আস্তে আস্তে নিহানের চেস্টের উপরে হাত রাখতে যাবে ঠিক তখনই পিছন থেকে তাসনিন বলে উঠে,

~ সামিরায়ায়ায়া….

মুহূর্তেই সামিরা লাফ দিয়ে পিছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখে তাসনিন অগ্নি দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। সামিরা একমুহূর্ত আর নিহানের সামনে না দাঁড়িয়ে ভো দৌড় দিয়ে পালায়। নিহান তাসনিনকে দেখে ভয়ে দাঁড়িয়ে গেলে ওর গায়ে থাকা কাপড়টা পড়ে যায়৷ ফলে ওর জিম করা বডিটা একদম উম্মুক্ত হয়ে যায়৷ তাসনিন ওর চোখগুলো বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে আছে নিহানের দিকে। নিহান কোন মতে কাপড়টা উঠিয়ে নিজের বডিটা ঢাকে। তাসনিন দ্রুত হেঁটে রাগী ভাব নিয়ে ওর কাছে আসে। এসে নিহানের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে ভ্রুকুচকে বলে,

~ এসব কি হচ্ছিল?
– বিশ্বাস করুন ম্যাম আমি চাচ্ছিলাম না। কিন্তু সামিরা ম্যাম..
~ হয়েছে হয়েছে। দেখেছি সব আমি। বডিটা তো বানিয়েছেন খালি মেয়েদের পটানোর জন্য। কাজে তো কোন আসে না। তাড়াতাড়ি রেডি হন যান৷ ভার্সিটিতে যেতে হবে৷
– জি জি।

বলেই নিহান ওর রুমে চলে যায়। তাসনিন মিটমিট করে হাসতে থাকে। ওর মজা লাগে যখন নিহানের মতো কেউ ওকে এত ভয় পায়। তবে তাসনিন কেন জানি লজ্জা পাচ্ছে। ও নিহানের ট্রেনিং রুমটা কিছুক্ষণ দেখে চলে যায়। এরপর ওরা ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে ভার্সিটির জন্য রেডি হয়ে একসাথে রওনা হয়৷ আজ সামিরা নিহানের সাথেই বসেছে। ও আড় চোখে নিহানের দিকে তাকিয়ে আছে৷ একটু লজ্জা পাচ্ছে সকালের জন্য। তাসনিন পিছনে বসে নিহানের দিকে তাকিয়ে আছে। ও গতরাতে নিহানের সাথে কাটানো সময়টার কথা ভাবছে। ও ভাবছে নিহান কি সত্যি বলেছে নাকি মিথ্যা। এসব ভাবতে ভাবতে ওরা ভার্সিটিতে চলে আসে। গাড়ি পার্ক করে ওরা তিনজন একসাথে ক্লাসের দিকেই যাচ্ছিলো। হঠাৎই পিছন থেকে কিছু ছেলে বলে উঠে,

– উফফ! ম্যান…সি ইজ ড্যাম ***

নিহান মুহূর্তেই দাঁড়িয়ে যায়। আর সেকেন্ডের ভিতর ওই ছেলেটার কলার ধরে ফেলে। সামিরা আর তাসনিন নিহানের দিকে তাকায়। ওর চোখ দুটো লাল হয়ে গিয়েছে। ছেলেগুলো কন্টিনিউয়াস সামিরা আর তাসনিনকে নিয়ে যাতা বলেই যাচ্ছে। নিহানকেও পোক করছে। তাসনিন আর সামিরা নিহানের হাত ধরে ওকে টানছে। নিহান খুব রেগে আছে। তাসনিন বলে উঠে,

~ প্লিজ ক্লাসে চলো। এখানে ঝামেলা করা ঠিক হবে না৷

নিহান রাগে আগুন হয়ে আছে। সামিরা নিহানকে টান মেরে ওর দিকে করে অসহায় মুখ করে ইশারায় না করে। নিহান মুহূর্তেই ছেলেটাকে ছেড়ে দেয়৷ ও চুপচাপ ওদের ক্লাসে গিয়ে বসে। তাসনিন অবাক হয়। ও বুঝতে পারে নিহানের কাছে সামিরার গুরুত্ব অনেক বেশী। সামিরা ক্লাসে এসে রাগী ভাবে বলে,

~ আপনি কি পাগল হয়ে গিয়েছিলেন? সবার সামনে ওদের সাথে ঝামেলা করলে আপনাকে যে সাসপেন্ড করে দিতে পারতো জানেন? ওরা তো তাই ই চাচ্ছিলো।

নিহান চুপচাপ বসে আছে৷ ক্লাসের সবাই ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাসনিন পাশ থেকে বলে উঠে,

~ সামিরা শান্ত হ।
~ আপু..
~ কিছু হয়েছে? (লিয়া)

সামিরা আর তাসনিন তাকিয়ে দেখে লিয়া দাঁড়িয়ে আছে। তাসনিন হাসি দিয়ে বলে,

~ না না কিছু হয় নি।
~ তাহলে নিহান এমন ভাবে বসে আছে কেন?
~ আরে ও কিছু না। বাদ দেও। বসো তুমি।

তাসনিন লিয়াকে নিয়ে বসে গল্প করতে থাকে। সামিরা নিহানের পাশেই বসে ছিল। ও আস্তে করে বলে উঠে,

~ সরি।

নিহান সামিরার দিকে তাকায়। সামিরাও নিহানের দিকে তাকায়। নিহান মুচকি একটা হাসি দিয়ে মাথা নাড়িয়ে না বলে। সামিরা হাপ ছেড়ে বাঁচে৷ লিয়া তাসনিনের সাথে কথা বলার মাঝে নিহান আর সামিরার দিকে তাকিয়ে ছিল। এরপর স্যার আসলে ক্লাস শুরু হয়। নিহান পরপর দুটো ক্লাস একদম চুপচাপ করে। সামিরা ওর দিকে তাকালেই শুধু মুচকি একটা হাসি দেয় নিহান। এরপর টিফিন পিরিয়ড আসে। নিহান সামিরা আর তাসনিনকে ক্লাসের বসতে বলে। ও নাকি ক্লাসেই টিফিন নিয়ে আসবে৷ সামিরা আর তাসনিন স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টা নেয়। কিন্তু নিহান যাওয়ার ২০ মিনিট পার হয়ে যায়। তাও ও টিফিন নিয়ে ফিরে আসে না। সামিরা আর তাসনিনের চিন্তা শুরু হয়। সামিরা তাসনিনকে বলে,

~ আপু উনি নিশ্চিত কোন ঝামেলা করতে গিয়েছে।
~ আমারও তাই মনে হচ্ছে।
~ চলো দ্রুত উনাকে খুঁজতে যাই।
~ চল।

সামিরা আর তাসনিন উঠে দাঁড়াতেই নিহান হাসি দিয়ে ক্লাসে ঢুকে। টিফিনগুলো সামিরা আর তাসনিনের হাতে দিয়ে বলে,

– সরি একটু বেশী লেইট হলো। আসলে অনেক ভিড় ছিল তো তাই।
~ ওহহ! আচ্ছা সমস্যা নেই। আপনি বসুন।
– আচ্ছা৷

তাসনিন আর সামিরা নিহানের দিকে তাকিয়ে আছে। নিহান মিটমিট করে হাসছে। সামিরা আর তাসনিন এই হাসির কারণ খুঁজে পাচ্ছে না৷ লিয়া নিহানের কাছে এসে একটা কোল্ড ড্রিংকস এগিয়ে দিয়ে বলে,

~ নেও। তোমার জন্য এনেছি।
– থ্যাঙ্কিউ।

লিয়া খুব খুশী হয়। নিহান ড্রিংকসটা খাচ্ছে। হঠাৎই সেই ছেলেগুলো তড়িঘড়ি করে ওদের ক্লাসে আসে। তাসনিন আর সামিরা ভয় পেয়ে যায়। নিহান চুপচাপ বসে থাকে। লিয়াও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। ছেলেগুলো নিহানের দিকে তাকিয়ে…..

চলবে..?

সবার ভালো সাড়া চাই। আর কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু। সাথে থাকবেন সবসময়।

আগের এবং পরবর্তী পর্বের লিংক কমেন্টে দেওয়া হবে৷

3 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here