#Be_My_Princess,#Part_2_Ending
#The_Werewolf_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
❣️
“মাথা ঠিক আছে তোমার?” – বিষ্মিত কন্ঠে বলল ইভলিন।
ইভলিনের কথায় ইভিয়ান হেসে দেয় তারপর দু কদম এগিয়ে ইভলিনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ওর দিকে কিছুটা ঝুঁকে বলে,,,
ইভিয়ালঃ রাগলে তোমাকে কত কিউট দেখায়! গাল দুটো একদম স্ট্রবেরির মতো লাল হয়ে যায়।
ইভিয়ানের কথায় ইভলিন দু হাত দিয়ে নিজের গাল চেপে ধরে। আড়িচোখে ইভিয়ানের দিকে তাকিয়ে বলে ও।
ইভলিনঃ আমার পিছু আর আসবে না। – বলেই ঘুরে হাঁটা শুরু করে ও।
ইভলিনের কথা শুনে হেসে দেয় ইভিয়ান, তারপর দু হাত কোটের পকেটে গুঁজে নাচতে নাচতে ইভলিনের পিছু পিছু যেতে শুরু করে ও।
ইভিয়ানের এমন কাজে ইভলিন বিরক্ত হয়ে পেছন ঘুরে রেগে বলতে শুরু করে।
ইভলিনঃ সমস্যা কি তোমার? আমার পিছু কেন করছো? কি চাই তোমার?
ইভিয়ানঃ তোমাকে! ( ইভলিনের দিকে আঙুল তুলে দেখিয়ে )
ইভলিনঃ মানে?( বিষ্মিত হয়ে )
ইভলিনঃ তুমি সেদিন আমাকে সাহায্য করেছো। আর আমাদের রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী যদি কখনো কোনো মানুষ আমাদের সাহায্য করে তাহলে আমরা সারাজীবন তাদের সুরক্ষা করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
আর আমিতো নিজেই সেই রাজ্যের একজন প্রিন্স তাই এখন আমার দায়িত্ব আরও বেশি। তাই নিয়ম অনুযায়ী এখন থেকে আমি তোমাকে সবসময় প্রটেক্ট করবো। সব বিপদ, সব পরিস্থিতি থেকে। তুমি চাইলেও আমি তোমার কাছ থেকে দূরে যেতে পারবো না। আমি….
ইভলিনঃ ওয়েট ওয়েট ওয়েট! ( ইভিয়ানের কথার মাঝে তাকে থামিয়ে ) আমাদের রাজ্য মানে? আর আমি কখন তোমাকে সাহায্য করলাম? তোমাকে তো এর আগে কখনো আমি দেখিও নি।
ইভিয়ানঃ দেখেছো। সাহায্যও করেছো। তোমার গলার মাফলার টা দেখো, তাহলে সব মনে পরে যাবে।
ইভলিন সাথে সাথে গলা থেকে মাফলার টা খুলে দেখতে শুরু করে। সেদিনের মাফলার টা এটা। অবাক চোখে তাকায় ইভলিন ইভিয়ানের দিকে।
ইভলিনঃ এটাতো আমি ওই ওল্ফটাকে বেঁধে দিয়েছিলাম। তোমার কাছে কিভাবে?
ইভলিনঃ ওল্ফ না ইভ! ওয়্যার’ওল্ফ। সেটা আমি ছিলাম। তুমি আমার আঘাতে এটা বেঁধে দিয়েছিলে।
ইভলিনঃ ত তার মানে ত তুমি সেই ওল্ফটা? – ভয়ে ভয়ে কদম পিছিয়ে নেয় ইভলিন।
ইভলিনঃ ওফফো ইভ! ওল্ফ না ওয়্যার’ওল্ফ।( বুঝিয়ে ) দাঁড়াও আমি তোমাকে সুন্দর করে নিজের পরিচয় দিচ্ছি।
দুই তিন কদম পেছনে চলে যায় ইভিয়ান। তারপর বুকে বাম হাত রেখে হালকা ঝুঁকে বলতে শুরু করে ও।
ইভিয়ানঃ আমি ইভিয়ান। ইভিয়ান ক্যাসেনো, ওয়্যার’ওল্ফ কিংডম এর একমাত্র প্রিন্স। দ্যা প্রিন্স অফ ডার্কনেস। নাইস টু মিট ইউ। ( হালকা হেঁসে হাত বাড়িয়ে দিয়ে )
ইভলিন যেন এখনো ঘোরের মধ্যে আছে। ইভিয়ানের কথা গুলো বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে ওর।
ইভলিনঃ তুমি মজা করছো তাই না? ভ্যাম্পায়ার, ওয়্যার’ওল্ফ এসব রিয়েলে হয় না। সব কিছু অবাস্তব। কল্পকাহিনী এগুলো।
ইভিয়ানঃ রিয়েল থেকেই তো কল্পকাহিনী লিখা হয় ইভ!
ইভলিনঃ তুমি আগে আমাকে ইভ ডাকা বন্ধ করো। আমার নাম ইভলিন, ইভ না।
ইভলিনঃ কিন্তু আমার তো তোমাকে ইভ ডাকতে ভালো লাগে। ইভ অর্থ সন্ধ্যা। আর তাছাড়া ইভিয়ানের সাথে ইভ নামটা বেশি মানায়। ( মুচকি হেসে )
ইভলিনঃ মানানো লাগবে না। আমার নাম ইভলিন তাই আমাকে ইভলিন বলেই ডাকবে। আর হ্যাঁ তুমি যদি ভেবে থাকো আমি তোমার এই অদ্ভুত গল্পে বিশ্বাস করেছি তাহলে তোমার ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। তোমার কোনো কথায় বিশ্বাস হয়নি আমার।
ইভিয়ানঃ তাহলে তোমাকে বিশ্বাস করানোর জন্য কি করতে হবে আমায়?
ইভলিনঃ কিচ্ছু করতে হবে না তোমায়, জাস্ট আমার কাছ থেকে দূরে থাকো। স্টে আওয়ে ফ্রম মি।
কথা গুলো বলেই ইভলিন পেছন ফিরে হাঁটা ধরলো কিন্তু ইভলিনের কথা গুলো অগ্ৰাহ্য করে ইভিয়ান আবারো ওর পিছু যায়। ইভলিন এবার আরো জোরে হাঁটা শুরু কিন্তু সাথে সাথে ইভিয়ানও।
ইভলিন এক পর্যায়ে দৌড়ে যেতে শুরু করে। ইভিয়ান হেসে দেয় তারপর ও-ও ইভলিনের পেছনে দৌড় দেয়।
❣️
পরের দিন,,,
ক্লাস চলছে ইভলিনের। কিন্তু ওর সমস্ত ধ্যান গিয়ে আছে ইভিয়ানের উপর। গতরাতের কথা গুলো ভেবে ভেবে যেন মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে ওর।
একা একদম শেষের সিটে বসে আছে ইভলিন। আশেপাশে বাকি সবাই নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। টেবিলে ভর দিয়ে গালে হাত রেখে রাতের কথা গুলো ভাবছে ও। হঠাৎ নিজের পাশে কারো উপস্থিতি টের পেতেই পাশে তাকায় ইভলিন। পাশের মানুষটিকে দেখে যেন চোখ দুটো বড় বড় হয়ে যায় ওর। ইভিয়ান বসে আছে। মুচকি হেসে ইভলিনের দিকে তাকিয়ে ও।
ইভলিনঃ তুমি?( অবাক হয়ে ) তুমি এখানে কেন?
ইভিয়ানঃ তোমার জন্য।
ইভলিনঃ তোমাকে বলেছিলাম আমার কাছ থেকে দূরে থাকতে কিন্তু তুমি দেখি আমার কলেজ অব্দি চলে আসলে।
ইভিয়ানঃ ইভ তুমি সবসময় এমন রুড ভাবে কথা বলো কেন? একটু সুইট ভাবেও তো কথা বলতে পারো।
ইভলিনঃ আমি এমনই। আমি রুড তাই সবসময় রুড ভাবে কথা বলি। এজন্যই বলছি আমার কাছ থেকে দূরে থাকতে।
ইভলিনঃ উঁহু। আমার তোমার এই রুড বিহেভও অনেক ভালো লাগে। তোমার রাগি ফেসটা অদ্ভুত সুন্দর। রাগি ভয়েজটাও অদ্ভুত সুন্দর। তোমাকে দেখলেই অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করে যেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
ইভলিন অবাক হয়ে শুনছে ইভিয়ানের কথা গুলো। এর আগে কখনো কেউ ওকে এভাবে ওর সৌন্দর্যের বর্ননা দেয়নি। উল্টো সবাই ওর কাছ থেকে দূরত্ব তৈরি করে নিত। ইভিয়ান সত্যিই অদ্ভুত।
ইভলিন হঠাৎ উঠে দাঁড়ায়। ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে যায় ও। ইভিয়ানও ওর পিছু পিছু চলে যায়।
এভাবেই দিন যাচ্ছিল। ইভিয়ান যেন ইভলিনের ছায়াসঙ্গী হয়ে উঠেছে। কখনো ইভলিনকে একা ছাড়ে না ও। এমনকি রাতেও যখন ইভলিন ঘুমিয়ে থাকে চুপচাপ ওর মাথার পাশে বসে সারারাত ওকে দেখে ইভিয়ান।
আর ইভলিন! ও এখনো ইভিয়ানকে নিজের পাশে মেনে নিতে পারে না। সব সময় ইভিয়ানকে ইগনোর করার চেষ্টা করে ও।
এখন ক্যাফেতে বসে আছে ইভলিন ওর সাথেই লিরা। লিরা নিজের মতো করে গল্প করছে কিন্তু ইভলিন! ওর চোখ আশেপাশে ইভিয়ানকে খুঁজছে। আজকে সারাদিনও ইভিয়ান ইভলিনের সামনে আসে নি।
ইভলিনের বিচলিত চোখ যেন ইভিয়ানকে খুঁজছে ব্যস্ত। ও মুখে যদিও সবসময় ইভিয়ানকে নিজের কাছ থেকে দূরে থাকতে বলে কিন্তু মন, ওর মনে অজান্তেই ইভিয়ান ঘর করে নিয়েছে। ইভিয়ানের উপস্থিতি যেন ইভলিনকে নতুন এক অনুভূতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। আর এই অনুভূতির নাম হচ্ছে ভালোবাসা।
এতো দিনে কখনো ইভিয়ান ইভলিনের চোখের আড়াল হয়নি কিন্তু আজ অদ্ভুত লাগছে ইভলিনের। কারন আজ প্রথমবার ইভিয়ানের উপস্থিতি অনুভব করতে পারছে না ও। সকাল থেকে রাত হয়ে গেছে অথচ ইভিয়ান আসছে না। মনের মধ্যে কিছু একটার শূন্যতা অনুভব হচ্ছে ওর।
লিরাঃ তুই ঠিক আছিস ইভলিন?- ইভলিনকে অন্যমনস্ক দেখে ওকে প্রশ্ন করলো লিরা।
ইভলিনঃ হু? হা ঠিক আছি আমি।
লিরাঃ তোকে এমন অন্যমনস্ক লাগছে কেন?
ইভলিনঃ না তেমন কিছু না। বাসায় যেতে হবে দেরি হচ্ছে। ( উঠে দাঁড়িয়ে ) কাল দেখা হবে।
লিরাঃ সাবধানে যাস।
ইভলিনঃ হুম।
ক্যাফে থেকে বেরিয়ে আসে ইভলিন। বারবার পেছনে ফিরে তাকাচ্ছে ও। এই বুঝি হঠাৎ ইভিয়ান সামনে চলে আসবে আর ওকে ইভ বলে ডাকবে। কিন্তু এমন কিছুই হলো না।
বাসার সামনে এসে থেমে যায় ও। চোখের কোনে পানি চিকচিক করছে ওর। কষ্ট হচ্ছে ইভলিনের যা প্রকাশ করার মতো না।
ইভলিনঃ ইভিয়ানও কি তাহলে আমার উপর বিরক্ত হয়ে চলে গেলো? তাহলে কি আমি আবারো একা হয়ে গেলাম। – ভাঙা গলায় বলল ইভলিন।
চোখ মুছে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলো ইভলিন। দরজা লাগিয়ে লাইট না জ্বালিয়েই নিজের রুমে চলে আসলো ও।
রুমের লাইট জ্বালানোর জন্য সুইচে হাত দেওয়ার আগেই হঠাৎ রুমের মধ্যে একে একে মোম জ্বলে উঠে। মোমের আলোতে পুরো রুম আলোকিত হয়ে আছে।
ইভলিন অবাক চোখে তাকায় চারপাশে। হঠাৎ কানে ভায়োলিনের সুর ভেসে আসে ওর।
Heartbeat’s fast, colors and Promises
How to be brave?
how can i love? when I’m afraid to fall,
But watching you stand alone,
All of my doubt,
Suddenly goes away somehow
One step closer!
I have died everyday waiting for you,
Darling don’t be afraid i have loved you
For a thousand years, i love you for a thousand more….
ভায়োলিন বাজাতে বাজাতে ইভিয়ান ইভলিনের সামনে এসে দাঁড়ায়। ভায়োলিনটা রেখে টেবিল থেকে কেকটা তুলে ইভলিনের সামনে ধরে বলে ও।
ইভলিনঃ হ্যাপি বার্থডে ইভ! তুমি কি আমাকে মিস করেছিলে? স্যরি! তোমাকে অপেক্ষা করানোর জন্য। ( মুচকি হেসে )
ইভলিন ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে ইভিয়ানের দিকে । ইভিয়ানের কথার প্রতিউত্তরে অভিমানী স্বরে বলে ইভলিন,,,
ইভলিনঃ আমি কেন তোমাকে মিস করবো? আমি একদমই তোমার কথা ভাবিনি।
ইভিয়ানঃ ওহ্! সমস্যা নেই চলো কেক কা’টি।
টেবিলে কেকটা রেখে ইভলিনের হাত ধরে নিজের পাশে দাঁড় করালো ইভিয়ান।
ইভিয়ানঃ কেক কা’টো।
ইভলিন তবুও চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। ইভিয়ান হুট করে ইভলিনের হাত ধরে কেট কা’টতে শুরু করে।
ইভলিনঃ কি করছো তুমি?( রেগে )
ইভলিনঃ তুমি এমন কেন ইভ? কোনো কথা বলে রাজি করতে পারি না তোমায়।
ইভলিনের হাত ধরে কেক কেটে নেয় ইভিয়ান। তারপর কেকের পিস তুলে ইভলিনের সামনে ধরে। ইভলিন মুখ বুজে দাঁড়িয়ে আছে। ইভিয়ান আর কিছু না বলে
ইভিয়ানঃ ডোন্ট ওয়ারি ইভ! আমি তোমাকে ফোর্স করবো না। আমি জানি ইভ, ভালোবাসা কখনো জোর করে হয় না। আর আমি তোমাকে কখনই আমাকে ভালোবাসতে জোর করবো না। শুধু নীরবে তোমার পাশে থাকবো। তোমাকে প্রটেক্ট করবো। ( মৃদু হেসে )
নিজের পকেট থেকে একটা ব্রেসলেট বের করে ইভিয়ান। তারপর ইভলিনের ডান হাত নিজের হাতে নিয়ে ব্রেসলেটটা পড়িয়ে দেয় ও। ইভলিন গভীর দৃষ্টিতে তাকায় ব্রেসলেটটার দিকে। বাদামী স্টোনের ব্রেসলেট। দেখতে কিছুটা অদ্ভুত।
ইভিয়ানঃ এটা সবসময় নিজের কাছে রেখো।
ইভলিনঃ কেন?
ইভলিনঃ এটা তোমাকে প্রটেক্ট করবে।
ইভলিনঃ কার কাছ থেকে?
ইভিয়ানঃ ভ্যাম্পায়ার। আমার ফ্রেন্ড এটা আমাকে দিয়েছিল আমার সুরক্ষার জন্য। আমি তোমাকে দিলাম।
ইভলিনঃ তোমার ফ্রেন্ড?
ইভিয়ানঃ হুম আমার ফ্রেন্ড আঁধার। ও ভ্যাম্পায়ার কিংডম এর প্রিন্স। শুধু ফ্রেন্ড বললে ভুল হবে, ও ভাই হয় আমার।( মুচকি হেসে )
ইভলিনঃ ভ্যাম্পায়ার প্রিন্স তোমার বন্ধু কিভাবে? আমি যতটুকু জানি ভ্যাম্পায়ার আর ওয়্যার’ওল্ফ রা শত্রু একে অপরের।( অবাক হয়ে )
ইভিয়ানঃ হুম কিন্তু আমাদের সম্পর্ক ভাইয়ের মতো। আমরা একে অপরকে বিশ্বাস করি যে, আমরা কখনো একে অপরের ক্ষতি করবো না।
ইভলিনঃ যদি কোনো একদিন ও তোমার বিশ্বাস ভেঙ্গে দেয়?
ইভিয়ানঃ এমন দিন কখনো আসবে না। ( মুচকি হেসে )
ইভলিন চুপ হয়ে যায়। ও ভেবে পাচ্ছে না ইভিয়ান বোকা নাকি ইনোসেন্ট? এভাবে নিজের শত্রুর উপর কিভাবে কেউ অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করতে পারে।
ইভলিনকে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ইভিয়ান বলে,,,
ইভিয়ানঃ তোমার হয়তো ঘুম পাচ্ছে ইভ। তুমি ঘুমিয়ে পড়ো আমি কাল আসলো। গুড নাইট ইভ!
ইভিয়ান ইভলিনের দিকে তাকিয়ে হালকা হেঁসে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে ইভলিন। হঠাৎ কিছু একটা ভেবে ইভিয়ানের পিছু ছুটে যায় ও। বাইরে বের হতেই দেখে ইভিয়ান চলে যাচ্ছে।
পেছন থেকে ইভিয়ানকে ডাকতে গিয়েও থেমে যায় ও। ইভিয়ান চলে যাচ্ছে। হঠাৎ কিছু একটা ভেবে দৌড়ে ইভিয়ানের কাছে চলে যায় ইভলিন। পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ইভিয়ানকে ও। ইভিয়ান থমকে যায়।
ইভলিনঃ স্টে উইথ মি ইভিয়ান। প্লিজ ডোন্ট গো!
ইভলিন ইভিয়ানকে জড়িয়ে ধরেছে। ওকে যেতে বারণ করছে। অবিশ্বাস্য লাগছে ইভিয়ানের কাছে। অবাক হয়ে পেছন ফিরে ইভিয়ান।
ইভিয়ানঃ ইভ তুমি আমাকে নিজের পাশে থাকতে বলছো?
ইভলিনঃ হুম।( মাথা নাড়িয়ে )
ইভিয়ানঃ কেন? ভালোবাসো আমায়? – ঠোঁটে বড় একটা হাসি টেনে বলল ইভিয়ান।
ইভলিনঃ হয়তো!
ইভিয়ানঃ হয়তো?( আহত কন্ঠে) এতো দিনে শুধু হয়তো? সমস্যা নেই আর কিছুদিন পর এই হয়তো শব্দটাই হ্যাঁ’তে পরিবর্তন হয়ে যাবে। এটা আমার বিশ্বাস। আমি গিভ আপ করবো না ইভ!( মুচকি হেসে )
ইভলিনঃ তুমি এমন কেন?
ইভিয়ানঃ কেমন?
ইভলিনঃ সবার থেকে ভিন্ন। সবার থেকে স্পেশাল।
ইভিয়ানঃ তুমিও তো স্পেশাল।
ইভিয়ান জড়িয়ে ধরে ইভলিনকে। কিছুটা দূরেই লাইটো দাঁড়িয়ে আর তার পাশে লিরা।
লিরাঃ ওরা ভুল করছে। আপনার উচিত ওদের থামানো। ইভলিন আমার বন্ধু ওর কোনো ক্ষতি হোক আমি চাই না। ( চিন্তিত হয়ে ) একজন ওয়্যার’ওল্ফ কখনো কোনো মানুষকে ভালোবাসতে পারে না। এটা সম্ভব না।
লাইটোঃ আমি জানি লিরা। কিন্তু আমি প্রিন্সকে বাঁধা দিতে পারবো না। কারন উনি আমাদের প্রিন্স। আর লিরা এ ভুল শুধু প্রিন্স ইভিয়ান একা করছেন না। ভ্যাম্পায়ার প্রিন্স আঁধারও একই ভুল করছেন। তারা ভুলে গেছেন যে তারা মানুষদের থেকে ভিন্ন। এর পরিনতি ভালো হবে না লিরা।
লিরাঃ তাহলে আমাদের কি করা উচিত এখন?
লাইটোঃ আমাদের কিছুই করার নেই লিরা। আঁধার আর ইভিয়ান দুজনে একই পথে হাঁটছে। এখন শুধু আমাদের একটা জিনিসই করনীয়।
লিরাঃ কি?
লাইটোঃ অপেক্ষা! ওরা যে পথে হাঁটছে সেটা কঠিন হবে লিরা। আর আমার ভবিষ্যত গননা মতে, এ পথে কারো না কারো মৃত্যু নিশ্চিত।
লিরাঃ কার মৃত্যু?( ঘাবড়ে )
লাইটোঃ ইভিয়ান, ইভলিন, আঁধার বা সে! যে কেউ হতে পারে। কিন্তু এতো টুকু নিশ্চিত যে, মৃত্যু হবে। ( দীর্ঘশ্বাস ফেলে )
এইদিকে,,,
ইভিয়ানের হাত ধরে বরফে ঢাকা পথে হাঁটছে ইভলিন।
ইভলিনঃ ইভিয়ান!
ইভিয়ানঃ হ্যাঁ ইভ বলো।
ইভলিনঃ তুমি কখনো আমার উপর বিরক্ত হয়ে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না তো?
ইভিয়ানঃ কখনো না ইভ। ইভিয়ান তোমার উপর কখনো বিরক্ত হতেই পারে না। কিন্তু তবুও তুমি যদি চাও একটা উপায় আছে, যেটায় তুমি আর আমি কখনো আলাদা হবো না।
ইভলিনঃ কি সেটা?
থেমে যায় ইভিয়ান তারপর ইভলিনের হাত দুটো নিজের হাতে নিয়ে বলে,,
ইভিয়ানঃ বি মাই প্রিন্সেস ইভ। প্রিন্স ইভানের প্রিন্সেস। ( মুচকি হেসে )
ইভলিনঃ মুচকি হাসিতে তোমাকে খুব সুন্দর দেখায়।
ইভিয়ানঃ আই নো, আঁধারও এটা বলে,,,
ইভলিনঃ সত্যিই বলে। তাহলে তোমার প্রিন্সেস হতে হলে কি করতে হবে আমায়?
ইভিয়ানঃ বেশি কিছু না, শুধু আমাকে কথা দিতে হবে যে, তুমি সবসময় সব পরিস্থিতিতে আমার পাশে থাকবে। প্রত্যেক জনমে শুধু আমাকেই ভালোবাসবে। আমি ছাড়া তোমার জীবনে দ্বিতীয় কারো স্থান হবে না।
ইভলিনঃ এতো টুকুই?
ইভিয়ানঃ হুম।
ইভলিনঃ আমি কথা দিলাম।
ইভিয়ানঃ আরও দু বার বলো, তিনবার বলতে হয় ইভ।
ইভলিনঃ কথা দিলাম, কথা দিলাম, কথা দিলাম।
সাথে সাথে ইভলিনের ঘাড়ে অদ্ভুত একটা ট্যাটু তৈরি হয়ে যায়।
ইভিয়ান ঘাড় বাঁকিয়ে ইভলিনের ট্যাটুটা দেখে মুচকি হেসে বলে,,,
ইভিয়ানঃ এখন থেকে ইভ শুধু ইভিয়ানের। আই লাভ ইউ ইভ।( ইভলিনকে জড়িয়ে ধরে )
সমাপ্ত