Black Rose Season_02,Part_04
the dark prince of vampire kingdom♚
MeghLa
(গল্পে প্রেমের দৃশ্য ফুটে উঠছে এমন মনে হলে গল্পটা ইগনোর করবেন।
ধন্যবাদ)
আমি পেছনে ফিরে দেখি দরজার কাছে আদ্রিয়ান ভাইয়া৷
সেই শীতল হাওয়া আর মিষ্টি ঘ্রান টা গয়েব৷
কি হলো এটা আমার সাথে মনের ভুল৷
আমি এসব ভাবতে ভাবতে আদ্রিয়ান ভাইয়া আমার কাছে চলে এসেছে।
–কিছু বলবেন৷
–কেন না বললে আসতে পারি না৷
–না তা নয়৷
–ঘুমস নি কেন এখনো৷
–এমনি৷
–এতো রাতে জানলা কেন খোলা।
–এমনি তেই ভালো লাগছিলো না৷
–এটা তো করা জাবে না জানলা খুলে রাখা ভালো না৷
এটা দে এখনি৷
–হু।
আমি জানালা দিয়ে দিলাম৷
ভাইয়াকে বলবো ওই কথাটা৷
নাহ থাক আমার মনের ভুলও হতে পারে৷
–কিরে কোন দুনিয়ায় বাস করিস৷
–কই
–শুয়ে পড়
–এখন।
–হুম এখন।
–ঘুম আসছে না।
–আসবে শুয়ে পড়।
এমন কেন করছে বুঝলাম না৷
বাদ্ধ হয়ে শুয়ে পরলাম।
কিছু সময় পর আপনা আপনি ঘুম চলে এলো৷
।
আদ্রিজা ঘুমিয়ে গেলে আদ্রিয়ান পাশে বসে আদ্রিজার কপালে হাত রাখে।
আর বলতে শুরু করে,
–দুনিয়াটা অনেক খারাপ৷ তোকে আমার জীবন থেকে আমি অনেক দুরে রাখবো।। সব সময় বাঁচাতে চেষ্টা করবো।
আমার ওয়াদা আমি পালন করবো।
কোন দুষ্টু ছায়া পড়তে দিবো না।
তুই শুধু আমার অন্য কোন ছায়া পড়বে না তোর উপর৷
আমার বাস্তব জীবনের রহস্য কখনো বার করতে আসবি না৷
আমার সাথে অন্যায় করেছিস৷
শাস্তি দিবো তোকে তার পর ভালোবাসবো।
থাকবি তো পাশে৷
তোকে ভালোবাসা শাস্তি দুটো দিবার অধিকার শুধু আমার অন্য কারোর নয়৷
।
।
এগুলা আজিব কথা আদ্রিয়ান বলছে, কেন বলছে এটা সেই বলতে পারবে।
তার পর রুম থেকে বেরিয়ে এলো৷
ঘুমো আদ্রিজা কাল থেকে নতুন কোন টর্চার এর শুরু হবে আজ ঘুমো।
।
।
রাত ১ টা নিরিবিলি পরিবেশ কোন হইচই নাই৷
সবাই ঘুম।
এমন সময় রাস্তার ল্যাম পোস্টের আলোতে একটি যুবক কে দেখা যাচ্ছে৷
কালো পোশাক পরিধন কৃত সে বেক্তি একটা বেঞ্চে বসে পড়লো আর বলতে শুরু করলো,
–ভালোবাসা কঠিন হয় জানতাম এতোটা কষ্টের হয় বুঝি নি৷
আজ সত্যি আমি অপারক।
সব তথেকেও কিছু নাই। তোর থেকে আর কতো দুরে থাকবো আমি বলতে পারিস৷
আর কতো। আর পারছি না এভাবে কাটাতে৷
খুব কষ্ট হয় তোকে একটা বার দেখতে ইচ্ছে হয় ছুঁতে ইচ্ছে হয়৷ কিন্তু উপায় নাই৷
,
ছেলেটা কথা গুলো বলে উঠে বিদ্যুৎ গতিতে দৌড় দেয়৷
।
সকালে,
–আদ্রিজা মা দরজা খুলো কলেজ জাবি না কফি আনছি৷ (তোবা)
–মনি আসছি৷
আমি গিয়ে দরজা খুলে দিলাম৷
মনি এসে বিছনা গুছাতে শুরু করলো
আমি কফিতে চুমুক দিলাম৷
–কিরে কাল ঘুম ভালো হইছে।
ঘুমের কথা বলায় কালকের ঘটনা মনে পড়লো৷
কাল ভাইয়া রুমে ছিলো গেল কই।
হয়তো চলে গেছিলো আমি তো ঘুমিয়ে ছিলাম৷
১ মিনিট তাইলে দরজা কে দিলো৷
কি আজব৷
–কিরে কই হারাইছিস।
–না মনি কই হারাবো৷ আচ্ছা আমি রেডি হয়ে নিচে আসছি৷
–হুম আয়৷
মনি চলে গেল৷
আমি এতো না ভেবে ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে নিচে এলাম৷
নিচে সবাই বসে আছে।
সবার সাথে এক সাথে খেয়ে আদ্রিয়ান ভাইয়ার সাথে কলেজের পথে রওনা হলাম৷
কলেজ পৌঁছে আমি গাড়ি থেকে নেমে চলে আসবো এমন সময় দেখা হলো রুহির সাথে,
–কিরে আদ্রিজা লেট আজ৷
–হুম একটু৷ ।
–আচ্ছা শুনলাম কলাকের ওইযে ছেলেটা না যার কথা তুই বলেছিলি ইনি কে৷
-হুম।
–উনি হলো এই কলেজের হেড প্রফেসর এস ছেলে৷
আদ্র খান৷
–আদ্র খান৷
এখানে কি তার৷
–জানি না প্রভাব শালি লোক এখানে নাকি আমাদের সিনিওর। এ কলেজে পড়াশোনা করে৷
–ও।
–বাই দ্যা ওয়ে তুই এতো জানতে চাইলি হটাৎ।
–এমনি চল ক্লাসে৷
–হুম।
আমি আর রুহি ক্লাসে আসার সময় রুহি গেল তারিনের সাথে কিছু কথা বলতে৷
সিরি বেয়ে উঠছি এমন সময় কোন খেয়ালে ছিলাম খোদা জানে সামনের সিঁড়িতে ওড়না পড়েছে ওটাতে বেঁধে পড়ে যাবো ঠিক এমন সময় মনে হলো কেউ বিদ্যুৎ গতিতে এসে আমার ধরে বসলো৷
আমি তার দিকে তাকালম৷
এই তো ওই কালো হুডি পড়া ছেলেটা৷
তার উজ্জ্বল মুখটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে৷
অসম্ভব সুন্দর সে৷
চোখ খুলো ব্রাউন সেডের৷
ওর মধ্যে কেমন হারিয়ে যাচ্ছি৷
এমন সময় হটাৎ হাতে হেঁচকা টান অনুভব করি৷
ছেলেটা আমাকে ছেড়ে দেয়। আর পেছনে থাকা আদ্রিয়ান ভাইয়া আমাকে টানতে টানতে উপরে নিয়ে আসে৷
ছেলেটা আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিলো৷
–ভাইয়া ব্যাথা পাচ্ছি কি করছেন৷
ভাইয়ার কোন হেল দুল নাই।
উনি আমাকে একটা,
চলবে,
(রহস্য সমাধান হবে কিন্তু একটু দেরি হবে। আসা করি ধৈর্য ধরে পড়বেন)