Deewana (A crazy lover)Part:5
Writer: urme prema (sajiana monir)
সায়রা অভাক হয়ে আরসালের দিকে তাকায়।আরসাল মুচকি হেসে আগের মত জরিয়ে ধরে আবার বলতে শুরু করে
আরসাল:তুমি জানো জান তোমাকে সারাদিন মন ভরে দেখতাম ।তোমার হাসি ,কথা বলা সব আমাকে পাগল করে দিত।তুমি যখন গভীর ঘুমে মগ্ন থাকো তোমাকে দেখতে কতটা মায়াবী লাগে জানো?তোমার ঘুমন্ত চেহারায় একটা অন্য রকম নেশা আছে ।মাঝে মাঝে ইচ্ছে করতো তোমার কাছে ছুটে চলে আসি কিন্তু আব্বু আম্মু ছোট আব্বু ছোট আম্মু কে প্রমিজ করছিলাম তাই নিজেকে অনেক কষ্টে সামলাতাম ।প্লিজজজজ আমাকে ভুল বুজো না জান
সায়রা হঠাৎ করে আরসালকে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে বলতে লাগে রেগে চিৎকার করে বলতে লাগে
সায়রা:আমি ছয়টা বছর নিজেকে দোষ দিয়েছি ভেবেছি আমার জন্য আপনি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন ,আমার জন্য আপনি নিজের বাবা মার কাছ থেকে দূরে চলে গিয়েছেন ।আমি বলেছিলাম আমার সামনে না আসতে ,আমি আপনাকে দেখতে চাই না ,ঘৃনা করি তাই হয়ত আপনি আমার উপর রাগ করে দেশ ছেড়ে নিজের পরিবার ছেড়ে চলে গিয়েছেন ।তাই আমি ছয়টা বছর নিজের ভিতর ভিতর শেষ হয়ে গিয়েছি।প্রত্যেকটা মুহূর্ত নিজেকে অপরাধি মনে করেছি নিজেকে শাস্তি দিয়েছি ।যখনি বড় আব্বু বড় আম্মুকে দেখেছি নিজেকে অপরাধি মনে করেছি।ছয়টা বছর নিজে কতটা guilty ফিল করেছি আপনার ধারনা আছে ?থাকবে কি করে আপনি তো লন্ডনে খুব ভালো ছিলেন ।ছয়টা বছর প্রত্যেকটা দিন প্রত্যেকটা সময় আপনার ফোনের অপেক্ষা করেছি ভেবেছি এই হয়তো আপনি ফোন দিবেন ,এই হয়তো আমার সাথে কথা বলবেন কিন্তু আপনি ঠি কই সবার সাথে কথা বলতেন শুধু আমার সাথে ছাড়া ।আপনার সাথে কতবার কথা বলার চেষ্টা করেছি ,কত বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি ক্ষমা চাওয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু প্রত্যেকবারই আপনি ইগনোর করেছেন।আপনার একটা ফোনের জন্য প্রত্যেকটা দিন অপেক্ষা করেছি কিন্তু প্রত্যেকটা দিন নিজে নিরাশ হয়েছি ।প্রত্যেক দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ভেবেছি হয়তো আজ ফোন দিবেন আজ হয়ত আপনার সাথে কথা বলবো আজ হয়ত আপনার কাছে ক্ষমা চাইবো কিন্তু প্রত্যেক বারই নিরাশ হয়েছি ।প্রথমে এই সম্পর্কের জন্য মত না থাকলেও পরে আপনার জন্য মনের এক কনে অন্যরকম অনুভূতি জন্মিয়েছে।ভালোলাগা কাজ করেছে ।আপনার ফিরার অপেক্ষা করেছি কিন্তু আপনি তো লন্ডনে ভালোই ছিলেন তাই না?(কান্না করতে করতে)
আরসাল :সরি জান আমি জানি আমার এই সব করা ঠিক হয়নি ।কিন্তু ভয় ছিল তোমার সাথে কথা বললে ,যোগাযোগ করলে নিজেকে তোমার থেকে দূরে রাখতে পারবো না তাই এসব করেছি ।সরি জান(হাত জরিয়ে ধরতে ধরতে )
সায়রা:(হাত ঝাড়ি দিয়ে ফেলে)ডোন্ট টাচ মি (রেগে )আপনি প্রত্যেকটা দিন আমাকে ছটপট করতে দেখেছেন কিন্তু তার পর ও যোগাযোগ করেনি ।কি আমাকে কষ্ট দিয়ে মজা নিচ্ছিলেন ?প্রতিশোধ নিলেন সেই ৬ বছর আগের ?(চোখ মুছে)
সায়রা ট্যরেস থেকে দৌড় দিয়ে চলে গেল।আরসাল সায়রার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে
আরসাল:এবার অামার অভিমানীর অভিমানটা একটু বেশি।সহজে তার অভিমান ভাংবে না কিন্তু আমিও আফরাজ খানঁ আরসাল এতো সহজে তো হাল ছাড়বো না ।আমার আভিমানী তোমার সব অভিমান ভেংগে দেব প্রমিজ
অন্যদিকে
রুমে…….
সায়রা :কি ভেবেছে এই সব করলেই তাকে ক্ষমা করে দেব? কখনো না।আরসাল আপনি আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন ।অনেক অপেক্ষা করিয়েছেন।আপনাকে তো এত সহজে আমি ক্ষমা করছিনা ।কাল থেকে বুজবেন ইগনোর কাকে বলে ।কতটা কষ্ট হয় যখন কাছের কেউ ইগনোর করে ।আফরাজ খানঁ আরসাল আপনাকে যদি নাকে দড়ি দিয়ে না ঘুড়িয়েছি তাহলে আমার নাম ও সায়রা না হুম
আরসাল যাতে আসতে না পারে সায়রা দরজা লক করে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে ।বিছানায় শুতেই সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়ে ।গভীর রাতে আরসাল রুমের মধ্যে প্রবেশ করে।সায়রার যে পাশ ফিরে শুয়ে আছে সে পাশে বসে সায়রার হাত ধরে বসে বলতে লাগে
আরসাল:কি ভেবেছো জান দরজা লক করলেই আমি তোমার কাছে আসতে পারবো না?আমার কাছে এই রুমের চাবি আছে সো আমার এই রুমে আসতে খুব বেশি কষ্ট হয়নি।তোমাকে না দেখে থাকাতো অসম্ভব হয়ে গেছে ।তুমি আমার এত কাছে থাকবে আর আমি তোমার কাছে আসবো না এটা কি হয়?তুমি যে আমার নেশা আর এই নেশা ছাড়া আমার থাকা সম্ভব না।আমার অভিমানী তোমার অভিমান খুব তারাতারি ভেঙ্গে তোমাকে নিজের করে নিবো।আই লাভ ইউ আমার জান
আরসাল আরো কিছুসময় সময় এভাবে সায়রাকে দেখতে থাকে ।যতই দেখে ততই যেন তার নেশা প্রখর হচ্ছে ।শেষ রাতের দিকে সায়রার কপালে গভীর চুমু দিয়ে চলে যায়।
সকালে ……..
সায়রা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে university জন্য রেডি হয়ে নিচে চলে যায় ।নিচে গিয়ে দেখে মুমতাহা খাঁন কিচেনে ব্রেকফাস্ট তেরী করছে ।সায়রা কিচেনে যেয়ে মুমতাহা খাঁনকে জরিয়ে ধরে বলতে লাগলে
সায়রা:গুডমর্নিং বড় মা
মুমতাহা খাঁন:গুডমর্নিং (মুচকি হেসে)। এত সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে কেন?
সায়রা:আসলে বড়মা সকাল সকাল ঘুম ভেংগে গেছে তাই ভাবলাম নিচে এসে তোমাকে হেল্প করি।কি করছো বড়মা
মুমতাহা খানঁ :এইতো কফি বানাবো
সায়রা:আমি বানাই ?(মুচকি হেসে)
মুমতাহা খাঁন:না আমি বানাচ্ছি তুমি আমার সাথে গল্প কর
সায়রা:ওওহো বড় মা ।আমি কফি মোটামোটি ভালোই বানাতে পারি তো টেনশন নিও না খাওয়া যাবে(মজা করে)
মুমতাহা খানঁ :আমি জানি তোমার কফি বেস্ট কিন্তু তুমি কাজ করবে এটা ভালো লাগবে না
সায়রা:বড়মা আমি তো তোমার মেয়ে তাই না? তো কাজ করলে কিছু হবে না তাছাড়া আমি কই কোন কাজ করছি সামান্য কফিইতো বানাচ্ছি ।
মুমতাহা খাঁন:ওকে কর ।তোমার সাথে কথা বলে তো আর পারবো না ।(মুচকি হেসে)
সায়রা কফির বেটার বানাচ্ছে আর মুমতাহা খাঁন সায়রা কে দেখছে ।হঠাৎ করে মুমতাহা খাঁন বলতে লাগে
মুমতাহা খাঁন:আমার ছেলের চয়েজ অলওয়েজ বেস্ট ।সব সময় সেরা কিছু পছন্দ করে।আমার ছেলের জন্য তোমার থেকে ভালো মেয়ে আর কোথাও পাবো না।আমার ছোট থেকে ইচ্ছা ছিল নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডের মেয়েকে মানে তোমাকে নিজের ছেলের বউ করে নিয়ে আসবো ।কিন্তু তুমি ছোট তাই কখনো তা সাহস করে সিনথিয়াকে(সায়রার মা) বলিনি ।ভেবেছি তুমি বড় হলে সঠিক সময়ে সিনথিয়াকে বলবো।কিন্তু তার আগেই আমার ছেলে বাড়িতে এসে পাগলামো করে তোমাকে তার চাই যেই ভাবেই হোক। প্রথমে তাকে না করলেও পরে সে আমাদের রাজি হতে বাদ্ধ করে ।আমার ছেলেটা তোমাকে খুব ভালোবাসে ।একটু রাগী পাগলামো করে কিন্তু তোমার জন্য ওর ভালোবাসায় কোন খাত নেই।তোমাকে খুব ভালোবাসে ওকে নিজের মত করে গুছিয়ে নিও ।শুধু অপেক্ষা করছি কবে এই বাড়িতে পার্মানেন্টলি আসবে আমার বাড়ির বউ হয়ে।
সায়রা বেশ লজ্জা পেল ।মাথা নিচু করে নিচু স্বরে বলতে লাগে
সায়রা:বড়মা কফি বানানো শেষ
মুমতাহা খাঁন: হুম মা একটু কষ্ট করে আরসালের রুমে দিয়ে আসবে ?(মুচকি হেসে)
সায়রা:আমি বড়মা?(নিচু স্বরে)
মুমতাহা খাঁন :হুম
সায়রা:ওকে মা
সায়রা কফির কাপটা ট্রে তে নিয়ে আরসালের রুমের দিকে যায়।রুমে উকিঁ দিয়ে দেখে আরসাল ঘুমাচ্ছে আস্তে আস্তে রুমে ডুকে ট্রে থেকে কাপটা বেডের পাশে বক্সসে যেই আসতে নিবে হঠাৎ আরসাল সায়রার হাত টান দিয়ে নিজের বুকের উপর ফেলে দেয়।সায়রা শুধু অভাক চোখে তাকিয়ে থাকে চুল গুলো আরসালের মুখের উপর এসে পরে।সায়রা রেগে বলতে লাগে
সায়রা:আপনি ঘুমানোর নাটক করছিলেন?
আরসাল:জান তুমি আমার এত কাছে আমি কি করে ঘুমিয়ে থাকি বলতো?(কানের পিছনে চুল গুজে দিয়ে )আজ দিনটা খুব ভালো যাবে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে তোমাকে দেখেছি।আমাকে বুজি খুব মিস করছিলে??(শয়তানি হাসি দিয়ে)
সায়রা:এমন কিছুনা ওকে বড় মা কফি দিতে বলেছে তাই এসেছি(মুখ ভেংচি দিয়ে)
আরসাল:(গালে হাত রেখে)তুমি জানো তোমাকে শাড়িতে কতটা সুন্দর লাগে ?কাল তোমাকে পুরো হুর লাগছিল আমার হুর।বিয়ের পর অলওয়েজ শাড়ি পরবে প্রতি দিন সকালে ঠি ক এভাবে আমার ঘুম ভাংগাবে ।রোজ সকালে তোমার এই মিষ্টি চেহারা দেখে দিন শুরু করতে চাই।এই ভাবেই তোমাকে নিজের বুকের সাথে জরিয়ে রাখতে চাই।ভালোবাসতে চাই আমার পিচ্ছি বউ লাভ ইউ(নেশা ভরা কন্ঠে )
সায়রার দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে গালে নিজের হাত রেখে স্লাইট করতে করতে নেশাভরা কন্ঠে বলতে লাগে
Hume tumse pyaar kitna
Ye hum nahi jaante
Magar jee nahi sakte
Tumhare Binaaa
সায়রার মুখের কাছে আরসাল নিজের মুখ আনছে আস্তে আস্তে আরো কাছে আসতে থাকে হঠাৎ সায়রা দরজার দিকে তাকিয়ে বলে
সায়রা:বড়মা তুমি (চিৎকার করে)
আরসাল নিজের হাতের বাধন হালকা করে সায়রা এই সুযোগে পালায়।আরসাল হা হয়ে কিছু সময় বসে থাকে ।তার পর মুচকি হেসে আনমনেই বলতে লাগে
আরসাল :পিচ্ছি আগের মতই রয়ে গেছে । বাচ্চামো স্বভাব রয়ে গেছে এখনো ছাড়েনি।আমি চাই সব সময়ে এমনি থাকো ।আমি তোমার এই বাচ্চামো স্বভাবেই ফিদা।লাভ ইউ জান
আরসাল ফ্রেশ হয়ে নিচে আসে এসে দেখে সায়রা তার বড়মাকে ব্রেকফাস্ট টেবিলে হেল্প করছে।আরসালের দিকে সায়রা একবার তাকিয়ে আবার নিজের কাজে মন দিলো।তা আরসালের ঠি কই দেখলো।আরসাল ডেবিল হাসি দিয়ে সায়রার পাশের চেয়ারে বসতে বসতে বলতে লাগে
আরসাল:গুডমর্নিং এভরিওয়ান
মুমতাহা খান:গুডমনিং (মুচকি হেসে) ঘুম কেমন হল?
আরসাল :(সায়রাকে দিকে তাকিয়ে চোখ মেরে)গ্রেট
সায়রা কফি খাচ্ছিলো হঠাৎ আরসালের এই কাজে কফি ফেলে কাশতে থাকে।আরসাল সায়রাকে পানি খায়িয়ে দেয়।মুমতাহা খানঁ সায়রার কাছে এসে বলতে লাগে
মুমতাহা খাঁন:মা তুমি ঠি কআছো তো?
সায়রা:জি বড় মা।আমাকে এখন university তে যেতে হবে ।খুব লেট হয়ে গেছে (উঠতে উঠতে)
মুমতাহা খানঁ:আরসাল তোমাকে দিয়ে আসবে
সায়রা:না বড়মা সমস্যা নেই ।আমি রশ্নির সাথে চলে যাবো
আরসাল:তুমি তো বললে লেট হয়ে গেছে ওরা হয়ত চলে গেছে ।আমি university তে দিয়ে আসি
সায়রা:না না আমি যেতে পারবো
মুমতাহা খাঁন: একা যাওয়ার দরকার নেই ।আরসাল দিয়ে আসবে
আরসাল সায়রার দিকে তাকিয়ে ডেবিল হাসি দেয়।সায়রা আরসালকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।দুজন বিদায় নিয়ে বের হয়ে যায়।
গাড়িতে..
সায়রা গাড়িতে পিছনে বসতে যায় আরসাল হঠাৎ বলে
আরসাল:ও হ্যালো ম্যাম আমাকে ড্রাইভার মনে হয়??সুন্দর মত সামনে বসো নাহলে কলে করে বসাবো ।(টেডি হাসি দিয়ে)
সায়রা কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ গাড়িতে বসে পড়ে।আরসাল গাড়ি স্টার্ড দেয়।সায়রা বাহিরে তাকিয়ে থাকে।হঠাৎ গাড়ি থামায় সায়রা আরসালের দিকে তাকিয়ে বলে
সায়রা:কি হয়েছে ?গাড়ি থামালেন কেন?
আরসাল:আই থিংক সকালের অম্পূর্ন কাজ এখন পূর্ন করার সঠিক সময় এখানে তো আর আম্মুর কথা বলে পালাতে পারবেনা(ডেবিল হাসি দিয়ে কাছে আসতে আসতে)
সায়রা:দে….দেখেন আপনি কিন্তু সুযোগের অসৎ ব্যবহার করছেন(ভয়ে ভয়ে)
আরসাল:না জান সৎ ব্যবহার করছি।তাছাড়া তুমি আমার ফিওন্সি তো আমার পুরো রাইট আছে।(এক দম কাছে এসে)
সায়রা ভয়ে চোখ বুজে ফেলে।আরসাল সায়রার কানের কাছে ফিস ফিস করে বলে
আরসাল:তোমার সম্মতি ছাড়া এমন কিছু করবো না so don’t worry jan (কপালে চুমু দিয়ে দূরে সরে যায়)
সায়রা বড় শ্বাস নিয়ে ঠিক করে বসে।আরসাল গাড়ি স্টার্ড দেয় কিছুসময়ের মধ্যে university তে পৌছায়।সায়রা গাড়ি থেকে নেমতে গেট খুলে হঠাৎ আরসাল সায়রার হাত টান দিয়ে নিজের কাছে এনে কপালে গভীর চুমু দিয়ে বলতে লাগে
আরসাল:আমি নিতে আসবো ।নিজের খেয়াল রেখো।বায় । লাভ ইউ জান (কিলার স্মাইল দিয়ে)
সায়রা কোন উওর না দিয়ে গেটের ভিতরে চলে যায়।
University তে….
সায়রা কেনটিনে চলে যায় ।যেয়ে দেখে মাওয়া মুন সানজিদা রশ্নি বসে আছে।সায়রা তাদের পাশে বসে বলতে লাগে
সায়রা: hi guys (মুচকি হেসে)
সবাই:hello
মাওয়া:কি খবর বালিকা বধূ শশুর বাড়িতে প্রথম দিন কেমন লাগলো?(মজা করে)
সানজিদা:কি কি হয়েছে কাল ?(শয়তানি হাসি দিয়ে)
রশ্নি:ভাইয়ার সারপ্রাইজ কেমন লাগলো(আগ্রহী হয়ে)
মুন: বলনা কি হয়েছে?
সায়রা:তোরা চুপ করবি?কিছু হয়নি।সারপ্রাইজ ভালো লাগেনি পেয়েছিস উওর ?(রেগে)
মাওয়া: রাগ করছিস কেন?মজা করছিলাম
সায়রা:প্লিজ ইয়ার টপিক চেন্জ কর।বায় দ্যা ওয়ে দিয়া কই ?
মুন:অসুস্থ বেচারী তাই আসেনি
সায়রা:ওওও আচ্ছা
মাওয়া:চল ক্লাসের টাইম হয়েছে
সায়রা:হুম চল
সায়রা ক্লাসে চলে যায়।ক্লাস শেষে বাহিরে আসতেই হঠাৎ সামনে শোহানকে দেখে।শোহান সায়রা কাছে এসে বলতে লাগে
শোহান:কাল কোথায় ছিলে বেবী?সকালে কার সাথে এসেছো?ছেলেটা কে?(শক্ত করে সায়রার হাত ধরে)
সায়রা:যেখানেই থাকিনা কেন ?যেই হোক না কেন আপনার কি?(হাত ছাড়াতে ছাড়াতে)
শোহান:আমার অনেক কিছু ।ভালো করে শুনে রাখো তুমি। আমার না তো অন্য কারো ও তোমাকে হতে দেবোনা ।তোমাকে জোর করে নিজের বানিয়ে ছাড়বো( রেগে)
সায়রা চোখ থেকে পানি ঝরছে।হঠাৎ কেউ এসে সায়রার হাত শোহানের হাত থেকে ছাড়ায়।সায়রা পাশে ফিরে দেখে আরসাল অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।সায়রার হাত ছাড়িয়ে শান্ত ভাবে সায়রাকে গাড়িতে বসিয়ে গাড়ি স্টার্ড দিলো।গাড়ি spreed এ চালাচ্ছে ।আরসালের চোখে রাগে আগুন জ্বলছে।সায়রা চুপ চাপ শান্ত ভাবে বসে আছে।
মাওয়া মুন সানজিদা রশ্নি দূর থেকে দেখে যেই সাথে সাথে সায়রার কাছে হেল্প করতে আসছিল তার আগেই আরসাল এসে পরে।আরসালের এই শান্ত ব্যবহার দেখে মাওয়া বলতে লাগে
মাওয়া:আরসাল ভাইয়া এত শান্ত কি করে?(অবাগ হয়ে)
মুন :এই শান্তি ঝড়ের পূর্বআবাশের শান্তি ।আজ যে কার উপর দিয়ে ঝড় যাবে খোদা জানে….
চলবে……
❤️❤️❤️❤️
Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???
সবার আরসালের পাগলামো ভালোবাসা কেমন লাগছে??????
কাল vampire lover (impossible love story)season 2 এর part-7 দিবো insaallah❤️❤️❤️sorry দেরি তে দেবার জন্য ???।plz কেউ বোকবেন না???
Thanks for supporting me ❤️❤️❤️