Deewana (A Crazy lover)Part:9

0
6641

Deewana (A Crazy lover)Part:9

Writer: urme prema (sajiana monir)

University…………

কেনটিনে সবাই বসে আছে ।সায়রা ও তাদের বসে আড্ডা দিচ্ছে হঠাৎ রিসা কেনটিনে ডুকে দিয়া দেখে হাসতে হাসতে বলতে লাগে

দিয়া:ঐ দেখ university র ড্রামাকুইং কে আজ নতুন রূপে এসেছে

সবাই পিছনে তাকায় দেখে রিসার চুল জায়গায় জায়গায় কাটা।সবাই হাসতে লাগে।রিসা কেনটিন থেকে বাহিরে চলে যায়।

মুন:এই গুলো সব সায়রুর কাজ (হাসতে হাসতে)

রশ্নি:কিভাবে(অভাক হয়ে)

মাওয়া:কাল গাড়িতে ও ই তো রিসা পেত্নির চুলে চুইংগাম লাগিয়েছে।

সানজিদা:সিওর আরসাল ভাইয়ার সাথে ফ্যাটিং করার চেষ্টা করেছে তাই সায়রু এ কাজ করেছে।সায়রু জেলাস ফিল করেছে(মজা করে)

সায়রা:মোটেও না ।আমি কেন জেলাস ফিল করবো?

মাওয়া:হুম তা কাল দেখেছি আমরা তুই জেলাস ছিলি কি না?

রিসা পার্স রেখে গিয়ে ছিল তা নিতে কেনটিনে ফিরছিল । ওদের কথা শুনে ফেলে।রাগে ফুসতে ফুসতে বলতে লাগে

রিসা:ইউ বেহেনজি তোমার এত বড় সাহস তুমি আমার চুলে চুইংগাম লাগিয়েছো।তোমাকে এর ফল পেতে হবে।তোমার এমন বাজে অবস্থা করবো তুমি লজ্জায় কারো সামনে আসতে পারবে না।আরসালকে তো আমার চাই ।ওর দিকে আমার নজর পড়েছে।আমার যা চাই আমি তা আমার করে নেই।

ক্লাস শেষে সায়রারা সবাই university র সামনে দাড়ায় ।সায়রা ফুসকাওয়ালাকে দেখতে পায়।সায়রা সে দিকে তারাতারি করে যায় পিছন পিছন মাওয়া সানজিদা রশ্নি দিয়া রিয়া যায়।সায়রা যেয়ে ফুসকাওয়ালা বলতে লাগে

সায়রা:মামা ঝাল ছাড়া টক বেশি এক প্লেট ফুসকা দেন তো(মিষ্টি হেসে)

মাওয়া:সায়রু তুই বড় হবি না ?

সায়রা :তো আমি তো বড়ই তাই না ?

সানজিদা:হুম তা দেখতেই পাচ্ছি বাচ্চাদের মত ফুসকা খাওয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি করছে উনি আবার বড় হয়েছে।

সায়রা:প্লিজ ইয়ার এমন করিস না ।বাই দ্যা ওয়ে আমার ফুসকা খাওয়া নিয়ে তোদের এত প্রবলেম কেন?(ভ্রু কুচঁকিয়ে)

রশ্নি :প্রবলেম নেই কিন্তু কেউ ফুসকার জন্য এত পাগল হতে পারে তা তোকে না দেখলে জানতাম না

সায়রা:(বড় নিশ্বাস নিয়ে চোখ বন্ধ করে মুচকি হেসে)কারন ফুসকা হল আমার ভালোবাসা

সায়রা ফুসকা খাচ্ছে তৃপ্তি করে হঠাৎ সায়রার উড়না বাতাসে সরে গেল সায়রার সেদিকে খেয়াল নেই সে মাওয়াদের সাথে কথা বলছে আর ফুসকা খাচ্ছে । পাশেই চায়ের দোকানে কিছু বখাটে ছেলে বসে আছে যারা এতক্ষোন সায়রাদের দেখছিল বাজে দৃষ্টিতে ।সায়রার উড়না সরায় তারা বাজে ভাবে তাকাচ্ছিল বাজে বাজে কমেন্ট করছিল ।সায়রার সেদিকে কোন খেয়াল নেই।হঠাৎ আরসাল গাড়ি নিয়ে university র গেড এ আসে সায়রাকে নিতে ।গাড়ি সাইডে পার্ক করে মুচকি হেসে সায়রার দিকে যাচ্ছিল হঠাৎ দেখলো বখাটে ছেলেগুলো বলছে

১ম বখাটে :মামু মালটারে দেখ

২য় বখাটে :কোনটা

১ম বখাটে :ঐ যে ঐ হলুদ কাপড় পড়াটা

২য় বখাটে :হ মামু ফিগারটা জোসস।ইচ্ছা করতাসে উঠাইয়া নিয়া যাই

১ম বখাটে:বেশি না এক রাতের লাইগা হইলেও হইবো

আরসালের তা শুনেই মূহুর্তেই রাগে কাপঁতে লাগলো ।মাথার রগ ফুলে গেল চোখে মুখে স্পষ্ট রাগ আরসাল পাশের থেকে মোটা রড নিয়ে গিয়ে বখাটে গুলোকে মারতে থাকলো আর বলতে লাগলো

আরসাল:সাহস কি করে হয় ওর দিকে তাকানোর ।তোদের কে তো আজ খুনই করে ফেলবো ।চোখ উঠিয়ে ফেলবো সেই চোখ দিয়ে ওকে বাজে নজর দিয়ে দেখেছিস ঐ চোখ তুলে ফেলবো ।তোর জিহ্বা টেনে ছিড়ে ফেলবো ।

আবার মারতে লাগে চোখে মুখে মারতে লাগে রড দিয়ে বারি দিয়ে মাথা ফাটিয়ে ফেলে ।

হঠাৎ সায়রা হৈ চৈ শুনে পিছনে ঘুরে দেখে আরসাল কিছু ছেলেদের মারছে ছেলেগুলোর অবস্থা ‌অনেক খারাপ শরির থেকে রক্ত ঝোরছে আর একটু হলে মারা যাবে ।সায়রা তারাতারি করে আরসালের কাছে গিয়ে আরসালকে আটকানোর চেষ্টা করে ।আরসাল সায়রাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় ।সায়রা আবার আরসালের কাছে এসে বলতে লাগে

সায়রা:আরসাল আমি কি করছেন ?কেন মারছেন ?ছেড়ে দেন ওদের মারা যাবে তো

আরসাল সায়রার দিকে ‌অগ্নিদৃষ্টিতে তাকায় সায়রা ভয় পেয়ে যায়।আরসাল আবার মারতে শুরু করে

আরসাল:ওদের আমি খুন করে ফেলবো (রেগে চিৎকার করে)

সায়রা দেখলো ছেলেগুলো অবস্থা খুব খারাপ বাজে ভাবে আরসাল তাদের মারছে শরির থেকে রক্ত ঝোরছে ।মাথা ফেটে গেছে আর একটু পর মারা যাবে ।সায়রা আরসালকে থামানোর জন্য বলতে লাগে

সায়রা:আরসাল ওদের ছেড়ে দেন

আরসাল সায়রার কথা কথা কানে নিচ্ছে না আগের মত মারতেই লাগে ।সায়রা আরসালকে আবার বলতে লাগে

সায়রা:আরসাল আপনাকে আমার কছম ছাড়েন

আরসাল সায়রার কথা শুনে থেমে যায়।রডটা ছুড়ে ফেলে সায়রার দিকে রাগে ফুসতে ফুসতে তাকায় ।সায়রা ভয় পেয়ে যায় পিছাতে লাগে ।আরসালের রাগের সম্পর্কে তার বেশ ভালো ধারনা আছে ।আরসালের কাজে কেউ বাধাঁ দিলে তার কি অবস্থা হয় তা সায়রা বেশ ভালো করেই জানে ।আর সায়রা আরসাল কে আটকানোর জন্য আরসালের সবচেয়ে দূর্বল জায়গায় আঘাত করেছে ।আজ সায়রার সাথে কি হবে তা ভেবেই সায়রা ভয়ে পিছাতে লাগে ।হঠাৎ রাস্তায় গাড়ি আসছে সায়রার সেদিকে খেয়াল নেই আরসালকে এগোতে দেখে সে নিজে পিছাচ্ছে ।আরসাল দেখছে সায়রা গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগবে তারাতারি করে সায়রাকে টান দিয়ে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো ।সায়রার এই কেয়ারলেসে আরসালের রাগ আরো দ্বি গুন বাড়িয়ে দিলো । সায়রা আরসালের দিকে তাকিয়ে দেখলো যে আরসাল সায়রা দিকে রাগে তাকিয়ে আছে ।আরসাল সায়রার হাতের কবজি শক্ত করে ধরে সায়রাকে টেনে নিয়ে গাড়িতে বসায় ।গাড়ি স্প্রিডে চালাতে থাকে ।গাড়ি চালাচ্ছে আর আরসাল রাগে ফুসছে ।গাড়ি বাড়ির পার্কিং সাইডে থামায়।

বাড়িতে…..

আরসাল বাড়ির গেটের সামনে গাড়ি spreed এ থামায় তার পর দরজা খুলে সায়রাকে টানতে টানতে নিজের রুমে নিয়ে গিয়ে বিছানায় ছুড়েঁ মারে দরজা লক করে দিয়ে সায়রার দিকে রেগে এগোতে লাগে ।সায়রা ভয় পেয়ে পিছিয়ে যায় আরসাল সায়রার হাত টান দিয়ে ধরে সায়রার দিকে ঝুকেঁ দাতেঁ দাতঁ চেপে বলতে লাগে

আরসাল :আমার থেকে কেন পালাচ্ছো ?তুমি কেন বাধাঁ দিলে তখন হুম ?কেন ?তুমি জানো আমার সবচেয়ে দূর্বল জায়গা তুমি আর তাই তুমি নিজেকে নিয়ে কছম দিয়েছো ।ঐ ছেলেদের মারছিলাম তোমার কষ্ট হচ্ছিল ?ঐ ছেলেরা যখন তোমাকে বাজে নজর দিয়ে দেখছিল ঐটা ঠি ক ভালো লাগছিল তাই না?তোমাকে বাজে কমেন্ড করছিল তা ভালো লাগছিল তা ইনজয় করছিলে ?

সায়রা এত সময় ধরে আরসালের কথা গুলো চুপচাপ শুনছিল কিন্তু শেষের কথা গুলো খুব খারাপ লাগলো সায়রা চিৎকার করে বলতে লাগে

সায়রা :অনেক হয়েছে অনেক বলেছেন আর না।আপনার মনে হয় আমি ঐ টাইপের মেয়ে?আসলে সত্যি হলো আপনার মাঝে প্রবলেম আপনি সাইকো তাই এমন করেন ।আপনাকে যত বার সব কিছু ভুলে ঠি ক করতে নেই তত বারই কোন কোন কিছু করে সব শেষ করে দেন ।যখনই ভাবি হয়তো আপনি ঠি ক হচ্ছেন তত বারই আপনি কিছু না কিছু করে সব শেষ করে দেন।বিরক্ত হয়ে গেছি অনেক হয়েছে আর না আমি আপনার সাথে কোন সম্পর্কেই রাখতে চাই না ।

আরসাল:(হাত উঠিয়ে সায়রাকে থাপ্পর দেওয়ার জন্য )চুপ এক দম চুপ ।(চুলের মুঠি শক্ত করে ধরে নিজের কাছে টেনে)তুই আমার বুজেছিস তোকে আমার সাথেই থাকতে হবে তুই তাতে রাজি থাক আর না থাক ।আর ভুলেও সম্পর্ক ভাঙ্গার চেষ্ট করবি না তাহলে এর পরিনাম কি হতে পারে তোর ধরনা নেই ।তুই আমার শুধু আমার ।সারাজিবন আমারই থাকতে হবে এর জন্য যদি বন্ধি করতে হয় তাই করে রাখবো ।(চিৎকার করে)

আরসাল সায়রাকে ধাক্কা দেয় আলমারির সাথে বারি খায় বেশ ভালোই ব্যথা পায়।আরসাল কাচের ফুলধানীটা ছুঁড়ে মারে নিচে ফুলদানীটা চুড়মার হয়ে যায়। আরসাল যে হাত উঠিয়েছিল তা দেয়ালে ঘুষি দিয়ে দরজা খুলে রেগে হন হন করতে বাহিরে চলে যায়।সায়রা স্থব্দ হয়ে আগের মত বসে আছে ।সায়রা কান্না করতে করতে বলতে লাগে

সায়রা:সব সময় উনি নিজের মনমতলোবি করে ।নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী সব করে ।আজ উনি কি ভাবে এমন ব্যবহার করলো ?উনি আমার উপর হাত উঠাতে যাচ্ছিলো ?উনি কি ভেবেছে উনি যেমন ব্যবহার করবে আমি তা মেনে নিবো ।না কখনোই না।আমি উনাকে ভালেবাসি তাই বলে এই না যে তার এই ব্যবহার মেনে নিবো সব কিছু শুনবো ।আমি আজই এখান থেকে চলে যাবো ।

সায়রা চোখ মুছে নিচে যায় ।নিচে গিয়ে দেখে মুমতাহা খাঁন কিচেনে ।তাই এত সময় যা হয়েছে তা হয়ত সে টের পায় নি ।সায়রা নিজেকে সামলিয়ে চোখ মুখ মুছে মুমতাহা খানের কাছে যায়।যেয়ে বলতে লাগে

সায়রা:বড় মা

মুমতাহা খান :(সায়রার দিকে ঘুরে)বলো মা

সায়রা :বড়মা কাল দাদাজি দাদীমা অমি ভাইয়া দেশে ফিরছে সিংগাপুর থেকে আজ বাড়িতে যেতে হবে ।(মাথা নিচু করে)

মুমতাহা খানঁ :তুমি কি ভেবেছো তুমি আমার কাছে লুকাবে আর আমি তা বুজতে পারবো না?তোমার চোখ মুখে এমন লাল হয়ে আছে কেন ?আরসালের সাথে ঝগড়া হয়েছে তাই চলে যাচ্ছো?

সায়রা :না বড়মা এমন কিছু না । আসলে দাদাজী বাসায় ফিরে না দেখতে পেলে আবার রাগ করবে

মুমতাহা খাঁন :সায়রা আমি জানি তুমি যথেষ্ট বুদ্ধিমতি যা করবে ভেবে করবে তাই আমি তোমাকে আটকাবো না ।(সায়রার গালে হাত দিয়ে)

সায়রা মুমতাহা খাঁনকে জরিয়ে ধরে বলতে লাগে

সায়রা:থেংক ইউ বড়মা আমাকে বুজার জন্য

সায়রা মুমতাহা খাঁন থেকে বিদায় নিয়ে নিজেদের বাসায় চলে যায়।

সন্ধ্যায়…

আরসাল বাসায় ফিরে এসে সায়রাকে খুঁজতে থাকে ।কিন্তু সায়রাকে খুঁজে পায়না ।সায়রাকে না পেয়ে আরসাল পাগল পাগল অবস্থা ।নিজের রুমের জিনিস ভাঙ্গতে থাকে ।মুমতাহা খাঁন ভাংগার শব্দ পেয়ে আরসালের রুমে আসে ।এসে দেখে সব কিছু ভাংগা ।মুমতাহা খাঁন এসে আরসালকে থামানোর চেষ্টা করে আরসালকে শান্ত করে বেডে বসিয়ে বলতে লাগে

মুমতাহা খাঁন:আরসাল তুমি কেন এমন কর সব সময় রাগের বসে উত্তেজিত হয়ে সায়রাকে আঘাত কর।ওকে বুজার চেষ্টা কর। জানিনা তোমাদের মাঝে কি হয়েছে কিন্তু আমি মা হয়ে তোমাদের দু জনকে খুব ভালোভাবেই বুজতে পারি ।সায়রা সহজে কোন সিদ্ধান্ত নেয় না আজ ওকে দেখে মনে হয়েছে ও অনেক কষ্ট পেয়েছে ।আরসাল নিজের রাগকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা কর এমন না হয় তুমি নিজের রাগের বসে সায়রাকে হারাও।

আরসাল:আম্মু আমি নিজের রাগ অনেক কন্ট্রোল করার চেষ্টা করি কিন্তু হঠাৎ সায়রা এমন কিছু বলে নিজের রাগের উপর কন্ট্রোল করতে পারি না ।আম্মু আমি প্রমিজ করছি নিজের রাগের উপর কন্ট্রোল করার চেষ্টা করবো আর কখনো সায়রাকে নিজের থেকে দূরে যেতে দেব না।

তার পর আরসাল সায়রাদের বাড়ির উদ্দেশ্য বের হয়ে যায় ।

সায়রাদের বাড়িতে ….

বাড়িতে পিয়াস পাখি ছাড়া কেউ নেই সবাই বিয়ের ফাংশনে গিয়েছে ।পিয়াস পাখির পরিক্ষার কারনে তারা যায়নি ।আর সায়রা বাড়িতে ফিরার পর থেকে নিজের ঘর অন্ধকার করে দরজা বন্ধ করে বসে আছে ।পিয়াস পাখি ড্রইং রুমে পড়ছে ।আরসাল সায়রাদের বাসার ভিতরে যেয়ে দেখে পাখি আর পিয়াস ।পাখি পিয়াস আরসালকে দেখে ভূত দেখার মত ভয় পেয়ে যায়।আরসাল পাখি পিয়াসকেস জিগাসা করে

আরসাল :তোমাদের আপি কোথায়?

পাখি :আপি তো রুমে ।আসার পর থেকে রুমে দরজা বন্ধ করে বসে আছে ।

আরসাল দেরি না করে তারাতারি উপরে চলে যায় সায়রার রুমের দিকে রুমে দরজা খুলে দেখে পুরো রুম অন্ধকার সায়রা বেডে বসে পায়ে মাথা গুজে বসে আছে ।আরসাল আস্তে আস্তে রুমে ডুকে রুমের লাইট অন করে সায়রা তখনো মাথা গুজেঁ আছে ।আরসাল আস্তে আস্তে সায়রার কাছে যায়।সায়রার ধরতেই সায়রা মাথা উচুঁ করে ।আরসাল দেখে সায়রার চোখ মুখ ফুলে গেছে লাল হয়ে আছে ।আরসালের সায়রাকে এমন অবস্থা দেখে বুক মোচড় দিয়ে উঠলো ।সে সায়রাকে ধরতে গেলে সায়রা আরসালের হাত ঝারিঁ মেরে ফেলে দূরে সরে বসে ।আরসাল আবার কাছে এগোলে সায়রা আরো দূরে সরে বসে ।এবার আরসাল সায়রার কাছে গিয়ে শক্ত করে নিজের বুকের সাথে জরিয়ে ধরে ।সায়রা ছুটাছুটির চেষ্টা করে কিন্তু আরসাল আরো গভির ভাবে জরিয়ে ধরে বলতে লাগে

আরসাল:সরি জান তোমাকে আঘাত করে ফেলেছি আমি তোমাকে আঘাত করতে চাই না কিন্তু রাগের বসে কোন না কোন ভাবে তোমাকে আঘাত করে ফেলি।তোমাকে খুব ভালোবাসি কতটা তা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না ।তোমাক দিকে কেউ খারাপ নজরে তাকালে আমার সয্য হয় না ।ঐ ছেলেগুলো তোমাকে বাজে কথা বলছিল আমি তা কি করে সয্য করবো বলো ।তুমি আমার কাছে কি তা হয়তো তুমি জানোনা আমার পাগলামো ,আমার ভালোবাসা ,আমার দিওয়ানাগিরি সব কিছু তুমি ।তুমি আমার তোমাকে তো শুধু আমার দেখার অধিকার তাই না ।তুমি কেন আমাকে বার বার বল আমার থেকে দূরে সরে যাবে বলো ?তাই তো রাগের বসে তোমাকে আঘাত করে ফেলি।

সায়রা এত সময় ধরে চুপ করে আরসালের কথা শুনছিল হঠাৎ সায়রা আরসালের দিকে মাথা উচু করে বলতে লাগে

সায়রা:আমার আপনার এই রাগি রূপটাকেই ভয় লাগে।আমি আপানার পাগলামো ভালোবাসাকেই ভয় পাই ।যত বার সব ভুলে আপনার কাছে আসার চেষ্টা করি এই আপনার রাগের কারনেই দূরে সরে যাই।আপনি এই রূপে এত হিংস্র হয়ে যান যে আপনি কি করছেন তার কোন খেয়ালই থাকে না ।নিজের উপর নিয়ন্ত্র হারিয়ে ফেলেন।এভাবে ভয় নিয়ে কি করে আমি আপনার সাথে থাকবো সারাজিবন ?(অনবরত চোখ থেকে পানি ঝোরছে )

আরসাল সায়রাকে কাছে টেনে কমোড় জরিয়ে ধরে সায়রার চোখের পানি নিজের ঠোঁট দিয়ে শুষে নিয়ে সায়রার কপালের সাথে নিজের কপাল ঠেকায়।দুজন চোখ বন্ধ করে আছে ।আরসাল আবেগি কন্ঠে বলতে লাগে

আরসাল:সরি তোমাকে কষ্ঠ দেবার জন্য । সত্যি প্রমিজ করছি নিজেকে বদলাবো তুমি সারাজিবনের জন্য আমার জিবনে এসে পর তাহলে দেখবে আমি পুরো পরিবর্তন হয়ে যাবো ।তোমাকে পাবার নেশায়ই এমন ভুল করি ।তুমি আমার কাছে যখন থাকবে তখন দেখবে ঠি ক সব কিছু ঠি ক হয়ে যাবে ।প্লিজ জান আমার থেকে দূরে যেও না (ঠোঁটে আলতো চুমু দিয়ে)

সায়রা আবেগি হয়ে আরসালকে জরিয়ে ধরে নিজের রাগটা আরসালের প্রবল ভালোবাসার সামনে ধরে রাখতে পারে না ।নিজের ভালোবাসার মানুষের এমন কথা শুনে দুনিয়ার কোন মেয়েই হয়ত তাকে ইগনোর করতে পারবে মা সায়রার ক্ষেত্রেও তাই।সে ও তো আরসালকে ভালোবাসে কিন্তু তা আরসালের সামনে প্রকাশ না করলেও তা সে ঠি কই বুজতে পারে।আরসাল সায়রাকে বুকে জরিয়ে ধরে নেশা ভরা কন্ঠে বলতে লাগে

আরসাল :জান তুমি জানো তোমাকে বাড়িতে না পেয়ে আমার কি অবস্থা হয়ে গিয়েছিল পাগলের মত পুরো বাড়িতে তোমাকে খুজেঁছি ।কতটা ভয় পেয়েছি তোমার ধারনা আছে ।তুমি কেন চলে আসলে এখন তোমাকে ছাড়া কি করে থাকবো বলো ।প্লিজ জান আমার সাথে রাগ করে আমার থেকে দূরে থেকো না ।আর জান আমার থেকে দূরে যাবার চেষ্টা করনা প্লিজজজজ তাহলে আমি বাচঁবো না।

সায়রা আরসালের শেষ কথা শুনে আরসালকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে ।আরসাল বুজতে পারে সায়রা কেন তাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরেছে ।আরসালের চেহারায় মুচকি হাসি ফুটে উঠে ।সায়রা আরসালের বুকে মাথা রেখে এক অন্যরকম শান্তি পাচ্ছে ।এভাবে দুজন দুজনাকে জরিয়ে রেখেছে।আরসাল সায়রার দিকে তাকিয়ে দেখে সায়রা ঘুমিয়ে গেছে।আরসাল মনে মনে হাসে যে কেউ এমন কিভাবে ঘুমপাগলি হতে পারে ।সায়রাকে বালিশে শুয়িয়ে দেয় ।হঠাৎ হাতে নজর গেলে দেখতে পায় লাল হয়ে আছে ।রুমে first aide বক্স খুজেঁ সায়রার হাতে মেডিসিন লাগিয়ে দেয়।আরসাল সায়রার সামনের চুল গুলো সরিয়ে কপালে ঠোঁটে গভীর চুমু দিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:অনেক ভালোবাসি জান যা তোমার ধারনার বাহিরে ।তোমাকে প্রত্যেকটা দিন প্রত্যেকটা ঘন্টা প্রত্যেকটা মিনিট প্রত্যেকটা সেকেন্ড পাশে চাই তোমাকে ভালোবাসতে চাই।আমার কাছে তুমি কি তা তুমি জানো না ।এভাবে তোমার থেকে দূরে থাকা বেশ কষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।আমি তোমাকে চাই নিজের করতে চাই ।নিজের মত করে ভালোবাসতে চাই ।প্লিজ জান তারাতারি নিজের মনের কথাটা বল আমি শুধু তার অপেক্ষায়ই আছি।আই লাভ ইউ জান

Humein tumse pyaar kitna

Yeh hum nahi jaante

Magar jee nahi sakte

Tumhaare binaaaa

চলবে….
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???

গল্পটাকে এত ভালেবাসা দেওয়ার জন্য thanks❤️❤️❤️

Thanks for supporting me ❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here