Devil_love part_11+12

0
2584

#Devil_love part_11+12
#writer_কাব্য_মাহমুদ

কাব্য ওয়াশরুম থেকে ফ্রেস হয়ে এসে বাইরে এসে দেখে তানিশা যেখানে ছিল সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে।


কাব্যঃ এই মেয়ে তুমি এখনও এখানে কী করছ??(তানিশার সামনে দাঁড়িয়ে)

কাব্যঃ কী হলো??

তানিশাঃ (কিছুক্ষণ নিরবতার পর) আচ্ছা আপনি একটু আগে এটা কী করলেন আর কেন করলেন??(ভাবনার জগৎ থেকে বের হয়ে)

কাব্যঃ কই কী করলাম

তানিশাঃ কী করলেন জানেননা, আপনি একটু আগে আমার মুখ এর সাথে আপনার মুখ লাগালেন কেন ছিঃ কী বিছ্রি গন্ধ আপনার দেখছি রুচি বলে কিছু নেই,ইয়াক্কথু(রাগ ও ঝাড়ি দিয়ে,)

কাব্যঃ কী বললে(রেগে গিয়ে)

তানিশাঃ কী বললাম শুনতে পাচ্ছেন না???

কাব্যঃ মিষ্টি টি দেওয়া মনে হয় কম হয়েছিল না??(দাঁতে দাঁত চেপে)

তানিশাঃ ম্মান্নে(তুতলিয়ে) ক্কী বলতে চাইছেন আপনি??

কাব্যঃ কী বলতে চাই জানোনা আমাকে আজ পর্যন্ত কেউ অপমান করার সাহস পাই নি তাই তোমাকে আমি ওটা শাস্তি সরুপ দিলাম আর তুমি কোথাকার থার্ডক্লাস মেয়ে এসে আমাকে অপমান করলে, তার প্রতিশোধ তো আমিই নেবোই miss tanisha বজ্জাত এর হাড্ডি(কাছে এগোতে এগোতে)

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
তানিশাঃ কী প্রতিশোধ নেবেন আপনি(পেছনে হাটতে হাটতে) আর এভাবে এগিয়ে আসছেন কেন?? আর শাস্তি কি কাউকে এভাবে দেই?
.
কাব্যঃ কেন?? ওইযে বললে না যে আমার রুচি বলে কিছু নেই,
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
তাই আমার রুচির দরকার নেই আমি ওই অরুচিকর জিনিসটা আবার খাব ,,,আর তুমি তো মেয়ে তাই তোমাকে এভাবেই শাস্তি দেওয়া যাই,,এর বেশি কিছু নেবে নাকি??
.
তানিশাঃ ক্কী (এগোতে এগোতে দেওয়াল এর সাথে লেগে গেছে)

কাব্যঃ হুম এটা আমার খুব ভালো লেগেছিল,,,,আর তোমারও ভালো লেগেছিলা মনে হয় তা না হলে তুমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে না//////(দেওয়াল এর সাথে হাত দিয়ে)

তানিশাঃ দেখুন ভালো হচ্ছে না কিন্ত আর এখানে অনেক মানুষ আছে,কেউ দেখে ফেলবে
.
কাব্যঃ what তারমানে তুমি চাইছো আমরা সবার আড়ালে যেয়ে এসব করি?? কিন্ত এখানে তো কেউ নেই আর কেউ আসবেও না কারণ এই ওয়াশরুমে সবাই আসে না,,,,তাই এখানেই করি(কাছে এগোতে)।।

তানিশাঃ(উনি আমার এতো কাছে আসছে কেন??আবার কী সেটা করবে )৷ নায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়াহহহহহহহহ এটা আর হতে পারে না(ধাক্কা দিয়েই দৌড়)

কাব্যঃ (তাল সামলে) এটা কী হলো,, এটা মেয়ে নাকি অন্য কিছু?? আবির ঠিকই বলেছে কোন মেয়ে এভাবে সহজে দৌড় দিতে পারে না,,,,,,কিন্ত এর সব দুষ্টুমি আমার এতো ভালো লাগছে কেন???? নাহ কাব্য এসব নিয়ে ভাবলে চলবে না(মনে মনে)
(বলেই চলে গেল)

এক দৌড়ে এসে এক পাশে দাঁড়িয়ে,,,,,,(ক
িছুক্ষণ পর)

সুমিঃ কীরে আপু কোথাই ছিলি এতক্ষণ?? (তানিশাকে দেখে)

তানিশাঃ কেন?

সুমিঃ কেন মানে?? আর তুই এভাবে হাপাচ্ছিস কেন?? মনে হচ্ছে আবার কিছু করে দৌড় দিয়েছিস।
.
তানিশাঃ ক্কি করব আবার এমনি ভালো লাগছে না,, কেন তোর কী তাতে??

সুমিঃ আমার কিছুই না, আর তুই তো কোন বিচ্ছেদ না বাদিয়ে এভাবে দৌড় দিস না,,

তানিশাঃ বজ্জাত এর হাড্ডি, মুখপুড়ি জিরাফ তারমানে তুই বোঝাতে চাইছিস আমি কোন কিছু করেছি তাইতো??

.
.
.
.

#Devil_love
#writer_কাব্য_মাহমুদ
#part_12
.
তানিশাঃ বজ্জাত এর হাড্ডি, মুখপুড়ি জিরাফ তারমানে তুই বোঝাতে চাইছিস আমি কোন কিছু করেছি তাইতো??

সুমিঃ আপু এতো বেশি বকবক করিস কেন?চল তোর বিয়ে তো হবে না অন্যের বিয়ে টাতো দেখে নিই

তানিশাঃ ওই শাকচুন্নি তারমানে তুই এটাও চাস যে আমার বিয়ে না হোক(রেগে গিয়ে) .

সুমিঃ আপুউউ চুপ কর আর ভালো লাগছে না(চলে গেল)

তানিশাঃ(বসে পড়ে) কত শখ ছিল খুব সুন্দর একটা আবোলা ছেলেকে বিয়ে করব সংসার হবে বাচ্চাকাচ্চা হবে নাতি-নাতনির মুখ দেখে বুড়ি হবো
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
কিন্ত এখন তো আমার আর বিয়েই হবে না (ন্যাকা কান্না শুরু) ওই বজ্জাত devil, নাইজেরিয়ান এনাকন্ডা, আফ্রিকান গন্ডার, লাল বাদর, মুখ পুড়া হনুমান, কালো কুমির, টিকটিকি, নেংটি ইদুর,ডাইনোসর, আমার সব কেড়ে নিল এ্য্য্য্যাাাা
এখন আমি কি করব আম্মুনিইগোওও তোমার মেয়ে শেষ।(যেভাবে কান্না করে আরকি)

মাঃ ওই কী হয়েছে আর এখানে বসে কান্না করছিস কেন আসেপাশে কোন খেয়াল আছে(রেগে গিয়ে) (তানিশাকে না পেয়ে তার মা ও খুজতে চলে এসেছে)

তানিশাঃ (তানিশা খেয়াল করে দেখে কিছুকিছু লোক তাকে দেখছে আর হাসছে
,বেচারি তো লজ্জায় লাল)

তানিশাঃ (আজ আমি যার জন্য এমন অপমানিত ও কান্না করলাম তাকে তো আমি ওত সহজে ছাড়ব না mr,devil অপেক্ষা করুন(মনে মনে)

মাঃ কী এতো ভাবছিস চল

তারপর সবাই মিলে বিয়ের অনুষ্ঠান এ ব্যাস্ত এবং অবশেষে বিয়ে সমপন্ন হয়ে মেয়ে বিদাই এর পালা,,

মেয়ের মাঃ মা অন্যের বাড়ি যাচ্চিস একটু নিজেকে মানিয়ে নিস,,তাদের পছন্দ অপছন্দ মেনে চলবি, আর সব কথা গুছিয়ে বলবি,কোন দুষ্টুমি চলবে না

ছেলের বাবাঃ কী যে বলে বিয়ান সাহেবা আমার বাড়িতে যদি দুষ্টুমি না চলে তাহলে কিন্ত আমি বউমা নেব না হা হা হা
সবাই মিলে আনন্দের হাসি হাসল,,,,এভাবেই যদি প্রত্যেক মেয়ে তার শশুড়বাড়ি যাই তাহলে সবার মনেই একটা আস্থা থাকে যে আমি নিজের বাড়িতে যাচ্ছি,,,,কিন্ত এখন আর হচ্ছে কই, শশুড়বাড়ি যেয়েই রান্নাকর

আবিরঃ আচ্ছা কাব্য এই মেয়ে এভাবে কান্না করছে কেন??সে তো ইচ্ছা করেই বিয়ে করছে তাহলে তো তাকে খুশি থাকাই উচিৎ (একপাশে দাঁড়িয়ে)

কাব্যঃ এটা সবাই করে কারণ সে সারা জীবন এর জন্য এই বাড়ি ত্যাগ করছে তার সকল সৃতি এখানে আছে যে তার মায়াতেই সে এভাবে কান্না করছে,,, তবে আসবে কিন্ত সেভাবে না সবাইকে এক মূহুর্তে দেখতে।

আবিরঃ হুম খুব গুছিয়েই বললি কথাটা।

কাব্যঃ what the, তারমানে তুই বোঝাতে চাস আমি কথা গুছিয়ে বওওওলতে প্পারি না??(কাব্য তানিশাকে দেখে সে সবার বাইরে এক জাইগাতে দাঁড়িয়ে আছে একা একা)

আবিরঃ কীরে তোর আবার কী হলো (অবাক হয়ে)

কাব্যঃ আচ্ছা তুই একটু দাড়া(বলেই চলে গেল)

আবিরঃ এর আবার কী হলো?? (কিছুনা বুঝে)


কাব্যঃ এই মেয়ে তুমি এখানে একা কী করছ(তানিশার কাছে এসে)

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
তানিশাঃ আপ্পনিইই (অবাক হয়ে) আপনি এখানে কী করছে আগে সেটা বলেন??

কাব্যঃ আমি ছেলে তাই আমি যেখানে ইচ্ছে যেতে পারি কিন্ত তুমি মেয়ে হয়ে একা এখানে কেন?সবার ভিতরে যেয়ে থাকতে পারনা

তানিশাঃ আপনার কী ছিচকে বিড়াল কোথাকার, শুধু ছেলেরাই কী বেড়াতে পারে মেয়েরা পারে না

কাব্যঃ হুম পারে কিন্ত এই রাতের এই মিষ্টি অন্ধকারে এই মিষ্টি মেয়েকে দেখে যদি কারোর নজর লেগে যাই(ডেভিল মার্কা দিয়ে)

তানিশাঃ ম্মানে(তুঁতলিয়ে)

কাব্যঃ মানে হলো এভাবে একা থাকবে না সবসময় সাথে কাউকে নিয়ে থাকবে তা না হলে তোমাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যাব

তানিশাঃ আপনি কী মেয়ে ধরা নাকি??
।।
কাব্যঃ what the,, মেয়ে ধরাও হয় নাকি??

তানিশাঃ নাহলে আপনি আমাকে কেন তুলে নিয়ে যেতে চাইছেন??

কাব্যঃ (কী করে বলি তোমার সাথেই আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে আর তোমার নাম ও তো সেটাই তাই আমার বিশ্বাস সেটা তুমিই,,,মনে মনে)

তানিশাঃ কী হলো??

কাব্যঃ (ধ্যান ভেঙে) না কিছুনা, আচ্ছা তুমি এখন যাও

তানিশাঃ (কী ব্যাপার বজ্জাত বেটার কী হলো কিছু বল্ল না) (বিড়বিড় করে)

কাব্যঃ কী বললে (রেগে গিয়ে)

তানিশাঃ না কিছু না (ধাক্কা দিয়েই দৌড়)

কাব্যঃ এই মেয়েকে যদি আমার গলাই ঝুলাই তাহলে তো আমি শেষ

অবশেষে সবাই বিদাই নিয়ে বিয়ের কাজ শেষ আর আমি এখন যাই এখনো ঘুম থেকে উঠি নাই
,,,চলবে,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here